নাহিন আশরাফ
দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে ঢুঁ দিলেই দেখা যায় গামছার শাড়ি, কুর্তি, ব্লাউজ কিংবা কটির ছড়াছড়ি। গামছা দিয়ে তৈরি ফ্যাশন অনুষঙ্গ, যেমন ব্যাগ, পার্স, টুপি, হেডব্যান্ডেও দেদার ব্যবহৃত হচ্ছে। ফ্যাশন জগতে গামছা কেমন করে জায়গা করে নিল, সে কথা বলতে গেলে চলে আসবে অনেকের নাম। তবে এটাও ঠিক, পরতে আরামদায়ক ও টেকসই বলে গামছার কাপড় সব সময়ই সমাদৃত হয়ে আসছে।
শাড়ি ব্লাউজ কুর্তিতে
স্নানঘর থেকে গামছা ফ্যাশনে প্রথম আসে শাড়ি হয়ে। বৈশাখ, ফাল্গুন, গায়েহলুদের মতো অনুষ্ঠানের জন্য একসময় অনেকে বেছে নিয়েছিলেন গামছা প্রিন্টের শাড়ি।
এখন সুতির পাশাপাশি সিল্ক, হাফসিল্ক শাড়িতেও গামছা চেক দেখা যায়। তবে তাঁতের শাড়ির মধ্যে গামছা চেক দেখা যায় বেশি। শুধু যে বাঙালি উৎসবে গামছা শাড়ি পরিধান করা হয়, তা কিন্তু নয়। অনেকে ফরমাল অনুষ্ঠানেও পরছেন। অনেকে সাধারণ তাঁতের শাড়ির সঙ্গে গামছা প্রিন্টের ব্লাউজ ব্যবহার করছেন। সে ক্ষেত্রে গামছা ব্লাউজ ঘটি হাতা কিংবা বোট গলা দিয়ে বানানো যেতে পারে। কিংবা গলা দিয়ে কোমর পর্যন্ত ব্লাউজ বানিয়ে ভাঁজ করে শাড়ি পরলে ভিন্নধর্মী লুক দেওয়া যায়। কিছু শাড়ির পাড়ে আবার গামছার প্যাচওয়ার্কও করা হচ্ছে ইদানীং।গামছার কুর্তি রয়েছে। এগুলো অফিস, ক্লাস কিংবা প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য বেশ আরামদায়ক।
এ ছাড়া কটি, কাফতান, টপস, ফতুয়া ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে গামছার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে এখন। গামছা দিয়ে বানানো পোশাক জাঁকজমকপূর্ণ করা হয় না বটে; কিন্তু এর সঙ্গে মানানসই অনুষঙ্গ ব্যবহারে দিতে পারে একেবারে ভিন্ন লুক। ভিন্নতা আনার জন্য কড়ি কিংবা কাঠপুঁতির ব্যবহার করা যায় এতে। অনেক গামছা পোশাকে কিছুটা হাতে করা সুতার কাজ দেখা যায়। বাজারের প্রচলিত গামছা দিয়ে পোশাক বা অন্যান্য অনুষঙ্গ তৈরি হয় না। সে জন্য বিশেষ গামছা তৈরি করা হয়, যাতে পাকা রঙের ব্যবহার থাকে। ফলে পোশাক থেকে সহজে রং বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার চিন্তা থাকে না।
গয়না ও অন্যান্য
গামছা দিয়ে যে শুধু পোশাক তৈরি হচ্ছে, তা নয়। গামছার কাপড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে হাতে তৈরি গয়না। অনেক গয়নাপ্রেমী বৈচিত্র্য ও ভিন্নধর্মী গয়নার খোঁজে থাকেন। তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে গামছা দিয়ে তৈরি গয়না। এ ছাড়া অনেকে নিজের ঘর নান্দনিকতা ও দেশীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় সাজিয়ে রাখতে ভালোবাসেন। তাঁদের জন্যও পাওয়া যাচ্ছে গামছা প্রিন্টের চাদর, কুশন, পর্দা, ডাইনিং
রানার ইত্যাদি।
পশ্চিমি পোশাকে গামছা
শুধু দেশীয় সাজপোশাকেই যে গামছার ব্যবহার হয়, তা নয়। অনেক ডিজাইনার ওয়েস্টার্ন পোশাকেও গামছার ব্যবহার করছেন। কথা হয় ফ্যাশন ডিজাইনার ও যাদুর বাক্সের স্বত্বাধিকারী মেহবুব যাদুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্টার্ন পোশাকে গামছা ব্যবহারের কারণ হচ্ছে, এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সেগুলো পরতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। এতে যেমন তাঁরা পশ্চিমা পোশাক পরতে পারবেন, তেমনি দেশীয় ধারাকেও বহন করতে পারবেন।’ তাই টপস, স্কার্ট, গাউন, কটি ইত্যাদি পোশাক তৈরিতে এখন গামছার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। ছেলেদের জন্যও তৈরি করা হচ্ছে শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে গামছার ব্লেজার ও কটি। কটিগুলো সাধারণত এক রঙের পাঞ্জাবির ওপর পরা হয়।
মেহবুব যাদু জানান, গামছা নিয়ে কাজ করার শুরুতে তিনি খুব একটা সাড়া পাননি। গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য তাঁকে বেশ ধৈর্য ও পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে। তবে এখন তিনি ভালো সাড়া পাচ্ছেন। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে ফ্যাশনে গামছা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। সেই সূত্রে আমাদের ঐতিহ্য বেঁচে থাকবে চিরকাল।
গামছা পোশাকের দাম নির্ভর করে ডিজাইন ও ফ্যাশন হাউসের ওপর। পণ্য ও ধরনভেদে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে এ পোশাক পাওয়া যায়। বিবিআনা, নিপুণ, যাত্রা, টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির ছাড়াও অনেক দেশীয় ফ্যাশন হাউস গামছার বিভিন্ন ফিউশনধর্মী পোশাক এখন তৈরি করছে।
দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে ঢুঁ দিলেই দেখা যায় গামছার শাড়ি, কুর্তি, ব্লাউজ কিংবা কটির ছড়াছড়ি। গামছা দিয়ে তৈরি ফ্যাশন অনুষঙ্গ, যেমন ব্যাগ, পার্স, টুপি, হেডব্যান্ডেও দেদার ব্যবহৃত হচ্ছে। ফ্যাশন জগতে গামছা কেমন করে জায়গা করে নিল, সে কথা বলতে গেলে চলে আসবে অনেকের নাম। তবে এটাও ঠিক, পরতে আরামদায়ক ও টেকসই বলে গামছার কাপড় সব সময়ই সমাদৃত হয়ে আসছে।
শাড়ি ব্লাউজ কুর্তিতে
স্নানঘর থেকে গামছা ফ্যাশনে প্রথম আসে শাড়ি হয়ে। বৈশাখ, ফাল্গুন, গায়েহলুদের মতো অনুষ্ঠানের জন্য একসময় অনেকে বেছে নিয়েছিলেন গামছা প্রিন্টের শাড়ি।
এখন সুতির পাশাপাশি সিল্ক, হাফসিল্ক শাড়িতেও গামছা চেক দেখা যায়। তবে তাঁতের শাড়ির মধ্যে গামছা চেক দেখা যায় বেশি। শুধু যে বাঙালি উৎসবে গামছা শাড়ি পরিধান করা হয়, তা কিন্তু নয়। অনেকে ফরমাল অনুষ্ঠানেও পরছেন। অনেকে সাধারণ তাঁতের শাড়ির সঙ্গে গামছা প্রিন্টের ব্লাউজ ব্যবহার করছেন। সে ক্ষেত্রে গামছা ব্লাউজ ঘটি হাতা কিংবা বোট গলা দিয়ে বানানো যেতে পারে। কিংবা গলা দিয়ে কোমর পর্যন্ত ব্লাউজ বানিয়ে ভাঁজ করে শাড়ি পরলে ভিন্নধর্মী লুক দেওয়া যায়। কিছু শাড়ির পাড়ে আবার গামছার প্যাচওয়ার্কও করা হচ্ছে ইদানীং।গামছার কুর্তি রয়েছে। এগুলো অফিস, ক্লাস কিংবা প্রতিদিনের ব্যবহারের জন্য বেশ আরামদায়ক।
এ ছাড়া কটি, কাফতান, টপস, ফতুয়া ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে গামছার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে এখন। গামছা দিয়ে বানানো পোশাক জাঁকজমকপূর্ণ করা হয় না বটে; কিন্তু এর সঙ্গে মানানসই অনুষঙ্গ ব্যবহারে দিতে পারে একেবারে ভিন্ন লুক। ভিন্নতা আনার জন্য কড়ি কিংবা কাঠপুঁতির ব্যবহার করা যায় এতে। অনেক গামছা পোশাকে কিছুটা হাতে করা সুতার কাজ দেখা যায়। বাজারের প্রচলিত গামছা দিয়ে পোশাক বা অন্যান্য অনুষঙ্গ তৈরি হয় না। সে জন্য বিশেষ গামছা তৈরি করা হয়, যাতে পাকা রঙের ব্যবহার থাকে। ফলে পোশাক থেকে সহজে রং বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার চিন্তা থাকে না।
গয়না ও অন্যান্য
গামছা দিয়ে যে শুধু পোশাক তৈরি হচ্ছে, তা নয়। গামছার কাপড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে হাতে তৈরি গয়না। অনেক গয়নাপ্রেমী বৈচিত্র্য ও ভিন্নধর্মী গয়নার খোঁজে থাকেন। তাঁদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে গামছা দিয়ে তৈরি গয়না। এ ছাড়া অনেকে নিজের ঘর নান্দনিকতা ও দেশীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় সাজিয়ে রাখতে ভালোবাসেন। তাঁদের জন্যও পাওয়া যাচ্ছে গামছা প্রিন্টের চাদর, কুশন, পর্দা, ডাইনিং
রানার ইত্যাদি।
পশ্চিমি পোশাকে গামছা
শুধু দেশীয় সাজপোশাকেই যে গামছার ব্যবহার হয়, তা নয়। অনেক ডিজাইনার ওয়েস্টার্ন পোশাকেও গামছার ব্যবহার করছেন। কথা হয় ফ্যাশন ডিজাইনার ও যাদুর বাক্সের স্বত্বাধিকারী মেহবুব যাদুর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ওয়েস্টার্ন পোশাকে গামছা ব্যবহারের কারণ হচ্ছে, এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা সেগুলো পরতে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন। এতে যেমন তাঁরা পশ্চিমা পোশাক পরতে পারবেন, তেমনি দেশীয় ধারাকেও বহন করতে পারবেন।’ তাই টপস, স্কার্ট, গাউন, কটি ইত্যাদি পোশাক তৈরিতে এখন গামছার ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। ছেলেদের জন্যও তৈরি করা হচ্ছে শার্ট, পাঞ্জাবি, ফতুয়া ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে গামছার ব্লেজার ও কটি। কটিগুলো সাধারণত এক রঙের পাঞ্জাবির ওপর পরা হয়।
মেহবুব যাদু জানান, গামছা নিয়ে কাজ করার শুরুতে তিনি খুব একটা সাড়া পাননি। গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য তাঁকে বেশ ধৈর্য ও পরিশ্রমের সঙ্গে কাজ করতে হয়েছে। তবে এখন তিনি ভালো সাড়া পাচ্ছেন। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে ফ্যাশনে গামছা অনেক দূর এগিয়ে যাবে। সেই সূত্রে আমাদের ঐতিহ্য বেঁচে থাকবে চিরকাল।
গামছা পোশাকের দাম নির্ভর করে ডিজাইন ও ফ্যাশন হাউসের ওপর। পণ্য ও ধরনভেদে ১ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে এ পোশাক পাওয়া যায়। বিবিআনা, নিপুণ, যাত্রা, টাঙ্গাইল শাড়ি কুটির ছাড়াও অনেক দেশীয় ফ্যাশন হাউস গামছার বিভিন্ন ফিউশনধর্মী পোশাক এখন তৈরি করছে।
ত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
২২ মিনিট আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
১ ঘণ্টা আগেএই রোদ, এই বৃষ্টি। এই আবহাওয়ায় সব বয়সী মানুষ নানা ধরনের ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে, বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়, পাশাপাশি এই সময় ওদের মেজাজও খিটমিটে হয়ে থাকে। তাই স্কুলগামী শিশুদের খাবার, জীবনযাপন এবং তাদের খিটমিটে মেজাজ ঠিক রাখার জন্য অভিভাবকদের...
২ ঘণ্টা আগেরাজা হেনরি ২-এর মনে হয়েছিল, পাই ও পেস্ট্রি খেলে তাঁর সৈন্যরা সব অলস হয়ে যাবে। সে তো আর হতে দেওয়া যায় না। তাই তিনি এ দুটি খাবার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। সেটাই হয়ে গেল আইন। ১২ শতকের এই আইনের নাম ‘পাই অ্যান্ড পেস্ট্রি অ্যাক্ট’। এই আইনে বলা হয়েছিল, রোববার ছাড়া অন্য দিন পাই বা পেস্ট্রি বিক্রি
২ ঘণ্টা আগে