এ টি এম আনোয়ারুল কাদির

১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই মুক্তিযুদ্ধকালে ‘বাংলাদেশ’ নামে ৮টি ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছিল। এই ডাকটিকিটগুলো গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের রেজিস্টার্ড সংগঠন ‘ফিলাটেলিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (পিএবি) ২০০৩ সাল থেকে এই বিশেষ দিনটিকে ডাকটিকিট দিবস হিসেবে উদ্যাপন করে আসছে।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশর অস্থায়ী সরকার গঠন হয়। দেশে তখন অবিরাম যুদ্ধ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা একপ্রকার বিচ্ছিন্ন। তাই অস্থায়ী সরকার ডাক ব্যবস্থা গড়ে তোলার গুরুত্ব অনুধাবন করে। সেই সঙ্গে এক সময় সরকার উপলব্ধি করে, স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে ডাকটিকিট বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে ব্রিটিশ ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল ছিলেন সে সময়কার পার্লামেন্টের সদস্য জন স্টোনহাউস। তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি তাজউদ্দীন আহমদকে জানিয়েছিলেন, মুক্তাঞ্চলে চিঠি আদান প্রদানের জন্য ‘বাংলাদেশ’ নামে ডাকটিকিট ব্যবহার করা হলে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে। অস্থায়ী সরকার এই প্রস্তাবের পর বাংলাদেশ নামে ডাকটিকিট প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭১ সালের ২৯ এপ্রিল জন স্টোনহাউস লন্ডনপ্রবাসী ভারতীয় বাঙালি ডিজাইনার বিমান মল্লিককে ডাকটিকিট ডিজাইনের দায়িত্ব দেন। বিমান মল্লিক ৮টি ডাকটিকিটের ডিজাইন করেন এবং অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার তা অনুমোদন করে। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই লন্ডনের হাউস অব কমন্সে জন স্টোন হাউস ও প্রবাসে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ দূত বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এই ডাকটিকিটগুলো দেখিয়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি উত্থাপন করেন।
এরই প্রেক্ষিতে পশ্চিম জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড ও জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়। বিদেশে অবস্থানরত ১২২ জন বাঙালি কূটনীতিক পাকিস্তানের আনুগত্য অস্বীকার করে বাংলাদেশের পক্ষে চলে আসেন। বিমান মল্লিকের ডিজাইন করা ৮টি ডাকটিকিট ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই একযোগে মুজিবনগর, কলকাতার বাংলাদেশ মিশন এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। এই ডাকটিকিটগুলো দেশের অস্তিত্ব প্রমাণে বড় ভূমিকা পালন করে। এ কারণেই ২৯ জুলাইকে ডাকটিকিট দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।
২০০৩ সালের শুরুর দিকে ফিলাটেলিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ২৯ থেকে ৩১ জুলাই শিশুকিশোরদের সংগ্রহ নিয়ে ‘চাইল্ডপেক্স ২০০৩’ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীর আগে কয়েকটি স্কুলে ফিলাটেলির ওপর ক্লাস নেওয়া হয়। প্রদর্শনীর তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ২৯ জুলাই।
প্রদর্শনী ও জাতীয় ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপন প্রচারণার জন্য বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ২০০৩ সালের ২২ জুলাই ১ টাকার ওভার প্রিন্ট রেজিস্টার্ড খাম প্রকাশ করে। ওভার প্রিন্টে পিএবির লোগো এবং চাইল্ডপেক্সে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। ২৯ জুলাই বাংলাদেশ ডাক বিভাগ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে একটি বিশেষ খাম এবং প্রদর্শনীর ৩ দিন তিনটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এভাবে ডাকটিকিট দিবসের যাত্রা শুরু হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ডাকটিকিট দিবস পালনে পিএবিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এর সঙ্গে অন্যান্য ফিলাটেলিক সংগঠনও পরবর্তীতে দিবসটি উদ্যাপন করতে শুরু করে।
ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ পর্যন্ত বেশ কিছুসংখ্যক স্মারক ডাকটিকিট, স্মারক শিট, উদ্বোধনী খাম, বিশেষ খাম, পোস্টাল স্টেশনারি এবং বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। দিনটি পালনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো একটি ওভার প্রিন্ট স্টেশনারি, একটি বিশেষ খাম এবং ৩টি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এগুলোর নকশা করেছিলেন মৃণাল চক্রবর্তী। ২০০৬ সালে ডাক বিভাগ একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও পিএবি যৌথভাবে ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপন করে এবং স্বাধীনতা বিষয়ক একটি ডাকটিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এ উপলক্ষে ডাক বিভাগ ৫০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক শিট ও ১টি ফোল্ডার প্রকাশ করে। এগুলোর নকশা করেছিলেন জসিম উদ্দিন। ডিজাইনে প্রথম ৮টি ডাকটিকিটের ছবি স্থান পায়।
২০০৮ সালে জানা যায় বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটের ডিজাইনার বিমান মল্লিক জীবিত আছেন। তাঁকে ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপনের বিষয়টি জানানো হয় এবং দিবসটি পালনের জন্য একটি ডাকটিকিট নকশা করার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর থেকে তিনি প্রতিবছর এই বিশেষ দিনটির খোঁজ রাখতেন।
২০১২ সালের ২৯ জুলাই ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে পিএবি ডাক বিভাগের সহযোগিতায় আলোচনা সভা এবং ডাকটিকিট বিষয়ক ডকুমেন্টারি ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি বিশেষ খাম এবং একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এগুলোর নকশা করেছিলেন মো. কামরুল ইসলাম। এরপর ২০১৩ সালে ডাক বিভাগ বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। ২০১৫ সালে বিমান মল্লিক ডাকটিকিট দিবসের জন্য প্রথমবারের মতো ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহরের নকশা করেন।
২০১৬ সালের ২৯ জুলাই সনজীব কান্তি দাস ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর এবং ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে আনোয়ার হোসেন ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই সনজীব কান্তি দাস ১০টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর নকশা করেছিলেন। ২০১৯ সালে জামালপুরের মেয়ে সাদিয়া আফরিন লামিয়ার চিত্রকর্ম ‘চল দেখি বায়োস্কোপ’ অবলম্বনে ডাকটিকিট দিবসে ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। এর নকশা করেছিলেন সনজীব কান্তি দাস। এ ছাড়া একই দিনে জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনী ‘বাংলাপেক্স ২০১৯’ এর সমাপনী দিনে ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ খাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। এর নকশাকার ছিলেন সাকিল হক।
২০২০ সালে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশিত হয় সনজীব কান্তি দাসের নকশায়। এরপর ২০২২ সালে ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ওভার প্রিন্ট পোস্টাল স্টেশনারি ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশিত হয়। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপনের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি বিশেষ খাম ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে।

১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই মুক্তিযুদ্ধকালে ‘বাংলাদেশ’ নামে ৮টি ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছিল। এই ডাকটিকিটগুলো গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের রেজিস্টার্ড সংগঠন ‘ফিলাটেলিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (পিএবি) ২০০৩ সাল থেকে এই বিশেষ দিনটিকে ডাকটিকিট দিবস হিসেবে উদ্যাপন করে আসছে।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশর অস্থায়ী সরকার গঠন হয়। দেশে তখন অবিরাম যুদ্ধ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা একপ্রকার বিচ্ছিন্ন। তাই অস্থায়ী সরকার ডাক ব্যবস্থা গড়ে তোলার গুরুত্ব অনুধাবন করে। সেই সঙ্গে এক সময় সরকার উপলব্ধি করে, স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে ডাকটিকিট বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে ব্রিটিশ ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল ছিলেন সে সময়কার পার্লামেন্টের সদস্য জন স্টোনহাউস। তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি তাজউদ্দীন আহমদকে জানিয়েছিলেন, মুক্তাঞ্চলে চিঠি আদান প্রদানের জন্য ‘বাংলাদেশ’ নামে ডাকটিকিট ব্যবহার করা হলে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে। অস্থায়ী সরকার এই প্রস্তাবের পর বাংলাদেশ নামে ডাকটিকিট প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭১ সালের ২৯ এপ্রিল জন স্টোনহাউস লন্ডনপ্রবাসী ভারতীয় বাঙালি ডিজাইনার বিমান মল্লিককে ডাকটিকিট ডিজাইনের দায়িত্ব দেন। বিমান মল্লিক ৮টি ডাকটিকিটের ডিজাইন করেন এবং অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার তা অনুমোদন করে। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই লন্ডনের হাউস অব কমন্সে জন স্টোন হাউস ও প্রবাসে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ দূত বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এই ডাকটিকিটগুলো দেখিয়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি উত্থাপন করেন।
এরই প্রেক্ষিতে পশ্চিম জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড ও জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়। বিদেশে অবস্থানরত ১২২ জন বাঙালি কূটনীতিক পাকিস্তানের আনুগত্য অস্বীকার করে বাংলাদেশের পক্ষে চলে আসেন। বিমান মল্লিকের ডিজাইন করা ৮টি ডাকটিকিট ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই একযোগে মুজিবনগর, কলকাতার বাংলাদেশ মিশন এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। এই ডাকটিকিটগুলো দেশের অস্তিত্ব প্রমাণে বড় ভূমিকা পালন করে। এ কারণেই ২৯ জুলাইকে ডাকটিকিট দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।
২০০৩ সালের শুরুর দিকে ফিলাটেলিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ২৯ থেকে ৩১ জুলাই শিশুকিশোরদের সংগ্রহ নিয়ে ‘চাইল্ডপেক্স ২০০৩’ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীর আগে কয়েকটি স্কুলে ফিলাটেলির ওপর ক্লাস নেওয়া হয়। প্রদর্শনীর তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ২৯ জুলাই।
প্রদর্শনী ও জাতীয় ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপন প্রচারণার জন্য বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ২০০৩ সালের ২২ জুলাই ১ টাকার ওভার প্রিন্ট রেজিস্টার্ড খাম প্রকাশ করে। ওভার প্রিন্টে পিএবির লোগো এবং চাইল্ডপেক্সে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। ২৯ জুলাই বাংলাদেশ ডাক বিভাগ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে একটি বিশেষ খাম এবং প্রদর্শনীর ৩ দিন তিনটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এভাবে ডাকটিকিট দিবসের যাত্রা শুরু হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ডাকটিকিট দিবস পালনে পিএবিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এর সঙ্গে অন্যান্য ফিলাটেলিক সংগঠনও পরবর্তীতে দিবসটি উদ্যাপন করতে শুরু করে।
ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ পর্যন্ত বেশ কিছুসংখ্যক স্মারক ডাকটিকিট, স্মারক শিট, উদ্বোধনী খাম, বিশেষ খাম, পোস্টাল স্টেশনারি এবং বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। দিনটি পালনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো একটি ওভার প্রিন্ট স্টেশনারি, একটি বিশেষ খাম এবং ৩টি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এগুলোর নকশা করেছিলেন মৃণাল চক্রবর্তী। ২০০৬ সালে ডাক বিভাগ একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও পিএবি যৌথভাবে ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপন করে এবং স্বাধীনতা বিষয়ক একটি ডাকটিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এ উপলক্ষে ডাক বিভাগ ৫০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক শিট ও ১টি ফোল্ডার প্রকাশ করে। এগুলোর নকশা করেছিলেন জসিম উদ্দিন। ডিজাইনে প্রথম ৮টি ডাকটিকিটের ছবি স্থান পায়।
২০০৮ সালে জানা যায় বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটের ডিজাইনার বিমান মল্লিক জীবিত আছেন। তাঁকে ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপনের বিষয়টি জানানো হয় এবং দিবসটি পালনের জন্য একটি ডাকটিকিট নকশা করার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর থেকে তিনি প্রতিবছর এই বিশেষ দিনটির খোঁজ রাখতেন।
২০১২ সালের ২৯ জুলাই ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে পিএবি ডাক বিভাগের সহযোগিতায় আলোচনা সভা এবং ডাকটিকিট বিষয়ক ডকুমেন্টারি ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি বিশেষ খাম এবং একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এগুলোর নকশা করেছিলেন মো. কামরুল ইসলাম। এরপর ২০১৩ সালে ডাক বিভাগ বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। ২০১৫ সালে বিমান মল্লিক ডাকটিকিট দিবসের জন্য প্রথমবারের মতো ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহরের নকশা করেন।
২০১৬ সালের ২৯ জুলাই সনজীব কান্তি দাস ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর এবং ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে আনোয়ার হোসেন ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই সনজীব কান্তি দাস ১০টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর নকশা করেছিলেন। ২০১৯ সালে জামালপুরের মেয়ে সাদিয়া আফরিন লামিয়ার চিত্রকর্ম ‘চল দেখি বায়োস্কোপ’ অবলম্বনে ডাকটিকিট দিবসে ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। এর নকশা করেছিলেন সনজীব কান্তি দাস। এ ছাড়া একই দিনে জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনী ‘বাংলাপেক্স ২০১৯’ এর সমাপনী দিনে ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ খাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। এর নকশাকার ছিলেন সাকিল হক।
২০২০ সালে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশিত হয় সনজীব কান্তি দাসের নকশায়। এরপর ২০২২ সালে ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ওভার প্রিন্ট পোস্টাল স্টেশনারি ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশিত হয়। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপনের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি বিশেষ খাম ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে।
এ টি এম আনোয়ারুল কাদির

১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই মুক্তিযুদ্ধকালে ‘বাংলাদেশ’ নামে ৮টি ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছিল। এই ডাকটিকিটগুলো গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের রেজিস্টার্ড সংগঠন ‘ফিলাটেলিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (পিএবি) ২০০৩ সাল থেকে এই বিশেষ দিনটিকে ডাকটিকিট দিবস হিসেবে উদ্যাপন করে আসছে।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশর অস্থায়ী সরকার গঠন হয়। দেশে তখন অবিরাম যুদ্ধ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা একপ্রকার বিচ্ছিন্ন। তাই অস্থায়ী সরকার ডাক ব্যবস্থা গড়ে তোলার গুরুত্ব অনুধাবন করে। সেই সঙ্গে এক সময় সরকার উপলব্ধি করে, স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে ডাকটিকিট বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে ব্রিটিশ ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল ছিলেন সে সময়কার পার্লামেন্টের সদস্য জন স্টোনহাউস। তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি তাজউদ্দীন আহমদকে জানিয়েছিলেন, মুক্তাঞ্চলে চিঠি আদান প্রদানের জন্য ‘বাংলাদেশ’ নামে ডাকটিকিট ব্যবহার করা হলে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে। অস্থায়ী সরকার এই প্রস্তাবের পর বাংলাদেশ নামে ডাকটিকিট প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭১ সালের ২৯ এপ্রিল জন স্টোনহাউস লন্ডনপ্রবাসী ভারতীয় বাঙালি ডিজাইনার বিমান মল্লিককে ডাকটিকিট ডিজাইনের দায়িত্ব দেন। বিমান মল্লিক ৮টি ডাকটিকিটের ডিজাইন করেন এবং অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার তা অনুমোদন করে। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই লন্ডনের হাউস অব কমন্সে জন স্টোন হাউস ও প্রবাসে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ দূত বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এই ডাকটিকিটগুলো দেখিয়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি উত্থাপন করেন।
এরই প্রেক্ষিতে পশ্চিম জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড ও জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়। বিদেশে অবস্থানরত ১২২ জন বাঙালি কূটনীতিক পাকিস্তানের আনুগত্য অস্বীকার করে বাংলাদেশের পক্ষে চলে আসেন। বিমান মল্লিকের ডিজাইন করা ৮টি ডাকটিকিট ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই একযোগে মুজিবনগর, কলকাতার বাংলাদেশ মিশন এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। এই ডাকটিকিটগুলো দেশের অস্তিত্ব প্রমাণে বড় ভূমিকা পালন করে। এ কারণেই ২৯ জুলাইকে ডাকটিকিট দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।
২০০৩ সালের শুরুর দিকে ফিলাটেলিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ২৯ থেকে ৩১ জুলাই শিশুকিশোরদের সংগ্রহ নিয়ে ‘চাইল্ডপেক্স ২০০৩’ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীর আগে কয়েকটি স্কুলে ফিলাটেলির ওপর ক্লাস নেওয়া হয়। প্রদর্শনীর তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ২৯ জুলাই।
প্রদর্শনী ও জাতীয় ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপন প্রচারণার জন্য বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ২০০৩ সালের ২২ জুলাই ১ টাকার ওভার প্রিন্ট রেজিস্টার্ড খাম প্রকাশ করে। ওভার প্রিন্টে পিএবির লোগো এবং চাইল্ডপেক্সে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। ২৯ জুলাই বাংলাদেশ ডাক বিভাগ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে একটি বিশেষ খাম এবং প্রদর্শনীর ৩ দিন তিনটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এভাবে ডাকটিকিট দিবসের যাত্রা শুরু হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ডাকটিকিট দিবস পালনে পিএবিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এর সঙ্গে অন্যান্য ফিলাটেলিক সংগঠনও পরবর্তীতে দিবসটি উদ্যাপন করতে শুরু করে।
ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ পর্যন্ত বেশ কিছুসংখ্যক স্মারক ডাকটিকিট, স্মারক শিট, উদ্বোধনী খাম, বিশেষ খাম, পোস্টাল স্টেশনারি এবং বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। দিনটি পালনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো একটি ওভার প্রিন্ট স্টেশনারি, একটি বিশেষ খাম এবং ৩টি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এগুলোর নকশা করেছিলেন মৃণাল চক্রবর্তী। ২০০৬ সালে ডাক বিভাগ একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও পিএবি যৌথভাবে ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপন করে এবং স্বাধীনতা বিষয়ক একটি ডাকটিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এ উপলক্ষে ডাক বিভাগ ৫০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক শিট ও ১টি ফোল্ডার প্রকাশ করে। এগুলোর নকশা করেছিলেন জসিম উদ্দিন। ডিজাইনে প্রথম ৮টি ডাকটিকিটের ছবি স্থান পায়।
২০০৮ সালে জানা যায় বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটের ডিজাইনার বিমান মল্লিক জীবিত আছেন। তাঁকে ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপনের বিষয়টি জানানো হয় এবং দিবসটি পালনের জন্য একটি ডাকটিকিট নকশা করার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর থেকে তিনি প্রতিবছর এই বিশেষ দিনটির খোঁজ রাখতেন।
২০১২ সালের ২৯ জুলাই ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে পিএবি ডাক বিভাগের সহযোগিতায় আলোচনা সভা এবং ডাকটিকিট বিষয়ক ডকুমেন্টারি ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি বিশেষ খাম এবং একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এগুলোর নকশা করেছিলেন মো. কামরুল ইসলাম। এরপর ২০১৩ সালে ডাক বিভাগ বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। ২০১৫ সালে বিমান মল্লিক ডাকটিকিট দিবসের জন্য প্রথমবারের মতো ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহরের নকশা করেন।
২০১৬ সালের ২৯ জুলাই সনজীব কান্তি দাস ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর এবং ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে আনোয়ার হোসেন ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই সনজীব কান্তি দাস ১০টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর নকশা করেছিলেন। ২০১৯ সালে জামালপুরের মেয়ে সাদিয়া আফরিন লামিয়ার চিত্রকর্ম ‘চল দেখি বায়োস্কোপ’ অবলম্বনে ডাকটিকিট দিবসে ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। এর নকশা করেছিলেন সনজীব কান্তি দাস। এ ছাড়া একই দিনে জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনী ‘বাংলাপেক্স ২০১৯’ এর সমাপনী দিনে ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ খাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। এর নকশাকার ছিলেন সাকিল হক।
২০২০ সালে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশিত হয় সনজীব কান্তি দাসের নকশায়। এরপর ২০২২ সালে ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ওভার প্রিন্ট পোস্টাল স্টেশনারি ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশিত হয়। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপনের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি বিশেষ খাম ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে।

১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই মুক্তিযুদ্ধকালে ‘বাংলাদেশ’ নামে ৮টি ডাকটিকিট প্রকাশিত হয়েছিল। এই ডাকটিকিটগুলো গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে। সেই সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের প্রতি বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে ডাকটিকিট সংগ্রাহকদের রেজিস্টার্ড সংগঠন ‘ফিলাটেলিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’ (পিএবি) ২০০৩ সাল থেকে এই বিশেষ দিনটিকে ডাকটিকিট দিবস হিসেবে উদ্যাপন করে আসছে।
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে বাংলাদেশর অস্থায়ী সরকার গঠন হয়। দেশে তখন অবিরাম যুদ্ধ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা একপ্রকার বিচ্ছিন্ন। তাই অস্থায়ী সরকার ডাক ব্যবস্থা গড়ে তোলার গুরুত্ব অনুধাবন করে। সেই সঙ্গে এক সময় সরকার উপলব্ধি করে, স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে ডাকটিকিট বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের শেষ দিকে ব্রিটিশ ডাক বিভাগের পোস্টমাস্টার জেনারেল ছিলেন সে সময়কার পার্লামেন্টের সদস্য জন স্টোনহাউস। তিনি বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। তিনি তাজউদ্দীন আহমদকে জানিয়েছিলেন, মুক্তাঞ্চলে চিঠি আদান প্রদানের জন্য ‘বাংলাদেশ’ নামে ডাকটিকিট ব্যবহার করা হলে স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব বিশ্বের কাছে প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে। অস্থায়ী সরকার এই প্রস্তাবের পর বাংলাদেশ নামে ডাকটিকিট প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয়। ১৯৭১ সালের ২৯ এপ্রিল জন স্টোনহাউস লন্ডনপ্রবাসী ভারতীয় বাঙালি ডিজাইনার বিমান মল্লিককে ডাকটিকিট ডিজাইনের দায়িত্ব দেন। বিমান মল্লিক ৮টি ডাকটিকিটের ডিজাইন করেন এবং অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকার তা অনুমোদন করে। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালের ২৭ জুলাই লন্ডনের হাউস অব কমন্সে জন স্টোন হাউস ও প্রবাসে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ দূত বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী এই ডাকটিকিটগুলো দেখিয়ে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জোর দাবি উত্থাপন করেন।
এরই প্রেক্ষিতে পশ্চিম জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড ও জাপানসহ বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়। বিদেশে অবস্থানরত ১২২ জন বাঙালি কূটনীতিক পাকিস্তানের আনুগত্য অস্বীকার করে বাংলাদেশের পক্ষে চলে আসেন। বিমান মল্লিকের ডিজাইন করা ৮টি ডাকটিকিট ১৯৭১ সালের ২৯ জুলাই একযোগে মুজিবনগর, কলকাতার বাংলাদেশ মিশন এবং লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। এই ডাকটিকিটগুলো দেশের অস্তিত্ব প্রমাণে বড় ভূমিকা পালন করে। এ কারণেই ২৯ জুলাইকে ডাকটিকিট দিবস হিসেবে উদ্যাপন করা হয়।
২০০৩ সালের শুরুর দিকে ফিলাটেলিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ২৯ থেকে ৩১ জুলাই শিশুকিশোরদের সংগ্রহ নিয়ে ‘চাইল্ডপেক্স ২০০৩’ নামে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রদর্শনীর আগে কয়েকটি স্কুলে ফিলাটেলির ওপর ক্লাস নেওয়া হয়। প্রদর্শনীর তারিখ হিসেবে বেছে নেওয়া হয় ২৯ জুলাই।
প্রদর্শনী ও জাতীয় ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপন প্রচারণার জন্য বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ২০০৩ সালের ২২ জুলাই ১ টাকার ওভার প্রিন্ট রেজিস্টার্ড খাম প্রকাশ করে। ওভার প্রিন্টে পিএবির লোগো এবং চাইল্ডপেক্সে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। ২৯ জুলাই বাংলাদেশ ডাক বিভাগ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী দিনে একটি বিশেষ খাম এবং প্রদর্শনীর ৩ দিন তিনটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এভাবে ডাকটিকিট দিবসের যাত্রা শুরু হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ডাকটিকিট দিবস পালনে পিএবিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এর সঙ্গে অন্যান্য ফিলাটেলিক সংগঠনও পরবর্তীতে দিবসটি উদ্যাপন করতে শুরু করে।
ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ এ পর্যন্ত বেশ কিছুসংখ্যক স্মারক ডাকটিকিট, স্মারক শিট, উদ্বোধনী খাম, বিশেষ খাম, পোস্টাল স্টেশনারি এবং বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করেছে। দিনটি পালনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো একটি ওভার প্রিন্ট স্টেশনারি, একটি বিশেষ খাম এবং ৩টি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এগুলোর নকশা করেছিলেন মৃণাল চক্রবর্তী। ২০০৬ সালে ডাক বিভাগ একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এরপর ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ও পিএবি যৌথভাবে ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপন করে এবং স্বাধীনতা বিষয়ক একটি ডাকটিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এ উপলক্ষে ডাক বিভাগ ৫০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক শিট ও ১টি ফোল্ডার প্রকাশ করে। এগুলোর নকশা করেছিলেন জসিম উদ্দিন। ডিজাইনে প্রথম ৮টি ডাকটিকিটের ছবি স্থান পায়।
২০০৮ সালে জানা যায় বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটের ডিজাইনার বিমান মল্লিক জীবিত আছেন। তাঁকে ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপনের বিষয়টি জানানো হয় এবং দিবসটি পালনের জন্য একটি ডাকটিকিট নকশা করার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর থেকে তিনি প্রতিবছর এই বিশেষ দিনটির খোঁজ রাখতেন।
২০১২ সালের ২৯ জুলাই ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে পিএবি ডাক বিভাগের সহযোগিতায় আলোচনা সভা এবং ডাকটিকিট বিষয়ক ডকুমেন্টারি ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা নেয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ ডাক বিভাগ একটি বিশেষ খাম এবং একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। এগুলোর নকশা করেছিলেন মো. কামরুল ইসলাম। এরপর ২০১৩ সালে ডাক বিভাগ বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে। ২০১৫ সালে বিমান মল্লিক ডাকটিকিট দিবসের জন্য প্রথমবারের মতো ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম এবং বিশেষ সিলমোহরের নকশা করেন।
২০১৬ সালের ২৯ জুলাই সনজীব কান্তি দাস ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর এবং ২০১৭ সালের ১০ আগস্ট ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে আনোয়ার হোসেন ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর, ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই সনজীব কান্তি দাস ১০টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর নকশা করেছিলেন। ২০১৯ সালে জামালপুরের মেয়ে সাদিয়া আফরিন লামিয়ার চিত্রকর্ম ‘চল দেখি বায়োস্কোপ’ অবলম্বনে ডাকটিকিট দিবসে ১০ টাকা মূল্যমানের ১টি স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। এর নকশা করেছিলেন সনজীব কান্তি দাস। এ ছাড়া একই দিনে জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনী ‘বাংলাপেক্স ২০১৯’ এর সমাপনী দিনে ডাকটিকিট দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ খাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। এর নকশাকার ছিলেন সাকিল হক।
২০২০ সালে ১০ টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশিত হয় সনজীব কান্তি দাসের নকশায়। এরপর ২০২২ সালে ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ওভার প্রিন্ট পোস্টাল স্টেশনারি ও বিশেষ সিলমোহর প্রকাশিত হয়। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই বাংলাদেশ ডাক বিভাগ ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপনের ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি বিশেষ খাম ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করে।

দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
১ ঘণ্টা আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
৩ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।
লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।
দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক
এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।
লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।
দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক
এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ
ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।
আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক
আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার
ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।
শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ
শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

২৯ জুলাই বাংলাদেশের ডাকটিকিট দিবস। ২০০৩ সাল থেকে দিনটি পালন করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে জানা যায় বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটের ডিজাইনার বিমান মল্লিক জীবিত আছেন। তাঁকে ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপনের বিষয়টি জানানো হয় এবং দিবসটি পালনের জন্য একটি ডাকটিকিট নকশা করার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর থেকে তিনি প্রতিবছর এই বিশেষ দি
২৯ জুলাই ২০২৪
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
৩ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

মেষ
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।
বৃষ
আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।
মিথুন
মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।
কর্কট
কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।
সিংহ
সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।
কন্যা
আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।
তুলা
গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।
বৃশ্চিক
বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।
ধনু
ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।
মকর
মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।
কুম্ভ
কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।
মীন
মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

২৯ জুলাই বাংলাদেশের ডাকটিকিট দিবস। ২০০৩ সাল থেকে দিনটি পালন করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে জানা যায় বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটের ডিজাইনার বিমান মল্লিক জীবিত আছেন। তাঁকে ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপনের বিষয়টি জানানো হয় এবং দিবসটি পালনের জন্য একটি ডাকটিকিট নকশা করার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর থেকে তিনি প্রতিবছর এই বিশেষ দি
২৯ জুলাই ২০২৪
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
১ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
৩ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়।
কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। সেগুলোতে শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়নি। তাই বলাই যায়, শীতকালে কলা খাওয়া নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, খাবার খাওয়া এবং তা থেকে শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তিগত সংবেদনশীলতা থেকে। যেসব খাবারে অ্যালার্জি আছে, সেসব খাবার না খাওয়া ভালো। তাতে শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্ত থাকা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ কলাকে স্বাস্থ্যকর ফল হিসেবে সব ঋতুতে খাওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিনে কলাসহ ৪০০ গ্রাম ফল ও সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
কিছু প্রচলিত ভুল ধারণা এবং তার সঠিক বৈজ্ঞানিক তথ্য জেনে নিন।
এ ধারণা ঠিক নয়। কলার পুষ্টিগুণ অর্থাৎ পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬, আঁশ ইত্যাদি ঋতুভেদে একই থাকে। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন কলাকে একটি পুষ্টিকর স্ন্যাক্স বা হালকা নাশতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।

আমাদের দেশেই শুধু নয়, পৃথিবীতে এমন বহু মানুষ আছেন যাঁরা বিশ্বাস করেন, কলা ঠান্ডা প্রকৃতির বলে শীতকালে খেলে সর্দি-কাশি বা হজমে সমস্যা করতে পারে। এটি আজ পর্যন্ত বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। স্বাভাবিকভাবে যেকোনো ব্যক্তি শীতকালে কলা খেতে পারেন। বরং কলা দ্রুত শক্তি দেয় বলে শীতকালে এটি শরীরের উষ্ণতা বজায় রাখতে সহায়ক হতে পারে। তবে কলায় কারও অ্যালার্জি থাকলে খাওয়া ঠিক হবে না।
আয়ুর্বেদের মতো কিছু প্রথাগত চিকিৎসা পদ্ধতি কলাকে ‘শীতল’ প্রকৃতির বলে বিবেচনা করে। সে জন্য রাতে বা শীতে বেশি পরিমাণে না খাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে এ পরামর্শ সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
অ্যালার্জি ও কফ: যাঁদের কলায় অ্যালার্জি আছে এবং যাঁদের শীতকালে কফ জমে থাকা বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কলায় কোনো ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া নেই। তবে যাঁদের আগে থেকে অ্যালার্জি বা অ্যাজমার সমস্যা আছে, তাঁদের অত্যধিক মিউকাস উৎপাদনে এটি কিছু ভূমিকা রাখতে পারে। সে জন্য যাঁদের আগে থেকে এসব সমস্যা আছে, তাঁদের শীতকালে কলা খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডায়াবেটিস: কলায় প্রাকৃতিক শর্করা থাকে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এটি পরিমিত খাওয়া উচিত।

কলা প্রাকৃতিক এনার্জি বার: কলায় থাকে ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজের মতো প্রাকৃতিক চিনি। এটি দ্রুত শক্তি সরবরাহ করে, যা শীতকালে শরীরের তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ইমিউনিটি বুস্টার: ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘বি৬’ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় কলা। এতে শীতকালীন সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সেরোটোনিন উৎপাদন: কলায় ট্রিপটোফ্যান নামে একটি অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে সেরোটোনিন (মুড-রেগুলেটর) উৎপাদনে সাহায্য করে, শীতকালীন বিষণ্নতা মোকাবিলায় সহায়ক।
রাতের বদলে সকাল বা দুপুরে খাওয়া ভালো। এ ছাড়া কলা বিভিন্ন জিনিসের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন ওটমিল ও দারুচিনির সঙ্গে কলা মিশিয়ে খেলে উষ্ণতা বাড়বে। কলার স্মুদির সঙ্গে আদা ও কাঁচা হলুদ যোগ করে খাওয়া যেতে পারে। সম্পূর্ণ পাকা কলায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে। এ ধরনের কলা দিনে ১ থেকে ২টি খান।
শীতকালে কলা খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর, যদি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য অবস্থা ও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। তাই নিয়মিত কলা খেতে কোনো বৈজ্ঞানিক নিষেধ নেই। তবে অ্যাজমা, দীর্ঘস্থায়ী কফ, কিডনি রোগী ইত্যাদি সংবেদনশীল গ্রুপের মানুষেরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কলা খাবেন। এ ছাড়া কলাকে শীতের খাদ্যতালিকার একটি উপাদান হিসেবে দেখুন, একমাত্র উৎস হিসেবে নয়। অন্যান্য শীতকালীন ফলের সঙ্গে এর ভারসাম্য বজায় রাখুন।

২৯ জুলাই বাংলাদেশের ডাকটিকিট দিবস। ২০০৩ সাল থেকে দিনটি পালন করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে জানা যায় বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটের ডিজাইনার বিমান মল্লিক জীবিত আছেন। তাঁকে ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপনের বিষয়টি জানানো হয় এবং দিবসটি পালনের জন্য একটি ডাকটিকিট নকশা করার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর থেকে তিনি প্রতিবছর এই বিশেষ দি
২৯ জুলাই ২০২৪
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
১ ঘণ্টা আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।...
১৫ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের বিভিন্ন আন্দোলন আছে ঢাকা শহরে। আছে তাদের নিয়মিত ইভেন্ট। এ ইতিহাসে যুক্ত হলো ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে’ ম্যারাথন। এর আয়োজক ছিল ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান ট্রায়াথলন ড্রিমার্স। আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, এটি ছিল ঢাকায় অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম এআইএমএস সার্টিফায়েড ৩০ কিলোমিটার ম্যারাথন।
গতকাল ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে নামের এই ম্যারাথনটি। ‘এক শহর, এক দৌড়, এক ইতিহাস’ স্লোগানে আয়োজিত এ আন্তর্জাতিক রোড রেসে অংশ নেন হাজারো দৌড়বিদ। এদের মধ্যে ছিলেন দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ রানার ও শৌখিন অ্যাথলেটরা।

ঢাকার হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটার থেকে ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে ৩০ কিলোমিটার ক্যাটাগির এ ম্যারাথনের উদ্বোধন করা হয়। এ ছাড়া ১৫ এবং ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার রেসের উদ্বোধন হয় ভোর ৫টা। অংশগ্রহণকারী দৌড়বিদেরা হাতিরঝিলের চারপাশে বিস্তৃত একটি চ্যালেঞ্জিং ও মনোরম ট্র্যাকে তাঁদের দৌড় সম্পন্ন করেন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, এ ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত ছিল চারটি প্রতিযোগিতা ক্যাটাগরি। এগুলো হলো,
৩০ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মামুন আহম্মেদ। দৌড়ের পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিট ৪৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন হামিদা আক্তার জেবা। তিনি শেষ করতে সময় নিয়েছে ২ ঘণ্টা ৪৪ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এদিকে ১৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন পলাশ শেখ। এ পথ শেষ করতে তিনি সময় নেন ৫৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাজিয়া হেপ্পি। তিনি দৌড় শেষ করতে সময় নেন ১ ঘণ্টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ড।

৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ম্যারাথনে ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন মোস্তাক আহমেদ আভিন। দৌড় শেষ করতে তিনি সময় নেন ২৬ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। একই ইভেন্টে মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হন সাবরিনা আক্তার স্বর্ণা। তিনি ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৌড় শেষ করতে সময় নিয়েছেন ৪৩ মিনিট ৫৩ সেকেন্ড।
এ ছাড়া এক কিলোমিটার ওভারল চ্যাম্পিয়ন হয় সাইফান ওময়ের।
দৌড়বিদদের সুবিধার্থে ইভেন্ট এরিয়ায় স্থাপন করা হয়েছিল মেডিকেল সাপোর্ট সিস্টেম, একাধিক হাইড্রেশন ও কুলিং জোন, লাইভ টাইমিং সুবিধা। ইভেন্ট নিরাপদ করতে ছিল শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ইভেন্টে কাজ করেন শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিবিড় সহযোগিতায় ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা ছিল অত্যন্ত সমন্বিত।

ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে ম্যারাথন রেস ডিরেক্টর মো. আল-আমীন বলেন, ‘ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে শুধু একটি রেস নয়, এটি একটি সুস্থ, সচেতন ও সক্রিয় নগরজীবন গঠনের আন্দোলন। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে, দৌড়ের পাশাপাশি আমরা চাই ঢাকাকে একটি প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শহরে রূপান্তরিত করতে।’
আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন, বিশাল অংশগ্রহণ, পেশাদার ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপদ আয়োজন, সব মিলিয়ে ঢাকা ড্যাশ ৩০-কে আজ বাংলাদেশের দৌড় ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল।

২৯ জুলাই বাংলাদেশের ডাকটিকিট দিবস। ২০০৩ সাল থেকে দিনটি পালন করা হচ্ছে। ২০০৮ সালে জানা যায় বাংলাদেশের প্রথম ডাকটিকিটের ডিজাইনার বিমান মল্লিক জীবিত আছেন। তাঁকে ডাকটিকিট দিবস উদ্যাপনের বিষয়টি জানানো হয় এবং দিবসটি পালনের জন্য একটি ডাকটিকিট নকশা করার অনুরোধ জানানো হয়। এরপর থেকে তিনি প্রতিবছর এই বিশেষ দি
২৯ জুলাই ২০২৪
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।...
১ ঘণ্টা আগে
আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
শীতকালে কলা খাওয়া যাবে কি না, এ বিষয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। কারণ আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, কলা একটি ঠান্ডা ফল। এটি খেলা সর্দি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া শীতকালে কলা খেলে ‘বুক দেবে যাওয়া’র মতো ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ কফ বসে যেতে পারে। এ জন্য শীতকালে আমাদের দেশে সাধারণত কলা খাওয়ার প্রবণতা...
৩ ঘণ্টা আগে