ফিচার ডেস্ক
খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। আজকাল এটি ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সারা বিশ্বে খেজুরের বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। প্রতিটির পুষ্টিগুণ কিছুটা আলাদা হলেও সব ধরনের খেজুর সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। খেজুরের গুণমান নিশ্চিত করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে আপনি বাজারে ভালো মানের খেজুর কিনতে পারবেন।
রং
খেজুরের রং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটি খেজুরের রং আলাদা হতে পারে। যেমন হলুদ, সোনালি বাদামি, গাড় বাদামি কিংবা কালো। সাধারণভাবে তাজা ও অপরিপক্ব খেজুর হলুদ রঙের হয়। আর পরিপক্ব খেজুর গাঢ় হলুদ থেকে কালো হতে পারে। আজওয়া খেজুরের রং কালো। অ্যাম্বার ও সাফাভী খেজুরের রং একই রকম। এদের রং কিছুটা চকলেট বা খয়েরি ধরনের। সুক্কারি, সাগাই, খালাস ও মাজদুল খেজুরের রং উজ্জ্বল খয়েরি। বারহি খেজুরের রং একেবারে আলাদা। সেটি হলুদ। সম্ভবত এই একটিমাত্র প্রজাতির খেজুরের রং হলুদ। কেনার সময় খেজুরের এমন রং দেখেই কিনুন। কারণ, ভালো মানের খেজুরের রং এ রকমই হয়। কিছু খেজুর বেশি গাঢ় বা ফ্যাকাশে হলে বুঝতে হবে, সেগুলো ভালো নয়।
আকৃতি ও গঠন
খেজুরের আকৃতি ও গঠন দেখে বোঝা যায় গুণমান। ভালো খেজুরের গঠন মসৃণ অথবা কিছুটা কুঁচকে থাকতে পারে আঁশ। তবে অবশ্যই তাজা হতে হবে। বেশি কুঁচকে বা শুকিয়ে যাওয়া খেজুর কেনা থেকে বিরত থাকুন। এ ছাড়া কেনার সময় ফাঙ্গাস আছে কি না, সেটি ভালোভাবে দেখতে হবে।
গন্ধ
তাজা খেজুর থেকে মিষ্টি সুগন্ধ পাওয়া যায়। যদি খেজুরের গন্ধ তীব্র এবং ক্ষীণ বা টক হয়, তা খাওয়ার জন্য নিরাপদ নয়। সেগুলো কিনবেন না। কারণ, এসব খেজুর পচে যাওয়ার লক্ষণ। গন্ধের ওপর ভালো খেজুর অনেকটা চেনা যায়।
আর্দ্রতা
তাজা এবং ভালো মানের খেজুরে আর্দ্রতা বজায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ এসব খেজুর হাতে চেপে ধরলে নরম এবং সামান্য আঠালো হবে। তবে এগুলো খুব বেশি নরম বা শুকনো যেন না হয়, সেদিকটাও দেখতে হবে।
স্বাদ
খেজুরের স্বাদ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উন্নত মানের খেজুরের স্বাদ মিষ্টি। তিতা বা অস্বস্তিকর কোনো স্বাদ ভালো মানের খেজুরে থাকে না।
প্রজাতি
বাজারে বিভিন্ন প্রজাতির খেজুর পাওয়া যায়। কেনার সময় জানুন, আপনি কোন ধরনের খেজুর কিনছেন। প্রতিটি প্রজাতির গুণমান আলাদা হতে পারে, তাই আপনার কেনা খেজুরটির প্রজাতি জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। আজওয়া, অ্যাম্বার, সাফাভী, সুক্কারি, সাগাই, খালাস, বারহি, মাজদুল—মোটামুটি আমাদের দেশে এই খেজুরগুলোই বেশি পাওয়া যায়।
প্যাকেজিং ও সংরক্ষণ
খেজুর কেনার সময় প্যাকেজিং ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। প্যাকেজে কোনো ফাটল বা ছিদ্র রয়েছে কি না দেখুন। কারণ, সঠিক প্যাকেজিং খেজুর তাজা থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো সাধারণত সিল করা প্যাকেজে রাখা হয়। এ ধরনের প্যাকেজ আর্দ্রতা ও বাতাস থেকে খেজুরকে রক্ষা করে।
ব্র্যান্ড এবং উৎস
প্যাকেট দেখে অনেকে যাচাই না করে খেজুর কেনেন। এরপর বাসায় এসে ঘটে বিপত্তি। তাই চেষ্টা করা উচিত বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড বা বিক্রেতাদের কাছ থেকে খেজুর কেনার। এমন বিক্রেতাদের পণ্য কিনুন যাদের খ্যাতি ভালো এবং যারা উন্নত মানের পণ্য উৎপাদন করে। যদি আপনি সুপরিচিত সুপারমার্কেট বা দোকান থেকে খেজুর কেনেন, তাহলে সাধারণত ভালো গুণমানের খেজুর পাবেন।
খেজুর পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল। কিন্তু সঠিক মানের খেজুর খুঁজে পাওয়া কখনো কখনো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়; বিশেষ করে রমজান মাসে আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গায় খেজুর বিক্রেতা বেড়ে যায়। সেগুলোর সব কিন্তু ভালো মানের নয়। যদি আপনি ওপরের বিষয়গুলো খেয়াল রাখেন, তবে নিশ্চয় তাজা, সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খেজুর পাবেন।
সূত্র: ফ্লাকোন ডেট
খেজুর অত্যন্ত পুষ্টিকর ফল। আজকাল এটি ‘সুপার ফুড’ হিসেবে পরিচিত। সারা বিশ্বে খেজুরের বিভিন্ন ধরনের প্রজাতি রয়েছে। প্রতিটির পুষ্টিগুণ কিছুটা আলাদা হলেও সব ধরনের খেজুর সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। খেজুরের গুণমান নিশ্চিত করার জন্য কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে আপনি বাজারে ভালো মানের খেজুর কিনতে পারবেন।
রং
খেজুরের রং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিটি খেজুরের রং আলাদা হতে পারে। যেমন হলুদ, সোনালি বাদামি, গাড় বাদামি কিংবা কালো। সাধারণভাবে তাজা ও অপরিপক্ব খেজুর হলুদ রঙের হয়। আর পরিপক্ব খেজুর গাঢ় হলুদ থেকে কালো হতে পারে। আজওয়া খেজুরের রং কালো। অ্যাম্বার ও সাফাভী খেজুরের রং একই রকম। এদের রং কিছুটা চকলেট বা খয়েরি ধরনের। সুক্কারি, সাগাই, খালাস ও মাজদুল খেজুরের রং উজ্জ্বল খয়েরি। বারহি খেজুরের রং একেবারে আলাদা। সেটি হলুদ। সম্ভবত এই একটিমাত্র প্রজাতির খেজুরের রং হলুদ। কেনার সময় খেজুরের এমন রং দেখেই কিনুন। কারণ, ভালো মানের খেজুরের রং এ রকমই হয়। কিছু খেজুর বেশি গাঢ় বা ফ্যাকাশে হলে বুঝতে হবে, সেগুলো ভালো নয়।
আকৃতি ও গঠন
খেজুরের আকৃতি ও গঠন দেখে বোঝা যায় গুণমান। ভালো খেজুরের গঠন মসৃণ অথবা কিছুটা কুঁচকে থাকতে পারে আঁশ। তবে অবশ্যই তাজা হতে হবে। বেশি কুঁচকে বা শুকিয়ে যাওয়া খেজুর কেনা থেকে বিরত থাকুন। এ ছাড়া কেনার সময় ফাঙ্গাস আছে কি না, সেটি ভালোভাবে দেখতে হবে।
গন্ধ
তাজা খেজুর থেকে মিষ্টি সুগন্ধ পাওয়া যায়। যদি খেজুরের গন্ধ তীব্র এবং ক্ষীণ বা টক হয়, তা খাওয়ার জন্য নিরাপদ নয়। সেগুলো কিনবেন না। কারণ, এসব খেজুর পচে যাওয়ার লক্ষণ। গন্ধের ওপর ভালো খেজুর অনেকটা চেনা যায়।
আর্দ্রতা
তাজা এবং ভালো মানের খেজুরে আর্দ্রতা বজায় থাকা গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ এসব খেজুর হাতে চেপে ধরলে নরম এবং সামান্য আঠালো হবে। তবে এগুলো খুব বেশি নরম বা শুকনো যেন না হয়, সেদিকটাও দেখতে হবে।
স্বাদ
খেজুরের স্বাদ আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। উন্নত মানের খেজুরের স্বাদ মিষ্টি। তিতা বা অস্বস্তিকর কোনো স্বাদ ভালো মানের খেজুরে থাকে না।
প্রজাতি
বাজারে বিভিন্ন প্রজাতির খেজুর পাওয়া যায়। কেনার সময় জানুন, আপনি কোন ধরনের খেজুর কিনছেন। প্রতিটি প্রজাতির গুণমান আলাদা হতে পারে, তাই আপনার কেনা খেজুরটির প্রজাতি জানাটা গুরুত্বপূর্ণ। আজওয়া, অ্যাম্বার, সাফাভী, সুক্কারি, সাগাই, খালাস, বারহি, মাজদুল—মোটামুটি আমাদের দেশে এই খেজুরগুলোই বেশি পাওয়া যায়।
প্যাকেজিং ও সংরক্ষণ
খেজুর কেনার সময় প্যাকেজিং ভালোভাবে পরীক্ষা করুন। প্যাকেজে কোনো ফাটল বা ছিদ্র রয়েছে কি না দেখুন। কারণ, সঠিক প্যাকেজিং খেজুর তাজা থাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো সাধারণত সিল করা প্যাকেজে রাখা হয়। এ ধরনের প্যাকেজ আর্দ্রতা ও বাতাস থেকে খেজুরকে রক্ষা করে।
ব্র্যান্ড এবং উৎস
প্যাকেট দেখে অনেকে যাচাই না করে খেজুর কেনেন। এরপর বাসায় এসে ঘটে বিপত্তি। তাই চেষ্টা করা উচিত বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড বা বিক্রেতাদের কাছ থেকে খেজুর কেনার। এমন বিক্রেতাদের পণ্য কিনুন যাদের খ্যাতি ভালো এবং যারা উন্নত মানের পণ্য উৎপাদন করে। যদি আপনি সুপরিচিত সুপারমার্কেট বা দোকান থেকে খেজুর কেনেন, তাহলে সাধারণত ভালো গুণমানের খেজুর পাবেন।
খেজুর পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল। কিন্তু সঠিক মানের খেজুর খুঁজে পাওয়া কখনো কখনো বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়; বিশেষ করে রমজান মাসে আমাদের দেশে বিভিন্ন জায়গায় খেজুর বিক্রেতা বেড়ে যায়। সেগুলোর সব কিন্তু ভালো মানের নয়। যদি আপনি ওপরের বিষয়গুলো খেয়াল রাখেন, তবে নিশ্চয় তাজা, সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর খেজুর পাবেন।
সূত্র: ফ্লাকোন ডেট
কচি লাউ দিয়ে মজাদার ডেজার্ট তৈরি করা যায়। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা হওয়াটা দোষের কিছু নয়। লাউ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন মজাদার বরফি। আপনাদের জন্য লাউয়ের বরফির রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সানিয়া সোমা।
২১ ঘণ্টা আগেবলা হয়, ফ্যাশন উইকগুলোয় র্যাম্পে মডেলরা যেসব পোশাক পরে হেঁটে বেড়ান, সেগুলো আদৌ সাধারণ মানুষের আলমারিতে তোলার উপযোগী নয়। তাহলে অত দামি ফ্যাব্রিক গায়ে তোলেন কারা? হ্যাঁ, বলিউডের সোনম বা আলিয়াদের গায়ে কখনো কখনো রানওয়ে পোশাকের নকশা বা প্রিন্ট দেখা যায়; তবে সেখানেও প্রশ্ন যে উদ্ভট নকশাওয়ালা পোশাকগুলো..
১ দিন আগেতারুণ্যের পোশাক ডেনিম। একটা সময় মূলত পুরুষের পোশাক হয়ে থাকলেও এটি ক্রমেই ‘ইউনিসেক্স’ হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ নারী-পুরুষনির্বিশেষে এখন ডেনিমের পোশাক পরে। আর সে জন্যই সম্ভবত ডেনিম দিয়ে তৈরি পোশাকে বৈচিত্র্য এসেছে। এখন প্যান্ট, জ্যাকেট, কটি ও শার্টের বাইরে বানানো হচ্ছে নানা ডিজাইনের স্কার্ট, ড্রেস, ব্লাউজ...
১ দিন আগেগরমকাল পুরুষদের জন্য কালস্বরূপ! হ্যাঁ, সত্য়ি বলছি। গরমে পুরুষেরা অনেক বেশিই ঘামেন। বলতে দ্বিধা নেই, অধিকাংশ পুরুষ স্রেফ সচেতনতার অভাবে গরমে অস্বস্তিতে ভোগেন। এখন আর সেই সময় নেই যে, এক কাপড়ে বেরিয়ে গিয়ে সেই রাতে বাড়ি ফিরবেন। গ্রীষ্মকালে সূর্যের দাপট এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি।
১ দিন আগে