রিদা মুনাম হক, ঢাকা
শিশুর বয়স ছয় মাস হওয়া পর্যন্ত তেমন ভাবনা নেই। নরম সুতির ফিতে দেওয়া নিমা পরেই দিন পার হয় ছেলে কিংবা মেয়েশিশুর। কিন্তু সে যখন বসে বসে খেলতে শেখে বা একটু হেঁটে বেড়ায়, যখন পুরো ঘরই তার জন্য এক বিস্ময়ের জগৎ। সারা বাড়ি ঘুরে দেখা, এটা-ওটা ধরে খেলা করতে গিয়ে ঘাম হয় খুব। কিছু শিশু অতিরিক্ত ঘামে। ছেলেশিশুরা পাতলা হাতাকাটা গেঞ্জি বা ফতুয়া পরে ঘুরে বেড়ালেও মেয়েশিশুদের মায়েরা একটু পুতুল পুতুল করে সাজিয়ে রাখতে চান। কোমরে, হাতায় একটু কুঁচি বসিয়ে, মোটা করে ফিতে লাগিয়ে জামা বানানো যেন মায়েদের শখই বলা চলে। কিন্তু মায়েদের এই শখ গরমে ছোট্ট পুতুল সোনার কোনো অসুবিধা তৈরি করছে না তো?
শিশুর পোশাক তৈরিতে যদি সুতির পরিবর্তে সিনথেটিক কাপড় ব্যবহার করা হয়, তাহলে তার নাজুক ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। পলিয়েস্টার, রেয়ন ও নাইলনের মতো কাপড়ে থাকে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও কার্বন ডাই-সালফাইডের মতো উপাদান। এসব উপাদান শিশুর ত্বকের সংস্পর্শে এলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বলে কি সুন্দর জামা পরানো বাদ দেবেন? একেবারেই তা নয়। তবে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।
এভারকেয়ার হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক আইসিইউ বিভাগের শিশু বিশেষজ্ঞ নূরজাহান বেগম বলেন, এই গরমে একেবারে নরম ও পাতলা সুতির কাপড় শিশুর জন্য আরামদায়ক। সারা দিন খেলাধুলার কারণে শিশুর প্রচুর ঘাম হতে পারে। সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরলে ঘাম শরীরে বসে যায় না এবং ঘাম থেকে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। বাইরে গেলেও সুতি ছাড়া অন্য কোনো সিনথেটিক কাপড় পরানো উচিত নয়। কারণ, পলিমারাইজেশন প্রক্রিয়ায় রাসায়নিকভাবে তৈরি তন্তু দিয়ে সিনথেটিক কাপড় বানানো হয়। যেখানে প্রচুর দ্রাবক ও রাসায়নিক পদার্থ থাকে।
নূরজাহান বেগম আরও বলেন, কাপড়ে যদি রাসায়নিক উপাদান থাকে, তাহলে তার কিছুটা হলেও ত্বক শুষে নেয়। ফলে শিশুর ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি
ও অ্যালার্জির সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর পোশাক থেকে শিশুর ত্বকে অ্যালার্জি হলে চুলকানি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সে কারণে এ ধরনের কাপড় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।’
গরমে শিশুর ঘরে পরার পোশাক নির্বাচনে যা খেয়াল রাখতে হবে
» শিশুর জন্য সুতি কাপড় বাছাই করুন। সুতি কাপড় ত্বকের জন্য ভালো।
» রাতে এসিতে ঘুমালে একেবারে পাতলা ডেনিমের ফ্রকও পরানো যেতে পারে।
» শিশুর জন্য পোশাক কেনার সময় দেখুন, তা খসখসে কি না। এমন হলে শিশুর নাজুক ত্বকে আঁচড় লাগতে পারে।
» ডিটারজেন্টের পরিবর্তে শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি কাপড় ধোয়ার তরল সাবান ব্যবহার করতে পারেন। অথবা কম সুগন্ধিযুক্ত গায়ে মাখার সাবান দিয়েও শিশুর কাপড় কাচতে পারেন।
» ধোয়ার পর কড়া রোদে শুকিয়ে ইস্তিরি করে ঠান্ডা হওয়ার পর ওই কাপড় শিশুকে পরানো স্বাস্থ্যকর।
শিশুর বয়স ছয় মাস হওয়া পর্যন্ত তেমন ভাবনা নেই। নরম সুতির ফিতে দেওয়া নিমা পরেই দিন পার হয় ছেলে কিংবা মেয়েশিশুর। কিন্তু সে যখন বসে বসে খেলতে শেখে বা একটু হেঁটে বেড়ায়, যখন পুরো ঘরই তার জন্য এক বিস্ময়ের জগৎ। সারা বাড়ি ঘুরে দেখা, এটা-ওটা ধরে খেলা করতে গিয়ে ঘাম হয় খুব। কিছু শিশু অতিরিক্ত ঘামে। ছেলেশিশুরা পাতলা হাতাকাটা গেঞ্জি বা ফতুয়া পরে ঘুরে বেড়ালেও মেয়েশিশুদের মায়েরা একটু পুতুল পুতুল করে সাজিয়ে রাখতে চান। কোমরে, হাতায় একটু কুঁচি বসিয়ে, মোটা করে ফিতে লাগিয়ে জামা বানানো যেন মায়েদের শখই বলা চলে। কিন্তু মায়েদের এই শখ গরমে ছোট্ট পুতুল সোনার কোনো অসুবিধা তৈরি করছে না তো?
শিশুর পোশাক তৈরিতে যদি সুতির পরিবর্তে সিনথেটিক কাপড় ব্যবহার করা হয়, তাহলে তার নাজুক ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। পলিয়েস্টার, রেয়ন ও নাইলনের মতো কাপড়ে থাকে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও কার্বন ডাই-সালফাইডের মতো উপাদান। এসব উপাদান শিশুর ত্বকের সংস্পর্শে এলে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বলে কি সুন্দর জামা পরানো বাদ দেবেন? একেবারেই তা নয়। তবে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।
এভারকেয়ার হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক আইসিইউ বিভাগের শিশু বিশেষজ্ঞ নূরজাহান বেগম বলেন, এই গরমে একেবারে নরম ও পাতলা সুতির কাপড় শিশুর জন্য আরামদায়ক। সারা দিন খেলাধুলার কারণে শিশুর প্রচুর ঘাম হতে পারে। সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরলে ঘাম শরীরে বসে যায় না এবং ঘাম থেকে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। বাইরে গেলেও সুতি ছাড়া অন্য কোনো সিনথেটিক কাপড় পরানো উচিত নয়। কারণ, পলিমারাইজেশন প্রক্রিয়ায় রাসায়নিকভাবে তৈরি তন্তু দিয়ে সিনথেটিক কাপড় বানানো হয়। যেখানে প্রচুর দ্রাবক ও রাসায়নিক পদার্থ থাকে।
নূরজাহান বেগম আরও বলেন, কাপড়ে যদি রাসায়নিক উপাদান থাকে, তাহলে তার কিছুটা হলেও ত্বক শুষে নেয়। ফলে শিশুর ত্বকে চুলকানি, ফুসকুড়ি
ও অ্যালার্জির সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর পোশাক থেকে শিশুর ত্বকে অ্যালার্জি হলে চুলকানি, চোখ দিয়ে পানি পড়া, ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সে কারণে এ ধরনের কাপড় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।’
গরমে শিশুর ঘরে পরার পোশাক নির্বাচনে যা খেয়াল রাখতে হবে
» শিশুর জন্য সুতি কাপড় বাছাই করুন। সুতি কাপড় ত্বকের জন্য ভালো।
» রাতে এসিতে ঘুমালে একেবারে পাতলা ডেনিমের ফ্রকও পরানো যেতে পারে।
» শিশুর জন্য পোশাক কেনার সময় দেখুন, তা খসখসে কি না। এমন হলে শিশুর নাজুক ত্বকে আঁচড় লাগতে পারে।
» ডিটারজেন্টের পরিবর্তে শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি কাপড় ধোয়ার তরল সাবান ব্যবহার করতে পারেন। অথবা কম সুগন্ধিযুক্ত গায়ে মাখার সাবান দিয়েও শিশুর কাপড় কাচতে পারেন।
» ধোয়ার পর কড়া রোদে শুকিয়ে ইস্তিরি করে ঠান্ডা হওয়ার পর ওই কাপড় শিশুকে পরানো স্বাস্থ্যকর।
ত্বকের বিশেষ যত্নে হোক বা না হোক, কমবেশি সবাই রোজ ত্বকে দুই বেলা ব্যবহার করেন, এমন একটি প্রসাধনী হচ্ছে ফেসওয়াশ। সাধারণত এটি খুব ভেবেচিন্তে বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ না মেনে পছন্দ হলেই কিনে ফেলি। কিন্তু কাজ হয় কি না, সেদিকে অনেক সময় খেয়ালও করি না। কিন্তু নালিশ করেই যাই, অমুক ব্র্যান্ডের ফেসওয়াশ...
৩ ঘণ্টা আগেকফি পান করতে গিয়ে জামাকাপড়ে পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কখনোবা অসাবধানতাবশত কার্পেট বা মেঝেতেও পড়ে যায়। কফির দাগ তুলতে বেগ পেতে হয়। সঠিক নিয়ম জানা থাকলে কঠিন দাগ নিমেষে দূর করা সম্ভব।
৪ ঘণ্টা আগেএই রোদ, এই বৃষ্টি। এই আবহাওয়ায় সব বয়সী মানুষ নানা ধরনের ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। অতিরিক্ত গরমে, বিশেষ করে স্কুলগামী শিশুদের ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়, পাশাপাশি এই সময় ওদের মেজাজও খিটমিটে হয়ে থাকে। তাই স্কুলগামী শিশুদের খাবার, জীবনযাপন এবং তাদের খিটমিটে মেজাজ ঠিক রাখার জন্য অভিভাবকদের...
৫ ঘণ্টা আগেরাজা হেনরি ২-এর মনে হয়েছিল, পাই ও পেস্ট্রি খেলে তাঁর সৈন্যরা সব অলস হয়ে যাবে। সে তো আর হতে দেওয়া যায় না। তাই তিনি এ দুটি খাবার বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন। সেটাই হয়ে গেল আইন। ১২ শতকের এই আইনের নাম ‘পাই অ্যান্ড পেস্ট্রি অ্যাক্ট’। এই আইনে বলা হয়েছিল, রোববার ছাড়া অন্য দিন পাই বা পেস্ট্রি বিক্রি
৫ ঘণ্টা আগে