রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের অষ্টম পারার শেষ অর্ধেক এবং নবম পারার পুরো অংশ; মোট দেড় পারা পড়া হবে। সুরা আরাফের ১২ থেকে সুরা আনফালের ৪০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে আদম-হাওয়া (আ.) সৃষ্টির আদি ঘটনা, শয়তানের ধোঁকা, লজ্জা, বিভিন্ন জাতি ধ্বংসের কারণ, মুসা (আ.)-এর মোজেজা, অপচয়সহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। সেখান থেকে অংশবিশেষ এখানে তুলে ধরা হলো—
শয়তান যে কারণে জান্নাত থেকে বিতাড়িত হলো
আজকের তারাবির আলোচনা শুরু হয়েছে আল্লাহর সঙ্গে শয়তানের বাগ্বিতণ্ডা নিয়ে। মানুষ সৃষ্টির আগে আল্লাহর সৃষ্টিতে ফেরেশতা ও জিন ছিল। ইবলিস ছিল জিন জাতির সদস্য। আগুনের তৈরি। তবে সে থাকত ফেরেশতাদের সঙ্গে। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করত। আল্লাহর সৃষ্টিতে তার ইবাদতের আলোচনা হতো।
পরে আল্লাহ দুনিয়ায় তাঁর প্রতিনিধি বানাতে চাইলেন। মানুষের আদি পিতা, সৃষ্টির প্রভাতপুরুষ আদম (আ.)কে সৃষ্টি করলেন। আল্লাহ ফেরেশতাদের আদেশ করলেন আদমকে সেজদা করতে। ফেরেশতারা আদেশ পালন করেছিলেন। কিন্তু ফেরেশতাদের দলে থাকা ইবলিস সেজদা করল না।
ইবলিস প্রথমত, সেজদা না করে আল্লাহর আদেশের অবাধ্যতা করেছিল। দ্বিতীয়ত, অহংকার দেখিয়ে বলেছিল, ‘আমি আগুনের তৈরি আর আদম মাটির’। তৃতীয়ত, আল্লাহর সুস্পষ্ট আদেশের বিপরীতে যুক্তি দাঁড় করিয়েছিল; যা আল্লাহভীরুদের কাজ হতে পারে না। ফলে আল্লাহ তাকে জান্নাত থেকে বের করে দিলেন। সে আর কখনো জান্নাতে যেতে পারবে না।
অবাধ্যতা, অহংকার ও মিথ্যা যুক্তি তার পতন ডেকে এনেছিল। তাকে জান্নাত থেকে বিতাড়িত করেছিল। আল্লাহ বললেন, ‘নেমে যা এখান থেকে, এর ভেতরে থেকে অহংকার করবি, তা হতে পারে না। অতএব বেরিয়ে যা, অধমদের কাতারেই তোর স্থান।’ (সুরা আরাফ: ১৩)
নামাজের পোশাক যেমন হওয়া প্রয়োজন
সুরা আরাফে মানুষের পরিধেয় পোশাক সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা তিনবার আলোচনা করেছেন। মানুষকে সতর ঢেকে রাখা এবং নামাজে উত্তম পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছেন। সতর ঢেকে রাখা ফরজ। লজ্জা-শরম ইমানের সৌন্দর্য। মুমিন কখনো সতর খোলা রেখে চলতে পারে না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষদের সতর নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং নারীদের সতর মুখমণ্ডল, হাতের তালু এবং পদযুগল ছাড়া অবশিষ্ট দেহ।’
ঢেকে রাখা অঙ্গগুলোর কোনো একটির এক-চতুর্থাংশ বা এর অধিক এক মুহূর্তের জন্যও ইচ্ছাকৃত খুলে ফেললে নামাজ ছুটে যাবে।
পবিত্র দেহ, সতেজ ও প্রফুল্ল মন, পরিপাটি ও উত্তম পোশাকে নামাজ আদায় করতে হবে। নিজের সবচেয়ে ভালো পোশাক পরে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমি মহামহিম আল্লাহর সামনে দাঁড়াচ্ছি। আমি মালিকের কাছে হাজিরা দিচ্ছি।
পৃথিবীতে কত কারণে আমরা নতুন ও উত্তম পোশাক পরি, সাজসজ্জা গ্রহণ করি; কিন্তু নামাজে দাঁড়াই অপরিচ্ছন্ন পুরোনো পোশাকে, অপ্রস্তুত এলোমেলো হয়ে; এ রকম কাজ আল্লাহর অপছন্দ। আল্লাহ বলেন, ‘হে আদম সন্তান, প্রত্যেক নামাজের সময় সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাকপরিচ্ছদ) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)
যে কারণে ধ্বংস হয়েছিল ৬ জাতি
সুরা আরাফের ৬৫ থেকে ৮৭ নম্বর আয়াতে কওমে নুহ, আদ, সামুদ, কওমে লুত, মাদায়েনবাসী ও বনি ইসরাইল—এই ছয় সম্প্রদায়ের অবাধ্যতা ও গজবে ধ্বংস হওয়ার আলোচনা রয়েছে। যথা—
১. কওমে নুহের নবী ছিলেন নুহ (আ.)। মূর্তিপূজা পরিত্যাগ না করার কারণে ভয়ংকর বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস দিয়ে নুহ (আ.)-এর জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
২. আদ জাতির নবী ছিলেন হুদ (আ.)। শক্তি ও ক্ষমতার বাহাদুরি এবং মূর্তিপূজা না ছাড়ার কারণে বিভিন্ন আজাব দিয়ে আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৩. সামুদ জাতির নবী ছিলেন সালেহ (আ.)। আল্লাহর নিদর্শন বিশেষ একটি উট হত্যার কারণে ভূমিকম্প দিয়ে সামুদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়।
৪. কওমে লুতের নবী ছিলেন লুত (আ.)। সমকামিতার অপরাধে ভূমি উল্টে পাথরবৃষ্টি দিয়ে লুত (আ.)-এর জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৫. মাদায়েনবাসীর নবী ছিলেন শোয়াইব (আ.)। তাওহিদে অবিশ্বাস, মাপে কম দেওয়া, সম্পদ আত্মসাৎ, অর্থনৈতিক অসততা ও মানুষকে ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ায় ভূমিকম্প দিয়ে মাদায়েন জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৬. বনি ইসরাইলের নবী ছিলেন মুসা (আ.)। নিজের ক্ষমতার প্রতি অন্ধ মোহ, মুসা ও হারুন (আ.)কে হত্যার পরিকল্পনা করার কারণে ফেরাউন ও তার জাতিকে নীল নদে ডুবিয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল।
এই জাতিগুলোর অনেক ধ্বংসাবশেষ এখনো টিকে রয়েছে। মিসরে ফেরাউনের মমি, ফিলিস্তিন ও জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী স্থানে ডেড সি বা মৃত সাগর, লুত সাগরের সন্নিকটে সিরিয়া ও হিজাজের সীমান্তবর্তী মাদায়িন জনপদ, মদিনার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত বর্তমান শহর আল উলা থেকে কয়েক মাইল ব্যবধানে সামুদ জাতির ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়।
যুদ্ধবিষয়ক বিধান—সুরা আনফাল
সুরা আনফাল মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াতের সংখ্যা ৭৫। পবিত্র কোরআনের অষ্টম সুরা এটি। আনফাল ‘নফল’ শব্দের বহুবচন। অর্থ অতিরিক্ত। কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে যে সম্পদ মুসলিমদের হস্তগত হয়, তাকে নফল বা গনিমত বলা হয়। এ সুরায় গনিমতের সম্পদ বণ্টন নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। তাই এ সুরাকে আনফাল বলা হয়। (তাফসিরে তাইসিরুল কোরআন)
সুরা আনফালের ১ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে বিশেষ করে আল্লাহর পথে জিহাদ, ইমানদারের বৈশিষ্ট্য, গনিমতের সম্পদ বণ্টনের নীতি, নবীজির বিরুদ্ধে কাফেরদের ষড়যন্ত্র, বদর যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ, কাফেরদের ঠিকানা জাহান্নাম, মুসলমানদের অভিভাবক আল্লাহ ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
এ ছাড়া আজকের তারাবির অংশে আদম ও হাওয়া (আ.) দুনিয়ায় আসার ঘটনা, নবীরা নিজ নিজ সম্প্রদায়কে কী বলেছিলেন, জবাবে সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় লোকজন কী বলেছিল, ফলে আল্লাহ কী করেছেন, আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ, বনি ইসরাইলের ওপর আল্লাহর শাস্তি, শয়তানের ধোঁকা থেকে মানুষকে বাঁচার নির্দেশ, মুসা (আ.)-এর লাঠি ও ফেরাউনের জাদুর সাপ ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের অষ্টম পারার শেষ অর্ধেক এবং নবম পারার পুরো অংশ; মোট দেড় পারা পড়া হবে। সুরা আরাফের ১২ থেকে সুরা আনফালের ৪০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে আদম-হাওয়া (আ.) সৃষ্টির আদি ঘটনা, শয়তানের ধোঁকা, লজ্জা, বিভিন্ন জাতি ধ্বংসের কারণ, মুসা (আ.)-এর মোজেজা, অপচয়সহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। সেখান থেকে অংশবিশেষ এখানে তুলে ধরা হলো—
শয়তান যে কারণে জান্নাত থেকে বিতাড়িত হলো
আজকের তারাবির আলোচনা শুরু হয়েছে আল্লাহর সঙ্গে শয়তানের বাগ্বিতণ্ডা নিয়ে। মানুষ সৃষ্টির আগে আল্লাহর সৃষ্টিতে ফেরেশতা ও জিন ছিল। ইবলিস ছিল জিন জাতির সদস্য। আগুনের তৈরি। তবে সে থাকত ফেরেশতাদের সঙ্গে। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করত। আল্লাহর সৃষ্টিতে তার ইবাদতের আলোচনা হতো।
পরে আল্লাহ দুনিয়ায় তাঁর প্রতিনিধি বানাতে চাইলেন। মানুষের আদি পিতা, সৃষ্টির প্রভাতপুরুষ আদম (আ.)কে সৃষ্টি করলেন। আল্লাহ ফেরেশতাদের আদেশ করলেন আদমকে সেজদা করতে। ফেরেশতারা আদেশ পালন করেছিলেন। কিন্তু ফেরেশতাদের দলে থাকা ইবলিস সেজদা করল না।
ইবলিস প্রথমত, সেজদা না করে আল্লাহর আদেশের অবাধ্যতা করেছিল। দ্বিতীয়ত, অহংকার দেখিয়ে বলেছিল, ‘আমি আগুনের তৈরি আর আদম মাটির’। তৃতীয়ত, আল্লাহর সুস্পষ্ট আদেশের বিপরীতে যুক্তি দাঁড় করিয়েছিল; যা আল্লাহভীরুদের কাজ হতে পারে না। ফলে আল্লাহ তাকে জান্নাত থেকে বের করে দিলেন। সে আর কখনো জান্নাতে যেতে পারবে না।
অবাধ্যতা, অহংকার ও মিথ্যা যুক্তি তার পতন ডেকে এনেছিল। তাকে জান্নাত থেকে বিতাড়িত করেছিল। আল্লাহ বললেন, ‘নেমে যা এখান থেকে, এর ভেতরে থেকে অহংকার করবি, তা হতে পারে না। অতএব বেরিয়ে যা, অধমদের কাতারেই তোর স্থান।’ (সুরা আরাফ: ১৩)
নামাজের পোশাক যেমন হওয়া প্রয়োজন
সুরা আরাফে মানুষের পরিধেয় পোশাক সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা তিনবার আলোচনা করেছেন। মানুষকে সতর ঢেকে রাখা এবং নামাজে উত্তম পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছেন। সতর ঢেকে রাখা ফরজ। লজ্জা-শরম ইমানের সৌন্দর্য। মুমিন কখনো সতর খোলা রেখে চলতে পারে না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষদের সতর নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং নারীদের সতর মুখমণ্ডল, হাতের তালু এবং পদযুগল ছাড়া অবশিষ্ট দেহ।’
ঢেকে রাখা অঙ্গগুলোর কোনো একটির এক-চতুর্থাংশ বা এর অধিক এক মুহূর্তের জন্যও ইচ্ছাকৃত খুলে ফেললে নামাজ ছুটে যাবে।
পবিত্র দেহ, সতেজ ও প্রফুল্ল মন, পরিপাটি ও উত্তম পোশাকে নামাজ আদায় করতে হবে। নিজের সবচেয়ে ভালো পোশাক পরে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমি মহামহিম আল্লাহর সামনে দাঁড়াচ্ছি। আমি মালিকের কাছে হাজিরা দিচ্ছি।
পৃথিবীতে কত কারণে আমরা নতুন ও উত্তম পোশাক পরি, সাজসজ্জা গ্রহণ করি; কিন্তু নামাজে দাঁড়াই অপরিচ্ছন্ন পুরোনো পোশাকে, অপ্রস্তুত এলোমেলো হয়ে; এ রকম কাজ আল্লাহর অপছন্দ। আল্লাহ বলেন, ‘হে আদম সন্তান, প্রত্যেক নামাজের সময় সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাকপরিচ্ছদ) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)
যে কারণে ধ্বংস হয়েছিল ৬ জাতি
সুরা আরাফের ৬৫ থেকে ৮৭ নম্বর আয়াতে কওমে নুহ, আদ, সামুদ, কওমে লুত, মাদায়েনবাসী ও বনি ইসরাইল—এই ছয় সম্প্রদায়ের অবাধ্যতা ও গজবে ধ্বংস হওয়ার আলোচনা রয়েছে। যথা—
১. কওমে নুহের নবী ছিলেন নুহ (আ.)। মূর্তিপূজা পরিত্যাগ না করার কারণে ভয়ংকর বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস দিয়ে নুহ (আ.)-এর জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
২. আদ জাতির নবী ছিলেন হুদ (আ.)। শক্তি ও ক্ষমতার বাহাদুরি এবং মূর্তিপূজা না ছাড়ার কারণে বিভিন্ন আজাব দিয়ে আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৩. সামুদ জাতির নবী ছিলেন সালেহ (আ.)। আল্লাহর নিদর্শন বিশেষ একটি উট হত্যার কারণে ভূমিকম্প দিয়ে সামুদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়।
৪. কওমে লুতের নবী ছিলেন লুত (আ.)। সমকামিতার অপরাধে ভূমি উল্টে পাথরবৃষ্টি দিয়ে লুত (আ.)-এর জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৫. মাদায়েনবাসীর নবী ছিলেন শোয়াইব (আ.)। তাওহিদে অবিশ্বাস, মাপে কম দেওয়া, সম্পদ আত্মসাৎ, অর্থনৈতিক অসততা ও মানুষকে ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ায় ভূমিকম্প দিয়ে মাদায়েন জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৬. বনি ইসরাইলের নবী ছিলেন মুসা (আ.)। নিজের ক্ষমতার প্রতি অন্ধ মোহ, মুসা ও হারুন (আ.)কে হত্যার পরিকল্পনা করার কারণে ফেরাউন ও তার জাতিকে নীল নদে ডুবিয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল।
এই জাতিগুলোর অনেক ধ্বংসাবশেষ এখনো টিকে রয়েছে। মিসরে ফেরাউনের মমি, ফিলিস্তিন ও জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী স্থানে ডেড সি বা মৃত সাগর, লুত সাগরের সন্নিকটে সিরিয়া ও হিজাজের সীমান্তবর্তী মাদায়িন জনপদ, মদিনার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত বর্তমান শহর আল উলা থেকে কয়েক মাইল ব্যবধানে সামুদ জাতির ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়।
যুদ্ধবিষয়ক বিধান—সুরা আনফাল
সুরা আনফাল মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াতের সংখ্যা ৭৫। পবিত্র কোরআনের অষ্টম সুরা এটি। আনফাল ‘নফল’ শব্দের বহুবচন। অর্থ অতিরিক্ত। কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে যে সম্পদ মুসলিমদের হস্তগত হয়, তাকে নফল বা গনিমত বলা হয়। এ সুরায় গনিমতের সম্পদ বণ্টন নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। তাই এ সুরাকে আনফাল বলা হয়। (তাফসিরে তাইসিরুল কোরআন)
সুরা আনফালের ১ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে বিশেষ করে আল্লাহর পথে জিহাদ, ইমানদারের বৈশিষ্ট্য, গনিমতের সম্পদ বণ্টনের নীতি, নবীজির বিরুদ্ধে কাফেরদের ষড়যন্ত্র, বদর যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ, কাফেরদের ঠিকানা জাহান্নাম, মুসলমানদের অভিভাবক আল্লাহ ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
এ ছাড়া আজকের তারাবির অংশে আদম ও হাওয়া (আ.) দুনিয়ায় আসার ঘটনা, নবীরা নিজ নিজ সম্প্রদায়কে কী বলেছিলেন, জবাবে সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় লোকজন কী বলেছিল, ফলে আল্লাহ কী করেছেন, আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ, বনি ইসরাইলের ওপর আল্লাহর শাস্তি, শয়তানের ধোঁকা থেকে মানুষকে বাঁচার নির্দেশ, মুসা (আ.)-এর লাঠি ও ফেরাউনের জাদুর সাপ ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।
রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের অষ্টম পারার শেষ অর্ধেক এবং নবম পারার পুরো অংশ; মোট দেড় পারা পড়া হবে। সুরা আরাফের ১২ থেকে সুরা আনফালের ৪০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে আদম-হাওয়া (আ.) সৃষ্টির আদি ঘটনা, শয়তানের ধোঁকা, লজ্জা, বিভিন্ন জাতি ধ্বংসের কারণ, মুসা (আ.)-এর মোজেজা, অপচয়সহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। সেখান থেকে অংশবিশেষ এখানে তুলে ধরা হলো—
শয়তান যে কারণে জান্নাত থেকে বিতাড়িত হলো
আজকের তারাবির আলোচনা শুরু হয়েছে আল্লাহর সঙ্গে শয়তানের বাগ্বিতণ্ডা নিয়ে। মানুষ সৃষ্টির আগে আল্লাহর সৃষ্টিতে ফেরেশতা ও জিন ছিল। ইবলিস ছিল জিন জাতির সদস্য। আগুনের তৈরি। তবে সে থাকত ফেরেশতাদের সঙ্গে। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করত। আল্লাহর সৃষ্টিতে তার ইবাদতের আলোচনা হতো।
পরে আল্লাহ দুনিয়ায় তাঁর প্রতিনিধি বানাতে চাইলেন। মানুষের আদি পিতা, সৃষ্টির প্রভাতপুরুষ আদম (আ.)কে সৃষ্টি করলেন। আল্লাহ ফেরেশতাদের আদেশ করলেন আদমকে সেজদা করতে। ফেরেশতারা আদেশ পালন করেছিলেন। কিন্তু ফেরেশতাদের দলে থাকা ইবলিস সেজদা করল না।
ইবলিস প্রথমত, সেজদা না করে আল্লাহর আদেশের অবাধ্যতা করেছিল। দ্বিতীয়ত, অহংকার দেখিয়ে বলেছিল, ‘আমি আগুনের তৈরি আর আদম মাটির’। তৃতীয়ত, আল্লাহর সুস্পষ্ট আদেশের বিপরীতে যুক্তি দাঁড় করিয়েছিল; যা আল্লাহভীরুদের কাজ হতে পারে না। ফলে আল্লাহ তাকে জান্নাত থেকে বের করে দিলেন। সে আর কখনো জান্নাতে যেতে পারবে না।
অবাধ্যতা, অহংকার ও মিথ্যা যুক্তি তার পতন ডেকে এনেছিল। তাকে জান্নাত থেকে বিতাড়িত করেছিল। আল্লাহ বললেন, ‘নেমে যা এখান থেকে, এর ভেতরে থেকে অহংকার করবি, তা হতে পারে না। অতএব বেরিয়ে যা, অধমদের কাতারেই তোর স্থান।’ (সুরা আরাফ: ১৩)
নামাজের পোশাক যেমন হওয়া প্রয়োজন
সুরা আরাফে মানুষের পরিধেয় পোশাক সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা তিনবার আলোচনা করেছেন। মানুষকে সতর ঢেকে রাখা এবং নামাজে উত্তম পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছেন। সতর ঢেকে রাখা ফরজ। লজ্জা-শরম ইমানের সৌন্দর্য। মুমিন কখনো সতর খোলা রেখে চলতে পারে না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষদের সতর নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং নারীদের সতর মুখমণ্ডল, হাতের তালু এবং পদযুগল ছাড়া অবশিষ্ট দেহ।’
ঢেকে রাখা অঙ্গগুলোর কোনো একটির এক-চতুর্থাংশ বা এর অধিক এক মুহূর্তের জন্যও ইচ্ছাকৃত খুলে ফেললে নামাজ ছুটে যাবে।
পবিত্র দেহ, সতেজ ও প্রফুল্ল মন, পরিপাটি ও উত্তম পোশাকে নামাজ আদায় করতে হবে। নিজের সবচেয়ে ভালো পোশাক পরে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমি মহামহিম আল্লাহর সামনে দাঁড়াচ্ছি। আমি মালিকের কাছে হাজিরা দিচ্ছি।
পৃথিবীতে কত কারণে আমরা নতুন ও উত্তম পোশাক পরি, সাজসজ্জা গ্রহণ করি; কিন্তু নামাজে দাঁড়াই অপরিচ্ছন্ন পুরোনো পোশাকে, অপ্রস্তুত এলোমেলো হয়ে; এ রকম কাজ আল্লাহর অপছন্দ। আল্লাহ বলেন, ‘হে আদম সন্তান, প্রত্যেক নামাজের সময় সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাকপরিচ্ছদ) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)
যে কারণে ধ্বংস হয়েছিল ৬ জাতি
সুরা আরাফের ৬৫ থেকে ৮৭ নম্বর আয়াতে কওমে নুহ, আদ, সামুদ, কওমে লুত, মাদায়েনবাসী ও বনি ইসরাইল—এই ছয় সম্প্রদায়ের অবাধ্যতা ও গজবে ধ্বংস হওয়ার আলোচনা রয়েছে। যথা—
১. কওমে নুহের নবী ছিলেন নুহ (আ.)। মূর্তিপূজা পরিত্যাগ না করার কারণে ভয়ংকর বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস দিয়ে নুহ (আ.)-এর জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
২. আদ জাতির নবী ছিলেন হুদ (আ.)। শক্তি ও ক্ষমতার বাহাদুরি এবং মূর্তিপূজা না ছাড়ার কারণে বিভিন্ন আজাব দিয়ে আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৩. সামুদ জাতির নবী ছিলেন সালেহ (আ.)। আল্লাহর নিদর্শন বিশেষ একটি উট হত্যার কারণে ভূমিকম্প দিয়ে সামুদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়।
৪. কওমে লুতের নবী ছিলেন লুত (আ.)। সমকামিতার অপরাধে ভূমি উল্টে পাথরবৃষ্টি দিয়ে লুত (আ.)-এর জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৫. মাদায়েনবাসীর নবী ছিলেন শোয়াইব (আ.)। তাওহিদে অবিশ্বাস, মাপে কম দেওয়া, সম্পদ আত্মসাৎ, অর্থনৈতিক অসততা ও মানুষকে ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ায় ভূমিকম্প দিয়ে মাদায়েন জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৬. বনি ইসরাইলের নবী ছিলেন মুসা (আ.)। নিজের ক্ষমতার প্রতি অন্ধ মোহ, মুসা ও হারুন (আ.)কে হত্যার পরিকল্পনা করার কারণে ফেরাউন ও তার জাতিকে নীল নদে ডুবিয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল।
এই জাতিগুলোর অনেক ধ্বংসাবশেষ এখনো টিকে রয়েছে। মিসরে ফেরাউনের মমি, ফিলিস্তিন ও জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী স্থানে ডেড সি বা মৃত সাগর, লুত সাগরের সন্নিকটে সিরিয়া ও হিজাজের সীমান্তবর্তী মাদায়িন জনপদ, মদিনার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত বর্তমান শহর আল উলা থেকে কয়েক মাইল ব্যবধানে সামুদ জাতির ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়।
যুদ্ধবিষয়ক বিধান—সুরা আনফাল
সুরা আনফাল মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াতের সংখ্যা ৭৫। পবিত্র কোরআনের অষ্টম সুরা এটি। আনফাল ‘নফল’ শব্দের বহুবচন। অর্থ অতিরিক্ত। কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে যে সম্পদ মুসলিমদের হস্তগত হয়, তাকে নফল বা গনিমত বলা হয়। এ সুরায় গনিমতের সম্পদ বণ্টন নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। তাই এ সুরাকে আনফাল বলা হয়। (তাফসিরে তাইসিরুল কোরআন)
সুরা আনফালের ১ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে বিশেষ করে আল্লাহর পথে জিহাদ, ইমানদারের বৈশিষ্ট্য, গনিমতের সম্পদ বণ্টনের নীতি, নবীজির বিরুদ্ধে কাফেরদের ষড়যন্ত্র, বদর যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ, কাফেরদের ঠিকানা জাহান্নাম, মুসলমানদের অভিভাবক আল্লাহ ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
এ ছাড়া আজকের তারাবির অংশে আদম ও হাওয়া (আ.) দুনিয়ায় আসার ঘটনা, নবীরা নিজ নিজ সম্প্রদায়কে কী বলেছিলেন, জবাবে সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় লোকজন কী বলেছিল, ফলে আল্লাহ কী করেছেন, আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ, বনি ইসরাইলের ওপর আল্লাহর শাস্তি, শয়তানের ধোঁকা থেকে মানুষকে বাঁচার নির্দেশ, মুসা (আ.)-এর লাঠি ও ফেরাউনের জাদুর সাপ ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের অষ্টম পারার শেষ অর্ধেক এবং নবম পারার পুরো অংশ; মোট দেড় পারা পড়া হবে। সুরা আরাফের ১২ থেকে সুরা আনফালের ৪০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে আদম-হাওয়া (আ.) সৃষ্টির আদি ঘটনা, শয়তানের ধোঁকা, লজ্জা, বিভিন্ন জাতি ধ্বংসের কারণ, মুসা (আ.)-এর মোজেজা, অপচয়সহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। সেখান থেকে অংশবিশেষ এখানে তুলে ধরা হলো—
শয়তান যে কারণে জান্নাত থেকে বিতাড়িত হলো
আজকের তারাবির আলোচনা শুরু হয়েছে আল্লাহর সঙ্গে শয়তানের বাগ্বিতণ্ডা নিয়ে। মানুষ সৃষ্টির আগে আল্লাহর সৃষ্টিতে ফেরেশতা ও জিন ছিল। ইবলিস ছিল জিন জাতির সদস্য। আগুনের তৈরি। তবে সে থাকত ফেরেশতাদের সঙ্গে। একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করত। আল্লাহর সৃষ্টিতে তার ইবাদতের আলোচনা হতো।
পরে আল্লাহ দুনিয়ায় তাঁর প্রতিনিধি বানাতে চাইলেন। মানুষের আদি পিতা, সৃষ্টির প্রভাতপুরুষ আদম (আ.)কে সৃষ্টি করলেন। আল্লাহ ফেরেশতাদের আদেশ করলেন আদমকে সেজদা করতে। ফেরেশতারা আদেশ পালন করেছিলেন। কিন্তু ফেরেশতাদের দলে থাকা ইবলিস সেজদা করল না।
ইবলিস প্রথমত, সেজদা না করে আল্লাহর আদেশের অবাধ্যতা করেছিল। দ্বিতীয়ত, অহংকার দেখিয়ে বলেছিল, ‘আমি আগুনের তৈরি আর আদম মাটির’। তৃতীয়ত, আল্লাহর সুস্পষ্ট আদেশের বিপরীতে যুক্তি দাঁড় করিয়েছিল; যা আল্লাহভীরুদের কাজ হতে পারে না। ফলে আল্লাহ তাকে জান্নাত থেকে বের করে দিলেন। সে আর কখনো জান্নাতে যেতে পারবে না।
অবাধ্যতা, অহংকার ও মিথ্যা যুক্তি তার পতন ডেকে এনেছিল। তাকে জান্নাত থেকে বিতাড়িত করেছিল। আল্লাহ বললেন, ‘নেমে যা এখান থেকে, এর ভেতরে থেকে অহংকার করবি, তা হতে পারে না। অতএব বেরিয়ে যা, অধমদের কাতারেই তোর স্থান।’ (সুরা আরাফ: ১৩)
নামাজের পোশাক যেমন হওয়া প্রয়োজন
সুরা আরাফে মানুষের পরিধেয় পোশাক সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা তিনবার আলোচনা করেছেন। মানুষকে সতর ঢেকে রাখা এবং নামাজে উত্তম পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছেন। সতর ঢেকে রাখা ফরজ। লজ্জা-শরম ইমানের সৌন্দর্য। মুমিন কখনো সতর খোলা রেখে চলতে পারে না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষদের সতর নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত এবং নারীদের সতর মুখমণ্ডল, হাতের তালু এবং পদযুগল ছাড়া অবশিষ্ট দেহ।’
ঢেকে রাখা অঙ্গগুলোর কোনো একটির এক-চতুর্থাংশ বা এর অধিক এক মুহূর্তের জন্যও ইচ্ছাকৃত খুলে ফেললে নামাজ ছুটে যাবে।
পবিত্র দেহ, সতেজ ও প্রফুল্ল মন, পরিপাটি ও উত্তম পোশাকে নামাজ আদায় করতে হবে। নিজের সবচেয়ে ভালো পোশাক পরে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমি মহামহিম আল্লাহর সামনে দাঁড়াচ্ছি। আমি মালিকের কাছে হাজিরা দিচ্ছি।
পৃথিবীতে কত কারণে আমরা নতুন ও উত্তম পোশাক পরি, সাজসজ্জা গ্রহণ করি; কিন্তু নামাজে দাঁড়াই অপরিচ্ছন্ন পুরোনো পোশাকে, অপ্রস্তুত এলোমেলো হয়ে; এ রকম কাজ আল্লাহর অপছন্দ। আল্লাহ বলেন, ‘হে আদম সন্তান, প্রত্যেক নামাজের সময় সাজসজ্জা (সুন্দর পোশাকপরিচ্ছদ) গ্রহণ করো।’ (সুরা আরাফ: ৩১)
যে কারণে ধ্বংস হয়েছিল ৬ জাতি
সুরা আরাফের ৬৫ থেকে ৮৭ নম্বর আয়াতে কওমে নুহ, আদ, সামুদ, কওমে লুত, মাদায়েনবাসী ও বনি ইসরাইল—এই ছয় সম্প্রদায়ের অবাধ্যতা ও গজবে ধ্বংস হওয়ার আলোচনা রয়েছে। যথা—
১. কওমে নুহের নবী ছিলেন নুহ (আ.)। মূর্তিপূজা পরিত্যাগ না করার কারণে ভয়ংকর বন্যা ও জলোচ্ছ্বাস দিয়ে নুহ (আ.)-এর জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
২. আদ জাতির নবী ছিলেন হুদ (আ.)। শক্তি ও ক্ষমতার বাহাদুরি এবং মূর্তিপূজা না ছাড়ার কারণে বিভিন্ন আজাব দিয়ে আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৩. সামুদ জাতির নবী ছিলেন সালেহ (আ.)। আল্লাহর নিদর্শন বিশেষ একটি উট হত্যার কারণে ভূমিকম্প দিয়ে সামুদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়।
৪. কওমে লুতের নবী ছিলেন লুত (আ.)। সমকামিতার অপরাধে ভূমি উল্টে পাথরবৃষ্টি দিয়ে লুত (আ.)-এর জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৫. মাদায়েনবাসীর নবী ছিলেন শোয়াইব (আ.)। তাওহিদে অবিশ্বাস, মাপে কম দেওয়া, সম্পদ আত্মসাৎ, অর্থনৈতিক অসততা ও মানুষকে ধর্ম পালনে বাধা দেওয়ায় ভূমিকম্প দিয়ে মাদায়েন জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল।
৬. বনি ইসরাইলের নবী ছিলেন মুসা (আ.)। নিজের ক্ষমতার প্রতি অন্ধ মোহ, মুসা ও হারুন (আ.)কে হত্যার পরিকল্পনা করার কারণে ফেরাউন ও তার জাতিকে নীল নদে ডুবিয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল।
এই জাতিগুলোর অনেক ধ্বংসাবশেষ এখনো টিকে রয়েছে। মিসরে ফেরাউনের মমি, ফিলিস্তিন ও জর্ডান নদীর মধ্যবর্তী স্থানে ডেড সি বা মৃত সাগর, লুত সাগরের সন্নিকটে সিরিয়া ও হিজাজের সীমান্তবর্তী মাদায়িন জনপদ, মদিনার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত বর্তমান শহর আল উলা থেকে কয়েক মাইল ব্যবধানে সামুদ জাতির ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়।
যুদ্ধবিষয়ক বিধান—সুরা আনফাল
সুরা আনফাল মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াতের সংখ্যা ৭৫। পবিত্র কোরআনের অষ্টম সুরা এটি। আনফাল ‘নফল’ শব্দের বহুবচন। অর্থ অতিরিক্ত। কাফেরদের সঙ্গে যুদ্ধ চলাকালে যে সম্পদ মুসলিমদের হস্তগত হয়, তাকে নফল বা গনিমত বলা হয়। এ সুরায় গনিমতের সম্পদ বণ্টন নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। তাই এ সুরাকে আনফাল বলা হয়। (তাফসিরে তাইসিরুল কোরআন)
সুরা আনফালের ১ থেকে ৪০ নম্বর আয়াতে বিশেষ করে আল্লাহর পথে জিহাদ, ইমানদারের বৈশিষ্ট্য, গনিমতের সম্পদ বণ্টনের নীতি, নবীজির বিরুদ্ধে কাফেরদের ষড়যন্ত্র, বদর যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ, কাফেরদের ঠিকানা জাহান্নাম, মুসলমানদের অভিভাবক আল্লাহ ইত্যাদি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে।
এ ছাড়া আজকের তারাবির অংশে আদম ও হাওয়া (আ.) দুনিয়ায় আসার ঘটনা, নবীরা নিজ নিজ সম্প্রদায়কে কী বলেছিলেন, জবাবে সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয় লোকজন কী বলেছিল, ফলে আল্লাহ কী করেছেন, আল্লাহর একত্ববাদের প্রমাণ, বনি ইসরাইলের ওপর আল্লাহর শাস্তি, শয়তানের ধোঁকা থেকে মানুষকে বাঁচার নির্দেশ, মুসা (আ.)-এর লাঠি ও ফেরাউনের জাদুর সাপ ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা রয়েছে।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের অষ্টম পারার শেষ অর্ধেক এবং নবম পারার পুরো অংশ; মোট দেড় পারা পড়া হবে। সুরা আরাফের ১২ থেকে সুরা আনফালের ৪০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে আদম-হাওয়া (আ.) সৃষ্টির আদি ঘটনা, শয়তানের ধোঁকা, লজ্জা, বিভিন্ন জাতি ধ্বংসের কারণ, মুসা (আ.)-এ মোজেজা, অপচয়সহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। সেখ
২৮ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের অষ্টম পারার শেষ অর্ধেক এবং নবম পারার পুরো অংশ; মোট দেড় পারা পড়া হবে। সুরা আরাফের ১২ থেকে সুরা আনফালের ৪০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে আদম-হাওয়া (আ.) সৃষ্টির আদি ঘটনা, শয়তানের ধোঁকা, লজ্জা, বিভিন্ন জাতি ধ্বংসের কারণ, মুসা (আ.)-এ মোজেজা, অপচয়সহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। সেখ
২৮ মার্চ ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের অষ্টম পারার শেষ অর্ধেক এবং নবম পারার পুরো অংশ; মোট দেড় পারা পড়া হবে। সুরা আরাফের ১২ থেকে সুরা আনফালের ৪০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে আদম-হাওয়া (আ.) সৃষ্টির আদি ঘটনা, শয়তানের ধোঁকা, লজ্জা, বিভিন্ন জাতি ধ্বংসের কারণ, মুসা (আ.)-এ মোজেজা, অপচয়সহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। সেখ
২৮ মার্চ ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের অষ্টম পারার শেষ অর্ধেক এবং নবম পারার পুরো অংশ; মোট দেড় পারা পড়া হবে। সুরা আরাফের ১২ থেকে সুরা আনফালের ৪০ নম্বর আয়াত পর্যন্ত—এই অংশে আদম-হাওয়া (আ.) সৃষ্টির আদি ঘটনা, শয়তানের ধোঁকা, লজ্জা, বিভিন্ন জাতি ধ্বংসের কারণ, মুসা (আ.)-এ মোজেজা, অপচয়সহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। সেখ
২৮ মার্চ ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে