ফিচার ডেস্ক, ঢাকা
প্রতিষ্ঠানটিকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হিসেবে চিনি। জানি সেটি চাঁদসহ মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ বা উপগ্রহে ‘রকেট’ পাঠায়, কখনো মানুষসহ আবার কখনো মানুষ ছাড়া। এটুকু জেনেই সন্তুষ্ট ছিলাম আমরা। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান মহাকাশ নিয়ে গবেষণা আর মিশন পরিচালনার কাজে এত জিনিস আবিষ্কার করেছে যে সেগুলো ছাড়া এই ডিজিটাল যুগে আমাদের বেশ খালি খালি লাগে।
একবার ভাবুন, আজকের যে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা, তার জন্মরহস্য ওই দ্য ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তথা নাসার গবেষণার সূত্রেই। কিংবা ধরুন বেবি ফর্মুলা বা তারবিহীন হেডফোন কিংবা ম্যাট্রেস! নাসার কোনো না কোনো গবেষণা থেকেই এগুলোর জন্ম হয়েছে। আর সেগুলোর সুবিধা ভোগ করছি আমরা। এমন প্রচুর জিনিস আছে যেগুলো নাসার গবেষণাগারেই তৈরি হয়েছে। এখানে নাসার ল্যাবরেটরি থেকে আসা ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের পরিচয় তুলে ধরা হলো পাঠকের জন্য।
ক্যামেরা ফোন
আজকের পৃথিবীতে ক্যামেরা ফোন ছাড়া জীবন কল্পনা করা কঠিন। সেই সঙ্গে ভিডিও করা বিষয়টিকে অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছে গোপ্রো ক্যামেরা। জানেন কি, এগুলোর শিকড় লুকিয়ে আছে মহাকাশ গবেষণায়। ১৯৬০-এর দশকে নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির প্রকৌশলী ইউজিন লালি আলোকে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তরের ধারণা দেন। পরে এরিক ফসাম ও তাঁর দল ছোট আকারে, কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে উচ্চমানের ছবি তোলার সেন্সর তৈরি করেন, যা পরে সিএমওএস সেন্সর নামে পরিচিত হয়। এই প্রযুক্তিই আজ আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোনের ক্যামেরায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
মেমোরি ফোম ম্যাট্রেস
আরামদায়ক মেমোরি ফোমের জন্মও নাসার হাত ধরে। ষাটের দশকের শেষদিকে মহাকাশযাত্রার সময় প্রবল চাপ সহ্য করার পাশাপাশি আরামদায়ক সিট তৈরির জন্য বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন বিশেষ স্লো স্প্রিং ব্যাক ফোম। এই ফোম চাপ শোষণ করে শরীরের ওজন সমানভাবে ছড়িয়ে দিয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। প্রথমে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত হলেও পরে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ম্যাট্রেস হিসেবে।
ওয়্যারলেস হেডফোন
মহাকাশযানে ভিড়ের মধ্যে জটলা পাকানো তারে যোগাযোগ কঠিন হয়ে উঠত। এ জন্য নাসা খুঁজছিল হালকা ও তারহীন হেডসেট। ষাটের দশকে প্ল্যানট্রনিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তৈরি হেডসেট ব্যবহৃত হয়েছিল জেমিনি, অ্যাপোলো আর স্কাইল্যাব মিশনে। নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে নামার পর পৃথিবীর সঙ্গে কথা বলার সময় ব্যবহার করেছিলেন বিশেষ এই হেডসেট। এখান থেকে ওয়্যারলেস হেডফোন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
বেবি ফর্মুলা
শিশুর দুধের গুঁড়োতেও লুকিয়ে আছে নাসা। নব্বইয়ের দশকে মহাকাশে অক্সিজেন উৎপাদনের উপায় খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন যে শৈবালে মানব দুধের মতো পুষ্টিকর ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এ থেকেই তৈরি হয় ফর্মুলাইড, যা বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ শিশুখাদ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কম্পিউটারের মাউস
কম্পিউটারের মাউস সরাসরি নাসার উদ্ভাবন না হলেও এর বিকাশে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা ছিল অনেক। ষাটের দশকে স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডগলাস এঙ্গেলবার্ট নাসার অনুদান নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। সেখান থেকেই জন্ম নেয় আধুনিক কম্পিউটারের মাউস।
পানিশোধন প্রযুক্তি
মহাকাশে টিকে থাকতে হলে বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই। এ জন্য ষাটের দশকে নাসা তৈরি করে বিশেষ ফিল্টার প্রযুক্তি। আজ ঘরবাড়ি থেকে হাসপাতাল, সবখানে ব্যবহৃত আধুনিক ওয়াটার ফিল্টারের মূল ধারণাটি এসেছে সেই গবেষণা থেকে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ঘামের পানি থেকে শুরু করে মূত্র পর্যন্ত ৮০ শতাংশ তরল পুনর্ব্যবহার করে পানযোগ্য পানি বানানো হয়।
স্কি বুট
মহাকাশচারীদের জন্য এমন একটি স্পেস স্যুট দরকার ছিল, যা পরে তাঁরা সহজে চলাফেরা করতে পারবেন। নাসা এই স্পেস স্যুটে বৈদ্যুতিক ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা যুক্ত করার পাশাপাশি জোড়া লাগানোর জন্য বিশেষ কৌশল তৈরি করে। এই প্রযুক্তি পরবর্তীকালে আধুনিক স্কি বুট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ফুল টিল্ট বুটস নামের একটি ব্র্যান্ড এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুট তৈরি করত।
স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী লেন্স
আগে চশমার লেন্স কাচের তৈরি হতো বলে সেগুলো সহজে ভেঙে যেত। প্লাস্টিকের লেন্স আসায় এই সমস্যা কমে আসে। কিন্তু সেগুলোতে আঁচড়ের দাগের সমস্যা দূর হয়নি। নাসার আমেস রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী টেড ওয়াইডেভেন পানি পরিশোধন ব্যবস্থার জন্য একটি পাতলা প্লাস্টিকের আস্তরণ তৈরি করেন। এই আস্তরণ ছিল খুব শক্ত। নাসা এই পাতলা কিন্তু শক্ত আস্তরণটিকে ব্যবহার করে মহাকাশচারীদের হেলমেটগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে। ১৯৮৩ সালে ফোস্টার গ্রান্ট নামে একটি সানগ্লাস প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেন্স তৈরি করে। সে লেন্স হয়ে ওঠে আগের চেয়ে ১০ গুণ বেশি স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী।
স্যাটেলাইট নেভিগেশন
১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক-১ উৎক্ষেপণ করে। এর এক বছর পর আমেরিকা এক্সপ্লোরার-১ পাঠায় মহাকাশে। এরপর থেকে স্যাটেলাইট যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন চলতে থাকে। ১৯৬০ সালে নাসা ট্রানজিট ১বি উপগ্রহ পাঠায় মহাকাশে, যা মার্কিন নৌবাহিনীর সাবমেরিনগুলোকে দিকনির্দেশনা দিত। পরবর্তীকালে এটি গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস নামে পরিচিত হয়। বর্তমানে গাড়ির নেভিগেশন, মোবাইল কল থেকে শুরু করে প্রতিদিনকার জীবনে আমরা এর ওপর নির্ভরশীল।
উন্নত টায়ার
১৯৭৬ সালে মঙ্গলগ্রহে ভাইকিং ল্যান্ডার অবতরণের জন্য তৈরি বিশেষ শক্তিশালী পদার্থ দিয়ে বানানো হয়েছিল প্যারাস্যুটের দড়ি। পরে গুডইয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠান সেই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাড়ির টায়ার তৈরি করে, যা ছিল আরও মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী।
মহাকাশ অভিযানের প্রযুক্তি শুধু আকাশের জন্য নয়, আমাদের প্রতিদিনের জীবনকেও করেছে আরও উন্নত ও আরামদায়ক। নাসার গবেষণা থেকে জন্ম নেওয়া এসব আবিষ্কার নিঃসন্দেহে আধুনিক সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সূত্র: ডেইলি মেইল
প্রতিষ্ঠানটিকে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা হিসেবে চিনি। জানি সেটি চাঁদসহ মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ বা উপগ্রহে ‘রকেট’ পাঠায়, কখনো মানুষসহ আবার কখনো মানুষ ছাড়া। এটুকু জেনেই সন্তুষ্ট ছিলাম আমরা। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান মহাকাশ নিয়ে গবেষণা আর মিশন পরিচালনার কাজে এত জিনিস আবিষ্কার করেছে যে সেগুলো ছাড়া এই ডিজিটাল যুগে আমাদের বেশ খালি খালি লাগে।
একবার ভাবুন, আজকের যে মোবাইল ফোনের ক্যামেরা, তার জন্মরহস্য ওই দ্য ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তথা নাসার গবেষণার সূত্রেই। কিংবা ধরুন বেবি ফর্মুলা বা তারবিহীন হেডফোন কিংবা ম্যাট্রেস! নাসার কোনো না কোনো গবেষণা থেকেই এগুলোর জন্ম হয়েছে। আর সেগুলোর সুবিধা ভোগ করছি আমরা। এমন প্রচুর জিনিস আছে যেগুলো নাসার গবেষণাগারেই তৈরি হয়েছে। এখানে নাসার ল্যাবরেটরি থেকে আসা ১০টি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের পরিচয় তুলে ধরা হলো পাঠকের জন্য।
ক্যামেরা ফোন
আজকের পৃথিবীতে ক্যামেরা ফোন ছাড়া জীবন কল্পনা করা কঠিন। সেই সঙ্গে ভিডিও করা বিষয়টিকে অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছে গোপ্রো ক্যামেরা। জানেন কি, এগুলোর শিকড় লুকিয়ে আছে মহাকাশ গবেষণায়। ১৯৬০-এর দশকে নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির প্রকৌশলী ইউজিন লালি আলোকে ডিজিটাল সংকেতে রূপান্তরের ধারণা দেন। পরে এরিক ফসাম ও তাঁর দল ছোট আকারে, কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে উচ্চমানের ছবি তোলার সেন্সর তৈরি করেন, যা পরে সিএমওএস সেন্সর নামে পরিচিত হয়। এই প্রযুক্তিই আজ আমাদের হাতে থাকা স্মার্টফোনের ক্যামেরায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
মেমোরি ফোম ম্যাট্রেস
আরামদায়ক মেমোরি ফোমের জন্মও নাসার হাত ধরে। ষাটের দশকের শেষদিকে মহাকাশযাত্রার সময় প্রবল চাপ সহ্য করার পাশাপাশি আরামদায়ক সিট তৈরির জন্য বিজ্ঞানীরা তৈরি করেন বিশেষ স্লো স্প্রিং ব্যাক ফোম। এই ফোম চাপ শোষণ করে শরীরের ওজন সমানভাবে ছড়িয়ে দিয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরে যায়। প্রথমে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যবহৃত হলেও পরে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ম্যাট্রেস হিসেবে।
ওয়্যারলেস হেডফোন
মহাকাশযানে ভিড়ের মধ্যে জটলা পাকানো তারে যোগাযোগ কঠিন হয়ে উঠত। এ জন্য নাসা খুঁজছিল হালকা ও তারহীন হেডসেট। ষাটের দশকে প্ল্যানট্রনিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় তৈরি হেডসেট ব্যবহৃত হয়েছিল জেমিনি, অ্যাপোলো আর স্কাইল্যাব মিশনে। নীল আর্মস্ট্রং চাঁদে নামার পর পৃথিবীর সঙ্গে কথা বলার সময় ব্যবহার করেছিলেন বিশেষ এই হেডসেট। এখান থেকে ওয়্যারলেস হেডফোন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
বেবি ফর্মুলা
শিশুর দুধের গুঁড়োতেও লুকিয়ে আছে নাসা। নব্বইয়ের দশকে মহাকাশে অক্সিজেন উৎপাদনের উপায় খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন যে শৈবালে মানব দুধের মতো পুষ্টিকর ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এ থেকেই তৈরি হয় ফর্মুলাইড, যা বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ শিশুখাদ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে।
কম্পিউটারের মাউস
কম্পিউটারের মাউস সরাসরি নাসার উদ্ভাবন না হলেও এর বিকাশে প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা ছিল অনেক। ষাটের দশকে স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডগলাস এঙ্গেলবার্ট নাসার অনুদান নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। সেখান থেকেই জন্ম নেয় আধুনিক কম্পিউটারের মাউস।
পানিশোধন প্রযুক্তি
মহাকাশে টিকে থাকতে হলে বিশুদ্ধ পানির বিকল্প নেই। এ জন্য ষাটের দশকে নাসা তৈরি করে বিশেষ ফিল্টার প্রযুক্তি। আজ ঘরবাড়ি থেকে হাসপাতাল, সবখানে ব্যবহৃত আধুনিক ওয়াটার ফিল্টারের মূল ধারণাটি এসেছে সেই গবেষণা থেকে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে ঘামের পানি থেকে শুরু করে মূত্র পর্যন্ত ৮০ শতাংশ তরল পুনর্ব্যবহার করে পানযোগ্য পানি বানানো হয়।
স্কি বুট
মহাকাশচারীদের জন্য এমন একটি স্পেস স্যুট দরকার ছিল, যা পরে তাঁরা সহজে চলাফেরা করতে পারবেন। নাসা এই স্পেস স্যুটে বৈদ্যুতিক ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা যুক্ত করার পাশাপাশি জোড়া লাগানোর জন্য বিশেষ কৌশল তৈরি করে। এই প্রযুক্তি পরবর্তীকালে আধুনিক স্কি বুট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ফুল টিল্ট বুটস নামের একটি ব্র্যান্ড এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বুট তৈরি করত।
স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী লেন্স
আগে চশমার লেন্স কাচের তৈরি হতো বলে সেগুলো সহজে ভেঙে যেত। প্লাস্টিকের লেন্স আসায় এই সমস্যা কমে আসে। কিন্তু সেগুলোতে আঁচড়ের দাগের সমস্যা দূর হয়নি। নাসার আমেস রিসার্চ সেন্টারের বিজ্ঞানী টেড ওয়াইডেভেন পানি পরিশোধন ব্যবস্থার জন্য একটি পাতলা প্লাস্টিকের আস্তরণ তৈরি করেন। এই আস্তরণ ছিল খুব শক্ত। নাসা এই পাতলা কিন্তু শক্ত আস্তরণটিকে ব্যবহার করে মহাকাশচারীদের হেলমেটগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে। ১৯৮৩ সালে ফোস্টার গ্রান্ট নামে একটি সানগ্লাস প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে লেন্স তৈরি করে। সে লেন্স হয়ে ওঠে আগের চেয়ে ১০ গুণ বেশি স্ক্র্যাচ প্রতিরোধী।
স্যাটেলাইট নেভিগেশন
১৯৫৭ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ স্পুটনিক-১ উৎক্ষেপণ করে। এর এক বছর পর আমেরিকা এক্সপ্লোরার-১ পাঠায় মহাকাশে। এরপর থেকে স্যাটেলাইট যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়ন চলতে থাকে। ১৯৬০ সালে নাসা ট্রানজিট ১বি উপগ্রহ পাঠায় মহাকাশে, যা মার্কিন নৌবাহিনীর সাবমেরিনগুলোকে দিকনির্দেশনা দিত। পরবর্তীকালে এটি গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস নামে পরিচিত হয়। বর্তমানে গাড়ির নেভিগেশন, মোবাইল কল থেকে শুরু করে প্রতিদিনকার জীবনে আমরা এর ওপর নির্ভরশীল।
উন্নত টায়ার
১৯৭৬ সালে মঙ্গলগ্রহে ভাইকিং ল্যান্ডার অবতরণের জন্য তৈরি বিশেষ শক্তিশালী পদার্থ দিয়ে বানানো হয়েছিল প্যারাস্যুটের দড়ি। পরে গুডইয়ার নামে একটি প্রতিষ্ঠান সেই একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাড়ির টায়ার তৈরি করে, যা ছিল আরও মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী।
মহাকাশ অভিযানের প্রযুক্তি শুধু আকাশের জন্য নয়, আমাদের প্রতিদিনের জীবনকেও করেছে আরও উন্নত ও আরামদায়ক। নাসার গবেষণা থেকে জন্ম নেওয়া এসব আবিষ্কার নিঃসন্দেহে আধুনিক সভ্যতার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সূত্র: ডেইলি মেইল
প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। আমরা অনেকেই মোবাইল ফোন বাড়িতে ফেলে এলে মনে করি, শরীরের একটা অংশ নেই! আমাদের আশপাশে তাকালেই দেখা যায়, সবাই তাদের স্ক্রিনে মুখ গুঁজে বসে আছে। বাসে কিংবা যেকোনো বাহনেও সবাই একই রকম কাজ করেই যায়। মুখ তুলে বাইরে কেউ দেখেই না আজকাল! পরিবার কিংবা বন্ধুদের আড্ডাতেও
১২ মিনিট আগেকিছু খাবার এয়ার ফ্রায়ারে রান্না করলে গন্ধ বা তেল ইত্যাদি ছড়িয়ে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি করতে পারে। স্টেক, পপকর্ন থেকে তৈরি খাবার, পাতাযুক্ত সবজি বা বড় কেক তৈরিতে এয়ার ফ্রায়ারের সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট। এই যন্ত্রে এগুলো রান্না করতে না যাওয়াই ভালো।
১ ঘণ্টা আগেহয়তো আপনি খেয়াল করেননি। কিন্তু আপনার সঙ্গে দিনের পর দিন এসব ঘটে গেছে বলে আপনি সম্পর্কের শেষ চান। আবার আপনি ভেবেও পাচ্ছেন না, সব দোষ কেন আপনার ঘাড়েই আসছে! সম্পর্ক শেষ করার আগে একবার সচেতনভাবে খেয়াল করুন আপনার সঙ্গীটি নার্সিসিস্ট কি না।
২ ঘণ্টা আগে‘সাতলা’ নামের মাঝেই লুকিয়ে আছে এক অন্যরকম আদিমতা। আধুনিকতার আড়ালে আজ অনেক বুনো সৌন্দর্যই বিলীন। তবে নয়াকান্দী গ্রামটা এখনো তার ব্যতিক্রম। হ্যাঁ বলছি, বরিশাল জেলার উজিরপুরের নয়াকান্দী গ্রামের সাতলা বিলের কথা।
৪ ঘণ্টা আগে