Ajker Patrika

সারা আলি খানের মতো ফিটনেস পেতে যেমন ডায়েট রুটিন মেনে চলবেন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
সারা আলি খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
সারা আলি খান। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

শরীরচর্চা ও ডায়েটের বেলায় বলিউড তারকা সারা আলি খান ভীষণ পরিশ্রমী। শরীর আর ওজন ঠিক রাখতে বিস্বাদ খাবার খেতেও আপত্তি নেই তাঁর। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর সকালের খাবার নিয়ে কথা বলেছেন। অন্যরা যেমন মুখরোচক জম্পেশ নাশতা করতে পারেন, সারার কপালে সেই সুখ নেই। কারণ, আর পাঁচজনের মতো দুধ বা শর্করাজাতীয় খাবার খাওয়ার অনুমতি নেই তাঁর। সকাল সকাল যা খেতে হয়, সেটি সারার অপছন্দ হলেও যেহেতু শরীরের জন্য ভালো, তাই আপত্তি করেন না।

সারা আলি খান চিনি, শর্করা ও দুধজাতীয় খাবার ছাড়া ডায়েট রুটিন অনুসরণ করেন। ওজন কমাতে কি সবারই এই রুটিন মেনে চলা উচিত? ‘পিংক ভিলা’কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ২৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, তিনি কঠোরভাবে চিনি, দুধ ও শর্করাবিহীন ডায়েট অনুসরণ করেন।

শরীর আর ওজন ঠিক রাখতে বিস্বাদ খাবার খেতেও আপত্তি নেই সারা আলি খানের। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
শরীর আর ওজন ঠিক রাখতে বিস্বাদ খাবার খেতেও আপত্তি নেই সারা আলি খানের। ছবি: ইনস্টাগ্রাম

কিন্তু এটি কি স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি? এটি কি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে?

ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞ সুমিত শর্মা চলতি বছরের ২৮ মার্চ তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টে সারা আলি খানের এই ডায়েট কাজ করে কি না সে সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। কী করে এই ডায়েট শরীরের কাজে লাগে সেটিও বর্ণনা করেছেন।

সুমিত শর্মার ভাষ্য, ‘ওজন কমানোর প্রক্রিয়াটি সহজ, যদি আপনি জানেন কী খাবেন এবং কখন খাবেন।’ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, দুধ, চিনি, মিহি ময়দা ও গমের মতো কিছু উপকরণ বাদ দিলে ওজন কমানোর মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে।

তাঁর মতে, কেউ যদি এই পদ্ধতি সঠিকভাবে মেনে চলেন, তাহলে মাত্র দুই মাসের মধ্যে সারা আলি খানের মতো ফিটনেস অর্জন করা সম্ভব হবে। তিনি একটি সহজ ডায়েটও শেয়ার করেছেন যা অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে।

কী সেই ডায়েট রুটিন?

সকালের নাশতা

সুমিত দিন শুরু করার পরামর্শ দেন স্প্রাউট, ডাবের পানি, শুকনো ফল, তাজা শাকসবজি ও ফল দিয়ে। এসব খাবার সারা দিন শক্তি জোগানের জন্য আঁশ, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

দুপুরের খাবার

দুপুরের খাবারের জন্য সুমিত মসুর ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন। এটি ক্ল্যাসিক ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যা তৃপ্তি পেতে ও হজমে সহায়তা করে।

রাতের খাবার

রাতে হালকা কিন্তু তৃপ্তিদায়ক খাবার হিসেবে মৌসুমি সবজির সঙ্গে রুটি বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন সুমিত। এ ধরনের খাবার হজমের জন্য সহজ। সুমিত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ যোগ করেছেন। তিনি বলেন, দুপুর ও রাতের খাবারের আগে এক বাটি সালাদ খেতে ভুলবেন না। সালাদ হজমে সাহায্য করে, অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায় এবং আপনার খাবারে আরও আঁশ যোগ করে।

সারা আলি খানের মতো ফিটনেস ও সুন্দর ত্বক পেতে বাড়তি টিপস

ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই সারা কাঁচা হলুদ ও পালংশাক পানিতে ফুটিয়ে একটি পানীয় তৈরি করে পান করেন। রোজ সকালে এই পানি পান করে তাঁর দিন শুরু হয়। হলুদ ও পালংশাক একসঙ্গে খেলে তা হজমশক্তি ভালো রাখে, ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এতে ওজনও বাড়ে না।

পুষ্টিবিদদের মতে, হলুদ ও পালংশাক দুটি খাবারই পুষ্টিগুণে ভরা। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনও রয়েছে এতে। হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রদাহবিরোধী একটি উপাদান। এ ছাড়া এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষ ভালো রাখতে সাহায্য করে। হৃৎস্বাস্থ্য ভালো রাখে। রোগপ্রতিরোধ শক্তিও বৃদ্ধি করে। অন্যদিকে পালংশাকে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে, আয়রন ও ক্যালসিয়াম। দুটি উপকরণই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

যেভাবে এই পানীয় তৈরি করবেন

পালংশাক ভালোভাবে ধুয়ে তা লবণ মেশানো গরম পানিতে ৩ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর পরিষ্কার করে নিন। এবার ফুটন্ত পানিতে পালংশাক ও হলুদ দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। বেশ কয়েক মিনিট ফোটানোর পর পানির রং পরিবর্তন হয়ে গাঢ় হয়ে এলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে কুসুম গরম অবস্থায় পান করতে হবে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও অন্যান্য

ছবি: ইনস্টাগ্রাম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তৈরি করুন টমেটোর জ্যাম

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
টমেটোর জ্যাম।
টমেটোর জ্যাম।

এখন আর টমেটোর ‘সিজন’ বলে কিছু নেই। সারা বছর পাওয়া যায়। তবে এটি মূলত শীতকালীন সবজি। শীতে টমেটোর যে স্বাদ পাওয়া যায়, বছরের অন্যান্য সময় তা পাওয়া যায় না। টমেটো দিয়ে অনেক মুখরোচক রেসিপি তৈরি করা যায়। মিক্সড ভেজিটেবল, ভর্তা, চাটনি, ডাল ইত্যাদি যেমন তৈরি করা যায়, তেমনি এটি দিয়ে বানানো যায় জ্যাম। আপনাদের জন্য টমেটোর জ্যামের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

উপকরণ

টমেটো ৪টি, চিনি ২ কাপ, লেবুর রস সামান্য, পাইনাপেল অয়েল ৪ ফোঁটা, চায়না গ্রাস আধা কাপ এবং পানি ২ কাপ।

প্রণালি

প্রথমে টমেটো চার টুকরো করে কেটে দুই কাপ পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে জুস করে নিন। এবার হাঁড়িতে টমেটোর জুস, চিনি, লেবুর রস দিয়ে চুলায় নেড়ে নেড়ে রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে পাইনাপেল অয়েল দিন। অন্য একটি হাঁড়িতে আধা কাপ পানি আর চায়না গ্রাস গরম করে নিন।

এবার টমেটোর মিশ্রণের সঙ্গে এটি মিশিয়ে আবারও রান্না করুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। এবার পরিষ্কার জীবাণুমুক্ত কাচের জারে ঢেলে ঠান্ডা হতে দিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০: ০২
আপনার রাশিফল: অতি আত্মবিশ্বাসের লাগাম টানুন, ভুল ধরলে রোমান্স বরবাদ

মেষ

আপনার ভেতরের ‘নেতা’ আজ সকাল থেকে অতিরিক্ত উৎসাহী। আজ সব সমস্যার সমাধান করতে চাইবেন—সেটি আপনার হোক বা পাড়ার দারোয়ানের। কিন্তু মনে রাখবেন, সব সমস্যার মূলে হয়তো আপনার নিজেরই কোনো ভুলে ভরা সিদ্ধান্ত লুকিয়ে আছে। পকেট থেকে টাকা খরচের গতি আজ বুলেটের চেয়ে বেশি হবে। ব্যাংক ব্যালেন্স আজ আপনার দিকে করুণ দৃষ্টিতে তাকাবে। চেষ্টা করুন বড় কোনো বিনিয়োগ না করে শুধু বিরিয়ানি বা ফুচকাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে। আত্মবিশ্বাস আজ এমন পর্যায়ে থাকবে যে সঙ্গীকেও পরামর্শ দিতে যাবেন, ‘আমার মতো আত্মবিশ্বাসী হও!’ সাবধান! পরামর্শ দিতে গিয়ে ঝগড়া বাধাবেন না যেন! আগুন আর আবেগ—দুটোই আজ একটু কমিয়ে রাখুন, নইলে দুপুরে অম্বল (অ্যাসিডিটি) হবে।

বৃষ

আজ মানসিক অস্থিরতা ও বিভ্রান্তির মুখোমুখি হবেন। বিশেষ করে লাঞ্চে কী খাবেন ভাত নাকি রুটি, এই সিদ্ধান্ত নিতেই আপনার পুরো সকাল কেটে যাবে। ধৈর্য রাখুন, পৃথিবী স্থির, শুধু আপনার মনটাই লাফাচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে জেদ আজ আপনাকে কাজ শেষ করার বদলে সহকর্মীর সঙ্গে তর্ক করতে বেশি সাহায্য করবে। যদি মনে করেন আপনি ঠিক, তবু আজ চুপ থাকুন। শান্তি বজায় রাখুন, দেখবেন অস্থিরতা কমবে। আজ মিষ্টির প্রতি আকর্ষণ সাংঘাতিক বাড়বে। দাঁত আজ আপনার মনের সঙ্গে বিদ্রোহ করবে। মিষ্টি খেলে হাঁটুন, অন্তত পাঁচ মিনিট। দৃঢ়তার সঙ্গে ধীরে চলুন, সাফল্য আসবেই। কিন্তু বেশি ধীরে চললে ট্রেন মিস করবেন।

মিথুন

আজ সারাক্ষণ ফোন স্ক্রল করবেন, চ্যাট করবেন এবং নতুন বন্ধু বানাবেন। মস্তিষ্ক আজ এমনভাবে কাজ করবে, যেন ভেতরে দুটি কফি মেশিন একসঙ্গে চলছে। সৃজনশীলতার বন্যা বয়ে যাবে, কিন্তু সেটাকে কাজে লাগানোই আসল চ্যালেঞ্জ। এমন কিছু বলবেন না, যা পরে ‘ক্ল্যারিফিকেশন মিটিং’ ডেকে বোঝাতে হয়। দ্রুত কথা বলার অভ্যাস আজ ভুল-বোঝাবুঝি সৃষ্টি করতে পারে। সঙ্গীর সঙ্গে রোমান্টিক সময় কাটানোর সুযোগ আছে। তবে খেয়াল রাখবেন, রোমান্স করতে গিয়ে যেন ভুলেও পুরোনো কোনো ভুল বা দোষের কথা টেনে না আনেন। কথা কম, কাজ বেশি। আর যদি কথা বলতেই হয়, তবে শুধু হাসির কথা বলুন।

কর্কট

আজ সামান্যতেই আঘাত পেতে পারেন এবং নিজের খোলসের ভেতরে লুকিয়ে থাকতে চাইবেন। কেউ যদি জানতে চায় আপনার মুড কেন খারাপ, তবে হয়তো উত্তর দেবেন, ‘চাঁদ আজ ঠিক পজিশনে নেই।’ পরিবারের সদস্যদের প্রতি আবেগপ্রবণতা আজ আপনাকে দিয়ে এমন কিছু রান্না করিয়ে নিতে পারে, যা কেউ খেতে চাইবে না। তবু ধৈর্য ধরুন, রাতের বেলা শান্তি ফিরে আসবে। অর্থ-সংক্রান্ত কোনো পুরোনো মামলা বা ঋণ নিয়ে কিছুটা চিন্তা হতে পারে। চিন্তা না করে বরং ভালো করে কফি বানিয়ে শান্তিতে বসে থাকুন।

কাঁকড়ার মতো পেছনের দিকে না হেঁটে সামনের দিকে এগিয়ে যান, নইলে ট্রাফিক জ্যাম লেগে যাবে।

সিংহ

আপনার ‘রাজকীয় অহং’ আজ সামান্য কিছুতে আহত হতে পারে। অফিসে কেউ যদি কাজের প্রশংসা না করে, তবে আপনি হয়তো চুপ করে বসে থাকবেন। বস বা সিনিয়ররা কঠোর পরিশ্রমে মুগ্ধ হবেন, কিন্তু অতিরিক্ত নাটকীয়তা কিছুটা সমস্যা তৈরি করতে পারে। ভুলে যাবেন না, আপনি শুধু বস নন, আপনি একজন অভিনেতাও। পেটের সমস্যা কিছুটা বাড়তে পারে। অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। রাজা হতে পারেন, কিন্তু আপনার পরিপাকতন্ত্র রাজার মতো নয়। প্রশংসার জন্য অপেক্ষা না করে, নিজেই নিজেকে বাহবা দিন।

কন্যা

আজ কঠোর পরিশ্রম করবেন, এমনকি আলমারি বা জুতার তাকও নিখুঁতভাবে গুছিয়ে রাখবেন। সবকিছুতেই আপনার প্রত্যাশা থাকবে—পারফেক্ট। তবে ভুলে যাবেন না, পৃথিবীতে কোনো কিছুই পারফেক্ট নয়, এমনকি আপনিও না। সম্পর্কের ক্ষেত্রে নম্রতা এবং খোলামেলা যোগাযোগের প্রয়োজন। সঙ্গী বা বন্ধুর ভুল ধরিয়ে না দিয়ে কেবল চুপ করে শুনুন। পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হতে পারে—তার ভুলগুলো ধরিয়ে দেবেন না যেন! স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কিন্তু অতিরিক্ত চিন্তা করতে থাকলে সেই ভালো স্বাস্থ্যও খারাপ হতে পারে।

সবকিছু ঠিকঠাক আছে, প্লিজ রিল্যাক্স করুন।

তুলা

জীবনের দাঁড়িপাল্লা আজ দুলতে থাকবে। একটি বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দিন আজ। আপনি আজ নতুন ব্যবসা শুরু করবেন, নাকি পুরোনো প্রেমেই মন দেবেন—এই দোটানায় দিন কাটবে। ভুল-বোঝাবুঝি আজ পরিবারের সঙ্গে একটি ‘টক-ঝাল-মিষ্টি’ সম্পর্ক তৈরি করবে। কথা স্পষ্ট করুন, নয়তো ভুল কথার মাশুল আপনাকে দিতে হবে। আর্থিকভাবে পরিস্থিতি শক্তিশালী হবে। ভ্রমণের সম্ভাবনাও আছে। শপিং করার ইচ্ছে আজ আকাশ ছুঁতে পারে। এত চিন্তা করবেন না। কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে কয়েন টস করুন।

বৃশ্চিক

আপনার আবেগ আজ গভীর সমুদ্রের মতো—রহস্যময় ও প্রবল। পুরোনো স্মৃতি এবং সম্পর্ক আজ মনকে বিভ্রান্ত করতে পারে। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল শিগগির দেখা যাবে। আজ কেউ আপনার গোপনীয়তা জানার চেষ্টা করলে, তাকে একটি ভুল গল্প বলে বিদায় করুন। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে কিছু অপ্রত্যাশিত সুসংবাদ আসতে পারে। হতে পারে আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল চার্জারটি আজ খুঁজে পাবেন। সমস্যা হলো, আপনি রহস্য পেটে রাখতে পারেন, কিন্তু ফোন গ্যালারি নয়।

ধনু

আজ আনন্দদায়ক আড্ডায় বা ভ্রমণে যেতে চাইবেন। মনে রাখবেন, আপনার ব্যাগে কাজ করার জন্য যা আছে, তার চেয়ে বেশি আছে ভ্রমণ পরিকল্পনা। অতীতের একটি বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সম্ভবত সেই লটারির টিকিটটি আজ মনে পড়বে। মন থেকে সমস্ত নেতিবাচক চিন্তাকে দূরে সরিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করুন। অতিরিক্ত আশাবাদ আজ আপনাকে এমন কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে উৎসাহিত করবে, যা রাখা অসম্ভব। ‘কোথায় যেতে পারি?’—এটাই আজ আপনার জীবনের প্রধান প্রশ্ন।

মকর

আজ কাজ, কাজ, এবং আরও কাজ—এই তিনটি শব্দ ছাড়া আর কিছু বুঝবেন না। আপনার কঠোর পরিশ্রম আজ আপনাকে অস্থিরতা এবং চাপের মুখোমুখি করবে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর কথা ভুলে যাবেন না। পরিবার হয়তো ভাবছে, আপনি আসলে একজন রোবট, যাকে শুধু কাজের জন্যই প্রোগ্রাম করা হয়েছে। ধৈর্য এবং আত্মপ্রতিফলনের মাধ্যমে সাদৃশ্য খুঁজে পেতে পারেন। আজকের সব টেনশনকে আগামীকালকের জন্য জমিয়ে রাখুন। যদি কোনো কাজ না থাকে, তবে বসে বসে কাজের তালিকা করুন।

কুম্ভ

আজ আবেগ গোপন রাখতে চাইবেন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে অস্থিরতা এবং বিভ্রান্তির মুখোমুখি হবেন। আপনার কোনো অদ্ভুত পরিকল্পনা আজ সফল হতে পারে; তবে তা স্বাভাবিক মানুষের চোখে অদ্ভুতই মনে হবে। শান্তি বজায় রাখার জন্য সহানুভূতি এবং আপস প্রয়োজন। আপনি যেহেতু বায়ুর প্রতীক, তাই একটু বেশিই উড়ো উড়ো থাকবেন। মাটিতে নামুন, সম্পর্কটা দেখুন। আপনার বুদ্ধির জোর প্রবল, তাই আজ কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনকে বিশ্বাস করুন। তবে আপনার সেই মন আজ ফালতু জিনিসের পেছনে ছুটতে পারে। আপনার আইডিয়াগুলো খুব দারুণ, কিন্তু সেগুলো বাস্তব করার আগে একটা পেনসিল দিয়ে লিখে রাখুন।

মীন

আজ সুখ, ব্যক্তিগত বিকাশ এবং সৃজনশীল প্রকাশ উপভোগ করবেন। দিনের বেশির ভাগ সময় কাটবে দিবাস্বপ্নে। বাস্তবকে ভুলে আজ নিজের তৈরি করা জগতে ভাসতে চাইবেন। আপনার সৃজনশীলতা আজ সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে। সঙ্গীকে আজ একটি কবিতা বা গান লিখে উপহার দিন। পুরোনো সমস্যাগুলো আজ সমাধান হতে পারে। মনে রাখবেন, সমস্যা সমাধান হলেও নতুন সমস্যা তৈরি করার ক্ষমতা আপনার মধ্যেই আছে। বাস্তব জীবনে ফিরে আসুন, নইলে অফিসে বসের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎ গান গেয়ে উঠতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চ্যাটজিপিটির পরামর্শে ফ্রান্সে নতুন জীবন শুরু মার্কিন নারীর

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
চ্যাটজিপিটির পরামর্শে ফ্রান্সে নতুন জীবন শুরু করেছেন জুলি নিস। ছবি: সংগৃহীত
চ্যাটজিপিটির পরামর্শে ফ্রান্সে নতুন জীবন শুরু করেছেন জুলি নিস। ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ ফ্রান্সের ওসিতানি অঞ্চলের ছোট শহর ইউজেস। প্রতিদিন সকালে সেখানকার ঐতিহাসিক স্কয়ার প্লাস ও হার্বসের দিকে হাঁটতে গিয়ে এক কাপ কফি হাতে বসে থাকেন জুলি নিস। ফোয়ারার কলকল শব্দ ও মৃদু বাতাস সঙ্গী হয় সে সময়। এটিই এখন তাঁর প্রতিদিনের জীবন। কখনো বন্ধুদের সঙ্গে কফি হাতে আড্ডা। সব মিলিয়ে এক স্বপ্নের মতো দিন কাটছে তাঁর।

মিশিগানে জন্ম জুলির। বেড়ে ওঠা টেক্সাসে। ছয় মাস আগেও ইউজেস নামের শহরটি ছিল তাঁর কাছে অপরিচিত। অথচ এখন এই শহর তাঁর নতুন ঠিকানা। এই সিদ্ধান্ত নিতে তাঁকে সহযোগিতা করেছে চ্যাটজিপিটি।

জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল এআই

‘শুনতে পাগলামি লাগতে পারে, আমি তখন ভীষণ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলাম’, বলছিলেন জুলি নিস। ফ্রান্সের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছোটবেলা থেকেই। স্কুলে ফরাসি ভাষা শিখতেন। ২০০৪ সালে প্যারিসে চলে যান। সেখানে থাকেন টানা পাঁচ বছর। ১১ ও ১২ বছর বয়সে নেওয়া ওই সিদ্ধান্তটিই যেন পুরো জীবনকে অন্য এক পথ দেখিয়েছে।

এরপর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে প্রযুক্তি খাতে সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলেন নিস। ভালো বেতন, একের পর এক ইচ্ছেমতো ভ্রমণ—সবই ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েন। উদ্বেগ, বিষণ্নতা আর দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি তাঁকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। নিস বলেন, ‘আমি নিজেকে খোলস ছাড়া মানুষ মনে করতাম।’

ফ্রান্সের ইউজেস শহরের নতুন বন্ধুদের সঙ্গে জুলি। ছবি: সংগৃহীত
ফ্রান্সের ইউজেস শহরের নতুন বন্ধুদের সঙ্গে জুলি। ছবি: সংগৃহীত

প্যারিস থেকে ছোট শহরে

ফ্রান্সের প্রতি টান জুলিকে আবার সেখানে নিয়ে যায়। করপোরেট চাকরি ছেড়ে প্যারিসে ফিরে যান তিনি। তবে শহরের ভিড়ে হাঁপিয়ে ওঠেন। তিনি ফ্রান্সেই থাকতে চান, কিন্তু কোথায়? তখনই তিনি সাহায্য নেন চ্যাটজিপিটির। নিজের পুরো ঘটনা, জীবনধারা, মূল্যবোধ আর চাওয়া-পাওয়ার তালিকা লিখে দেন চ্যাট বটে। এর সঙ্গে যোগ করেন নিরিবিলি শহর, ভালো আবহাওয়া, বাজার, আন্তর্জাতিক কমিউনিটি সবকিছু। উত্তরে এআই চ্যাট বট চ্যাটজিপিটি দুটি শহরের নাম জানিয়ে দেয় জুলিকে। তার একটির নাম সারলা-লা-কানেদা, অন্যটি ইউজেস।

কিছুটা নিরিবিলি হওয়ায়, চ্যাটজিপিটি জুলিকে ইউজেসে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। নিস বলেন, ‘আমি ভাবলাম, ঠিক আছে, এবার যাওয়া যাক।’

নতুন করে শুরু

সিদ্ধান্তের পরই পাসপোর্ট ট্যালেন্ট নামে একটি আবাসিক অনুমতি পান তিনি। এটি দক্ষ পেশাজীবীদের দেওয়া হয়। কয়েক মাস পর অনুমতি পেলে চাকরি ছাড়েন, গাড়ি বিক্রি করেন। দুটি স্যুটকেস আর একটি ব্যাগ নিয়ে রওনা দেন ফ্রান্সে। ইউজেসে তিনি ছোট একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নেন। যেখানে জানালা দিয়ে দেখা যায় মধ্যযুগীয় একটি টাওয়ার। সেখানে যাওয়ার পরই শুরু হয় নতুন বন্ধুত্ব গড়া এবং স্থানীয়দের সঙ্গে মিশে যাওয়ার চেষ্টা।

বর্তমানে ইউজেসে থেকে রিট্রিট ও ফুড ট্যুর আয়োজন করেন জুলি। ছবি: সংগৃহীত
বর্তমানে ইউজেসে থেকে রিট্রিট ও ফুড ট্যুর আয়োজন করেন জুলি। ছবি: সংগৃহীত

একাকিত্বের ভয়, নতুন বন্ধুত্ব

জুলির ইউটিউব চ্যানেল তাঁকে অন্য প্রবাসীদের সঙ্গে পরিচিত করে দেয়। প্রথমে বেশির ভাগ অবসরপ্রাপ্ত মানুষের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। ধীরে ধীরে সমবয়সী লোকজনের সঙ্গেও গড়ে উঠতে থাকে বন্ধুত্ব। জুলি বলেন, ‘এখানে কেউ আপনাকে শুরুতেই জিজ্ঞেস করবে না, কী কাজ করেন। এটি আমার ভালো লেগেছে। কারণ, এই পরিচিতি এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।’

সীমাবদ্ধতা ও শান্তি

জুলি জানিয়েছেন, ইউজেসে জীবন তুলনামূলক সস্তা, কিন্তু আয় কম। স্থানীয়দের মতে, জীবনযাত্রার ব্যয় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ বেড়েছে। তবুও তিনি মনে করেন, এই জীবনই তাঁকে নিজের কাছে ফিরিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, ‘আমি এখন পুরোপুরি নিজেকে ফিরে পেয়েছি। একসময় ভেবেছিলাম আর কখনো স্বাভাবিক হতে পারব না। এখন মনে হয়, আমি আবার জীবিত।’

নতুন পথের আনন্দ

বর্তমানে ইউজেসে থেকেই রিট্রিট ও ফুড ট্যুর আয়োজন করেন জুলি। তাঁর ইউটিউব চ্যানেলেও নিয়মিত ভিডিও দেন। ভবিষ্যতে এখানেই ফ্ল্যাট কেনার চিন্তা করছেন তিনি। প্রতিবছর এক বা দুবার যুক্তরাষ্ট্রে যান। তবে স্থায়ীভাবে ফিরে যাওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই তাঁর।

জুলি বলেন, ‘এই ছোট শহরটাই এখন নিজের জায়গা বলে মনে হয়। এখন এটাই আমার ঘর। চ্যাটজিপিটিকে জীবনের সিদ্ধান্ত দিতে দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ শোনাতে পারে। কিন্তু আমার জন্য এটা আশীর্বাদ ছিল।’

সূত্র: সিএনএন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পোষা প্রাণী কি আমাদের শিক্ষক

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১২: ২৪
কীভাবে শান্ত থাকতে হয়, কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কীভাবে দিন উপভোগ করতে হয়—পোষা প্রাণীর দিকে গভীর মনোযোগ দিলে এগুলো শেখা যায়। ছবি: পেক্সেলস
কীভাবে শান্ত থাকতে হয়, কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কীভাবে দিন উপভোগ করতে হয়—পোষা প্রাণীর দিকে গভীর মনোযোগ দিলে এগুলো শেখা যায়। ছবি: পেক্সেলস

অনেকে শখ করে বাড়িতে বিড়াল, কুকুর, পাখি, মাছ বা খরগোশ পোষেন। যদি আপনি শিখতে চান, তাহলে এই প্রাণীগুলোর সাধারণ দৈনন্দিন অভ্যাসের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারেন। কীভাবে শান্ত থাকতে হয়, কীভাবে ভালোবাসতে হয় এবং কীভাবে দিন উপভোগ করতে হয়—পোষা প্রাণীর দিকে গভীর মনোযোগ দিলে এগুলো শেখা যায়। কিন্তু আপনি কি শিখছেন?

সুস্থ শরীর ও মনের পাঠ

বাড়ির পোষা প্রাণীর কাছ থেকে শরীর ও মন সতেজ রাখা শেখাটা খুব সহজ। তাদের আচরণ দেখলেই বুঝবেন, শরীর ও মন ভালো রাখতে বিশেষ কিছু করার দরকার নেই। এর জন্য প্রয়োজন শুধু ধারাবাহিকতা এবং প্রকৃতির নিয়ম অনুসরণ করা।

খেয়াল করবেন, আপনার বাড়ির পোষা প্রাণীটি দিনের বেলা ঝিমিয়ে নেয়। যাকে বলা হয় পাওয়ার ন্যাপ। এরপর তারা ছোটাছুটি করে বেড়ায় পূর্ণ শক্তি নিয়ে। বিষয়টি আসলে পাওয়ার ন্যাপের শক্তি। ন্যাপ কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং সতর্কতা বৃদ্ধি করে—এটি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। শহরের রাস্তায় দেখে থাকবেন, অনেকে কুকুর নিয়ে হাঁটতে বের হন। যাঁরা পোষা কুকুরকে নিয়মিত বাইরে হাঁটতে নিয়ে যান, তাঁদের এটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। এই অভ্যাসের কারণে সকালে কিংবা বিকেলের দিকে কোনো এক বেলা হাঁটার স্বাস্থ্য উপকারিতা পেয়ে থাকেন। এই হাঁটা মানসিক চাপ কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে দূরে রাখে। এটি প্রকৃতির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং মানসিক চাপ কমানোর অন্যতম সেরা উপায়।

ধরুন, আপনার বাড়ির বিড়ালটি মাছ ভালোবাসে। আপনার মাছের প্রতি আকর্ষণ না থাকলেও বিড়ালের তৃপ্তি করে মাছ খাওয়ার দৃশ্য আপনাকে মাছ খাওয়ার বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে পারে। প্রাণীদের আরও একটি চমৎকার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তাদের নির্দিষ্ট রুটিন। এটিও শিক্ষণীয়। কিছু কিছু মানুষ জীবনকে একটা নির্দিষ্ট রুটিনের ভেতরে নিয়ে আসতে অনেক কষ্ট করে। একটি ধারাবাহিক দৈনন্দিন রুটিন ঘুমের মান উন্নত করে। আপনার পোষ্য যেমন ঘুম থেকে উঠেই গা ঝাড়া দিয়ে সতেজ হয়, তেমনি নিয়মিত স্ট্রেচিং শরীরের নমনীয়তা বাড়ায় এবং শক্তি দেয়। পোষা প্রাণীরা সব সময় নিজেদের পরিষ্কার রাখে। এই পরিচ্ছন্নতা আত্মসম্মান বাড়াতে সহায়ক।

মানসিক শান্তি ও ইতিবাচকতার সূত্র

পোষা প্রাণীরা নিজেদের যেকোনো পরিস্থিতিতে সেরাটা খুঁজে নেয়। ছবি: পেক্সেলস
পোষা প্রাণীরা নিজেদের যেকোনো পরিস্থিতিতে সেরাটা খুঁজে নেয়। ছবি: পেক্সেলস

পোষা প্রাণীরা অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে না। তারা কেবল বর্তমানে বাঁচে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া মানসিক শান্তির পাঠগুলো হলো—

ক্ষমা করুন এবং ভুলে যান: আপনার পোষ্যটি হয়তো আপনার ওপর রেগে গেছে। কিন্তু সেই রাগ স্থায়ী নয়। তারা কোনো হিংসা পুষে রাখে না। রাগ ধরে রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। প্রাণীরা এ বিষয়টিই শেখায়।

ইতিবাচক থাকুন: পোষা প্রাণীরা নিজেদের যেকোনো পরিস্থিতিতে সেরাটা খুঁজে নেয়। হতে পারে সেটা একফালি ঘাস বা একঝলক রোদ। তারা নেতিবাচক দিক নিয়ে পড়ে থাকে না। মানুষের ক্ষেত্রেও তাই। নেতিবাচকতা নিয়ে বেশি ভাবলে বিষণ্নতা বাড়ে।

বর্তমান মুহূর্তে বাঁচুন: তারা মাইন্ডফুলনেস বা সচেতন থাকা শিখেছে মানুষের চেয়ে আগে। তারা খেলুক, ঘুমাক—যা-ই করুক না কেন, তাতে পুরোপুরি মনোযোগ দেয়।

সম্পর্ক ও যোগাযোগের পাঠ

ভালোবাসা, আনুগত্য ও মনোযোগ—এগুলো একটি সুস্থ সম্পর্কের ভিত্তি। এসব আমরা প্রাণীদের কাছ থেকে খুব সহজে শিখতে পারি। বলার আগে শুনতে শিখুন। যখন আমাদের মাথায় নতুন ধারণা ঘুরতে থাকে, তখন আমরা প্রায়ই অন্যকে মাঝপথে থামিয়ে দিই। পোষ্যটি কিন্তু আপনার কথা শেষ করার জন্য ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে। তাদের এই মনোযোগ দিয়ে শোনা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। পোষা প্রাণীরা আপনার মনের ভাষা বুঝে শরীরের ভাষা পরখ করে। কিন্তু মানুষ শারীরিক ভাষা প্রায়ই উপেক্ষা করে। আপনার অঙ্গভঙ্গি বা চোখের ভাষা কী বলছে, সেদিকে খেয়াল রাখা ব্যক্তিগত সম্পর্ক উন্নত করে।

নিঃশর্ত ভালোবাসা দেওয়া প্রাণীরাই শেখায়। কুকুর কখনো খুব ঝানু খেলোয়াড় হওয়ার ভান করে না। সব সময় তারা আপনার প্রতি তাদের ভালোবাসা প্রকাশ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সম্পর্কে ‘খেলোয়াড়ি মনোভাব’ ভুল মানুষকে আকর্ষণ করে। আমরা অনেক সময় খুব দ্রুত মানুষকে বিচার করে ফেলি। কিন্তু খেয়াল করবেন, আপনার বিড়ালটি আপনার পোশাক বা মেধা দেখে আপনার কোলে এসে বসবে না। প্রাণীরা ভদ্রতার ভাষা বোঝে, কোনো সামাজিক স্তর নয়। প্রাণীরা বন্ধুত্ব ও দীর্ঘ জীবন সম্পর্কে ভালো ধারণা দেয়। যাদের বন্ধু বেশি, তারা অন্যদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে। পোষ্যরা আপনাকে সম্পর্ক বজায় রাখার গুরুত্ব শেখায়।

জীবনের উদ্দেশ্য ও মূল্য

জীবনের আসল আনন্দ আসে উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়া এবং ছোট ছোট জিনিসে খুশি হওয়ার মধ্য দিয়ে; শুধু পোষা প্রাণীরা নয়, আমাদের চারপাশের যেকোনো প্রাণীই আমাদের বিষয়টি শেখায়।

খেলা শুধু শিশু বা প্রাণীদের জন্য নয়; এটি বুদ্ধিমত্তা, সৃজনশীলতা ও সামাজিক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন খেলার জন্য সময় বের করুন। একটি উদ্দেশ্য পূরণের জন্য বাঁচুন। বিরক্ত হলে প্রাণীরা আক্রমণাত্মক বা উদ্বিগ্ন হতে পারে। মানুষেরও উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য না থাকলে মানসিক সমস্যা তৈরি হয়। কাজ করার সহজাত তাড়না আমাদের সুস্থ রাখে। একটি পোষ্য মেঝেতে একটি টুকরা খাবার পেয়ে বা পুরোনো বল খুঁজে পেয়ে পুরো দিনের আনন্দে কাটিয়ে দিতে পারে। তাদের মতো আপনিও প্রিয় খাবার উপভোগ করা বা পছন্দের সিনেমা দেখার মতো ছোট ছোট আনন্দে বেঁচে থাকা শিখুন।

সূত্র: স্টার্স ইনসাইডার

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত