মো. তৌফিকুল ইসলাম

দ্রুত বর্ধনশীল বৈশ্বিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে দেশে-বিদেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়াশোনার বিষয় হলো ‘ফার্মেসি’। বর্তমানে ফার্মেসি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা তরুণদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ফার্মেসি শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. তৌফিকুল ইসলাম।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ফার্মেসি বেশ পছন্দের বিষয়। প্রথমত, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবায় পেশাদারদের চাহিদা থাকায় ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েটদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে ভালো চাকরির সম্ভাবনা থাকে। দ্বিতীয়ত, অনেক সংস্কৃতিতে স্বাস্থ্যসেবা পেশাটি বেশ সম্মানজনক। তাই ডাক্তার ও ফার্মাসিস্ট হওয়াকে মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। তৃতীয়ত, স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রবৃদ্ধি হওয়ায় হাসপাতাল, ফার্মেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য ফার্মাসিস্টদের চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা ও গবেষণার সুযোগ—সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছে ফার্মেসি।
প্রয়োজনীয়তা
ফার্মাসিস্ট মানেই ওষুধ বিক্রেতা—এটি আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের ধারণা। তবে ওষুধ বিক্রেতা হলেন একজন ফার্মেসি টেকনিশিয়ান। মূলত তিন মাসের কোর্স করে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান হিসেবে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিভিন্ন পেশায় কাজ করা মানুষ মাত্র ৩-৪ মাস ওষুধের দোকানে কাজ করে তথা ওষুধ বিক্রির কাজ শিখে হয়ে যাচ্ছে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান। আবার কোনো কোনো দোকানে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি চলে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ। বিক্রেতাদের মধ্যে অনেকে আবার রোগের কথা শুনে স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা ছাড়াই নির্দ্বিধায় ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন রোগীদের, রোগীরাও সাদরে গ্রহণ করে চলেছেন সেই সেবা বা চিকিৎসা; আর এই চর্চার মধ্য দিয়ে ৩-৪ মাসের ওষুধ বিক্রির ব্যবহারিক ধারণা থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে ফার্মাসিস্ট হিসেবে মর্যাদা লাভ করছেন, যা মূলত উভয় পক্ষের সচেতনতার অভাব বলা যেতে পারে। এ জন্য মনে রাখা উচিত যে ‘একজন ডাক্তার ভুল করলে রোগী মারা যাবে, কিন্তু একজন ফার্মাসিস্ট ভুল করলে জাতি বড় একটি সংখ্যা হারাবে।’ কারণ, ওষুধ প্রস্তুতকরণ থেকে শুরু করে গুণগতমান নির্ধারণ, ওষুধ নির্ধারণ, ডোজ নির্ধারণ, কিংবা ওষুধের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ—এ সবই একজন ফার্মাসিস্টের কাজ। তাই স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে দেশে হসপিটাল ফার্মেসিতে ‘এ’ গ্রেড ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করা একটি সময়ের দাবি।
দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ
ফার্মেসি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও ফিজিওলজি, এনাটমি ও ফার্মাকোলজির মতো শক্তিশালী মৌলিক বিষয়গুলো বিকশিত ও বিষয়গুলোর মৌলিক নীতি বোঝার ওপর ফোকাস করতে হবে। এই বিষয়গুলো মূলত ফার্মেসি শিক্ষার ভিত্তি তৈরি করে। পাশাপাশি ফার্মেসিতে ভালো করার আপডেট থাকাও জরুরি। আপডেট থাকার জন্য নিয়মিত অ্যাকাডেমিক জার্নাল পড়া যেতে পারে। সেমিনার ও ওয়ার্কশপে যোগ দিয়েও ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণা ও স্বাস্থ্যসেবা অনুশীলনের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত থাকা যায়। বিষয়কেন্দ্রিক ব্যবহারিক শিক্ষায় সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকাও সহায়ক হতে পারে। পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। ফার্মেসি শিক্ষার জন্য বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা প্রয়োজন। গবেষণাপত্র, কেস স্টাডি ও ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার অনুশীলন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে সহকর্মী, অধ্যাপক এবং পেশাদারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা খুব জরুরি। তাই গ্রুপ প্রকল্পে সহযোগিতা করুন, ছাত্রসংগঠনে যোগ দিন, কিংবা নেটওয়ার্ক প্রসারিত করতে শিল্প ইভেন্টেও অংশ নেওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে অধ্যাপক বা অনুশীলনকারী ফার্মাসিস্টের মধ্যে যাঁরা আপনার শিক্ষাগত যাত্রা, এমনকি পরবর্তী জীবনেও নির্দেশিকা, সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবেন—সেই রকম বুঝেশুনে পরামর্শদাতা শনাক্ত করতে হবে। সবশেষে নৈতিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকুন। গবেষণা, রোগীর যত্ন এবং সহকর্মী ও ক্লায়েন্টদের সঙ্গে নৈতিক মানগুলো মেনে চলা উচিত। এই পরামর্শগুলো মেনে চললে সফল ক্যারিয়ারের জন্য শিক্ষার্থীরা একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
ক্যারিয়ারের সুযোগ
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক—উভয় পর্যায়েই ফার্মেসি বিষয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি (৩৫০+), হাসপাতাল, সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BCSIR) এবং একাডেমিয়ায় (বিভিন্ন পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়) কাজ করার সুযোগ অর্জন করেন। পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত নানা বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, গবেষণা সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় ও পরামর্শক সংস্থাগুলোতে কাজের সুযোগের কথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, কমিউনিটি ফার্মেসি, হসপিটাল ফার্মেসির মতো ক্ষেত্রগুলো সেই সম্ভাবনার মধ্যে অন্যতম। স্নাতক শিক্ষার্থীরা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, ড্রাগ ডেভেলপমেন্ট, ফরমুলেশন, ম্যানুফ্যাকচারিং, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স, মার্কেটিং, সেলস এবং ফার্মাকোভিজিল্যান্সের মতো ক্ষেত্রগুলোতে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। পাশাপাশি ওষুধ সরবরাহ, রোগীকে পরামর্শ প্রদান, স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং পরিচালনা, টিকা পরিচালনা এবং ওষুধ থেরাপি ব্যবস্থাপনা পরিষেবা তথা কমিউনিটি ফার্মেসিতেও কাজের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ওপর ক্রমবর্ধমান ফোকাসসহ কমিউনিটি ফার্মেসির ভূমিকা প্রসারিত হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় ওষুধ ব্যবস্থাপনা, জীবাণুমুক্ত রাখা, স্বাস্থ্যসেবা দলের সঙ্গে সহযোগিতা, ওষুধ বিতরণব্যবস্থা পরিচালনা, ওষুধের নিরাপদ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত বা হসপিটাল ফার্মেসি উপখাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।
অনুলিখন: নাজমুল ইসলাম শাকিল

দ্রুত বর্ধনশীল বৈশ্বিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে দেশে-বিদেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়াশোনার বিষয় হলো ‘ফার্মেসি’। বর্তমানে ফার্মেসি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা তরুণদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ফার্মেসি শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. তৌফিকুল ইসলাম।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ফার্মেসি বেশ পছন্দের বিষয়। প্রথমত, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবায় পেশাদারদের চাহিদা থাকায় ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েটদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে ভালো চাকরির সম্ভাবনা থাকে। দ্বিতীয়ত, অনেক সংস্কৃতিতে স্বাস্থ্যসেবা পেশাটি বেশ সম্মানজনক। তাই ডাক্তার ও ফার্মাসিস্ট হওয়াকে মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। তৃতীয়ত, স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রবৃদ্ধি হওয়ায় হাসপাতাল, ফার্মেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য ফার্মাসিস্টদের চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা ও গবেষণার সুযোগ—সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছে ফার্মেসি।
প্রয়োজনীয়তা
ফার্মাসিস্ট মানেই ওষুধ বিক্রেতা—এটি আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের ধারণা। তবে ওষুধ বিক্রেতা হলেন একজন ফার্মেসি টেকনিশিয়ান। মূলত তিন মাসের কোর্স করে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান হিসেবে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিভিন্ন পেশায় কাজ করা মানুষ মাত্র ৩-৪ মাস ওষুধের দোকানে কাজ করে তথা ওষুধ বিক্রির কাজ শিখে হয়ে যাচ্ছে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান। আবার কোনো কোনো দোকানে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি চলে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ। বিক্রেতাদের মধ্যে অনেকে আবার রোগের কথা শুনে স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা ছাড়াই নির্দ্বিধায় ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন রোগীদের, রোগীরাও সাদরে গ্রহণ করে চলেছেন সেই সেবা বা চিকিৎসা; আর এই চর্চার মধ্য দিয়ে ৩-৪ মাসের ওষুধ বিক্রির ব্যবহারিক ধারণা থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে ফার্মাসিস্ট হিসেবে মর্যাদা লাভ করছেন, যা মূলত উভয় পক্ষের সচেতনতার অভাব বলা যেতে পারে। এ জন্য মনে রাখা উচিত যে ‘একজন ডাক্তার ভুল করলে রোগী মারা যাবে, কিন্তু একজন ফার্মাসিস্ট ভুল করলে জাতি বড় একটি সংখ্যা হারাবে।’ কারণ, ওষুধ প্রস্তুতকরণ থেকে শুরু করে গুণগতমান নির্ধারণ, ওষুধ নির্ধারণ, ডোজ নির্ধারণ, কিংবা ওষুধের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ—এ সবই একজন ফার্মাসিস্টের কাজ। তাই স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে দেশে হসপিটাল ফার্মেসিতে ‘এ’ গ্রেড ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করা একটি সময়ের দাবি।
দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ
ফার্মেসি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও ফিজিওলজি, এনাটমি ও ফার্মাকোলজির মতো শক্তিশালী মৌলিক বিষয়গুলো বিকশিত ও বিষয়গুলোর মৌলিক নীতি বোঝার ওপর ফোকাস করতে হবে। এই বিষয়গুলো মূলত ফার্মেসি শিক্ষার ভিত্তি তৈরি করে। পাশাপাশি ফার্মেসিতে ভালো করার আপডেট থাকাও জরুরি। আপডেট থাকার জন্য নিয়মিত অ্যাকাডেমিক জার্নাল পড়া যেতে পারে। সেমিনার ও ওয়ার্কশপে যোগ দিয়েও ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণা ও স্বাস্থ্যসেবা অনুশীলনের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত থাকা যায়। বিষয়কেন্দ্রিক ব্যবহারিক শিক্ষায় সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকাও সহায়ক হতে পারে। পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। ফার্মেসি শিক্ষার জন্য বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা প্রয়োজন। গবেষণাপত্র, কেস স্টাডি ও ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার অনুশীলন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে সহকর্মী, অধ্যাপক এবং পেশাদারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা খুব জরুরি। তাই গ্রুপ প্রকল্পে সহযোগিতা করুন, ছাত্রসংগঠনে যোগ দিন, কিংবা নেটওয়ার্ক প্রসারিত করতে শিল্প ইভেন্টেও অংশ নেওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে অধ্যাপক বা অনুশীলনকারী ফার্মাসিস্টের মধ্যে যাঁরা আপনার শিক্ষাগত যাত্রা, এমনকি পরবর্তী জীবনেও নির্দেশিকা, সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবেন—সেই রকম বুঝেশুনে পরামর্শদাতা শনাক্ত করতে হবে। সবশেষে নৈতিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকুন। গবেষণা, রোগীর যত্ন এবং সহকর্মী ও ক্লায়েন্টদের সঙ্গে নৈতিক মানগুলো মেনে চলা উচিত। এই পরামর্শগুলো মেনে চললে সফল ক্যারিয়ারের জন্য শিক্ষার্থীরা একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
ক্যারিয়ারের সুযোগ
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক—উভয় পর্যায়েই ফার্মেসি বিষয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি (৩৫০+), হাসপাতাল, সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BCSIR) এবং একাডেমিয়ায় (বিভিন্ন পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়) কাজ করার সুযোগ অর্জন করেন। পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত নানা বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, গবেষণা সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় ও পরামর্শক সংস্থাগুলোতে কাজের সুযোগের কথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, কমিউনিটি ফার্মেসি, হসপিটাল ফার্মেসির মতো ক্ষেত্রগুলো সেই সম্ভাবনার মধ্যে অন্যতম। স্নাতক শিক্ষার্থীরা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, ড্রাগ ডেভেলপমেন্ট, ফরমুলেশন, ম্যানুফ্যাকচারিং, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স, মার্কেটিং, সেলস এবং ফার্মাকোভিজিল্যান্সের মতো ক্ষেত্রগুলোতে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। পাশাপাশি ওষুধ সরবরাহ, রোগীকে পরামর্শ প্রদান, স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং পরিচালনা, টিকা পরিচালনা এবং ওষুধ থেরাপি ব্যবস্থাপনা পরিষেবা তথা কমিউনিটি ফার্মেসিতেও কাজের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ওপর ক্রমবর্ধমান ফোকাসসহ কমিউনিটি ফার্মেসির ভূমিকা প্রসারিত হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় ওষুধ ব্যবস্থাপনা, জীবাণুমুক্ত রাখা, স্বাস্থ্যসেবা দলের সঙ্গে সহযোগিতা, ওষুধ বিতরণব্যবস্থা পরিচালনা, ওষুধের নিরাপদ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত বা হসপিটাল ফার্মেসি উপখাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।
অনুলিখন: নাজমুল ইসলাম শাকিল
মো. তৌফিকুল ইসলাম

দ্রুত বর্ধনশীল বৈশ্বিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে দেশে-বিদেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়াশোনার বিষয় হলো ‘ফার্মেসি’। বর্তমানে ফার্মেসি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা তরুণদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ফার্মেসি শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. তৌফিকুল ইসলাম।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ফার্মেসি বেশ পছন্দের বিষয়। প্রথমত, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবায় পেশাদারদের চাহিদা থাকায় ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েটদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে ভালো চাকরির সম্ভাবনা থাকে। দ্বিতীয়ত, অনেক সংস্কৃতিতে স্বাস্থ্যসেবা পেশাটি বেশ সম্মানজনক। তাই ডাক্তার ও ফার্মাসিস্ট হওয়াকে মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। তৃতীয়ত, স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রবৃদ্ধি হওয়ায় হাসপাতাল, ফার্মেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য ফার্মাসিস্টদের চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা ও গবেষণার সুযোগ—সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছে ফার্মেসি।
প্রয়োজনীয়তা
ফার্মাসিস্ট মানেই ওষুধ বিক্রেতা—এটি আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের ধারণা। তবে ওষুধ বিক্রেতা হলেন একজন ফার্মেসি টেকনিশিয়ান। মূলত তিন মাসের কোর্স করে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান হিসেবে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিভিন্ন পেশায় কাজ করা মানুষ মাত্র ৩-৪ মাস ওষুধের দোকানে কাজ করে তথা ওষুধ বিক্রির কাজ শিখে হয়ে যাচ্ছে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান। আবার কোনো কোনো দোকানে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি চলে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ। বিক্রেতাদের মধ্যে অনেকে আবার রোগের কথা শুনে স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা ছাড়াই নির্দ্বিধায় ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন রোগীদের, রোগীরাও সাদরে গ্রহণ করে চলেছেন সেই সেবা বা চিকিৎসা; আর এই চর্চার মধ্য দিয়ে ৩-৪ মাসের ওষুধ বিক্রির ব্যবহারিক ধারণা থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে ফার্মাসিস্ট হিসেবে মর্যাদা লাভ করছেন, যা মূলত উভয় পক্ষের সচেতনতার অভাব বলা যেতে পারে। এ জন্য মনে রাখা উচিত যে ‘একজন ডাক্তার ভুল করলে রোগী মারা যাবে, কিন্তু একজন ফার্মাসিস্ট ভুল করলে জাতি বড় একটি সংখ্যা হারাবে।’ কারণ, ওষুধ প্রস্তুতকরণ থেকে শুরু করে গুণগতমান নির্ধারণ, ওষুধ নির্ধারণ, ডোজ নির্ধারণ, কিংবা ওষুধের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ—এ সবই একজন ফার্মাসিস্টের কাজ। তাই স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে দেশে হসপিটাল ফার্মেসিতে ‘এ’ গ্রেড ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করা একটি সময়ের দাবি।
দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ
ফার্মেসি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও ফিজিওলজি, এনাটমি ও ফার্মাকোলজির মতো শক্তিশালী মৌলিক বিষয়গুলো বিকশিত ও বিষয়গুলোর মৌলিক নীতি বোঝার ওপর ফোকাস করতে হবে। এই বিষয়গুলো মূলত ফার্মেসি শিক্ষার ভিত্তি তৈরি করে। পাশাপাশি ফার্মেসিতে ভালো করার আপডেট থাকাও জরুরি। আপডেট থাকার জন্য নিয়মিত অ্যাকাডেমিক জার্নাল পড়া যেতে পারে। সেমিনার ও ওয়ার্কশপে যোগ দিয়েও ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণা ও স্বাস্থ্যসেবা অনুশীলনের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত থাকা যায়। বিষয়কেন্দ্রিক ব্যবহারিক শিক্ষায় সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকাও সহায়ক হতে পারে। পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। ফার্মেসি শিক্ষার জন্য বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা প্রয়োজন। গবেষণাপত্র, কেস স্টাডি ও ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার অনুশীলন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে সহকর্মী, অধ্যাপক এবং পেশাদারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা খুব জরুরি। তাই গ্রুপ প্রকল্পে সহযোগিতা করুন, ছাত্রসংগঠনে যোগ দিন, কিংবা নেটওয়ার্ক প্রসারিত করতে শিল্প ইভেন্টেও অংশ নেওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে অধ্যাপক বা অনুশীলনকারী ফার্মাসিস্টের মধ্যে যাঁরা আপনার শিক্ষাগত যাত্রা, এমনকি পরবর্তী জীবনেও নির্দেশিকা, সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবেন—সেই রকম বুঝেশুনে পরামর্শদাতা শনাক্ত করতে হবে। সবশেষে নৈতিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকুন। গবেষণা, রোগীর যত্ন এবং সহকর্মী ও ক্লায়েন্টদের সঙ্গে নৈতিক মানগুলো মেনে চলা উচিত। এই পরামর্শগুলো মেনে চললে সফল ক্যারিয়ারের জন্য শিক্ষার্থীরা একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
ক্যারিয়ারের সুযোগ
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক—উভয় পর্যায়েই ফার্মেসি বিষয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি (৩৫০+), হাসপাতাল, সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BCSIR) এবং একাডেমিয়ায় (বিভিন্ন পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়) কাজ করার সুযোগ অর্জন করেন। পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত নানা বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, গবেষণা সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় ও পরামর্শক সংস্থাগুলোতে কাজের সুযোগের কথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, কমিউনিটি ফার্মেসি, হসপিটাল ফার্মেসির মতো ক্ষেত্রগুলো সেই সম্ভাবনার মধ্যে অন্যতম। স্নাতক শিক্ষার্থীরা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, ড্রাগ ডেভেলপমেন্ট, ফরমুলেশন, ম্যানুফ্যাকচারিং, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স, মার্কেটিং, সেলস এবং ফার্মাকোভিজিল্যান্সের মতো ক্ষেত্রগুলোতে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। পাশাপাশি ওষুধ সরবরাহ, রোগীকে পরামর্শ প্রদান, স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং পরিচালনা, টিকা পরিচালনা এবং ওষুধ থেরাপি ব্যবস্থাপনা পরিষেবা তথা কমিউনিটি ফার্মেসিতেও কাজের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ওপর ক্রমবর্ধমান ফোকাসসহ কমিউনিটি ফার্মেসির ভূমিকা প্রসারিত হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় ওষুধ ব্যবস্থাপনা, জীবাণুমুক্ত রাখা, স্বাস্থ্যসেবা দলের সঙ্গে সহযোগিতা, ওষুধ বিতরণব্যবস্থা পরিচালনা, ওষুধের নিরাপদ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত বা হসপিটাল ফার্মেসি উপখাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।
অনুলিখন: নাজমুল ইসলাম শাকিল

দ্রুত বর্ধনশীল বৈশ্বিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে দেশে-বিদেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়াশোনার বিষয় হলো ‘ফার্মেসি’। বর্তমানে ফার্মেসি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা তরুণদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ফার্মেসি শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফার্মেসি বিভাগের প্রভাষক মো. তৌফিকুল ইসলাম।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ফার্মেসি বেশ পছন্দের বিষয়। প্রথমত, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসেবায় পেশাদারদের চাহিদা থাকায় ফার্মেসি গ্র্যাজুয়েটদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে ভালো চাকরির সম্ভাবনা থাকে। দ্বিতীয়ত, অনেক সংস্কৃতিতে স্বাস্থ্যসেবা পেশাটি বেশ সম্মানজনক। তাই ডাক্তার ও ফার্মাসিস্ট হওয়াকে মর্যাদাপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। তৃতীয়ত, স্বাস্থ্যসেবা খাতের প্রবৃদ্ধি হওয়ায় হাসপাতাল, ফার্মেসি ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য ফার্মাসিস্টদের চাহিদা বেড়েছে। পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা ও গবেষণার সুযোগ—সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এই দেশের শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ আগ্রহের বিষয় হয়ে উঠেছে ফার্মেসি।
প্রয়োজনীয়তা
ফার্মাসিস্ট মানেই ওষুধ বিক্রেতা—এটি আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের ধারণা। তবে ওষুধ বিক্রেতা হলেন একজন ফার্মেসি টেকনিশিয়ান। মূলত তিন মাসের কোর্স করে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান হিসেবে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। তবে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বিভিন্ন পেশায় কাজ করা মানুষ মাত্র ৩-৪ মাস ওষুধের দোকানে কাজ করে তথা ওষুধ বিক্রির কাজ শিখে হয়ে যাচ্ছে ফার্মেসি টেকনিশিয়ান। আবার কোনো কোনো দোকানে ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি চলে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ। বিক্রেতাদের মধ্যে অনেকে আবার রোগের কথা শুনে স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা ছাড়াই নির্দ্বিধায় ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন রোগীদের, রোগীরাও সাদরে গ্রহণ করে চলেছেন সেই সেবা বা চিকিৎসা; আর এই চর্চার মধ্য দিয়ে ৩-৪ মাসের ওষুধ বিক্রির ব্যবহারিক ধারণা থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে ফার্মাসিস্ট হিসেবে মর্যাদা লাভ করছেন, যা মূলত উভয় পক্ষের সচেতনতার অভাব বলা যেতে পারে। এ জন্য মনে রাখা উচিত যে ‘একজন ডাক্তার ভুল করলে রোগী মারা যাবে, কিন্তু একজন ফার্মাসিস্ট ভুল করলে জাতি বড় একটি সংখ্যা হারাবে।’ কারণ, ওষুধ প্রস্তুতকরণ থেকে শুরু করে গুণগতমান নির্ধারণ, ওষুধ নির্ধারণ, ডোজ নির্ধারণ, কিংবা ওষুধের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ—এ সবই একজন ফার্মাসিস্টের কাজ। তাই স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে দেশে হসপিটাল ফার্মেসিতে ‘এ’ গ্রেড ফার্মাসিস্ট নিয়োগ করা একটি সময়ের দাবি।
দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ
ফার্মেসি শিক্ষায় দক্ষতা অর্জনের জন্য রসায়ন, জীববিজ্ঞান ও ফিজিওলজি, এনাটমি ও ফার্মাকোলজির মতো শক্তিশালী মৌলিক বিষয়গুলো বিকশিত ও বিষয়গুলোর মৌলিক নীতি বোঝার ওপর ফোকাস করতে হবে। এই বিষয়গুলো মূলত ফার্মেসি শিক্ষার ভিত্তি তৈরি করে। পাশাপাশি ফার্মেসিতে ভালো করার আপডেট থাকাও জরুরি। আপডেট থাকার জন্য নিয়মিত অ্যাকাডেমিক জার্নাল পড়া যেতে পারে। সেমিনার ও ওয়ার্কশপে যোগ দিয়েও ফার্মাসিউটিক্যাল গবেষণা ও স্বাস্থ্যসেবা অনুশীলনের অগ্রগতি সম্পর্কে অবগত থাকা যায়। বিষয়কেন্দ্রিক ব্যবহারিক শিক্ষায় সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকাও সহায়ক হতে পারে। পাশাপাশি সমালোচনামূলক চিন্তার দক্ষতা গড়ে তোলার চেষ্টা করুন। ফার্মেসি শিক্ষার জন্য বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাভাবনা এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা প্রয়োজন। গবেষণাপত্র, কেস স্টাডি ও ক্লিনিক্যাল পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার অনুশীলন করতে হবে শিক্ষার্থীদের। ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পে সহকর্মী, অধ্যাপক এবং পেশাদারদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা খুব জরুরি। তাই গ্রুপ প্রকল্পে সহযোগিতা করুন, ছাত্রসংগঠনে যোগ দিন, কিংবা নেটওয়ার্ক প্রসারিত করতে শিল্প ইভেন্টেও অংশ নেওয়া যেতে পারে। একই সঙ্গে অধ্যাপক বা অনুশীলনকারী ফার্মাসিস্টের মধ্যে যাঁরা আপনার শিক্ষাগত যাত্রা, এমনকি পরবর্তী জীবনেও নির্দেশিকা, সহায়তা ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করবেন—সেই রকম বুঝেশুনে পরামর্শদাতা শনাক্ত করতে হবে। সবশেষে নৈতিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকুন। গবেষণা, রোগীর যত্ন এবং সহকর্মী ও ক্লায়েন্টদের সঙ্গে নৈতিক মানগুলো মেনে চলা উচিত। এই পরামর্শগুলো মেনে চললে সফল ক্যারিয়ারের জন্য শিক্ষার্থীরা একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপন করতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
ক্যারিয়ারের সুযোগ
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক—উভয় পর্যায়েই ফার্মেসি বিষয়ের শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন চাকরির সুযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা দেশে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি (৩৫০+), হাসপাতাল, সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান (BCSIR) এবং একাডেমিয়ায় (বিভিন্ন পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়) কাজ করার সুযোগ অর্জন করেন। পাশাপাশি বিদেশে অবস্থিত নানা বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, গবেষণা সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় ও পরামর্শক সংস্থাগুলোতে কাজের সুযোগের কথা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
ফার্মেসি বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, কমিউনিটি ফার্মেসি, হসপিটাল ফার্মেসির মতো ক্ষেত্রগুলো সেই সম্ভাবনার মধ্যে অন্যতম। স্নাতক শিক্ষার্থীরা ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, ড্রাগ ডেভেলপমেন্ট, ফরমুলেশন, ম্যানুফ্যাকচারিং, কোয়ালিটি কন্ট্রোল, রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স, মার্কেটিং, সেলস এবং ফার্মাকোভিজিল্যান্সের মতো ক্ষেত্রগুলোতে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। পাশাপাশি ওষুধ সরবরাহ, রোগীকে পরামর্শ প্রদান, স্বাস্থ্য স্ক্রিনিং পরিচালনা, টিকা পরিচালনা এবং ওষুধ থেরাপি ব্যবস্থাপনা পরিষেবা তথা কমিউনিটি ফার্মেসিতেও কাজের সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ওপর ক্রমবর্ধমান ফোকাসসহ কমিউনিটি ফার্মেসির ভূমিকা প্রসারিত হচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় ওষুধ ব্যবস্থাপনা, জীবাণুমুক্ত রাখা, স্বাস্থ্যসেবা দলের সঙ্গে সহযোগিতা, ওষুধ বিতরণব্যবস্থা পরিচালনা, ওষুধের নিরাপদ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত বা হসপিটাল ফার্মেসি উপখাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।
অনুলিখন: নাজমুল ইসলাম শাকিল

আইন একটি বহুমুখী ক্যারিয়ারের দ্বার। এটি এমন একটি বিষয়, যা সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি—সবখানেই গভীরভাবে জড়িত। অনেকে এখনো মনে করেন, আইন বিষয়ে পড়লে কেবল উকিল হওয়াই একমাত্র পথ; কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইন এমন এক বিষয়, যার প্রয়োগ জীবনের সব ক্ষেত্রে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বিভিন্ন পদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে সর্বমোট ১৪৭ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি। বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকটি কাস্টমার সার্ভিস অফিসার (টেলার) পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগে
যখন একজন সহকর্মী হঠাৎ করে টিম লিডার বা দলনেতার আসনে বসেন, তখন পরিস্থিতিটা সবার জন্যই একটু অস্বস্তিকর হতে পারে। একসময় যাঁরা ছিলেন আপনার বন্ধু, চা-বিরতির সঙ্গী—তাঁরাই এখন আপনার অধীনস্থ। এ পরিবর্তনকে সফলভাবে সামলানো নতুন লিডারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
১ দিন আগেক্যারিয়ার ডেস্ক

আইন একটি বহুমুখী ক্যারিয়ারের দ্বার। এটি এমন একটি বিষয়, যা সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি—সবখানেই গভীরভাবে জড়িত। অনেকে এখনো মনে করেন, আইন বিষয়ে পড়লে কেবল উকিল হওয়াই একমাত্র পথ; কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইন এমন এক বিষয়, যার প্রয়োগ জীবনের সব ক্ষেত্রে। প্রতিটি ব্যাংক, কোম্পানি, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, এমনকি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানেও একজন লিগ্যাল অফিসার বা কমপ্লায়েন্স এক্সপার্ট অপরিহার্য। একটি প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণ, চুক্তি প্রণয়ন, কর্মীদের অধিকার, ট্যাক্স ব্যবস্থা, কিংবা ব্যবসায়িক দায়বদ্ধতা, সব ক্ষেত্রেই আইনের ভূমিকা অপরিসীম।
কর্মক্ষেত্রের বিস্তৃত সম্ভাবনা
আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জনের পর কর্মজীবনের সম্ভাবনা বহুমুখী। সবচেয়ে প্রচলিত পথ হলো, আইনজীবী হিসেবে আদালতে চর্চা করা, যেখানে একজন আইনজীবী সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজের পেশাগত স্বপ্নও পূরণ করতে পারেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আইনের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রশাসন, পররাষ্ট্র, পুলিশ, ট্যাক্স বা কাস্টমসসহ বিভিন্ন ক্যাডারে কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া যাঁরা বিচার বিভাগে যেতে চান, তাঁদের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস), যা দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পেশা। শুধু আইনের শিক্ষার্থীরাই এ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। করপোরেট দুনিয়ায়ও আইনের দক্ষতা এখন সাফল্যের চাবিকাঠি। প্রতিটি ব্যাংক, বিমা, টেলিকম বা উৎপাদন কোম্পানিতে রয়েছে লিগ্যাল অ্যাডভাইজর পদের বিশাল চাহিদা। এ ছাড়া এনজিও, মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের ক্ষেত্রও আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। সামাজিক উন্নয়ন, নারী ও শিশু অধিকার বা পরিবেশ রক্ষার মতো খাতে কাজ করতে চাইলে আইন জানা এক বিশাল বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে গণ্য হয়।
শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ
আইনে স্নাতক সম্পন্ন করার পর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রও বিস্তৃত। দেশ-বিদেশে এলএলএম, পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে, যেখানে মানবাধিকার, করপোরেট, সাইবার বা পরিবেশ আইন নিয়ে বিশেষায়িত পড়াশোনা করা যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহীরা বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজে শিক্ষকতা, গবেষণা বা একাডেমিক পরামর্শক হিসেবেও যুক্ত হতে পারেন। তা ছাড়া অনেক তরুণ আইনজীবী এখন ল কোচিং সেন্টার বা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তুলছেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের বিজেএস, বিসিএস ও বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে সহযোগিতা করা হয়। ফলে আইন শুধু চাকরির নয়, বরং উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
আধুনিক বিশ্বে আইনের প্রভাব
ডিজিটাল যুগে আইনের ভূমিকা আরও বিস্তৃত। আজকের পৃথিবীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, তথ্য নিরাপত্তা, কপিরাইট, ই-কমার্স বা সাইবার অপরাধের মতো নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আইনজ্ঞান অপরিহার্য। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সাইবার ল, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ল, মিডিয়া ল বা ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ল’র মতো আধুনিক কোর্স চালু হয়েছে।
এ ক্ষেত্রগুলোতে দক্ষ আইনবিদেরা শুধু দেশে নন, বিদেশেও উচ্চ মর্যাদা অর্জন করছেন। পরিশেষে বলা যায়, আইনে পড়া মানে শুধু ধারা-উপধারা মুখস্থ করা নয়; বরং এটি চিন্তা, যুক্তি ও দায়িত্ববোধের এক লাইফস্টাইল। এ বিষয়ে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে একজন মানুষ যেমন সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তেমনি নিজের ক্যারিয়ারকেও স্থিতিশীল ও সম্মানজনক করে তুলতে পারেন। চাকরি, ব্যবসা, গবেষণা, শিক্ষা—যে ক্ষেত্রেই যাওয়া হোক না কেন, আইন জ্ঞানের প্রয়োগ সর্বত্র। আইনে পড়ার ভবিষ্যৎ শুধু উজ্জ্বল নয়, এটি বহুমুখী, বাস্তবমুখী এবং সম্ভাবনাময়। যে তরুণ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে, সমাজে নেতৃত্ব দিতে চায়, তার জন্য আইনে পড়াশোনাই হতে পারে সেই আলোর পথ।
মেহেদী হাসান অনিক, প্রভাষক, আইন বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

আইন একটি বহুমুখী ক্যারিয়ারের দ্বার। এটি এমন একটি বিষয়, যা সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি—সবখানেই গভীরভাবে জড়িত। অনেকে এখনো মনে করেন, আইন বিষয়ে পড়লে কেবল উকিল হওয়াই একমাত্র পথ; কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইন এমন এক বিষয়, যার প্রয়োগ জীবনের সব ক্ষেত্রে। প্রতিটি ব্যাংক, কোম্পানি, সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, এমনকি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানেও একজন লিগ্যাল অফিসার বা কমপ্লায়েন্স এক্সপার্ট অপরিহার্য। একটি প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণ, চুক্তি প্রণয়ন, কর্মীদের অধিকার, ট্যাক্স ব্যবস্থা, কিংবা ব্যবসায়িক দায়বদ্ধতা, সব ক্ষেত্রেই আইনের ভূমিকা অপরিসীম।
কর্মক্ষেত্রের বিস্তৃত সম্ভাবনা
আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জনের পর কর্মজীবনের সম্ভাবনা বহুমুখী। সবচেয়ে প্রচলিত পথ হলো, আইনজীবী হিসেবে আদালতে চর্চা করা, যেখানে একজন আইনজীবী সমাজে ন্যায় প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি নিজের পেশাগত স্বপ্নও পূরণ করতে পারেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। আইনের শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রশাসন, পররাষ্ট্র, পুলিশ, ট্যাক্স বা কাস্টমসসহ বিভিন্ন ক্যাডারে কাজ করতে পারেন। এ ছাড়া যাঁরা বিচার বিভাগে যেতে চান, তাঁদের জন্য রয়েছে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস), যা দেশের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ পেশা। শুধু আইনের শিক্ষার্থীরাই এ পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। করপোরেট দুনিয়ায়ও আইনের দক্ষতা এখন সাফল্যের চাবিকাঠি। প্রতিটি ব্যাংক, বিমা, টেলিকম বা উৎপাদন কোম্পানিতে রয়েছে লিগ্যাল অ্যাডভাইজর পদের বিশাল চাহিদা। এ ছাড়া এনজিও, মানবাধিকার সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজের ক্ষেত্রও আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। সামাজিক উন্নয়ন, নারী ও শিশু অধিকার বা পরিবেশ রক্ষার মতো খাতে কাজ করতে চাইলে আইন জানা এক বিশাল বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে গণ্য হয়।
শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ
আইনে স্নাতক সম্পন্ন করার পর উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রও বিস্তৃত। দেশ-বিদেশে এলএলএম, পিএইচডি করার সুযোগ রয়েছে, যেখানে মানবাধিকার, করপোরেট, সাইবার বা পরিবেশ আইন নিয়ে বিশেষায়িত পড়াশোনা করা যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে আগ্রহীরা বিশ্ববিদ্যালয় বা ল কলেজে শিক্ষকতা, গবেষণা বা একাডেমিক পরামর্শক হিসেবেও যুক্ত হতে পারেন। তা ছাড়া অনেক তরুণ আইনজীবী এখন ল কোচিং সেন্টার বা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তুলছেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের বিজেএস, বিসিএস ও বার কাউন্সিল পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে সহযোগিতা করা হয়। ফলে আইন শুধু চাকরির নয়, বরং উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষেত্রেও নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
আধুনিক বিশ্বে আইনের প্রভাব
ডিজিটাল যুগে আইনের ভূমিকা আরও বিস্তৃত। আজকের পৃথিবীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, তথ্য নিরাপত্তা, কপিরাইট, ই-কমার্স বা সাইবার অপরাধের মতো নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে আইনজ্ঞান অপরিহার্য। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন সাইবার ল, ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি ল, মিডিয়া ল বা ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ল’র মতো আধুনিক কোর্স চালু হয়েছে।
এ ক্ষেত্রগুলোতে দক্ষ আইনবিদেরা শুধু দেশে নন, বিদেশেও উচ্চ মর্যাদা অর্জন করছেন। পরিশেষে বলা যায়, আইনে পড়া মানে শুধু ধারা-উপধারা মুখস্থ করা নয়; বরং এটি চিন্তা, যুক্তি ও দায়িত্ববোধের এক লাইফস্টাইল। এ বিষয়ে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে একজন মানুষ যেমন সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেন, তেমনি নিজের ক্যারিয়ারকেও স্থিতিশীল ও সম্মানজনক করে তুলতে পারেন। চাকরি, ব্যবসা, গবেষণা, শিক্ষা—যে ক্ষেত্রেই যাওয়া হোক না কেন, আইন জ্ঞানের প্রয়োগ সর্বত্র। আইনে পড়ার ভবিষ্যৎ শুধু উজ্জ্বল নয়, এটি বহুমুখী, বাস্তবমুখী এবং সম্ভাবনাময়। যে তরুণ পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে, সমাজে নেতৃত্ব দিতে চায়, তার জন্য আইনে পড়াশোনাই হতে পারে সেই আলোর পথ।
মেহেদী হাসান অনিক, প্রভাষক, আইন বিভাগ, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

দ্রুত বর্ধনশীল বৈশ্বিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে দেশে-বিদেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়াশোনার বিষয় হলো ‘ফার্মেসি’। বর্তমানে ফার্মেসি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা তরুণদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ফার্মেসি শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকন
২৭ মার্চ ২০২৪
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বিভিন্ন পদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে সর্বমোট ১৪৭ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি। বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকটি কাস্টমার সার্ভিস অফিসার (টেলার) পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগে
যখন একজন সহকর্মী হঠাৎ করে টিম লিডার বা দলনেতার আসনে বসেন, তখন পরিস্থিতিটা সবার জন্যই একটু অস্বস্তিকর হতে পারে। একসময় যাঁরা ছিলেন আপনার বন্ধু, চা-বিরতির সঙ্গী—তাঁরাই এখন আপনার অধীনস্থ। এ পরিবর্তনকে সফলভাবে সামলানো নতুন লিডারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
১ দিন আগেচাকরি ডেস্ক

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বিভিন্ন পদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে সর্বমোট ১৪৭ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পদগুলো হলো: ফিজিওথেরাপিস্ট, ওয়ার্ড মাস্টার, ক্যাশিয়ার, টেলিফোন অপারেটর, পরিসংখ্যানবিদ, স্টোরকিপার, লিনেন কিপার, কার্পেন্টার, টেইলর ও অফিস সহায়ক।
এসব পদে মোট ৬ হাজার ৭৩ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। গত ১০ অক্টোবর সকাল ১০টায় ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৩৮৭ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রোল নম্বর প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।
এসব প্রার্থীর মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখগুলো টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বিভিন্ন পদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে সর্বমোট ১৪৭ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পদগুলো হলো: ফিজিওথেরাপিস্ট, ওয়ার্ড মাস্টার, ক্যাশিয়ার, টেলিফোন অপারেটর, পরিসংখ্যানবিদ, স্টোরকিপার, লিনেন কিপার, কার্পেন্টার, টেইলর ও অফিস সহায়ক।
এসব পদে মোট ৬ হাজার ৭৩ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। গত ১০ অক্টোবর সকাল ১০টায় ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় ২ হাজার ৩৮৭ প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের রোল নম্বর প্রতিষ্ঠানটির অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ রয়েছে।
এসব প্রার্থীর মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখগুলো টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

দ্রুত বর্ধনশীল বৈশ্বিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে দেশে-বিদেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়াশোনার বিষয় হলো ‘ফার্মেসি’। বর্তমানে ফার্মেসি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা তরুণদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ফার্মেসি শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকন
২৭ মার্চ ২০২৪
আইন একটি বহুমুখী ক্যারিয়ারের দ্বার। এটি এমন একটি বিষয়, যা সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি—সবখানেই গভীরভাবে জড়িত। অনেকে এখনো মনে করেন, আইন বিষয়ে পড়লে কেবল উকিল হওয়াই একমাত্র পথ; কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইন এমন এক বিষয়, যার প্রয়োগ জীবনের সব ক্ষেত্রে।
২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি। বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকটি কাস্টমার সার্ভিস অফিসার (টেলার) পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগে
যখন একজন সহকর্মী হঠাৎ করে টিম লিডার বা দলনেতার আসনে বসেন, তখন পরিস্থিতিটা সবার জন্যই একটু অস্বস্তিকর হতে পারে। একসময় যাঁরা ছিলেন আপনার বন্ধু, চা-বিরতির সঙ্গী—তাঁরাই এখন আপনার অধীনস্থ। এ পরিবর্তনকে সফলভাবে সামলানো নতুন লিডারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
১ দিন আগেচাকরি ডেস্ক

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি। বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকটি কাস্টমার সার্ভিস অফিসার (টেলার) পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: কাস্টমার সার্ভিস অফিসার (টেলার)।
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি।
অন্যান্য যোগ্যতা: বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা এবং এএমএল নিয়মকানুন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের নির্দেশাবলির বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
অভিজ্ঞতা: ১ থেকে ২ বছর।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম।
কর্মক্ষেত্র: অফিসে।
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)।
বয়সসীমা: উল্লেখ নেই।
কর্মস্থল: যেকোনো জায়গায়।
বেতন: প্রবেশনকালীন মাসিক বেতন ৩৬,০০০ টাকা, প্রবেশনকালীন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর মাসিক বেতন ৪৫,০০০ টাকা হবে।
অন্যান্য সুবিধা: নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী
প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন এখানে।
আবেদনের শেষ সময়: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি। বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকটি কাস্টমার সার্ভিস অফিসার (টেলার) পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
পদের নাম: কাস্টমার সার্ভিস অফিসার (টেলার)।
পদসংখ্যা: নির্ধারিত নয়।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: যেকোনো বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি।
অন্যান্য যোগ্যতা: বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা এবং এএমএল নিয়মকানুন এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের নির্দেশাবলির বিষয়ে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
অভিজ্ঞতা: ১ থেকে ২ বছর।
চাকরির ধরন: ফুলটাইম।
কর্মক্ষেত্র: অফিসে।
প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ (উভয়)।
বয়সসীমা: উল্লেখ নেই।
কর্মস্থল: যেকোনো জায়গায়।
বেতন: প্রবেশনকালীন মাসিক বেতন ৩৬,০০০ টাকা, প্রবেশনকালীন সফলভাবে সম্পন্ন করার পর মাসিক বেতন ৪৫,০০০ টাকা হবে।
অন্যান্য সুবিধা: নির্বাচিত প্রার্থীরা মাসিক বেতন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী
প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখুন এখানে।
আবেদনের শেষ সময়: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

দ্রুত বর্ধনশীল বৈশ্বিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে দেশে-বিদেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়াশোনার বিষয় হলো ‘ফার্মেসি’। বর্তমানে ফার্মেসি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা তরুণদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ফার্মেসি শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকন
২৭ মার্চ ২০২৪
আইন একটি বহুমুখী ক্যারিয়ারের দ্বার। এটি এমন একটি বিষয়, যা সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি—সবখানেই গভীরভাবে জড়িত। অনেকে এখনো মনে করেন, আইন বিষয়ে পড়লে কেবল উকিল হওয়াই একমাত্র পথ; কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইন এমন এক বিষয়, যার প্রয়োগ জীবনের সব ক্ষেত্রে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বিভিন্ন পদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে সর্বমোট ১৪৭ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
যখন একজন সহকর্মী হঠাৎ করে টিম লিডার বা দলনেতার আসনে বসেন, তখন পরিস্থিতিটা সবার জন্যই একটু অস্বস্তিকর হতে পারে। একসময় যাঁরা ছিলেন আপনার বন্ধু, চা-বিরতির সঙ্গী—তাঁরাই এখন আপনার অধীনস্থ। এ পরিবর্তনকে সফলভাবে সামলানো নতুন লিডারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
১ দিন আগেক্যারিয়ার ডেস্ক

যখন একজন সহকর্মী হঠাৎ করে টিম লিডার বা দলনেতার আসনে বসেন, তখন পরিস্থিতিটা সবার জন্যই একটু অস্বস্তিকর হতে পারে। একসময় যাঁরা ছিলেন আপনার বন্ধু, চা-বিরতির সঙ্গী—তাঁরাই এখন আপনার অধীনস্থ। এ পরিবর্তনকে সফলভাবে সামলানো নতুন লিডারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, এ সময়ে আপনাকে একাধারে পুরোনো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে এবং নতুন দায়িত্বের প্রতি অবিচল থাকতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ক্রান্তিকালে প্রয়োজন সঠিক ভারসাম্য এবং পেশাদারত্ব। নিচে ৭টি কার্যকর পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো, যা প্রথমবার টিম লিডার হলে সহকর্মীদের সামলাতে আপনাকে সাহায্য করবে।
নতুন ভূমিকার শর্তাবলি স্পষ্ট করুন
নেতৃত্বের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো পেশাদারত্ব বজায় রাখা। সহকর্মীরা আপনাকে বন্ধু হিসেবে দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু এখন আপনার ভূমিকা বদলেছে। সে জন্য প্রথম দিকেই ব্যক্তিগত ও পেশাদার সম্পর্কের মধ্যে স্পষ্ট সীমারেখা টানুন। একটি ব্যক্তিগত ওয়ান টু ওয়ান মিটিং করে তাঁদের জানান, আপনার বন্ধুত্বের জায়গাটি আগের মতোই থাকবে, তবে কাজের ক্ষেত্রে আপনি এখন তাঁদের লিডার। একই সঙ্গে আপনার নতুন ভূমিকায় কাজের ক্ষেত্রে আপনি কী কী প্রত্যাশা করছেন, সে বিষয়ে স্বচ্ছ থাকুন।
শোনার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করুন
একজন কার্যকর টিম লিডারের অন্যতম শক্তিশালী গুণ হলো অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা। আপনার দলের সদস্যরা যখন কথা বলার সুযোগ পান, তখন তাঁদের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি হয় এবং যোগাযোগ মসৃণ হয়। যখন কেউ কথা বলছেন, তখন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন এবং মনোযোগ দিয়ে তা শুনুন। এতে দলের মনোবল দৃঢ় হয় এবং সদস্যরা মনে করেন, তাঁদের মতামতকে মূল্য দেওয়া হচ্ছে।
পরনিন্দা ও গসিপ এড়িয়ে চলুন
একসময় আপনি হয়তো সহকর্মীদের সঙ্গে বসে অফিস গসিপ বা পরনিন্দা করতেনদ কিন্তু এখন আপনি লিডার। এই অভ্যাস আপনার নেতৃত্বকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এজন্য অন্যের অনুপস্থিতিতে তাঁদের সম্পর্কে কোনো কথা বলা বা শোনা থেকে সব সময় বিরত থাকুন। এমনকি কেউ আন্তরিকভাবে কোনো খারাপ অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেও সে সম্পর্কে মন্তব্য করা এড়িয়ে চলুন। আপনার আচরণ দিয়েই প্রমাণ করুন, আপনার অফিসের কাজ ও গঠনমূলক আলোচনাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। এটি আপনার ভাবমূর্তিকে রক্ষা করবে এবং টিমের পরিবেশও উন্নত হবে।
সাফল্যের কৃতিত্ব ভাগ করে নিন
একজন ‘বড় নেতা’ হতে হলে আপনার বড় মন দরকার। দল যখন ভালো কিছু করে, তখন কৃতিত্ব নিজেকে না নিয়ে টিমের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দিন। টিমের কেউ ভালো কিছু করলে সেটা খোলাখুলিভাবে স্বীকার করুন, প্রশংসা করুন এবং কৃতিত্ব দিন। এতে টিমের সদস্যরা আরও ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হন। একই সঙ্গে কোনো সমস্যা বা সমালোচনার মুখে পড়লে একজন লিডার হিসেবে আপনাকে অবশ্যই টিমের সদস্যদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং তাঁদের রক্ষা করতে হবে।
কাজ ভাগ করে দিন, অতিরিক্ত দখলদারি এড়িয়ে চলুন
নতুন টিম লিডারের একটি সাধারণ ভুল হলো কাজের প্রক্রিয়াগুলো নিজের ওপর কেন্দ্রীভূত করা বা মাইক্রো-ম্যানেজ করা। আপনি সহকর্মী হিসেবে দক্ষ ছিলেন; কিন্তু লিডার হিসেবে আপনার প্রধান কাজ হলো কাজের সঠিক বণ্টন। প্রতিটি কর্মীর দক্ষতা ও যোগ্যতাকে বিশ্লেষণ করে তাঁকে উপযুক্ত কাজ বুঝিয়ে দিন। কর্মীদের কাজ করার স্বাধীনতা দিন এবং তাঁদের ওপর বিশ্বাস রাখুন। কাজের প্রক্রিয়া নিজে না করে; বরং ফলাফল বা লক্ষ্যের দিকে নজর দিন।
উদাহরণ দ্বারা নেতৃত্ব দিন
টিম লিডারের কাজ শুধু নির্দেশ দেওয়া নয়; বরং সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া। আপনি যা প্রত্যাশা করেন, তা প্রথমে নিজের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করুন। একই সঙ্গে আপনাকে সময়নিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল হতে হবে। কাজে নিজের আন্তরিকতা প্রয়োগ করুন। আপনি যখন নিজে কঠোর পরিশ্রম করবেন এবং পেশাদারত্ব বজায় রাখবেন, তখন আপনার দলের সদস্যরাও আপনাকে অনুসরণ করতে উৎসাহিত হবেন।
সোর্স: কোরা ডটকম

যখন একজন সহকর্মী হঠাৎ করে টিম লিডার বা দলনেতার আসনে বসেন, তখন পরিস্থিতিটা সবার জন্যই একটু অস্বস্তিকর হতে পারে। একসময় যাঁরা ছিলেন আপনার বন্ধু, চা-বিরতির সঙ্গী—তাঁরাই এখন আপনার অধীনস্থ। এ পরিবর্তনকে সফলভাবে সামলানো নতুন লিডারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, এ সময়ে আপনাকে একাধারে পুরোনো সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে এবং নতুন দায়িত্বের প্রতি অবিচল থাকতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ক্রান্তিকালে প্রয়োজন সঠিক ভারসাম্য এবং পেশাদারত্ব। নিচে ৭টি কার্যকর পদ্ধতি উল্লেখ করা হলো, যা প্রথমবার টিম লিডার হলে সহকর্মীদের সামলাতে আপনাকে সাহায্য করবে।
নতুন ভূমিকার শর্তাবলি স্পষ্ট করুন
নেতৃত্বের দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো পেশাদারত্ব বজায় রাখা। সহকর্মীরা আপনাকে বন্ধু হিসেবে দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু এখন আপনার ভূমিকা বদলেছে। সে জন্য প্রথম দিকেই ব্যক্তিগত ও পেশাদার সম্পর্কের মধ্যে স্পষ্ট সীমারেখা টানুন। একটি ব্যক্তিগত ওয়ান টু ওয়ান মিটিং করে তাঁদের জানান, আপনার বন্ধুত্বের জায়গাটি আগের মতোই থাকবে, তবে কাজের ক্ষেত্রে আপনি এখন তাঁদের লিডার। একই সঙ্গে আপনার নতুন ভূমিকায় কাজের ক্ষেত্রে আপনি কী কী প্রত্যাশা করছেন, সে বিষয়ে স্বচ্ছ থাকুন।
শোনার ক্ষমতাকে শক্তিশালী করুন
একজন কার্যকর টিম লিডারের অন্যতম শক্তিশালী গুণ হলো অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা। আপনার দলের সদস্যরা যখন কথা বলার সুযোগ পান, তখন তাঁদের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি হয় এবং যোগাযোগ মসৃণ হয়। যখন কেউ কথা বলছেন, তখন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন এবং মনোযোগ দিয়ে তা শুনুন। এতে দলের মনোবল দৃঢ় হয় এবং সদস্যরা মনে করেন, তাঁদের মতামতকে মূল্য দেওয়া হচ্ছে।
পরনিন্দা ও গসিপ এড়িয়ে চলুন
একসময় আপনি হয়তো সহকর্মীদের সঙ্গে বসে অফিস গসিপ বা পরনিন্দা করতেনদ কিন্তু এখন আপনি লিডার। এই অভ্যাস আপনার নেতৃত্বকে ধ্বংস করে দিতে পারে। এজন্য অন্যের অনুপস্থিতিতে তাঁদের সম্পর্কে কোনো কথা বলা বা শোনা থেকে সব সময় বিরত থাকুন। এমনকি কেউ আন্তরিকভাবে কোনো খারাপ অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিলেও সে সম্পর্কে মন্তব্য করা এড়িয়ে চলুন। আপনার আচরণ দিয়েই প্রমাণ করুন, আপনার অফিসের কাজ ও গঠনমূলক আলোচনাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। এটি আপনার ভাবমূর্তিকে রক্ষা করবে এবং টিমের পরিবেশও উন্নত হবে।
সাফল্যের কৃতিত্ব ভাগ করে নিন
একজন ‘বড় নেতা’ হতে হলে আপনার বড় মন দরকার। দল যখন ভালো কিছু করে, তখন কৃতিত্ব নিজেকে না নিয়ে টিমের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দিন। টিমের কেউ ভালো কিছু করলে সেটা খোলাখুলিভাবে স্বীকার করুন, প্রশংসা করুন এবং কৃতিত্ব দিন। এতে টিমের সদস্যরা আরও ভালো কাজ করতে উৎসাহিত হন। একই সঙ্গে কোনো সমস্যা বা সমালোচনার মুখে পড়লে একজন লিডার হিসেবে আপনাকে অবশ্যই টিমের সদস্যদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং তাঁদের রক্ষা করতে হবে।
কাজ ভাগ করে দিন, অতিরিক্ত দখলদারি এড়িয়ে চলুন
নতুন টিম লিডারের একটি সাধারণ ভুল হলো কাজের প্রক্রিয়াগুলো নিজের ওপর কেন্দ্রীভূত করা বা মাইক্রো-ম্যানেজ করা। আপনি সহকর্মী হিসেবে দক্ষ ছিলেন; কিন্তু লিডার হিসেবে আপনার প্রধান কাজ হলো কাজের সঠিক বণ্টন। প্রতিটি কর্মীর দক্ষতা ও যোগ্যতাকে বিশ্লেষণ করে তাঁকে উপযুক্ত কাজ বুঝিয়ে দিন। কর্মীদের কাজ করার স্বাধীনতা দিন এবং তাঁদের ওপর বিশ্বাস রাখুন। কাজের প্রক্রিয়া নিজে না করে; বরং ফলাফল বা লক্ষ্যের দিকে নজর দিন।
উদাহরণ দ্বারা নেতৃত্ব দিন
টিম লিডারের কাজ শুধু নির্দেশ দেওয়া নয়; বরং সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া। আপনি যা প্রত্যাশা করেন, তা প্রথমে নিজের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করুন। একই সঙ্গে আপনাকে সময়নিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল হতে হবে। কাজে নিজের আন্তরিকতা প্রয়োগ করুন। আপনি যখন নিজে কঠোর পরিশ্রম করবেন এবং পেশাদারত্ব বজায় রাখবেন, তখন আপনার দলের সদস্যরাও আপনাকে অনুসরণ করতে উৎসাহিত হবেন।
সোর্স: কোরা ডটকম

দ্রুত বর্ধনশীল বৈশ্বিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশে দেশে-বিদেশে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পড়াশোনার বিষয় হলো ‘ফার্মেসি’। বর্তমানে ফার্মেসি বিষয়ে উচ্চশিক্ষা তরুণদের কাছে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ফার্মেসি শিক্ষার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে দিকনির্দেশনামূলক পরামর্শ দিয়েছেন ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকন
২৭ মার্চ ২০২৪
আইন একটি বহুমুখী ক্যারিয়ারের দ্বার। এটি এমন একটি বিষয়, যা সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি—সবখানেই গভীরভাবে জড়িত। অনেকে এখনো মনে করেন, আইন বিষয়ে পড়লে কেবল উকিল হওয়াই একমাত্র পথ; কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আইন এমন এক বিষয়, যার প্রয়োগ জীবনের সব ক্ষেত্রে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বিভিন্ন পদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে সর্বমোট ১৪৭ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি। বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংকটি কাস্টমার সার্ভিস অফিসার (টেলার) পদে কর্মী নিয়োগ দেবে। আবেদন করা যাবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
১ দিন আগে