আজকের পত্রিকা ডেস্ক

সমৃদ্ধ ইতিহাস, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বিশ্ববিখ্যাত রন্ধনশৈলীর জন্য পরিচিত পোল্যান্ড। মধ্য ইউরোপের এই সুন্দর দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র। তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা, যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও অন্তর্ভুক্ত, পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করতে পারেন। এই আবেদন গৃহীত হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেখানে বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায়।
কেন পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাস করতে চাইবেন
পোল্যান্ডের স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্র একটি সরকারি নথি, যা বিদেশিদের কোনো সময়সীমা ছাড়াই পোল্যান্ডে বসবাস ও কাজ করার অনুমতি দেয়। এই কার্ডধারীদের অতিরিক্ত কোনো ওয়ার্ক পারমিট বা স্ব-নিযুক্তি নিবন্ধনের প্রয়োজন হয় না। এর প্রধান সুবিধাগুলো হলো:
পোল্যান্ডে অনির্দিষ্টকাল থাকার এবং যেকোনো নিয়োগকর্তার অধীনে অবাধে কাজ করার অনুমতি।
শেনজেন এলাকায় প্রতি ১৮০ দিনের মধ্যে ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসা-মুক্ত পর্যটন ভ্রমণ।
নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের পর পোল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়ার একটি সুস্পষ্ট পথ।
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের যোগ্য হতে হলে নিম্নলিখিত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে:
অন্তত ৫ বছর ধরে পোল্যান্ডে অস্থায়ী বসবাসের অনুমতির অধীনে একটানা, বৈধভাবে বসবাস।
অথবা, কোনো পোলিশ নাগরিককে বিয়ে করে অন্তত ৩ বছর সংসার করা এবং অস্থায়ী অনুমতির অধীনে পোল্যান্ডে অন্তত ২ বছর বসবাস।
পোল্যান্ডে স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদি ইইউ রেসিডেন্স পারমিটধারীর সন্তান হওয়া।
স্থিতিশীল ও নিয়মিত আয়ের প্রমাণ এবং থাকার জায়গার ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক।
একটি সরকারি সার্টিফিকেট দ্বারা নিশ্চিত করা বি১-স্তরের পোলিশ ভাষার দক্ষতা।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
দুটি সম্পূর্ণ স্থায়ী বসবাসের আবেদনপত্র (পোলিশ ভাষায়)।
বৈধ পাসপোর্ট এবং এর ফটোকপি।
সাম্প্রতিক ছবি।
পোলিশ ভাষার সার্টিফিকেট।
আয়, বাসস্থান এবং কর প্রদানের প্রমাণ।
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সার্টিফিকেট, জীবনসঙ্গীর আইডি এবং সন্তানের জন্মসনদ।
পোলিশ ভাষায় সব নথির দাপ্তরিক অনুবাদ।
সব নথি অবশ্যই ইংরেজি বা পোলিশ ভাষায় অনূদিত হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া পোল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট ভইভোডশিপ অফিস (Voivodeship Office) দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রক্রিয়াটির ধাপগুলো নিচে দেওয়া হলো:
ধাপ ১: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন।
ধাপ ২: আপনার বর্তমান বৈধভাবে থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভইভোডশিপ অফিসে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন এবং ব্যক্তিগতভাবে আবেদন জমা দিন।
ধাপ ৩: সব নথি জমা দিন এবং আঙুলের ছাপ দিন।
ধাপ ৪: আবেদন ফি প্রদান করুন, যার মধ্যে পিএলএন ৬৪০ (প্রায় ২৩ হাজার ২৫৮ টাকা) স্ট্যাম্প ডিউটি এবং পিএলএন ১০০ (প্রায় ৩ হাজার ৬৩৫ টাকা) রেসিডেন্স কার্ড ফি অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ মোট পিএলএন ৭৪০ (প্রায় ২৬ হাজার ৮৯৪ টাকা)।
ধাপ ৫: প্রক্রিয়াকরণের জন্য অপেক্ষা করুন, যা সাধারণত ৬-১২ মাস সময় লাগে, তবে আপনার আবেদনের ধরনের ওপর নির্ভর করে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।
ধাপ ৬: অনুমোদনের পর, কার্ড ইস্যু করার ফি প্রদান করুন এবং স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করুন।
উল্লেখ্য, এটি শুধু আবেদন ফি; অনুবাদ, ভাষা পরীক্ষা এবং ছবির মতো অতিরিক্ত খরচের কারণে মোট খরচ পরিবর্তিত হতে পারে।
আরও পড়ুন:

সমৃদ্ধ ইতিহাস, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বিশ্ববিখ্যাত রন্ধনশৈলীর জন্য পরিচিত পোল্যান্ড। মধ্য ইউরোপের এই সুন্দর দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র। তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা, যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও অন্তর্ভুক্ত, পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন করতে পারেন। এই আবেদন গৃহীত হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সেখানে বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায়।
কেন পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাস করতে চাইবেন
পোল্যান্ডের স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্র একটি সরকারি নথি, যা বিদেশিদের কোনো সময়সীমা ছাড়াই পোল্যান্ডে বসবাস ও কাজ করার অনুমতি দেয়। এই কার্ডধারীদের অতিরিক্ত কোনো ওয়ার্ক পারমিট বা স্ব-নিযুক্তি নিবন্ধনের প্রয়োজন হয় না। এর প্রধান সুবিধাগুলো হলো:
পোল্যান্ডে অনির্দিষ্টকাল থাকার এবং যেকোনো নিয়োগকর্তার অধীনে অবাধে কাজ করার অনুমতি।
শেনজেন এলাকায় প্রতি ১৮০ দিনের মধ্যে ৯০ দিন পর্যন্ত ভিসা-মুক্ত পর্যটন ভ্রমণ।
নির্দিষ্ট শর্ত পূরণের পর পোল্যান্ডের নাগরিকত্ব পাওয়ার একটি সুস্পষ্ট পথ।
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা
পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের যোগ্য হতে হলে নিম্নলিখিত শর্তগুলো পূরণ করতে হবে:
অন্তত ৫ বছর ধরে পোল্যান্ডে অস্থায়ী বসবাসের অনুমতির অধীনে একটানা, বৈধভাবে বসবাস।
অথবা, কোনো পোলিশ নাগরিককে বিয়ে করে অন্তত ৩ বছর সংসার করা এবং অস্থায়ী অনুমতির অধীনে পোল্যান্ডে অন্তত ২ বছর বসবাস।
পোল্যান্ডে স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদি ইইউ রেসিডেন্স পারমিটধারীর সন্তান হওয়া।
স্থিতিশীল ও নিয়মিত আয়ের প্রমাণ এবং থাকার জায়গার ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক।
একটি সরকারি সার্টিফিকেট দ্বারা নিশ্চিত করা বি১-স্তরের পোলিশ ভাষার দক্ষতা।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
দুটি সম্পূর্ণ স্থায়ী বসবাসের আবেদনপত্র (পোলিশ ভাষায়)।
বৈধ পাসপোর্ট এবং এর ফটোকপি।
সাম্প্রতিক ছবি।
পোলিশ ভাষার সার্টিফিকেট।
আয়, বাসস্থান এবং কর প্রদানের প্রমাণ।
প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিবাহ সার্টিফিকেট, জীবনসঙ্গীর আইডি এবং সন্তানের জন্মসনদ।
পোলিশ ভাষায় সব নথির দাপ্তরিক অনুবাদ।
সব নথি অবশ্যই ইংরেজি বা পোলিশ ভাষায় অনূদিত হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
স্থায়ী বসবাসের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া পোল্যান্ডের সংশ্লিষ্ট ভইভোডশিপ অফিস (Voivodeship Office) দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রক্রিয়াটির ধাপগুলো নিচে দেওয়া হলো:
ধাপ ১: প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন।
ধাপ ২: আপনার বর্তমান বৈধভাবে থাকার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ভইভোডশিপ অফিসে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন এবং ব্যক্তিগতভাবে আবেদন জমা দিন।
ধাপ ৩: সব নথি জমা দিন এবং আঙুলের ছাপ দিন।
ধাপ ৪: আবেদন ফি প্রদান করুন, যার মধ্যে পিএলএন ৬৪০ (প্রায় ২৩ হাজার ২৫৮ টাকা) স্ট্যাম্প ডিউটি এবং পিএলএন ১০০ (প্রায় ৩ হাজার ৬৩৫ টাকা) রেসিডেন্স কার্ড ফি অন্তর্ভুক্ত, অর্থাৎ মোট পিএলএন ৭৪০ (প্রায় ২৬ হাজার ৮৯৪ টাকা)।
ধাপ ৫: প্রক্রিয়াকরণের জন্য অপেক্ষা করুন, যা সাধারণত ৬-১২ মাস সময় লাগে, তবে আপনার আবেদনের ধরনের ওপর নির্ভর করে এটি পরিবর্তিত হতে পারে।
ধাপ ৬: অনুমোদনের পর, কার্ড ইস্যু করার ফি প্রদান করুন এবং স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করুন।
উল্লেখ্য, এটি শুধু আবেদন ফি; অনুবাদ, ভাষা পরীক্ষা এবং ছবির মতো অতিরিক্ত খরচের কারণে মোট খরচ পরিবর্তিত হতে পারে।
আরও পড়ুন:

বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের
২৬ মিনিট আগে
প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
আদর্শগত মিল, নৈতিকতার মিল এবং একই ধরনের জিনিস পছন্দ হলে রোমান্টিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়; বিশেষ করে আদর্শগত মিল আচরণে প্রকাশিত হলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ে। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়।...
২ ঘণ্টা আগে
ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।...
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
লাল শাপলা ২ আঁটি, ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ ১টি করে, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ফালি ছয়-সাতটা, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ।
প্রণালি
লাল শাপলা কেটে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন ১ থেকে ২ ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া ও লবণ দিন। এরপর কষানোর জন্য পানি দিন। কষানো মসলায় মাছের মাথা, লেজ ও শাপলা দিন। এবার ফুটে উঠলে ঢাকনাসহ রান্না করুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শেষে সরিষাবাটা আর কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশ।

বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।
উপকরণ
লাল শাপলা ২ আঁটি, ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ ১টি করে, পেঁয়াজকুচি আধা কাপ, আদা ও রসুনবাটা এক চা-চামচ, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া ও ধনেগুঁড়া এক চা-চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ফালি ছয়-সাতটা, সরিষাবাটা ৪ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ।
প্রণালি
লাল শাপলা কেটে লবণ মাখিয়ে রেখে দিন ১ থেকে ২ ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজকুচি হালকা ভেজে আদা ও রসুনবাটা, হলুদগুঁড়া, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া ও লবণ দিন। এরপর কষানোর জন্য পানি দিন। কষানো মসলায় মাছের মাথা, লেজ ও শাপলা দিন। এবার ফুটে উঠলে ঢাকনাসহ রান্না করুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শেষে সরিষাবাটা আর কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশ।

সমৃদ্ধ ইতিহাস, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বিশ্ববিখ্যাত রন্ধনশৈলীর জন্য পরিচিত পোল্যান্ড। মধ্য ইউরোপের সুন্দর এই দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র। তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা, যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও অন্তর্ভুক্ত, পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন...
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
আদর্শগত মিল, নৈতিকতার মিল এবং একই ধরনের জিনিস পছন্দ হলে রোমান্টিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়; বিশেষ করে আদর্শগত মিল আচরণে প্রকাশিত হলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ে। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়।...
২ ঘণ্টা আগে
ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।...
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে। গায়ের গন্ধ কিন্তু উপেক্ষা করার বিষয় নয়। অন্যরা আপনাকে কীভাবে দেখছে, সেটিকে প্রভাবিত করে ঘ্রাণ।
স্কটল্যান্ডের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রেইগ রবার্টসের মতে, ‘আমাদের শরীরের ঘ্রাণ মূলত জিন, হরমোন, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কারণগুলোর পাশাপাশি, আমাদের খাদ্যাভ্যাস একটি বড় ভূমিকা পালন করে।’
খাবার যেভাবে ঘ্রাণ তৈরি করে
নিউইয়র্কের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক লিনা বেগডাচের মতে, খাবার দুটি প্রধান পথে আমাদের দেহের ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে: পেট এবং ত্বক।
পেট (গাট) : খাবার হজমের সময় অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়। এই মিথস্ক্রিয়ায় কিছু উদ্বায়ী অণু বা গ্যাস নির্গত হয়, যা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করে।
ত্বক: হজম হওয়া খাবারের রাসায়নিক উপাদান রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে ত্বকে পৌঁছায় এবং ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। ঘামের সঙ্গে ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার মিশ্রণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মনে রাখা ভালো, বিশুদ্ধ ঘামের কোনো ঘ্রাণ নেই।
বিভিন্ন খাবারে থাকা সালফার যৌগ এই দুর্গন্ধ তৈরির প্রধান হোতা। এই যৌগগুলো অত্যন্ত উদ্বায়ী হওয়ায় সহজেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
রসুন বাড়ে আকর্ষণ
ব্রকোলি, বাঁধাকপি বা পেঁয়াজ-রসুনের মতো সালফারযুক্ত খাবার হজমের পর ডাইঅ্যালাইল ডিসালফাইড এবং অ্যালিল মিথাইল সালফাইডের মতো দুর্গন্ধযুক্ত যৌগে ভেঙে যায়।
তবে গবেষকেরা একটি অদ্ভুত তথ্য পেয়েছেন। চেক রিপাবলিকের চার্লস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী জান হ্যাভলিচেকের গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন নিশ্বাসের দুর্গন্ধ তৈরি করলেও, এটি পুরুষের বগলের ঘামের গন্ধকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে! এই পরীক্ষায়, ঘাম সংগ্রহের জন্য পুরুষদের ১২ ঘণ্টা ধরে বগলে প্যাড পরে থাকতে বলা হয়েছিল। যে পুরুষেরা বেশি রসুন খেয়েছিলেন, নারীদের কাছে তাদের ঘামের ঘ্রাণ ছিল ‘খুব সেক্সি’! বিজ্ঞানীরা মনে করেন, রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, যার প্রতিফলন শরীরের ঘ্রাণে দেখা যায়।
ফল ও সবজি বনাম মাংস ও কার্বোহাইড্রেট
ফল ও সবজিতে আকর্ষণীয় সুঘ্রাণ
২০১৭ সালের অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা বেশি ফল ও সবজি খান, তাদের শরীর থেকে ফলের মতো, মিষ্টি এবং ফুলের মতো সুঘ্রাণ আসে। এ ছাড়া, গাজর বা টমেটোর মতো সবজি থেকে পাওয়া ক্যারোটিনয়েড নামক অণু ত্বকের রঙ সামান্য হলুদ করে, যা দেখতেও আকর্ষণীয় মনে হয়।
অ্যাসপারাগাস ও অদ্ভুত ঘ্রাণ:
অ্যাসপারাগাস উদ্ভিদে অ্যাসপারাগাসিক অ্যাসিড নামক একটি যৌগ থাকে। এটি হজমের পর মিথেনেথিয়ল এবং ডাইমিথাইল সালফাইড-এর মতো সালফার যৌগ নির্গত করে, যা প্রস্রাব এবং ঘামে এক ধরনের গন্ধ তৈরি করে। এই ঘ্রাণ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। মজার বিষয় হলো, কারণ মধ্যে এই ঘ্রাণ তৈরি হয় বা কারও নাকে খারাপ লাগে, তা নিয়ে গবেষণায় ব্যাপক ভিন্নতা দেখা গেছে (১৯৫০-এর দশকে <৫০% এবং ২০১০ সালে >৯০% মানুষের মধ্যে ঘ্রাণ তৈরি হওয়ার প্রমাণ মিলেছিল)।
মাংস ও মাছে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ
হ্যাভলিচেকের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা মাংসবিহীন বা নিরামিষ খাবার খান, তাদের ঘামের ঘ্রাণ মাংসভোজি পুরুষদের তুলনায় বেশি মনোরম ও কম তীব্র হয়। মাংসের প্রোটিন ভেঙে যে যৌগগুলো তৈরি হয়, তা ঘ্রাণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মাছ ও শিমের মতো খাবারে থাকা ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন নামক তীব্র ঘ্রাণযুক্ত যৌগও দেহের দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। বিরল ক্ষেত্রে, শরীরের এই যৌগটিকে ঘ্রাণহীন যৌগে রূপান্তর করার ক্ষমতা না থাকলে ট্রাইমিথাইলঅ্যামিনুরিয়া বা ‘মাছের ঘ্রাণ সিনড্রোম’ (আঁশটে গন্ধ) দেখা যায়।
কার্বোহাইড্রেট:
গবেষণায় দেখা গেছে, কার্বোহাইড্রেট-নির্ভর খাদ্য (যেমন অতিরিক্ত ভাত বা রুটি) সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ তৈরি করে।
অ্যালকোহল, কফি ও উপবাসের প্রভাব
অ্যালকোহল (মদ) : লিভারে অ্যালকোহল প্রক্রিয়াকরণের সময় অ্যাসিটালডিহাইড নামক একটি বিষাক্ত ও উদ্বায়ী যৌগ নির্গত হয়, যার ঘ্রাণ পুরোনো মদের মতো তীব্র। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু মুখের ঘ্রাণ শুঁকেই পুলিশ অফিসাররা ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে বলে দিতে পারেন কেউ মদ্যপান করেছে কিনা।
ক্যাফেইন (কফি/চা) : কফি ও চায়ের ক্যাফেইন অ্যাপোক্রিন গ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করে ঘাম বাড়াতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে কটূগন্ধকে তীব্র করে।
উপবাস ও ঘ্রাণের বৈপরীত্য: হ্যাভলিচেক একটি ব্যতিক্রম গবেষণা করেছিলেন, যেখানে নারীরা ৪৮ ঘণ্টা উপবাস করেন। এই উপবাসী নারীদের ঘাম, যারা সাধারণ খাবার খেয়েছিলেন তাদের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয় ছিল। তবে এই তথ্যের বিপরীতে, সুইজারল্যান্ডে ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উপবাসের ফলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ বেড়ে যায়।
দেহের ঘ্রাণের ওপর খাদ্যের প্রভাব অত্যন্ত জটিল এবং বহু কারণে পরিবর্তনশীল—এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুঘ্রাণের জন্য খাদ্যাভ্যাসে ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়ানো একটি কার্যকরী উপায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে। গায়ের গন্ধ কিন্তু উপেক্ষা করার বিষয় নয়। অন্যরা আপনাকে কীভাবে দেখছে, সেটিকে প্রভাবিত করে ঘ্রাণ।
স্কটল্যান্ডের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ক্রেইগ রবার্টসের মতে, ‘আমাদের শরীরের ঘ্রাণ মূলত জিন, হরমোন, স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কারণগুলোর পাশাপাশি, আমাদের খাদ্যাভ্যাস একটি বড় ভূমিকা পালন করে।’
খাবার যেভাবে ঘ্রাণ তৈরি করে
নিউইয়র্কের স্বাস্থ্য ও সুস্থতা বিষয়ক সহকারী অধ্যাপক লিনা বেগডাচের মতে, খাবার দুটি প্রধান পথে আমাদের দেহের ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে: পেট এবং ত্বক।
পেট (গাট) : খাবার হজমের সময় অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়। এই মিথস্ক্রিয়ায় কিছু উদ্বায়ী অণু বা গ্যাস নির্গত হয়, যা নিশ্বাসে দুর্গন্ধ তৈরি করে।
ত্বক: হজম হওয়া খাবারের রাসায়নিক উপাদান রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে ত্বকে পৌঁছায় এবং ঘামের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে। ঘামের সঙ্গে ত্বকের ব্যাকটেরিয়ার মিশ্রণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। মনে রাখা ভালো, বিশুদ্ধ ঘামের কোনো ঘ্রাণ নেই।
বিভিন্ন খাবারে থাকা সালফার যৌগ এই দুর্গন্ধ তৈরির প্রধান হোতা। এই যৌগগুলো অত্যন্ত উদ্বায়ী হওয়ায় সহজেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।
রসুন বাড়ে আকর্ষণ
ব্রকোলি, বাঁধাকপি বা পেঁয়াজ-রসুনের মতো সালফারযুক্ত খাবার হজমের পর ডাইঅ্যালাইল ডিসালফাইড এবং অ্যালিল মিথাইল সালফাইডের মতো দুর্গন্ধযুক্ত যৌগে ভেঙে যায়।
তবে গবেষকেরা একটি অদ্ভুত তথ্য পেয়েছেন। চেক রিপাবলিকের চার্লস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী জান হ্যাভলিচেকের গবেষণায় দেখা গেছে, রসুন নিশ্বাসের দুর্গন্ধ তৈরি করলেও, এটি পুরুষের বগলের ঘামের গন্ধকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তোলে! এই পরীক্ষায়, ঘাম সংগ্রহের জন্য পুরুষদের ১২ ঘণ্টা ধরে বগলে প্যাড পরে থাকতে বলা হয়েছিল। যে পুরুষেরা বেশি রসুন খেয়েছিলেন, নারীদের কাছে তাদের ঘামের ঘ্রাণ ছিল ‘খুব সেক্সি’! বিজ্ঞানীরা মনে করেন, রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাগুণ স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, যার প্রতিফলন শরীরের ঘ্রাণে দেখা যায়।
ফল ও সবজি বনাম মাংস ও কার্বোহাইড্রেট
ফল ও সবজিতে আকর্ষণীয় সুঘ্রাণ
২০১৭ সালের অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা বেশি ফল ও সবজি খান, তাদের শরীর থেকে ফলের মতো, মিষ্টি এবং ফুলের মতো সুঘ্রাণ আসে। এ ছাড়া, গাজর বা টমেটোর মতো সবজি থেকে পাওয়া ক্যারোটিনয়েড নামক অণু ত্বকের রঙ সামান্য হলুদ করে, যা দেখতেও আকর্ষণীয় মনে হয়।
অ্যাসপারাগাস ও অদ্ভুত ঘ্রাণ:
অ্যাসপারাগাস উদ্ভিদে অ্যাসপারাগাসিক অ্যাসিড নামক একটি যৌগ থাকে। এটি হজমের পর মিথেনেথিয়ল এবং ডাইমিথাইল সালফাইড-এর মতো সালফার যৌগ নির্গত করে, যা প্রস্রাব এবং ঘামে এক ধরনের গন্ধ তৈরি করে। এই ঘ্রাণ পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে। মজার বিষয় হলো, কারণ মধ্যে এই ঘ্রাণ তৈরি হয় বা কারও নাকে খারাপ লাগে, তা নিয়ে গবেষণায় ব্যাপক ভিন্নতা দেখা গেছে (১৯৫০-এর দশকে <৫০% এবং ২০১০ সালে >৯০% মানুষের মধ্যে ঘ্রাণ তৈরি হওয়ার প্রমাণ মিলেছিল)।
মাংস ও মাছে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ
হ্যাভলিচেকের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে পুরুষেরা মাংসবিহীন বা নিরামিষ খাবার খান, তাদের ঘামের ঘ্রাণ মাংসভোজি পুরুষদের তুলনায় বেশি মনোরম ও কম তীব্র হয়। মাংসের প্রোটিন ভেঙে যে যৌগগুলো তৈরি হয়, তা ঘ্রাণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
মাছ ও শিমের মতো খাবারে থাকা ট্রাইমিথাইলঅ্যামিন নামক তীব্র ঘ্রাণযুক্ত যৌগও দেহের দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে। বিরল ক্ষেত্রে, শরীরের এই যৌগটিকে ঘ্রাণহীন যৌগে রূপান্তর করার ক্ষমতা না থাকলে ট্রাইমিথাইলঅ্যামিনুরিয়া বা ‘মাছের ঘ্রাণ সিনড্রোম’ (আঁশটে গন্ধ) দেখা যায়।
কার্বোহাইড্রেট:
গবেষণায় দেখা গেছে, কার্বোহাইড্রেট-নির্ভর খাদ্য (যেমন অতিরিক্ত ভাত বা রুটি) সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় ঘ্রাণ তৈরি করে।
অ্যালকোহল, কফি ও উপবাসের প্রভাব
অ্যালকোহল (মদ) : লিভারে অ্যালকোহল প্রক্রিয়াকরণের সময় অ্যাসিটালডিহাইড নামক একটি বিষাক্ত ও উদ্বায়ী যৌগ নির্গত হয়, যার ঘ্রাণ পুরোনো মদের মতো তীব্র। এক গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু মুখের ঘ্রাণ শুঁকেই পুলিশ অফিসাররা ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে বলে দিতে পারেন কেউ মদ্যপান করেছে কিনা।
ক্যাফেইন (কফি/চা) : কফি ও চায়ের ক্যাফেইন অ্যাপোক্রিন গ্রন্থিগুলোকে উদ্দীপিত করে ঘাম বাড়াতে পারে, যা ব্যাকটেরিয়ার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে কটূগন্ধকে তীব্র করে।
উপবাস ও ঘ্রাণের বৈপরীত্য: হ্যাভলিচেক একটি ব্যতিক্রম গবেষণা করেছিলেন, যেখানে নারীরা ৪৮ ঘণ্টা উপবাস করেন। এই উপবাসী নারীদের ঘাম, যারা সাধারণ খাবার খেয়েছিলেন তাদের তুলনায় বেশি আকর্ষণীয় ছিল। তবে এই তথ্যের বিপরীতে, সুইজারল্যান্ডে ২০১৮ সালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, উপবাসের ফলে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ বেড়ে যায়।
দেহের ঘ্রাণের ওপর খাদ্যের প্রভাব অত্যন্ত জটিল এবং বহু কারণে পরিবর্তনশীল—এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুঘ্রাণের জন্য খাদ্যাভ্যাসে ফল ও সবজির পরিমাণ বাড়ানো একটি কার্যকরী উপায়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সমৃদ্ধ ইতিহাস, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বিশ্ববিখ্যাত রন্ধনশৈলীর জন্য পরিচিত পোল্যান্ড। মধ্য ইউরোপের সুন্দর এই দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র। তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা, যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও অন্তর্ভুক্ত, পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন...
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের
২৬ মিনিট আগে
আদর্শগত মিল, নৈতিকতার মিল এবং একই ধরনের জিনিস পছন্দ হলে রোমান্টিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়; বিশেষ করে আদর্শগত মিল আচরণে প্রকাশিত হলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ে। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়।...
২ ঘণ্টা আগে
ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।...
৩ ঘণ্টা আগেঅধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া

রোমান্টিক দাম্পত্য সম্পর্কে ঘৃণার উৎপত্তি হয় বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হলে। রোমান্টিক এই সম্পর্কে ঘৃণা ও ঈর্ষার অনুপ্রবেশ ঘটলে তার বহিঃপ্রকাশ হয় রাগ ও ভয়ের অনুভূতির মধ্য দিয়ে। একটু খোলাসা করে বলা যাক, দম্পতিদের মধ্য়ে যখন রোমান্টিক সম্পর্ক তৈরি হয়, তখন দুজনের মধ্যকার মিলগুলো সম্পর্ককে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। আদর্শগত মিল, নৈতিকতার মিল এবং একই ধরনের জিনিস পছন্দ হলে রোমান্টিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়; বিশেষ করে আদর্শগত মিল আচরণে প্রকাশিত হলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ে। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়।
ব্যক্তির স্বাস্থ্যে ঘৃণার প্রভাব
শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক—স্বাস্থ্যের চারটি ভাগ রয়েছে। ঘৃণা নামের আবেগটি স্বাস্থ্যের এই চারটি ভাগের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। গবেষণা বলে, ঘৃণা করা মানে আপনার মস্তিষ্কের ভেতরে বিনা ভাড়ায় দীর্ঘমেয়াদি ভাড়াটে থাকতে দেওয়া।

শারীরিক প্রভাব
অতীত জীবনে ঘটে যাওয়া আঘাত, বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদি থেকে সৃষ্ট ঘৃণা আমাদের মনে বিশ্বাসহীনতার জন্ম দেয়। এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে শারীরিকভাবে। এতে ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদি ঘৃণার অনুভূতি ওজন বৃদ্ধি, নিদ্রাহীনতা, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতাসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের জন্ম দিতে পারে।
গবেষণা বলছে, দাম্পত্য দ্বন্দ্বে স্ত্রীরা স্বামীদের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এবং অধিকতর শারীরবৃত্তীয় প্রভাবের ভেতর দিয়ে যান; বিশেষ করে যেসব নারী দীর্ঘদিন ধরে তিক্ত দাম্পত্যের মধ্যে জীবন যাপন করেছেন, দেখা গেছে তাঁদের কর্টিসল ও অ্যাড্রেনোকোর্টিকোট্রপিক হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন স্বামীদের তুলনায় ভিন্ন। যদিও স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার ওপর দাম্পত্য কলহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শুধু তা-ই নয়, দেখা গেছে, দৈহিক ক্ষত নিরাময়ের গতিও দাম্পত্য বিবাদের কারণে শ্লথ হয়ে যায়। অন্যদিকে তৃপ্তিকর দাম্পত্যজীবনের সঙ্গে সুস্থ রক্তচাপের সুসম্পর্ক আছে। কাজেই অন্যের জন্য নয়, ব্যক্তির নিজের প্রয়োজনে নিজের দাম্পত্য সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর রাখা প্রয়োজন। আর একান্তই যদি দাম্পত্য দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারা না যায়, প্রয়োজনে দাম্পত্য বিচ্ছেদ হতে পারে। কিন্তু বিষাক্ত সম্পর্ক নিয়ে এক ছাদের নিচে না থাকা ভালো।
মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
কাউকে তীব্র ঘৃণার ফলে ব্যক্তির মধ্যে দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা তৈরি হয়। ফলে বারবার একই চিন্তা ঘুরেফিরে আসে। তখন বিভ্রান্তিতে ভোগেন আক্রান্ত ব্যক্তি। একে প্যারানয়া বলা যায়। অর্থাৎ এটা থেকে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বা অসুখ পর্যন্ত হতে পারে। পেশাজীবী নারীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ঘরে-বাইরে দ্বিমুখী চাপ সামলাতে গিয়ে, যাঁদের সন্তান আছে, তাঁদের শরীরে কর্টিসল হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বেশি হয়ে যায়, যা মানসিক চাপের নিয়ামক।
সামাজিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
ইতিমধ্যে ঘৃণার কারণে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য আহত হলে ধীরে ধীরে সামাজিক যোগাযোগগুলোও কমে আসতে থাকে। ফলে অদৃশ্য চাপ তৈরি হয়। গবেষণা বলছে, যাদের তীব্র ঘৃণার অনুভূতি থাকে, তাদের মৃত্যুহার বেশি। দাম্পত্যে সুসম্পর্ক সামাজিক স্বাস্থ্যকে অবচেতনভাবে প্রভাবিত করে।
আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
আধ্যাত্মিকতা আর ধর্ম এক জিনিস নয়। আধ্যাত্মিকতার সম্পর্ক তিনটি জায়গায়। ব্যক্তির নিজের সঙ্গে নিজের কী সম্পর্ক? নিজের সঙ্গে অন্যদের কী সম্পর্ক? নিজের সঙ্গে ওই নির্দিষ্ট মুহূর্ত বা পরিস্থিতির কী সম্পর্ক? ঘৃণা যদি কোথাও বেশি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে, সেটা আমাদের আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যে।
ঘৃণা যখন স্বাস্থ্যের সব কটি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে, বৈবাহিক সম্পর্ক ঘৃণার কারণে সব দিক থেকে নেতিবাচক আগুনে পুড়ে যায়, স্বাভাবিক সম্পর্ক তখন টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

কেন ঘৃণার কারণে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন
যেকোনো আন্তসম্পর্ক শূন্যতার ওপর ভর দিয়ে চলতে পারে না। দাম্পত্য সম্পর্ক প্রতিনিয়ত বৃহত্তর পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী, সহকর্মী ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয়। এখান থেকে প্রচুর নেতিবাচক উপাদান সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। এককথায় বলা যায়, দাম্পত্যে যদি একজন অন্যজনের মাধ্যমে অবহেলিত অনুভব করে, তবে যে অবহেলিত অনুভব করছে, তার মধ্যে ঘৃণার জন্ম হবে।
মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা থেকে ঘৃণাকে সাত ভাগ করা হয়েছে—গ্রহণযোগ্য ঘৃণা, উত্তপ্ত ঘৃণা, শীতল ঘৃণা, টগবগিয়ে ফুটন্ত/জ্বলন্ত ঘৃণা, সর্বগ্রাসী ঘৃণা, ক্ষিপ্ত ঘৃণা, তিল তিল করে পুঞ্জীভূত ঘৃণা। দাম্পত্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করে রোমান্টিক ঘৃণা। যেটা রাগ ও ভয়ের সঙ্গে অবচেতন মনে সংযুক্ত হয়। ভালোবাসা আর ঘৃণা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। গবেষণায় উঠে এসেছে, ভালোবাসা যত গভীর, তার ব্যত্যয় ঘটলে তত তীব্র ঘৃণা মানুষের মনে তৈরি হয়।
ঘৃণা থেকে বের হতে করণীয়
ঘটনাটা কিন্তু ঘটে গেছে। ঘটনাকে মুছে দেওয়া সম্ভব নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে যে অনুভূতি হয়েছে, তা বিবেচনা করে যদি ক্ষমা করতে চাই, সে জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। জানতে হবে, ক্ষমা করতে পারাটা একটা দক্ষতা এবং এটা একটা প্রক্রিয়া।
ঘটনা পর্যালোচনা করে, তার প্রভাব জেনে-বুঝে গ্রহণ করা, কী কারণে কী করছি—এ যুক্তিগুলো যেন নিজের কাছে পরিষ্কার থাকে। ঘৃণা নিয়ে একটি চমৎকার উদ্ধৃতি আছে, ‘আপনি যেদিন আর কাউকে ঘৃণা করবেন না, সেদিন নিজেকে ভালোবাসতে শিখবেন।’ ঘৃণামুক্ত হওয়া প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে শিখতে হয়। কাজেই নিজেকে ভালো রাখার জন্য ঘৃণা থেকে বের হতে হবে।
যে অভ্যাসগুলো নিয়মিত চর্চা করা জরুরি
মার্টিন লুথার কিং একবার বলেছিলেন, ‘ঘৃণা বোঝা হিসেবে এতই বড় যে তা বহন করা যায় না।’ কারণ, আমরা জানি তখন বিয়ে, অন্তরঙ্গতা, বন্ধুত্ব—কিছুই কাজ করে না। সোজা সম্পর্কটা গড়িয়ে নিচে হারিয়ে যায়। ঘৃণার এই বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু অভ্যাস চর্চা করতে হবে—
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

রোমান্টিক দাম্পত্য সম্পর্কে ঘৃণার উৎপত্তি হয় বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হলে। রোমান্টিক এই সম্পর্কে ঘৃণা ও ঈর্ষার অনুপ্রবেশ ঘটলে তার বহিঃপ্রকাশ হয় রাগ ও ভয়ের অনুভূতির মধ্য দিয়ে। একটু খোলাসা করে বলা যাক, দম্পতিদের মধ্য়ে যখন রোমান্টিক সম্পর্ক তৈরি হয়, তখন দুজনের মধ্যকার মিলগুলো সম্পর্ককে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। আদর্শগত মিল, নৈতিকতার মিল এবং একই ধরনের জিনিস পছন্দ হলে রোমান্টিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়; বিশেষ করে আদর্শগত মিল আচরণে প্রকাশিত হলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ে। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়।
ব্যক্তির স্বাস্থ্যে ঘৃণার প্রভাব
শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও আধ্যাত্মিক—স্বাস্থ্যের চারটি ভাগ রয়েছে। ঘৃণা নামের আবেগটি স্বাস্থ্যের এই চারটি ভাগের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। গবেষণা বলে, ঘৃণা করা মানে আপনার মস্তিষ্কের ভেতরে বিনা ভাড়ায় দীর্ঘমেয়াদি ভাড়াটে থাকতে দেওয়া।

শারীরিক প্রভাব
অতীত জীবনে ঘটে যাওয়া আঘাত, বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদি থেকে সৃষ্ট ঘৃণা আমাদের মনে বিশ্বাসহীনতার জন্ম দেয়। এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে শারীরিকভাবে। এতে ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদি ঘৃণার অনুভূতি ওজন বৃদ্ধি, নিদ্রাহীনতা, দুশ্চিন্তা, বিষণ্নতাসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের জন্ম দিতে পারে।
গবেষণা বলছে, দাম্পত্য দ্বন্দ্বে স্ত্রীরা স্বামীদের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি এবং অধিকতর শারীরবৃত্তীয় প্রভাবের ভেতর দিয়ে যান; বিশেষ করে যেসব নারী দীর্ঘদিন ধরে তিক্ত দাম্পত্যের মধ্যে জীবন যাপন করেছেন, দেখা গেছে তাঁদের কর্টিসল ও অ্যাড্রেনোকোর্টিকোট্রপিক হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন স্বামীদের তুলনায় ভিন্ন। যদিও স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার ওপর দাম্পত্য কলহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। শুধু তা-ই নয়, দেখা গেছে, দৈহিক ক্ষত নিরাময়ের গতিও দাম্পত্য বিবাদের কারণে শ্লথ হয়ে যায়। অন্যদিকে তৃপ্তিকর দাম্পত্যজীবনের সঙ্গে সুস্থ রক্তচাপের সুসম্পর্ক আছে। কাজেই অন্যের জন্য নয়, ব্যক্তির নিজের প্রয়োজনে নিজের দাম্পত্য সম্পর্ক স্বাস্থ্যকর রাখা প্রয়োজন। আর একান্তই যদি দাম্পত্য দ্বন্দ্ব নিরসন করতে পারা না যায়, প্রয়োজনে দাম্পত্য বিচ্ছেদ হতে পারে। কিন্তু বিষাক্ত সম্পর্ক নিয়ে এক ছাদের নিচে না থাকা ভালো।
মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
কাউকে তীব্র ঘৃণার ফলে ব্যক্তির মধ্যে দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা তৈরি হয়। ফলে বারবার একই চিন্তা ঘুরেফিরে আসে। তখন বিভ্রান্তিতে ভোগেন আক্রান্ত ব্যক্তি। একে প্যারানয়া বলা যায়। অর্থাৎ এটা থেকে ব্যক্তিত্বের ব্যাধি বা অসুখ পর্যন্ত হতে পারে। পেশাজীবী নারীদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, ঘরে-বাইরে দ্বিমুখী চাপ সামলাতে গিয়ে, যাঁদের সন্তান আছে, তাঁদের শরীরে কর্টিসল হরমোন নিঃসরণের মাত্রা বেশি হয়ে যায়, যা মানসিক চাপের নিয়ামক।
সামাজিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
ইতিমধ্যে ঘৃণার কারণে ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য আহত হলে ধীরে ধীরে সামাজিক যোগাযোগগুলোও কমে আসতে থাকে। ফলে অদৃশ্য চাপ তৈরি হয়। গবেষণা বলছে, যাদের তীব্র ঘৃণার অনুভূতি থাকে, তাদের মৃত্যুহার বেশি। দাম্পত্যে সুসম্পর্ক সামাজিক স্বাস্থ্যকে অবচেতনভাবে প্রভাবিত করে।
আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যে প্রভাব
আধ্যাত্মিকতা আর ধর্ম এক জিনিস নয়। আধ্যাত্মিকতার সম্পর্ক তিনটি জায়গায়। ব্যক্তির নিজের সঙ্গে নিজের কী সম্পর্ক? নিজের সঙ্গে অন্যদের কী সম্পর্ক? নিজের সঙ্গে ওই নির্দিষ্ট মুহূর্ত বা পরিস্থিতির কী সম্পর্ক? ঘৃণা যদি কোথাও বেশি ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে, সেটা আমাদের আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যে।
ঘৃণা যখন স্বাস্থ্যের সব কটি ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করে, বৈবাহিক সম্পর্ক ঘৃণার কারণে সব দিক থেকে নেতিবাচক আগুনে পুড়ে যায়, স্বাভাবিক সম্পর্ক তখন টিকিয়ে রাখা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।

কেন ঘৃণার কারণে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন
যেকোনো আন্তসম্পর্ক শূন্যতার ওপর ভর দিয়ে চলতে পারে না। দাম্পত্য সম্পর্ক প্রতিনিয়ত বৃহত্তর পরিবার, বন্ধু, প্রতিবেশী, সহকর্মী ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত হয়। এখান থেকে প্রচুর নেতিবাচক উপাদান সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। এককথায় বলা যায়, দাম্পত্যে যদি একজন অন্যজনের মাধ্যমে অবহেলিত অনুভব করে, তবে যে অবহেলিত অনুভব করছে, তার মধ্যে ঘৃণার জন্ম হবে।
মনস্তাত্ত্বিক গবেষণা থেকে ঘৃণাকে সাত ভাগ করা হয়েছে—গ্রহণযোগ্য ঘৃণা, উত্তপ্ত ঘৃণা, শীতল ঘৃণা, টগবগিয়ে ফুটন্ত/জ্বলন্ত ঘৃণা, সর্বগ্রাসী ঘৃণা, ক্ষিপ্ত ঘৃণা, তিল তিল করে পুঞ্জীভূত ঘৃণা। দাম্পত্যে সবচেয়ে বেশি কাজ করে রোমান্টিক ঘৃণা। যেটা রাগ ও ভয়ের সঙ্গে অবচেতন মনে সংযুক্ত হয়। ভালোবাসা আর ঘৃণা মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। গবেষণায় উঠে এসেছে, ভালোবাসা যত গভীর, তার ব্যত্যয় ঘটলে তত তীব্র ঘৃণা মানুষের মনে তৈরি হয়।
ঘৃণা থেকে বের হতে করণীয়
ঘটনাটা কিন্তু ঘটে গেছে। ঘটনাকে মুছে দেওয়া সম্ভব নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে যে অনুভূতি হয়েছে, তা বিবেচনা করে যদি ক্ষমা করতে চাই, সে জন্য নিজেকে তৈরি করতে হবে। জানতে হবে, ক্ষমা করতে পারাটা একটা দক্ষতা এবং এটা একটা প্রক্রিয়া।
ঘটনা পর্যালোচনা করে, তার প্রভাব জেনে-বুঝে গ্রহণ করা, কী কারণে কী করছি—এ যুক্তিগুলো যেন নিজের কাছে পরিষ্কার থাকে। ঘৃণা নিয়ে একটি চমৎকার উদ্ধৃতি আছে, ‘আপনি যেদিন আর কাউকে ঘৃণা করবেন না, সেদিন নিজেকে ভালোবাসতে শিখবেন।’ ঘৃণামুক্ত হওয়া প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে শিখতে হয়। কাজেই নিজেকে ভালো রাখার জন্য ঘৃণা থেকে বের হতে হবে।
যে অভ্যাসগুলো নিয়মিত চর্চা করা জরুরি
মার্টিন লুথার কিং একবার বলেছিলেন, ‘ঘৃণা বোঝা হিসেবে এতই বড় যে তা বহন করা যায় না।’ কারণ, আমরা জানি তখন বিয়ে, অন্তরঙ্গতা, বন্ধুত্ব—কিছুই কাজ করে না। সোজা সম্পর্কটা গড়িয়ে নিচে হারিয়ে যায়। ঘৃণার এই বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু অভ্যাস চর্চা করতে হবে—
লেখক: চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার, ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

সমৃদ্ধ ইতিহাস, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বিশ্ববিখ্যাত রন্ধনশৈলীর জন্য পরিচিত পোল্যান্ড। মধ্য ইউরোপের সুন্দর এই দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র। তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা, যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও অন্তর্ভুক্ত, পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন...
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের
২৬ মিনিট আগে
প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।...
৩ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।
সালাদে কাঁচা বা হালকা ভাজা ক্যাপসিকাম প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা ভালো। বাজারে প্রধানত তিন রঙের পাওয়া যায় সবুজ, লাল এবং হলুদ। যদিও সবই পুষ্টিকর, কিন্তু প্রতিটি রঙের নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে।

সবুজ ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ
১০০ গ্রাম কাঁচা সবুজ ক্যাপসিকামে থাকে
পানি: ৯৩.৮ গ্রাম
ক্যালরি: ২০
প্রোটিন: ০.৮৬ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৪.৬ গ্রাম
ফাইবার: ১.৭ গ্রাম
ভিটামিন সি: ৮০.৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ: দৈনিক প্রয়োজনের ২ শতাংশ
ভিটামিন কে, ফোলেট ও পটাশিয়ামও থাকে ভালো পরিমাণে।
সবুজ ক্যাপসিকামের উপকারিতা
সবুজ ক্যাপসিকাম ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ত্বকের জন্য কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন ‘কে’ হাড় ও হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী। ভিটামিন ‘এ’ চোখের স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য প্রয়োজন। এ ছাড়া ফোলেট কোষ বিভাজন ও ডিএনএ গঠনে সহায়তা করে, আর পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লুটিন ও জিয়াজ্যানথিন চোখকে সুরক্ষা দেয় এবং বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফাইবার থাকায় এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা যেমন কোলোন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
লাল ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ

১০০ গ্রাম লাল ক্যাপসিকামে থাকে—
পানি: ৯২.২ গ্রাম
ক্যালরি: ২৬
প্রোটিন: ০.৯৯ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৬.০৩ গ্রাম
ফাইবার: ২.১ গ্রাম
ভিটামিন সি: ১২৮ মিলিগ্রাম
এ ছাড়া থাকে ভিটামিন এ, বি৬, পটাশিয়াম, ফোলেট।
লাল ক্যাপসিকামের উপকারিতা
লাল ক্যাপসিকাম পুরোপুরি পাকা এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ আছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলাজেন তৈরি করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে। ভিটামিন এ ও বি৬ মস্তিষ্ক ও চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এতে থাকা লাইকোপিন ও বিটা-ক্যারোটিন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন হৃদ্রোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। লাল পেপারের মিষ্টি স্বাদ সালাদ, স্যান্ডউইচে ব্যবহার করা যায়।
হলুদ ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ

প্রতি ১০০ গ্রাম হলুদ ক্যাপসিকামে থাকে—
পানি: ৯২ গ্রাম
ক্যালরি: ২৭
প্রোটিন: ১ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৬.৩ গ্রাম
ফাইবার: ০.৯ গ্রাম
ভিটামিন সি: ১৮৪ মিলিগ্রাম
এ ছাড়া থাকে ভিটামিন এ, বি৬, পটাশিয়াম, ফোলেট।
হলুদ ক্যাপসিকামের উপকারিতা
ভিটামিন ‘সি’ সবচেয়ে বেশি থাকে হলুদ ক্যাপসিকামে। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়। ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য, বি৬ মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয়। পটাশিয়াম ও ফোলেট হৃদ্যন্ত্র ও কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রমে সহায়ক।
ফাইবার থাকায় হজম ঠিক রাখে, পেটের সমস্যা কমায় এবং কম ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ডায়েটের জন্য উপযুক্ত। হলুদ ক্যাপসিকাম সহজে খাওয়া যায়।
কোনটি বেছে নেবেন?
সব রঙের ক্যাপসিকামই পুষ্টিকর, তবে—
লাল ক্যাপসিকাম সাধারণত সবচেয়ে পুষ্টিকর। পুরোপুরি পাকা হওয়ায় এতে ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে।
হলুদ ক্যাপসিকাম ভিটামিন ‘সি’র দিক দিয়ে সবচেয়ে সমৃদ্ধ। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ।
সবুজ ক্যাপসিকাম হালকা স্বাদের পাশাপাশি চোখ, হাড় ও হজমের জন্য উপকারী।
সারা দিনে বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম খেলে শরীর নানা ধরনের ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পায়। প্রতিদিনই এক বা একাধিক রঙের ক্যাপসিকাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। ডা. আর্চনা বাত্রা, ভারত
খাওয়ার সহজ উপায়
সবুজ, লাল বা হলুদ তিন রঙের ক্যাপসিকাম পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। প্রতিটি রঙের নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে, তবে লাল ক্যাপসিকাম সাধারণত সবচেয়ে পুষ্টিকর, হলুদ রঙে ভিটামিন ‘সি’র পরিমাণ বেশি। প্রতিদিন বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্য, হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা এবং কোষের সঠিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথশট

ক্যাপসিকাম শুধু দেখতেই সুন্দর নয়, পুষ্টিতেও ভরপুর। কম ক্যালরিযুক্ত হলেও এতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, বি৬ পটাশিয়াম, ফোলেট এবং নানা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। ফলে এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ও দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়।
সালাদে কাঁচা বা হালকা ভাজা ক্যাপসিকাম প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখা ভালো। বাজারে প্রধানত তিন রঙের পাওয়া যায় সবুজ, লাল এবং হলুদ। যদিও সবই পুষ্টিকর, কিন্তু প্রতিটি রঙের নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে।

সবুজ ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ
১০০ গ্রাম কাঁচা সবুজ ক্যাপসিকামে থাকে
পানি: ৯৩.৮ গ্রাম
ক্যালরি: ২০
প্রোটিন: ০.৮৬ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৪.৬ গ্রাম
ফাইবার: ১.৭ গ্রাম
ভিটামিন সি: ৮০.৪ মিলিগ্রাম
ভিটামিন এ: দৈনিক প্রয়োজনের ২ শতাংশ
ভিটামিন কে, ফোলেট ও পটাশিয়ামও থাকে ভালো পরিমাণে।
সবুজ ক্যাপসিকামের উপকারিতা
সবুজ ক্যাপসিকাম ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ত্বকের জন্য কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে। এতে থাকা ভিটামিন ‘কে’ হাড় ও হৃদ্যন্ত্রের জন্য উপকারী। ভিটামিন ‘এ’ চোখের স্বাস্থ্য ও ত্বকের জন্য প্রয়োজন। এ ছাড়া ফোলেট কোষ বিভাজন ও ডিএনএ গঠনে সহায়তা করে, আর পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লুটিন ও জিয়াজ্যানথিন চোখকে সুরক্ষা দেয় এবং বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন প্রতিরোধে সাহায্য করে। ফাইবার থাকায় এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেটের সমস্যা যেমন কোলোন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
লাল ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ

১০০ গ্রাম লাল ক্যাপসিকামে থাকে—
পানি: ৯২.২ গ্রাম
ক্যালরি: ২৬
প্রোটিন: ০.৯৯ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৬.০৩ গ্রাম
ফাইবার: ২.১ গ্রাম
ভিটামিন সি: ১২৮ মিলিগ্রাম
এ ছাড়া থাকে ভিটামিন এ, বি৬, পটাশিয়াম, ফোলেট।
লাল ক্যাপসিকামের উপকারিতা
লাল ক্যাপসিকাম পুরোপুরি পাকা এবং পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ আছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোলাজেন তৈরি করে এবং ত্বককে স্বাস্থ্যবান রাখে। ভিটামিন এ ও বি৬ মস্তিষ্ক ও চোখের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এতে থাকা লাইকোপিন ও বিটা-ক্যারোটিন প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ যেমন হৃদ্রোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে। লাল পেপারের মিষ্টি স্বাদ সালাদ, স্যান্ডউইচে ব্যবহার করা যায়।
হলুদ ক্যাপসিকামের পুষ্টিগুণ

প্রতি ১০০ গ্রাম হলুদ ক্যাপসিকামে থাকে—
পানি: ৯২ গ্রাম
ক্যালরি: ২৭
প্রোটিন: ১ গ্রাম
কার্বোহাইড্রেট: ৬.৩ গ্রাম
ফাইবার: ০.৯ গ্রাম
ভিটামিন সি: ১৮৪ মিলিগ্রাম
এ ছাড়া থাকে ভিটামিন এ, বি৬, পটাশিয়াম, ফোলেট।
হলুদ ক্যাপসিকামের উপকারিতা
ভিটামিন ‘সি’ সবচেয়ে বেশি থাকে হলুদ ক্যাপসিকামে। এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এবং প্রদাহ কমায়। ভিটামিন ‘এ’ চোখের জন্য, বি৬ মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয়। পটাশিয়াম ও ফোলেট হৃদ্যন্ত্র ও কোষের স্বাভাবিক কার্যক্রমে সহায়ক।
ফাইবার থাকায় হজম ঠিক রাখে, পেটের সমস্যা কমায় এবং কম ক্যালরিযুক্ত হওয়ায় ডায়েটের জন্য উপযুক্ত। হলুদ ক্যাপসিকাম সহজে খাওয়া যায়।
কোনটি বেছে নেবেন?
সব রঙের ক্যাপসিকামই পুষ্টিকর, তবে—
লাল ক্যাপসিকাম সাধারণত সবচেয়ে পুষ্টিকর। পুরোপুরি পাকা হওয়ায় এতে ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি থাকে।
হলুদ ক্যাপসিকাম ভিটামিন ‘সি’র দিক দিয়ে সবচেয়ে সমৃদ্ধ। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ।
সবুজ ক্যাপসিকাম হালকা স্বাদের পাশাপাশি চোখ, হাড় ও হজমের জন্য উপকারী।
সারা দিনে বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম খেলে শরীর নানা ধরনের ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পায়। প্রতিদিনই এক বা একাধিক রঙের ক্যাপসিকাম খাওয়া স্বাস্থ্যকর। ডা. আর্চনা বাত্রা, ভারত
খাওয়ার সহজ উপায়
সবুজ, লাল বা হলুদ তিন রঙের ক্যাপসিকাম পুষ্টিকর এবং স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। প্রতিটি রঙের নিজস্ব গুণাগুণ রয়েছে, তবে লাল ক্যাপসিকাম সাধারণত সবচেয়ে পুষ্টিকর, হলুদ রঙে ভিটামিন ‘সি’র পরিমাণ বেশি। প্রতিদিন বিভিন্ন রঙের ক্যাপসিকাম খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চোখ ও ত্বকের স্বাস্থ্য, হৃদ্যন্ত্রের সুরক্ষা এবং কোষের সঠিক কার্যক্রম নিশ্চিত করা সম্ভব।
সূত্র: হেলথশট

সমৃদ্ধ ইতিহাস, প্রাণবন্ত সংস্কৃতি, ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি এবং বিশ্ববিখ্যাত রন্ধনশৈলীর জন্য পরিচিত পোল্যান্ড। মধ্য ইউরোপের সুন্দর এই দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এক আকর্ষণীয় কেন্দ্র। তৃতীয় দেশের নাগরিকেরা, যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশিরাও অন্তর্ভুক্ত, পোল্যান্ডে স্থায়ী বসবাসের অনুমতিপত্রের জন্য আবেদন...
১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাজারে শাপলা পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাপলা পেয়ে থাকলে ফ্রিজে রাখা ইলিশ মাছের মাথা ও লেজ দিয়ে রান্না করুন জম্পেশ করে। আপনাদের জন্য লাল শাপলায় শর্ষে ইলিশের
২৬ মিনিট আগে
প্রত্যেক মানুষের একটি অনন্য ঘ্রাণ আছে, ঠিক যেমন আঙুলের ছাপ। আপনার ব্যক্তিত্ব, মেজাজ, স্বাস্থ্য—সবকিছুই এই ঘ্রাণকে প্রভাবিত করে। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, রসুন, মাংস, এমনকি উপবাসও শরীরের ঘ্রাণ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
আদর্শগত মিল, নৈতিকতার মিল এবং একই ধরনের জিনিস পছন্দ হলে রোমান্টিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদি হয়; বিশেষ করে আদর্শগত মিল আচরণে প্রকাশিত হলে পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ আরও বাড়ে। অন্যদিকে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি একে অপরের প্রতি ঘৃণা তৈরি হয়, তাহলে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়।...
২ ঘণ্টা আগে