তাসলিমা জাহান
মানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। জীবনের প্রতিকূলতায় আত্মীয়রা প্রেরণা এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকে। এই সম্পর্ক আমাদের মাঝে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার বিকল্প নেই।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিনটি গুণ এমন রয়েছে—যার ভেতরে গুণগুলো থাকবে, পরকালে তার হিসেব-নিকাশ সহজ হবে এবং আল্লাহ নিজ দয়ায় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, গুণগুলো কেমন?’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘গুনগুলো হলো, এক. যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে দান করো। দুই. যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তাকে ক্ষমা করো। তিন. যে তোমার সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করতে চায়, তুমি তার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখো।’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘এই গুণগুলো থাকলে আমি কী পাব?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন ‘বিচার দিবসে হিসাব সহজ করা হবে এবং আল্লাহ তাআলা নিজ দয়ায় তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৯১২)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ‘আমাকে এমন একটি আমল শিক্ষা দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না, নামাজ কায়েম করবে, জাকাত আদায় করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করবে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৫৭)
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখলে মন ভালো থাকে, আর্থিক সচ্ছলতা আসে এবং আয়ু বাড়ে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যাকে এ বিষয়টি আনন্দিত করে যে—তার রিজিক (জীবিকায়) সচ্ছলতা দেওয়া হোক এবং তার অবদান আলোচিত হোক (দীর্ঘায়ু দেওয়া হোক) সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৮৫, সহিহ্ মুসলিম: ৬২৯২)
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, আত্মীয়স্বজনের খোঁজ-খবর নেওয়া, সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করা, সামর্থ্য অনুযায়ী বিপদাপদে সাহায্য সহযোগিতা করা। বর্তমান সমাজে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার বিষয়টি খুব অবহেলিত। ব্যক্তি জীবনে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলা অনেক ব্যক্তিও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষায় তেমন গুরুত্বারোপ করে না। এটাকে অনেকটা ঐচ্ছিক মনে করে থাকে। অথচ ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম এবং তা রক্ষা না করা গুনাহ।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অরাজকতা সৃষ্টি করে, তাদের জন্য আছে অভিসম্পাত এবং মন্দ আবাস। (সুরা রাদ: ২৫)
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রেহম অর্থাৎ আত্মীয়তা বা রক্তের সম্পর্ক আল্লাহর আরশের সঙ্গে ঝুলন্ত রয়েছে। আত্মীয়তার সম্পর্ক বলে, যে ব্যক্তি আমার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে, আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখবেন। আর যে আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করবেন। (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৮৯, সহিহ্ মুসলিম: ২৫৫৫)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬২৮৯)
আবু বাকরা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, (ন্যায়পরায়ণ শাসকের বিরুদ্ধে) বিদ্রোহ ও রক্তসম্পর্কীয় আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার মতো মারাত্মক আর কোনো পাপ নেই—আল্লাহ তাআলা যার সাজা পৃথিবীতেও প্রদান করেন এবং আখিরাতের জন্যও অবশিষ্ট রাখেন। (সুনানে তিরমিজি: ২৫১১)
মানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। জীবনের প্রতিকূলতায় আত্মীয়রা প্রেরণা এবং শক্তির উৎস হয়ে থাকে। এই সম্পর্ক আমাদের মাঝে ভালোবাসা, সহানুভূতি এবং আস্থা তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই আত্মীয়তার সম্পর্ক অটুট রাখার বিকল্প নেই।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তিনটি গুণ এমন রয়েছে—যার ভেতরে গুণগুলো থাকবে, পরকালে তার হিসেব-নিকাশ সহজ হবে এবং আল্লাহ নিজ দয়ায় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, গুণগুলো কেমন?’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘গুনগুলো হলো, এক. যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে দান করো। দুই. যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তাকে ক্ষমা করো। তিন. যে তোমার সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করতে চায়, তুমি তার সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখো।’ সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘এই গুণগুলো থাকলে আমি কী পাব?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন ‘বিচার দিবসে হিসাব সহজ করা হবে এবং আল্লাহ তাআলা নিজ দয়ায় তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৯১২)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, এক ব্যক্তি বললেন, হে আল্লাহর রাসুল, ‘আমাকে এমন একটি আমল শিক্ষা দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে, তার সঙ্গে কাউকে শরিক করবে না, নামাজ কায়েম করবে, জাকাত আদায় করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করবে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৫৫৭)
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখলে মন ভালো থাকে, আর্থিক সচ্ছলতা আসে এবং আয়ু বাড়ে। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, যাকে এ বিষয়টি আনন্দিত করে যে—তার রিজিক (জীবিকায়) সচ্ছলতা দেওয়া হোক এবং তার অবদান আলোচিত হোক (দীর্ঘায়ু দেওয়া হোক) সে যেন তার আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখে। (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৮৫, সহিহ্ মুসলিম: ৬২৯২)
আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, আত্মীয়স্বজনের খোঁজ-খবর নেওয়া, সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের সঙ্গে সদাচরণ করা, সামর্থ্য অনুযায়ী বিপদাপদে সাহায্য সহযোগিতা করা। বর্তমান সমাজে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার বিষয়টি খুব অবহেলিত। ব্যক্তি জীবনে ইসলামি অনুশাসন মেনে চলা অনেক ব্যক্তিও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষায় তেমন গুরুত্বারোপ করে না। এটাকে অনেকটা ঐচ্ছিক মনে করে থাকে। অথচ ইসলামে এর গুরুত্ব অপরিসীম এবং তা রক্ষা না করা গুনাহ।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, যারা আল্লাহর সঙ্গে দৃঢ় অঙ্গীকারে আবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে, যে সম্পর্ক অক্ষুণ্ন রাখতে আল্লাহ আদেশ করেছেন তা ছিন্ন করে এবং পৃথিবীতে অরাজকতা সৃষ্টি করে, তাদের জন্য আছে অভিসম্পাত এবং মন্দ আবাস। (সুরা রাদ: ২৫)
উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রেহম অর্থাৎ আত্মীয়তা বা রক্তের সম্পর্ক আল্লাহর আরশের সঙ্গে ঝুলন্ত রয়েছে। আত্মীয়তার সম্পর্ক বলে, যে ব্যক্তি আমার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখবে, আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখবেন। আর যে আমার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আল্লাহ তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করবেন। (সহিহ্ বুখারি: ৫৯৮৯, সহিহ্ মুসলিম: ২৫৫৫)
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৬২৮৯)
আবু বাকরা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, (ন্যায়পরায়ণ শাসকের বিরুদ্ধে) বিদ্রোহ ও রক্তসম্পর্কীয় আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার মতো মারাত্মক আর কোনো পাপ নেই—আল্লাহ তাআলা যার সাজা পৃথিবীতেও প্রদান করেন এবং আখিরাতের জন্যও অবশিষ্ট রাখেন। (সুনানে তিরমিজি: ২৫১১)
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
২ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
২ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে