Ajker Patrika

টাকায় দেখা বাঘা মসজিদ

রাতুল শেখ
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৩, ০৯: ৩৬
টাকায় দেখা বাঘা মসজিদ

সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি, ৫০ টাকার নোটে একটি মসজিদের ছবি। বড় হয়ে যখন বুঝলাম, এটি বাঘা মসজিদের ছবি, সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করে ফেললাম, দেখতে যাব।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুবাদে বাঘায় কিছু বন্ধুবান্ধবও আছে। তাদেরই একজন শিশির। তার কাঁধে ভর করে এক শুক্রবার রাজশাহী থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে বাঘায় গিয়ে উপস্থিত হলাম। প্রায় লাল ইটের প্রাচীন এই স্থাপনা চোখের সামনে দেখে তাজ্জব বনে গেলাম।

খুব বড় নয়। উইকিপিডিয়া জানাচ্ছে, মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৭৫ ফুট এবং প্রস্থ ৪২ ফুট, উচ্চতা ২৪ ফুট ৬ ইঞ্চি। দেয়ালের পুরুত্ব ৮ ফুট! যেখানে এখনকার যেকোনো বাড়ির দেয়ালের পুরুত্ব ৫  থেকে ১০ কিংবা খুব বেশি হলে ১৫ ইঞ্চি। সেই ১৫২৩ সালে রাজশাহীর প্রত্যন্ত বাঘা নামের জনপদে এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন সুলতান নাসিরউদ্দিন নুসরাত শাহ। এটি শুধু মসজিদই নয়, বলা চলে এক দারুণ ক্যানভাসও বটে। পুরো মসজিদের দেয়ালে রয়েছে টেরাকোটার প্ল্যাক। এ রকম প্ল্যাক দেখেছি বাঘার পাশের পুঠিয়া রাজবাড়ির মন্দিরের গায়ে। সেগুলো দেখতে মসজিদের দিকে এগিয়ে গেলাম। যতই এগিয়ে যাচ্ছি, ততই মন খারাপ হচ্ছে। কারণ, টেরাকোটাগুলো ক্ষয়ে যাচ্ছে রোদ-বৃষ্টিতে। বিষয়টি প্রাকৃতিক। কিন্তু দেখে খারাপ লাগছে যে প্রাচীন স্মৃতি বহন করে চলা এই মসজিদের সৌন্দর্য দিন দিন ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

যাহোক, পুরো মসজিদ ঘুরলাম। বেশ খুঁটিয়ে দেখলাম টেরাকোটা। এখানকার টেরাকোটাগুলোতে মানুষের ফিগার নেই। আছে জ্যামিতিক আর ফুল, ফল, লতাপাতার নকশা। আমের মোটিফ দেখে ভালো লাগল। সেই প্রাচীনকালেও বাঘা এলাকায় আমের প্রাচুর্য ছিল।

সেই ছোটবেলা থেকে ৫০ টাকার নোটে দেখা এক প্রাচীন স্থাপনা চাক্ষুষ করে মনটা ভালো হয়ে গেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নতুন হ্যান্ডব্যাগ কেনার আগে

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৭: ৫৩
নতুন হ্যান্ডব্যাগ কেনার আগে

প্রতিদিন যে হ্যান্ডব্যাগ ব্যবহার করবেন, সেটি একটু ভালো মানের দেখে কিনুন। তবে এ ধরনের হ্যান্ডব্যাগ কিনতে খরচটাও কিছু বেশি হবে। তাই কেনার আগে কয়েকটি বিষয় মনে রাখতে হবে।

দাম দিয়ে ব্যাগ কিনলে আপনি নিশ্চিত চাইবেন, সেটি বেশ কিছুদিন টিকুক। ব্যাগ তৈরির উপাদান, এর সেলাই, জিপার ইত্যাদি ভালোভাবে দেখে তবেই কিনে ফেলুন। এসব বিষয় ঠিকঠাক থাকলে আশা করা যায়, আপনি আপনার ব্যাগটি বেশ কিছুদিন ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি বেশির ভাগ সময় ব্যাগে কোন কোন জিনিস রাখেন, কেনার আগে তা একটু ভেবে দেখুন। তারপর দেখুন সেগুলো রাখার জন্য ব্যাগে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে কি না। এবার ব্যাগের আকার নিয়ে চিন্তা করুন।

একাধিক পোশাকের সঙ্গে ভালোভাবে মিলবে, এমন রঙের ব্যাগ বেছে নেওয়া যেতে পারে। প্রতিটি পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন নতুন ব্যাগ কেনা একটি অসম্ভব জটিল বিষয়। ব্যাগের রং বাছাইয় করার ক্ষেত্রে হালকা ও ন্য়ুড রংগুলো প্রাধান্য দিন।

একটি ব্যাগ কেনার আগে সেটির ভেতরে আপনার সব জিনিসপত্র ঠিকমতো রাখা যাবে কি না, তা-ও বিবেচনায় নিতে ভুলবেন না। জিপার দেওয়া শক্ত হাতলের ব্যাগ ব্যবহার করা ভালো।

আপনি কি ব্যাগ কাঁধে নিতে পছন্দ করেন, নাকি বাহুতে? সেটিও ভেবে নিন। নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী এবং এসব বিষয় বিবেচনা করে নিতে হবে। তারপরে আপনার জন্য আদর্শ এবং সহজে বহনযোগ্য ব্যাগটি বাছাই করুন।

সূত্র: স্ট্রিট ডাইরেক্টরি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেমিককে লুকিয়ে রাখছেন নারীরা, কারণ কি শুধুই গোপনীয়তা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি: ভোগ ম্যাগাজিনের সৌজন্যে
প্রতীকী ছবি: ভোগ ম্যাগাজিনের সৌজন্যে

ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।

২৪ বছর বয়সী তাওয়ানার প্রোফাইলে তাঁর প্রেমিকের উপস্থিতি বোঝা যায় শুধুই ইঙ্গিতে—হয়তো কোনো ছবিতে মাথার পেছন দিক কিংবা রাতের ডিনারে দুই গ্লাস ওয়াইনের ঠোকাঠুকি। কিন্তু প্রেমিকের মুখ প্রকাশের কোনো ইচ্ছে তাঁর নেই।

তাওয়ানা বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আমি শক্তিশালী ও স্বনির্ভর হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাই। যেন মনে হয়—আমার সবকিছু আমি নিজেই করেছি।’

অনলাইনে তাওয়ানার প্রেমিকের কোনো স্থান নেই। তাঁর ভাষায়, ‘আমার জীবনের কোনো অংশ পুরুষের সাহায্যে গড়ে উঠেছে—এমন ধারণা আমি দিতে চাই না। নিজের অর্জন নিজের বলেই দেখাতে ভালো লাগে।’

এমনকি সম্পর্ক আরও গভীর হলেও তিনি এই মত পাল্টাবেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাগদান হয়ে গেলেও আমি সম্পর্ক নিয়ে পোস্ট করব না।’

এখন প্রশ্ন হতে পারে, বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?

তাওয়ানার মতো অনেক নারীই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সম্পর্ক ‘হার্ড লঞ্চ’ বা প্রকাশ করতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এই প্রবণতা এতটাই আলোচনায় এসেছে যে, গত মাসে ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিন প্রকাশ করে একটি ভাইরাল নিবন্ধ, যার শিরোনাম ছিল ‘বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?’ (Is Having a Boyfriend Embarrassing Now?)

সেই লেখায় সাংবাদিক চান্তে জোসেফ বলেন, এখনকার তরুণীরা তাঁদের সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবছেন। তাঁরা চান প্রেমিক থাকার সামাজিক মর্যাদা বা সুবিধা পেতে, কিন্তু একই সঙ্গে ‘বয়ফ্রেন্ড-অবসেসড’ বা প্রেমিকনির্ভর বলে মনে হোক—তা চান না।

জোসেফ লিখেছেন, এখন কারও প্রেমিককে নিয়ে ঘন ঘন পোস্ট করা অনেকের কাছে ‘ক্রিঞ্জ’ বা বিব্রতকর মনে হয়, এমনকি ‘সাংস্কৃতিকভাবে অপ্রয়োজনীয়’ বলেও ধরা হয়।

জোসেফ বলেন, আজকের সমাজে প্রেমিক থাকা আর বড় কোনো বিষয় নয়। এটি নারীর পরিচয়কে বড়ও করে না, কমায়ও না।

বিবিসি রেডিও–ফোরের উইমেনস আওয়ারে জোসেফ বলেন, ‘অনেক নারী বলেন, বাগ্‌দত্তা থাকা ভালো বা স্বামী থাকা ভালো। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে এমন নয়, আমাদের পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কের সংজ্ঞা নতুনভাবে ভাবতে হবে।’

দক্ষিণ লন্ডনের কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও লেখক স্টেফানি ইয়েবোয়া বলেন, একসময় ইনস্টাগ্রামে নিজের প্রেমিকের ছবি পোস্ট করার সিদ্ধান্তে তিনি অনুতপ্ত হয়েছেন। তিনি ভোগ ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘আমার বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট করার পর প্রচুর মানুষ ইনবক্সে জানালেন, তাঁরা আমাকে আনফলো করেছেন। কারণ, আমি প্রেমে পড়েছি—এটা তাঁদের ভালো লাগেনি।’

ইয়েবোয়া স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘সেদিন প্রায় এক হাজার মানুষ আমাকে আনফলো করেছিল।’ তবে তিনি এটাও বোঝেন, কেন মানুষ এখন প্রেম-সম্পর্কিত কনটেন্টকে বিরক্তিকর মনে করেন।

কিংস কলেজ লন্ডনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিলিয়ান ব্রুকস মনে করেন, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অর্থ উপার্জন করেন, তাঁদের জন্য বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট না করা কনটেন্ট ধারাবাহিকতার প্রশ্ন। কারণ, কনটেন্টের ধারা থেকে সরে গেলে দর্শকভিত্তি বিভ্রান্ত হতে পারে।

কিন্তু শুধু ইনফ্লুয়েন্সার নয়, সাধারণ নারীরাও এখন এ বিষয়ে সতর্ক।

২৫ বছর বয়সী মিলি প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রেম করছেন। সম্প্রতি তাঁর বাগদানও সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না মানুষ ভাবুক, আমি আমার প্রেমিকের ওপর নির্ভরশীল কিংবা সম্পর্কটাই আমার পুরো পরিচয়।’

মিলি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সমাজের খুবই সংকীর্ণ চিত্র তুলে ধরে। যদি আমি শুধু প্রেমিকের সঙ্গে ছবি দিই, মানুষ ভাববে আমি সম্পর্কেই ডুবে আছি।’

২০ বছর বয়সী শার্লট দুই বছর ধরে প্রেম করছেন, কিন্তু তিনি তাঁর বয়ফ্রেন্ড বা তাঁদের সম্পর্কের কোনো ছবি পোস্ট করেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে তেমন ছবি নেই আর যেগুলো আছে, সেগুলো ইনস্টাগ্রামে দেওয়ার মতো মনে হয় না। তা ছাড়া আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের সম্পর্কগুলো বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি গোপনীয়।’

অন্যদিকে, অ্যাথেরা (ছদ্মনাম) ও তাঁর বন্ধুরা তাঁদের সম্পর্ককে ‘ইভিল আই’ বা কুনজর থেকে রক্ষা করতে ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস, ঈর্ষা থেকে আসা কুনজর সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।

মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাজ মনোবিজ্ঞানী ড. গেন্ডোলিন সিডম্যান বলেন, অনলাইনে নিজের জীবনের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে মানুষের এখন বেশি উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, এখন অনেকেই বুঝছেন, একবার কিছু অনলাইনে পোস্ট করলে তা স্থায়ী হয়ে যায়। মুছে ফেললেও পুরোপুরি তা যায় না। তাই মানুষ এখন অনেক বেশি সতর্ক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নভেম্বরের ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর

ফারিয়া রহমান খান 
পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সেগুলো আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। ছবি: পেক্সেলস
পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে। সেগুলো আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। ছবি: পেক্সেলস

নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও আরামদায়ক রঙের ছোঁয়ার সঙ্গে নখে একটা আভিজাত্যের চমক এনে দেয়।

চকলেট ড্রিজেল

‘কফি হাউস’ স্টাইলের এই মেনিকিউরে ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চের সাদা পলিশের বদলে কফি বা মোকা রঙের পলিশ ব্যবহার করা হয়। হালকা শীতে এই রংগুলো স্নিগ্ধ ও রুচিশীল আভা তৈরি করে।

চকলেট ড্রিজেল
চকলেট ড্রিজেল

লাতে নেইল

এটি কফি রঙের আরেকটা চমৎকার ব্যবহার। এখানে ন্যুড বেসের ওপর কফি রঙের টিপস থাকে। টিপসের বেইসের কাছে হালকা ক্রিম রঙের একটা পাতলা বর্ডার দেওয়া হয়, যা দেখতে অনেকটা ফেনার মতো লাগে। এই স্টাইল নখের লুকে একটা কোমল ছোঁয়া দেয়।

লাতে নেইল
লাতে নেইল

অনিক্স ফ্রেঞ্চ টিপস

যাঁরা হালকা বা ন্যুড রঙের পরিবর্তে একটু গাঢ় রং পছন্দ করেন, এই স্টাইল তাঁদের জন্য। এই লুকে নখের টিপসে সাদা রঙের বদলে অনিক্স বা গাঢ় কালো রং ব্যবহার করা হয়। এটি মার্জিত ও আধুনিক লুক দেয় এবং কর্মজীবী নারী থেকে শুরু করে যেকোনো ফ্যাশন-সচেতন মানুষের জন্য এই লুক দারুণ মানিয়ে যায়।

অনিক্স ফ্রেঞ্চ
অনিক্স ফ্রেঞ্চ

ব্ল্যাক চেরি

এই লুকে নখের ডগায় গাঢ় মেরুন বা কালো চেরির মতো রং ব্যবহার করা হয়, যা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এই ‘ভ্যাম্পি’ শেড নখে নিয়ে আসে একধরনের আভিজাত্য ও নাটকীয়তা। এই স্টাইল যেকোনো অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর মানিয়ে যায়।

ব্ল্যাক চেরি
ব্ল্যাক চেরি

ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর

এত এত নতুন স্টাইলের ভিড়েও মেনিকিউরের এই ক্ল্যাসিক স্টাইলের আবেদন এখনো অটুট রয়েছে। ন্যুড বেইজে সাদা টিপসের এই মেনিকিউর ‘স্টিলথ ওয়েলথ’ বা বনেদি আভিজাত্যের প্রতীক। এটি একেবারে ক্ল্যাসিক একটা লুক এবং যেকোনো সময় ও অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।

ক্লাসিক ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর
ক্লাসিক ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর

মেটালিক চারকোল টিপস

এই লুকে নখের সাজে টিপসে ব্যবহার করা হয় চারকোল রঙের মেটালিক বা ধাতব পলিশ। এই স্নিগ্ধ মেটালিক ছোঁয়া নখে দেয় আধুনিক রূপ, যা এই শীতকালের জন্য খুব মানানসই।

মেটালিক চারকোল টিপস
মেটালিক চারকোল টিপস

রিচ জেলি গ্লিটার

এই লুকে নখের টিপসে ব্যবহার করা হয় গাঢ় প্লাম বা বেগুনি রং। এই লুক নখের সাজকে করে মিষ্টি, আকর্ষণীয় এবং একেবারেই ভিন্ন।

রিচ জেলি গ্লিটার
রিচ জেলি গ্লিটার

সলিড গোল্ড টিপস

যাঁরা একটু ভিন্ন ধাঁচের মেনিকিউর পছন্দ করেন, তাঁরা নখের বেইজে ক্রস হ্যাচ নকশা এবং টিপসে সোনালি রং ব্যবহার করে সম্পূর্ণ অনন্য ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর লুক তৈরি করতে পারেন। এই লুক একই সঙ্গে আকর্ষণীয় এবং বোল্ড।

সলিড গোল্ড টিপস
সলিড গোল্ড টিপস

সূত্র ও ছবি: বার্ডি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বা

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০০: ৪৭
ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা
ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা

আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

উপকরণ

জলপাই এক কেজি, চিনি এক কাপ, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া এক টেবিল চামচ।

প্রণালি

জলপাই ভালো করে কেচে ধুয়ে নিন। এবার জলপাই আর চিনি মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন এক ঘণ্টা। জলপাই থেকে চিনির পানি বের হলে চুলায় কম তাপে বসিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। ফুটে উঠলে মরিচগুঁড়া, হলুদগুঁড়া, পাঁচফোড়ন, লবণ ও বিট লবণ দিয়ে রান্না করে হালকা শিরার মতো হয়ে এলে ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত