Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

পড়াশোনার পাশাপাশি জাপানে চাকরির সুযোগ

আমিমুল এহসান খান। ছবি: সংগৃহীত

জাপানের টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন আমিমুল এহসান খান। সম্প্রতি তিনি ‘গ্লোবাল চেঞ্জমেকার ২০২৫’-এ বিশ্বের ৫০ তরুণের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। বর্তমানে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট লিড হিসেবে কাজ করছেন অ্যাওয়ারনেস ৩৬০ নামের একটি বৈশ্বিক তরুণ নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানে। এ ছাড়া জাপানের এশিয়ান বিজনেস নেটওয়ার্ক কোম্পানিতে মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জাপানে উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শিক্ষা ও চাকরি বিভাগের ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক খান

আব্দুর রাজ্জাক খান
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৬

টোকিও ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?

এক কথায় দুর্দান্ত এবং বৈচিত্র্যময়। প্রথম দুই বছর করোনা মহামারির কারণে অনলাইনে ক্লাস করতে হয়েছে। তবে বাকি সময়ে বিশ্বের নানা প্রান্তের সহপাঠীদের সঙ্গে মিশে সংস্কৃতির আদান-প্রদান করার সুযোগ পেয়েছি।

উচ্চশিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা জাপানকে কেন বেছে নিচ্ছেন?

নিরাপত্তা ও উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা জাপান উচ্চশিক্ষার জন্য আকর্ষণীয়। এখানকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বমানের। আর শৃঙ্খলাপরায়ণ সমাজব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত উন্নয়নে সহায়ক। অর্থনৈতিকভাবে জাপান স্নাতক থেকে পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুর বৃত্তি দেয়। মেধাবী কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। এখানে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ বেশি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জাপানি ভাষা জানা থাকলে জীবনযাপন ও কর্মজীবনে সফল হওয়া অনেক সহজ হয়।

জাপান ও বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য কেমন দেখছেন?

জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা মূলত গবেষণাকেন্দ্রিক, প্রয়োগমুখী এবং লক্ষ্যভিত্তিক। এখানে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, শিক্ষার্থীর মতামত, নিয়মিত প্রেজেন্টেশন এবং গবেষণার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক উন্মুক্ত, প্রশ্ন করা এবং আলোচনায় অংশ নিতে উৎসাহিত করা হয়। বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা এখনো অনেক ক্ষেত্রে মুখস্থনির্ভর এবং গতানুগতিক। তবে শিক্ষার্থীদের শেখার আগ্রহ অসীম। জাপানে শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, আত্মযত্ন এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখার ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়। এই জীবনমুখী শিক্ষা শৃঙ্খলাপরায়ণ সমাজ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এভাবে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা দেশের প্রচলিত ব্যবস্থার থেকে ভিন্নতা সৃষ্টি করে।

জাপানের ভর্তিপ্রক্রিয়া কেমন এবং কতটা সময় লাগে?

জাপানে স্নাতক পর্যায়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া কিছুটা সময়সাপেক্ষ। সাধারণত এটি ৬-৭ মাস সময় নেয়। প্রথমে শিক্ষার্থীকে পছন্দের মেজর ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন করতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখানে পার্টটাইম কাজের সুযোগের একটা বিষয় রয়েছে। পরবর্তী ধাপে বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করতে হয়। সঙ্গে প্রয়োজনীয় নথিপত্র ডাকযোগে পাঠাতে হয়। কিছু বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে সাক্ষাৎকার নেয়, আবার কিছুতে প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয়। অফার লেটার এবং বৃত্তি নিশ্চিত হলে এক বছরের টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি অগ্রিম পরিশোধ করতে হয়। এরপর সার্টিফিকেট অব এলিজিবিলিটির (সিওই) জন্য আবেদন করতে হয়। এতে প্রায় আড়াই মাস সময় নেয়। সিওই হাতে পাওয়ার পরই ভিসার জন্য আবেদন করতে এবং জাপানে যাত্রা করা সম্ভব হয়।

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কী ধরনের বৃত্তি আছে, নির্বাচনের মাপকাঠি কী?

আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য জাপানে বৃত্তির সুযোগ ব্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বোচ্চ ১০০ শতাংশ পর্যন্ত টিউশন ফি ছাড় দিতে পারে। এ ছাড়া সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাও বৃত্তি দেয়। যেমন: অনেক শিক্ষার্থী জেএএসএসও থেকে মাসিক ৪৮ হাজার ইয়েন অনুদান পান। এই বৃত্তির জন্য নির্বাচন সাধারণত হলিস্টিক বা সামগ্রিক পদ্ধতিতে হয়। এখানে শুধু একাডেমিক ফল বা ভাষার স্কোর দেখা হয় না; বরং সহশিক্ষা কার্যক্রম, ব্যক্তিগত প্রবন্ধ ও শিক্ষার্থীর সামগ্রিক প্রোফাইল গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাবর্ষের বাইরের কার্যক্রম এবং বহুমুখী প্রতিভাও সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাব ফেলে।

জাপানে পড়তে গেলে আর্থিক প্রমাণ বা স্পনসরশিপের প্রক্রিয়া কেমন?

জাপানে উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসা ও ভর্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো, আর্থিক প্রমাণ বা স্পনসরশিপ। আবেদনকারীর কাছে প্রমাণ দেখাতে হবে, তিনি পড়াশোনা ও জীবনযাত্রার খরচ বহন করতে সক্ষম। স্পনসর হতে পারেন মা-বাবা, চাচা-মামা, খালা-ফুফু বা একাধিক ব্যক্তি। তাঁদের অর্থের উৎস এবং সম্পর্ক যথাযথ নথিপত্রের মাধ্যমে দেখাতে হয়। সাধারণত প্রাথমিকভাবে প্রায় ১৫ লাখ টাকা বা সমমানের অর্থ দেখাতে হয়।

জাপানে একই সঙ্গে পড়াশোনা ও কাজ করা কি সম্ভব?

হ্যাঁ, সম্ভব। তবে এটি অনুমোদিত হতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রথমে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতি নিতে হয়। এই অনুমতির অধীনে সাধারণ সেমিস্টারে শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২৮ ঘণ্টা পার্টটাইম কাজ করতে পারেন। সেমিস্টার বিরতির সময় এ সময়সীমা বেড়ে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা পূর্ণ সময়ের কাজের অনুমতি পাওয়া যায়। নিয়ম মেনে চললে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা এবং ব্যক্তিগত খরচ উভয়ই সামলাতে পারেন।

পড়াশোনার জন্য কী কী ডকুমেন্ট প্রয়োজন?

এসএসসি ও এইচএসসির মূল সনদপত্র এবং মার্কশিট বা ট্রান্সক্রিপ্ট প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া আইইএলটিএস বা ডুয়োলিংগোর মতো ভাষাগত দক্ষতার প্রমাণপত্রও লাগবে। ব্যক্তিগত নথিপত্রের মধ্যে অবশ্যই বৈধ পাসপোর্ট এবং আর্থিক নিশ্চয়তাকারীর পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনার প্রোফাইল শক্তিশালী করতে এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রমের সনদপত্রও জমা দিতে পারেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এগুলো নোটারাইজড কপি হিসেবে জমা দিতে হয়।

একাডেমিক যোগ্যতা ও ভাষাগত দক্ষতার পাশাপাশি আর কী ধরনের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতা বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে সহায়তা করে?

এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম এবং সুচিন্তিত স্কলারশিপ এসসে (Essay) এখানে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডিবেটিং, অলিম্পিয়াড, খেলাধুলা (যেমন: ফুটবল বা দাবা) বা অন্যান্য শখের মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা এবং নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা আবেদনকারীকে আলাদা করে তোলে। স্কলারশিপ এসসেতে আপনার শিক্ষার লক্ষ্য, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং অন্যান্য নথির সঙ্গে সংযোগ দেখানো উচিত। এটি প্রমাণ করে, আপনি প্রস্তুত এবং আপনার লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট।

জাপানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ, বাসস্থান ও দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ কেমন?

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ সাধারণত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে বেশি। স্নাতকের টিউশন ফি বছরে ৮ লাখ থেকে ২০ লাখ ইয়েন। প্রথম বছরের অতিরিক্ত ভর্তি ফি ২-৩ লাখা ইয়েন। দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ শহরভেদে পরিবর্তিত হয়। টোকিওতে মাসিক খরচ (বাসস্থান ছাড়া) ৫০ হাজার থেকে ৮৫ হাজার ইয়েন। ছাত্রাবাসে বাসস্থান খরচ মাসিক ২০-৫০ হাজার ইয়েন। অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার ইয়েন। সর্বমোট, একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর মাসিক খরচ বাসস্থানসহ প্রায় ১ লাখ থেকে ২ লাখ ইয়েন।

পার্টটাইম চাকরির সুযোগ কেমন, শিক্ষার্থীরা কত ঘণ্টা কাজ করতে পারেন এবং গড় উপার্জন কত?

পার্টটাইম চাকরির ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তবে জাপানের অভিবাসন আইনের অধীনে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২৮ ঘণ্টা কাজ করতে হয়। দীর্ঘ ছুটিতে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করা যায়। ঘণ্টাপ্রতি উপার্জন ৯০০ থেকে ১,২০০ ইয়েন। সপ্তাহে ২৮ ঘণ্টা কাজ করলে মাসিক আয় প্রায় ১ লাখ ৮০০-১ লাখা ৩৪ হাজার ৪০০ ইয়েন। শিক্ষার্থীরা সাধারণত রেস্তোরাঁ, কনভেনিয়েন্স স্টোর বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে কাজ করার সুযোগ পান। জাপানি ভাষা যিনি যত বেশি জানেন, কাজের সুযোগ ও বেতন তত ভালো হয়।

যাঁরা নিজের খরচে পড়তে চান, তাঁদের জন্য কি কোনো আর্থিক সহায়তা বা লোনের সুবিধা আছে?

জাপানে শিক্ষাঋণ পাওয়ার সুযোগ খুব সীমিত। বেশির ভাগ ঋণ জাপানি নাগরিক বা স্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য। তাই শিক্ষার্থীরা প্রধানত পার্টটাইম কাজের ওপর নির্ভর করেন। সপ্তাহে ২৮ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করা যায়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টিউশন ফি হ্রাস বা বৃত্তি পেলে আর্থিক চাপ অনেক কমে।

পড়াশোনা শেষে জাপানে চাকরির সুযোগ কেমন?

জাপানে পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ অনেক। দেশে দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র আইটি সেক্টর; অটোমোটিভ ইঞ্জিনিয়ারিং; রিক্রুটমেন্ট; ই-কমার্স; আইটি সাপোর্ট; ওভারসিজ সেলস। ভালো চাকরি ও দ্রুত উন্নতির জন্য জাপানি ভাষা দক্ষতা অপরিহার্য। এটি কর্মক্ষেত্রে যোগাযোগ এবং সংস্কৃতি বোঝার চাবিকাঠি।

শিক্ষার্থীরা কীভাবে উপযুক্ত সুপারভাইজার খুঁজে আবেদন করবেন?

জাপানে উপযুক্ত সুপারভাইজার খুঁজে পাওয়া সাধারণত ই-মেইলের মাধ্যমে শুরু হয়। প্রথমে শিক্ষার্থীকে তাঁদের আগ্রহের ক্ষেত্র অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি বা ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে অধ্যাপকদের গবেষণা প্রোফাইল ও প্রকাশনা পরীক্ষা করতে হবে। এরপর নির্বাচিত অধ্যাপকের সাম্প্রতিক গবেষণা পড়ে গবেষণা প্রস্তাবনা তৈরি করতে হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীকে একটি বিনয়ী ও পেশাদারি ই-মেইল পাঠাতে হবে, যেখানে নিজের পরিচয়, জাপানে পড়ার উদ্দেশ্য এবং কেন ওই অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে কাজ করতে চান, তা স্পষ্ট করতে হবে। সঙ্গে গবেষণা প্রস্তাবনা, সিভি এবং একাডেমিক কপি সংযুক্ত করতে হবে। অধিকাংশ প্রোগ্রামে সুপারভাইজারের সম্মতি পাওয়ার পরই মূল আবেদনের প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া যায়।

জাপানে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করতে গিয়ে আপনার লেসন-লার্নিং কী?

এখানে দুটি মূল দক্ষতা শিখেছি। সময় ব্যবস্থাপনা এবং পেশাদারি মনোভাব। কঠোর একাডেমিক রুটিন ও পার্টটাইম কাজের ভারসাম্য বজায় রাখা আমাকে অগ্রাধিকার নির্ধারণ ও ডেডলাইন মেনে চলতে শিখিয়েছে। এ ছাড়া জাপানি কর্মক্ষেত্রে আতিথেয়তার নীতি শেখা হয়েছে। এটি গ্রাহক ও সহকর্মীর চাহিদা প্রো-অ্যাকটিভলি পূরণ করতে সাহায্য করে। এ দুটি দক্ষতা আমাকে ভবিষ্যতে দায়িত্বশীল ও প্রস্তুত কর্মী হিসেবে গড়ে তুলবে।

জাপানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চাইলে কী শর্ত পূরণ করতে হয়?

সাধারণত জাপানে একটানা ১০ বছর বৈধ বসবাস প্রয়োজন। শেষ বছরগুলোতে ৩-৫ বছরের রেসিডেনস স্ট্যাটাস থাকতে হয়। প্রার্থীর অবশ্যই আইন মেনে চলা, কোনো গুরুতর অপরাধ না করা, আর্থিক স্বাবলম্বিতা এবং স্থিতিশীল জীবনযাপন প্রমাণ করতে হবে। নিয়মিত ট্যাক্স, স্বাস্থ্যবিমা এবং পেনশন প্রিমিয়াম পরিশোধের নথি দেখানো বাধ্যতামূলক। তবে অত্যন্ত দক্ষ পেশাদারদের জন্য পয়েন্টভিত্তিক প্রক্রিয়ায় এ সময়কাল কমানো সম্ভব।

জাপানে পড়তে গিয়ে কখনো একাকিত্ব বা মানসিক চাপ অনুভব করেছেন? সেটা কীভাবে সামলেছেন?

হ্যাঁ, একাকিত্ব এবং মানসিক চাপ স্বাভাবিক। নতুন দেশে একা থাকা, পড়াশোনা ও কাজ একসঙ্গে সামলানো ক্লান্তি এবং বিষণ্ণতা সৃষ্টি করতে পারে। মন সতেজ রাখার জন্য আমি ভ্রমণ এবং প্রকৃতির কাছে থাকা বেছে নিয়েছি। এ ছাড়া বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার মাধ্যমে শক্তিশালী সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করেছি। ইতিবাচক কাজের পরিবেশও দৈনন্দিন চাপ কমাতে সাহায্য করে।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশ বা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে কী ধরনের পরিবর্তনে অবদান রাখতে চান?

আমি বাংলাদেশের আইটি খাতকে শক্তিশালী করে আর্থসামাজিক পরিবর্তনে অবদান রাখতে চাই। প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্মত প্রযুক্তি শিক্ষা ও ডিজিটাল সাক্ষরতা পৌঁছে দেওয়াই আমার লক্ষ্য। নারীদের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে চাই। এ ছাড়া স্থানীয় সমস্যা সমাধানের জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চাই। এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সাহায্য করবে। বৈশ্বিকভাবে আমি টেকসই পরিবেশ এবং সুস্থ সমাজ গঠনে অবদান রাখতে আগ্রহী। বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব হ্রাসে সহায়ক প্রযুক্তি বা নীতি নিয়ে কাজ করতে চাই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: সন্দেহভাজন ফয়সালের ব্যাংক হিসাব জব্দ

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

বকশীগঞ্জের ‘বটগাছ’খ্যাত বিএনপি নেতা আব্দুর রউফ তালুকদারের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ