আলভী আহমেদ
ওয়ার্কশিট হলো একটি একক পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট। সাধারণত মাইক্রোসফট এক্সেল বা অন্য কোনো স্প্রেডশিট প্রোগ্রামে ব্যবহৃত হয়। যেখানে সংখ্যা, টেক্সট, সূত্র ইত্যাদি তথ্য রাখা হয়। আজ আমরা জানব, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য কীভাবে একটি দারুণ ওয়ার্কশিট তৈরি করা যায়। এই আর্টিকেলে আমি উদাহরণগুলো গণিত ওয়ার্কশিট তৈরির জন্য দিলেও একইভাবে বাংলা ও ইংরেজির ওয়ার্কশিট তৈরি করা সম্ভব।
শ্রেণি উপযোগী শিখনফল নির্ধারণ করুন: প্রথমেই ভাবতে হবে একটি ওয়ার্কশিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কী শেখাতে চাই। সে অনুসারে শিখনফল নির্ধারণ করুন। উদাহরণস্বরূপ: আপনি গণসংখ্যা সারণি শেখাতে চাইলে সে অনুযায়ী শিখনফল হতে পারে, ‘শিক্ষার্থীরা গণসংখ্যা সারণি তৈরি করতে পারবে।’ এভাবে একটি ক্লিয়ার ধারণা পাওয়া যাবে এবং সম্পূর্ণ ওয়ার্কশিট তৈরির সময় সেই কেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা করা যাবে।
শ্রেণি উপযোগী টাইটেল ও ভাষা ব্যবহার: প্রাথমিক স্তরের জন্য ওয়ার্কশিট তৈরি করলে, লেখার ভাষা তুলনামূলক সহজ হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে চিত্রভিত্তিক করলে শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ চিত্তাকর্ষক হয়। অপরদিকে, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করলে, সেই ওয়ার্কশিটটি গল্পনির্ভর করলে বেশ ক্রিয়েটিভ হয়। উদাহরণস্বরূপ: ওয়ার্কশিটে গণসংখ্যা নির্ণয়ের জন্য সরাসরি বই থেকে প্রশ্ন ও সমাধান না দিয়ে সেই গাণিতিক সমস্যাগুলো গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।
মূল ভাবনা: কী?
এমন প্রতিটি জিজ্ঞাসা ওয়ার্কশিটে যুক্ত করতে পারলে পড়ার একটা সাবলীল প্রবাহ বজায় থাকে। যেমন—শিখনফল ‘শিক্ষার্থীরা গণসংখ্যা সারণি তৈরি করতে পারবে’-এর জন্য প্রথমে নির্ধারণ করতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা; যেমন—শ্রেণিব্যাপ্তি, উপাত্ত ইত্যাদি। তবে এই সংজ্ঞাগুলোও গল্পের প্রবাহে চলে আসতে হবে। গল্পের বিভিন্ন ক্যারেক্টার কথা বলার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেবে সম্পূর্ণ কনসেপ্টটি।
মূল ভাবনা: কেন?
একটি টপিক কেন পড়তে হচ্ছে, সেই ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী করে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষক হিসেবে তাদের এই শিখনফলের উদ্দেশ্য কী, কেন পড়ছি সেটার ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ধারণা দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনে দক্ষ প্রবলেম সলভার হয়ে উঠতে পারবে।
মূল ভাবনা: কীভাবে?
শিখনফলের সমস্যাটি সমাধান করতে গিয়ে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। ‘কীভাবে?’ অংশে এমনভাবে সমাধানের পদ্ধতি উল্লেখ করতে হবে, যাতে করে শিক্ষার্থীরা সহজেই বুঝতে পারে একই ধরনের সমস্যাগুলো কীভাবে খুব সহজেই ধাপগুলো অনুসরণ করে সমাধান করা যায়। একটি টেবিল আকারে বামপাশে সমাধানের পদ্ধতি এবং ডানপাশে সেটা সমাধান করে দেখালে সম্পূর্ণ পদ্ধতিটিই বেশ কার্যকর হয়।
শিখনফল অনুসারে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ: এই অংশে শিক্ষার্থীদের ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের জন্য কিছু গাণিতিক সমস্যা যুক্ত করুন এবং উত্তরের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখুন। খেয়াল রাখুন প্রশ্নগুলো যাতে সম্পূর্ণ ওয়ার্কশিটের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হয়। কনটেন্টের স্বাভাবিকপ্রবাহ বজায় রাখতে পারলে শিক্ষার্থীরা সহজেই ওয়ার্কশিটে প্রদত্ত সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবে।
কোথায় ডিজাইন করা যায়: ওয়ার্কশিট ডিজাইনের জন্য ক্যানভা, পাওয়ারপয়েন্ট, ইলাস্ট্রেটর, ওয়ার্ড ব্যবহার করা যায়। ফন্ট সাইজ ১২-১৪ এর মধ্যে রাখলে পড়তে সুবিধা হয়। লাইন স্পেসিং এবং পর্যাপ্ত মার্জিন থাকছে কি না সেই ব্যাপারেও লক্ষ রাখুন।
ভিজ্যুয়াল যুক্ত করুন
ওয়ার্কশিটে ভিজ্যুয়াল এলিমেন্ট থাকা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় সেটি পড়তে কিছুটা একঘেয়েমি চলে আসতে পারে। চেষ্টা করুন প্রতি পেজেই গল্পের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক ছবি বা ডায়াগ্রাম যুক্ত করতে।
ইন্টারেক্টিভ অ্যাকটিভিটি বা গেম যোগ করুন: সম্পূর্ণ ওয়ার্কশিট শেষে একটি মজার অ্যাকটিভিটি যুক্ত করতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দুটি ছবির মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করা, গোলকধাঁধা বা মেইজ, পাজল, একটা ছবি রং করা ইত্যাদি।
সাধারণত ২-৩ পেজের মধ্যেই একটি আকর্ষণীয় ও শিক্ষার্থীবান্ধব ওয়ার্কশিট তৈরি করা সম্ভব হয়। আর ওয়ার্কশিট প্রিন্ট কিংবা ডিজিটাল উভয় মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের দেওয়া যায়। এটি মূলত নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের কাছে ডিভাইসের এক্সেসিবিলিটি কেমন আছে সেটার ওপর।
ওয়ার্কশিট হলো একটি একক পৃষ্ঠার ডকুমেন্ট। সাধারণত মাইক্রোসফট এক্সেল বা অন্য কোনো স্প্রেডশিট প্রোগ্রামে ব্যবহৃত হয়। যেখানে সংখ্যা, টেক্সট, সূত্র ইত্যাদি তথ্য রাখা হয়। আজ আমরা জানব, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য কীভাবে একটি দারুণ ওয়ার্কশিট তৈরি করা যায়। এই আর্টিকেলে আমি উদাহরণগুলো গণিত ওয়ার্কশিট তৈরির জন্য দিলেও একইভাবে বাংলা ও ইংরেজির ওয়ার্কশিট তৈরি করা সম্ভব।
শ্রেণি উপযোগী শিখনফল নির্ধারণ করুন: প্রথমেই ভাবতে হবে একটি ওয়ার্কশিটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কী শেখাতে চাই। সে অনুসারে শিখনফল নির্ধারণ করুন। উদাহরণস্বরূপ: আপনি গণসংখ্যা সারণি শেখাতে চাইলে সে অনুযায়ী শিখনফল হতে পারে, ‘শিক্ষার্থীরা গণসংখ্যা সারণি তৈরি করতে পারবে।’ এভাবে একটি ক্লিয়ার ধারণা পাওয়া যাবে এবং সম্পূর্ণ ওয়ার্কশিট তৈরির সময় সেই কেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা করা যাবে।
শ্রেণি উপযোগী টাইটেল ও ভাষা ব্যবহার: প্রাথমিক স্তরের জন্য ওয়ার্কশিট তৈরি করলে, লেখার ভাষা তুলনামূলক সহজ হওয়া প্রয়োজন। সেই সঙ্গে চিত্রভিত্তিক করলে শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ চিত্তাকর্ষক হয়। অপরদিকে, মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করলে, সেই ওয়ার্কশিটটি গল্পনির্ভর করলে বেশ ক্রিয়েটিভ হয়। উদাহরণস্বরূপ: ওয়ার্কশিটে গণসংখ্যা নির্ণয়ের জন্য সরাসরি বই থেকে প্রশ্ন ও সমাধান না দিয়ে সেই গাণিতিক সমস্যাগুলো গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন করা যায়।
মূল ভাবনা: কী?
এমন প্রতিটি জিজ্ঞাসা ওয়ার্কশিটে যুক্ত করতে পারলে পড়ার একটা সাবলীল প্রবাহ বজায় থাকে। যেমন—শিখনফল ‘শিক্ষার্থীরা গণসংখ্যা সারণি তৈরি করতে পারবে’-এর জন্য প্রথমে নির্ধারণ করতে হবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা; যেমন—শ্রেণিব্যাপ্তি, উপাত্ত ইত্যাদি। তবে এই সংজ্ঞাগুলোও গল্পের প্রবাহে চলে আসতে হবে। গল্পের বিভিন্ন ক্যারেক্টার কথা বলার মাধ্যমে বুঝিয়ে দেবে সম্পূর্ণ কনসেপ্টটি।
মূল ভাবনা: কেন?
একটি টপিক কেন পড়তে হচ্ছে, সেই ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী করে তুলতে হবে। সেই সঙ্গে শিক্ষক হিসেবে তাদের এই শিখনফলের উদ্দেশ্য কী, কেন পড়ছি সেটার ক্রিস্টাল ক্লিয়ার ধারণা দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনে দক্ষ প্রবলেম সলভার হয়ে উঠতে পারবে।
মূল ভাবনা: কীভাবে?
শিখনফলের সমস্যাটি সমাধান করতে গিয়ে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। ‘কীভাবে?’ অংশে এমনভাবে সমাধানের পদ্ধতি উল্লেখ করতে হবে, যাতে করে শিক্ষার্থীরা সহজেই বুঝতে পারে একই ধরনের সমস্যাগুলো কীভাবে খুব সহজেই ধাপগুলো অনুসরণ করে সমাধান করা যায়। একটি টেবিল আকারে বামপাশে সমাধানের পদ্ধতি এবং ডানপাশে সেটা সমাধান করে দেখালে সম্পূর্ণ পদ্ধতিটিই বেশ কার্যকর হয়।
শিখনফল অনুসারে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ: এই অংশে শিক্ষার্থীদের ক্রিটিক্যাল থিংকিংয়ের জন্য কিছু গাণিতিক সমস্যা যুক্ত করুন এবং উত্তরের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখুন। খেয়াল রাখুন প্রশ্নগুলো যাতে সম্পূর্ণ ওয়ার্কশিটের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হয়। কনটেন্টের স্বাভাবিকপ্রবাহ বজায় রাখতে পারলে শিক্ষার্থীরা সহজেই ওয়ার্কশিটে প্রদত্ত সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারবে।
কোথায় ডিজাইন করা যায়: ওয়ার্কশিট ডিজাইনের জন্য ক্যানভা, পাওয়ারপয়েন্ট, ইলাস্ট্রেটর, ওয়ার্ড ব্যবহার করা যায়। ফন্ট সাইজ ১২-১৪ এর মধ্যে রাখলে পড়তে সুবিধা হয়। লাইন স্পেসিং এবং পর্যাপ্ত মার্জিন থাকছে কি না সেই ব্যাপারেও লক্ষ রাখুন।
ভিজ্যুয়াল যুক্ত করুন
ওয়ার্কশিটে ভিজ্যুয়াল এলিমেন্ট থাকা অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায় সেটি পড়তে কিছুটা একঘেয়েমি চলে আসতে পারে। চেষ্টা করুন প্রতি পেজেই গল্পের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক ছবি বা ডায়াগ্রাম যুক্ত করতে।
ইন্টারেক্টিভ অ্যাকটিভিটি বা গেম যোগ করুন: সম্পূর্ণ ওয়ার্কশিট শেষে একটি মজার অ্যাকটিভিটি যুক্ত করতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দুটি ছবির মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করা, গোলকধাঁধা বা মেইজ, পাজল, একটা ছবি রং করা ইত্যাদি।
সাধারণত ২-৩ পেজের মধ্যেই একটি আকর্ষণীয় ও শিক্ষার্থীবান্ধব ওয়ার্কশিট তৈরি করা সম্ভব হয়। আর ওয়ার্কশিট প্রিন্ট কিংবা ডিজিটাল উভয় মাধ্যমেই শিক্ষার্থীদের দেওয়া যায়। এটি মূলত নির্ভর করে শিক্ষার্থীদের কাছে ডিভাইসের এক্সেসিবিলিটি কেমন আছে সেটার ওপর।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ২০ ধরনের শূন্য পদে মোট ৩৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। ২৭ এপ্রিল এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
৭ ঘণ্টা আগেবিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের এমটি অপারেটর (ক্যাজুয়াল) পদের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৫৩ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।
১১ ঘণ্টা আগেমিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেডে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শোরুম ডিভিশন (নেশন ওয়াইড) বিভাগের শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। ২১ এপ্রিল এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১২ ঘণ্টা আগেজনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাণ গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির এক্সপোর্ট বিভাগের শূন্য পদে একাধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। রোববার (২৭ এপ্রিল) এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১২ ঘণ্টা আগে