রিদা মুনাম হক
ঈদের আর বেশি দিন বাকি নেই। ভরা চৈত্র মাসেই যখন উৎসব, তখন সাজসজ্জা, পোশাক-আশাক নিয়ে বাড়তি ভাবনা থাকবেই। ঈদ মানে তো নতুন পোশাক পরে সেজেগুজে ঘুরে বেড়ানোই শুধু নয়, অতিথি আপ্য়ায়নে রান্নাঘরেই কেটে যায় অনেকটা সময়। তার ওপর এখনই যে গরম, তাতে সামনের দিনগুলোয় তরতাজা থাকা নিয়ে কপালে ভাঁজ তো পড়ারই কথা। ঈদের পুরো দিন তরতাজা থাকতে কী করবেন এবং কেমন পোশাক বেছে নেবেন, তা নিয়ে এবারের বিশেষ আয়োজন।
রাতে পরিপূর্ণ ঘুমিয়ে সকালে দ্রুত উঠে পড়ুন
ঈদের দিন সকালে কমবেশি সবার বাড়িতে ব্যস্ততা থাকে। তাই আগের দিন রাতে একটু আগেভাগেই বিছানায় যাওয়ার চেষ্টা করুন। রাতে ভালো ঘুম হলে চেহারার ক্লান্তিভাবও কেটে যাবে। ফলে ঈদের দিন তরতাজা দেখাবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আধা লিটার পানি পান করুন। সম্ভব হলে হালকা স্ট্রেচ করে নিতে পারেন। এতে শরীরে ঠিকমতো রক্ত চলাচল করবে এবং চেহারায় উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। মুখ ধোয়ার আগে আমন্ড অয়েল মেখে জেড রোলার দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে মুখের ফোলাভাবও দূর হবে। তারপর প্রথম দফায় গোসলের প্রস্তুতি নিন।
ঝটপট গোসল করে নিন
যেহেতু প্রচণ্ড গরম, তাই রান্নাঘরে যাওয়ার আগে একটা কুইক শাওয়ার দিয়ে নিলে আরাম লাগবে। শাওয়ার ছেড়ে বিপরীত দিকে মুখ রেখে পানি সরাসরি ঘাড়ের ওপর প্রবাহিত হতে দিন। এতে শরীর থেকে স্ট্রেস দূর হবে এবং শরীর ঠান্ডা হবে। পছন্দের কোনো মাইল্ড সাবান দিয়ে ঝটপট দিনের প্রথম গোসলটা সেরে ফেলুন। এরপর ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহার না করলে ত্বক শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ দেখাবে। এরপর ত্বক, শুকনো মুখে, গলায় ও আন্ডার আর্মে হালকা করে ট্যালকম পাউডার বুলিয়ে নিতে পারেন।
সানস্ক্রিন এড়াবেন না
ঈদে দিনের বেলা বাইরে গেলে তো অবশ্যই মাখবেন, এদিন ঘরে থাকলেও সানস্ক্রিন এড়াবেন না। কারণ, ঈদে কমবেশি সবার রান্নাঘরে কাজ করতেই হয়, ফলে আগুনের তাপে যেন ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটা জরুরি। তবে এ ক্ষেত্রে দুই ঘণ্টা পরপর মুখ পরিষ্কার করে পুনরায় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরুন
এখন ট্রেন্ডে আছে ওভারসাইজড বা ঢিলেঢালা পোশাক। কামিজ, কুর্তা কিংবা ওয়েস্টার্ন পোশাকের ক্ষেত্রে নারীরা পছন্দ করছেন লুজ ফিটিংয়ের জামাকাপড়। যেহেতু এ সময় সবারই বেশ ঘাম হচ্ছে, তাই আঁটসাঁট পোশাক না পরে সুতি বা লিনেনের ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরলেই বেশি স্বস্তি পাবেন। তবে রাতে দাওয়াতে যেতে হলে এসব পোশাকে সুতির পাশাপাশি জর্জেট, লিনেন, সাটিন, অরগাঞ্জা ফ্যাব্রিকসও বেছে নেওয়া যেতে পারে।
এসব ঘামে ভিজলে দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং সহজে কুঁচকে যায় না। তবে দিন বা রাত—যেকোনো সময় পরার জন্য ছিমছাম হালকা কাজের ইজি টু ওয়্যার কুর্তি, এ লাইন টপস, স্ট্রেইট কাট টপস, বেলন স্লিভ টপস, টিউনিক, সুতির কোট, গাউন, কাফতান, পঞ্চ, শার্ট, পোলো ছাড়াও টপস-স্কার্ট সেট, টপস-পালাজো সেট বেছে নিলে আরাম পাওয়া যাবে।
চুল বেঁধে রাখুন
গোসলের পর চুল শুকিয়ে চেষ্টা করতে পারেন বেঁধে রাখতে। এতে আরাম লাগবে। বেণি, খোঁপা, পনিটেইল ছাড়াও নিজের পছন্দের যেকোনো স্টাইলে চুল বেঁধে নেওয়া যেতে পারে। বাইরে গেলে ব্যাগে একটা চিরুনি রাখতে পারেন, যাতে মাথার ত্বক ঘেমে গেলে চুল খুলে বাতাসে শুকানোর পর আবার আঁচড়িয়ে নেওয়া যায়।
হালকা মেকআপ করুন
গরমে জাঁকজমক লুক মানায় না। তাই ন্যাচারাল লুক রেখে মেকআপ করা ভালো। এ জন্য বিবি ক্রিম, কাজল ও হালকা লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। হালকা মেকআপে নিজেকে দেখতে যেমন সুন্দর লাগে, ঠিক তেমনি সহজে টাচআপ করে ফেলা যায়।
সূত্র: মেকআপ অ্যান্ড বিউটি
ঈদের আর বেশি দিন বাকি নেই। ভরা চৈত্র মাসেই যখন উৎসব, তখন সাজসজ্জা, পোশাক-আশাক নিয়ে বাড়তি ভাবনা থাকবেই। ঈদ মানে তো নতুন পোশাক পরে সেজেগুজে ঘুরে বেড়ানোই শুধু নয়, অতিথি আপ্য়ায়নে রান্নাঘরেই কেটে যায় অনেকটা সময়। তার ওপর এখনই যে গরম, তাতে সামনের দিনগুলোয় তরতাজা থাকা নিয়ে কপালে ভাঁজ তো পড়ারই কথা। ঈদের পুরো দিন তরতাজা থাকতে কী করবেন এবং কেমন পোশাক বেছে নেবেন, তা নিয়ে এবারের বিশেষ আয়োজন।
রাতে পরিপূর্ণ ঘুমিয়ে সকালে দ্রুত উঠে পড়ুন
ঈদের দিন সকালে কমবেশি সবার বাড়িতে ব্যস্ততা থাকে। তাই আগের দিন রাতে একটু আগেভাগেই বিছানায় যাওয়ার চেষ্টা করুন। রাতে ভালো ঘুম হলে চেহারার ক্লান্তিভাবও কেটে যাবে। ফলে ঈদের দিন তরতাজা দেখাবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে আধা লিটার পানি পান করুন। সম্ভব হলে হালকা স্ট্রেচ করে নিতে পারেন। এতে শরীরে ঠিকমতো রক্ত চলাচল করবে এবং চেহারায় উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। মুখ ধোয়ার আগে আমন্ড অয়েল মেখে জেড রোলার দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে মুখের ফোলাভাবও দূর হবে। তারপর প্রথম দফায় গোসলের প্রস্তুতি নিন।
ঝটপট গোসল করে নিন
যেহেতু প্রচণ্ড গরম, তাই রান্নাঘরে যাওয়ার আগে একটা কুইক শাওয়ার দিয়ে নিলে আরাম লাগবে। শাওয়ার ছেড়ে বিপরীত দিকে মুখ রেখে পানি সরাসরি ঘাড়ের ওপর প্রবাহিত হতে দিন। এতে শরীর থেকে স্ট্রেস দূর হবে এবং শরীর ঠান্ডা হবে। পছন্দের কোনো মাইল্ড সাবান দিয়ে ঝটপট দিনের প্রথম গোসলটা সেরে ফেলুন। এরপর ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এটি ব্যবহার না করলে ত্বক শুষ্ক ও নিষ্প্রাণ দেখাবে। এরপর ত্বক, শুকনো মুখে, গলায় ও আন্ডার আর্মে হালকা করে ট্যালকম পাউডার বুলিয়ে নিতে পারেন।
সানস্ক্রিন এড়াবেন না
ঈদে দিনের বেলা বাইরে গেলে তো অবশ্যই মাখবেন, এদিন ঘরে থাকলেও সানস্ক্রিন এড়াবেন না। কারণ, ঈদে কমবেশি সবার রান্নাঘরে কাজ করতেই হয়, ফলে আগুনের তাপে যেন ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করাটা জরুরি। তবে এ ক্ষেত্রে দুই ঘণ্টা পরপর মুখ পরিষ্কার করে পুনরায় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরুন
এখন ট্রেন্ডে আছে ওভারসাইজড বা ঢিলেঢালা পোশাক। কামিজ, কুর্তা কিংবা ওয়েস্টার্ন পোশাকের ক্ষেত্রে নারীরা পছন্দ করছেন লুজ ফিটিংয়ের জামাকাপড়। যেহেতু এ সময় সবারই বেশ ঘাম হচ্ছে, তাই আঁটসাঁট পোশাক না পরে সুতি বা লিনেনের ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরলেই বেশি স্বস্তি পাবেন। তবে রাতে দাওয়াতে যেতে হলে এসব পোশাকে সুতির পাশাপাশি জর্জেট, লিনেন, সাটিন, অরগাঞ্জা ফ্যাব্রিকসও বেছে নেওয়া যেতে পারে।
এসব ঘামে ভিজলে দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং সহজে কুঁচকে যায় না। তবে দিন বা রাত—যেকোনো সময় পরার জন্য ছিমছাম হালকা কাজের ইজি টু ওয়্যার কুর্তি, এ লাইন টপস, স্ট্রেইট কাট টপস, বেলন স্লিভ টপস, টিউনিক, সুতির কোট, গাউন, কাফতান, পঞ্চ, শার্ট, পোলো ছাড়াও টপস-স্কার্ট সেট, টপস-পালাজো সেট বেছে নিলে আরাম পাওয়া যাবে।
চুল বেঁধে রাখুন
গোসলের পর চুল শুকিয়ে চেষ্টা করতে পারেন বেঁধে রাখতে। এতে আরাম লাগবে। বেণি, খোঁপা, পনিটেইল ছাড়াও নিজের পছন্দের যেকোনো স্টাইলে চুল বেঁধে নেওয়া যেতে পারে। বাইরে গেলে ব্যাগে একটা চিরুনি রাখতে পারেন, যাতে মাথার ত্বক ঘেমে গেলে চুল খুলে বাতাসে শুকানোর পর আবার আঁচড়িয়ে নেওয়া যায়।
হালকা মেকআপ করুন
গরমে জাঁকজমক লুক মানায় না। তাই ন্যাচারাল লুক রেখে মেকআপ করা ভালো। এ জন্য বিবি ক্রিম, কাজল ও হালকা লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। হালকা মেকআপে নিজেকে দেখতে যেমন সুন্দর লাগে, ঠিক তেমনি সহজে টাচআপ করে ফেলা যায়।
সূত্র: মেকআপ অ্যান্ড বিউটি
কচি লাউ দিয়ে মজাদার ডেজার্ট তৈরি করা যায়। রাতে খাওয়ার পর মিষ্টি কিছু খেতে ইচ্ছা হওয়াটা দোষের কিছু নয়। লাউ দিয়েই বানিয়ে ফেলুন মজাদার বরফি। আপনাদের জন্য লাউয়ের বরফির রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী সানিয়া সোমা।
২১ ঘণ্টা আগেবলা হয়, ফ্যাশন উইকগুলোয় র্যাম্পে মডেলরা যেসব পোশাক পরে হেঁটে বেড়ান, সেগুলো আদৌ সাধারণ মানুষের আলমারিতে তোলার উপযোগী নয়। তাহলে অত দামি ফ্যাব্রিক গায়ে তোলেন কারা? হ্যাঁ, বলিউডের সোনম বা আলিয়াদের গায়ে কখনো কখনো রানওয়ে পোশাকের নকশা বা প্রিন্ট দেখা যায়; তবে সেখানেও প্রশ্ন যে উদ্ভট নকশাওয়ালা পোশাকগুলো..
১ দিন আগেতারুণ্যের পোশাক ডেনিম। একটা সময় মূলত পুরুষের পোশাক হয়ে থাকলেও এটি ক্রমেই ‘ইউনিসেক্স’ হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ নারী-পুরুষনির্বিশেষে এখন ডেনিমের পোশাক পরে। আর সে জন্যই সম্ভবত ডেনিম দিয়ে তৈরি পোশাকে বৈচিত্র্য এসেছে। এখন প্যান্ট, জ্যাকেট, কটি ও শার্টের বাইরে বানানো হচ্ছে নানা ডিজাইনের স্কার্ট, ড্রেস, ব্লাউজ...
১ দিন আগেগরমকাল পুরুষদের জন্য কালস্বরূপ! হ্যাঁ, সত্য়ি বলছি। গরমে পুরুষেরা অনেক বেশিই ঘামেন। বলতে দ্বিধা নেই, অধিকাংশ পুরুষ স্রেফ সচেতনতার অভাবে গরমে অস্বস্তিতে ভোগেন। এখন আর সেই সময় নেই যে, এক কাপড়ে বেরিয়ে গিয়ে সেই রাতে বাড়ি ফিরবেন। গ্রীষ্মকালে সূর্যের দাপট এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি।
১ দিন আগে