মুহাম্মাদ রাহাতুল ইসলাম
ইসলামের তৃতীয় খলিফা ও মহানবী (সা.)-এর জামাতা ওসমান ইবনে আফফান (রা.) ছিলেন আরবের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। জীবদ্দশায় তিনি মানবকল্যাণে অঢেল সম্পদ দান করেছেন। তাঁর সেই সব দান ও ওয়াক্ফকৃত সম্পদ থেকে এখনো উপকৃত হচ্ছে বহু মানুষ। সৌদি আরবে এখনো সচল আছে তাঁর নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। শুধু তা-ই নয়, প্রতি মাসে তাঁর নামে আসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিলও!
মুসলমানদের মদিনায় হিজরত করার পর একসময় সেখানে খাওয়ার পানির সংকট দেখা দেয়। তখন মদিনায় এক ইহুদির একটি কূপ ছিল। সে মুসলিমদের কাছে চড়া মূল্যে পানি বিক্রি করত। কূপটির নাম ছিল বিরে রুমা বা রুমা কূপ। কূপের মালিক রুমা নামের ইহুদির নামানুসারে একে রুমা কূপ বলা হতো। মহানবী (সা.) বিষয়টি জানতে পেরে ঘোষণা দিলেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে, যে কূপটি কিনে মুসলিমদের জন্য ওয়াক্ফ করে দেবে? এ কাজ যে করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে একটি ঝরনা দান করবেন।’ ঘোষণা শুনে হজরত ওসমান (রা.) সেই ইহুদিকে কূপটি বিক্রির প্রস্তাব দিলেন। কিন্তু ইহুদি বিক্রিতে অস্বীকৃতি জানাল। কোনোভাবেই বিক্রি করতে চাইল না।
হজরত ওসমান (রা.) অর্ধেক কূপ বিক্রির প্রস্তাব করলেন—অর্থাৎ, কূপ থেকে এক দিন ইহুদি পানি নেবে, অন্য দিন তিনি পানি নেবেন। ইহুদি এতে সম্মত হলো।
কূপ কেনার পর হজরত উসমান (রা.) বিনা মূল্যে পানি বিতরণ শুরু করেন। এতে ইহুদির পানির ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেল। অপারগ হয়ে পুরো কূপ ৩৫ হাজার দিরহামের বিনিময়ে ওসমান (রা.) কাছে বিক্রি করে দিলেন। কূপের মালিক হয়েই তিনি ঘোষণা করলেন, ‘মুসলিমদের জন্য এই কূপের পানি কিয়ামত পর্যন্ত ওয়াক্ফ থাকবে। তা থেকে মুসলমানরা বিনা মূল্যেই পানি পান করবে।’
কূপের আশপাশের জায়গাও কূপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিছুকাল পরে সেখানে খেজুরগাছ লাগানো হয়। একসময় এসব গাছ থেকে বিপুল পরিমাণ খেজুর উৎপন্ন হয়। উসমানি সুলতান, পরবর্তী সময়ে সৌদি শাসকদের পরিচর্যায় এখন সেখানে প্রায় ১ হাজার ৬০০ খেজুরগাছ আছে। সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার পরে কূপ এবং এই বাগান কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিবছর বাগান থেকে উৎপাদিত খেজুর বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জিত হয়, তার অর্ধেক এতিম-গরিবদের দান করা হয়। আর অর্ধেক হজরত ওসমান (রা.)-এর নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হতে থাকে। অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এভাবে ব্যাংকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হয় যে, তা দিয়ে মসজিদ-ই-নববির পাশেই আকর্ষণীয় একটি জায়গা কিনে সেখানে একটি পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণ করা হয়।
সৌদি আরবের একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা হজরত উসমান (রা.)-এর কূপটি পরীক্ষা করে দেখেছে, কূপের পানি এখনো প্রবহমান। এরপর সৌদি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এটি পুনরুদ্ধারের জন্য একটি ব্যাপক পুনরুদ্ধার প্রকল্প শুরু করে ২০২১ সালে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কূপটি পুনরুদ্ধার সম্পূর্ণ করেছে বলে ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
ইসলামের তৃতীয় খলিফা ও মহানবী (সা.)-এর জামাতা ওসমান ইবনে আফফান (রা.) ছিলেন আরবের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। জীবদ্দশায় তিনি মানবকল্যাণে অঢেল সম্পদ দান করেছেন। তাঁর সেই সব দান ও ওয়াক্ফকৃত সম্পদ থেকে এখনো উপকৃত হচ্ছে বহু মানুষ। সৌদি আরবে এখনো সচল আছে তাঁর নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। শুধু তা-ই নয়, প্রতি মাসে তাঁর নামে আসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিলও!
মুসলমানদের মদিনায় হিজরত করার পর একসময় সেখানে খাওয়ার পানির সংকট দেখা দেয়। তখন মদিনায় এক ইহুদির একটি কূপ ছিল। সে মুসলিমদের কাছে চড়া মূল্যে পানি বিক্রি করত। কূপটির নাম ছিল বিরে রুমা বা রুমা কূপ। কূপের মালিক রুমা নামের ইহুদির নামানুসারে একে রুমা কূপ বলা হতো। মহানবী (সা.) বিষয়টি জানতে পেরে ঘোষণা দিলেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ আছে, যে কূপটি কিনে মুসলিমদের জন্য ওয়াক্ফ করে দেবে? এ কাজ যে করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে একটি ঝরনা দান করবেন।’ ঘোষণা শুনে হজরত ওসমান (রা.) সেই ইহুদিকে কূপটি বিক্রির প্রস্তাব দিলেন। কিন্তু ইহুদি বিক্রিতে অস্বীকৃতি জানাল। কোনোভাবেই বিক্রি করতে চাইল না।
হজরত ওসমান (রা.) অর্ধেক কূপ বিক্রির প্রস্তাব করলেন—অর্থাৎ, কূপ থেকে এক দিন ইহুদি পানি নেবে, অন্য দিন তিনি পানি নেবেন। ইহুদি এতে সম্মত হলো।
কূপ কেনার পর হজরত উসমান (রা.) বিনা মূল্যে পানি বিতরণ শুরু করেন। এতে ইহুদির পানির ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেল। অপারগ হয়ে পুরো কূপ ৩৫ হাজার দিরহামের বিনিময়ে ওসমান (রা.) কাছে বিক্রি করে দিলেন। কূপের মালিক হয়েই তিনি ঘোষণা করলেন, ‘মুসলিমদের জন্য এই কূপের পানি কিয়ামত পর্যন্ত ওয়াক্ফ থাকবে। তা থেকে মুসলমানরা বিনা মূল্যেই পানি পান করবে।’
কূপের আশপাশের জায়গাও কূপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিছুকাল পরে সেখানে খেজুরগাছ লাগানো হয়। একসময় এসব গাছ থেকে বিপুল পরিমাণ খেজুর উৎপন্ন হয়। উসমানি সুলতান, পরবর্তী সময়ে সৌদি শাসকদের পরিচর্যায় এখন সেখানে প্রায় ১ হাজার ৬০০ খেজুরগাছ আছে। সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার পরে কূপ এবং এই বাগান কৃষি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিবছর বাগান থেকে উৎপাদিত খেজুর বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জিত হয়, তার অর্ধেক এতিম-গরিবদের দান করা হয়। আর অর্ধেক হজরত ওসমান (রা.)-এর নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হতে থাকে। অ্যাকাউন্টটি পরিচালনা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এভাবে ব্যাংকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ জমা হয় যে, তা দিয়ে মসজিদ-ই-নববির পাশেই আকর্ষণীয় একটি জায়গা কিনে সেখানে একটি পাঁচতারকা হোটেল নির্মাণ করা হয়।
সৌদি আরবের একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা হজরত উসমান (রা.)-এর কূপটি পরীক্ষা করে দেখেছে, কূপের পানি এখনো প্রবহমান। এরপর সৌদি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এটি পুনরুদ্ধারের জন্য একটি ব্যাপক পুনরুদ্ধার প্রকল্প শুরু করে ২০২১ সালে। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে কূপটি পুনরুদ্ধার সম্পূর্ণ করেছে বলে ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
রাজধানী বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী হজ ও ওমরাহ মেলা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে এই মেলার উদ্বোধন করবেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেমানুষ সমাজবদ্ধ জীব। তার জীবন কেবল নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক ও সুশৃঙ্খল বন্ধনের মাধ্যমে জীবনের পরিপূর্ণতা আসে। ইসলামে এই আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কোরআনের পরিভাষায় একে বলা হয় ‘সিলায়ে রেহমি’ এবং এটি রক্ষা করাকে ওয়াজিব...
৮ ঘণ্টা আগেনিঃসঙ্গ কফিনটি পৃথিবীর ক্ষণস্থায়িত্ব আর অনিশ্চয়তার কথাই মনে করিয়ে দেয় বারবার। মনে করিয়ে দেয় সেই হাদিসটির কথা, যে হাদিসে নবীজি (সা.) পৃথিবীতে মুসাফিরের মতো বসবাস করার নসিহত করছেন। সত্যিই, পৃথিবী এক ক্ষণস্থায়ী সরাইখানা ছাড়া কিছু নয়, আর আমরা সবাই মুসাফির। মুসাফিরের পথচলা একদিন শেষ হবে আর তাকে...
১৫ ঘণ্টা আগেপৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর জন্যই মৃত্যু এক অবধারিত ও ধ্রুব সত্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫)। মৃত্যু জীবনের সমাপ্তি নয়, বরং এটি এক নতুন জীবনের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হওয়া। এই চরম সত্যের মুখোমুখি দাঁড়িয়েও জীবিতদের জন্য একটি
২০ ঘণ্টা আগে