মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী

এখানে শ্বাসমূলের কাঁটায় বাঁধা জলসুরের গান, জোয়ার-ভাটা আর ঢেউয়ের খেলা। মধ্যরাতে নিস্তব্ধতা ভেদ করে দূরে শোনা যায় হরিণের ডাক। আর কখনো কখনো বাঘের গর্জনে রক্ত হিম হয়ে যায়! এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, এই গল্প সুন্দরবনের।
সুন্দরবন মানে শুধু বন নয়, জীববৈচিত্র্যে এ এক গোলকধাঁধাই বটে। এখানে কোথাও কাঁকড়া ছোটাছুটি করছে, কোথাও মাছরাঙা ঝুপ করে মাছ নিয়ে যাচ্ছে জলে ডুবে, নদীতে ভেসে চলেছে বাওয়ালিদের নৌকা। নৌকার নিচেই হয়তো ঘাপটি মেরে বসে আছে কুমির—কে জানে! বিভিন্ন প্রজাতির মাছ খেলা করছে নদীতে। মাথার ওপর হরেক প্রজাতির পাখি। আর সামনে-পেছনে-ডানে-বাঁয়ে উদ্ভিজ্জরাজি।
সুন্দরবন শুধু বন নয়, আশ্রয়ও বটে। এখানে প্রতিটি দিন, প্রতিটি সকাল নতুন বনজীবীদের কাছে। এই যে বনজীবী বলছি; তার মানে, এই বনকে কেন্দ্র করে আছে একদল মানুষের বসবাস, যাদের জীবিকার উৎস এটি। তাদের মধ্যে আছে মৌয়ালেরা। দল বেঁধে বনে যায়, মধু সংগ্রহ করে। তারপর ফিরে আসে। আর আছি আমরা, যারা বন ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই।
সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত সুন্দরবন ভ্রমণের আদর্শ সময়। তবে এখন মোটামুটি সারা বছর পর্যটন হচ্ছে বনে। সে জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে গেছে এই জনপদেও। খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের পশ্চিম ড্যাংমারি গ্রামে তৈরি হয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণের নতুন দিগন্ত। সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে এ গ্রামে গড়ে উঠেছে ইকো রিসোর্ট।
প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের বসবাস পশ্চিম ড্যাংমারি গ্রামে। একসময় তাদের একমাত্র আয়ের মাধ্যম ছিল বনের গাছ ও কাঠ বিক্রি, খালে মাছ ধরা কিংবা পশুপাখি শিকার। তবে সুন্দরবন রক্ষা এবং স্থানীয়দের ইকো ও কমিউনিটি ট্যুরিজমে উৎসাহিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। সেই প্রকল্পের আওতায় গ্রামটিতে প্রথম গোলক কানন নামের একটি কাঠের রিসোর্ট তৈরি করা হয়। এখন দেশীয় অনেক বিনিয়োগকারী সেখানে গড়ে তুলেছেন অসংখ্য রিসোর্ট।
রিসোর্ট আছে যত
ড্যাংমারি গ্রামে বয়ে যাওয়া চাংমারি খালের পাশে বাঁশ-কাঠের এসব রিসোর্টের নাম শুনলেই যেতে ইচ্ছা করবে যে কারও। এখানে আছে গোল কানন, ইরাবতী, বনবিবি, বনলতা, বনবাস, সুন্দরী, পিয়ালি, জঙ্গলবাড়ি, ছায়ালতা, মনমালি, ফরেস্ট রিট্রেট ও ম্যানগ্রোভ হ্যাভেন নামক ১২টি রিসোর্ট। এ ছাড়া ম্যানগ্রোভ ভ্যালি নামক একটি রিসোর্টের নির্মাণকাজ চলছে। এসব রিসোর্ট গড়ে উঠেছে একই রুটে ১১ কিলোমিটারের মধ্যে, চাংমারি খালের তীরে।

যেভাবে বুকিং করা যায়
রিসোর্টগুলোর নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে অগ্রিম বুকিং করতে হবে। রিসোর্টগুলো বিভিন্ন প্যাকেজ দিয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রুপ ট্যুরে ১ দিনের জন্য জনপ্রতি ৩ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৫০০ টাকার প্যাকেজ। এখানে বিভিন্ন আকৃতি ও সুবিধার কটেজ এবং ডুপ্লেক্স কটেজ রয়েছে। এগুলোর ভাড়া সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এগুলোয় আছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-সংযোগ। আছে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং বন বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময় টহল দেন এসব এলাকায়।
প্যাকেজে যা রয়েছে
এক দিনের প্যাকেজে সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার সংযুক্ত। আগাম বুকিং দিলে নির্দিষ্ট রিসোর্ট মোংলা ঘাট থেকে ট্যুরিস্ট বোটে নিয়ে যাবে। এতে এক ঘণ্টার নদীভ্রমণ হয়ে যাবে।

এ ভ্রমণে দেখা যাবে মোংলা বন্দর, মাছেদের নাচানাচি, ডলফিনের লাফালাফি। এ ছাড়া কুমিরের বিচরণ তো রয়েছেই। আর থাকবে চোখজুড়ানো বন। দুপুরে লাঞ্চ। বিকেলে পর্যটকদের বইঠা নৌকায় সুন্দরবনের ভেতরে এক ঘণ্টা ক্রুজিং করানো হয়। এ ভ্রমণ জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ধারিত হয়। রাতে রিসোর্টে রাত্রিযাপন। দ্বিতীয় দিন সকালে নাশতা শেষে বেলা ১১টায় চেক আউটের পর বোটে করে নিয়ে যাবে করমজল। সেখানে ঢোকার জন্য জনপ্রতি ৪৬ টাকার টিকিট কাটতে হবে। করমজলে দেখা মিলবে বানর, হরিণ, কুমির ইত্যাদি। ওয়াছি টাওয়ারে উঠে উপভোগ করা যাবে সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য। সেখানে এক ঘণ্টা থেকে আবার ফিরে আসতে হবে মোংলা ফেরিঘাটে।
কীভাবে যেতে পারেন
ঢাকা থেকে সরাসরি মোংলার উদ্দেশে যাওয়া যায় বাসে করে। সেখানে নেমে যাঁরা প্যাকেজে আসবেন, তাঁরা রিসোর্টের নিজস্ব বোটে চলে যাবেন। যাঁরা রুম বুকিং দিয়ে আসবেন, তাঁরা বোট ভাড়া করে রিসোর্টে যেতে পারবেন। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত নিজস্ব গাড়ি নিয়েও রিসোর্টে যাওয়া যাবে। সড়কপথে যেতে চাইলে মোংলা যাওয়ার ৩ কিলোমিটার আগে লাউডোব ফেরিঘাটে নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে ফেরি পার হওয়ার পর সরাসরি রিসোর্টগুলোয় যাওয়া যাবে। তবে যাওয়ার জন্য ভ্যান ও ইজিবাইক রয়েছে। এ ছাড়া বর্ষাকালে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌকা।
খাবারদাবার
প্যাকেজে গেলে রিসোর্টগুলোর মেনু অনুযায়ী তিন বেলা খাবার পাবেন। চাইলে অর্ডার করেও খাওয়া যাবে। এগুলো অবশ্যই বুকিংয়ের সময় রিসোর্টে জানাতে হবে। এখানে দক্ষিণাঞ্চলের বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন মাছ পাওয়া যায়। ঘুরতে এলে সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের যেকোনো খাবার খেতে পারেন।

এখানে শ্বাসমূলের কাঁটায় বাঁধা জলসুরের গান, জোয়ার-ভাটা আর ঢেউয়ের খেলা। মধ্যরাতে নিস্তব্ধতা ভেদ করে দূরে শোনা যায় হরিণের ডাক। আর কখনো কখনো বাঘের গর্জনে রক্ত হিম হয়ে যায়! এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, এই গল্প সুন্দরবনের।
সুন্দরবন মানে শুধু বন নয়, জীববৈচিত্র্যে এ এক গোলকধাঁধাই বটে। এখানে কোথাও কাঁকড়া ছোটাছুটি করছে, কোথাও মাছরাঙা ঝুপ করে মাছ নিয়ে যাচ্ছে জলে ডুবে, নদীতে ভেসে চলেছে বাওয়ালিদের নৌকা। নৌকার নিচেই হয়তো ঘাপটি মেরে বসে আছে কুমির—কে জানে! বিভিন্ন প্রজাতির মাছ খেলা করছে নদীতে। মাথার ওপর হরেক প্রজাতির পাখি। আর সামনে-পেছনে-ডানে-বাঁয়ে উদ্ভিজ্জরাজি।
সুন্দরবন শুধু বন নয়, আশ্রয়ও বটে। এখানে প্রতিটি দিন, প্রতিটি সকাল নতুন বনজীবীদের কাছে। এই যে বনজীবী বলছি; তার মানে, এই বনকে কেন্দ্র করে আছে একদল মানুষের বসবাস, যাদের জীবিকার উৎস এটি। তাদের মধ্যে আছে মৌয়ালেরা। দল বেঁধে বনে যায়, মধু সংগ্রহ করে। তারপর ফিরে আসে। আর আছি আমরা, যারা বন ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই।
সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত সুন্দরবন ভ্রমণের আদর্শ সময়। তবে এখন মোটামুটি সারা বছর পর্যটন হচ্ছে বনে। সে জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে গেছে এই জনপদেও। খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের পশ্চিম ড্যাংমারি গ্রামে তৈরি হয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণের নতুন দিগন্ত। সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে এ গ্রামে গড়ে উঠেছে ইকো রিসোর্ট।
প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের বসবাস পশ্চিম ড্যাংমারি গ্রামে। একসময় তাদের একমাত্র আয়ের মাধ্যম ছিল বনের গাছ ও কাঠ বিক্রি, খালে মাছ ধরা কিংবা পশুপাখি শিকার। তবে সুন্দরবন রক্ষা এবং স্থানীয়দের ইকো ও কমিউনিটি ট্যুরিজমে উৎসাহিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। সেই প্রকল্পের আওতায় গ্রামটিতে প্রথম গোলক কানন নামের একটি কাঠের রিসোর্ট তৈরি করা হয়। এখন দেশীয় অনেক বিনিয়োগকারী সেখানে গড়ে তুলেছেন অসংখ্য রিসোর্ট।
রিসোর্ট আছে যত
ড্যাংমারি গ্রামে বয়ে যাওয়া চাংমারি খালের পাশে বাঁশ-কাঠের এসব রিসোর্টের নাম শুনলেই যেতে ইচ্ছা করবে যে কারও। এখানে আছে গোল কানন, ইরাবতী, বনবিবি, বনলতা, বনবাস, সুন্দরী, পিয়ালি, জঙ্গলবাড়ি, ছায়ালতা, মনমালি, ফরেস্ট রিট্রেট ও ম্যানগ্রোভ হ্যাভেন নামক ১২টি রিসোর্ট। এ ছাড়া ম্যানগ্রোভ ভ্যালি নামক একটি রিসোর্টের নির্মাণকাজ চলছে। এসব রিসোর্ট গড়ে উঠেছে একই রুটে ১১ কিলোমিটারের মধ্যে, চাংমারি খালের তীরে।

যেভাবে বুকিং করা যায়
রিসোর্টগুলোর নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে অগ্রিম বুকিং করতে হবে। রিসোর্টগুলো বিভিন্ন প্যাকেজ দিয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রুপ ট্যুরে ১ দিনের জন্য জনপ্রতি ৩ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৫০০ টাকার প্যাকেজ। এখানে বিভিন্ন আকৃতি ও সুবিধার কটেজ এবং ডুপ্লেক্স কটেজ রয়েছে। এগুলোর ভাড়া সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এগুলোয় আছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-সংযোগ। আছে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং বন বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময় টহল দেন এসব এলাকায়।
প্যাকেজে যা রয়েছে
এক দিনের প্যাকেজে সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার সংযুক্ত। আগাম বুকিং দিলে নির্দিষ্ট রিসোর্ট মোংলা ঘাট থেকে ট্যুরিস্ট বোটে নিয়ে যাবে। এতে এক ঘণ্টার নদীভ্রমণ হয়ে যাবে।

এ ভ্রমণে দেখা যাবে মোংলা বন্দর, মাছেদের নাচানাচি, ডলফিনের লাফালাফি। এ ছাড়া কুমিরের বিচরণ তো রয়েছেই। আর থাকবে চোখজুড়ানো বন। দুপুরে লাঞ্চ। বিকেলে পর্যটকদের বইঠা নৌকায় সুন্দরবনের ভেতরে এক ঘণ্টা ক্রুজিং করানো হয়। এ ভ্রমণ জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ধারিত হয়। রাতে রিসোর্টে রাত্রিযাপন। দ্বিতীয় দিন সকালে নাশতা শেষে বেলা ১১টায় চেক আউটের পর বোটে করে নিয়ে যাবে করমজল। সেখানে ঢোকার জন্য জনপ্রতি ৪৬ টাকার টিকিট কাটতে হবে। করমজলে দেখা মিলবে বানর, হরিণ, কুমির ইত্যাদি। ওয়াছি টাওয়ারে উঠে উপভোগ করা যাবে সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য। সেখানে এক ঘণ্টা থেকে আবার ফিরে আসতে হবে মোংলা ফেরিঘাটে।
কীভাবে যেতে পারেন
ঢাকা থেকে সরাসরি মোংলার উদ্দেশে যাওয়া যায় বাসে করে। সেখানে নেমে যাঁরা প্যাকেজে আসবেন, তাঁরা রিসোর্টের নিজস্ব বোটে চলে যাবেন। যাঁরা রুম বুকিং দিয়ে আসবেন, তাঁরা বোট ভাড়া করে রিসোর্টে যেতে পারবেন। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত নিজস্ব গাড়ি নিয়েও রিসোর্টে যাওয়া যাবে। সড়কপথে যেতে চাইলে মোংলা যাওয়ার ৩ কিলোমিটার আগে লাউডোব ফেরিঘাটে নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে ফেরি পার হওয়ার পর সরাসরি রিসোর্টগুলোয় যাওয়া যাবে। তবে যাওয়ার জন্য ভ্যান ও ইজিবাইক রয়েছে। এ ছাড়া বর্ষাকালে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌকা।
খাবারদাবার
প্যাকেজে গেলে রিসোর্টগুলোর মেনু অনুযায়ী তিন বেলা খাবার পাবেন। চাইলে অর্ডার করেও খাওয়া যাবে। এগুলো অবশ্যই বুকিংয়ের সময় রিসোর্টে জানাতে হবে। এখানে দক্ষিণাঞ্চলের বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন মাছ পাওয়া যায়। ঘুরতে এলে সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের যেকোনো খাবার খেতে পারেন।
মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী

এখানে শ্বাসমূলের কাঁটায় বাঁধা জলসুরের গান, জোয়ার-ভাটা আর ঢেউয়ের খেলা। মধ্যরাতে নিস্তব্ধতা ভেদ করে দূরে শোনা যায় হরিণের ডাক। আর কখনো কখনো বাঘের গর্জনে রক্ত হিম হয়ে যায়! এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, এই গল্প সুন্দরবনের।
সুন্দরবন মানে শুধু বন নয়, জীববৈচিত্র্যে এ এক গোলকধাঁধাই বটে। এখানে কোথাও কাঁকড়া ছোটাছুটি করছে, কোথাও মাছরাঙা ঝুপ করে মাছ নিয়ে যাচ্ছে জলে ডুবে, নদীতে ভেসে চলেছে বাওয়ালিদের নৌকা। নৌকার নিচেই হয়তো ঘাপটি মেরে বসে আছে কুমির—কে জানে! বিভিন্ন প্রজাতির মাছ খেলা করছে নদীতে। মাথার ওপর হরেক প্রজাতির পাখি। আর সামনে-পেছনে-ডানে-বাঁয়ে উদ্ভিজ্জরাজি।
সুন্দরবন শুধু বন নয়, আশ্রয়ও বটে। এখানে প্রতিটি দিন, প্রতিটি সকাল নতুন বনজীবীদের কাছে। এই যে বনজীবী বলছি; তার মানে, এই বনকে কেন্দ্র করে আছে একদল মানুষের বসবাস, যাদের জীবিকার উৎস এটি। তাদের মধ্যে আছে মৌয়ালেরা। দল বেঁধে বনে যায়, মধু সংগ্রহ করে। তারপর ফিরে আসে। আর আছি আমরা, যারা বন ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই।
সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত সুন্দরবন ভ্রমণের আদর্শ সময়। তবে এখন মোটামুটি সারা বছর পর্যটন হচ্ছে বনে। সে জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে গেছে এই জনপদেও। খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের পশ্চিম ড্যাংমারি গ্রামে তৈরি হয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণের নতুন দিগন্ত। সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে এ গ্রামে গড়ে উঠেছে ইকো রিসোর্ট।
প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের বসবাস পশ্চিম ড্যাংমারি গ্রামে। একসময় তাদের একমাত্র আয়ের মাধ্যম ছিল বনের গাছ ও কাঠ বিক্রি, খালে মাছ ধরা কিংবা পশুপাখি শিকার। তবে সুন্দরবন রক্ষা এবং স্থানীয়দের ইকো ও কমিউনিটি ট্যুরিজমে উৎসাহিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। সেই প্রকল্পের আওতায় গ্রামটিতে প্রথম গোলক কানন নামের একটি কাঠের রিসোর্ট তৈরি করা হয়। এখন দেশীয় অনেক বিনিয়োগকারী সেখানে গড়ে তুলেছেন অসংখ্য রিসোর্ট।
রিসোর্ট আছে যত
ড্যাংমারি গ্রামে বয়ে যাওয়া চাংমারি খালের পাশে বাঁশ-কাঠের এসব রিসোর্টের নাম শুনলেই যেতে ইচ্ছা করবে যে কারও। এখানে আছে গোল কানন, ইরাবতী, বনবিবি, বনলতা, বনবাস, সুন্দরী, পিয়ালি, জঙ্গলবাড়ি, ছায়ালতা, মনমালি, ফরেস্ট রিট্রেট ও ম্যানগ্রোভ হ্যাভেন নামক ১২টি রিসোর্ট। এ ছাড়া ম্যানগ্রোভ ভ্যালি নামক একটি রিসোর্টের নির্মাণকাজ চলছে। এসব রিসোর্ট গড়ে উঠেছে একই রুটে ১১ কিলোমিটারের মধ্যে, চাংমারি খালের তীরে।

যেভাবে বুকিং করা যায়
রিসোর্টগুলোর নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে অগ্রিম বুকিং করতে হবে। রিসোর্টগুলো বিভিন্ন প্যাকেজ দিয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রুপ ট্যুরে ১ দিনের জন্য জনপ্রতি ৩ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৫০০ টাকার প্যাকেজ। এখানে বিভিন্ন আকৃতি ও সুবিধার কটেজ এবং ডুপ্লেক্স কটেজ রয়েছে। এগুলোর ভাড়া সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এগুলোয় আছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-সংযোগ। আছে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং বন বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময় টহল দেন এসব এলাকায়।
প্যাকেজে যা রয়েছে
এক দিনের প্যাকেজে সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার সংযুক্ত। আগাম বুকিং দিলে নির্দিষ্ট রিসোর্ট মোংলা ঘাট থেকে ট্যুরিস্ট বোটে নিয়ে যাবে। এতে এক ঘণ্টার নদীভ্রমণ হয়ে যাবে।

এ ভ্রমণে দেখা যাবে মোংলা বন্দর, মাছেদের নাচানাচি, ডলফিনের লাফালাফি। এ ছাড়া কুমিরের বিচরণ তো রয়েছেই। আর থাকবে চোখজুড়ানো বন। দুপুরে লাঞ্চ। বিকেলে পর্যটকদের বইঠা নৌকায় সুন্দরবনের ভেতরে এক ঘণ্টা ক্রুজিং করানো হয়। এ ভ্রমণ জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ধারিত হয়। রাতে রিসোর্টে রাত্রিযাপন। দ্বিতীয় দিন সকালে নাশতা শেষে বেলা ১১টায় চেক আউটের পর বোটে করে নিয়ে যাবে করমজল। সেখানে ঢোকার জন্য জনপ্রতি ৪৬ টাকার টিকিট কাটতে হবে। করমজলে দেখা মিলবে বানর, হরিণ, কুমির ইত্যাদি। ওয়াছি টাওয়ারে উঠে উপভোগ করা যাবে সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য। সেখানে এক ঘণ্টা থেকে আবার ফিরে আসতে হবে মোংলা ফেরিঘাটে।
কীভাবে যেতে পারেন
ঢাকা থেকে সরাসরি মোংলার উদ্দেশে যাওয়া যায় বাসে করে। সেখানে নেমে যাঁরা প্যাকেজে আসবেন, তাঁরা রিসোর্টের নিজস্ব বোটে চলে যাবেন। যাঁরা রুম বুকিং দিয়ে আসবেন, তাঁরা বোট ভাড়া করে রিসোর্টে যেতে পারবেন। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত নিজস্ব গাড়ি নিয়েও রিসোর্টে যাওয়া যাবে। সড়কপথে যেতে চাইলে মোংলা যাওয়ার ৩ কিলোমিটার আগে লাউডোব ফেরিঘাটে নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে ফেরি পার হওয়ার পর সরাসরি রিসোর্টগুলোয় যাওয়া যাবে। তবে যাওয়ার জন্য ভ্যান ও ইজিবাইক রয়েছে। এ ছাড়া বর্ষাকালে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌকা।
খাবারদাবার
প্যাকেজে গেলে রিসোর্টগুলোর মেনু অনুযায়ী তিন বেলা খাবার পাবেন। চাইলে অর্ডার করেও খাওয়া যাবে। এগুলো অবশ্যই বুকিংয়ের সময় রিসোর্টে জানাতে হবে। এখানে দক্ষিণাঞ্চলের বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন মাছ পাওয়া যায়। ঘুরতে এলে সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের যেকোনো খাবার খেতে পারেন।

এখানে শ্বাসমূলের কাঁটায় বাঁধা জলসুরের গান, জোয়ার-ভাটা আর ঢেউয়ের খেলা। মধ্যরাতে নিস্তব্ধতা ভেদ করে দূরে শোনা যায় হরিণের ডাক। আর কখনো কখনো বাঘের গর্জনে রক্ত হিম হয়ে যায়! এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, এই গল্প সুন্দরবনের।
সুন্দরবন মানে শুধু বন নয়, জীববৈচিত্র্যে এ এক গোলকধাঁধাই বটে। এখানে কোথাও কাঁকড়া ছোটাছুটি করছে, কোথাও মাছরাঙা ঝুপ করে মাছ নিয়ে যাচ্ছে জলে ডুবে, নদীতে ভেসে চলেছে বাওয়ালিদের নৌকা। নৌকার নিচেই হয়তো ঘাপটি মেরে বসে আছে কুমির—কে জানে! বিভিন্ন প্রজাতির মাছ খেলা করছে নদীতে। মাথার ওপর হরেক প্রজাতির পাখি। আর সামনে-পেছনে-ডানে-বাঁয়ে উদ্ভিজ্জরাজি।
সুন্দরবন শুধু বন নয়, আশ্রয়ও বটে। এখানে প্রতিটি দিন, প্রতিটি সকাল নতুন বনজীবীদের কাছে। এই যে বনজীবী বলছি; তার মানে, এই বনকে কেন্দ্র করে আছে একদল মানুষের বসবাস, যাদের জীবিকার উৎস এটি। তাদের মধ্যে আছে মৌয়ালেরা। দল বেঁধে বনে যায়, মধু সংগ্রহ করে। তারপর ফিরে আসে। আর আছি আমরা, যারা বন ও প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাই।
সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত সুন্দরবন ভ্রমণের আদর্শ সময়। তবে এখন মোটামুটি সারা বছর পর্যটন হচ্ছে বনে। সে জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা পৌঁছে গেছে এই জনপদেও। খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার বানিশান্তা ইউনিয়নের পশ্চিম ড্যাংমারি গ্রামে তৈরি হয়েছে সুন্দরবন ভ্রমণের নতুন দিগন্ত। সুন্দরবনের কোল ঘেঁষে এ গ্রামে গড়ে উঠেছে ইকো রিসোর্ট।
প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষের বসবাস পশ্চিম ড্যাংমারি গ্রামে। একসময় তাদের একমাত্র আয়ের মাধ্যম ছিল বনের গাছ ও কাঠ বিক্রি, খালে মাছ ধরা কিংবা পশুপাখি শিকার। তবে সুন্দরবন রক্ষা এবং স্থানীয়দের ইকো ও কমিউনিটি ট্যুরিজমে উৎসাহিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৬ সালে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। সেই প্রকল্পের আওতায় গ্রামটিতে প্রথম গোলক কানন নামের একটি কাঠের রিসোর্ট তৈরি করা হয়। এখন দেশীয় অনেক বিনিয়োগকারী সেখানে গড়ে তুলেছেন অসংখ্য রিসোর্ট।
রিসোর্ট আছে যত
ড্যাংমারি গ্রামে বয়ে যাওয়া চাংমারি খালের পাশে বাঁশ-কাঠের এসব রিসোর্টের নাম শুনলেই যেতে ইচ্ছা করবে যে কারও। এখানে আছে গোল কানন, ইরাবতী, বনবিবি, বনলতা, বনবাস, সুন্দরী, পিয়ালি, জঙ্গলবাড়ি, ছায়ালতা, মনমালি, ফরেস্ট রিট্রেট ও ম্যানগ্রোভ হ্যাভেন নামক ১২টি রিসোর্ট। এ ছাড়া ম্যানগ্রোভ ভ্যালি নামক একটি রিসোর্টের নির্মাণকাজ চলছে। এসব রিসোর্ট গড়ে উঠেছে একই রুটে ১১ কিলোমিটারের মধ্যে, চাংমারি খালের তীরে।

যেভাবে বুকিং করা যায়
রিসোর্টগুলোর নিজস্ব ফেসবুক পেজ এবং ওয়েবসাইট রয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে অগ্রিম বুকিং করতে হবে। রিসোর্টগুলো বিভিন্ন প্যাকেজ দিয়ে থাকে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রুপ ট্যুরে ১ দিনের জন্য জনপ্রতি ৩ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৫০০ টাকার প্যাকেজ। এখানে বিভিন্ন আকৃতি ও সুবিধার কটেজ এবং ডুপ্লেক্স কটেজ রয়েছে। এগুলোর ভাড়া সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। এগুলোয় আছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-সংযোগ। আছে নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী। এ ছাড়া কোস্ট গার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং বন বিভাগের কর্মকর্তারা সব সময় টহল দেন এসব এলাকায়।
প্যাকেজে যা রয়েছে
এক দিনের প্যাকেজে সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার সংযুক্ত। আগাম বুকিং দিলে নির্দিষ্ট রিসোর্ট মোংলা ঘাট থেকে ট্যুরিস্ট বোটে নিয়ে যাবে। এতে এক ঘণ্টার নদীভ্রমণ হয়ে যাবে।

এ ভ্রমণে দেখা যাবে মোংলা বন্দর, মাছেদের নাচানাচি, ডলফিনের লাফালাফি। এ ছাড়া কুমিরের বিচরণ তো রয়েছেই। আর থাকবে চোখজুড়ানো বন। দুপুরে লাঞ্চ। বিকেলে পর্যটকদের বইঠা নৌকায় সুন্দরবনের ভেতরে এক ঘণ্টা ক্রুজিং করানো হয়। এ ভ্রমণ জোয়ার-ভাটার ওপর নির্ধারিত হয়। রাতে রিসোর্টে রাত্রিযাপন। দ্বিতীয় দিন সকালে নাশতা শেষে বেলা ১১টায় চেক আউটের পর বোটে করে নিয়ে যাবে করমজল। সেখানে ঢোকার জন্য জনপ্রতি ৪৬ টাকার টিকিট কাটতে হবে। করমজলে দেখা মিলবে বানর, হরিণ, কুমির ইত্যাদি। ওয়াছি টাওয়ারে উঠে উপভোগ করা যাবে সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য। সেখানে এক ঘণ্টা থেকে আবার ফিরে আসতে হবে মোংলা ফেরিঘাটে।
কীভাবে যেতে পারেন
ঢাকা থেকে সরাসরি মোংলার উদ্দেশে যাওয়া যায় বাসে করে। সেখানে নেমে যাঁরা প্যাকেজে আসবেন, তাঁরা রিসোর্টের নিজস্ব বোটে চলে যাবেন। যাঁরা রুম বুকিং দিয়ে আসবেন, তাঁরা বোট ভাড়া করে রিসোর্টে যেতে পারবেন। এ ছাড়া সেপ্টেম্বর থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত নিজস্ব গাড়ি নিয়েও রিসোর্টে যাওয়া যাবে। সড়কপথে যেতে চাইলে মোংলা যাওয়ার ৩ কিলোমিটার আগে লাউডোব ফেরিঘাটে নেমে যেতে হবে। সেখান থেকে ফেরি পার হওয়ার পর সরাসরি রিসোর্টগুলোয় যাওয়া যাবে। তবে যাওয়ার জন্য ভ্যান ও ইজিবাইক রয়েছে। এ ছাড়া বর্ষাকালে যাওয়ার একমাত্র মাধ্যম নৌকা।
খাবারদাবার
প্যাকেজে গেলে রিসোর্টগুলোর মেনু অনুযায়ী তিন বেলা খাবার পাবেন। চাইলে অর্ডার করেও খাওয়া যাবে। এগুলো অবশ্যই বুকিংয়ের সময় রিসোর্টে জানাতে হবে। এখানে দক্ষিণাঞ্চলের বৈচিত্র্যময় বিভিন্ন মাছ পাওয়া যায়। ঘুরতে এলে সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের যেকোনো খাবার খেতে পারেন।

ফরসা রঙের মানুষদের একসময় সুন্দর বলা হতো; কিন্তু সৌন্দর্যের সেই ধারণা বর্তমানে বদলে গেছে। এখন সুন্দর বলতে বোঝায় দেহের সুন্দর গড়নকে। সেটিকে আমরা সুস্থতা না ধরে, ধরে নিয়েছি একটা নির্দিষ্ট মাপে, তা হলো ৩৬-২৪-৩৬। এটা যেন সব নারীর আরাধ্য ফিগার।
২ ঘণ্টা আগে
শীত এলেই ত্বক টানটান লাগে। এ ছাড়া নাকের পাশ শুকিয়ে যায়, ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়, চুলেও রুক্ষ ভাব বাড়ে। আবহাওয়ার কারণে শরীরের আর্দ্রতা কমে যায় বলে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এই মৌসুমে খুব ভালো কাজ করে অ্যালোভেরা জেল। এটি যেমন ত্বক আর্দ্র করে, তেমনি সার্বিক সুস্থতায়ও কাজে দেয়। দোকানে থাকা জেলে অনেক...
২ ঘণ্টা আগে
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
৩ ঘণ্টা আগেনাহিদা আহমেদ

ফরসা রঙের মানুষদের একসময় সুন্দর বলা হতো; কিন্তু সৌন্দর্যের সেই ধারণা বর্তমানে বদলে গেছে। এখন সুন্দর বলতে বোঝায় দেহের সুন্দর গড়নকে। সেটিকে আমরা সুস্থতা না ধরে, ধরে নিয়েছি একটা নির্দিষ্ট মাপে, তা হলো ৩৬-২৪-৩৬। এটা যেন সব নারীর আরাধ্য ফিগার। কিন্তু ফিগার বাগে আনতে কিংবা বাড়তি ওজন কমানোর দৌড়ে আমরা কত দূর যাচ্ছি, কীভাবে যাচ্ছি, আর এর ফলটাই-বা কী?
সম্প্রতি এক ইনফ্লুয়েন্সার ও মেকআপ আর্টিস্টের মৃত্যুর ঘটনায় হয়তো এসব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে। মাত্র ৬ মাসে ১২২ কেজি থেকে ৪২ কেজি ওজন কমিয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অস্বাস্থ্যকর ওম্যাড ডায়েট কিংবা ওয়ান মিল আ ডে ডায়েটের ফলে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে তাঁকে হার মানতে হয়। অতিরিক্ত ওজন হওয়ার কারণে তিনি নানাভাবে বডিশেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে বিভিন্ন সংবাদে উঠে এসেছে।
ওজন কমানোর ডায়েটে রয়েছে যে ধরনের ঝুঁকি
তিনি ওজন কমানোর জন্য বেছে নিয়েছিলেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ‘ট্রেন্ড ওম্যাড ডায়েট’। ইংরেজিতে যাকে বলে ওএমএডি (ওম্যাড) বা ওয়ান মিল আ ডে। ওম্যাড ডায়েট হলো, দিনে ২৩ ঘণ্টা না খেয়ে থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ১ ঘণ্টার মধ্যে সারা দিনের দরকারি খাবার খাওয়া। এই কঠিন ডায়েটের কারণে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি হয়, ফলে দ্রুত ওজন কমে।
তবে এ পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হলো তিনি অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য নিজেই ওম্যাড ডায়েট শুরু করেছিলেন। এতে অনেকটা ওজন তাঁর কমেছিল ঠিকই; কিন্তু পরবর্তী সময়ে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এরপর হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন; কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।
ওম্যাড ডায়েটের ফলে বিপাকক্রিয়ার হার এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। তা ছাড়া ডায়েটের ফলে দেহে ভিটামিনের ঘাটতি হয়। ফলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়। চুল পড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যাও দেখা যায়। পাশাপাশি শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস বা হৃদ্রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। সারা দিন না খেয়ে একসঙ্গে অনেক খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে বা কমে যেতে পারে, যা কখনো কখনো মারাত্মক জটিলতা কিংবা মৃত্যুঝুঁকি সৃষ্টি করে।

সৌন্দর্যের জন্য ওজন কমাতে যা জেনে রাখা জরুরি
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দেহের চাহিদামতো সঠিক খাদ্যতালিকা মেনে চলা। তখন ওজন কমানোর জন্য কোনো একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। পুষ্টিবিদ রক্তে শর্করার মাত্রা, কোলেস্টেরলের মাত্রা, লিভার ও কিডনির সুস্থতা, রক্তচাপের গতি, হরমোন অসমতা ইত্যাদি বিবেচনা করে বডি মাস ইনডেক্স কত হওয়া উচিত, তা জানিয়ে খাদ্যতালিকা তৈরি করে দেবেন। প্রত্যেক মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট যেমন আলাদা, তেমনি তাঁদের মেটাবলিজম বডি টাইপও আলাদা। তাই যেকোনো ধরনের খাদ্যে পরিবর্তন আনতে হলে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন অ্যাপস দেখে ডায়েট করলে আপনি উপকৃত হবেন, তা কিন্তু নয়। সাময়িক ফল পেলেও দীর্ঘ মেয়াদে শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি পরবর্তী সময়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ডায়েট করার উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত
ডায়েটের উদ্দেশ্য হলো শরীর সুস্থ রাখা। না খেয়ে কিংবা ভুল খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে কখনোই সেটা হতে পারে না। তবে সমস্যা হলো, শুধু অনলাইন ডায়েট প্ল্যান কিংবা ইউটিউব দেখে যোগব্যায়াম করার মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করা সম্ভব নয়। ওয়েলনেস ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিডিও দেখে সেই লাইফস্টাইল নিজের করে নেওয়ার মধ্যেও বিশাল সমস্যা রয়েছে। এতেও পরবর্তী সময়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি যেতে পারে।
আবার ভুল খাবার বেছে নিচ্ছেন না তো
বাজারে এখন নানা ধরনের স্লিমিং টি বা জুস পাওয়া যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, এক মাসে ৭ থেকে ৯ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব হবে সেসব জুস পান করলে; বিশেষ করে নারীরা এসব স্লিমিং টি ও জুস পানে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কিন্তু এসবে গা ভাসিয়ে সুস্থতা ও সৌন্দর্য কোনোভাবেই পাওয়া যায় না। নিজের শরীর বুঝতে হবে। আপনার শরীর কী চায়, তা নানা পরীক্ষার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন।
লাল ও নীল বেরি জাতীয় ফল দিয়ে সাজানো ওট মিল, দামি কিনোয়া, অ্যাভোকাডো আর রঙিন সালাদসহ নামীদামি নানা খাবার রিলস কিংবা ভিডিওতে দেখতে সুন্দর লাগে। তবে আমাদের দেশে এগুলোর দাম আকাশছোঁয়া। তবে স্বীকার করতে হবে, এ ধরনের খাবার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙালি রান্নাঘরের জন্য খুবই বেমানান। আবার আবহাওয়া ও জলবায়ুর সঙ্গে এসব খাবার শরীরে কতটা উপযোগী, সেটাও প্রশ্ন।
তাই সোশ্যাল মিডিয়া দেখে ডায়েট করাটা ভীষণ বোকামি। ডায়েট যদি করতেই হয়, তাহলে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে দেশীয় সহজপ্রাপ্য ঘরের সাধারণ খাবার দিয়ে তালিকা বানিয়ে সেটা মেনে চলুন। ডায়েটকে এত কঠিন ও ব্যয়বহুল করার মানে নেই।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হাসপাতাল, বারিধারা

ফরসা রঙের মানুষদের একসময় সুন্দর বলা হতো; কিন্তু সৌন্দর্যের সেই ধারণা বর্তমানে বদলে গেছে। এখন সুন্দর বলতে বোঝায় দেহের সুন্দর গড়নকে। সেটিকে আমরা সুস্থতা না ধরে, ধরে নিয়েছি একটা নির্দিষ্ট মাপে, তা হলো ৩৬-২৪-৩৬। এটা যেন সব নারীর আরাধ্য ফিগার। কিন্তু ফিগার বাগে আনতে কিংবা বাড়তি ওজন কমানোর দৌড়ে আমরা কত দূর যাচ্ছি, কীভাবে যাচ্ছি, আর এর ফলটাই-বা কী?
সম্প্রতি এক ইনফ্লুয়েন্সার ও মেকআপ আর্টিস্টের মৃত্যুর ঘটনায় হয়তো এসব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে। মাত্র ৬ মাসে ১২২ কেজি থেকে ৪২ কেজি ওজন কমিয়ে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অস্বাস্থ্যকর ওম্যাড ডায়েট কিংবা ওয়ান মিল আ ডে ডায়েটের ফলে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে তাঁকে হার মানতে হয়। অতিরিক্ত ওজন হওয়ার কারণে তিনি নানাভাবে বডিশেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন বলে বিভিন্ন সংবাদে উঠে এসেছে।
ওজন কমানোর ডায়েটে রয়েছে যে ধরনের ঝুঁকি
তিনি ওজন কমানোর জন্য বেছে নিয়েছিলেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় ‘ট্রেন্ড ওম্যাড ডায়েট’। ইংরেজিতে যাকে বলে ওএমএডি (ওম্যাড) বা ওয়ান মিল আ ডে। ওম্যাড ডায়েট হলো, দিনে ২৩ ঘণ্টা না খেয়ে থেকে নির্দিষ্ট সময়ে ১ ঘণ্টার মধ্যে সারা দিনের দরকারি খাবার খাওয়া। এই কঠিন ডায়েটের কারণে শরীরে ক্যালরির ঘাটতি হয়, ফলে দ্রুত ওজন কমে।
তবে এ পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা হলো তিনি অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য নিজেই ওম্যাড ডায়েট শুরু করেছিলেন। এতে অনেকটা ওজন তাঁর কমেছিল ঠিকই; কিন্তু পরবর্তী সময়ে নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। এরপর হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন; কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।
ওম্যাড ডায়েটের ফলে বিপাকক্রিয়ার হার এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। তা ছাড়া ডায়েটের ফলে দেহে ভিটামিনের ঘাটতি হয়। ফলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য হারিয়ে যায়। চুল পড়ে যাওয়া বা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যাও দেখা যায়। পাশাপাশি শরীরে স্ট্রেস হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস বা হৃদ্রোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। সারা দিন না খেয়ে একসঙ্গে অনেক খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ বেড়ে বা কমে যেতে পারে, যা কখনো কখনো মারাত্মক জটিলতা কিংবা মৃত্যুঝুঁকি সৃষ্টি করে।

সৌন্দর্যের জন্য ওজন কমাতে যা জেনে রাখা জরুরি
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, দেহের চাহিদামতো সঠিক খাদ্যতালিকা মেনে চলা। তখন ওজন কমানোর জন্য কোনো একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। পুষ্টিবিদ রক্তে শর্করার মাত্রা, কোলেস্টেরলের মাত্রা, লিভার ও কিডনির সুস্থতা, রক্তচাপের গতি, হরমোন অসমতা ইত্যাদি বিবেচনা করে বডি মাস ইনডেক্স কত হওয়া উচিত, তা জানিয়ে খাদ্যতালিকা তৈরি করে দেবেন। প্রত্যেক মানুষের ফিঙ্গারপ্রিন্ট যেমন আলাদা, তেমনি তাঁদের মেটাবলিজম বডি টাইপও আলাদা। তাই যেকোনো ধরনের খাদ্যে পরিবর্তন আনতে হলে অবশ্যই একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া বা বিভিন্ন অ্যাপস দেখে ডায়েট করলে আপনি উপকৃত হবেন, তা কিন্তু নয়। সাময়িক ফল পেলেও দীর্ঘ মেয়াদে শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এমনকি পরবর্তী সময়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
ডায়েট করার উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত
ডায়েটের উদ্দেশ্য হলো শরীর সুস্থ রাখা। না খেয়ে কিংবা ভুল খাদ্যাভ্যাস মেনে চলার মাধ্যমে কখনোই সেটা হতে পারে না। তবে সমস্যা হলো, শুধু অনলাইন ডায়েট প্ল্যান কিংবা ইউটিউব দেখে যোগব্যায়াম করার মাধ্যমে সুস্থতা অর্জন করা সম্ভব নয়। ওয়েলনেস ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিডিও দেখে সেই লাইফস্টাইল নিজের করে নেওয়ার মধ্যেও বিশাল সমস্যা রয়েছে। এতেও পরবর্তী সময়ে ভয়াবহ স্বাস্থ্য জটিলতা সৃষ্টি যেতে পারে।
আবার ভুল খাবার বেছে নিচ্ছেন না তো
বাজারে এখন নানা ধরনের স্লিমিং টি বা জুস পাওয়া যাচ্ছে। বলা হচ্ছে, এক মাসে ৭ থেকে ৯ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানো সম্ভব হবে সেসব জুস পান করলে; বিশেষ করে নারীরা এসব স্লিমিং টি ও জুস পানে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। কিন্তু এসবে গা ভাসিয়ে সুস্থতা ও সৌন্দর্য কোনোভাবেই পাওয়া যায় না। নিজের শরীর বুঝতে হবে। আপনার শরীর কী চায়, তা নানা পরীক্ষার মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা বলতে পারবেন।
লাল ও নীল বেরি জাতীয় ফল দিয়ে সাজানো ওট মিল, দামি কিনোয়া, অ্যাভোকাডো আর রঙিন সালাদসহ নামীদামি নানা খাবার রিলস কিংবা ভিডিওতে দেখতে সুন্দর লাগে। তবে আমাদের দেশে এগুলোর দাম আকাশছোঁয়া। তবে স্বীকার করতে হবে, এ ধরনের খাবার মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত বাঙালি রান্নাঘরের জন্য খুবই বেমানান। আবার আবহাওয়া ও জলবায়ুর সঙ্গে এসব খাবার শরীরে কতটা উপযোগী, সেটাও প্রশ্ন।
তাই সোশ্যাল মিডিয়া দেখে ডায়েট করাটা ভীষণ বোকামি। ডায়েট যদি করতেই হয়, তাহলে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে দেশীয় সহজপ্রাপ্য ঘরের সাধারণ খাবার দিয়ে তালিকা বানিয়ে সেটা মেনে চলুন। ডায়েটকে এত কঠিন ও ব্যয়বহুল করার মানে নেই।
লেখক: পুষ্টিবিদ, ফরাজি হাসপাতাল, বারিধারা

এখানে শ্বাসমূলের কাঁটায় বাঁধা জলসুরের গান, জোয়ার-ভাটা আর ঢেউয়ের খেলা। মধ্যরাতে নিস্তব্ধতা ভেদ করে দূরে শোনা যায় হরিণের ডাক। আর কখনো কখনো বাঘের গর্জনে রক্ত হিম হয়ে যায়! এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, এই গল্প সুন্দরবনের।
২৭ মার্চ ২০২৫
শীত এলেই ত্বক টানটান লাগে। এ ছাড়া নাকের পাশ শুকিয়ে যায়, ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়, চুলেও রুক্ষ ভাব বাড়ে। আবহাওয়ার কারণে শরীরের আর্দ্রতা কমে যায় বলে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এই মৌসুমে খুব ভালো কাজ করে অ্যালোভেরা জেল। এটি যেমন ত্বক আর্দ্র করে, তেমনি সার্বিক সুস্থতায়ও কাজে দেয়। দোকানে থাকা জেলে অনেক...
২ ঘণ্টা আগে
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীত এলেই ত্বক টানটান লাগে। এ ছাড়া নাকের পাশ শুকিয়ে যায়, ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়, চুলেও রুক্ষ ভাব বাড়ে। আবহাওয়ার কারণে শরীরের আর্দ্রতা কমে যায় বলে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এই মৌসুমে খুব ভালো কাজ করে অ্যালোভেরা জেল। এটি যেমন ত্বক আর্দ্র করে, তেমনি সার্বিক সুস্থতায়ও কাজে দেয়। দোকানে থাকা জেলে অনেক সময় সুগন্ধি আর রাসায়নিক মেশানো থাকে। কিন্তু ঘরে বানালে জেল হয় একদম তাজা ও প্রাকৃতিক।
ঘরে অ্যালোভেরা জেল বানানোর ধাপ
সঠিক পাতা বেছে নিন
ভালো ফল পেতে মোটা, সবুজ ও পরিপক্ব অ্যালোভেরা পাতা নিন। পরিপক্ব পাতায় জেলের পরিমাণ বেশি থাকে এবং এর উপকারিতাও বেশি।
হলদে তরল বের হতে দিন
পাতা কাটলেই হলুদ রঙের আঠালো তরল বের হয়। এটিকে ল্যাটেক্স বলা হয়, যা অনেকের ত্বকে জ্বালাপোড়া বা অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে। তাই পাতা নিচের দিকে ঝুলিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে দিন। হলদে অংশ গলে বের হয়ে গেলে পাতাটি পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন।
পাতার খোসা ছাড়ান
পাতা ধোয়ার পর সেটি লম্বা করে মাঝ বরাবর রাখুন। দুই পাশে তীক্ষ্ণ কাঁটার মতো অংশ থাকে। সেগুলো প্রথমে ছুরি দিয়ে পাতলা করে কেটে ফেলে দিন। এবার পাতার এক পাশের শক্ত সবুজ খোসাটা ছুরি বা ভেজিটেবল পিলার দিয়ে তুলে ফেলুন। খোসা উঠতেই ভেতরের স্বচ্ছ, নরম জেল দেখা যাবে। চামচ দিয়ে জেল তুলে নিন।
জেল ব্লেন্ড করুন
জেল ব্লেন্ডারে দিন এবং ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করুন। এতে জেলটি খুবই নরম ও মসৃণ হবে, যা ত্বক ও চুলে ব্যবহার করতে পারবেন।

সংরক্ষণ করুন
এয়ারটাইট বয়ামে জেল ঢেলে নিন। ফ্রিজে রাখলে এটি এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে।
সংরক্ষণ করতে প্রিজারভেটিভ যোগ করুন
জেল যদি ১ থেকে ২ মাস ধরে ব্যবহার করতে চান, তাহলে ভিটামিন সি বা ভিটামিন ই মিশিয়ে নিন। প্রতি ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ জেলে ৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি অথবা ৪০০ আইইউ ভিটামিন ই পাউডার যোগ করুন।
অ্যালোভেরার ৭টি প্রধান উপকারিতা
শুষ্ক ত্বক আর্দ্র রাখে
শীতে ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। অ্যালোভেরা জেলের ৯৮ শতাংশই পানি, ফলে এটি ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এই জেল ব্যবহার করলে ত্বক নরম হয়।
রুক্ষ ও ফাটল ধরা ত্বক শান্ত করে
শীতে হাত-পা ফেটে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। অ্যালোভেরা জ্বালাপোড়া কমায় এবং দ্রুত ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে।
ব্রণ ও দাগ কমাতে সহায়ক
অ্যালোভেরার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণের লাল ও ফোলা ভাব এবং দাগ কমে। তেলতেলে ত্বকের জন্য এটি আদর্শ প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার।
চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে
শীতের বাতাসে চুল শুকনো হয়ে যায়। অ্যালোভেরা মাথার ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেয়, খুশকি কমায়, চুলের গোড়া শক্ত করে। আমলা, পেঁয়াজের রস বা নারকেল তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক বানিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল নরম হয় এবং ঝলমলে দেখায়।
ঠোঁট, কনুই, গোড়ালির রুক্ষতা দূর করে
যে জায়গাগুলো বেশি শুকায়; যেমন ঠোঁট, কনুই, গোড়ালি—এসব জায়গায় অ্যালোভেরা খুব ভালো কাজে দেয়। রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করলে পরদিন সকালে ভালো ফল মিলবে।
মুখের স্বাস্থ্যে উপকার
অ্যালোভেরার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ দাঁতের প্লাক কমাতে সাহায্য করে। মুখের ভেতরের জ্বালাপোড়াও কমাতে পারে।
হজমে উপকার
অ্যালোভেরা জুস অনেকের ক্ষেত্রে অম্বল, গ্যাস্ট্রিক কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। কিছু গবেষণা বলছে, আইবিএসের মতো সমস্যা থাকলেও অ্যালোভেরা সাময়িক আরাম দিতে পারে। তবে হজমের জন্য নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
ব্যবহারের আগে কিছু সতর্কতা
প্রথমবার ব্যবহার করার আগে শরীরের ছোট কোনো জায়গায় পরীক্ষা করে নিন।
গর্ভবতী হলে বা দীর্ঘমেয়াদি অসুখ থাকলে এটি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জেল সব সময় ফ্রিজে রাখুন।
খুব সংবেদনশীল ত্বকে হলে ভিটামিন ই একটু কম ব্যবহার করুন।
সূত্র: হেলথশট

শীত এলেই ত্বক টানটান লাগে। এ ছাড়া নাকের পাশ শুকিয়ে যায়, ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়, চুলেও রুক্ষ ভাব বাড়ে। আবহাওয়ার কারণে শরীরের আর্দ্রতা কমে যায় বলে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এই মৌসুমে খুব ভালো কাজ করে অ্যালোভেরা জেল। এটি যেমন ত্বক আর্দ্র করে, তেমনি সার্বিক সুস্থতায়ও কাজে দেয়। দোকানে থাকা জেলে অনেক সময় সুগন্ধি আর রাসায়নিক মেশানো থাকে। কিন্তু ঘরে বানালে জেল হয় একদম তাজা ও প্রাকৃতিক।
ঘরে অ্যালোভেরা জেল বানানোর ধাপ
সঠিক পাতা বেছে নিন
ভালো ফল পেতে মোটা, সবুজ ও পরিপক্ব অ্যালোভেরা পাতা নিন। পরিপক্ব পাতায় জেলের পরিমাণ বেশি থাকে এবং এর উপকারিতাও বেশি।
হলদে তরল বের হতে দিন
পাতা কাটলেই হলুদ রঙের আঠালো তরল বের হয়। এটিকে ল্যাটেক্স বলা হয়, যা অনেকের ত্বকে জ্বালাপোড়া বা অ্যালার্জি তৈরি করতে পারে। তাই পাতা নিচের দিকে ঝুলিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে দিন। হলদে অংশ গলে বের হয়ে গেলে পাতাটি পরিষ্কার পানিতে ভালো করে ধুয়ে নিন।
পাতার খোসা ছাড়ান
পাতা ধোয়ার পর সেটি লম্বা করে মাঝ বরাবর রাখুন। দুই পাশে তীক্ষ্ণ কাঁটার মতো অংশ থাকে। সেগুলো প্রথমে ছুরি দিয়ে পাতলা করে কেটে ফেলে দিন। এবার পাতার এক পাশের শক্ত সবুজ খোসাটা ছুরি বা ভেজিটেবল পিলার দিয়ে তুলে ফেলুন। খোসা উঠতেই ভেতরের স্বচ্ছ, নরম জেল দেখা যাবে। চামচ দিয়ে জেল তুলে নিন।
জেল ব্লেন্ড করুন
জেল ব্লেন্ডারে দিন এবং ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড ব্লেন্ড করুন। এতে জেলটি খুবই নরম ও মসৃণ হবে, যা ত্বক ও চুলে ব্যবহার করতে পারবেন।

সংরক্ষণ করুন
এয়ারটাইট বয়ামে জেল ঢেলে নিন। ফ্রিজে রাখলে এটি এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে।
সংরক্ষণ করতে প্রিজারভেটিভ যোগ করুন
জেল যদি ১ থেকে ২ মাস ধরে ব্যবহার করতে চান, তাহলে ভিটামিন সি বা ভিটামিন ই মিশিয়ে নিন। প্রতি ১ কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ জেলে ৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি অথবা ৪০০ আইইউ ভিটামিন ই পাউডার যোগ করুন।
অ্যালোভেরার ৭টি প্রধান উপকারিতা
শুষ্ক ত্বক আর্দ্র রাখে
শীতে ত্বক দ্রুত আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। অ্যালোভেরা জেলের ৯৮ শতাংশই পানি, ফলে এটি ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এই জেল ব্যবহার করলে ত্বক নরম হয়।
রুক্ষ ও ফাটল ধরা ত্বক শান্ত করে
শীতে হাত-পা ফেটে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা। অ্যালোভেরা জ্বালাপোড়া কমায় এবং দ্রুত ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে।
ব্রণ ও দাগ কমাতে সহায়ক
অ্যালোভেরার অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রণের লাল ও ফোলা ভাব এবং দাগ কমে। তেলতেলে ত্বকের জন্য এটি আদর্শ প্রাকৃতিক ময়শ্চারাইজার।
চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে
শীতের বাতাসে চুল শুকনো হয়ে যায়। অ্যালোভেরা মাথার ত্বকে আর্দ্রতা ফিরিয়ে দেয়, খুশকি কমায়, চুলের গোড়া শক্ত করে। আমলা, পেঁয়াজের রস বা নারকেল তেলের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে হেয়ার মাস্ক বানিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল নরম হয় এবং ঝলমলে দেখায়।
ঠোঁট, কনুই, গোড়ালির রুক্ষতা দূর করে
যে জায়গাগুলো বেশি শুকায়; যেমন ঠোঁট, কনুই, গোড়ালি—এসব জায়গায় অ্যালোভেরা খুব ভালো কাজে দেয়। রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করলে পরদিন সকালে ভালো ফল মিলবে।
মুখের স্বাস্থ্যে উপকার
অ্যালোভেরার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ দাঁতের প্লাক কমাতে সাহায্য করে। মুখের ভেতরের জ্বালাপোড়াও কমাতে পারে।
হজমে উপকার
অ্যালোভেরা জুস অনেকের ক্ষেত্রে অম্বল, গ্যাস্ট্রিক কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। কিছু গবেষণা বলছে, আইবিএসের মতো সমস্যা থাকলেও অ্যালোভেরা সাময়িক আরাম দিতে পারে। তবে হজমের জন্য নিয়মিত খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি।
ব্যবহারের আগে কিছু সতর্কতা
প্রথমবার ব্যবহার করার আগে শরীরের ছোট কোনো জায়গায় পরীক্ষা করে নিন।
গর্ভবতী হলে বা দীর্ঘমেয়াদি অসুখ থাকলে এটি ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জেল সব সময় ফ্রিজে রাখুন।
খুব সংবেদনশীল ত্বকে হলে ভিটামিন ই একটু কম ব্যবহার করুন।
সূত্র: হেলথশট

এখানে শ্বাসমূলের কাঁটায় বাঁধা জলসুরের গান, জোয়ার-ভাটা আর ঢেউয়ের খেলা। মধ্যরাতে নিস্তব্ধতা ভেদ করে দূরে শোনা যায় হরিণের ডাক। আর কখনো কখনো বাঘের গর্জনে রক্ত হিম হয়ে যায়! এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, এই গল্প সুন্দরবনের।
২৭ মার্চ ২০২৫
ফরসা রঙের মানুষদের একসময় সুন্দর বলা হতো; কিন্তু সৌন্দর্যের সেই ধারণা বর্তমানে বদলে গেছে। এখন সুন্দর বলতে বোঝায় দেহের সুন্দর গড়নকে। সেটিকে আমরা সুস্থতা না ধরে, ধরে নিয়েছি একটা নির্দিষ্ট মাপে, তা হলো ৩৬-২৪-৩৬। এটা যেন সব নারীর আরাধ্য ফিগার।
২ ঘণ্টা আগে
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে
স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে। ‘ভালো স্বাস্থ্য’ মানে হলো, আজ আপনি ব্রেকফাস্টে দুটো পরোটা বেশি খেতে পারবেন, কিন্তু সেটার সুযোগ নিয়ে বসকে তর্কযুদ্ধে হারানো যাবে না। শান্ত থাকুন। রাশিতে জেদ এবং তাড়াহুড়ো করার যে একটা গোপন চুক্তি আছে, আজ সেটাকে সাসপেন্ড করে দিন। জেদ করে আজ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, পরে দেখা যাবে সেটা ছিল জীবনের সবচেয়ে খারাপ ইন্টারনেট প্ল্যান।
বৃষ
আপনার ইতিবাচক মনোভাব আজ চারপাশে সুগন্ধি ছড়াবে। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে অপ্রত্যাশিত সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পারিবারিক জীবনে সুখ থাকবে এবং বাড়িতে কোনো অতিথির আগমন হতে পারে। পজিটিভ অ্যাটিটিউড দেখে চারপাশের মানুষজন মুগ্ধ হবে। এর মানে হলো, তারা আপনার বসের কাছে আপনার নামে নালিশ করবে না। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে সুবিধা মানে, সেই শেয়ারটা আজ বাড়বে, যেটা আপনি বেচার কথা ভাবছিলেন না। আর বাড়িতে অতিথি আসছে? দ্রুত আপনার কফি টেবিলের নোংরা কাপগুলো আর গোপন চিপসের প্যাকেটগুলো লুকিয়ে ফেলুন! আপনার দায়িত্বশীল কথাবার্তা আজ সম্পর্ককে মধুর করবে, তবে বেশি দায়িত্ব নিতে গিয়ে যেন আবার ফ্রিজ সামলে রাখার দায়িত্বটা না নিয়ে নেন। আজ যে কোনো হঠকারিতা এড়িয়ে চলুন। তাড়াহুড়ো করে অনলাইনে জামাকাপড় কিনলে দেখবেন, সাইজ ভুল আসবেই।
মিথুন
আপনার ব্যক্তিত্ব আজ সুগন্ধির মতো কাজ করবে—মানুষ কাছে আসতে চাইবে। মানসিক সম্পর্ক উন্নত হবে এবং সামাজিক বন্ধনের জন্য দিনটি খুবই ভালো। তবে প্রেমের সম্পর্কে সন্দেহপ্রবণতা আজ তিক্ততা বাড়াতে পারে। ব্যক্তিত্বই আজ সুগন্ধি, কিন্তু মাথায় রাখবেন, সুগন্ধি অতিরিক্ত হলে সেটা কিন্তু গ্যাস-চেম্বারের মতো লাগে। দুটো মন আজ সৌভাগ্যবশত একই দিকে হাঁটছে, তাই আজ দ্বৈত সত্তা কম জ্বালাবে। সভা-সমাবেশে উৎসাহ বজায় রাখবেন, কিন্তু সন্দেহপ্রবণতা ছাড়ুন! সঙ্গী ফোন কেন দেখালেন না, তার কারণ তিনি হয়তো আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ প্ল্যান করছিলেন, অথবা শুধু একটা গেমে আপনার চেয়ে বেশি স্কোর করেছেন, আর আপনি সেটা দেখলে মানবেন না। আজ ভাই-বোনের সঙ্গে তর্কে জড়ালে সেটা ডব্লুডব্লুই ফাইটের পর্যায়ে যেতে পারে, সাবধানে!
কর্কট
আটকে থাকা পাওনা টাকা আজ ফেরত পেতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো আজ গতি পাবে। স্ত্রীর ব্যবহারে আজ মনে শান্তি থাকবে। নতুন কোনো প্রকল্প শুরু করার এটি দারুণ সময়। মন আজ ভালো জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবে। এই ‘ভালো জিনিস’ সম্ভবত হয় সুস্বাদু বিরিয়ানি, নয়তো দুপুর বেলার একটা আরামের ঘুম। আটকে থাকা টাকা ফেরত আসবে—তাই দ্রুত একটা নতুন বাজেট তৈরি করুন, যেখানে অন্তত ১০ পারসেন্ট ‘অহেতুক চিন্তা’-র জন্য বরাদ্দ থাকবে। স্ত্রীর ব্যবহারে শান্তি? এটি একটি বিরল গ্রহ-সংযোগ, উপভোগ করুন! কিন্তু প্রতিবেশী শত্রু হতে পারে, তাই ঝগড়া করে তাদের ট্রিট দিতে যাবেন না। কথাবার্তায় আজ অসাবধান হবেন না। আপনার বলা একটি নির্দোষ জোকস আজ কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দিতে পারে।
সিংহ
আজকের দিনটি বিশেষ, কারণ ভালো স্বাস্থ্য আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করতে সাহায্য করবে। অর্থ উপার্জন ভালোই হবে, কিন্তু অর্থ লেনদেনে অসতর্কতা এড়িয়ে চলতে হবে। প্রেমের প্রস্তাব দিতে যাবেন না, নিরাশ হতে পারেন। আপনি আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। এতটাই ভরপুর যে, মনে হতে পারে আপনিই বিশ্বের একমাত্র সিংহ। অর্থ লেনদেনে সতর্ক থাকুন, কারণ শিক্ষিত ও ভদ্র প্রতারকদের কাছ থেকে আজ ফাঁদ আসতে পারে। মানে, আপনার যে বন্ধুটা সবসময় ‘ব্যবসা শুরু করব’ বলে আপনার থেকে টাকা নেয়, তাকে এড়িয়ে চলুন। প্রেমের প্রস্তাব দিতে গেলে ‘না’ শুনতে হতে পারে, তাই তার বদলে বাড়িতে বসে ক্যাট ভিডিও দেখুন, যা আপনার অহংকারে আঘাত করবে না। আগুন থেকে সাবধান! রান্না করতে গিয়ে যদি আপনার রাজকীয় ডিনার পুড়ে যায়, নিজেকে দোষ দেবেন না।
কন্যা
একগুঁয়েমি দূর করুন, নইলে নিছক সময় নষ্ট হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে আজ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়তে পারেন এবং সর্দি-শ্লেষ্মার সমস্যা ভোগাতে পারে। গ্রহরা বলছে একগুঁয়েমি ছাড়তে—যেমনটা হয়তো আপনার কম্পিউটারকে বলছে—কিন্তু কেউই শোনার পাত্র নয়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা হবে, তাই পারফেকশনিস্ট স্বভাবকে একটু বশে রাখুন, তাদের সামনে সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টা করতে গিয়ে সময় শেষ করে দেবেন না। সর্দি-শ্লেষ্মা হতে পারে, কারণ আপনার শরীর হয়তো এত নিখুঁত অর্গানাইজেশনের স্ট্রেস আর নিতে পারছে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমস্যা হলে, আজ বাজার থেকে কী কিনবেন, সেটাও বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে নিন। লটারি থেকে অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে। তবে লটারি জেতার পর লটারির কাগজটা হারিয়ে ফেলবেন না যেন, কারণ আপনি কন্যা।
তুলা
আজ বাচ্চাদের সঙ্গে সান্ত্বনা খুঁজে নিন। কর্মক্ষেত্রে শত্রুতার মুখে পড়তে পারেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। আজ জীবনে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হতে পারে, তাই বলা হচ্ছে বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে। বাচ্চারা তো আর ট্যাক্সের কথা বলবে না! কর্মক্ষেত্রে শত্রু? চিন্তা করবেন না, তারা শুধু আপনার সুন্দর টি-শার্ট দেখে হিংসা করছে। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে, ডাক্তারের কথা শুনুন। আর যদি সরকারি চাকরির খবর পান, তাহলে বুঝবেন গ্রহরা সত্যিই আপনার জন্য একটা ব্রেকের ব্যবস্থা করেছে, যেখানে আর কারও সঙ্গে তর্ক করে সময় নষ্ট হবে না। চিকিৎসার খরচ আজ বাড়তে পারে। তাই আজ ভুল করেও রাস্তায় পড়ে থাকা পুরোনো ওয়ালেট তুলতে যাবেন না।
বৃশ্চিক
কর্মব্যস্ত দিন হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সুন্দর থাকবে। বন্ধুরা আপনাকে কোনো বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করাবে যিনি আপনার চিন্তায় লক্ষণীয় প্রভাব ফেলতে পারেন। কর্মব্যস্ততা আপনার জন্মগত অধিকার, তাই আজ ব্যস্ত থাকবেন—হয় কাজ নিয়ে, নয়তো গভীর দার্শনিক চিন্তা নিয়ে। কিন্তু এই ব্যস্ততার মধ্যেও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে—কারণ আপনি এতটাই তীব্র ও ক্ষিপ্র যে ভাইরাসও আপনার কাছে আসতে ভয় পায়। বন্ধু আজ যে ‘বিশেষ ব্যক্তির’ সঙ্গে আলাপ করাবে, তিনি হয়তো আপনার নতুন বস হতে পারেন, অথবা এমন কেউ যিনি আপনার সব থেকে গোপন রহস্যগুলো নিয়ে জোকস করতে পারেন। প্রস্তুত থাকুন! আজ মন ভালো জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবে। সেই ভালো জিনিসটা যাতে প্রতিশোধের প্ল্যান না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
ধনু
স্বাস্থ্য সুস্থ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুস্বাস্থ্যের কারণে নতুন সুযোগ আসবে। দুপুরের আগে জরুরি কাজ সেরে ফেলুন এবং আয়ের নতুন উৎস খুলতে পারে। স্বাস্থ্য এতটাই ভালো যে আজ মনে হবে আপনি চাইলেই মাউন্ট এভারেস্ট চড়তে পারবেন। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে আবার লটারিতে পুরো মাসের বেতন লাগিয়ে দেবেন না। জরুরি কাজ দুপুরের আগে শেষ করুন—এই প্রথমবার সময়মতো কিছু শেষ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আয়ের নতুন উৎস মানে, আপনি হয়তো পুরোনো দিনের জমানো কয়েনগুলো খুঁজে পাবেন, যা আপনার অ্যাডভেঞ্চারের জন্য কাজে লাগতে পারে। আজ খুব বেশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ গ্রহরা চায় না সব ফ্রি-টাইম অন্যের জন্য উৎসর্গ করুন।
মকর
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো আজ গতি পাবে। সামাজিক কাজে ভালো ভাবমূর্তি উন্নত হবে। অন্যরা আপনার ভালো উদ্দেশ্যকে স্বার্থপরতা বলে ভুল করতে পারে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে কিছুটা সতর্ক থাকুন। অবশেষে আপনার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো নড়েচড়ে বসছে! মনে রাখবেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি’ মানে ২০ বছর নয়, অন্তত পরের মাসের মধ্যে কিছু একটা করুন। আপনি আন্তরিকভাবে অন্যদের কল্যাণের কথা ভাবলেও, তারা ভাববে আপনি কেন তাদের আপনার কাজে লাগাচ্ছেন। আপনার কঠোর পরিশ্রমকে মানুষ ‘ট্যাক্স ফাঁকি’র প্ল্যানিংও ভাবতে পারে—অতএব, আজ একটু কম পারফেক্ট হোন। পরিবারের কোনো দূরবর্তী সদস্যকে মিস করতে পারেন। আজ তাকে একটা ফোন করুন, কিন্তু ভুলেও নিজের কাজের স্ট্রেস তাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না।
কুম্ভ
সাহস এবং বীরত্ব বাড়বে। রাজনীতিতে কর্মরতরা কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। তবে যানবাহন ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন এবং লোভ ও প্রলোভন এড়িয়ে চলুন। আপনার সাহস আজ এতটাই বাড়বে যে আপনি হয়তো আপনার পুরোনো ডায়েরিটা পাবলিকলি পোস্ট করে দেবেন। রাজনীতিতে সাফল্য মানে, সব বন্ধু আজ আপনার আইডিয়াই সবচেয়ে সেরা বলে মেনে নেবে। যানবাহন চালানোর সময় সতর্ক থাকুন, কারণ আপনার মন আজ পৃথিবী বাঁচানোর চিন্তায় ব্যস্ত থাকবে, রাস্তায় নয়। কোনো প্রলোভনে পড়বেন না! বিশেষ করে কোনো ‘অল্প সময়ে কোটিপতি’ হওয়ার স্কিমে, কারণ আপনার গ্রহরা জানে আপনি ওটা সামলাতে পারবেন না। আজ প্রেম জীবনের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগে বেশি আগ্রহ দেখা যাবে। তাই ডেটিং অ্যাপের পরিবর্তে চ্যাট গ্রুপে বেশি সময় কাটান।
মীন
উন্নতির পথ খুলে যাবে এবং বন্ধুর মাধ্যমে আয়ের উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। অবিবাহিতরা সৌল মেটের সঙ্গে দেখা করতে পারে। স্বাস্থ্যের কিছুটা অবনতি হতে পারে, তাই সাবধানে বিবেচনা না করে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। সৌল মেট আজ যে কোনো সময় দরজায় কড়া নাড়তে পারে! কিন্তু সাবধানে, তারা হয়তো আপনার সব থেকে বিশৃঙ্খল ঘরটা দেখতে পাবে। আয়ের নতুন উৎস মানে, হয়তো পুরোনো এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে যে আপনাকে তার নতুন এমএলএম স্কিমে জয়েন করতে বলবে—গ্রহরা অবশ্য অন্য উৎসের কথা বলছে। স্বাস্থ্যের সামান্য অবনতি হতে পারে, কারণ আপনি হয়তো সারা দিন স্বপ্নে ছিলেন আর বাস্তবে ঘুমোতে ভুলে গেছেন। সাবধানে বিবেচনা না করে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। বিশেষ করে যদি সঙ্গী আপনাকে জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি কি আজীবন সার্বক্ষণিক আমার পাশে থাকবে?’

মেষ
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে। ‘ভালো স্বাস্থ্য’ মানে হলো, আজ আপনি ব্রেকফাস্টে দুটো পরোটা বেশি খেতে পারবেন, কিন্তু সেটার সুযোগ নিয়ে বসকে তর্কযুদ্ধে হারানো যাবে না। শান্ত থাকুন। রাশিতে জেদ এবং তাড়াহুড়ো করার যে একটা গোপন চুক্তি আছে, আজ সেটাকে সাসপেন্ড করে দিন। জেদ করে আজ কোনো সিদ্ধান্ত নিলে, পরে দেখা যাবে সেটা ছিল জীবনের সবচেয়ে খারাপ ইন্টারনেট প্ল্যান।
বৃষ
আপনার ইতিবাচক মনোভাব আজ চারপাশে সুগন্ধি ছড়াবে। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে অপ্রত্যাশিত সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। পারিবারিক জীবনে সুখ থাকবে এবং বাড়িতে কোনো অতিথির আগমন হতে পারে। পজিটিভ অ্যাটিটিউড দেখে চারপাশের মানুষজন মুগ্ধ হবে। এর মানে হলো, তারা আপনার বসের কাছে আপনার নামে নালিশ করবে না। পুরোনো বিনিয়োগ থেকে সুবিধা মানে, সেই শেয়ারটা আজ বাড়বে, যেটা আপনি বেচার কথা ভাবছিলেন না। আর বাড়িতে অতিথি আসছে? দ্রুত আপনার কফি টেবিলের নোংরা কাপগুলো আর গোপন চিপসের প্যাকেটগুলো লুকিয়ে ফেলুন! আপনার দায়িত্বশীল কথাবার্তা আজ সম্পর্ককে মধুর করবে, তবে বেশি দায়িত্ব নিতে গিয়ে যেন আবার ফ্রিজ সামলে রাখার দায়িত্বটা না নিয়ে নেন। আজ যে কোনো হঠকারিতা এড়িয়ে চলুন। তাড়াহুড়ো করে অনলাইনে জামাকাপড় কিনলে দেখবেন, সাইজ ভুল আসবেই।
মিথুন
আপনার ব্যক্তিত্ব আজ সুগন্ধির মতো কাজ করবে—মানুষ কাছে আসতে চাইবে। মানসিক সম্পর্ক উন্নত হবে এবং সামাজিক বন্ধনের জন্য দিনটি খুবই ভালো। তবে প্রেমের সম্পর্কে সন্দেহপ্রবণতা আজ তিক্ততা বাড়াতে পারে। ব্যক্তিত্বই আজ সুগন্ধি, কিন্তু মাথায় রাখবেন, সুগন্ধি অতিরিক্ত হলে সেটা কিন্তু গ্যাস-চেম্বারের মতো লাগে। দুটো মন আজ সৌভাগ্যবশত একই দিকে হাঁটছে, তাই আজ দ্বৈত সত্তা কম জ্বালাবে। সভা-সমাবেশে উৎসাহ বজায় রাখবেন, কিন্তু সন্দেহপ্রবণতা ছাড়ুন! সঙ্গী ফোন কেন দেখালেন না, তার কারণ তিনি হয়তো আপনার জন্য একটা সারপ্রাইজ প্ল্যান করছিলেন, অথবা শুধু একটা গেমে আপনার চেয়ে বেশি স্কোর করেছেন, আর আপনি সেটা দেখলে মানবেন না। আজ ভাই-বোনের সঙ্গে তর্কে জড়ালে সেটা ডব্লুডব্লুই ফাইটের পর্যায়ে যেতে পারে, সাবধানে!
কর্কট
আটকে থাকা পাওনা টাকা আজ ফেরত পেতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো আজ গতি পাবে। স্ত্রীর ব্যবহারে আজ মনে শান্তি থাকবে। নতুন কোনো প্রকল্প শুরু করার এটি দারুণ সময়। মন আজ ভালো জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবে। এই ‘ভালো জিনিস’ সম্ভবত হয় সুস্বাদু বিরিয়ানি, নয়তো দুপুর বেলার একটা আরামের ঘুম। আটকে থাকা টাকা ফেরত আসবে—তাই দ্রুত একটা নতুন বাজেট তৈরি করুন, যেখানে অন্তত ১০ পারসেন্ট ‘অহেতুক চিন্তা’-র জন্য বরাদ্দ থাকবে। স্ত্রীর ব্যবহারে শান্তি? এটি একটি বিরল গ্রহ-সংযোগ, উপভোগ করুন! কিন্তু প্রতিবেশী শত্রু হতে পারে, তাই ঝগড়া করে তাদের ট্রিট দিতে যাবেন না। কথাবার্তায় আজ অসাবধান হবেন না। আপনার বলা একটি নির্দোষ জোকস আজ কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দিতে পারে।
সিংহ
আজকের দিনটি বিশেষ, কারণ ভালো স্বাস্থ্য আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করতে সাহায্য করবে। অর্থ উপার্জন ভালোই হবে, কিন্তু অর্থ লেনদেনে অসতর্কতা এড়িয়ে চলতে হবে। প্রেমের প্রস্তাব দিতে যাবেন না, নিরাশ হতে পারেন। আপনি আজ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। এতটাই ভরপুর যে, মনে হতে পারে আপনিই বিশ্বের একমাত্র সিংহ। অর্থ লেনদেনে সতর্ক থাকুন, কারণ শিক্ষিত ও ভদ্র প্রতারকদের কাছ থেকে আজ ফাঁদ আসতে পারে। মানে, আপনার যে বন্ধুটা সবসময় ‘ব্যবসা শুরু করব’ বলে আপনার থেকে টাকা নেয়, তাকে এড়িয়ে চলুন। প্রেমের প্রস্তাব দিতে গেলে ‘না’ শুনতে হতে পারে, তাই তার বদলে বাড়িতে বসে ক্যাট ভিডিও দেখুন, যা আপনার অহংকারে আঘাত করবে না। আগুন থেকে সাবধান! রান্না করতে গিয়ে যদি আপনার রাজকীয় ডিনার পুড়ে যায়, নিজেকে দোষ দেবেন না।
কন্যা
একগুঁয়েমি দূর করুন, নইলে নিছক সময় নষ্ট হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে আজ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়তে পারেন এবং সর্দি-শ্লেষ্মার সমস্যা ভোগাতে পারে। গ্রহরা বলছে একগুঁয়েমি ছাড়তে—যেমনটা হয়তো আপনার কম্পিউটারকে বলছে—কিন্তু কেউই শোনার পাত্র নয়। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা হবে, তাই পারফেকশনিস্ট স্বভাবকে একটু বশে রাখুন, তাদের সামনে সবকিছু নিখুঁত করার চেষ্টা করতে গিয়ে সময় শেষ করে দেবেন না। সর্দি-শ্লেষ্মা হতে পারে, কারণ আপনার শরীর হয়তো এত নিখুঁত অর্গানাইজেশনের স্ট্রেস আর নিতে পারছে না। সিদ্ধান্ত নেওয়ার সমস্যা হলে, আজ বাজার থেকে কী কিনবেন, সেটাও বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে নিন। লটারি থেকে অর্থপ্রাপ্তির যোগ আছে। তবে লটারি জেতার পর লটারির কাগজটা হারিয়ে ফেলবেন না যেন, কারণ আপনি কন্যা।
তুলা
আজ বাচ্চাদের সঙ্গে সান্ত্বনা খুঁজে নিন। কর্মক্ষেত্রে শত্রুতার মুখে পড়তে পারেন। সরকারি চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। আজ জীবনে ভারসাম্য খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন হতে পারে, তাই বলা হচ্ছে বাচ্চাদের সঙ্গে থাকতে। বাচ্চারা তো আর ট্যাক্সের কথা বলবে না! কর্মক্ষেত্রে শত্রু? চিন্তা করবেন না, তারা শুধু আপনার সুন্দর টি-শার্ট দেখে হিংসা করছে। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে, ডাক্তারের কথা শুনুন। আর যদি সরকারি চাকরির খবর পান, তাহলে বুঝবেন গ্রহরা সত্যিই আপনার জন্য একটা ব্রেকের ব্যবস্থা করেছে, যেখানে আর কারও সঙ্গে তর্ক করে সময় নষ্ট হবে না। চিকিৎসার খরচ আজ বাড়তে পারে। তাই আজ ভুল করেও রাস্তায় পড়ে থাকা পুরোনো ওয়ালেট তুলতে যাবেন না।
বৃশ্চিক
কর্মব্যস্ত দিন হওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্য সুন্দর থাকবে। বন্ধুরা আপনাকে কোনো বিশেষ ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ করাবে যিনি আপনার চিন্তায় লক্ষণীয় প্রভাব ফেলতে পারেন। কর্মব্যস্ততা আপনার জন্মগত অধিকার, তাই আজ ব্যস্ত থাকবেন—হয় কাজ নিয়ে, নয়তো গভীর দার্শনিক চিন্তা নিয়ে। কিন্তু এই ব্যস্ততার মধ্যেও স্বাস্থ্য ভালো থাকবে—কারণ আপনি এতটাই তীব্র ও ক্ষিপ্র যে ভাইরাসও আপনার কাছে আসতে ভয় পায়। বন্ধু আজ যে ‘বিশেষ ব্যক্তির’ সঙ্গে আলাপ করাবে, তিনি হয়তো আপনার নতুন বস হতে পারেন, অথবা এমন কেউ যিনি আপনার সব থেকে গোপন রহস্যগুলো নিয়ে জোকস করতে পারেন। প্রস্তুত থাকুন! আজ মন ভালো জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবে। সেই ভালো জিনিসটা যাতে প্রতিশোধের প্ল্যান না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
ধনু
স্বাস্থ্য সুস্থ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুস্বাস্থ্যের কারণে নতুন সুযোগ আসবে। দুপুরের আগে জরুরি কাজ সেরে ফেলুন এবং আয়ের নতুন উৎস খুলতে পারে। স্বাস্থ্য এতটাই ভালো যে আজ মনে হবে আপনি চাইলেই মাউন্ট এভারেস্ট চড়তে পারবেন। এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস নিয়ে আবার লটারিতে পুরো মাসের বেতন লাগিয়ে দেবেন না। জরুরি কাজ দুপুরের আগে শেষ করুন—এই প্রথমবার সময়মতো কিছু শেষ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আয়ের নতুন উৎস মানে, আপনি হয়তো পুরোনো দিনের জমানো কয়েনগুলো খুঁজে পাবেন, যা আপনার অ্যাডভেঞ্চারের জন্য কাজে লাগতে পারে। আজ খুব বেশি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। কারণ গ্রহরা চায় না সব ফ্রি-টাইম অন্যের জন্য উৎসর্গ করুন।
মকর
দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো আজ গতি পাবে। সামাজিক কাজে ভালো ভাবমূর্তি উন্নত হবে। অন্যরা আপনার ভালো উদ্দেশ্যকে স্বার্থপরতা বলে ভুল করতে পারে। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগে কিছুটা সতর্ক থাকুন। অবশেষে আপনার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো নড়েচড়ে বসছে! মনে রাখবেন, ‘দীর্ঘমেয়াদি’ মানে ২০ বছর নয়, অন্তত পরের মাসের মধ্যে কিছু একটা করুন। আপনি আন্তরিকভাবে অন্যদের কল্যাণের কথা ভাবলেও, তারা ভাববে আপনি কেন তাদের আপনার কাজে লাগাচ্ছেন। আপনার কঠোর পরিশ্রমকে মানুষ ‘ট্যাক্স ফাঁকি’র প্ল্যানিংও ভাবতে পারে—অতএব, আজ একটু কম পারফেক্ট হোন। পরিবারের কোনো দূরবর্তী সদস্যকে মিস করতে পারেন। আজ তাকে একটা ফোন করুন, কিন্তু ভুলেও নিজের কাজের স্ট্রেস তাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন না।
কুম্ভ
সাহস এবং বীরত্ব বাড়বে। রাজনীতিতে কর্মরতরা কাজে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। তবে যানবাহন ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন এবং লোভ ও প্রলোভন এড়িয়ে চলুন। আপনার সাহস আজ এতটাই বাড়বে যে আপনি হয়তো আপনার পুরোনো ডায়েরিটা পাবলিকলি পোস্ট করে দেবেন। রাজনীতিতে সাফল্য মানে, সব বন্ধু আজ আপনার আইডিয়াই সবচেয়ে সেরা বলে মেনে নেবে। যানবাহন চালানোর সময় সতর্ক থাকুন, কারণ আপনার মন আজ পৃথিবী বাঁচানোর চিন্তায় ব্যস্ত থাকবে, রাস্তায় নয়। কোনো প্রলোভনে পড়বেন না! বিশেষ করে কোনো ‘অল্প সময়ে কোটিপতি’ হওয়ার স্কিমে, কারণ আপনার গ্রহরা জানে আপনি ওটা সামলাতে পারবেন না। আজ প্রেম জীবনের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগে বেশি আগ্রহ দেখা যাবে। তাই ডেটিং অ্যাপের পরিবর্তে চ্যাট গ্রুপে বেশি সময় কাটান।
মীন
উন্নতির পথ খুলে যাবে এবং বন্ধুর মাধ্যমে আয়ের উৎসের সঙ্গে যোগাযোগ হতে পারে। অবিবাহিতরা সৌল মেটের সঙ্গে দেখা করতে পারে। স্বাস্থ্যের কিছুটা অবনতি হতে পারে, তাই সাবধানে বিবেচনা না করে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। সৌল মেট আজ যে কোনো সময় দরজায় কড়া নাড়তে পারে! কিন্তু সাবধানে, তারা হয়তো আপনার সব থেকে বিশৃঙ্খল ঘরটা দেখতে পাবে। আয়ের নতুন উৎস মানে, হয়তো পুরোনো এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হবে যে আপনাকে তার নতুন এমএলএম স্কিমে জয়েন করতে বলবে—গ্রহরা অবশ্য অন্য উৎসের কথা বলছে। স্বাস্থ্যের সামান্য অবনতি হতে পারে, কারণ আপনি হয়তো সারা দিন স্বপ্নে ছিলেন আর বাস্তবে ঘুমোতে ভুলে গেছেন। সাবধানে বিবেচনা না করে কোনো প্রতিশ্রুতি দেবেন না। বিশেষ করে যদি সঙ্গী আপনাকে জিজ্ঞেস করে, ‘তুমি কি আজীবন সার্বক্ষণিক আমার পাশে থাকবে?’

এখানে শ্বাসমূলের কাঁটায় বাঁধা জলসুরের গান, জোয়ার-ভাটা আর ঢেউয়ের খেলা। মধ্যরাতে নিস্তব্ধতা ভেদ করে দূরে শোনা যায় হরিণের ডাক। আর কখনো কখনো বাঘের গর্জনে রক্ত হিম হয়ে যায়! এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, এই গল্প সুন্দরবনের।
২৭ মার্চ ২০২৫
ফরসা রঙের মানুষদের একসময় সুন্দর বলা হতো; কিন্তু সৌন্দর্যের সেই ধারণা বর্তমানে বদলে গেছে। এখন সুন্দর বলতে বোঝায় দেহের সুন্দর গড়নকে। সেটিকে আমরা সুস্থতা না ধরে, ধরে নিয়েছি একটা নির্দিষ্ট মাপে, তা হলো ৩৬-২৪-৩৬। এটা যেন সব নারীর আরাধ্য ফিগার।
২ ঘণ্টা আগে
শীত এলেই ত্বক টানটান লাগে। এ ছাড়া নাকের পাশ শুকিয়ে যায়, ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়, চুলেও রুক্ষ ভাব বাড়ে। আবহাওয়ার কারণে শরীরের আর্দ্রতা কমে যায় বলে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এই মৌসুমে খুব ভালো কাজ করে অ্যালোভেরা জেল। এটি যেমন ত্বক আর্দ্র করে, তেমনি সার্বিক সুস্থতায়ও কাজে দেয়। দোকানে থাকা জেলে অনেক...
২ ঘণ্টা আগে
স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
৩ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
ক্ল্যাসিকে মাতিয়ে দিন
শীতকালের কিছু চিরায়ত পোশাক রয়েছে, যেগুলো ফ্যাশনের ধারা থেকে কখনো হারিয়ে যায় না। তেমনই একটি পোশাক হলো স্কিনি জিনসের সঙ্গে ঢিলেঢালা সোয়েটার। তবে এই লুকের সুবিধা হলো, এর সঙ্গে যেকোনো ধরনের জুতা; যেমন বুট, অ্যাঙ্কেল বুট, হাঁটু পর্যন্ত বুট কিংবা স্নিকার সহজে মানিয়ে যায়।
আরেকটি ক্ল্যাসিক লুক হলো মার্লিন প্যান্ট, বুট কাট জিনসের মতো চওড়া পায়ের প্যান্টের সঙ্গে ক্যাশমেয়ার কার্ডিগান, ক্রপড জাম্পার অথবা ছোট ব্লেজারের মতো ফিটিং টপ।
এই লুকে কোমরের অংশটি খুব সুন্দরভাবে হাইলাইট হয়। তা ছাড়া শীতকালের আরেকটি ক্ল্যাসিক ড্রেস হলো স্কার্ট। আপনার পছন্দমতো মিডি বা ম্যাক্সি স্কার্ট, সঙ্গে লেগিংস ও ছোট বা লম্বা বুট জুতা, আর ওপরে ক্রপ সোয়েটার বা ব্লেজার পরতে পারেন।
ক্যাজুয়াল ও আরামদায়ক পোশাক
এ সময় ওভারসাইজড জাম্পার, কার্ডিগান, চওড়া প্যান্ট এবং লম্বা কোট দিয়ে সহজে কিছু ক্যাজুয়াল লুক তৈরি করা যায়। যেমন ওভারসাইজ জাম্পারের ওপর লম্বা কোট এবং নিচে একটি লেদারের প্যান্ট, সঙ্গে এক জোড়া স্নিকার খুব সুন্দর ক্যাজুয়াল লুক দেয়। তা ছাড়া স্টেট জিনসের সঙ্গে লম্বা হাতার শার্ট এবং একটি নিটেড কার্ডিগান পরা যেতে পারে।
স্টাইলিশ ও চিক পোশাক
যাঁরা একটু স্টাইলিশ লুক চান, তাঁরা লেদারের মিডি স্কার্টের সঙ্গে লেগিংস, একটি শর্ট ফিটিং জ্যাকেট ও হাঁটু পর্যন্ত লম্বা বুট পরতে পারেন। তা ছাড়া লম্বা প্লিটেড স্কার্টের সঙ্গে ক্রপড উলের জাম্পারও পরতে পারেন। আরেকটি চিক লুক হতে পারে লম্বা উলের ড্রেসের সঙ্গে ব্লেজার ও কোমরে বেল্ট।
নিত্যদিনের ব্যবহারের উপযোগী ও উৎসবমুখী এ দুটি ক্যাটাগরিতে এবারের শীতপোশাকগুলো সাজানো হয়েছে। সব বয়সী নারীর কথা বিবেচনায় রেখে বেছে নিয়েছি সূক্ষ্ম কিন্তু নজরকাড়া রং, সাহসী কাট, যা প্রতিটি পোশাককে স্টেটমেন্ট পিসে পরিণত করে। ডিজাইনগুলোতে ফ্লেয়ার ও ফাংশনালিটি একসঙ্গে মিলেছে। মিনিমাল এই শীতপোশাকগুলো সঠিক অ্যাকসেসরিজের সঙ্গে স্টাইলিশ কিংবা ক্যাজুয়াল—দুভাবেই পরা যাবে। স্ট্রাইপ, ডার্ক টোন, ডুডল ডিজাইন এবং প্রিন্টেড প্যাটার্নের জ্যাকেট ও ব্লেজারগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে পান্না সবুজ ও স্যাফায়ারের রং, ক্রিম, মেরুন এবং ইলেকট্রিক ব্লু রঙের সংমিশ্রণ।
তাসনিম ফেরদৌস প্রতিষ্ঠাতা ও ডিজাইনার, ওয়্যারহাউস
অনুষ্ঠানে শীতের পোশাক
সাধারণত শীতকালজুড়ে বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান থাকে। এসব অনুষ্ঠানে ক্যাজুয়াল চিক লুক চাইলে জিনসের সঙ্গে লম্বা হাতার উলের সোয়েটার অথবা স্কার্টের সঙ্গে পোলো নেক টপ পরতে পারেন। আবার সেমি ফরমাল লুক চাইলে স্কার্টের সঙ্গে ব্লেজার কিংবা মার্লিন প্যান্টের সঙ্গে লম্বা হাতার উলের সোয়েটার হবে আপনার জন্য সেরা অপশন। উষ্ণতার জন্য পোশাকের ওপর একটি শাল কিংবা উলের কোট যোগ করতে পারেন। এটি আপনার লুককে আরও বেশি স্মার্ট করে তুলবে।
তবে যেকোনো অনুষ্ঠানে পরার জন্য সঠিক রং বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন রাতের অনুষ্ঠানে একটু গাঢ় রঙের পোশাক মানানসই। সঠিক কাপড় ও রঙের পাশাপাশি ফিটিংয়ের দিকেও নজর দিতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকার পরও ফিটিং যদি ঠিক না হয়, তাহলে দেখতে বড্ড বেমানান লাগে।

স্টাইল করে পোশাক পরতে জানলে শীতকালই কিন্তু সেরা সময়। রঙের মেলবন্ধন, পোশাকের কাটিং, টপ অ্যান্ড বটম নির্ধারণ করে শীতের পোশাক পরলেই আপনি ফিট। কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখলে শীতের পোশাকে নিজেকে অনবদ্যভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব।
ক্ল্যাসিকে মাতিয়ে দিন
শীতকালের কিছু চিরায়ত পোশাক রয়েছে, যেগুলো ফ্যাশনের ধারা থেকে কখনো হারিয়ে যায় না। তেমনই একটি পোশাক হলো স্কিনি জিনসের সঙ্গে ঢিলেঢালা সোয়েটার। তবে এই লুকের সুবিধা হলো, এর সঙ্গে যেকোনো ধরনের জুতা; যেমন বুট, অ্যাঙ্কেল বুট, হাঁটু পর্যন্ত বুট কিংবা স্নিকার সহজে মানিয়ে যায়।
আরেকটি ক্ল্যাসিক লুক হলো মার্লিন প্যান্ট, বুট কাট জিনসের মতো চওড়া পায়ের প্যান্টের সঙ্গে ক্যাশমেয়ার কার্ডিগান, ক্রপড জাম্পার অথবা ছোট ব্লেজারের মতো ফিটিং টপ।
এই লুকে কোমরের অংশটি খুব সুন্দরভাবে হাইলাইট হয়। তা ছাড়া শীতকালের আরেকটি ক্ল্যাসিক ড্রেস হলো স্কার্ট। আপনার পছন্দমতো মিডি বা ম্যাক্সি স্কার্ট, সঙ্গে লেগিংস ও ছোট বা লম্বা বুট জুতা, আর ওপরে ক্রপ সোয়েটার বা ব্লেজার পরতে পারেন।
ক্যাজুয়াল ও আরামদায়ক পোশাক
এ সময় ওভারসাইজড জাম্পার, কার্ডিগান, চওড়া প্যান্ট এবং লম্বা কোট দিয়ে সহজে কিছু ক্যাজুয়াল লুক তৈরি করা যায়। যেমন ওভারসাইজ জাম্পারের ওপর লম্বা কোট এবং নিচে একটি লেদারের প্যান্ট, সঙ্গে এক জোড়া স্নিকার খুব সুন্দর ক্যাজুয়াল লুক দেয়। তা ছাড়া স্টেট জিনসের সঙ্গে লম্বা হাতার শার্ট এবং একটি নিটেড কার্ডিগান পরা যেতে পারে।
স্টাইলিশ ও চিক পোশাক
যাঁরা একটু স্টাইলিশ লুক চান, তাঁরা লেদারের মিডি স্কার্টের সঙ্গে লেগিংস, একটি শর্ট ফিটিং জ্যাকেট ও হাঁটু পর্যন্ত লম্বা বুট পরতে পারেন। তা ছাড়া লম্বা প্লিটেড স্কার্টের সঙ্গে ক্রপড উলের জাম্পারও পরতে পারেন। আরেকটি চিক লুক হতে পারে লম্বা উলের ড্রেসের সঙ্গে ব্লেজার ও কোমরে বেল্ট।
নিত্যদিনের ব্যবহারের উপযোগী ও উৎসবমুখী এ দুটি ক্যাটাগরিতে এবারের শীতপোশাকগুলো সাজানো হয়েছে। সব বয়সী নারীর কথা বিবেচনায় রেখে বেছে নিয়েছি সূক্ষ্ম কিন্তু নজরকাড়া রং, সাহসী কাট, যা প্রতিটি পোশাককে স্টেটমেন্ট পিসে পরিণত করে। ডিজাইনগুলোতে ফ্লেয়ার ও ফাংশনালিটি একসঙ্গে মিলেছে। মিনিমাল এই শীতপোশাকগুলো সঠিক অ্যাকসেসরিজের সঙ্গে স্টাইলিশ কিংবা ক্যাজুয়াল—দুভাবেই পরা যাবে। স্ট্রাইপ, ডার্ক টোন, ডুডল ডিজাইন এবং প্রিন্টেড প্যাটার্নের জ্যাকেট ও ব্লেজারগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে পান্না সবুজ ও স্যাফায়ারের রং, ক্রিম, মেরুন এবং ইলেকট্রিক ব্লু রঙের সংমিশ্রণ।
তাসনিম ফেরদৌস প্রতিষ্ঠাতা ও ডিজাইনার, ওয়্যারহাউস
অনুষ্ঠানে শীতের পোশাক
সাধারণত শীতকালজুড়ে বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠান থাকে। এসব অনুষ্ঠানে ক্যাজুয়াল চিক লুক চাইলে জিনসের সঙ্গে লম্বা হাতার উলের সোয়েটার অথবা স্কার্টের সঙ্গে পোলো নেক টপ পরতে পারেন। আবার সেমি ফরমাল লুক চাইলে স্কার্টের সঙ্গে ব্লেজার কিংবা মার্লিন প্যান্টের সঙ্গে লম্বা হাতার উলের সোয়েটার হবে আপনার জন্য সেরা অপশন। উষ্ণতার জন্য পোশাকের ওপর একটি শাল কিংবা উলের কোট যোগ করতে পারেন। এটি আপনার লুককে আরও বেশি স্মার্ট করে তুলবে।
তবে যেকোনো অনুষ্ঠানে পরার জন্য সঠিক রং বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেমন রাতের অনুষ্ঠানে একটু গাঢ় রঙের পোশাক মানানসই। সঠিক কাপড় ও রঙের পাশাপাশি ফিটিংয়ের দিকেও নজর দিতে হবে। সবকিছু ঠিক থাকার পরও ফিটিং যদি ঠিক না হয়, তাহলে দেখতে বড্ড বেমানান লাগে।

এখানে শ্বাসমূলের কাঁটায় বাঁধা জলসুরের গান, জোয়ার-ভাটা আর ঢেউয়ের খেলা। মধ্যরাতে নিস্তব্ধতা ভেদ করে দূরে শোনা যায় হরিণের ডাক। আর কখনো কখনো বাঘের গর্জনে রক্ত হিম হয়ে যায়! এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝে গেছেন, এই গল্প সুন্দরবনের।
২৭ মার্চ ২০২৫
ফরসা রঙের মানুষদের একসময় সুন্দর বলা হতো; কিন্তু সৌন্দর্যের সেই ধারণা বর্তমানে বদলে গেছে। এখন সুন্দর বলতে বোঝায় দেহের সুন্দর গড়নকে। সেটিকে আমরা সুস্থতা না ধরে, ধরে নিয়েছি একটা নির্দিষ্ট মাপে, তা হলো ৩৬-২৪-৩৬। এটা যেন সব নারীর আরাধ্য ফিগার।
২ ঘণ্টা আগে
শীত এলেই ত্বক টানটান লাগে। এ ছাড়া নাকের পাশ শুকিয়ে যায়, ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হয়, চুলেও রুক্ষ ভাব বাড়ে। আবহাওয়ার কারণে শরীরের আর্দ্রতা কমে যায় বলে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয়। এই মৌসুমে খুব ভালো কাজ করে অ্যালোভেরা জেল। এটি যেমন ত্বক আর্দ্র করে, তেমনি সার্বিক সুস্থতায়ও কাজে দেয়। দোকানে থাকা জেলে অনেক...
২ ঘণ্টা আগে
আজকের দিনে স্বাস্থ্য খুবই চাঙা থাকবে, যা আপনাকে নতুন কিছু করে দেখানোর শক্তি দেবে। তবে গ্রহরা বলছে, এই অতিরিক্ত এনার্জি যেন আবার ঝগড়া-বিবাদের দিকে না যায়! কর্মক্ষেত্রে আবেগ প্রকাশে শান্ত থাকতে বলা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে