
১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার হাত ধরে জন্ম ডিপার্টমেন্ট অব মেরিন বায়োলজি অ্যান্ড ওশানোগ্রাফির। সেই থেকে এই ইনস্টিটিউটের পথচলা। পরে এটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ হিসেবে পরিচিত হয়। এই ইনস্টিটিউটের অধীনে মেরিন সায়েন্স, ফিশারিজ ও ওশানোগ্রাফি—এই তিনটি বিভাগ রয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি দেশের প্রথম পাবলিক মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে।
ভর্তির যোগ্যতা
ওশানোগ্রাফি স্নাতক প্রোগ্রামে আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষার ন্যূনতম যোগ্যতা হলো এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এর মধ্যে উভয় ক্ষেত্রে ৪ পেতে হবে (অন্যান্য নিয়ম এবং প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ সাপেক্ষে)।
যেখানে পড়ানো হয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এ ছাড়া পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি ইন মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওশানোগ্রাফি নামে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। ওশানোগ্রাফি ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স অনুষদের অধীনে মেরিন ফিশারিজ, ফিশারিজ, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সসহ অনেক প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়।
পঠন-পাঠন
ওশানোগ্রাফি প্রোগ্রামের অধীনে মূলত বায়োলজিক্যাল, ফিজিক্যাল, কেমিক্যাল ও জিওলজিক্যাল ওশানোগ্রাফির বিষয়সমূহ পড়ানো হয়। বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফিতে ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক প্ল্যাঙ্কটন থেকে শুরু করে তিমির মতো বৃহৎ ম্যামালস এবং অন্যান্য বায়োলজিক্যাল অর্গানিজমস, জীবনচক্র, বিচরণক্ষেত্র, ইকোসিস্টেম ও সামুদ্রিক বায়োলজিক্যাল রিসোর্স আহরণ এবং এদের সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়ানো হয়। ফিজিক্যাল ওশানোগ্রাফিতে সমুদ্রের ফিজিক্যাল প্রসেস, ওশান সার্কুলেশন অ্যান্ড ক্লাইমেট এবং তার সঙ্গে বায়োলজিক্যাল অর্গানিজমসের প্রভাব এবং ওশান কেমিক্যাল প্রসেসের প্রভাব বিষয়ে পড়ানো হয়। কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফিতে ওশান কেমিস্ট্রি যেমন স্যালিনিটি, মেজর এবং মাইনর এলিমেন্টস, পিএইচ, নিউট্রিয়েন্টসের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত। জিওলজিক্যাল ওশানোগ্রাফির মধ্যে আর্থ অ্যান্ড ওশান ফরমেশন, সেডিমেন্টস, ওশান ফ্লোর এক্সপ্লোরেশন এবং ওশান মাউন্টেইন, ভ্যালে, ক্যানিয়নের মতো অন্যান্য জিওলজিক্যাল ফিচার রয়েছে। এই বিষয়গুলো সামগ্রিক ধারণামাত্র। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয় বিস্তৃত পরিসরে পড়ানো হয়।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
পৃথিবীর ৭১ শতাংশ সমুদ্রের অংশ, বাকি ২৯ শতাংশ স্থলভাগ। এই ৭১ শতাংশ সমুদ্রের সামগ্রিক বিষয়সমূহের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫ শতাংশ অন্বেষণ করা হয়েছে (মতভেদে পার্থক্য রয়েছে), বাকি ৯৫ শতাংশ আমাদের অজানা। বাংলাদেশের নিজস্ব সমুদ্রসীমা বে অব বেঙ্গল তথা উত্তর ভারত মহাসাগরের অংশ। বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সমুদ্রসীমার সঙ্গে ১৪ মার্চ ২০১২ সালে ইটলস ‘ITLOS’-ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দি ল অব দ্য সি-তে মিয়ানমারের সঙ্গে ও ৭ জুলাই ২০১৪ সালে ‘PCA’-পারমানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন, হেগ, নেদারল্যান্ডসে ভারতের সঙ্গে বে অব বেঙ্গলে নতুন সমুদ্রসীমা অর্জন করে এবং সমুদ্র বিজয়ের পর বাংলাদেশের সমুদ্রের অংশ এখন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার। উক্ত সমুদ্রসীমায় মোটাদাগের তেমন কোনো গবেষণা জরিপ না হওয়ায় কোন প্রজাতির কী পরিমাণ আহরণযোগ্য বায়োলজিক্যাল এবং নন-বায়োলজিক্যাল সম্পদ রয়েছে, এ তথ্যগুলো অজানা। কাজেই এটা স্পষ্টত যে আমাদের সমুদ্রসীমায় গবেষণার বিকল্প নেই এবং এই গবেষণাকে ত্বরান্বিত করতে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন। সমুদ্র গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, চীন, জাপান ছাড়াও পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। তবে আমাদের নিশ্চয় ডেভেলপমেন্ট বা উন্নয়নের কিছু ‘গ্রে এরিয়া’ রয়েছে। যেমন উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় আমাদের দেশের সঙ্গে বাইরের দেশের কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। সমুদ্র গবেষণায় প্রথমেই আসে ‘রিসার্চ ভেসেল’ বিষয়টি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সমুদ্র গবেষণায় অত্যাধুনিক রিসার্চ ভেসেল ব্যবহার করছে, তবে আমাদের একটিও অত্যাধুনিক ‘রিসার্চ ভেসেল’ নেই; যেটা কিনা পুরো বছর ধরে সমুদ্রে গবেষণা করতে সক্ষম হবে, অথচ মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিজয়ের ১২ এবং ১০ বছর পার করছি আমরা। এখন পর্যন্ত আমরা ছোট ‘কান্ট্রি বোট’ ভাড়া করে শুধু উপকূলের কাছাকাছি অল্পবিস্তর গবেষণা করছি বছরের নির্দিষ্ট স্বল্প সময় ধরে। অন্যান্য সময়ে আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় উপকূলের কাছেও জরিপ বা সার্ভে করা সম্ভব নয়। অথচ উপকূলে বসবাসকারী দরিদ্র পরিবারগুলোকে উপকূলের সম্পদের ওপর গবেষণা করে সেই সম্পদের যথাযোগ্যভাবে আহরণ ও ব্যবহার করে দারিদ্র্যের হার কমানো সম্ভব। অন্যান্য দেশের পর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত গবেষণার জন্য এরই মধ্যে আর্কটিকে ‘হিমাদ্রি’ নামে একটি এবং অ্যান্টার্কটিকে ‘ভারতী’, ‘দক্ষিণ গাঙ্গোত্রী’ ও মৈত্রী নামে তিনটি গবেষণা বা রিসার্চ স্টেশন স্থাপন করেছে। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে নিশ্চয়ই আমাদের সমুদ্র গবেষণায় অনেক উন্নতির জায়গা রয়েছে। তবে শুধু রিসার্চ ভেসেল কেনা ছাড়াও এই ক্ষেত্রকে ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের রিসার্চ ভেসেল ব্যবহার করে কোলাবরেটিভ কাজ আমরা স্বল্প সময়ের মধ্যে করতে পারি। টার্গেটভিত্তিক গবেষণাও খুব জরুরি। বাংলাদেশের মিঠাপানির মাছের ওপর এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা হয়েছে। গবেষণার মধ্য দিয়ে আমরা ইলিশের প্রজনন ও বৃদ্ধির সময় নির্ধারণ করে ওই সময়সীমার জন্য মা ইলিশ এবং জাটকা ধরা ও ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকায় ইলিশের স্টক অধিকাংশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছি। কিন্তু ইলিশের জীবনচক্র ফ্রেশ ওয়াটার ও মেরিন ওয়াটার—এই দুই জায়গাতে সম্পন্ন হয় বলে মেরিন ওয়াটার অংশের ম্যানেজমেন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। কাজেই আমাদের ‘মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া’ নির্ধারণ, গবেষণা, ম্যানেজমেন্ট পলিসি তৈরি এবং তা প্রয়োগ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যাঁরা সমুদ্রবিজ্ঞান এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ডিগ্রি সম্পন্ন করছেন, তাঁদের উচ্চশিক্ষার ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গবেষক, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্পারসো ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের চাকরির সুযোগ উল্লেখযোগ্য। তবে প্রতিবছর স্নাতক ডিগ্রি ও উচ্চশিক্ষা সম্পন্নকারী চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা এবং চাকরির পদসংখ্যার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা দরকার। এ দুই বিষয়ে সামঞ্জস্য না থাকায় অনেকে বিষয়ভিত্তিক চাকরিতে আগ্রহী না হয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজের চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে সামঞ্জস্য রক্ষার্থে বিষয় প্রাসঙ্গিক সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ইনস্টিটিউট ও অর্গানাইজেশন চালু করা এবং চাকরির পদসংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। প্রথমে যে বিষয়টি আসে, তা হলো বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে মেরিটাইম ক্যাডারের জন্য অনুমোদন ও প্রার্থী নিয়োগ করা। ফিশারিজ ক্যাডার পদ থাকলেও মূলত এই অংশে ফ্রেশ ওয়াটার-সম্পর্কিত কাজ বেশির ভাগ করা হয়। একই সঙ্গে সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মূলত সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি সম্পন্নকারী চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা, চাকরির পদসংখ্যা, গবেষণালব্ধ ফল থেকে পলিসি তৈরি এবং প্রয়োগ করা—এই সব পর্যায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকতে হবে। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা সমুদ্রসম্পদ আহরণে এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের গ্রে এরিয়াগুলোতে উন্নতি করতে সক্ষম হব। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘ক্যারিয়ার সেন্টার’ থাকা আবশ্যক, যেখানে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা ‘ক্যারিয়ার ফেয়ারে অংশ নেবেন, যাতে করে তাঁরা সাবজেক্ট রিলেভেন্ট বা প্রাসঙ্গিক চাকরি করতে বেশি হয় এবং সেই সঙ্গে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও তাদের টার্গেট অনুযায়ী প্রার্থী নিয়োগ করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসেই প্রাসঙ্গিক খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় যেমন উপকৃত হতে পারে তাদের কর্মদক্ষতা কাজে লাগিয়ে, তেমনই শিক্ষার্থীরা পরিবারের ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল না হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ‘ব্রেন ড্রেইন’-এর হার কমানোর মাধ্যমে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রে মানুষের অধিকতর আগ্রহী হয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করা খুব জরুরি।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার হাত ধরে জন্ম ডিপার্টমেন্ট অব মেরিন বায়োলজি অ্যান্ড ওশানোগ্রাফির। সেই থেকে এই ইনস্টিটিউটের পথচলা। পরে এটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ হিসেবে পরিচিত হয়। এই ইনস্টিটিউটের অধীনে মেরিন সায়েন্স, ফিশারিজ ও ওশানোগ্রাফি—এই তিনটি বিভাগ রয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি দেশের প্রথম পাবলিক মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে।
ভর্তির যোগ্যতা
ওশানোগ্রাফি স্নাতক প্রোগ্রামে আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষার ন্যূনতম যোগ্যতা হলো এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এর মধ্যে উভয় ক্ষেত্রে ৪ পেতে হবে (অন্যান্য নিয়ম এবং প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ সাপেক্ষে)।
যেখানে পড়ানো হয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এ ছাড়া পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি ইন মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওশানোগ্রাফি নামে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। ওশানোগ্রাফি ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স অনুষদের অধীনে মেরিন ফিশারিজ, ফিশারিজ, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সসহ অনেক প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়।
পঠন-পাঠন
ওশানোগ্রাফি প্রোগ্রামের অধীনে মূলত বায়োলজিক্যাল, ফিজিক্যাল, কেমিক্যাল ও জিওলজিক্যাল ওশানোগ্রাফির বিষয়সমূহ পড়ানো হয়। বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফিতে ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক প্ল্যাঙ্কটন থেকে শুরু করে তিমির মতো বৃহৎ ম্যামালস এবং অন্যান্য বায়োলজিক্যাল অর্গানিজমস, জীবনচক্র, বিচরণক্ষেত্র, ইকোসিস্টেম ও সামুদ্রিক বায়োলজিক্যাল রিসোর্স আহরণ এবং এদের সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়ানো হয়। ফিজিক্যাল ওশানোগ্রাফিতে সমুদ্রের ফিজিক্যাল প্রসেস, ওশান সার্কুলেশন অ্যান্ড ক্লাইমেট এবং তার সঙ্গে বায়োলজিক্যাল অর্গানিজমসের প্রভাব এবং ওশান কেমিক্যাল প্রসেসের প্রভাব বিষয়ে পড়ানো হয়। কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফিতে ওশান কেমিস্ট্রি যেমন স্যালিনিটি, মেজর এবং মাইনর এলিমেন্টস, পিএইচ, নিউট্রিয়েন্টসের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত। জিওলজিক্যাল ওশানোগ্রাফির মধ্যে আর্থ অ্যান্ড ওশান ফরমেশন, সেডিমেন্টস, ওশান ফ্লোর এক্সপ্লোরেশন এবং ওশান মাউন্টেইন, ভ্যালে, ক্যানিয়নের মতো অন্যান্য জিওলজিক্যাল ফিচার রয়েছে। এই বিষয়গুলো সামগ্রিক ধারণামাত্র। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয় বিস্তৃত পরিসরে পড়ানো হয়।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
পৃথিবীর ৭১ শতাংশ সমুদ্রের অংশ, বাকি ২৯ শতাংশ স্থলভাগ। এই ৭১ শতাংশ সমুদ্রের সামগ্রিক বিষয়সমূহের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫ শতাংশ অন্বেষণ করা হয়েছে (মতভেদে পার্থক্য রয়েছে), বাকি ৯৫ শতাংশ আমাদের অজানা। বাংলাদেশের নিজস্ব সমুদ্রসীমা বে অব বেঙ্গল তথা উত্তর ভারত মহাসাগরের অংশ। বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সমুদ্রসীমার সঙ্গে ১৪ মার্চ ২০১২ সালে ইটলস ‘ITLOS’-ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দি ল অব দ্য সি-তে মিয়ানমারের সঙ্গে ও ৭ জুলাই ২০১৪ সালে ‘PCA’-পারমানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন, হেগ, নেদারল্যান্ডসে ভারতের সঙ্গে বে অব বেঙ্গলে নতুন সমুদ্রসীমা অর্জন করে এবং সমুদ্র বিজয়ের পর বাংলাদেশের সমুদ্রের অংশ এখন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার। উক্ত সমুদ্রসীমায় মোটাদাগের তেমন কোনো গবেষণা জরিপ না হওয়ায় কোন প্রজাতির কী পরিমাণ আহরণযোগ্য বায়োলজিক্যাল এবং নন-বায়োলজিক্যাল সম্পদ রয়েছে, এ তথ্যগুলো অজানা। কাজেই এটা স্পষ্টত যে আমাদের সমুদ্রসীমায় গবেষণার বিকল্প নেই এবং এই গবেষণাকে ত্বরান্বিত করতে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন। সমুদ্র গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, চীন, জাপান ছাড়াও পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। তবে আমাদের নিশ্চয় ডেভেলপমেন্ট বা উন্নয়নের কিছু ‘গ্রে এরিয়া’ রয়েছে। যেমন উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় আমাদের দেশের সঙ্গে বাইরের দেশের কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। সমুদ্র গবেষণায় প্রথমেই আসে ‘রিসার্চ ভেসেল’ বিষয়টি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সমুদ্র গবেষণায় অত্যাধুনিক রিসার্চ ভেসেল ব্যবহার করছে, তবে আমাদের একটিও অত্যাধুনিক ‘রিসার্চ ভেসেল’ নেই; যেটা কিনা পুরো বছর ধরে সমুদ্রে গবেষণা করতে সক্ষম হবে, অথচ মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিজয়ের ১২ এবং ১০ বছর পার করছি আমরা। এখন পর্যন্ত আমরা ছোট ‘কান্ট্রি বোট’ ভাড়া করে শুধু উপকূলের কাছাকাছি অল্পবিস্তর গবেষণা করছি বছরের নির্দিষ্ট স্বল্প সময় ধরে। অন্যান্য সময়ে আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় উপকূলের কাছেও জরিপ বা সার্ভে করা সম্ভব নয়। অথচ উপকূলে বসবাসকারী দরিদ্র পরিবারগুলোকে উপকূলের সম্পদের ওপর গবেষণা করে সেই সম্পদের যথাযোগ্যভাবে আহরণ ও ব্যবহার করে দারিদ্র্যের হার কমানো সম্ভব। অন্যান্য দেশের পর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত গবেষণার জন্য এরই মধ্যে আর্কটিকে ‘হিমাদ্রি’ নামে একটি এবং অ্যান্টার্কটিকে ‘ভারতী’, ‘দক্ষিণ গাঙ্গোত্রী’ ও মৈত্রী নামে তিনটি গবেষণা বা রিসার্চ স্টেশন স্থাপন করেছে। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে নিশ্চয়ই আমাদের সমুদ্র গবেষণায় অনেক উন্নতির জায়গা রয়েছে। তবে শুধু রিসার্চ ভেসেল কেনা ছাড়াও এই ক্ষেত্রকে ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের রিসার্চ ভেসেল ব্যবহার করে কোলাবরেটিভ কাজ আমরা স্বল্প সময়ের মধ্যে করতে পারি। টার্গেটভিত্তিক গবেষণাও খুব জরুরি। বাংলাদেশের মিঠাপানির মাছের ওপর এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা হয়েছে। গবেষণার মধ্য দিয়ে আমরা ইলিশের প্রজনন ও বৃদ্ধির সময় নির্ধারণ করে ওই সময়সীমার জন্য মা ইলিশ এবং জাটকা ধরা ও ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকায় ইলিশের স্টক অধিকাংশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছি। কিন্তু ইলিশের জীবনচক্র ফ্রেশ ওয়াটার ও মেরিন ওয়াটার—এই দুই জায়গাতে সম্পন্ন হয় বলে মেরিন ওয়াটার অংশের ম্যানেজমেন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। কাজেই আমাদের ‘মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া’ নির্ধারণ, গবেষণা, ম্যানেজমেন্ট পলিসি তৈরি এবং তা প্রয়োগ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যাঁরা সমুদ্রবিজ্ঞান এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ডিগ্রি সম্পন্ন করছেন, তাঁদের উচ্চশিক্ষার ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গবেষক, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্পারসো ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের চাকরির সুযোগ উল্লেখযোগ্য। তবে প্রতিবছর স্নাতক ডিগ্রি ও উচ্চশিক্ষা সম্পন্নকারী চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা এবং চাকরির পদসংখ্যার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা দরকার। এ দুই বিষয়ে সামঞ্জস্য না থাকায় অনেকে বিষয়ভিত্তিক চাকরিতে আগ্রহী না হয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজের চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে সামঞ্জস্য রক্ষার্থে বিষয় প্রাসঙ্গিক সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ইনস্টিটিউট ও অর্গানাইজেশন চালু করা এবং চাকরির পদসংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। প্রথমে যে বিষয়টি আসে, তা হলো বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে মেরিটাইম ক্যাডারের জন্য অনুমোদন ও প্রার্থী নিয়োগ করা। ফিশারিজ ক্যাডার পদ থাকলেও মূলত এই অংশে ফ্রেশ ওয়াটার-সম্পর্কিত কাজ বেশির ভাগ করা হয়। একই সঙ্গে সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মূলত সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি সম্পন্নকারী চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা, চাকরির পদসংখ্যা, গবেষণালব্ধ ফল থেকে পলিসি তৈরি এবং প্রয়োগ করা—এই সব পর্যায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকতে হবে। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা সমুদ্রসম্পদ আহরণে এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের গ্রে এরিয়াগুলোতে উন্নতি করতে সক্ষম হব। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘ক্যারিয়ার সেন্টার’ থাকা আবশ্যক, যেখানে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা ‘ক্যারিয়ার ফেয়ারে অংশ নেবেন, যাতে করে তাঁরা সাবজেক্ট রিলেভেন্ট বা প্রাসঙ্গিক চাকরি করতে বেশি হয় এবং সেই সঙ্গে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও তাদের টার্গেট অনুযায়ী প্রার্থী নিয়োগ করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসেই প্রাসঙ্গিক খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় যেমন উপকৃত হতে পারে তাদের কর্মদক্ষতা কাজে লাগিয়ে, তেমনই শিক্ষার্থীরা পরিবারের ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল না হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ‘ব্রেন ড্রেইন’-এর হার কমানোর মাধ্যমে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রে মানুষের অধিকতর আগ্রহী হয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করা খুব জরুরি।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার হাত ধরে জন্ম ডিপার্টমেন্ট অব মেরিন বায়োলজি অ্যান্ড ওশানোগ্রাফির। সেই থেকে এই ইনস্টিটিউটের পথচলা। পরে এটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ হিসেবে পরিচিত হয়। এই ইনস্টিটিউটের অধীনে মেরিন সায়েন্স, ফিশারিজ ও ওশানোগ্রাফি—এই তিনটি বিভাগ রয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি দেশের প্রথম পাবলিক মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে।
ভর্তির যোগ্যতা
ওশানোগ্রাফি স্নাতক প্রোগ্রামে আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষার ন্যূনতম যোগ্যতা হলো এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এর মধ্যে উভয় ক্ষেত্রে ৪ পেতে হবে (অন্যান্য নিয়ম এবং প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ সাপেক্ষে)।
যেখানে পড়ানো হয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এ ছাড়া পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি ইন মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওশানোগ্রাফি নামে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। ওশানোগ্রাফি ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স অনুষদের অধীনে মেরিন ফিশারিজ, ফিশারিজ, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সসহ অনেক প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়।
পঠন-পাঠন
ওশানোগ্রাফি প্রোগ্রামের অধীনে মূলত বায়োলজিক্যাল, ফিজিক্যাল, কেমিক্যাল ও জিওলজিক্যাল ওশানোগ্রাফির বিষয়সমূহ পড়ানো হয়। বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফিতে ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক প্ল্যাঙ্কটন থেকে শুরু করে তিমির মতো বৃহৎ ম্যামালস এবং অন্যান্য বায়োলজিক্যাল অর্গানিজমস, জীবনচক্র, বিচরণক্ষেত্র, ইকোসিস্টেম ও সামুদ্রিক বায়োলজিক্যাল রিসোর্স আহরণ এবং এদের সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়ানো হয়। ফিজিক্যাল ওশানোগ্রাফিতে সমুদ্রের ফিজিক্যাল প্রসেস, ওশান সার্কুলেশন অ্যান্ড ক্লাইমেট এবং তার সঙ্গে বায়োলজিক্যাল অর্গানিজমসের প্রভাব এবং ওশান কেমিক্যাল প্রসেসের প্রভাব বিষয়ে পড়ানো হয়। কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফিতে ওশান কেমিস্ট্রি যেমন স্যালিনিটি, মেজর এবং মাইনর এলিমেন্টস, পিএইচ, নিউট্রিয়েন্টসের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত। জিওলজিক্যাল ওশানোগ্রাফির মধ্যে আর্থ অ্যান্ড ওশান ফরমেশন, সেডিমেন্টস, ওশান ফ্লোর এক্সপ্লোরেশন এবং ওশান মাউন্টেইন, ভ্যালে, ক্যানিয়নের মতো অন্যান্য জিওলজিক্যাল ফিচার রয়েছে। এই বিষয়গুলো সামগ্রিক ধারণামাত্র। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয় বিস্তৃত পরিসরে পড়ানো হয়।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
পৃথিবীর ৭১ শতাংশ সমুদ্রের অংশ, বাকি ২৯ শতাংশ স্থলভাগ। এই ৭১ শতাংশ সমুদ্রের সামগ্রিক বিষয়সমূহের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫ শতাংশ অন্বেষণ করা হয়েছে (মতভেদে পার্থক্য রয়েছে), বাকি ৯৫ শতাংশ আমাদের অজানা। বাংলাদেশের নিজস্ব সমুদ্রসীমা বে অব বেঙ্গল তথা উত্তর ভারত মহাসাগরের অংশ। বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সমুদ্রসীমার সঙ্গে ১৪ মার্চ ২০১২ সালে ইটলস ‘ITLOS’-ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দি ল অব দ্য সি-তে মিয়ানমারের সঙ্গে ও ৭ জুলাই ২০১৪ সালে ‘PCA’-পারমানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন, হেগ, নেদারল্যান্ডসে ভারতের সঙ্গে বে অব বেঙ্গলে নতুন সমুদ্রসীমা অর্জন করে এবং সমুদ্র বিজয়ের পর বাংলাদেশের সমুদ্রের অংশ এখন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার। উক্ত সমুদ্রসীমায় মোটাদাগের তেমন কোনো গবেষণা জরিপ না হওয়ায় কোন প্রজাতির কী পরিমাণ আহরণযোগ্য বায়োলজিক্যাল এবং নন-বায়োলজিক্যাল সম্পদ রয়েছে, এ তথ্যগুলো অজানা। কাজেই এটা স্পষ্টত যে আমাদের সমুদ্রসীমায় গবেষণার বিকল্প নেই এবং এই গবেষণাকে ত্বরান্বিত করতে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন। সমুদ্র গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, চীন, জাপান ছাড়াও পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। তবে আমাদের নিশ্চয় ডেভেলপমেন্ট বা উন্নয়নের কিছু ‘গ্রে এরিয়া’ রয়েছে। যেমন উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় আমাদের দেশের সঙ্গে বাইরের দেশের কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। সমুদ্র গবেষণায় প্রথমেই আসে ‘রিসার্চ ভেসেল’ বিষয়টি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সমুদ্র গবেষণায় অত্যাধুনিক রিসার্চ ভেসেল ব্যবহার করছে, তবে আমাদের একটিও অত্যাধুনিক ‘রিসার্চ ভেসেল’ নেই; যেটা কিনা পুরো বছর ধরে সমুদ্রে গবেষণা করতে সক্ষম হবে, অথচ মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিজয়ের ১২ এবং ১০ বছর পার করছি আমরা। এখন পর্যন্ত আমরা ছোট ‘কান্ট্রি বোট’ ভাড়া করে শুধু উপকূলের কাছাকাছি অল্পবিস্তর গবেষণা করছি বছরের নির্দিষ্ট স্বল্প সময় ধরে। অন্যান্য সময়ে আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় উপকূলের কাছেও জরিপ বা সার্ভে করা সম্ভব নয়। অথচ উপকূলে বসবাসকারী দরিদ্র পরিবারগুলোকে উপকূলের সম্পদের ওপর গবেষণা করে সেই সম্পদের যথাযোগ্যভাবে আহরণ ও ব্যবহার করে দারিদ্র্যের হার কমানো সম্ভব। অন্যান্য দেশের পর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত গবেষণার জন্য এরই মধ্যে আর্কটিকে ‘হিমাদ্রি’ নামে একটি এবং অ্যান্টার্কটিকে ‘ভারতী’, ‘দক্ষিণ গাঙ্গোত্রী’ ও মৈত্রী নামে তিনটি গবেষণা বা রিসার্চ স্টেশন স্থাপন করেছে। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে নিশ্চয়ই আমাদের সমুদ্র গবেষণায় অনেক উন্নতির জায়গা রয়েছে। তবে শুধু রিসার্চ ভেসেল কেনা ছাড়াও এই ক্ষেত্রকে ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের রিসার্চ ভেসেল ব্যবহার করে কোলাবরেটিভ কাজ আমরা স্বল্প সময়ের মধ্যে করতে পারি। টার্গেটভিত্তিক গবেষণাও খুব জরুরি। বাংলাদেশের মিঠাপানির মাছের ওপর এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা হয়েছে। গবেষণার মধ্য দিয়ে আমরা ইলিশের প্রজনন ও বৃদ্ধির সময় নির্ধারণ করে ওই সময়সীমার জন্য মা ইলিশ এবং জাটকা ধরা ও ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকায় ইলিশের স্টক অধিকাংশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছি। কিন্তু ইলিশের জীবনচক্র ফ্রেশ ওয়াটার ও মেরিন ওয়াটার—এই দুই জায়গাতে সম্পন্ন হয় বলে মেরিন ওয়াটার অংশের ম্যানেজমেন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। কাজেই আমাদের ‘মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া’ নির্ধারণ, গবেষণা, ম্যানেজমেন্ট পলিসি তৈরি এবং তা প্রয়োগ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যাঁরা সমুদ্রবিজ্ঞান এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ডিগ্রি সম্পন্ন করছেন, তাঁদের উচ্চশিক্ষার ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গবেষক, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্পারসো ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের চাকরির সুযোগ উল্লেখযোগ্য। তবে প্রতিবছর স্নাতক ডিগ্রি ও উচ্চশিক্ষা সম্পন্নকারী চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা এবং চাকরির পদসংখ্যার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা দরকার। এ দুই বিষয়ে সামঞ্জস্য না থাকায় অনেকে বিষয়ভিত্তিক চাকরিতে আগ্রহী না হয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজের চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে সামঞ্জস্য রক্ষার্থে বিষয় প্রাসঙ্গিক সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ইনস্টিটিউট ও অর্গানাইজেশন চালু করা এবং চাকরির পদসংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। প্রথমে যে বিষয়টি আসে, তা হলো বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে মেরিটাইম ক্যাডারের জন্য অনুমোদন ও প্রার্থী নিয়োগ করা। ফিশারিজ ক্যাডার পদ থাকলেও মূলত এই অংশে ফ্রেশ ওয়াটার-সম্পর্কিত কাজ বেশির ভাগ করা হয়। একই সঙ্গে সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মূলত সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি সম্পন্নকারী চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা, চাকরির পদসংখ্যা, গবেষণালব্ধ ফল থেকে পলিসি তৈরি এবং প্রয়োগ করা—এই সব পর্যায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকতে হবে। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা সমুদ্রসম্পদ আহরণে এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের গ্রে এরিয়াগুলোতে উন্নতি করতে সক্ষম হব। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘ক্যারিয়ার সেন্টার’ থাকা আবশ্যক, যেখানে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা ‘ক্যারিয়ার ফেয়ারে অংশ নেবেন, যাতে করে তাঁরা সাবজেক্ট রিলেভেন্ট বা প্রাসঙ্গিক চাকরি করতে বেশি হয় এবং সেই সঙ্গে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও তাদের টার্গেট অনুযায়ী প্রার্থী নিয়োগ করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসেই প্রাসঙ্গিক খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় যেমন উপকৃত হতে পারে তাদের কর্মদক্ষতা কাজে লাগিয়ে, তেমনই শিক্ষার্থীরা পরিবারের ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল না হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ‘ব্রেন ড্রেইন’-এর হার কমানোর মাধ্যমে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রে মানুষের অধিকতর আগ্রহী হয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করা খুব জরুরি।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার হাত ধরে জন্ম ডিপার্টমেন্ট অব মেরিন বায়োলজি অ্যান্ড ওশানোগ্রাফির। সেই থেকে এই ইনস্টিটিউটের পথচলা। পরে এটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ হিসেবে পরিচিত হয়। এই ইনস্টিটিউটের অধীনে মেরিন সায়েন্স, ফিশারিজ ও ওশানোগ্রাফি—এই তিনটি বিভাগ রয়েছে। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি দেশের প্রথম পাবলিক মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করে।
ভর্তির যোগ্যতা
ওশানোগ্রাফি স্নাতক প্রোগ্রামে আবেদন ও ভর্তি পরীক্ষার ন্যূনতম যোগ্যতা হলো এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ের পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এর মধ্যে উভয় ক্ষেত্রে ৪ পেতে হবে (অন্যান্য নিয়ম এবং প্রতিবছর ভর্তি পরীক্ষার ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ সাপেক্ষে)।
যেখানে পড়ানো হয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। এ ছাড়া পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএসসি ইন মেরিন ফিশারিজ অ্যান্ড ওশানোগ্রাফি নামে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু রয়েছে। ওশানোগ্রাফি ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স অনুষদের অধীনে মেরিন ফিশারিজ, ফিশারিজ, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সসহ অনেক প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়।
পঠন-পাঠন
ওশানোগ্রাফি প্রোগ্রামের অধীনে মূলত বায়োলজিক্যাল, ফিজিক্যাল, কেমিক্যাল ও জিওলজিক্যাল ওশানোগ্রাফির বিষয়সমূহ পড়ানো হয়। বায়োলজিক্যাল ওশানোগ্রাফিতে ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক প্ল্যাঙ্কটন থেকে শুরু করে তিমির মতো বৃহৎ ম্যামালস এবং অন্যান্য বায়োলজিক্যাল অর্গানিজমস, জীবনচক্র, বিচরণক্ষেত্র, ইকোসিস্টেম ও সামুদ্রিক বায়োলজিক্যাল রিসোর্স আহরণ এবং এদের সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়ানো হয়। ফিজিক্যাল ওশানোগ্রাফিতে সমুদ্রের ফিজিক্যাল প্রসেস, ওশান সার্কুলেশন অ্যান্ড ক্লাইমেট এবং তার সঙ্গে বায়োলজিক্যাল অর্গানিজমসের প্রভাব এবং ওশান কেমিক্যাল প্রসেসের প্রভাব বিষয়ে পড়ানো হয়। কেমিক্যাল ওশানোগ্রাফিতে ওশান কেমিস্ট্রি যেমন স্যালিনিটি, মেজর এবং মাইনর এলিমেন্টস, পিএইচ, নিউট্রিয়েন্টসের মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত। জিওলজিক্যাল ওশানোগ্রাফির মধ্যে আর্থ অ্যান্ড ওশান ফরমেশন, সেডিমেন্টস, ওশান ফ্লোর এক্সপ্লোরেশন এবং ওশান মাউন্টেইন, ভ্যালে, ক্যানিয়নের মতো অন্যান্য জিওলজিক্যাল ফিচার রয়েছে। এই বিষয়গুলো সামগ্রিক ধারণামাত্র। এ ছাড়া অন্যান্য বিষয় বিস্তৃত পরিসরে পড়ানো হয়।
গবেষণা ও উচ্চশিক্ষা
পৃথিবীর ৭১ শতাংশ সমুদ্রের অংশ, বাকি ২৯ শতাংশ স্থলভাগ। এই ৭১ শতাংশ সমুদ্রের সামগ্রিক বিষয়সমূহের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ৫ শতাংশ অন্বেষণ করা হয়েছে (মতভেদে পার্থক্য রয়েছে), বাকি ৯৫ শতাংশ আমাদের অজানা। বাংলাদেশের নিজস্ব সমুদ্রসীমা বে অব বেঙ্গল তথা উত্তর ভারত মহাসাগরের অংশ। বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সমুদ্রসীমার সঙ্গে ১৪ মার্চ ২০১২ সালে ইটলস ‘ITLOS’-ইন্টারন্যাশনাল ট্রাইব্যুনাল ফর দি ল অব দ্য সি-তে মিয়ানমারের সঙ্গে ও ৭ জুলাই ২০১৪ সালে ‘PCA’-পারমানেন্ট কোর্ট অব আরবিট্রেশন, হেগ, নেদারল্যান্ডসে ভারতের সঙ্গে বে অব বেঙ্গলে নতুন সমুদ্রসীমা অর্জন করে এবং সমুদ্র বিজয়ের পর বাংলাদেশের সমুদ্রের অংশ এখন ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার। উক্ত সমুদ্রসীমায় মোটাদাগের তেমন কোনো গবেষণা জরিপ না হওয়ায় কোন প্রজাতির কী পরিমাণ আহরণযোগ্য বায়োলজিক্যাল এবং নন-বায়োলজিক্যাল সম্পদ রয়েছে, এ তথ্যগুলো অজানা। কাজেই এটা স্পষ্টত যে আমাদের সমুদ্রসীমায় গবেষণার বিকল্প নেই এবং এই গবেষণাকে ত্বরান্বিত করতে উচ্চশিক্ষার প্রয়োজন। সমুদ্র গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, চীন, জাপান ছাড়াও পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে। তবে আমাদের নিশ্চয় ডেভেলপমেন্ট বা উন্নয়নের কিছু ‘গ্রে এরিয়া’ রয়েছে। যেমন উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় আমাদের দেশের সঙ্গে বাইরের দেশের কিছু পার্থক্য বিদ্যমান। সমুদ্র গবেষণায় প্রথমেই আসে ‘রিসার্চ ভেসেল’ বিষয়টি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ সমুদ্র গবেষণায় অত্যাধুনিক রিসার্চ ভেসেল ব্যবহার করছে, তবে আমাদের একটিও অত্যাধুনিক ‘রিসার্চ ভেসেল’ নেই; যেটা কিনা পুরো বছর ধরে সমুদ্রে গবেষণা করতে সক্ষম হবে, অথচ মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র বিজয়ের ১২ এবং ১০ বছর পার করছি আমরা। এখন পর্যন্ত আমরা ছোট ‘কান্ট্রি বোট’ ভাড়া করে শুধু উপকূলের কাছাকাছি অল্পবিস্তর গবেষণা করছি বছরের নির্দিষ্ট স্বল্প সময় ধরে। অন্যান্য সময়ে আবহাওয়া অনুকূল না থাকায় উপকূলের কাছেও জরিপ বা সার্ভে করা সম্ভব নয়। অথচ উপকূলে বসবাসকারী দরিদ্র পরিবারগুলোকে উপকূলের সম্পদের ওপর গবেষণা করে সেই সম্পদের যথাযোগ্যভাবে আহরণ ও ব্যবহার করে দারিদ্র্যের হার কমানো সম্ভব। অন্যান্য দেশের পর পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত গবেষণার জন্য এরই মধ্যে আর্কটিকে ‘হিমাদ্রি’ নামে একটি এবং অ্যান্টার্কটিকে ‘ভারতী’, ‘দক্ষিণ গাঙ্গোত্রী’ ও মৈত্রী নামে তিনটি গবেষণা বা রিসার্চ স্টেশন স্থাপন করেছে। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে নিশ্চয়ই আমাদের সমুদ্র গবেষণায় অনেক উন্নতির জায়গা রয়েছে। তবে শুধু রিসার্চ ভেসেল কেনা ছাড়াও এই ক্ষেত্রকে ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের রিসার্চ ভেসেল ব্যবহার করে কোলাবরেটিভ কাজ আমরা স্বল্প সময়ের মধ্যে করতে পারি। টার্গেটভিত্তিক গবেষণাও খুব জরুরি। বাংলাদেশের মিঠাপানির মাছের ওপর এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা হয়েছে। গবেষণার মধ্য দিয়ে আমরা ইলিশের প্রজনন ও বৃদ্ধির সময় নির্ধারণ করে ওই সময়সীমার জন্য মা ইলিশ এবং জাটকা ধরা ও ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকায় ইলিশের স্টক অধিকাংশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছি। কিন্তু ইলিশের জীবনচক্র ফ্রেশ ওয়াটার ও মেরিন ওয়াটার—এই দুই জায়গাতে সম্পন্ন হয় বলে মেরিন ওয়াটার অংশের ম্যানেজমেন্ট করা সম্ভব হচ্ছে না। কাজেই আমাদের ‘মেরিন প্রোটেক্টেড এরিয়া’ নির্ধারণ, গবেষণা, ম্যানেজমেন্ট পলিসি তৈরি এবং তা প্রয়োগ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই ক্ষেত্রগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যাঁরা সমুদ্রবিজ্ঞান এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ডিগ্রি সম্পন্ন করছেন, তাঁদের উচ্চশিক্ষার ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
চাকরির সুযোগ
সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, গবেষক, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট, স্পারসো ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের চাকরির সুযোগ উল্লেখযোগ্য। তবে প্রতিবছর স্নাতক ডিগ্রি ও উচ্চশিক্ষা সম্পন্নকারী চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা এবং চাকরির পদসংখ্যার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকা দরকার। এ দুই বিষয়ে সামঞ্জস্য না থাকায় অনেকে বিষয়ভিত্তিক চাকরিতে আগ্রহী না হয়ে অন্যান্য ক্ষেত্রে কাজের চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে সামঞ্জস্য রক্ষার্থে বিষয় প্রাসঙ্গিক সরকারি প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ইনস্টিটিউট ও অর্গানাইজেশন চালু করা এবং চাকরির পদসংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। প্রথমে যে বিষয়টি আসে, তা হলো বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের অধীনে মেরিটাইম ক্যাডারের জন্য অনুমোদন ও প্রার্থী নিয়োগ করা। ফিশারিজ ক্যাডার পদ থাকলেও মূলত এই অংশে ফ্রেশ ওয়াটার-সম্পর্কিত কাজ বেশির ভাগ করা হয়। একই সঙ্গে সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে গবেষণা বেশ ব্যয়বহুল হওয়ায় উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে গবেষণা বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। মূলত সমুদ্রবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি সম্পন্নকারী চাকরিপ্রার্থীর সংখ্যা, চাকরির পদসংখ্যা, গবেষণালব্ধ ফল থেকে পলিসি তৈরি এবং প্রয়োগ করা—এই সব পর্যায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকতে হবে। তাহলে নিশ্চয়ই আমরা সমুদ্রসম্পদ আহরণে এবং সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের গ্রে এরিয়াগুলোতে উন্নতি করতে সক্ষম হব। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ‘ক্যারিয়ার সেন্টার’ থাকা আবশ্যক, যেখানে সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা ‘ক্যারিয়ার ফেয়ারে অংশ নেবেন, যাতে করে তাঁরা সাবজেক্ট রিলেভেন্ট বা প্রাসঙ্গিক চাকরি করতে বেশি হয় এবং সেই সঙ্গে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানও তাদের টার্গেট অনুযায়ী প্রার্থী নিয়োগ করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসেই প্রাসঙ্গিক খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। এর মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় যেমন উপকৃত হতে পারে তাদের কর্মদক্ষতা কাজে লাগিয়ে, তেমনই শিক্ষার্থীরা পরিবারের ওপর আর্থিকভাবে নির্ভরশীল না হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া ‘ব্রেন ড্রেইন’-এর হার কমানোর মাধ্যমে বিদেশে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করে দেশে ফিরে আসার ক্ষেত্রে মানুষের অধিকতর আগ্রহী হয়ে ওঠার সুযোগ তৈরি করা খুব জরুরি।
অনুলিখন: শাহ বিলিয়া জুলফিকার

একটি আপ্তবাক্য মনে রাখতে হবে, সেটা হলো ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে’। পরিশ্রম ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখা সম্ভব নয়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে হলে শিখতে হবে নিয়মিত, অভ্যস্ত হতে হবে অধ্যবসায়ের। আর বিষয়টি যদি চাকরির প্রস্তুতি হয়, তাহলে তো কথায়ই নেই।
১ ঘণ্টা আগে
জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যমুনা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিল ভ্যাট বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
উচ্চশিক্ষা বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে আগ্রহ অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি ইউরোপে জার্মানি সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য।
১৯ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর জেলার অধীনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং সার্কিট হাউসের শূন্য পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৯ ঘণ্টা আগেমো. হারুনুর রশিদ

একটি আপ্তবাক্য মনে রাখতে হবে, সেটা হলো ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে’। পরিশ্রম ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখা সম্ভব নয়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে হলে শিখতে হবে নিয়মিত, অভ্যস্ত হতে হবে অধ্যবসায়ের। আর বিষয়টি যদি চাকরির প্রস্তুতি হয়, তাহলে তো কথায়ই নেই। কারণ, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে প্রার্থীদের কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। একজন প্রার্থী যেভাবে সময়োপযোগী চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারেন, চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
ভাষা শেখা
যোগাযোগ-দক্ষতার মূলে আছে ভাষা শিক্ষা। সর্বাগ্রে নিজের মাতৃভাষা বাংলা শুদ্ধভাবে বলা, শোনা, পড়া ও লেখার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজির চারটি মৌলিক দক্ষতায় (লিসনিং, স্পিকিং, রিডিং, রাইটিং) যত বেশি পারদর্শী হবেন, প্রতিযোগিতায় আপনি তত এগিয়ে থাকবেন। নিয়োগদাতাদের অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীরা বাংলা ভাষায়ও দক্ষ নয়। তাই নিজের মাতৃভাষা ও ইংরেজি–দুই ভাষাতেই পারদর্শিতা এখন জরুরি।
দ্রুত বুঝে নেওয়ার দক্ষতা
পড়া বিষয় দ্রুত বোঝার ক্ষমতা একান্ত প্রয়োজনীয়। কারণ, এটাই মানুষ বনাম মেশিনের দ্বন্দ্বে মানুষকে বিজয়ী করতে পারে। শুধু মুখস্থ নয়, বিষয়টি বিশ্লেষণ করে বুঝে নেওয়ার ক্ষমতাই আপনাকে প্রকৃত জ্ঞানী করে তুলবে। বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা থাকলে আপনি যেকোনো তথ্য বা সমস্যাকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারবেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন।
ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং ও ইনস্ট্যান্ট থিংকিং
‘ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং স্কিল’ মানে হলো যেকোনো বিষয়ে তৎক্ষণাৎ লেখার দক্ষতা। পরীক্ষায় বা চাকরির লিখিত অংশে এটি আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে। এ ছাড়া প্রয়োজন ‘ইনস্ট্যান্ট থিংকিং’ বা উপস্থিত বুদ্ধি। এর জন্য চাই বিশ্লেষণাত্মক মনোভাব, যা গড়ে ওঠে পড়াশোনা, চিন্তা ও ধ্যানের অভ্যাসে। সব সময় জানার আগ্রহ আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে।
ডিজিটাল লিটারেসি
বর্তমান যুগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির মৌলিক জ্ঞান থাকা বাধ্যতামূলক। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বিশেষ করে জানতে হবে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ই-মেইল ব্যবহার, ডাউনলোড ইত্যাদি। এসব না জানলে আপনি অজান্তেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বেন। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা ও চাকরি পাওয়ার জন্য ডিজিটাল লিটারেসি অপরিহার্য।
টেকনিক্যাল জ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতা
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে ভালো চাকরি-নির্ভর করছে প্রযুক্তিগত দক্ষতার ওপর, সার্টিফিকেট বা সিজিপিএ নয়। যেকোনো ক্ষেত্রে (হার্ড বা সফট) বিশেষায়িত টেকনিক্যাল জ্ঞান আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে। এর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পক্ষেত্রের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সংযোগ জোরদার করা দরকার। যাতে বাস্তব অনুশীলনের সুযোগ বাড়ে।
অভিযোজন ক্ষমতা
মানবজাতি টিকে আছে অভিযোজন ক্ষমতার কারণে। একইভাবে ব্যক্তিজীবনে অহেতুক অহংবোধ ও পুরোনো ধ্যানধারণা ছেড়ে পরিবর্তনের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে মানিয়ে নিতে হবে। নতুন দক্ষতা যত দ্রুত শিখতে পারবেন, তত দ্রুতই পরিস্থিতি আপনাকে মূল্যবান করে তুলবেন। যাঁর অভিযোজন ক্ষমতা যত বেশি, তাঁর প্রাসঙ্গিক থাকার সম্ভাবনাও তত বেশি।
সুনাগরিক হওয়া
একজন সুনাগরিকের গুণাবলি হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহমর্মিতা, দেশপ্রেম, সহনশীলতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ববোধ। এই গুণাবলি আপনাকে প্রতিযোগিতামূলক এই সময়েও একজন অসাধারণ মানুষ হিসেবে প্রাসঙ্গিক রাখবে।
চাকরির প্রস্তুতি মানে শুধু সনদ নয়, এটি নিরবচ্ছিন্ন শেখা, মানিয়ে নেওয়া ও নিজেকে উন্নত করার এক ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ভাষা, প্রযুক্তি, বিশ্লেষণক্ষমতা, উপস্থিত বুদ্ধি ও মানবিক গুণাবলির সমন্বয়েই আপনি হয়ে উঠবেন সময়োপযোগী, দক্ষ ও প্রাসঙ্গিক এক পেশাজীবী।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

একটি আপ্তবাক্য মনে রাখতে হবে, সেটা হলো ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে’। পরিশ্রম ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখা সম্ভব নয়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে হলে শিখতে হবে নিয়মিত, অভ্যস্ত হতে হবে অধ্যবসায়ের। আর বিষয়টি যদি চাকরির প্রস্তুতি হয়, তাহলে তো কথায়ই নেই। কারণ, নিয়োগ পরীক্ষাগুলোতে প্রার্থীদের কঠিন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। একজন প্রার্থী যেভাবে সময়োপযোগী চাকরির প্রস্তুতি নিতে পারেন, চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
ভাষা শেখা
যোগাযোগ-দক্ষতার মূলে আছে ভাষা শিক্ষা। সর্বাগ্রে নিজের মাতৃভাষা বাংলা শুদ্ধভাবে বলা, শোনা, পড়া ও লেখার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজির চারটি মৌলিক দক্ষতায় (লিসনিং, স্পিকিং, রিডিং, রাইটিং) যত বেশি পারদর্শী হবেন, প্রতিযোগিতায় আপনি তত এগিয়ে থাকবেন। নিয়োগদাতাদের অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীরা বাংলা ভাষায়ও দক্ষ নয়। তাই নিজের মাতৃভাষা ও ইংরেজি–দুই ভাষাতেই পারদর্শিতা এখন জরুরি।
দ্রুত বুঝে নেওয়ার দক্ষতা
পড়া বিষয় দ্রুত বোঝার ক্ষমতা একান্ত প্রয়োজনীয়। কারণ, এটাই মানুষ বনাম মেশিনের দ্বন্দ্বে মানুষকে বিজয়ী করতে পারে। শুধু মুখস্থ নয়, বিষয়টি বিশ্লেষণ করে বুঝে নেওয়ার ক্ষমতাই আপনাকে প্রকৃত জ্ঞানী করে তুলবে। বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা থাকলে আপনি যেকোনো তথ্য বা সমস্যাকে গভীরভাবে অনুধাবন করতে পারবেন এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হবেন।
ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং ও ইনস্ট্যান্ট থিংকিং
‘ফ্রি হ্যান্ড রাইটিং স্কিল’ মানে হলো যেকোনো বিষয়ে তৎক্ষণাৎ লেখার দক্ষতা। পরীক্ষায় বা চাকরির লিখিত অংশে এটি আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে। এ ছাড়া প্রয়োজন ‘ইনস্ট্যান্ট থিংকিং’ বা উপস্থিত বুদ্ধি। এর জন্য চাই বিশ্লেষণাত্মক মনোভাব, যা গড়ে ওঠে পড়াশোনা, চিন্তা ও ধ্যানের অভ্যাসে। সব সময় জানার আগ্রহ আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে।
ডিজিটাল লিটারেসি
বর্তমান যুগে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির মৌলিক জ্ঞান থাকা বাধ্যতামূলক। স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। বিশেষ করে জানতে হবে। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ারপয়েন্ট, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ই-মেইল ব্যবহার, ডাউনলোড ইত্যাদি। এসব না জানলে আপনি অজান্তেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়বেন। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা ও চাকরি পাওয়ার জন্য ডিজিটাল লিটারেসি অপরিহার্য।
টেকনিক্যাল জ্ঞান ও বাস্তব অভিজ্ঞতা
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে ভালো চাকরি-নির্ভর করছে প্রযুক্তিগত দক্ষতার ওপর, সার্টিফিকেট বা সিজিপিএ নয়। যেকোনো ক্ষেত্রে (হার্ড বা সফট) বিশেষায়িত টেকনিক্যাল জ্ঞান আপনাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে। এর জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্পক্ষেত্রের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সংযোগ জোরদার করা দরকার। যাতে বাস্তব অনুশীলনের সুযোগ বাড়ে।
অভিযোজন ক্ষমতা
মানবজাতি টিকে আছে অভিযোজন ক্ষমতার কারণে। একইভাবে ব্যক্তিজীবনে অহেতুক অহংবোধ ও পুরোনো ধ্যানধারণা ছেড়ে পরিবর্তনের সঙ্গে ইতিবাচকভাবে মানিয়ে নিতে হবে। নতুন দক্ষতা যত দ্রুত শিখতে পারবেন, তত দ্রুতই পরিস্থিতি আপনাকে মূল্যবান করে তুলবেন। যাঁর অভিযোজন ক্ষমতা যত বেশি, তাঁর প্রাসঙ্গিক থাকার সম্ভাবনাও তত বেশি।
সুনাগরিক হওয়া
একজন সুনাগরিকের গুণাবলি হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, সহমর্মিতা, দেশপ্রেম, সহনশীলতা, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা, রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ববোধ। এই গুণাবলি আপনাকে প্রতিযোগিতামূলক এই সময়েও একজন অসাধারণ মানুষ হিসেবে প্রাসঙ্গিক রাখবে।
চাকরির প্রস্তুতি মানে শুধু সনদ নয়, এটি নিরবচ্ছিন্ন শেখা, মানিয়ে নেওয়া ও নিজেকে উন্নত করার এক ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। ভাষা, প্রযুক্তি, বিশ্লেষণক্ষমতা, উপস্থিত বুদ্ধি ও মানবিক গুণাবলির সমন্বয়েই আপনি হয়ে উঠবেন সময়োপযোগী, দক্ষ ও প্রাসঙ্গিক এক পেশাজীবী।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়

১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার হাত ধরে জন্ম ডিপার্টমেন্ট অব মেরিন বায়োলজি অ্যান্ড ওশানোগ্রাফির। সেই থেকে এই ইনস্টিটিউটের পথচলা। পরে এটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ হিসেবে পরিচিত হয়। এই ইনস্টিটিউটের অধীনে মেরিন সায়েন্স, ফিশারিজ ও ওশানোগ্রাফি—এই
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যমুনা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিল ভ্যাট বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
উচ্চশিক্ষা বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে আগ্রহ অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি ইউরোপে জার্মানি সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য।
১৯ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর জেলার অধীনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং সার্কিট হাউসের শূন্য পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৯ ঘণ্টা আগেচাকরি ডেস্ক

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যমুনা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিল ভ্যাট বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: এক্সিকিউটিভ, (ভ্যাট)।
পদসংখ্যা: ৩টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএ/বিবিএ।
অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৪ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
চাকরির ধরন: ফুল টাইম।
প্রার্থীর ধরন: আগ্রহী শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
কর্মক্ষেত্র: অফিসে।
বয়সসীমা: সর্বনিম্ন ২৫ বছর।
কর্মস্থল: হবিগঞ্জ।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে। প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট, উৎসব ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২১ নভেম্বর, ২০২৫।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যমুনা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিল ভ্যাট বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: এক্সিকিউটিভ, (ভ্যাট)।
পদসংখ্যা: ৩টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এমবিএ/বিবিএ।
অভিজ্ঞতা: সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৪ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
চাকরির ধরন: ফুল টাইম।
প্রার্থীর ধরন: আগ্রহী শুধু পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
কর্মক্ষেত্র: অফিসে।
বয়সসীমা: সর্বনিম্ন ২৫ বছর।
কর্মস্থল: হবিগঞ্জ।
বেতন: আলোচনা সাপেক্ষে। প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর ইনক্রিমেন্ট, উৎসব ভাতার ব্যবস্থা রয়েছে।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ২১ নভেম্বর, ২০২৫।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার হাত ধরে জন্ম ডিপার্টমেন্ট অব মেরিন বায়োলজি অ্যান্ড ওশানোগ্রাফির। সেই থেকে এই ইনস্টিটিউটের পথচলা। পরে এটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ হিসেবে পরিচিত হয়। এই ইনস্টিটিউটের অধীনে মেরিন সায়েন্স, ফিশারিজ ও ওশানোগ্রাফি—এই
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
একটি আপ্তবাক্য মনে রাখতে হবে, সেটা হলো ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে’। পরিশ্রম ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখা সম্ভব নয়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে হলে শিখতে হবে নিয়মিত, অভ্যস্ত হতে হবে অধ্যবসায়ের। আর বিষয়টি যদি চাকরির প্রস্তুতি হয়, তাহলে তো কথায়ই নেই।
১ ঘণ্টা আগে
উচ্চশিক্ষা বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে আগ্রহ অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি ইউরোপে জার্মানি সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য।
১৯ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর জেলার অধীনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং সার্কিট হাউসের শূন্য পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৯ ঘণ্টা আগেরবিউল এইচ চৌধুরী

উচ্চশিক্ষা বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে আগ্রহ অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি ইউরোপে জার্মানি সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য। জার্মানিতে পেশাগত সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে লিখেছেন রবিউল এইচ চৌধুরী। তিনি জার্মানি থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য
জার্মানির কোম্পানিগুলো সাধারণত শিক্ষাগত ফলাফল বা গ্রেডের দিকে কম মনোযোগ দেয়; তারা দেখতে চায় প্রার্থী কতটা দক্ষ। তাই যে ক্ষেত্রে চাকরি করতে চান, সেই ক্ষেত্রে যথাযথ দক্ষতা অর্জন করুন। পড়াশোনা চলাকালীন ইন্টার্নশিপ বা ল্যাবের কাজের মাধ্যমে এটি অর্জন করা সম্ভব।
জার্মান ভাষার প্রয়োজনীয়তা
চাকরি এবং সামাজিক জীবনে জার্মান ভাষার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। তাই B1 পর্যায় পর্যন্ত জার্মান শিখে রাখা উচিত।
আবেদনপত্র প্রস্তুতি
� সিভি এবং মোটিভেশন লেটার জার্মান ভাষায় তৈরি করা ভালো।
� সিভি ‘ইউরোপাস ফরম্যাটে হওয়া উচিত।
চাকরির বাজার ও নেটওয়ার্কিং
জার্মানিতে বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি, বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে বেশি। পেশাগত মেলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সেন্টার এবং লিঙ্কডইনের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক গড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক প্রস্তুতি এবং দক্ষতা থাকলে জার্মানিতে পেশাগত সুযোগ খুঁজে পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হয়।

উচ্চশিক্ষা বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে আগ্রহ অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি ইউরোপে জার্মানি সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য। জার্মানিতে পেশাগত সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে লিখেছেন রবিউল এইচ চৌধুরী। তিনি জার্মানি থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন।
দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য
জার্মানির কোম্পানিগুলো সাধারণত শিক্ষাগত ফলাফল বা গ্রেডের দিকে কম মনোযোগ দেয়; তারা দেখতে চায় প্রার্থী কতটা দক্ষ। তাই যে ক্ষেত্রে চাকরি করতে চান, সেই ক্ষেত্রে যথাযথ দক্ষতা অর্জন করুন। পড়াশোনা চলাকালীন ইন্টার্নশিপ বা ল্যাবের কাজের মাধ্যমে এটি অর্জন করা সম্ভব।
জার্মান ভাষার প্রয়োজনীয়তা
চাকরি এবং সামাজিক জীবনে জার্মান ভাষার গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। তাই B1 পর্যায় পর্যন্ত জার্মান শিখে রাখা উচিত।
আবেদনপত্র প্রস্তুতি
� সিভি এবং মোটিভেশন লেটার জার্মান ভাষায় তৈরি করা ভালো।
� সিভি ‘ইউরোপাস ফরম্যাটে হওয়া উচিত।
চাকরির বাজার ও নেটওয়ার্কিং
জার্মানিতে বিশেষজ্ঞদের চাহিদা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইঞ্জিনিয়ারিং, আইটি, বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে বেশি। পেশাগত মেলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ার সেন্টার এবং লিঙ্কডইনের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক গড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক প্রস্তুতি এবং দক্ষতা থাকলে জার্মানিতে পেশাগত সুযোগ খুঁজে পাওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ হয়।

১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার হাত ধরে জন্ম ডিপার্টমেন্ট অব মেরিন বায়োলজি অ্যান্ড ওশানোগ্রাফির। সেই থেকে এই ইনস্টিটিউটের পথচলা। পরে এটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ হিসেবে পরিচিত হয়। এই ইনস্টিটিউটের অধীনে মেরিন সায়েন্স, ফিশারিজ ও ওশানোগ্রাফি—এই
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
একটি আপ্তবাক্য মনে রাখতে হবে, সেটা হলো ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে’। পরিশ্রম ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখা সম্ভব নয়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে হলে শিখতে হবে নিয়মিত, অভ্যস্ত হতে হবে অধ্যবসায়ের। আর বিষয়টি যদি চাকরির প্রস্তুতি হয়, তাহলে তো কথায়ই নেই।
১ ঘণ্টা আগে
জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যমুনা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিল ভ্যাট বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
রাজবাড়ীর জেলার অধীনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং সার্কিট হাউসের শূন্য পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৯ ঘণ্টা আগেচাকরি ডেস্ক

রাজবাড়ীর জেলার অধীনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং সার্কিট হাউসের শূন্য পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
কার্যালয়ের নাম: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাজবাড়ী ও অধীনস্থ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সমূহ।
পদের নাম: অফিস সহায়ক।
পদ সংখ্যা: ১০টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
কার্যালয়ের নাম: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাজবাড়ী, সার্কিট হাউস, রাজবাড়ী ও অধীনস্থ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সমূহ।
পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী।
পদ সংখ্যা: ১১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
কার্যালয়ের নাম: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাজবাড়ী ও অধীনস্থ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সমূহ।
পদের নাম: পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
পদ সংখ্যা: ৫টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
কার্যালয়ের নাম: সার্কিট হাউস, রাজবাড়ী।
পদের নাম: বেয়ারার
পদ সংখ্যা: ২টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
কার্যালয়ের নাম: সার্কিট হাউস, রাজবাড়ী।
পদের নাম: বাবুর্চি।
পদ সংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩০ নভেম্বর, ২০২৫।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

রাজবাড়ীর জেলার অধীনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় এবং সার্কিট হাউসের শূন্য পদে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) থেকে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
কার্যালয়ের নাম: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাজবাড়ী ও অধীনস্থ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সমূহ।
পদের নাম: অফিস সহায়ক।
পদ সংখ্যা: ১০টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
কার্যালয়ের নাম: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাজবাড়ী, সার্কিট হাউস, রাজবাড়ী ও অধীনস্থ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সমূহ।
পদের নাম: নিরাপত্তা প্রহরী।
পদ সংখ্যা: ১১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
কার্যালয়ের নাম: জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, রাজবাড়ী ও অধীনস্থ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সমূহ।
পদের নাম: পরিচ্ছন্নতাকর্মী।
পদ সংখ্যা: ৫টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
কার্যালয়ের নাম: সার্কিট হাউস, রাজবাড়ী।
পদের নাম: বেয়ারার
পদ সংখ্যা: ২টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
কার্যালয়ের নাম: সার্কিট হাউস, রাজবাড়ী।
পদের নাম: বাবুর্চি।
পদ সংখ্যা: ১টি।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।
বেতন: ৮,২৫০-২০,০১০ টাকা।
আবেদন পদ্ধতি: আগ্রহী প্রার্থীরা এখানে ক্লিক করে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়: ৩০ নভেম্বর, ২০২৫।
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি।

১৯৬৭-৬৮ সালের দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টর আব্দুল লতিফ ভূঁইয়ার হাত ধরে জন্ম ডিপার্টমেন্ট অব মেরিন বায়োলজি অ্যান্ড ওশানোগ্রাফির। সেই থেকে এই ইনস্টিটিউটের পথচলা। পরে এটি ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ হিসেবে পরিচিত হয়। এই ইনস্টিটিউটের অধীনে মেরিন সায়েন্স, ফিশারিজ ও ওশানোগ্রাফি—এই
২৫ ডিসেম্বর ২০২৩
একটি আপ্তবাক্য মনে রাখতে হবে, সেটা হলো ‘কষ্ট করলে কেষ্ট মেলে’। পরিশ্রম ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখা সম্ভব নয়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টিকে থাকতে হলে শিখতে হবে নিয়মিত, অভ্যস্ত হতে হবে অধ্যবসায়ের। আর বিষয়টি যদি চাকরির প্রস্তুতি হয়, তাহলে তো কথায়ই নেই।
১ ঘণ্টা আগে
জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যমুনা গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিল ভ্যাট বিভাগে ‘এক্সিকিউটিভ’ পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ২৯ অক্টোবর এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
১৮ ঘণ্টা আগে
উচ্চশিক্ষা বা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইউরোপের দেশগুলোতে আগ্রহ অনেক বেশি। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি ইউরোপে জার্মানি সবচেয়ে পছন্দের গন্তব্য।
১৯ ঘণ্টা আগে