ফিচার ডেস্ক
ভ্রমণকে উপভোগ্য করে তোলে নানান উপাদান। এই সবের মধ্যে একটি হলো সেই এলাকার স্থানীয় মানুষ। তাদের ব্যবহার, আচার আচরণ, আতিথেয়তা একজন পর্যটককে খুব সহজেই নতুন জায়গায় খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে। কোনো নতুন দেশ ভ্রমণের পর সেই দেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে একজন পর্যটক প্রথমে যে দুই একটি বিষয় নিয়ে সাধারণত কথা বলবেন তার মধ্যে একটি থাকবে সেই এলাকার মানুষের ব্যবহার। তারা কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ বা আন্তরিক ব্যবহার করে সেই বিষয়ে জানাবে পর্যটকেরা।
ভ্রমণের সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দারুণ রান্না অথবা ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিশেষভাবে মানুষের মনে দাগ কাটে। তবে পর্যটকদের বারবার কোনো দেশে ফিরিয়ে আনে সেই দেশের মানুষ। ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জরিপ চালায়। তাদের জরিপের ভিত্তিতে ‘ইন্টার ন্যাশনস’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান বিশ্বের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। বিদেশে স্থানান্তরিত হওয়া মানুষ ও বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টিকোণ থেকে এই দেশগুলোকে তালিকাবদ্ধ করা হয়। ২০২৪ সালের জরিপের ভিত্তিতে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে।
তালিকায় জায়গা পাওয়া ৩০টি দেশের মধ্যে এশিয়ার আছে ১২টি দেশের নাম। তালিকার তৃতীয় স্থানে আছে ফিলিপাইন। সহানুভূতি ও আতিথেয়তা ফিলিপাইনের সংস্কৃতির মূল ভিত্তি। দেশটির মানুষ প্রায়ই অতিথিদের সাহায্য করতে অতিরিক্ত উদ্যোগও নিয়ে থাকেন। ফিলিপিনোরা পর্যটকদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করে। তারা সহজেই কথা বলা শুরু করেন, হাসিমুখে স্বাগত জানান এবং পর্যটকদের যেন অচেনা না লাগে সে জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করেন। ইংরেজি ফিলিপাইনে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ভাষা। তাই ফিলিপিনোরা পর্যটকদের কিছু বোঝাতে বা কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এর পরেই তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে আছে ইন্দোনেশিয়া। এই দেশের মানুষেরা খুব সহজে কথা বলা শুরু করেন। রাস্তা হারিয়ে ফেললে বা কিছু খুঁজে না পেলে স্থানীয়রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাহায্য করেন। তাঁদের উৎসবগুলোতে অনেক পর্যটককে অংশ নিতে দেখা যায়। বালি, লম্বক এবং জাকার্তার মতো পর্যটন এলাকায় প্রচুর মানুষ ইংরেজি বলতে পারেন। তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে আছে ভিয়েতনাম। দেশটির মানুষ খুবই বিনয়ী ও শান্ত স্বভাবের। পর্যটকদের পথ চিনিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে স্থানীয় বাজারগুলোতে দরদামের ন্যায্যতা বজায় রাখার চেষ্টা করেন তারা। ভিয়েতনামের রেস্টুরেন্ট বা স্ট্রিট ফুড বিক্রেতারা পর্যটকদের নতুন খাবার চেখে দেখতে উৎসাহিত করেন। দেশটির নববর্ষ উৎসবে অনেক পর্যটককে স্থানীয় রীতিতে অংশ নিতে দেখা যায়। স্থানীয়রা তাদের অতিথি করে নেন, উপহার দেন, এমনকি ঘরোয়া ভোজেও নিমন্ত্রণ করেন। অনেক হোটেল মালিক বা হোস্টেল কর্মী পর্যটকদের স্থানীয় নিয়মকানুন বুঝিয়ে দেন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে। কোথায় গেলে ভালো হয় বা কোন এলাকা এড়িয়ে চলা উচিত এমন পরামর্শ দেন।
তালিকার এই তিনটি দেশই এখন ভ্রমণপ্রেমিদের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা।
ভ্রমণের সময় যদি কোনো ওমানি আপনাকে তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ওমানি সংস্কৃতির গভীরে আছে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ। তাঁরা অতিথিদের পরিবারের সদস্যদের মতো আপ্যায়ন করার চেষ্টা করেন। আর তাই এই তালিকায় দেশটি আছে ষষ্ঠ অবস্থানে। ওমানে অতিথিকে স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য হলো খেজুর এবং কফি পরিবেশন করা। ওমানে সুলতান কাবুসগ্র্যান্ড মসজিদের মতো বড় মসজিদগুলো পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে। তালিকায় অষ্টম স্থানে আছে থাইল্যান্ড। দেশটিকে অনেক সময় বলা হয় ‘ল্যান্ড অব স্মাইলস’ বা হাসির দেশ। দেশটির মানুষজন অত্যন্ত হাসিখুশি, অতিথিপরায়ণ এবং পর্যটকদের প্রতি বন্ধুসুলভ। থাই নববর্ষে পানির উৎসবের মতো উৎসবে পর্যটকদের ঢল নামে মূলত হাসিখুশি থাইদের কারণেই।
তালিকায় এর পরেই চৌদ্দতম অবস্থানে আছে মালয়েশিয়া, পনেরোতম বাহরাইন, সতেরোতম তাইওয়ান, আঠারোতম সৌদি আরব, বিশতম ভারত, পঁচিশতম চীন এবং ছাব্বিশতম স্থানে আছে তুরস্ক।
বোঝাই দেশগুলো শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে দিয়ে এই তালিকায় জায়গা পায়নি। জায়গা পেয়েছে তাদের নাগরিকদের কারণে। তাদের আতিথেয়তা এই দেশগুলোকে পর্যটকদের জন্য আরামদায়ক ও আরও উপভোগ্য করে তুলছে দিনের পর দিন।
সূত্র: এম এস এন
ভ্রমণকে উপভোগ্য করে তোলে নানান উপাদান। এই সবের মধ্যে একটি হলো সেই এলাকার স্থানীয় মানুষ। তাদের ব্যবহার, আচার আচরণ, আতিথেয়তা একজন পর্যটককে খুব সহজেই নতুন জায়গায় খাপ খাইয়ে নিতে সাহায্য করে। কোনো নতুন দেশ ভ্রমণের পর সেই দেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে একজন পর্যটক প্রথমে যে দুই একটি বিষয় নিয়ে সাধারণত কথা বলবেন তার মধ্যে একটি থাকবে সেই এলাকার মানুষের ব্যবহার। তারা কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ বা আন্তরিক ব্যবহার করে সেই বিষয়ে জানাবে পর্যটকেরা।
ভ্রমণের সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, দারুণ রান্না অথবা ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিশেষভাবে মানুষের মনে দাগ কাটে। তবে পর্যটকদের বারবার কোনো দেশে ফিরিয়ে আনে সেই দেশের মানুষ। ‘ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর বিভিন্ন বিষয়ে বিশ্বব্যাপী জরিপ চালায়। তাদের জরিপের ভিত্তিতে ‘ইন্টার ন্যাশনস’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান বিশ্বের বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। বিদেশে স্থানান্তরিত হওয়া মানুষ ও বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টিকোণ থেকে এই দেশগুলোকে তালিকাবদ্ধ করা হয়। ২০২৪ সালের জরিপের ভিত্তিতে এই জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে।
তালিকায় জায়গা পাওয়া ৩০টি দেশের মধ্যে এশিয়ার আছে ১২টি দেশের নাম। তালিকার তৃতীয় স্থানে আছে ফিলিপাইন। সহানুভূতি ও আতিথেয়তা ফিলিপাইনের সংস্কৃতির মূল ভিত্তি। দেশটির মানুষ প্রায়ই অতিথিদের সাহায্য করতে অতিরিক্ত উদ্যোগও নিয়ে থাকেন। ফিলিপিনোরা পর্যটকদের সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করে। তারা সহজেই কথা বলা শুরু করেন, হাসিমুখে স্বাগত জানান এবং পর্যটকদের যেন অচেনা না লাগে সে জন্য বিভিন্ন চেষ্টা করেন। ইংরেজি ফিলিপাইনে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ভাষা। তাই ফিলিপিনোরা পর্যটকদের কিছু বোঝাতে বা কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এর পরেই তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে আছে ইন্দোনেশিয়া। এই দেশের মানুষেরা খুব সহজে কথা বলা শুরু করেন। রাস্তা হারিয়ে ফেললে বা কিছু খুঁজে না পেলে স্থানীয়রা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাহায্য করেন। তাঁদের উৎসবগুলোতে অনেক পর্যটককে অংশ নিতে দেখা যায়। বালি, লম্বক এবং জাকার্তার মতো পর্যটন এলাকায় প্রচুর মানুষ ইংরেজি বলতে পারেন। তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে আছে ভিয়েতনাম। দেশটির মানুষ খুবই বিনয়ী ও শান্ত স্বভাবের। পর্যটকদের পথ চিনিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে স্থানীয় বাজারগুলোতে দরদামের ন্যায্যতা বজায় রাখার চেষ্টা করেন তারা। ভিয়েতনামের রেস্টুরেন্ট বা স্ট্রিট ফুড বিক্রেতারা পর্যটকদের নতুন খাবার চেখে দেখতে উৎসাহিত করেন। দেশটির নববর্ষ উৎসবে অনেক পর্যটককে স্থানীয় রীতিতে অংশ নিতে দেখা যায়। স্থানীয়রা তাদের অতিথি করে নেন, উপহার দেন, এমনকি ঘরোয়া ভোজেও নিমন্ত্রণ করেন। অনেক হোটেল মালিক বা হোস্টেল কর্মী পর্যটকদের স্থানীয় নিয়মকানুন বুঝিয়ে দেন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে। কোথায় গেলে ভালো হয় বা কোন এলাকা এড়িয়ে চলা উচিত এমন পরামর্শ দেন।
তালিকার এই তিনটি দেশই এখন ভ্রমণপ্রেমিদের জন্য আকর্ষণীয় জায়গা।
ভ্রমণের সময় যদি কোনো ওমানি আপনাকে তাদের বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। ওমানি সংস্কৃতির গভীরে আছে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ। তাঁরা অতিথিদের পরিবারের সদস্যদের মতো আপ্যায়ন করার চেষ্টা করেন। আর তাই এই তালিকায় দেশটি আছে ষষ্ঠ অবস্থানে। ওমানে অতিথিকে স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য হলো খেজুর এবং কফি পরিবেশন করা। ওমানে সুলতান কাবুসগ্র্যান্ড মসজিদের মতো বড় মসজিদগুলো পর্যটকদের জন্য খোলা থাকে। তালিকায় অষ্টম স্থানে আছে থাইল্যান্ড। দেশটিকে অনেক সময় বলা হয় ‘ল্যান্ড অব স্মাইলস’ বা হাসির দেশ। দেশটির মানুষজন অত্যন্ত হাসিখুশি, অতিথিপরায়ণ এবং পর্যটকদের প্রতি বন্ধুসুলভ। থাই নববর্ষে পানির উৎসবের মতো উৎসবে পর্যটকদের ঢল নামে মূলত হাসিখুশি থাইদের কারণেই।
তালিকায় এর পরেই চৌদ্দতম অবস্থানে আছে মালয়েশিয়া, পনেরোতম বাহরাইন, সতেরোতম তাইওয়ান, আঠারোতম সৌদি আরব, বিশতম ভারত, পঁচিশতম চীন এবং ছাব্বিশতম স্থানে আছে তুরস্ক।
বোঝাই দেশগুলো শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে দিয়ে এই তালিকায় জায়গা পায়নি। জায়গা পেয়েছে তাদের নাগরিকদের কারণে। তাদের আতিথেয়তা এই দেশগুলোকে পর্যটকদের জন্য আরামদায়ক ও আরও উপভোগ্য করে তুলছে দিনের পর দিন।
সূত্র: এম এস এন
কচি লাউ দিয়ে মজাদার ডেজার্ট তৈরি করা যায়। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা হওয়াটা দোষের কিছু নয়। লাউ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন মজাদার বরফি। আপনাদের জন্য লাউয়ের বরফির রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সানিয়া সোমা।
২১ ঘণ্টা আগেবলা হয়, ফ্যাশন উইকগুলোয় র্যাম্পে মডেলরা যেসব পোশাক পরে হেঁটে বেড়ান, সেগুলো আদৌ সাধারণ মানুষের আলমারিতে তোলার উপযোগী নয়। তাহলে অত দামি ফ্যাব্রিক গায়ে তোলেন কারা? হ্যাঁ, বলিউডের সোনম বা আলিয়াদের গায়ে কখনো কখনো রানওয়ে পোশাকের নকশা বা প্রিন্ট দেখা যায়; তবে সেখানেও প্রশ্ন যে উদ্ভট নকশাওয়ালা পোশাকগুলো..
১ দিন আগেতারুণ্যের পোশাক ডেনিম। একটা সময় মূলত পুরুষের পোশাক হয়ে থাকলেও এটি ক্রমেই ‘ইউনিসেক্স’ হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ নারী-পুরুষনির্বিশেষে এখন ডেনিমের পোশাক পরে। আর সে জন্যই সম্ভবত ডেনিম দিয়ে তৈরি পোশাকে বৈচিত্র্য এসেছে। এখন প্যান্ট, জ্যাকেট, কটি ও শার্টের বাইরে বানানো হচ্ছে নানা ডিজাইনের স্কার্ট, ড্রেস, ব্লাউজ...
১ দিন আগেগরমকাল পুরুষদের জন্য কালস্বরূপ! হ্যাঁ, সত্য়ি বলছি। গরমে পুরুষেরা অনেক বেশিই ঘামেন। বলতে দ্বিধা নেই, অধিকাংশ পুরুষ স্রেফ সচেতনতার অভাবে গরমে অস্বস্তিতে ভোগেন। এখন আর সেই সময় নেই যে, এক কাপড়ে বেরিয়ে গিয়ে সেই রাতে বাড়ি ফিরবেন। গ্রীষ্মকালে সূর্যের দাপট এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি।
১ দিন আগে