Ajker Patrika

নিয়োগকর্তার বিশ্বাস অর্জন করবেন যেভাবে

ক্যারিয়ার ডেস্ক
নিয়োগকর্তার বিশ্বাস অর্জন করবেন যেভাবে

ক্যারিয়ার বদলানো মানে শুধু নতুন কাজ শেখা নয়। নতুন খাতে প্রবেশ করতে হলে আপনার নিয়োগকর্তাকে বোঝাতে হবে যে আপনি নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারবেন, কাজের সঙ্গে দ্রুত খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন এবং প্রতিষ্ঠানের জন্য অবদান রাখতে পারবেন। নিয়োগকর্তাদের সাধারণ প্রশ্ন ‘আপনি কি স্থায়ী থাকবেন? প্রথম দিন থেকে কাজে অবদান রাখতে পারবেন? নাকি শুধুই পরবর্তী সুযোগের খোঁজ করবেন? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে সাহায্য করবে এই চারটি কৌশল। চলুন জেনে নেওয়া যাক—

হাতে-কলমে প্রমাণ দেখান

নতুন খাতে প্রবেশের জন্য বাস্তব অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বড় শক্তি। এই অভিজ্ঞতা হতে পারে স্বেচ্ছাসেবী কাজ, অস্থায়ী দায়িত্ব, ফ্রেন্ডস বা পরিচিতদের জন্য প্রফেশনাল পরামর্শ দেওয়া। গুরুত্বপূর্ণ হলো, এমন কিছু কার্যক্রমে অংশ নেওয়া, যা নিয়ে আপনি কথা বলতে পারেন এবং একটি কার্যকর পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন ভিডিও প্রযোজক যদি ব্যাংক, দোকান বা কমিউনিটি সংগঠনের জন্য ভিডিও তৈরি করেন, তাহলে তিনি দেখাতে পারবেন যে তিনি ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস, রিটেল বা নন-প্রফিট খাতে দক্ষ। একইভাবে, লেখক, ডিজাইনার বা মার্কেটিং পেশাজীবী স্বেচ্ছায় কাজ বা প্রজেক্টে অংশ নিয়ে প্রমাণ দেখাতে পারেন। হাতে-কলমে প্রমাণ দেওয়ার মাধ্যমে নিয়োগকর্তা সহজেই বুঝতে পারেন, আপনি কাজটি করতে পারবেন।

আগ্রহ ও গবেষণা দেখান

যে ব্যক্তি কোনো বিষয়ে এতটাই আগ্রহী যে তার পেশাগত আগ্রহ স্পষ্ট, তাকে সহজেই বিশ্বাসযোগ্য মনে করা হয়। নতুন খাতেও একই কৌশল কাজ করে। নিয়োগকর্তাদের বোঝানো যায় যে আপনি শুধু অন্য খাতের জন্য কৌতূহলী নন, বরং প্রফেশনালি অবদান রাখতে প্রস্তুত। এ জন্য দুই-তিনটি খাত বেছে নিয়ে সেখানে বিস্তারিত গবেষণা করুন। খাতের ট্রেন্ড, সক্রিয় প্রতিষ্ঠান, উন্নতির সুযোগ এবং কীভাবে আপনি অবদান রাখতে পারবেন—এসব বিষয় জানালে নিয়োগকর্তার মনে হবে আপনি কাজের জন্য প্রস্তুত। উদাহরণস্বরূপ, একজন ভিডিও প্রযোজক যদি নতুন খাতে প্রবেশ করতে চান, তবে সংশ্লিষ্ট খাতের জনপ্রিয় কনটেন্টের ধরন, মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এবং দর্শক কী চায়, তা জানলে নিয়োগকর্তা সহজে বুঝবেন যে তাঁরা খাতটি বুঝতে সক্ষম।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা শেয়ার করুন

আপনি যদি চাকরি পান, তবে পরবর্তী সপ্তাহ, মাস বা বছরের জন্য কীভাবে অবদান রাখবেন তা দেখানো নিয়োগকর্তার আস্থা বাড়ায়। খুব বিস্তারিত পরিকল্পনা না হলেও, কাজের প্রক্রিয়া ও নতুন জ্ঞানার্জনের ধারণা দেখালে বোঝানো যায় যে আপনি সমস্যার সমাধানে আগ্রহী এবং অতিরিক্ত বোঝা নন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি বলতে পারেন ‘প্রথম তিন মাসে আমি এই প্রজেক্টের সঙ্গে পরিচিত হব, এরপর এই নতুন টুল ব্যবহার করে কাজের দক্ষতা বাড়াব এবং ছয় মাসে দলকে সহায়তা করার নতুন পথ তৈরি করব।’ এমন পরিকল্পনা দেখালে নিয়োগকর্তা মনে করবেন, আপনি দায়িত্বশীল এবং দীর্ঘমেয়াদি অবদান রাখতে প্রস্তুত।

এই চারটি কৌশল কাজ করে কারণ এগুলো আপনার বর্তমান অভিজ্ঞতার বাইরে আপনার সক্ষমতা ও সম্ভাবনা তুলে ধরে। রিজিউমি শুধু আপনার অতীত অভিজ্ঞতা দেখায়, ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নয়। তাই সরাসরি যোগাযোগ করুন—আপনার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বা নতুন খাতের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের কাছে পৌঁছান। হাতে-কলমে প্রমাণ, অভ্যন্তরীণ সুপারিশ এবং আগ্রহভিত্তিক গবেষণা—এই তিনটির মাধ্যমে নিয়োগকর্তার বিশ্বাস অর্জন করা সম্ভব।

সূত্র: ফোর্বস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মির্জা ফখরুলের জন্য মনটা কাল থেকে খুব বিষণ্ন হয়ে আছে: প্রেস সচিব

তারেক রহমানের বাড়ি-গাড়ি নেই, আছে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদ

ভারতের কূটনীতিকের সঙ্গে ‘গোপন’ বৈঠকের কথা জানালেন জামায়াত আমির

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদুল হাসান আর নেই

ভারতে চলন্ত গাড়িতে ২ ঘণ্টা দলবদ্ধ ধর্ষণের পর ছুড়ে ফেলা হলো রাস্তায়

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ