ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
অ্যান্থনি বোর্ডেন শুধু এক বিশ্ববিখ্যাত শেফ-ই ছিলেন না; ছিলেন পর্যটক। খাদ্যসংস্কৃতি নিয়ে ছিল তাঁর ব্যাপক জ্ঞান ও আগ্রহ। তাঁর বই ‘কিচেন কনফিডেনশিয়াল’ শুধু রান্নাঘরের অন্দরমহলের গোপন কথা প্রকাশ করেনি, বরং তাঁকে তুলে এনেছে খাদ্যসংস্কৃতির এক বিশ্বাসযোগ্য কণ্ঠস্বর হিসেবে। তিনি খাদ্য ও ভ্রমণ নিয়ে কথা বলতেন অকপটে, রসবোধ আর বাস্তবতায় ভর করে। বইতে তিনি অকপটে রেস্তোরাঁর অন্দরের বাস্তবতা, রন্ধনপ্রক্রিয়ার অদ্ভুত কৌশল এবং শেফদের রুক্ষ জীবনের কথা তুলে ধরেন। বইটি প্রকাশের পর তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। তাঁর জনপ্রিয় টিভি শো ‘নো রিজার্ভেশনস’ আর ‘পার্টস আননোন’ আমাদের ঘুরিয়ে দেখিয়েছে অজানা রান্না আর অচেনা সংস্কৃতির স্বাদ। খাবারকে তিনি শুধু স্বাদের বিষয় হিসেবে দেখতেন না; বরং সংস্কৃতি, রাজনীতি, ইতিহাস ও মানুষের সঙ্গে সংযোগের উপায় হিসেবে বিবেচনা করতেন।
পাঠকদের জন্য রইল সব সময় কাজে লাগানোর মতো অ্যান্থনি বোর্ডেনের দেওয়া ৫টি টিপস। দেশের বাইরে ঘুরতে গিয়ে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে ভ্রমণ আরও উপভোগ্য হয়ে উঠবে। অ্যান্থনি বোর্ডেনের দর্শন ছিল সোজা—খাদ্য শুধু খাওয়ার জন্য নয়, এটা একটা অভিজ্ঞতা। আপনি যদি রেস্টুরেন্টে যান, জানুন কোথায় যাচ্ছেন, কী খাচ্ছেন। আর সবার আগে রান্নার পেছনের মানুষগুলোকে সম্মান করুন।
খাবার কখন ফিরিয়ে দেবেন
যদি খাবার ভুলভাবে রান্না হয় বা মেনুতে বলা জিনিস না আসে, তাহলে ভদ্রভাবে অভিযোগ করা একদম ঠিক। কিন্তু শুধু আপনার ভালো না লাগলে ফিরিয়ে না দেওয়াই ভালো। একেবারে খেতে না পারলে ফিরিয়ে দিতে পারেন, তবে খরচটা নিজেকে বইতে হবে। রেস্টুরেন্টে পরিবেশন করা ব্রেড রিসাইকেল করা খুবই সাধারণ। বোর্ডেনের ভাষায়, এটা ‘ওপেন সিক্রেট’। রিসাইকেল ব্রেড খাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও তিনি বলতেন, ‘এটা নেওয়ার মতো ঝুঁকি’।
সস্তা সুশি মানেই বিপদ
বোর্ডেন যেকোনো কিছু খেতে সাহসী হলেও সস্তা সুশি থেকে তিনি দূরে থাকতেন। তাঁর মতে, ‘সস্তা সুশি মানে বিপদের ঘণ্টা, নিশ্চিতভাবে এড়িয়ে চলুন।’ বর্তমানে আমরাও অনেক জায়গায় দেখে ও শুনে থাকি, এত কম দামে সুশি! এ তথ্য জানার পর সস্তা সুশির কোনো ভিডিও কিংবা লেখা পড়লে অবশ্যই সেখান থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। আর বিষয়টি শুধুই সুশি নয়, অন্যান্য খাবারের ক্ষেত্রেও বিবেচনায় রাখতে পারেন।
অনলাইন ট্রল হন, কিন্তু কৌশলে
বোর্ডেনের একটি মজার টিপস হলো, আপনি কোথাও যাওয়ার আগে কোনো ফোরামে গিয়ে লিখুন, ‘ওই শহরের ভালো খাবার আমি পেয়েছি ওমুক জায়গায়।’ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা আপনাকে ‘শিখিয়ে দিতে’ এগিয়ে আসবে। সে থেকেই পাবেন সেরা খাবারের ঠিকানা। এ ছাড়া বোর্ডেনের মতে, গাইডবুক নয়, লোকাল ফুড ব্লগারদের কথা শোনা বুদ্ধিমানের কাজ। বোর্ডেন বলতেন, স্থানীয় ব্লগাররাই প্রকৃত হিরো। যাঁরা রাস্তার খাবার বা স্থানীয় বিশেষ পদ নিয়ে লেখেন, তাঁদের কথাই তুলনামূলক সত্যি।
ওয়েটারদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন
শুধু ভালো মানুষ হওয়ার জন্য নয়, নিজের কাজের জন্যও ওয়েটারদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। কারণ, তাঁরা আপনাকে এমন তথ্য দিতে পারেন, যা আপনার পেট রক্ষা করবে! ‘ভালো ওয়েটার হয়তো আপনাকে সেই পুরোনো মাছ অর্ডার দেওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে’, বলতেন বোর্ডেন।
ছোট মেনু, ভালো মান
বোর্ডেন পরামর্শ দিতেন, ‘যে রেস্টুরেন্ট শুধু তিনটি জিনিস রান্না করে এবং দীর্ঘদিন ধরে সেটা করে আসছে, ওই জায়গাটাই আসল।’ এমন বিশেষ রেস্তোরাঁগুলোতে খাবার হয় নিখুঁত। অর্থাৎ যে জায়গা যার জন্য বিখ্যাত, সেখানে সেটাই খান। আর যেখানে স্থানীয় মানুষ, সেখানেই খাওয়ার চেষ্টা করুন। বোর্ডেন বলতেন, ‘ট্যুরিস্টদের জন্য বানানো জায়গা এড়িয়ে চলুন।’ এ ক্ষেত্রে খেয়াল করতে পারেন, যেখানে ছবি দিয়ে মেনু ভর্তি, অতি ঝকঝকে ও ডিজাইনড রেস্টুরেন্ট বিদেশি অতিথিদের ভিড়, সেই জায়গাগুলো এড়িয়ে চলুন; বরং যেখানে স্থানীয় মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানেই যান।
সূত্র: শোবিজ ডেইলি
অ্যান্থনি বোর্ডেন শুধু এক বিশ্ববিখ্যাত শেফ-ই ছিলেন না; ছিলেন পর্যটক। খাদ্যসংস্কৃতি নিয়ে ছিল তাঁর ব্যাপক জ্ঞান ও আগ্রহ। তাঁর বই ‘কিচেন কনফিডেনশিয়াল’ শুধু রান্নাঘরের অন্দরমহলের গোপন কথা প্রকাশ করেনি, বরং তাঁকে তুলে এনেছে খাদ্যসংস্কৃতির এক বিশ্বাসযোগ্য কণ্ঠস্বর হিসেবে। তিনি খাদ্য ও ভ্রমণ নিয়ে কথা বলতেন অকপটে, রসবোধ আর বাস্তবতায় ভর করে। বইতে তিনি অকপটে রেস্তোরাঁর অন্দরের বাস্তবতা, রন্ধনপ্রক্রিয়ার অদ্ভুত কৌশল এবং শেফদের রুক্ষ জীবনের কথা তুলে ধরেন। বইটি প্রকাশের পর তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি লাভ করেন। তাঁর জনপ্রিয় টিভি শো ‘নো রিজার্ভেশনস’ আর ‘পার্টস আননোন’ আমাদের ঘুরিয়ে দেখিয়েছে অজানা রান্না আর অচেনা সংস্কৃতির স্বাদ। খাবারকে তিনি শুধু স্বাদের বিষয় হিসেবে দেখতেন না; বরং সংস্কৃতি, রাজনীতি, ইতিহাস ও মানুষের সঙ্গে সংযোগের উপায় হিসেবে বিবেচনা করতেন।
পাঠকদের জন্য রইল সব সময় কাজে লাগানোর মতো অ্যান্থনি বোর্ডেনের দেওয়া ৫টি টিপস। দেশের বাইরে ঘুরতে গিয়ে এই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখলে ভ্রমণ আরও উপভোগ্য হয়ে উঠবে। অ্যান্থনি বোর্ডেনের দর্শন ছিল সোজা—খাদ্য শুধু খাওয়ার জন্য নয়, এটা একটা অভিজ্ঞতা। আপনি যদি রেস্টুরেন্টে যান, জানুন কোথায় যাচ্ছেন, কী খাচ্ছেন। আর সবার আগে রান্নার পেছনের মানুষগুলোকে সম্মান করুন।
খাবার কখন ফিরিয়ে দেবেন
যদি খাবার ভুলভাবে রান্না হয় বা মেনুতে বলা জিনিস না আসে, তাহলে ভদ্রভাবে অভিযোগ করা একদম ঠিক। কিন্তু শুধু আপনার ভালো না লাগলে ফিরিয়ে না দেওয়াই ভালো। একেবারে খেতে না পারলে ফিরিয়ে দিতে পারেন, তবে খরচটা নিজেকে বইতে হবে। রেস্টুরেন্টে পরিবেশন করা ব্রেড রিসাইকেল করা খুবই সাধারণ। বোর্ডেনের ভাষায়, এটা ‘ওপেন সিক্রেট’। রিসাইকেল ব্রেড খাওয়ার ঝুঁকি থাকলেও তিনি বলতেন, ‘এটা নেওয়ার মতো ঝুঁকি’।
সস্তা সুশি মানেই বিপদ
বোর্ডেন যেকোনো কিছু খেতে সাহসী হলেও সস্তা সুশি থেকে তিনি দূরে থাকতেন। তাঁর মতে, ‘সস্তা সুশি মানে বিপদের ঘণ্টা, নিশ্চিতভাবে এড়িয়ে চলুন।’ বর্তমানে আমরাও অনেক জায়গায় দেখে ও শুনে থাকি, এত কম দামে সুশি! এ তথ্য জানার পর সস্তা সুশির কোনো ভিডিও কিংবা লেখা পড়লে অবশ্যই সেখান থেকে নিজেকে দূরে রাখবেন। আর বিষয়টি শুধুই সুশি নয়, অন্যান্য খাবারের ক্ষেত্রেও বিবেচনায় রাখতে পারেন।
অনলাইন ট্রল হন, কিন্তু কৌশলে
বোর্ডেনের একটি মজার টিপস হলো, আপনি কোথাও যাওয়ার আগে কোনো ফোরামে গিয়ে লিখুন, ‘ওই শহরের ভালো খাবার আমি পেয়েছি ওমুক জায়গায়।’ সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা আপনাকে ‘শিখিয়ে দিতে’ এগিয়ে আসবে। সে থেকেই পাবেন সেরা খাবারের ঠিকানা। এ ছাড়া বোর্ডেনের মতে, গাইডবুক নয়, লোকাল ফুড ব্লগারদের কথা শোনা বুদ্ধিমানের কাজ। বোর্ডেন বলতেন, স্থানীয় ব্লগাররাই প্রকৃত হিরো। যাঁরা রাস্তার খাবার বা স্থানীয় বিশেষ পদ নিয়ে লেখেন, তাঁদের কথাই তুলনামূলক সত্যি।
ওয়েটারদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন
শুধু ভালো মানুষ হওয়ার জন্য নয়, নিজের কাজের জন্যও ওয়েটারদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন। কারণ, তাঁরা আপনাকে এমন তথ্য দিতে পারেন, যা আপনার পেট রক্ষা করবে! ‘ভালো ওয়েটার হয়তো আপনাকে সেই পুরোনো মাছ অর্ডার দেওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিতে পারে’, বলতেন বোর্ডেন।
ছোট মেনু, ভালো মান
বোর্ডেন পরামর্শ দিতেন, ‘যে রেস্টুরেন্ট শুধু তিনটি জিনিস রান্না করে এবং দীর্ঘদিন ধরে সেটা করে আসছে, ওই জায়গাটাই আসল।’ এমন বিশেষ রেস্তোরাঁগুলোতে খাবার হয় নিখুঁত। অর্থাৎ যে জায়গা যার জন্য বিখ্যাত, সেখানে সেটাই খান। আর যেখানে স্থানীয় মানুষ, সেখানেই খাওয়ার চেষ্টা করুন। বোর্ডেন বলতেন, ‘ট্যুরিস্টদের জন্য বানানো জায়গা এড়িয়ে চলুন।’ এ ক্ষেত্রে খেয়াল করতে পারেন, যেখানে ছবি দিয়ে মেনু ভর্তি, অতি ঝকঝকে ও ডিজাইনড রেস্টুরেন্ট বিদেশি অতিথিদের ভিড়, সেই জায়গাগুলো এড়িয়ে চলুন; বরং যেখানে স্থানীয় মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানেই যান।
সূত্র: শোবিজ ডেইলি
ত্বকের দাগ-ছোপ বা খুঁত এড়াতে অনেকেই নানান ধরনের প্রসাধনীতে ভরসা রাখেন। এই ব্যস্ত জীবনে এটা-ওটা বেটে ত্বকে ব্যবহারেরই-বা সময় কোথায়। তবে রাসায়নিক উপাদানে ভরা এসব প্রসাধনী ব্যবহারে সাময়িক সুবিধা পাওয়া গেলেও দীর্ঘমেয়াদি ফল পাওয়া প্রায় অসম্ভব। পাশাপাশি থাকতে পারে এগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি।
৫ ঘণ্টা আগেকাজ শেষে বাড়ি ফিরে আলাদা করে ভাত, ডাল, তরকারি রাঁধতে মন চাইছে না? বাড়িতে মুগ ডাল আর মৌসুমি সবজি কাঁকরোল থাকলে ঝটপট রেঁধে ফেলুন মুগ ডালে কাঁকরোল। সময় বাঁচবে, খেতেও হবে সুস্বাদু। খাবারটির রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন আফরোজা খানম মুক্তা।
৭ ঘণ্টা আগেবর্তমান সময়ে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা যেন এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে থাইয়রেড, পিসিওএস, পিসিওডি, এডিএইচডি, ইটিং ডিসঅর্ডারসহ বাহারি সব রোগ। যেগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার এই যাত্রাকে আরও কঠিন করে দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেটয়লেটে একবার ঢুকে বের হওয়ার নাম নেই! এমন ঘটনা অনেকের বেলায়ই ঘটে। এই বিলম্বের কারণ কি মোবাইল ফোন? এটা শুধু আপনার বাসার সদস্যদের সমস্যা নয়, বর্তমানে টয়লেটে বসে মোবাইল ফোন স্ক্রল করেন এমন মানুষের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলেছে। এতে ক্ষতি হচ্ছে অনেকটাই।
১১ ঘণ্টা আগে