কাউসার লাবীব

মানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে একজন মুসলমান কীভাবে শোকাহত ভাই বা বোনের পাশে দাঁড়াবে, তার সর্বশ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
দয়ার নবী (সা.) শোকার্তদের পাশে দাঁড়াতেন, তাদের ঘরে যেতেন, খাবারের ব্যবস্থা করতেন, তাদের দুঃখ নিজের দুঃখ মনে করে দোয়া করতেন। শোকগ্রস্ত পরিবারকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়ে আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করাতেন।
স্বজন হারানো পরিবারকে সান্ত্বনা
উম্মে সালামা (রা.) বর্ণনা করেন, আবু সালামার ইন্তেকালের পর আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের বাড়িতে আসেন। শোকার্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। তার জন্য দোয়া করেন, ‘হে আল্লাহ, আবু সালামাকে ক্ষমা করুন এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন। আপনি তার বংশধরদের অভিভাবক হয়ে যান। হে রাব্বুল আলামিন, তাকে ও আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন। তার কবর প্রশস্ত করুন এবং তা আলোকোজ্জ্বল করুন।’ (সহিহ মুসলিম: ৯২০)
সন্তান হারানোর পর মায়েরা অতিমাত্রায় ভেঙে পড়েন। বারবার তাদের হৃদয় ব্যাকুল হয়ে পড়ে। নবীজি তাদের হৃদয় শান্ত করার জন্য আশার বাণী শোনান, ‘যদি কোনো নারীর তিনটি সন্তান মারা যায়, তাহলে সেই সন্তানেরা তাদের মায়ের জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে। মায়ের জন্য জাহান্নামের রক্ষাকবচ হবে।’ এক নারী তখন জানতে চান, ‘যদি দুটি সন্তান মারা যায়?’ নবীজি বলেন, ‘দুটি হলেও।’ (সহিহ বুখারি: ১০১)
শোকার্ত পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা
স্বজন হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়া পরিবার শুধু মানসিকভাবে নয়, দৈনন্দিন কাজেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এমন সময়ে তাদের খাবারেরও খোঁজ থাকে না। তাই নবীজি (সা.) শোকার্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের খাবারদাবারের ব্যবস্থাও করতেন।
হজরত জাফর ইবনে আবু তালিব (রা.) মুতার যুদ্ধে শহীদ হলে রাসুল (সা.) তাঁর প্রতিবেশীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমরা জাফরের পরিবারের জন্য খাদ্য প্রস্তুত করো। কেননা তাদের কাছে এমন একটি সংবাদ এসেছে, যা তাদের ব্যস্ত করে রেখেছে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৬১০)
মৃতের ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা
নবী করিম (সা.)-এর হৃদয় ছিল অতুলনীয় মমত্ববোধে পূর্ণ। তিনি শুধু জীবিত মুসলমানদের নয়, মৃতদের কথাও গভীরভাবে ভাবতেন। বিশেষ করে যেসব মৃত ব্যক্তির ঋণ ছিল, তাদের দায়ভার নিজেই গ্রহণ করতেন।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে ঋণগ্রস্ত কোনো মৃত ব্যক্তির লাশ জানাজা আদায়ের জন্য আনা হলে তিনি জিজ্ঞেস করতেন, ‘সে কি ঋণ পরিশোধ করার মতো অতিরিক্ত কিছু রেখে গেছে?’ যদি বলা হতো ‘সে ঋণ পরিশোধ করার মতো সম্পদ রেখে গেছে।’ তাহলে তিনি তার জানাজা আদায় করতেন। অন্যথায় তিনি সাহাবিদের বলতেন, ‘তোমরা তোমাদের সাথির জানাজা আদায় করো।’
তারপর আল্লাহ যখন তাঁকে অনেক বিজয় দান করলেন, তখন তিনি বললেন, ‘আমি মুমিনদের জন্য তাদের নিজেদের চেয়েও অধিক ঘনিষ্ঠজন। কাজেই মুমিনদের কেউ ঋণ রেখে মারা গেলে, তা পরিশোধ করার দায়িত্ব আমারই। আর যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যাবে, তা তার ওয়ারিশরা পাবে। (সহিহ বুখারি)
শোকার্তদের জন্য দোয়া
স্বজন হারিয়ে শোকার্ত পরিবার পড়ে যায় চরম দিশাহীনতায়। তাদের হৃদয়ে বয়ে যায় বেদনার ঝড়, মন হয়ে পড়ে খণ্ড-বিখণ্ড। সেই বিপর্যস্ত মনে একমাত্র আল্লাহ তাআলাই শান্তি ও স্বস্তি বর্ষণ করতে পারেন। তাই শোকার্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন এবং অন্যদেরও তা করার জন্য উৎসাহ দিতেন।
হাদিসে বর্ণিত দোয়ার মধ্যে রয়েছে ‘ইন্না লিল্লাহি মা-আখাজা, ওয়ালাহু মা-আতা, ওয়া কুল্লু শাইয়িন ইংদাহু বিআজালিম মুসাম্মা, ফালতাসবির, ওয়াল তাহতাসিব।’ অর্থ: ‘নিশ্চয়ই যা আল্লাহ নিয়েছেন, তা তাঁরই মালিকানা। তিনি যা দিয়েছেন, তাও তাঁরই দান। প্রতিটি বিষয়ই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাঁর কাছে নির্ধারিত। অতএব আপনি ধৈর্য ধরুন, সওয়াবের প্রত্যাশা করুন।’ (সহিহ বুখারি: ১২৮৪)
দাফন-কাফনের ব্যবস্থা
পরিবারের কেউ ইন্তেকাল করলে স্বজনেরা গভীর শোকে ভেঙে পড়েন। অনেক সময় শোকের ভারে পরিবার এতটাই বিপর্যস্ত হয় যে মৃতের দাফন-কাফনের ব্যবস্থাপনায়ও হিমশিম খেতে হয়। তাই ইসলাম এই দায়িত্ব কেবল পরিবার নয়, বরং পুরো সমাজের ওপর সমবণ্টিত করেছে। মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো, কাফন পরানো, জানাজার নামাজ আদায় এবং দাফনের ব্যবস্থা করা ফরজে কেফায়া। অর্থাৎ সমষ্টিগত দায়িত্ব।
একজন মুসলমানের জানাজা ও দাফনে অংশ নেওয়া মুসলিম সমাজের প্রতি তার অধিকার। এটি শুধু তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনই নয়, বরং মৃতের স্বজনদের জন্যও হয় সান্ত্বনার এক উজ্জ্বল উৎস। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের পাঁচটি হক রয়েছে: সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, জানাজায় অংশ নেওয়া, দাওয়াতে সাড়া দেওয়া এবং হাঁচির জবাব দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি: ১২৪০)
মৃতের জন্য দোয়া
নবীজি (সা.) মৃত ব্যক্তির মাগফিরাতের জন্য নিজে দোয়া করতেন এবং অন্যদেরও তা করতে উৎসাহিত করতেন। কেননা মৃত্যুর পর দোয়া সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পাথেয়। তিনি বলতেন, ‘তোমরা যখন কোনো মৃত ব্যক্তির জানাজা আদায় করবে, নিষ্ঠার সঙ্গে তার জন্য দোয়া করবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩২০১)। দাফনের পর উপস্থিত সবার উদ্দেশে নবী করিম (সা.) বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং তার স্থিরতা কামনায় দোয়া করো। কারণ এখনই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩২২১)

মানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে একজন মুসলমান কীভাবে শোকাহত ভাই বা বোনের পাশে দাঁড়াবে, তার সর্বশ্রেষ্ঠ দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)।
দয়ার নবী (সা.) শোকার্তদের পাশে দাঁড়াতেন, তাদের ঘরে যেতেন, খাবারের ব্যবস্থা করতেন, তাদের দুঃখ নিজের দুঃখ মনে করে দোয়া করতেন। শোকগ্রস্ত পরিবারকে ধৈর্যের উপদেশ দিয়ে আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করাতেন।
স্বজন হারানো পরিবারকে সান্ত্বনা
উম্মে সালামা (রা.) বর্ণনা করেন, আবু সালামার ইন্তেকালের পর আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের বাড়িতে আসেন। শোকার্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেন। তার জন্য দোয়া করেন, ‘হে আল্লাহ, আবু সালামাকে ক্ষমা করুন এবং হিদায়াতপ্রাপ্তদের মধ্যে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন। আপনি তার বংশধরদের অভিভাবক হয়ে যান। হে রাব্বুল আলামিন, তাকে ও আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন। তার কবর প্রশস্ত করুন এবং তা আলোকোজ্জ্বল করুন।’ (সহিহ মুসলিম: ৯২০)
সন্তান হারানোর পর মায়েরা অতিমাত্রায় ভেঙে পড়েন। বারবার তাদের হৃদয় ব্যাকুল হয়ে পড়ে। নবীজি তাদের হৃদয় শান্ত করার জন্য আশার বাণী শোনান, ‘যদি কোনো নারীর তিনটি সন্তান মারা যায়, তাহলে সেই সন্তানেরা তাদের মায়ের জন্য জাহান্নামের প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াবে। মায়ের জন্য জাহান্নামের রক্ষাকবচ হবে।’ এক নারী তখন জানতে চান, ‘যদি দুটি সন্তান মারা যায়?’ নবীজি বলেন, ‘দুটি হলেও।’ (সহিহ বুখারি: ১০১)
শোকার্ত পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা
স্বজন হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়া পরিবার শুধু মানসিকভাবে নয়, দৈনন্দিন কাজেও বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এমন সময়ে তাদের খাবারেরও খোঁজ থাকে না। তাই নবীজি (সা.) শোকার্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের খাবারদাবারের ব্যবস্থাও করতেন।
হজরত জাফর ইবনে আবু তালিব (রা.) মুতার যুদ্ধে শহীদ হলে রাসুল (সা.) তাঁর প্রতিবেশীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমরা জাফরের পরিবারের জন্য খাদ্য প্রস্তুত করো। কেননা তাদের কাছে এমন একটি সংবাদ এসেছে, যা তাদের ব্যস্ত করে রেখেছে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৬১০)
মৃতের ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা
নবী করিম (সা.)-এর হৃদয় ছিল অতুলনীয় মমত্ববোধে পূর্ণ। তিনি শুধু জীবিত মুসলমানদের নয়, মৃতদের কথাও গভীরভাবে ভাবতেন। বিশেষ করে যেসব মৃত ব্যক্তির ঋণ ছিল, তাদের দায়ভার নিজেই গ্রহণ করতেন।
আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে ঋণগ্রস্ত কোনো মৃত ব্যক্তির লাশ জানাজা আদায়ের জন্য আনা হলে তিনি জিজ্ঞেস করতেন, ‘সে কি ঋণ পরিশোধ করার মতো অতিরিক্ত কিছু রেখে গেছে?’ যদি বলা হতো ‘সে ঋণ পরিশোধ করার মতো সম্পদ রেখে গেছে।’ তাহলে তিনি তার জানাজা আদায় করতেন। অন্যথায় তিনি সাহাবিদের বলতেন, ‘তোমরা তোমাদের সাথির জানাজা আদায় করো।’
তারপর আল্লাহ যখন তাঁকে অনেক বিজয় দান করলেন, তখন তিনি বললেন, ‘আমি মুমিনদের জন্য তাদের নিজেদের চেয়েও অধিক ঘনিষ্ঠজন। কাজেই মুমিনদের কেউ ঋণ রেখে মারা গেলে, তা পরিশোধ করার দায়িত্ব আমারই। আর যে ব্যক্তি সম্পদ রেখে যাবে, তা তার ওয়ারিশরা পাবে। (সহিহ বুখারি)
শোকার্তদের জন্য দোয়া
স্বজন হারিয়ে শোকার্ত পরিবার পড়ে যায় চরম দিশাহীনতায়। তাদের হৃদয়ে বয়ে যায় বেদনার ঝড়, মন হয়ে পড়ে খণ্ড-বিখণ্ড। সেই বিপর্যস্ত মনে একমাত্র আল্লাহ তাআলাই শান্তি ও স্বস্তি বর্ষণ করতে পারেন। তাই শোকার্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন এবং অন্যদেরও তা করার জন্য উৎসাহ দিতেন।
হাদিসে বর্ণিত দোয়ার মধ্যে রয়েছে ‘ইন্না লিল্লাহি মা-আখাজা, ওয়ালাহু মা-আতা, ওয়া কুল্লু শাইয়িন ইংদাহু বিআজালিম মুসাম্মা, ফালতাসবির, ওয়াল তাহতাসিব।’ অর্থ: ‘নিশ্চয়ই যা আল্লাহ নিয়েছেন, তা তাঁরই মালিকানা। তিনি যা দিয়েছেন, তাও তাঁরই দান। প্রতিটি বিষয়ই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তাঁর কাছে নির্ধারিত। অতএব আপনি ধৈর্য ধরুন, সওয়াবের প্রত্যাশা করুন।’ (সহিহ বুখারি: ১২৮৪)
দাফন-কাফনের ব্যবস্থা
পরিবারের কেউ ইন্তেকাল করলে স্বজনেরা গভীর শোকে ভেঙে পড়েন। অনেক সময় শোকের ভারে পরিবার এতটাই বিপর্যস্ত হয় যে মৃতের দাফন-কাফনের ব্যবস্থাপনায়ও হিমশিম খেতে হয়। তাই ইসলাম এই দায়িত্ব কেবল পরিবার নয়, বরং পুরো সমাজের ওপর সমবণ্টিত করেছে। মৃত ব্যক্তিকে গোসল করানো, কাফন পরানো, জানাজার নামাজ আদায় এবং দাফনের ব্যবস্থা করা ফরজে কেফায়া। অর্থাৎ সমষ্টিগত দায়িত্ব।
একজন মুসলমানের জানাজা ও দাফনে অংশ নেওয়া মুসলিম সমাজের প্রতি তার অধিকার। এটি শুধু তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনই নয়, বরং মৃতের স্বজনদের জন্যও হয় সান্ত্বনার এক উজ্জ্বল উৎস। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের পাঁচটি হক রয়েছে: সালামের জবাব দেওয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, জানাজায় অংশ নেওয়া, দাওয়াতে সাড়া দেওয়া এবং হাঁচির জবাব দেওয়া।’ (সহিহ বুখারি: ১২৪০)
মৃতের জন্য দোয়া
নবীজি (সা.) মৃত ব্যক্তির মাগফিরাতের জন্য নিজে দোয়া করতেন এবং অন্যদেরও তা করতে উৎসাহিত করতেন। কেননা মৃত্যুর পর দোয়া সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পাথেয়। তিনি বলতেন, ‘তোমরা যখন কোনো মৃত ব্যক্তির জানাজা আদায় করবে, নিষ্ঠার সঙ্গে তার জন্য দোয়া করবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩২০১)। দাফনের পর উপস্থিত সবার উদ্দেশে নবী করিম (সা.) বলতেন, ‘তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং তার স্থিরতা কামনায় দোয়া করো। কারণ এখনই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩২২১)

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

মানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২৫ জুলাই ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২৫ জুলাই ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৯ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

মানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২৫ জুলাই ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

মানুষের জীবনে সবচেয়ে কষ্টকর মুহূর্তগুলোর একটি হলো আপনজন হারানোর বেদনা। এমন শোকের সময় মানুষ থাকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত, দুর্বল ও অনেকটা একা। ঠিক তখনই সে আশায় থাকে কারও সহানুভূতির, সান্ত্বনার কিংবা একটু অনুভব করার মতো মানবিক উপস্থিতির। এই বিপদ ও কষ্টের সময়টিতে...
২৫ জুলাই ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে