
পাহাড়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে বা সাপ ও মাকড়সার মতো প্রাণীর কাছাকাছি থাকলে ভয় পায় অনেকেই। তবে কিছু মানুষের জন্য এই ভয়গুলোর প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া বা আতঙ্ক আসলে বিপদের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়। এমন ক্ষেত্রে এসব ব্যক্তির মধ্যে ফোবিয়া বা অহেতুক ভয় দেখা যেতে পারে।
যেকোনো ফোবিয়া একধরনের মানসিক অবস্থা। একটি নির্দিষ্ট বস্তু বা পরিস্থিতি সম্পর্কে অতিরিক্ত ভয় বা উদ্বেগকে ফোবিয়া বলা যায়। সাধারণত কিছু মানুষ মাঝেমধ্যে বলেন, তাদের কোনো কিছু নিয়ে ফোবিয়া রয়েছে, যেটা তারা ভয় বা সতর্কতার সঙ্গে এড়িয়ে চলে। তবে মনোবিজ্ঞানে ভয়কে কখন ফোবিয়া বা মানসিক সমস্যা হিসেবে গণ্য করা হয়, তা নির্ভর করে সেই ভয়টির তীব্রতা এবং এটি ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনকে কতটা প্রভাবিত করে তার ওপর।
ফোবিয়া হিসেবে গণ্য হতে, যেকোনো ভয়কে নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে অনুভূত হতে হয়—অর্থাৎ, যখনই কেউ সেই নির্দিষ্ট বস্তু বা পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন, তখনই সেই ভয় অনুভূত হবে। এটি একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে বাধা সৃষ্টি করতে হবে, যেমন—তাদের শখ, সম্পর্ক বা কাজের ওপর প্রভাব ফেলবে।
কানাডার টরন্টো মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মার্টিন অ্যান্টনি ফোবিয়াগুলোকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেন—
প্রাণী: সব প্রাণী এই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। সাপ ও মাকড়সা সাধারণ অনুঘটক হিসেবে রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাকড়সার প্রতি ফোবিয়া বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যার ২ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রভাবিত করে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ: প্রকৃতির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, যেমন—উচ্চতা, পানি বা বৃষ্টি এবং ঝড়ের ভয় কিছু উদাহরণ। এগুলো প্রকৃতির প্রভাব থেকে সৃষ্টি হওয়া ফোবিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
রক্ত, আঘাত, ইনজেকশন: এই ফোবিয়াগুলো সুঁই, অস্ত্রোপচার, রক্ত বা এ রকম উদ্দীপনার প্রতি ভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে।
অবস্থান বা পরিস্থিতি: এই ফোবিয়াগুলো নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বা পরিবেশে থাকার ভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। গাড়ি চালানো, বিমান ভ্রমণ এবং লিফটের মধ্যে থাকা এর কিছু সাধারণ উদাহরণ।
অন্যান্য: এই ক্যাটাগরিটি এমন সব ফোবিয়া ধারণ করে যা অন্যান্য চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে না। যেমন: ক্লাউন বা সাজানো চরিত্রের প্রতি ভয়। অ্যান্টনি ‘মানুষ যেকোনো কিছু থেকেই ভয় পেতে পারে’।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া পারেলম্যান স্কুল অব মেডিসিনের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সান্দ্রা কেপালডি বলেন, কখনো কখনো ফোবিয়া একটি ট্রমাটিক ঘটনা (দুর্ঘটনা, সহিংসতা, দুর্যোগের শিকার হয়েছেন, মর্মান্তিকভাবে প্রিয় কারও মৃত্যু দেখা) বা প্যানিক অ্যাটাকের (উদ্বেগজনিত মানসিক রোগ) পর তৈরি হয়, যা পরবর্তীকালে ওই পরিস্থিতির নিয়ে নিজের মনে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি গাড়ি চালানোর সময় প্যানিক অ্যাটাক অনুভব করেন, তবে তিনি আবার গাড়ি চালানোর জন্য ভয় পেতে পারেন। কারণ ওই ব্যক্তি ভাববেন যে তিনি আবার প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হবেন এবং দুর্ঘটনা ঘটাতে পারেন।
তবে, কখনো কখনো ফোবিয়া কোনো নির্দিষ্ট অনুঘটক ছাড়াও তৈরি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, এসব ফোবিয়া এমন কিছু নিয়ে হয়ে থাকে যা আসলে বিপজ্জনক—যেমন উচ্চতা থেকে পড়ার ভয়। তবে ব্যক্তির ভয় বাস্তব ঝুঁকির তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়।
মনোবিজ্ঞানী কেপালডি বলেন, ‘এই উদ্বেগ ভয় এর সঙ্গে যুক্ত থাকে। এটি আসলে দুটি বিষয় অতিরিক্তভাবে মূল্যায়ন করে—এক, যে তারা হয়তো কোনো বিশেষ বস্তু বা পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে এবং তারা ফল খারাপ হবে বা আরও তীব্র হবে।
অ্যান্টনি বলেছেন, যারা একধরনের উদ্বেগজনিত রোগে আক্রান্ত, তাদের অন্য কোনো উদ্বেগজনিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই, বিশেষ ফোবিয়া অনেক সময় সাধারণ উদ্বেগ বা প্যানিক ডিজঅর্ডারের সঙ্গে উপস্থিত হতে পারে। কখনো কখনো, এই রোগগুলো একে অপরের সঙ্গে মিশে এমনভাবে মিলিত হয় যে, সেগুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে।
মনোবিজ্ঞানী অ্যান্টনি একবার এমন একজন নারী রোগীকে চিকিৎসা করেছিলেন, যিনি সামাজিক উদ্বেগের পাশাপাশি গাড়ি চালানোর ব্যাপারেও ভয় পেতেন। তবে, তিনি শেষমেশ বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর গাড়ি চালানোর ভয় আসলে কোনো ফোবিয়া নয়। তিনি গাড়ি দুর্ঘটনার ভয় পেতেন না, বরং তিনি ভয় পেতেন যে, অন্যান্য চালকেরা তার চালানো দক্ষতা নিয়ে বিচার করবেন। তার ক্ষেত্রে, গাড়ি চালানোর ভয় তার সামাজিক উদ্বেগের একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল, বিশেষ ফোবিয়া নয়।
অ্যান্টনি আরও বলেন, ‘সব সময় স্পষ্টভাবে রোগ নির্ণয় করা যায় না এবং আপনি সব সময় মানুষ যে পরিস্থিতি নিয়ে ভয় পায়, সেটার ওপর নির্ভর করে বিচার করতে পারবেন না। আপনাকে এটা ভাবতে হবে কেন তারা সেই পরিস্থিতি নিয়ে ভয় পায়।’
সৌভাগ্যবশত, ফোবিয়া দূর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। এ রকম একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ‘এক্সপোজার থেরাপি’, যেখানে রোগী ধীরে ধীরে একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে তাদের ভয় মোকাবিলা করে। উদাহরণস্বরূপ, যে ব্যক্তির সাপের প্রতি ফোবিয়া আছে, তিনি প্রথমে একটি কাগজে সাপের মতো একটি কার্টুন আঁকা রেখা দেখতে পারেন। তারপর সাপের একটি কার্টুন ছবি দেখবেন। এরপর সাপের একটি ছবি এবং অবশেষে বাস্তব সাপের মুখোমুখি হতে পারেন।
এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বোস্টন ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অ্যাংজাইটি অ্যান্ড রিলেটেড ডিজঅর্ডারের মনোবিজ্ঞানী এলেন হেনড্রিকসেন বলেন, ‘আমরা রোগীকে তাদের স্বস্তিকর পরিবেশের বাইরে ঠেলে দিতে চাই, কিন্তু প্যানিক জোনে নয়। এই দুইয়ের মধ্যে যে অঞ্চলটি আছে, সেটাকেই আমি “শিক্ষণ ক্ষেত্র” বলি। আমরা এমন কিছু করি যা একটু কঠিন এবং তা আমাদের উদ্বেগকে উদ্দীপিত করে। এরপর যখন ভীতিকর ফলাফলটি ঘটে না, তখন আমাদের ভয়টি দুর্বল হয়।’
এই প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ রোগীর হাতে থাকে। এখানে রোগী কোনো উদ্দীপনার মাধ্যমে অবাক হয় না এবং তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে কীভাবে তারা এগিয়ে যেতে চায়। রোগীরা থেরাপিস্টের অফিসে চিকিৎসা শুরু করতে পারে এবং ধীরে ধীরে বাস্তব জগতে চলে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লিফটের প্রতি ফোবিয়া থাকলে, একজন রোগী প্রথমে লিফটের ছবি বা ভিডিও দেখতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে তারা নিজে একটি বাস্তব লিফটে উঠতে পারে।
এই প্রক্রিয়ার পুরোটা সময় রোগীকে তাদের উদ্বেগ পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে মনোবিজ্ঞানীরা, তবে তাদের আতঙ্কের মধ্যে রাখা হয় না।
কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে, মনোবিজ্ঞানীরা এক্সপোজার থেরাপির সঙ্গে অতিরিক্ত একটি থেরাপি সুপারিশ করতে পারেন। অ্যান্টনি বলেছেন, এটি সাধারণত রক্ত, আঘাত বা ইনজেকশনের ভয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। রক্তের ফোবিয়া থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ এবং ইনজেকশনের সুঁইয়ের ফোবিয়া থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে অর্ধেকের মতো মানুষ অচেতন হয়ে যাওয়ার ভয় অনুভব করেন। এটি ভ্যাসোভ্যাগাল প্রতিক্রিয়া নামে পরিচিত। এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রতিক্রিয়ার কারণে হয়। যারা বেশি অচেতন বা অজ্ঞান হয়ে যান, তাদের মধ্যে সাধারণত এই ফোবিয়াকে আরও শক্তিশালী হয়। অন্য কথায়, তাদের পরিস্থিতির প্রতি ভয়টি তখন সত্যিই প্রমাণিত হয় যখন তারা আসলেই অজ্ঞান হয়ে যান। তাই, এই ক্ষেত্রে রোগী একটি কৌশলও অনুশীলন করতে পারেন, যা ‘অ্যাপ্লাইড মাসল টেনশন’ নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট পেশি শক্ত করা হয়, যাতে ভ্যাসোভ্যাগাল প্রতিক্রিয়া কমে যায় এবং অচেতন ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

পাহাড়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে বা সাপ ও মাকড়সার মতো প্রাণীর কাছাকাছি থাকলে ভয় পায় অনেকেই। তবে কিছু মানুষের জন্য এই ভয়গুলোর প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া বা আতঙ্ক আসলে বিপদের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়। এমন ক্ষেত্রে এসব ব্যক্তির মধ্যে ফোবিয়া বা অহেতুক ভয় দেখা যেতে পারে।
যেকোনো ফোবিয়া একধরনের মানসিক অবস্থা। একটি নির্দিষ্ট বস্তু বা পরিস্থিতি সম্পর্কে অতিরিক্ত ভয় বা উদ্বেগকে ফোবিয়া বলা যায়। সাধারণত কিছু মানুষ মাঝেমধ্যে বলেন, তাদের কোনো কিছু নিয়ে ফোবিয়া রয়েছে, যেটা তারা ভয় বা সতর্কতার সঙ্গে এড়িয়ে চলে। তবে মনোবিজ্ঞানে ভয়কে কখন ফোবিয়া বা মানসিক সমস্যা হিসেবে গণ্য করা হয়, তা নির্ভর করে সেই ভয়টির তীব্রতা এবং এটি ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনকে কতটা প্রভাবিত করে তার ওপর।
ফোবিয়া হিসেবে গণ্য হতে, যেকোনো ভয়কে নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে অনুভূত হতে হয়—অর্থাৎ, যখনই কেউ সেই নির্দিষ্ট বস্তু বা পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন, তখনই সেই ভয় অনুভূত হবে। এটি একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে বাধা সৃষ্টি করতে হবে, যেমন—তাদের শখ, সম্পর্ক বা কাজের ওপর প্রভাব ফেলবে।
কানাডার টরন্টো মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মার্টিন অ্যান্টনি ফোবিয়াগুলোকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেন—
প্রাণী: সব প্রাণী এই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। সাপ ও মাকড়সা সাধারণ অনুঘটক হিসেবে রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাকড়সার প্রতি ফোবিয়া বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যার ২ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রভাবিত করে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ: প্রকৃতির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, যেমন—উচ্চতা, পানি বা বৃষ্টি এবং ঝড়ের ভয় কিছু উদাহরণ। এগুলো প্রকৃতির প্রভাব থেকে সৃষ্টি হওয়া ফোবিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
রক্ত, আঘাত, ইনজেকশন: এই ফোবিয়াগুলো সুঁই, অস্ত্রোপচার, রক্ত বা এ রকম উদ্দীপনার প্রতি ভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে।
অবস্থান বা পরিস্থিতি: এই ফোবিয়াগুলো নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বা পরিবেশে থাকার ভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। গাড়ি চালানো, বিমান ভ্রমণ এবং লিফটের মধ্যে থাকা এর কিছু সাধারণ উদাহরণ।
অন্যান্য: এই ক্যাটাগরিটি এমন সব ফোবিয়া ধারণ করে যা অন্যান্য চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে না। যেমন: ক্লাউন বা সাজানো চরিত্রের প্রতি ভয়। অ্যান্টনি ‘মানুষ যেকোনো কিছু থেকেই ভয় পেতে পারে’।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া পারেলম্যান স্কুল অব মেডিসিনের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সান্দ্রা কেপালডি বলেন, কখনো কখনো ফোবিয়া একটি ট্রমাটিক ঘটনা (দুর্ঘটনা, সহিংসতা, দুর্যোগের শিকার হয়েছেন, মর্মান্তিকভাবে প্রিয় কারও মৃত্যু দেখা) বা প্যানিক অ্যাটাকের (উদ্বেগজনিত মানসিক রোগ) পর তৈরি হয়, যা পরবর্তীকালে ওই পরিস্থিতির নিয়ে নিজের মনে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি গাড়ি চালানোর সময় প্যানিক অ্যাটাক অনুভব করেন, তবে তিনি আবার গাড়ি চালানোর জন্য ভয় পেতে পারেন। কারণ ওই ব্যক্তি ভাববেন যে তিনি আবার প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হবেন এবং দুর্ঘটনা ঘটাতে পারেন।
তবে, কখনো কখনো ফোবিয়া কোনো নির্দিষ্ট অনুঘটক ছাড়াও তৈরি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, এসব ফোবিয়া এমন কিছু নিয়ে হয়ে থাকে যা আসলে বিপজ্জনক—যেমন উচ্চতা থেকে পড়ার ভয়। তবে ব্যক্তির ভয় বাস্তব ঝুঁকির তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়।
মনোবিজ্ঞানী কেপালডি বলেন, ‘এই উদ্বেগ ভয় এর সঙ্গে যুক্ত থাকে। এটি আসলে দুটি বিষয় অতিরিক্তভাবে মূল্যায়ন করে—এক, যে তারা হয়তো কোনো বিশেষ বস্তু বা পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে এবং তারা ফল খারাপ হবে বা আরও তীব্র হবে।
অ্যান্টনি বলেছেন, যারা একধরনের উদ্বেগজনিত রোগে আক্রান্ত, তাদের অন্য কোনো উদ্বেগজনিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই, বিশেষ ফোবিয়া অনেক সময় সাধারণ উদ্বেগ বা প্যানিক ডিজঅর্ডারের সঙ্গে উপস্থিত হতে পারে। কখনো কখনো, এই রোগগুলো একে অপরের সঙ্গে মিশে এমনভাবে মিলিত হয় যে, সেগুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে।
মনোবিজ্ঞানী অ্যান্টনি একবার এমন একজন নারী রোগীকে চিকিৎসা করেছিলেন, যিনি সামাজিক উদ্বেগের পাশাপাশি গাড়ি চালানোর ব্যাপারেও ভয় পেতেন। তবে, তিনি শেষমেশ বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর গাড়ি চালানোর ভয় আসলে কোনো ফোবিয়া নয়। তিনি গাড়ি দুর্ঘটনার ভয় পেতেন না, বরং তিনি ভয় পেতেন যে, অন্যান্য চালকেরা তার চালানো দক্ষতা নিয়ে বিচার করবেন। তার ক্ষেত্রে, গাড়ি চালানোর ভয় তার সামাজিক উদ্বেগের একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল, বিশেষ ফোবিয়া নয়।
অ্যান্টনি আরও বলেন, ‘সব সময় স্পষ্টভাবে রোগ নির্ণয় করা যায় না এবং আপনি সব সময় মানুষ যে পরিস্থিতি নিয়ে ভয় পায়, সেটার ওপর নির্ভর করে বিচার করতে পারবেন না। আপনাকে এটা ভাবতে হবে কেন তারা সেই পরিস্থিতি নিয়ে ভয় পায়।’
সৌভাগ্যবশত, ফোবিয়া দূর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। এ রকম একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ‘এক্সপোজার থেরাপি’, যেখানে রোগী ধীরে ধীরে একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে তাদের ভয় মোকাবিলা করে। উদাহরণস্বরূপ, যে ব্যক্তির সাপের প্রতি ফোবিয়া আছে, তিনি প্রথমে একটি কাগজে সাপের মতো একটি কার্টুন আঁকা রেখা দেখতে পারেন। তারপর সাপের একটি কার্টুন ছবি দেখবেন। এরপর সাপের একটি ছবি এবং অবশেষে বাস্তব সাপের মুখোমুখি হতে পারেন।
এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বোস্টন ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অ্যাংজাইটি অ্যান্ড রিলেটেড ডিজঅর্ডারের মনোবিজ্ঞানী এলেন হেনড্রিকসেন বলেন, ‘আমরা রোগীকে তাদের স্বস্তিকর পরিবেশের বাইরে ঠেলে দিতে চাই, কিন্তু প্যানিক জোনে নয়। এই দুইয়ের মধ্যে যে অঞ্চলটি আছে, সেটাকেই আমি “শিক্ষণ ক্ষেত্র” বলি। আমরা এমন কিছু করি যা একটু কঠিন এবং তা আমাদের উদ্বেগকে উদ্দীপিত করে। এরপর যখন ভীতিকর ফলাফলটি ঘটে না, তখন আমাদের ভয়টি দুর্বল হয়।’
এই প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ রোগীর হাতে থাকে। এখানে রোগী কোনো উদ্দীপনার মাধ্যমে অবাক হয় না এবং তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে কীভাবে তারা এগিয়ে যেতে চায়। রোগীরা থেরাপিস্টের অফিসে চিকিৎসা শুরু করতে পারে এবং ধীরে ধীরে বাস্তব জগতে চলে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লিফটের প্রতি ফোবিয়া থাকলে, একজন রোগী প্রথমে লিফটের ছবি বা ভিডিও দেখতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে তারা নিজে একটি বাস্তব লিফটে উঠতে পারে।
এই প্রক্রিয়ার পুরোটা সময় রোগীকে তাদের উদ্বেগ পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে মনোবিজ্ঞানীরা, তবে তাদের আতঙ্কের মধ্যে রাখা হয় না।
কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে, মনোবিজ্ঞানীরা এক্সপোজার থেরাপির সঙ্গে অতিরিক্ত একটি থেরাপি সুপারিশ করতে পারেন। অ্যান্টনি বলেছেন, এটি সাধারণত রক্ত, আঘাত বা ইনজেকশনের ভয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। রক্তের ফোবিয়া থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ এবং ইনজেকশনের সুঁইয়ের ফোবিয়া থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে অর্ধেকের মতো মানুষ অচেতন হয়ে যাওয়ার ভয় অনুভব করেন। এটি ভ্যাসোভ্যাগাল প্রতিক্রিয়া নামে পরিচিত। এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রতিক্রিয়ার কারণে হয়। যারা বেশি অচেতন বা অজ্ঞান হয়ে যান, তাদের মধ্যে সাধারণত এই ফোবিয়াকে আরও শক্তিশালী হয়। অন্য কথায়, তাদের পরিস্থিতির প্রতি ভয়টি তখন সত্যিই প্রমাণিত হয় যখন তারা আসলেই অজ্ঞান হয়ে যান। তাই, এই ক্ষেত্রে রোগী একটি কৌশলও অনুশীলন করতে পারেন, যা ‘অ্যাপ্লাইড মাসল টেনশন’ নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট পেশি শক্ত করা হয়, যাতে ভ্যাসোভ্যাগাল প্রতিক্রিয়া কমে যায় এবং অচেতন ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

পাহাড়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে বা সাপ ও মাকড়সার মতো প্রাণীর কাছাকাছি থাকলে ভয় পায় অনেকেই। তবে কিছু মানুষের জন্য এই ভয়গুলোর প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া বা আতঙ্ক আসলে বিপদের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়। এমন ক্ষেত্রে এসব ব্যক্তির মধ্যে ফোবিয়া বা অহেতুক ভয় দেখা যেতে পারে।
যেকোনো ফোবিয়া একধরনের মানসিক অবস্থা। একটি নির্দিষ্ট বস্তু বা পরিস্থিতি সম্পর্কে অতিরিক্ত ভয় বা উদ্বেগকে ফোবিয়া বলা যায়। সাধারণত কিছু মানুষ মাঝেমধ্যে বলেন, তাদের কোনো কিছু নিয়ে ফোবিয়া রয়েছে, যেটা তারা ভয় বা সতর্কতার সঙ্গে এড়িয়ে চলে। তবে মনোবিজ্ঞানে ভয়কে কখন ফোবিয়া বা মানসিক সমস্যা হিসেবে গণ্য করা হয়, তা নির্ভর করে সেই ভয়টির তীব্রতা এবং এটি ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনকে কতটা প্রভাবিত করে তার ওপর।
ফোবিয়া হিসেবে গণ্য হতে, যেকোনো ভয়কে নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে অনুভূত হতে হয়—অর্থাৎ, যখনই কেউ সেই নির্দিষ্ট বস্তু বা পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন, তখনই সেই ভয় অনুভূত হবে। এটি একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে বাধা সৃষ্টি করতে হবে, যেমন—তাদের শখ, সম্পর্ক বা কাজের ওপর প্রভাব ফেলবে।
কানাডার টরন্টো মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মার্টিন অ্যান্টনি ফোবিয়াগুলোকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেন—
প্রাণী: সব প্রাণী এই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। সাপ ও মাকড়সা সাধারণ অনুঘটক হিসেবে রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাকড়সার প্রতি ফোবিয়া বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যার ২ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রভাবিত করে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ: প্রকৃতির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, যেমন—উচ্চতা, পানি বা বৃষ্টি এবং ঝড়ের ভয় কিছু উদাহরণ। এগুলো প্রকৃতির প্রভাব থেকে সৃষ্টি হওয়া ফোবিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
রক্ত, আঘাত, ইনজেকশন: এই ফোবিয়াগুলো সুঁই, অস্ত্রোপচার, রক্ত বা এ রকম উদ্দীপনার প্রতি ভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে।
অবস্থান বা পরিস্থিতি: এই ফোবিয়াগুলো নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বা পরিবেশে থাকার ভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। গাড়ি চালানো, বিমান ভ্রমণ এবং লিফটের মধ্যে থাকা এর কিছু সাধারণ উদাহরণ।
অন্যান্য: এই ক্যাটাগরিটি এমন সব ফোবিয়া ধারণ করে যা অন্যান্য চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে না। যেমন: ক্লাউন বা সাজানো চরিত্রের প্রতি ভয়। অ্যান্টনি ‘মানুষ যেকোনো কিছু থেকেই ভয় পেতে পারে’।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া পারেলম্যান স্কুল অব মেডিসিনের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সান্দ্রা কেপালডি বলেন, কখনো কখনো ফোবিয়া একটি ট্রমাটিক ঘটনা (দুর্ঘটনা, সহিংসতা, দুর্যোগের শিকার হয়েছেন, মর্মান্তিকভাবে প্রিয় কারও মৃত্যু দেখা) বা প্যানিক অ্যাটাকের (উদ্বেগজনিত মানসিক রোগ) পর তৈরি হয়, যা পরবর্তীকালে ওই পরিস্থিতির নিয়ে নিজের মনে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি গাড়ি চালানোর সময় প্যানিক অ্যাটাক অনুভব করেন, তবে তিনি আবার গাড়ি চালানোর জন্য ভয় পেতে পারেন। কারণ ওই ব্যক্তি ভাববেন যে তিনি আবার প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হবেন এবং দুর্ঘটনা ঘটাতে পারেন।
তবে, কখনো কখনো ফোবিয়া কোনো নির্দিষ্ট অনুঘটক ছাড়াও তৈরি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, এসব ফোবিয়া এমন কিছু নিয়ে হয়ে থাকে যা আসলে বিপজ্জনক—যেমন উচ্চতা থেকে পড়ার ভয়। তবে ব্যক্তির ভয় বাস্তব ঝুঁকির তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়।
মনোবিজ্ঞানী কেপালডি বলেন, ‘এই উদ্বেগ ভয় এর সঙ্গে যুক্ত থাকে। এটি আসলে দুটি বিষয় অতিরিক্তভাবে মূল্যায়ন করে—এক, যে তারা হয়তো কোনো বিশেষ বস্তু বা পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে এবং তারা ফল খারাপ হবে বা আরও তীব্র হবে।
অ্যান্টনি বলেছেন, যারা একধরনের উদ্বেগজনিত রোগে আক্রান্ত, তাদের অন্য কোনো উদ্বেগজনিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই, বিশেষ ফোবিয়া অনেক সময় সাধারণ উদ্বেগ বা প্যানিক ডিজঅর্ডারের সঙ্গে উপস্থিত হতে পারে। কখনো কখনো, এই রোগগুলো একে অপরের সঙ্গে মিশে এমনভাবে মিলিত হয় যে, সেগুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে।
মনোবিজ্ঞানী অ্যান্টনি একবার এমন একজন নারী রোগীকে চিকিৎসা করেছিলেন, যিনি সামাজিক উদ্বেগের পাশাপাশি গাড়ি চালানোর ব্যাপারেও ভয় পেতেন। তবে, তিনি শেষমেশ বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর গাড়ি চালানোর ভয় আসলে কোনো ফোবিয়া নয়। তিনি গাড়ি দুর্ঘটনার ভয় পেতেন না, বরং তিনি ভয় পেতেন যে, অন্যান্য চালকেরা তার চালানো দক্ষতা নিয়ে বিচার করবেন। তার ক্ষেত্রে, গাড়ি চালানোর ভয় তার সামাজিক উদ্বেগের একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল, বিশেষ ফোবিয়া নয়।
অ্যান্টনি আরও বলেন, ‘সব সময় স্পষ্টভাবে রোগ নির্ণয় করা যায় না এবং আপনি সব সময় মানুষ যে পরিস্থিতি নিয়ে ভয় পায়, সেটার ওপর নির্ভর করে বিচার করতে পারবেন না। আপনাকে এটা ভাবতে হবে কেন তারা সেই পরিস্থিতি নিয়ে ভয় পায়।’
সৌভাগ্যবশত, ফোবিয়া দূর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। এ রকম একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ‘এক্সপোজার থেরাপি’, যেখানে রোগী ধীরে ধীরে একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে তাদের ভয় মোকাবিলা করে। উদাহরণস্বরূপ, যে ব্যক্তির সাপের প্রতি ফোবিয়া আছে, তিনি প্রথমে একটি কাগজে সাপের মতো একটি কার্টুন আঁকা রেখা দেখতে পারেন। তারপর সাপের একটি কার্টুন ছবি দেখবেন। এরপর সাপের একটি ছবি এবং অবশেষে বাস্তব সাপের মুখোমুখি হতে পারেন।
এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বোস্টন ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অ্যাংজাইটি অ্যান্ড রিলেটেড ডিজঅর্ডারের মনোবিজ্ঞানী এলেন হেনড্রিকসেন বলেন, ‘আমরা রোগীকে তাদের স্বস্তিকর পরিবেশের বাইরে ঠেলে দিতে চাই, কিন্তু প্যানিক জোনে নয়। এই দুইয়ের মধ্যে যে অঞ্চলটি আছে, সেটাকেই আমি “শিক্ষণ ক্ষেত্র” বলি। আমরা এমন কিছু করি যা একটু কঠিন এবং তা আমাদের উদ্বেগকে উদ্দীপিত করে। এরপর যখন ভীতিকর ফলাফলটি ঘটে না, তখন আমাদের ভয়টি দুর্বল হয়।’
এই প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ রোগীর হাতে থাকে। এখানে রোগী কোনো উদ্দীপনার মাধ্যমে অবাক হয় না এবং তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে কীভাবে তারা এগিয়ে যেতে চায়। রোগীরা থেরাপিস্টের অফিসে চিকিৎসা শুরু করতে পারে এবং ধীরে ধীরে বাস্তব জগতে চলে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লিফটের প্রতি ফোবিয়া থাকলে, একজন রোগী প্রথমে লিফটের ছবি বা ভিডিও দেখতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে তারা নিজে একটি বাস্তব লিফটে উঠতে পারে।
এই প্রক্রিয়ার পুরোটা সময় রোগীকে তাদের উদ্বেগ পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে মনোবিজ্ঞানীরা, তবে তাদের আতঙ্কের মধ্যে রাখা হয় না।
কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে, মনোবিজ্ঞানীরা এক্সপোজার থেরাপির সঙ্গে অতিরিক্ত একটি থেরাপি সুপারিশ করতে পারেন। অ্যান্টনি বলেছেন, এটি সাধারণত রক্ত, আঘাত বা ইনজেকশনের ভয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। রক্তের ফোবিয়া থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ এবং ইনজেকশনের সুঁইয়ের ফোবিয়া থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে অর্ধেকের মতো মানুষ অচেতন হয়ে যাওয়ার ভয় অনুভব করেন। এটি ভ্যাসোভ্যাগাল প্রতিক্রিয়া নামে পরিচিত। এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রতিক্রিয়ার কারণে হয়। যারা বেশি অচেতন বা অজ্ঞান হয়ে যান, তাদের মধ্যে সাধারণত এই ফোবিয়াকে আরও শক্তিশালী হয়। অন্য কথায়, তাদের পরিস্থিতির প্রতি ভয়টি তখন সত্যিই প্রমাণিত হয় যখন তারা আসলেই অজ্ঞান হয়ে যান। তাই, এই ক্ষেত্রে রোগী একটি কৌশলও অনুশীলন করতে পারেন, যা ‘অ্যাপ্লাইড মাসল টেনশন’ নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট পেশি শক্ত করা হয়, যাতে ভ্যাসোভ্যাগাল প্রতিক্রিয়া কমে যায় এবং অচেতন ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

পাহাড়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে বা সাপ ও মাকড়সার মতো প্রাণীর কাছাকাছি থাকলে ভয় পায় অনেকেই। তবে কিছু মানুষের জন্য এই ভয়গুলোর প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া বা আতঙ্ক আসলে বিপদের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়। এমন ক্ষেত্রে এসব ব্যক্তির মধ্যে ফোবিয়া বা অহেতুক ভয় দেখা যেতে পারে।
যেকোনো ফোবিয়া একধরনের মানসিক অবস্থা। একটি নির্দিষ্ট বস্তু বা পরিস্থিতি সম্পর্কে অতিরিক্ত ভয় বা উদ্বেগকে ফোবিয়া বলা যায়। সাধারণত কিছু মানুষ মাঝেমধ্যে বলেন, তাদের কোনো কিছু নিয়ে ফোবিয়া রয়েছে, যেটা তারা ভয় বা সতর্কতার সঙ্গে এড়িয়ে চলে। তবে মনোবিজ্ঞানে ভয়কে কখন ফোবিয়া বা মানসিক সমস্যা হিসেবে গণ্য করা হয়, তা নির্ভর করে সেই ভয়টির তীব্রতা এবং এটি ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনকে কতটা প্রভাবিত করে তার ওপর।
ফোবিয়া হিসেবে গণ্য হতে, যেকোনো ভয়কে নিয়মিত ও ধারাবাহিকভাবে অনুভূত হতে হয়—অর্থাৎ, যখনই কেউ সেই নির্দিষ্ট বস্তু বা পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন, তখনই সেই ভয় অনুভূত হবে। এটি একজন ব্যক্তির দৈনন্দিন জীবনে বাধা সৃষ্টি করতে হবে, যেমন—তাদের শখ, সম্পর্ক বা কাজের ওপর প্রভাব ফেলবে।
কানাডার টরন্টো মেট্রোপলিটান ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট মার্টিন অ্যান্টনি ফোবিয়াগুলোকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করেন—
প্রাণী: সব প্রাণী এই ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে। সাপ ও মাকড়সা সাধারণ অনুঘটক হিসেবে রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, মাকড়সার প্রতি ফোবিয়া বিভিন্ন দেশে জনসংখ্যার ২ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত প্রভাবিত করে।
প্রাকৃতিক পরিবেশ: প্রকৃতির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, যেমন—উচ্চতা, পানি বা বৃষ্টি এবং ঝড়ের ভয় কিছু উদাহরণ। এগুলো প্রকৃতির প্রভাব থেকে সৃষ্টি হওয়া ফোবিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
রক্ত, আঘাত, ইনজেকশন: এই ফোবিয়াগুলো সুঁই, অস্ত্রোপচার, রক্ত বা এ রকম উদ্দীপনার প্রতি ভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে।
অবস্থান বা পরিস্থিতি: এই ফোবিয়াগুলো নির্দিষ্ট পরিস্থিতি বা পরিবেশে থাকার ভয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। গাড়ি চালানো, বিমান ভ্রমণ এবং লিফটের মধ্যে থাকা এর কিছু সাধারণ উদাহরণ।
অন্যান্য: এই ক্যাটাগরিটি এমন সব ফোবিয়া ধারণ করে যা অন্যান্য চারটি ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে না। যেমন: ক্লাউন বা সাজানো চরিত্রের প্রতি ভয়। অ্যান্টনি ‘মানুষ যেকোনো কিছু থেকেই ভয় পেতে পারে’।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া পারেলম্যান স্কুল অব মেডিসিনের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সান্দ্রা কেপালডি বলেন, কখনো কখনো ফোবিয়া একটি ট্রমাটিক ঘটনা (দুর্ঘটনা, সহিংসতা, দুর্যোগের শিকার হয়েছেন, মর্মান্তিকভাবে প্রিয় কারও মৃত্যু দেখা) বা প্যানিক অ্যাটাকের (উদ্বেগজনিত মানসিক রোগ) পর তৈরি হয়, যা পরবর্তীকালে ওই পরিস্থিতির নিয়ে নিজের মনে এক ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি করে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি গাড়ি চালানোর সময় প্যানিক অ্যাটাক অনুভব করেন, তবে তিনি আবার গাড়ি চালানোর জন্য ভয় পেতে পারেন। কারণ ওই ব্যক্তি ভাববেন যে তিনি আবার প্যানিক অ্যাটাকের শিকার হবেন এবং দুর্ঘটনা ঘটাতে পারেন।
তবে, কখনো কখনো ফোবিয়া কোনো নির্দিষ্ট অনুঘটক ছাড়াও তৈরি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে, এসব ফোবিয়া এমন কিছু নিয়ে হয়ে থাকে যা আসলে বিপজ্জনক—যেমন উচ্চতা থেকে পড়ার ভয়। তবে ব্যক্তির ভয় বাস্তব ঝুঁকির তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়।
মনোবিজ্ঞানী কেপালডি বলেন, ‘এই উদ্বেগ ভয় এর সঙ্গে যুক্ত থাকে। এটি আসলে দুটি বিষয় অতিরিক্তভাবে মূল্যায়ন করে—এক, যে তারা হয়তো কোনো বিশেষ বস্তু বা পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে এবং তারা ফল খারাপ হবে বা আরও তীব্র হবে।
অ্যান্টনি বলেছেন, যারা একধরনের উদ্বেগজনিত রোগে আক্রান্ত, তাদের অন্য কোনো উদ্বেগজনিত রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই, বিশেষ ফোবিয়া অনেক সময় সাধারণ উদ্বেগ বা প্যানিক ডিজঅর্ডারের সঙ্গে উপস্থিত হতে পারে। কখনো কখনো, এই রোগগুলো একে অপরের সঙ্গে মিশে এমনভাবে মিলিত হয় যে, সেগুলো সঠিকভাবে নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে।
মনোবিজ্ঞানী অ্যান্টনি একবার এমন একজন নারী রোগীকে চিকিৎসা করেছিলেন, যিনি সামাজিক উদ্বেগের পাশাপাশি গাড়ি চালানোর ব্যাপারেও ভয় পেতেন। তবে, তিনি শেষমেশ বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর গাড়ি চালানোর ভয় আসলে কোনো ফোবিয়া নয়। তিনি গাড়ি দুর্ঘটনার ভয় পেতেন না, বরং তিনি ভয় পেতেন যে, অন্যান্য চালকেরা তার চালানো দক্ষতা নিয়ে বিচার করবেন। তার ক্ষেত্রে, গাড়ি চালানোর ভয় তার সামাজিক উদ্বেগের একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল, বিশেষ ফোবিয়া নয়।
অ্যান্টনি আরও বলেন, ‘সব সময় স্পষ্টভাবে রোগ নির্ণয় করা যায় না এবং আপনি সব সময় মানুষ যে পরিস্থিতি নিয়ে ভয় পায়, সেটার ওপর নির্ভর করে বিচার করতে পারবেন না। আপনাকে এটা ভাবতে হবে কেন তারা সেই পরিস্থিতি নিয়ে ভয় পায়।’
সৌভাগ্যবশত, ফোবিয়া দূর করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। এ রকম একটি চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ‘এক্সপোজার থেরাপি’, যেখানে রোগী ধীরে ধীরে একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে তাদের ভয় মোকাবিলা করে। উদাহরণস্বরূপ, যে ব্যক্তির সাপের প্রতি ফোবিয়া আছে, তিনি প্রথমে একটি কাগজে সাপের মতো একটি কার্টুন আঁকা রেখা দেখতে পারেন। তারপর সাপের একটি কার্টুন ছবি দেখবেন। এরপর সাপের একটি ছবি এবং অবশেষে বাস্তব সাপের মুখোমুখি হতে পারেন।
এই চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে বোস্টন ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর অ্যাংজাইটি অ্যান্ড রিলেটেড ডিজঅর্ডারের মনোবিজ্ঞানী এলেন হেনড্রিকসেন বলেন, ‘আমরা রোগীকে তাদের স্বস্তিকর পরিবেশের বাইরে ঠেলে দিতে চাই, কিন্তু প্যানিক জোনে নয়। এই দুইয়ের মধ্যে যে অঞ্চলটি আছে, সেটাকেই আমি “শিক্ষণ ক্ষেত্র” বলি। আমরা এমন কিছু করি যা একটু কঠিন এবং তা আমাদের উদ্বেগকে উদ্দীপিত করে। এরপর যখন ভীতিকর ফলাফলটি ঘটে না, তখন আমাদের ভয়টি দুর্বল হয়।’
এই প্রক্রিয়ায় নিয়ন্ত্রণ রোগীর হাতে থাকে। এখানে রোগী কোনো উদ্দীপনার মাধ্যমে অবাক হয় না এবং তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারে কীভাবে তারা এগিয়ে যেতে চায়। রোগীরা থেরাপিস্টের অফিসে চিকিৎসা শুরু করতে পারে এবং ধীরে ধীরে বাস্তব জগতে চলে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, লিফটের প্রতি ফোবিয়া থাকলে, একজন রোগী প্রথমে লিফটের ছবি বা ভিডিও দেখতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে তারা নিজে একটি বাস্তব লিফটে উঠতে পারে।
এই প্রক্রিয়ার পুরোটা সময় রোগীকে তাদের উদ্বেগ পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে মনোবিজ্ঞানীরা, তবে তাদের আতঙ্কের মধ্যে রাখা হয় না।
কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে, মনোবিজ্ঞানীরা এক্সপোজার থেরাপির সঙ্গে অতিরিক্ত একটি থেরাপি সুপারিশ করতে পারেন। অ্যান্টনি বলেছেন, এটি সাধারণত রক্ত, আঘাত বা ইনজেকশনের ভয়গুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। রক্তের ফোবিয়া থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ এবং ইনজেকশনের সুঁইয়ের ফোবিয়া থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে অর্ধেকের মতো মানুষ অচেতন হয়ে যাওয়ার ভয় অনুভব করেন। এটি ভ্যাসোভ্যাগাল প্রতিক্রিয়া নামে পরিচিত। এটি একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রতিক্রিয়ার কারণে হয়। যারা বেশি অচেতন বা অজ্ঞান হয়ে যান, তাদের মধ্যে সাধারণত এই ফোবিয়াকে আরও শক্তিশালী হয়। অন্য কথায়, তাদের পরিস্থিতির প্রতি ভয়টি তখন সত্যিই প্রমাণিত হয় যখন তারা আসলেই অজ্ঞান হয়ে যান। তাই, এই ক্ষেত্রে রোগী একটি কৌশলও অনুশীলন করতে পারেন, যা ‘অ্যাপ্লাইড মাসল টেনশন’ নামে পরিচিত। এর মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট পেশি শক্ত করা হয়, যাতে ভ্যাসোভ্যাগাল প্রতিক্রিয়া কমে যায় এবং অচেতন ঘটনা প্রতিরোধ করা যায়।
তথ্যসূত্র: লাইভ সায়েন্স

ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
৭ ঘণ্টা আগে
নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও...
১১ ঘণ্টা আগে
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৯ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
২৪ বছর বয়সী তাওয়ানার প্রোফাইলে তাঁর প্রেমিকের উপস্থিতি বোঝা যায় শুধুই ইঙ্গিতে—হয়তো কোনো ছবিতে মাথার পেছন দিক কিংবা রাতের ডিনারে দুই গ্লাস ওয়াইনের ঠোকাঠুকি। কিন্তু প্রেমিকের মুখ প্রকাশের কোনো ইচ্ছে তাঁর নেই।
তাওয়ানা বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আমি শক্তিশালী ও স্বনির্ভর হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাই। যেন মনে হয়—আমার সবকিছু আমি নিজেই করেছি।’
অনলাইনে তাওয়ানার প্রেমিকের কোনো স্থান নেই। তাঁর ভাষায়, ‘আমার জীবনের কোনো অংশ পুরুষের সাহায্যে গড়ে উঠেছে—এমন ধারণা আমি দিতে চাই না। নিজের অর্জন নিজের বলেই দেখাতে ভালো লাগে।’
এমনকি সম্পর্ক আরও গভীর হলেও তিনি এই মত পাল্টাবেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাগদান হয়ে গেলেও আমি সম্পর্ক নিয়ে পোস্ট করব না।’
এখন প্রশ্ন হতে পারে, বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?
তাওয়ানার মতো অনেক নারীই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সম্পর্ক ‘হার্ড লঞ্চ’ বা প্রকাশ করতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এই প্রবণতা এতটাই আলোচনায় এসেছে যে, গত মাসে ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিন প্রকাশ করে একটি ভাইরাল নিবন্ধ, যার শিরোনাম ছিল ‘বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?’ (Is Having a Boyfriend Embarrassing Now?)
সেই লেখায় সাংবাদিক চান্তে জোসেফ বলেন, এখনকার তরুণীরা তাঁদের সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবছেন। তাঁরা চান প্রেমিক থাকার সামাজিক মর্যাদা বা সুবিধা পেতে, কিন্তু একই সঙ্গে ‘বয়ফ্রেন্ড-অবসেসড’ বা প্রেমিকনির্ভর বলে মনে হোক—তা চান না।
জোসেফ লিখেছেন, এখন কারও প্রেমিককে নিয়ে ঘন ঘন পোস্ট করা অনেকের কাছে ‘ক্রিঞ্জ’ বা বিব্রতকর মনে হয়, এমনকি ‘সাংস্কৃতিকভাবে অপ্রয়োজনীয়’ বলেও ধরা হয়।
জোসেফ বলেন, আজকের সমাজে প্রেমিক থাকা আর বড় কোনো বিষয় নয়। এটি নারীর পরিচয়কে বড়ও করে না, কমায়ও না।
বিবিসি রেডিও–ফোরের উইমেনস আওয়ারে জোসেফ বলেন, ‘অনেক নারী বলেন, বাগ্দত্তা থাকা ভালো বা স্বামী থাকা ভালো। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে এমন নয়, আমাদের পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কের সংজ্ঞা নতুনভাবে ভাবতে হবে।’
দক্ষিণ লন্ডনের কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও লেখক স্টেফানি ইয়েবোয়া বলেন, একসময় ইনস্টাগ্রামে নিজের প্রেমিকের ছবি পোস্ট করার সিদ্ধান্তে তিনি অনুতপ্ত হয়েছেন। তিনি ভোগ ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘আমার বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট করার পর প্রচুর মানুষ ইনবক্সে জানালেন, তাঁরা আমাকে আনফলো করেছেন। কারণ, আমি প্রেমে পড়েছি—এটা তাঁদের ভালো লাগেনি।’
ইয়েবোয়া স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘সেদিন প্রায় এক হাজার মানুষ আমাকে আনফলো করেছিল।’ তবে তিনি এটাও বোঝেন, কেন মানুষ এখন প্রেম-সম্পর্কিত কনটেন্টকে বিরক্তিকর মনে করেন।
কিংস কলেজ লন্ডনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিলিয়ান ব্রুকস মনে করেন, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অর্থ উপার্জন করেন, তাঁদের জন্য বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট না করা কনটেন্ট ধারাবাহিকতার প্রশ্ন। কারণ, কনটেন্টের ধারা থেকে সরে গেলে দর্শকভিত্তি বিভ্রান্ত হতে পারে।
কিন্তু শুধু ইনফ্লুয়েন্সার নয়, সাধারণ নারীরাও এখন এ বিষয়ে সতর্ক।
২৫ বছর বয়সী মিলি প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রেম করছেন। সম্প্রতি তাঁর বাগদানও সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না মানুষ ভাবুক, আমি আমার প্রেমিকের ওপর নির্ভরশীল কিংবা সম্পর্কটাই আমার পুরো পরিচয়।’
মিলি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সমাজের খুবই সংকীর্ণ চিত্র তুলে ধরে। যদি আমি শুধু প্রেমিকের সঙ্গে ছবি দিই, মানুষ ভাববে আমি সম্পর্কেই ডুবে আছি।’
২০ বছর বয়সী শার্লট দুই বছর ধরে প্রেম করছেন, কিন্তু তিনি তাঁর বয়ফ্রেন্ড বা তাঁদের সম্পর্কের কোনো ছবি পোস্ট করেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে তেমন ছবি নেই আর যেগুলো আছে, সেগুলো ইনস্টাগ্রামে দেওয়ার মতো মনে হয় না। তা ছাড়া আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের সম্পর্কগুলো বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি গোপনীয়।’
অন্যদিকে, অ্যাথেরা (ছদ্মনাম) ও তাঁর বন্ধুরা তাঁদের সম্পর্ককে ‘ইভিল আই’ বা কুনজর থেকে রক্ষা করতে ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস, ঈর্ষা থেকে আসা কুনজর সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাজ মনোবিজ্ঞানী ড. গেন্ডোলিন সিডম্যান বলেন, অনলাইনে নিজের জীবনের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে মানুষের এখন বেশি উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, এখন অনেকেই বুঝছেন, একবার কিছু অনলাইনে পোস্ট করলে তা স্থায়ী হয়ে যায়। মুছে ফেললেও পুরোপুরি তা যায় না। তাই মানুষ এখন অনেক বেশি সতর্ক।

ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
২৪ বছর বয়সী তাওয়ানার প্রোফাইলে তাঁর প্রেমিকের উপস্থিতি বোঝা যায় শুধুই ইঙ্গিতে—হয়তো কোনো ছবিতে মাথার পেছন দিক কিংবা রাতের ডিনারে দুই গ্লাস ওয়াইনের ঠোকাঠুকি। কিন্তু প্রেমিকের মুখ প্রকাশের কোনো ইচ্ছে তাঁর নেই।
তাওয়ানা বলেন, ‘একজন নারী হিসেবে আমি শক্তিশালী ও স্বনির্ভর হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাই। যেন মনে হয়—আমার সবকিছু আমি নিজেই করেছি।’
অনলাইনে তাওয়ানার প্রেমিকের কোনো স্থান নেই। তাঁর ভাষায়, ‘আমার জীবনের কোনো অংশ পুরুষের সাহায্যে গড়ে উঠেছে—এমন ধারণা আমি দিতে চাই না। নিজের অর্জন নিজের বলেই দেখাতে ভালো লাগে।’
এমনকি সম্পর্ক আরও গভীর হলেও তিনি এই মত পাল্টাবেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাগদান হয়ে গেলেও আমি সম্পর্ক নিয়ে পোস্ট করব না।’
এখন প্রশ্ন হতে পারে, বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?
তাওয়ানার মতো অনেক নারীই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের সম্পর্ক ‘হার্ড লঞ্চ’ বা প্রকাশ করতে অনীহা দেখাচ্ছেন। এই প্রবণতা এতটাই আলোচনায় এসেছে যে, গত মাসে ব্রিটিশ ভোগ ম্যাগাজিন প্রকাশ করে একটি ভাইরাল নিবন্ধ, যার শিরোনাম ছিল ‘বয়ফ্রেন্ড থাকা কি এখন বিব্রতকর?’ (Is Having a Boyfriend Embarrassing Now?)
সেই লেখায় সাংবাদিক চান্তে জোসেফ বলেন, এখনকার তরুণীরা তাঁদের সম্পর্কে নতুনভাবে ভাবছেন। তাঁরা চান প্রেমিক থাকার সামাজিক মর্যাদা বা সুবিধা পেতে, কিন্তু একই সঙ্গে ‘বয়ফ্রেন্ড-অবসেসড’ বা প্রেমিকনির্ভর বলে মনে হোক—তা চান না।
জোসেফ লিখেছেন, এখন কারও প্রেমিককে নিয়ে ঘন ঘন পোস্ট করা অনেকের কাছে ‘ক্রিঞ্জ’ বা বিব্রতকর মনে হয়, এমনকি ‘সাংস্কৃতিকভাবে অপ্রয়োজনীয়’ বলেও ধরা হয়।
জোসেফ বলেন, আজকের সমাজে প্রেমিক থাকা আর বড় কোনো বিষয় নয়। এটি নারীর পরিচয়কে বড়ও করে না, কমায়ও না।
বিবিসি রেডিও–ফোরের উইমেনস আওয়ারে জোসেফ বলেন, ‘অনেক নারী বলেন, বাগ্দত্তা থাকা ভালো বা স্বামী থাকা ভালো। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে এমন নয়, আমাদের পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্কের সংজ্ঞা নতুনভাবে ভাবতে হবে।’
দক্ষিণ লন্ডনের কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও লেখক স্টেফানি ইয়েবোয়া বলেন, একসময় ইনস্টাগ্রামে নিজের প্রেমিকের ছবি পোস্ট করার সিদ্ধান্তে তিনি অনুতপ্ত হয়েছেন। তিনি ভোগ ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘আমার বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট করার পর প্রচুর মানুষ ইনবক্সে জানালেন, তাঁরা আমাকে আনফলো করেছেন। কারণ, আমি প্রেমে পড়েছি—এটা তাঁদের ভালো লাগেনি।’
ইয়েবোয়া স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘সেদিন প্রায় এক হাজার মানুষ আমাকে আনফলো করেছিল।’ তবে তিনি এটাও বোঝেন, কেন মানুষ এখন প্রেম-সম্পর্কিত কনটেন্টকে বিরক্তিকর মনে করেন।
কিংস কলেজ লন্ডনের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. জিলিয়ান ব্রুকস মনে করেন, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অর্থ উপার্জন করেন, তাঁদের জন্য বয়ফ্রেন্ডের ছবি পোস্ট না করা কনটেন্ট ধারাবাহিকতার প্রশ্ন। কারণ, কনটেন্টের ধারা থেকে সরে গেলে দর্শকভিত্তি বিভ্রান্ত হতে পারে।
কিন্তু শুধু ইনফ্লুয়েন্সার নয়, সাধারণ নারীরাও এখন এ বিষয়ে সতর্ক।
২৫ বছর বয়সী মিলি প্রায় পাঁচ বছর ধরে প্রেম করছেন। সম্প্রতি তাঁর বাগদানও সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি চাই না মানুষ ভাবুক, আমি আমার প্রেমিকের ওপর নির্ভরশীল কিংবা সম্পর্কটাই আমার পুরো পরিচয়।’
মিলি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের সমাজের খুবই সংকীর্ণ চিত্র তুলে ধরে। যদি আমি শুধু প্রেমিকের সঙ্গে ছবি দিই, মানুষ ভাববে আমি সম্পর্কেই ডুবে আছি।’
২০ বছর বয়সী শার্লট দুই বছর ধরে প্রেম করছেন, কিন্তু তিনি তাঁর বয়ফ্রেন্ড বা তাঁদের সম্পর্কের কোনো ছবি পোস্ট করেন না। তিনি বলেন, ‘আমাদের একসঙ্গে তেমন ছবি নেই আর যেগুলো আছে, সেগুলো ইনস্টাগ্রামে দেওয়ার মতো মনে হয় না। তা ছাড়া আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের সম্পর্কগুলো বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি গোপনীয়।’
অন্যদিকে, অ্যাথেরা (ছদ্মনাম) ও তাঁর বন্ধুরা তাঁদের সম্পর্ককে ‘ইভিল আই’ বা কুনজর থেকে রক্ষা করতে ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকেন। তাঁদের বিশ্বাস, ঈর্ষা থেকে আসা কুনজর সম্পর্ক নষ্ট করতে পারে।
মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির সমাজ মনোবিজ্ঞানী ড. গেন্ডোলিন সিডম্যান বলেন, অনলাইনে নিজের জীবনের ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে মানুষের এখন বেশি উদ্বেগ দেখা যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, এখন অনেকেই বুঝছেন, একবার কিছু অনলাইনে পোস্ট করলে তা স্থায়ী হয়ে যায়। মুছে ফেললেও পুরোপুরি তা যায় না। তাই মানুষ এখন অনেক বেশি সতর্ক।

পাহাড়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে বা সাপ ও মাকড়সার মতো প্রাণীর কাছাকাছি থাকলে ভয় পায় অনেকেই। তবে কিছু মানুষের জন্য, এই ভয়গুলোর প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া বা আতঙ্ক আসলে বিপদের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়। এমন ক্ষেত্রে, এই ব্যক্তিদের ফোবিয়া বা অহেতুক ভয় দেখা যেতে পারে।
১০ মার্চ ২০২৫
নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও...
১১ ঘণ্টা আগে
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৯ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
২০ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও আরামদায়ক রঙের ছোঁয়ার সঙ্গে নখে একটা আভিজাত্যের চমক এনে দেয়।
চকলেট ড্রিজেল
‘কফি হাউস’ স্টাইলের এই মেনিকিউরে ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চের সাদা পলিশের বদলে কফি বা মোকা রঙের পলিশ ব্যবহার করা হয়। হালকা শীতে এই রংগুলো স্নিগ্ধ ও রুচিশীল আভা তৈরি করে।

লাতে নেইল
এটি কফি রঙের আরেকটা চমৎকার ব্যবহার। এখানে ন্যুড বেসের ওপর কফি রঙের টিপস থাকে। টিপসের বেইসের কাছে হালকা ক্রিম রঙের একটা পাতলা বর্ডার দেওয়া হয়, যা দেখতে অনেকটা ফেনার মতো লাগে। এই স্টাইল নখের লুকে একটা কোমল ছোঁয়া দেয়।

অনিক্স ফ্রেঞ্চ টিপস
যাঁরা হালকা বা ন্যুড রঙের পরিবর্তে একটু গাঢ় রং পছন্দ করেন, এই স্টাইল তাঁদের জন্য। এই লুকে নখের টিপসে সাদা রঙের বদলে অনিক্স বা গাঢ় কালো রং ব্যবহার করা হয়। এটি মার্জিত ও আধুনিক লুক দেয় এবং কর্মজীবী নারী থেকে শুরু করে যেকোনো ফ্যাশন-সচেতন মানুষের জন্য এই লুক দারুণ মানিয়ে যায়।

ব্ল্যাক চেরি
এই লুকে নখের ডগায় গাঢ় মেরুন বা কালো চেরির মতো রং ব্যবহার করা হয়, যা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এই ‘ভ্যাম্পি’ শেড নখে নিয়ে আসে একধরনের আভিজাত্য ও নাটকীয়তা। এই স্টাইল যেকোনো অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর মানিয়ে যায়।

ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর
এত এত নতুন স্টাইলের ভিড়েও মেনিকিউরের এই ক্ল্যাসিক স্টাইলের আবেদন এখনো অটুট রয়েছে। ন্যুড বেইজে সাদা টিপসের এই মেনিকিউর ‘স্টিলথ ওয়েলথ’ বা বনেদি আভিজাত্যের প্রতীক। এটি একেবারে ক্ল্যাসিক একটা লুক এবং যেকোনো সময় ও অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।

মেটালিক চারকোল টিপস
এই লুকে নখের সাজে টিপসে ব্যবহার করা হয় চারকোল রঙের মেটালিক বা ধাতব পলিশ। এই স্নিগ্ধ মেটালিক ছোঁয়া নখে দেয় আধুনিক রূপ, যা এই শীতকালের জন্য খুব মানানসই।

রিচ জেলি গ্লিটার
এই লুকে নখের টিপসে ব্যবহার করা হয় গাঢ় প্লাম বা বেগুনি রং। এই লুক নখের সাজকে করে মিষ্টি, আকর্ষণীয় এবং একেবারেই ভিন্ন।

সলিড গোল্ড টিপস
যাঁরা একটু ভিন্ন ধাঁচের মেনিকিউর পছন্দ করেন, তাঁরা নখের বেইজে ক্রস হ্যাচ নকশা এবং টিপসে সোনালি রং ব্যবহার করে সম্পূর্ণ অনন্য ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর লুক তৈরি করতে পারেন। এই লুক একই সঙ্গে আকর্ষণীয় এবং বোল্ড।

সূত্র ও ছবি: বার্ডি

নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও আরামদায়ক রঙের ছোঁয়ার সঙ্গে নখে একটা আভিজাত্যের চমক এনে দেয়।
চকলেট ড্রিজেল
‘কফি হাউস’ স্টাইলের এই মেনিকিউরে ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চের সাদা পলিশের বদলে কফি বা মোকা রঙের পলিশ ব্যবহার করা হয়। হালকা শীতে এই রংগুলো স্নিগ্ধ ও রুচিশীল আভা তৈরি করে।

লাতে নেইল
এটি কফি রঙের আরেকটা চমৎকার ব্যবহার। এখানে ন্যুড বেসের ওপর কফি রঙের টিপস থাকে। টিপসের বেইসের কাছে হালকা ক্রিম রঙের একটা পাতলা বর্ডার দেওয়া হয়, যা দেখতে অনেকটা ফেনার মতো লাগে। এই স্টাইল নখের লুকে একটা কোমল ছোঁয়া দেয়।

অনিক্স ফ্রেঞ্চ টিপস
যাঁরা হালকা বা ন্যুড রঙের পরিবর্তে একটু গাঢ় রং পছন্দ করেন, এই স্টাইল তাঁদের জন্য। এই লুকে নখের টিপসে সাদা রঙের বদলে অনিক্স বা গাঢ় কালো রং ব্যবহার করা হয়। এটি মার্জিত ও আধুনিক লুক দেয় এবং কর্মজীবী নারী থেকে শুরু করে যেকোনো ফ্যাশন-সচেতন মানুষের জন্য এই লুক দারুণ মানিয়ে যায়।

ব্ল্যাক চেরি
এই লুকে নখের ডগায় গাঢ় মেরুন বা কালো চেরির মতো রং ব্যবহার করা হয়, যা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়। এই ‘ভ্যাম্পি’ শেড নখে নিয়ে আসে একধরনের আভিজাত্য ও নাটকীয়তা। এই স্টাইল যেকোনো অনুষ্ঠানে খুব সুন্দর মানিয়ে যায়।

ক্ল্যাসিক ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর
এত এত নতুন স্টাইলের ভিড়েও মেনিকিউরের এই ক্ল্যাসিক স্টাইলের আবেদন এখনো অটুট রয়েছে। ন্যুড বেইজে সাদা টিপসের এই মেনিকিউর ‘স্টিলথ ওয়েলথ’ বা বনেদি আভিজাত্যের প্রতীক। এটি একেবারে ক্ল্যাসিক একটা লুক এবং যেকোনো সময় ও অনুষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত।

মেটালিক চারকোল টিপস
এই লুকে নখের সাজে টিপসে ব্যবহার করা হয় চারকোল রঙের মেটালিক বা ধাতব পলিশ। এই স্নিগ্ধ মেটালিক ছোঁয়া নখে দেয় আধুনিক রূপ, যা এই শীতকালের জন্য খুব মানানসই।

রিচ জেলি গ্লিটার
এই লুকে নখের টিপসে ব্যবহার করা হয় গাঢ় প্লাম বা বেগুনি রং। এই লুক নখের সাজকে করে মিষ্টি, আকর্ষণীয় এবং একেবারেই ভিন্ন।

সলিড গোল্ড টিপস
যাঁরা একটু ভিন্ন ধাঁচের মেনিকিউর পছন্দ করেন, তাঁরা নখের বেইজে ক্রস হ্যাচ নকশা এবং টিপসে সোনালি রং ব্যবহার করে সম্পূর্ণ অনন্য ফ্রেঞ্চ মেনিকিউর লুক তৈরি করতে পারেন। এই লুক একই সঙ্গে আকর্ষণীয় এবং বোল্ড।

সূত্র ও ছবি: বার্ডি

পাহাড়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে বা সাপ ও মাকড়সার মতো প্রাণীর কাছাকাছি থাকলে ভয় পায় অনেকেই। তবে কিছু মানুষের জন্য, এই ভয়গুলোর প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া বা আতঙ্ক আসলে বিপদের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়। এমন ক্ষেত্রে, এই ব্যক্তিদের ফোবিয়া বা অহেতুক ভয় দেখা যেতে পারে।
১০ মার্চ ২০২৫
ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
৭ ঘণ্টা আগে
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৯ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
২০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই এক কেজি, চিনি এক কাপ, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া এক টেবিল চামচ।
প্রণালি
জলপাই ভালো করে কেচে ধুয়ে নিন। এবার জলপাই আর চিনি মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন এক ঘণ্টা। জলপাই থেকে চিনির পানি বের হলে চুলায় কম তাপে বসিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। ফুটে উঠলে মরিচগুঁড়া, হলুদগুঁড়া, পাঁচফোড়ন, লবণ ও বিট লবণ দিয়ে রান্না করে হালকা শিরার মতো হয়ে এলে ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।

আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
জলপাই এক কেজি, চিনি এক কাপ, পাঁচফোড়ন এক টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়া আধা চা-চামচ, শুকনা মরিচ গুঁড়া আধা চা-চামচ, লবণ ও বিট লবণ স্বাদমতো, শুকনা মরিচ ভাজা গুঁড়া এক টেবিল চামচ।
প্রণালি
জলপাই ভালো করে কেচে ধুয়ে নিন। এবার জলপাই আর চিনি মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন এক ঘণ্টা। জলপাই থেকে চিনির পানি বের হলে চুলায় কম তাপে বসিয়ে নেড়েচেড়ে রান্না করুন। ফুটে উঠলে মরিচগুঁড়া, হলুদগুঁড়া, পাঁচফোড়ন, লবণ ও বিট লবণ দিয়ে রান্না করে হালকা শিরার মতো হয়ে এলে ভাজা শুকনা মরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের বয়ামে ভরে রাখুন।

পাহাড়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে বা সাপ ও মাকড়সার মতো প্রাণীর কাছাকাছি থাকলে ভয় পায় অনেকেই। তবে কিছু মানুষের জন্য, এই ভয়গুলোর প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া বা আতঙ্ক আসলে বিপদের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়। এমন ক্ষেত্রে, এই ব্যক্তিদের ফোবিয়া বা অহেতুক ভয় দেখা যেতে পারে।
১০ মার্চ ২০২৫
ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
৭ ঘণ্টা আগে
নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও...
১১ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে
২০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে বন্ধুদের এমন একটি সমস্যার সমাধান করে দেবেন, যা আদতে তাদের সমস্যাই ছিল না, ছিল স্রেফ তাদের আলস্য। সাবধান! আজ অনলাইনে কিছু অর্ডার করার আগে দুবার ভাবুন। না হলে হয়তো দেখবেন, শাড়ি কিনতে গিয়ে ভুল করে একটা সাইকেল পাম্প কিনে ফেলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলার সময় পকেটে হাত দিয়ে খুঁজে দেখবেন, চশমাটা কি মাথায় আছে? (অবশ্যই আছে!)
বৃষ
আজ সারা দিন মন আর পেট—এই দুয়ের মধ্যে একটি মহাযুদ্ধ চলবে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন যে ডায়েট করবেন, কিন্তু প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ফ্রিজের দরজা আপনাআপনি খুলে যাবে। অফিসের ক্যানটিনে কেউ মিষ্টি আনলে চোখ হবে শিকারি বাজের মতো। অর্থভাগ্য মোটামুটি, তবে শখের বশে এমন একটি জিনিস কিনবেন, যা পরে দেখে মনে হবে, এই টাকা দিয়ে অন্তত ১০টা রসগোল্লা খাওয়া যেত। কাউকে ধার দেওয়ার আগে সতর্ক হোন। নইলে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হয়তো আপনাকে মঙ্গল গ্রহের টিকিট বুক করতে হবে। ডায়েটের জন্য শুধু এক চামচ ভাত মুখে নিয়ে বাকিটা প্লেটে এমনভাবে সাজিয়ে রাখবেন, যেন সেটা আর্ট গ্যালারির বস্তু!
মিথুন
আজ আপনি এক নন, যেন দুটি মানুষ! আপনার মন একটি জিনিস ভাববে, মুখ দিয়ে বেরোবে অন্যটা। ফলে বন্ধু বা প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগে মারাত্মক ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে। হয়তো বলতে চাইবেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, কিন্তু মুখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, ‘তোমার জুতাটা খুব পছন্দ হয়েছে।’ কেউ আজ আপনার কাছে গোপন কথা ফাঁস করতে এলে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, কিন্তু তারপর অজান্তেই সেই গোপন কথা অন্য এক বন্ধুর কাছে বলে ফেলবেন—‘আচ্ছা, তুই কি জানিস, কী হইছে?’ একই সময়ে দুটি ভিন্ন প্ল্যান করার চেষ্টা করবেন—যার একটি থাকবে পাহাড়ে চড়ার, অন্যটি সোফায় শুয়ে সিনেমা দেখার।
কর্কট
আজ সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। সামান্য মশারি টানানো নিয়েও আবেগে চোখ ভিজে আসতে পারে। দুপুরে বস ফোন করে ‘হ্যালো’ বললেই মনে হবে, তিনি নিশ্চয় আপনাকে বরখাস্ত করতে চলেছেন। সারা দিন ধরে নিজের অতীত নিয়ে একটি করুণ সিনেমা বানাবেন মনে মনে, যার প্রধান চরিত্রে থাকবেন নিজেই। সন্ধ্যায় মায়ের কাছে ফোন করে একটু বেশিই ন্যাকামো করবেন। তবে সাবধানে থাকুন, শ্বশুরবাড়ির কেউ আজ আপনার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হতে পারে। তাদের জন্য বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। চায়ে চিনি না দিয়ে ভুলে লবণ দিয়ে ফেলবেন এবং ভাববেন, ‘আজকের দিনটা কেন এত তিতকুটে লাগছে!’
সিংহ
আজ আপনার প্রয়োজন হবে ‘স্পটলাইট’। আপনি যেখানেই যাবেন, সেখানেই চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক। অফিসে নিজের কাজ শেষ করে অন্যের ফাইল নিয়ে বসবেন এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন যে আপনিই আসল বস। সন্ধ্যায় কোনো পার্টি বা অনুষ্ঠানে গেলে এমন একটি পোশাক পরবেন, যা একটু বেশিই ঝলমলে। সবাই আপনার প্রশংসা করবে ঠিকই, কিন্তু আড়ালে ফিসফিস করবে আপনার ‘অতি-নাটুকে’ ফ্যাশন সেন্স নিয়ে। কেউ আপনার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানালে, বাঘের মতো গর্জন করবেন—তবে মনে মনে। কফির কাপ হাতে নিয়ে এমনভাবে হেঁটে যাবেন, যেন কোনো ফ্যাশন র্যাম্পে ক্যাটওয়াক করছেন।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরে লুকিয়ে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী জেগে উঠবে। অন্যের টেবিলের এলোমেলো কাগজ দেখে রক্তচাপ বেড়ে যাবে। আজ আপনি এমন একটি সূক্ষ্ম ভুল ধরবেন, যা বস বা সহকর্মী তো দূরের কথা, গুগলও খুঁজে বের করতে পারবে না। বাড়িতে কেউ সামান্য ন্যাপকিন ভাঁজ করতে ভুল করলেও আপনি এক ঘণ্টার একটি ‘কেন এই ভুল’ লেকচার দিতে পারেন। তবে এই অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আজ পিছিয়ে যেতে পারে। একটু ঢিলে দিন, জীবন এতটা পারফেক্ট হতে পারে না! ফ্রিজের ভেতরে কোন সবজিটা আগে পচে যেতে পারে, তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চালাবেন।
তুলা
আজ আপনি হবেন ন্যায়ের প্রতীক—কিন্তু দুটি সমান গুরুত্বের জিনিসের মধ্যে কোনটা বেশি ন্যায্য, তা বুঝতে সারা দিন কেটে যাবে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একবার মনে হবে, এটাই সঠিক, পরক্ষণেই মনে হবে, উল্টোটাই ঠিক ছিল। বন্ধুদের আড্ডায় দুটি পক্ষের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করবেন, যা শেষমেশ আপনাকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আরও বড় বিপদে ফেলবে। সন্ধ্যায় শপিং করতে গেলে একই রঙের দুটি জামার মধ্যে কোনটি ভালো, তা নিয়ে দোকানেই একটি মিনি-জরিপ চালু করে দেবেন। দুপুরে কী খাবেন—বিরিয়ানি না ভাত? এই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার লঞ্চ আওয়ার শেষ হয়ে যাবে।
বৃশ্চিক
আজ চারপাশের সবাই মনে করবে, আপনি কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। আপনার সামান্য নীরবতা বা একটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিও অন্যের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করবে। অফিসে সহকর্মীর দিকে একবার তাকালেই সে ঘাবড়ে গিয়ে ভাববে, তার গোপন ফাইল নিশ্চয় আপনি হ্যাক করে ফেলেছেন। ব্যক্তিগত জীবনকে এতটাই রহস্যময় করে রাখবেন যে, আপনার মা আপনার সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করতে শুরু করতে পারেন। তবে সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত রহস্যময়তা আজ আপনাকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। লিফটে কারোর দিকে না তাকিয়ে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত এমনভাবে তাকাবেন, যেন আপনি তার শরীরের এক্স-রে করছেন। এই বোকামিটা করবেন না।
ধনু
আজ সবকিছুর মধ্যেই মজা খুঁজে নিতে চাইবেন। অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে এমন কিছু কথা বলিয়ে দেবে, যা শুনে অন্যরা হতবাক হয়ে যাবে। অফিসের ফরমাল মিটিংয়ে হয়তো বলে বসবেন, ‘চলুন, কাজ ফেলে আমরা সবাই মিলে একবার কফি খেতে যাই, কাজ তো আর বয়ে যাচ্ছে না!’ ভ্রমণের জন্য মন ছটফট করবে, আর যদি কোনো কারণে সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়, তবে আপনার সব দুঃখ ট্রাভেল ব্লগে লিখে নিজের ওপর নিজেই হাসবেন। এই সরলতা এবং হাসিখুশি মনোভাবই আজ আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি।
কোনো বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দরজা খোলা পেতেই আপনি ভাবতে শুরু করবেন, নিশ্চয় সে আপনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য দরজা খোলা রেখেছে! কিন্তু তা নয়।
মকর
আজ সকাল থেকে নিজেকে একজন রোবট হিসেবে কল্পনা করবেন। মাথায় শুধু কাজ আর টাকা। আবেগের জন্য আজ কোনো স্পেস নেই। বসের সামনে এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে বস মজা করেও কিছু বলতে সাহস পাবেন না। খরচ করার সময় আপনার হাত কাঁপবে, মনে হবে প্রতিটি পয়সা যেন জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কেনার সময়ও ক্যালকুলেটরে হিসাব করবেন, কত টাকা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ফেরত দিতে পারে। একটু আরাম করুন! কাজের বাইরেও একটি জগৎ আছে। স্বপ্ন দেখবেন যে অফিসের প্রমোশন লেটার খাচ্ছেন। কারণ, তাতে ল্যাভেন্ডার ফুলের গন্ধ!
কুম্ভ
আজ মস্তিষ্ক হবে অদ্ভুত সব ধারণার একটি আশ্চর্য ল্যাবরেটরি। এমন সব সমাধান নিয়ে আসবেন, যা অন্যরা বুঝতেই পারবে না। বন্ধুকে একটি সহজ সমস্যা সমাধানের জন্য এমনভাবে পরামর্শ দেবেন যে, সে আরও বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। আপনার মনে হবে, আপনি একজন মহান সমাজসংস্কারক, কিন্তু দিনের শেষে হয়তো দেখবেন, আপনি শুধু আপনার বাড়ির পোষা বিড়ালটির জন্য নতুন ধরনের খাবার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। সন্ধ্যায় আপনার এই অদ্ভুত মেজাজের কারণে জীবনসঙ্গী বা বন্ধুরা একটু বিরক্ত হতে পারে। গাধার আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসবে—পুরোনো ছেঁড়া মোজা দিয়ে কীভাবে একটি সোলার পাওয়ারড রোবট বানানো যায়, সেই তত্ত্ব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবেন।
মীন
আজ দিনের অনেকটা সময় স্বপ্নের জগতে ভেসে বেড়াবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেবেন গভীর মনোযোগের সঙ্গে, কিন্তু সেই উত্তর হবে আপনার কল্পনার রাজ্যের কোনো বিষয় নিয়ে। ক্লায়েন্টকে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় হয়তো হঠাৎ মনে পড়ে যাবে, কী দারুণ একটি গল্প লিখতে পারতেন! ফলে প্রেজেন্টেশনে মনোযোগ থাকবে ৪০ শতাংশ, বাকি ৬০ শতাংশ থাকবে কল্পনার রাজ্যে। সন্ধ্যায় নিজের চাবি, মোবাইল বা মানিব্যাগ এমন জায়গায় রাখবেন, যা কল্পনাও করতে পারেননি; যেমন ফ্রিজের ডিমের ট্রেতে। সিনেমা দেখতে গিয়ে কাহিনির এমন একটি অংশে আবেগে ভেসে যাবেন, যা আদতে বিজ্ঞাপন বিরতি ছিল!

মেষ
আজ আপনার ভেতরের ‘র্যাম’ একটু বেশি ফাস্ট কাজ করবে, কিন্তু সঠিক পথে নয়। সকালে হয়তো ট্রাফিকের মাঝখানে হঠাৎ মনে হবে, আপনি ফর্মুলা ওয়ান রেসে আছেন। বসের সামনে খুব সিরিয়াস মুখে একটি জ্ঞানগর্ভ কথা বলতে গিয়ে এমন একটি ভুল শব্দ ব্যবহার করে ফেলবেন, যাতে বসের কাশি এসে যাবে। সন্ধ্যায় আপনার অতিরিক্ত এনার্জি দিয়ে বন্ধুদের এমন একটি সমস্যার সমাধান করে দেবেন, যা আদতে তাদের সমস্যাই ছিল না, ছিল স্রেফ তাদের আলস্য। সাবধান! আজ অনলাইনে কিছু অর্ডার করার আগে দুবার ভাবুন। না হলে হয়তো দেখবেন, শাড়ি কিনতে গিয়ে ভুল করে একটা সাইকেল পাম্প কিনে ফেলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলার সময় পকেটে হাত দিয়ে খুঁজে দেখবেন, চশমাটা কি মাথায় আছে? (অবশ্যই আছে!)
বৃষ
আজ সারা দিন মন আর পেট—এই দুয়ের মধ্যে একটি মহাযুদ্ধ চলবে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন যে ডায়েট করবেন, কিন্তু প্রতি এক ঘণ্টা অন্তর ফ্রিজের দরজা আপনাআপনি খুলে যাবে। অফিসের ক্যানটিনে কেউ মিষ্টি আনলে চোখ হবে শিকারি বাজের মতো। অর্থভাগ্য মোটামুটি, তবে শখের বশে এমন একটি জিনিস কিনবেন, যা পরে দেখে মনে হবে, এই টাকা দিয়ে অন্তত ১০টা রসগোল্লা খাওয়া যেত। কাউকে ধার দেওয়ার আগে সতর্ক হোন। নইলে সেই টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য হয়তো আপনাকে মঙ্গল গ্রহের টিকিট বুক করতে হবে। ডায়েটের জন্য শুধু এক চামচ ভাত মুখে নিয়ে বাকিটা প্লেটে এমনভাবে সাজিয়ে রাখবেন, যেন সেটা আর্ট গ্যালারির বস্তু!
মিথুন
আজ আপনি এক নন, যেন দুটি মানুষ! আপনার মন একটি জিনিস ভাববে, মুখ দিয়ে বেরোবে অন্যটা। ফলে বন্ধু বা প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগে মারাত্মক ভুল-বোঝাবুঝি হতে পারে। হয়তো বলতে চাইবেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি’, কিন্তু মুখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে, ‘তোমার জুতাটা খুব পছন্দ হয়েছে।’ কেউ আজ আপনার কাছে গোপন কথা ফাঁস করতে এলে তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন, কিন্তু তারপর অজান্তেই সেই গোপন কথা অন্য এক বন্ধুর কাছে বলে ফেলবেন—‘আচ্ছা, তুই কি জানিস, কী হইছে?’ একই সময়ে দুটি ভিন্ন প্ল্যান করার চেষ্টা করবেন—যার একটি থাকবে পাহাড়ে চড়ার, অন্যটি সোফায় শুয়ে সিনেমা দেখার।
কর্কট
আজ সংবেদনশীলতা চরমে থাকবে। সামান্য মশারি টানানো নিয়েও আবেগে চোখ ভিজে আসতে পারে। দুপুরে বস ফোন করে ‘হ্যালো’ বললেই মনে হবে, তিনি নিশ্চয় আপনাকে বরখাস্ত করতে চলেছেন। সারা দিন ধরে নিজের অতীত নিয়ে একটি করুণ সিনেমা বানাবেন মনে মনে, যার প্রধান চরিত্রে থাকবেন নিজেই। সন্ধ্যায় মায়ের কাছে ফোন করে একটু বেশিই ন্যাকামো করবেন। তবে সাবধানে থাকুন, শ্বশুরবাড়ির কেউ আজ আপনার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হতে পারে। তাদের জন্য বাজার করতে গিয়ে পকেটে টান পড়তে পারে। চায়ে চিনি না দিয়ে ভুলে লবণ দিয়ে ফেলবেন এবং ভাববেন, ‘আজকের দিনটা কেন এত তিতকুটে লাগছে!’
সিংহ
আজ আপনার প্রয়োজন হবে ‘স্পটলাইট’। আপনি যেখানেই যাবেন, সেখানেই চাইবেন সবাই আপনার দিকে তাকাক। অফিসে নিজের কাজ শেষ করে অন্যের ফাইল নিয়ে বসবেন এবং প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন যে আপনিই আসল বস। সন্ধ্যায় কোনো পার্টি বা অনুষ্ঠানে গেলে এমন একটি পোশাক পরবেন, যা একটু বেশিই ঝলমলে। সবাই আপনার প্রশংসা করবে ঠিকই, কিন্তু আড়ালে ফিসফিস করবে আপনার ‘অতি-নাটুকে’ ফ্যাশন সেন্স নিয়ে। কেউ আপনার কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানালে, বাঘের মতো গর্জন করবেন—তবে মনে মনে। কফির কাপ হাতে নিয়ে এমনভাবে হেঁটে যাবেন, যেন কোনো ফ্যাশন র্যাম্পে ক্যাটওয়াক করছেন।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরে লুকিয়ে থাকা পরিচ্ছন্নতাকর্মী জেগে উঠবে। অন্যের টেবিলের এলোমেলো কাগজ দেখে রক্তচাপ বেড়ে যাবে। আজ আপনি এমন একটি সূক্ষ্ম ভুল ধরবেন, যা বস বা সহকর্মী তো দূরের কথা, গুগলও খুঁজে বের করতে পারবে না। বাড়িতে কেউ সামান্য ন্যাপকিন ভাঁজ করতে ভুল করলেও আপনি এক ঘণ্টার একটি ‘কেন এই ভুল’ লেকচার দিতে পারেন। তবে এই অতিরিক্ত খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য নিজের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আজ পিছিয়ে যেতে পারে। একটু ঢিলে দিন, জীবন এতটা পারফেক্ট হতে পারে না! ফ্রিজের ভেতরে কোন সবজিটা আগে পচে যেতে পারে, তা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা চালাবেন।
তুলা
আজ আপনি হবেন ন্যায়ের প্রতীক—কিন্তু দুটি সমান গুরুত্বের জিনিসের মধ্যে কোনটা বেশি ন্যায্য, তা বুঝতে সারা দিন কেটে যাবে। প্রেমিক/প্রেমিকার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে একবার মনে হবে, এটাই সঠিক, পরক্ষণেই মনে হবে, উল্টোটাই ঠিক ছিল। বন্ধুদের আড্ডায় দুটি পক্ষের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে এমন মন্তব্য করবেন, যা শেষমেশ আপনাকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে আরও বড় বিপদে ফেলবে। সন্ধ্যায় শপিং করতে গেলে একই রঙের দুটি জামার মধ্যে কোনটি ভালো, তা নিয়ে দোকানেই একটি মিনি-জরিপ চালু করে দেবেন। দুপুরে কী খাবেন—বিরিয়ানি না ভাত? এই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার লঞ্চ আওয়ার শেষ হয়ে যাবে।
বৃশ্চিক
আজ চারপাশের সবাই মনে করবে, আপনি কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত। আপনার সামান্য নীরবতা বা একটি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিও অন্যের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করবে। অফিসে সহকর্মীর দিকে একবার তাকালেই সে ঘাবড়ে গিয়ে ভাববে, তার গোপন ফাইল নিশ্চয় আপনি হ্যাক করে ফেলেছেন। ব্যক্তিগত জীবনকে এতটাই রহস্যময় করে রাখবেন যে, আপনার মা আপনার সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করতে শুরু করতে পারেন। তবে সাবধানে থাকুন, অতিরিক্ত রহস্যময়তা আজ আপনাকে হাস্যকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে। লিফটে কারোর দিকে না তাকিয়ে নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত এমনভাবে তাকাবেন, যেন আপনি তার শরীরের এক্স-রে করছেন। এই বোকামিটা করবেন না।
ধনু
আজ সবকিছুর মধ্যেই মজা খুঁজে নিতে চাইবেন। অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে এমন কিছু কথা বলিয়ে দেবে, যা শুনে অন্যরা হতবাক হয়ে যাবে। অফিসের ফরমাল মিটিংয়ে হয়তো বলে বসবেন, ‘চলুন, কাজ ফেলে আমরা সবাই মিলে একবার কফি খেতে যাই, কাজ তো আর বয়ে যাচ্ছে না!’ ভ্রমণের জন্য মন ছটফট করবে, আর যদি কোনো কারণে সেই প্ল্যান ভেস্তে যায়, তবে আপনার সব দুঃখ ট্রাভেল ব্লগে লিখে নিজের ওপর নিজেই হাসবেন। এই সরলতা এবং হাসিখুশি মনোভাবই আজ আপনার সবচেয়ে বড় শক্তি।
কোনো বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দরজা খোলা পেতেই আপনি ভাবতে শুরু করবেন, নিশ্চয় সে আপনাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য দরজা খোলা রেখেছে! কিন্তু তা নয়।
মকর
আজ সকাল থেকে নিজেকে একজন রোবট হিসেবে কল্পনা করবেন। মাথায় শুধু কাজ আর টাকা। আবেগের জন্য আজ কোনো স্পেস নেই। বসের সামনে এতটাই সিরিয়াস থাকবেন যে বস মজা করেও কিছু বলতে সাহস পাবেন না। খরচ করার সময় আপনার হাত কাঁপবে, মনে হবে প্রতিটি পয়সা যেন জীবন থেকে চলে যাচ্ছে। বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কেনার সময়ও ক্যালকুলেটরে হিসাব করবেন, কত টাকা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ফেরত দিতে পারে। একটু আরাম করুন! কাজের বাইরেও একটি জগৎ আছে। স্বপ্ন দেখবেন যে অফিসের প্রমোশন লেটার খাচ্ছেন। কারণ, তাতে ল্যাভেন্ডার ফুলের গন্ধ!
কুম্ভ
আজ মস্তিষ্ক হবে অদ্ভুত সব ধারণার একটি আশ্চর্য ল্যাবরেটরি। এমন সব সমাধান নিয়ে আসবেন, যা অন্যরা বুঝতেই পারবে না। বন্ধুকে একটি সহজ সমস্যা সমাধানের জন্য এমনভাবে পরামর্শ দেবেন যে, সে আরও বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। আপনার মনে হবে, আপনি একজন মহান সমাজসংস্কারক, কিন্তু দিনের শেষে হয়তো দেখবেন, আপনি শুধু আপনার বাড়ির পোষা বিড়ালটির জন্য নতুন ধরনের খাবার তৈরির পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন। সন্ধ্যায় আপনার এই অদ্ভুত মেজাজের কারণে জীবনসঙ্গী বা বন্ধুরা একটু বিরক্ত হতে পারে। গাধার আত্মবিশ্বাস পেয়ে বসবে—পুরোনো ছেঁড়া মোজা দিয়ে কীভাবে একটি সোলার পাওয়ারড রোবট বানানো যায়, সেই তত্ত্ব নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করবেন।
মীন
আজ দিনের অনেকটা সময় স্বপ্নের জগতে ভেসে বেড়াবেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে উত্তর দেবেন গভীর মনোযোগের সঙ্গে, কিন্তু সেই উত্তর হবে আপনার কল্পনার রাজ্যের কোনো বিষয় নিয়ে। ক্লায়েন্টকে প্রেজেন্টেশন দেওয়ার সময় হয়তো হঠাৎ মনে পড়ে যাবে, কী দারুণ একটি গল্প লিখতে পারতেন! ফলে প্রেজেন্টেশনে মনোযোগ থাকবে ৪০ শতাংশ, বাকি ৬০ শতাংশ থাকবে কল্পনার রাজ্যে। সন্ধ্যায় নিজের চাবি, মোবাইল বা মানিব্যাগ এমন জায়গায় রাখবেন, যা কল্পনাও করতে পারেননি; যেমন ফ্রিজের ডিমের ট্রেতে। সিনেমা দেখতে গিয়ে কাহিনির এমন একটি অংশে আবেগে ভেসে যাবেন, যা আদতে বিজ্ঞাপন বিরতি ছিল!

পাহাড়ের শীর্ষে দাঁড়িয়ে বা সাপ ও মাকড়সার মতো প্রাণীর কাছাকাছি থাকলে ভয় পায় অনেকেই। তবে কিছু মানুষের জন্য, এই ভয়গুলোর প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া বা আতঙ্ক আসলে বিপদের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে যায়। এমন ক্ষেত্রে, এই ব্যক্তিদের ফোবিয়া বা অহেতুক ভয় দেখা যেতে পারে।
১০ মার্চ ২০২৫
ইনস্টাগ্রামে তাওয়ানা মুসভাবুরির অনুসারীর সংখ্যা ৩৩ হাজার। তাঁর অনুসারীরা হয়তো মনে করেন, তরুণ এই নারী ইনফ্লুয়েন্সারের জীবন সম্পর্কে তাঁরা সব জানেন। কিন্তু বেশির ভাগই জানেন না, তাঁর প্রেমিক দেখতে কেমন।
৭ ঘণ্টা আগে
নভেম্বর মাস মানেই শীতের আগমনী বার্তা। এ সময় হালকা শীত শীত ভাব খুব আরামদায়ক আমেজ দেয়। এই মাসে নখের যত্নে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরেও আনা যেতে পারে আরামদায়ক ভাব। পশ্চিমা ফ্যাশনে ফ্রেঞ্চ মেনিকিউরকে নতুনরূপে উপস্থাপন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশেও বেশ জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। এই মেনিকিউরগুলো একাধারে উষ্ণ ও...
১১ ঘণ্টা আগে
আমের মোরব্বা তো বহুবার তৈরি করেছেন। এখন পর্যন্ত যদি জলপাইয়ের মোরব্বা তৈরি না করে থাকেন, তাহলে কি হবে? আপনাদের জন্য জলপাইয়ের ঝাল-মিষ্টি মোরব্বার রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
১৯ ঘণ্টা আগে