মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হজ ইসলামের অন্যতম মৌলিক ফরজ বিধান। মানব জাতির ইবাদতের জন্য প্রথম নির্মিত ঘর পবিত্র কাবা শরিফকে কেন্দ্র করে এই বিধান পালিত হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানব জাতির (ইবাদতের) জন্য প্রথম যে ঘর স্থাপিত হয়েছিল, তা তো মক্কায়। এটা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারি। এতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, যেমন মাকামে ইবরাহিম। আর যে কেউ সেখানে প্রবেশ করে, সে নিরাপদ। মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ওই ঘরের হজ করা তার অবশ্যকর্তব্য। আর কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৬-৯৭)
কোরআন-হাদিসের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, হজরত ইবরাহিম (আ.) কুফর-শিরক দূর করে সর্বত্র আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠার যে মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন, তারই অংশ হিসেবে আল্লাহর নির্দেশনা অনুসারে পবিত্র কাবাঘর নির্মাণ এবং পবিত্র হজের সূচনা করেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘এবং স্মরণ করো, যখন ইবরাহিমের জন্য এই ঘরের স্থান ঠিক করেছিলাম এ কথা বলে যে এখানে কোনো প্রকার শিরক কোরো না এবং আমার ঘরকে তাওয়াফকারী ও নামাজিদের জন্য পাকসাফ করে রাখো। আর মানুষকে হজ করার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানাও, তারা যেন তোমার কাছে আসে পায়ে হেঁটে কিংবা দূরবর্তী স্থান থেকে কৃশ উটের পিঠে চড়ে। এখানে এসে তারা যেন দেখতে পায় তাদের জন্য দ্বীন-দুনিয়ার কল্যাণের কত সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর দেওয়া জন্তুগুলো আল্লাহর নামে কোরবানি করবে, তা থেকে নিজেরাও খাবে এবং দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত লোকজনেরও খেতে দেবে।’ (সুরা হজ: ২৬-২৮)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কাবাঘরকে তাওহিদের কেন্দ্ররূপে গড়ে তোলার মহান দায়িত্ব ইবরাহিম (আ.)-এর ওপর ন্যস্ত করেছিলেন। এর জন্য প্রথমে তাঁকে নিজের স্ত্রী হাজেরা ও দুধের ছেলে ইসমাইলকে মক্কার নির্জন মরুভূমিতে রেখে যাওয়ার নির্দেশ দেন। দুধের শিশুকে নিয়ে মা হাজেরার সংগ্রামী জীবনের কিছু চিত্র হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বুখারির বর্ণনায় এসেছে, পানি ফুরিয়ে গেলে হাজেরা পানির খোঁজ করতে থাকেন। এর জন্য প্রথমে সাফা পাহাড়ে আরোহণ করেন। এরপর মারওয়া পাহাড়ে চলে যান। এভাবে এক পাহাড় থেকে অপর পাহাড়ে মোট সাতবার চক্কর দেন। এ সময় আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা পাঠিয়ে জমজম কূপ খনন করেন। দুই পাহাড়ের মাঝে মা হাজেরার এই দৌড়াদৌড়ির স্মৃতিকে অম্লান করার জন্য আল্লাহ তাআলা একে হজের অংশ করে দেন।
শিশু ইসমাইল বড় হওয়ার পর তাকে নিয়ে ইবরাহিম (আ.) পবিত্র কাবাঘর নির্মাণ ও তাওয়াফ করেন। তারপর আল্লাহর দেখানো স্বপ্নের বিবরণ অনুযায়ী আদরের ছেলে ইসমাইলকে কোরবানি করতে প্রস্তুত হন। ছেলেও আল্লাহর নির্দেশ পালনে একবাক্যে রাজি হয়ে যান। এই স্মৃতি জাগ্রত রাখতে হাজিদের জন্য কোরবানির বিশেষ আমল প্রবর্তন করা হয়। কোরবানির মাঠে যাওয়ার সময় শয়তানের উদ্দেশে ইবরাহিম (আ.) যে পাথর নিক্ষেপ করেছিলেন, সেটাও হাজার বছর ধরে জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করার বিধানের মাধ্যমে জাগরূক রয়েছে। এ ছাড়া কাবাঘর নির্মাণের সময় যে পাথরের ওপর ইবরাহিম (আ.) দাঁড়িয়েছিলেন, সেই মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করার বিশেষ বিধানও রাখা হয়েছে হজে। এভাবে দেখতে গেলে হজের বিধানের পরতে পরতে রয়েছে ইবরাহিম, হাজেরা ও ইসমাইল (আ.)-এর স্মৃতি। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)
পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, শিরকের মূলোৎপাটন, পৃথিবীর আনাচকানাচ থেকে তাওহিদবাদী মানুষকে এক স্থানে সমবেত করে তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করা, আল্লাহর অনুগ্রহ প্রদর্শন, তাঁর জিকির প্রতিষ্ঠা, তাঁর জন্য জন্তু কোরবানি করার মাধ্যমে গরিবদের জন্য আহারের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি হজের উদ্দেশ্য। এর আলোকে আলিমগণ কয়েকটি বিষয়কে হজের বিধানসমূহের আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এক. আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা: হজ প্রবর্তনের প্রথম ঘোষণা যে আয়াতে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট করে তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করতে নিষেধ করেছেন। এ ছাড়া হজের মধ্যে যে তালবিয়া পড়া হয়, তাতে স্পষ্ট বাক্যে আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেওয়া হয়।
দুই. বান্দার দাসত্ব প্রকাশ করা: হাজি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেলাইবিহীন সাদা ইহরামের পোশাক পরিধান করে এবং সাজসজ্জা, আতর-খুশবু ইত্যাদি থেকে বিরত থেকে আল্লাহর সামনে নিজের দাসত্ব ও তুচ্ছতা প্রকাশ করে।
তিন. আল্লাহর জিকির প্রতিষ্ঠা: হজের প্রায় পুরো সময়টাই আল্লাহর জিকিরে অতিবাহিত হয়। বিশেষ করে আরাফাহর ময়দানে অবস্থান সম্পন্ন করার পর মাশআরে হারামে এসে এবং এর পরেও বিশেষভাবে আল্লাহর জিকির করার নির্দেশ এসেছে কোরআনে। (সুরা বাকারা: ১৯৮-২০০)
চার. প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ: ইহরাম অবস্থায় সব ধরনের অশ্লীলতা, ঝগড়া-বিবাদ এমনকি স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়া থেকেও বিরত থাকতে হয়। এভাবে প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সহজ হয়ে যায়।
পাঁচ. হাশরের ময়দানে আল্লাহর দরবারে দাঁড়ানোর অনুভূতি সৃষ্টি হয়। আরাফাহর ময়দানে খোলা মাথায় জীর্ণ পোশাকে আল্লাহর নামে তালবিয়া পাঠ করতে করতে অবস্থান করা কিয়ামতের দিন দিগম্বর অবস্থায় আল্লাহর ভয়ে হাশরের মাঠে অবস্থানের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এভাবে হজ হাজির মনে হাশরের মাঠে দাঁড়ানোর অনুভূতি সৃষ্টি করে।
ছয়. জাতি-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সব মানুষ সমান তা দেখিয়ে দেয় হজ। এতে ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা, আরব-অনারব, কালো-সাদা সবাইকে একই বেশে একই জায়গায় থাকতে হয়। এটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, পার্থিব কোনো পরিচয় আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি নয়; একমাত্র তাকওয়াই শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড। এ জন্য হজের আয়াতে তিনি বলেন, ‘তোমরা পাথেয় সংগ্রহ করো। আর সর্বোত্তম পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া। আর হে বিবেকবানেরা, আমাকে ভয় করো (অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন করো)।
(সুরা বাকারা: ১৯৭)

হজ ইসলামের অন্যতম মৌলিক ফরজ বিধান। মানব জাতির ইবাদতের জন্য প্রথম নির্মিত ঘর পবিত্র কাবা শরিফকে কেন্দ্র করে এই বিধান পালিত হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানব জাতির (ইবাদতের) জন্য প্রথম যে ঘর স্থাপিত হয়েছিল, তা তো মক্কায়। এটা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারি। এতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, যেমন মাকামে ইবরাহিম। আর যে কেউ সেখানে প্রবেশ করে, সে নিরাপদ। মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ওই ঘরের হজ করা তার অবশ্যকর্তব্য। আর কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৬-৯৭)
কোরআন-হাদিসের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, হজরত ইবরাহিম (আ.) কুফর-শিরক দূর করে সর্বত্র আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠার যে মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন, তারই অংশ হিসেবে আল্লাহর নির্দেশনা অনুসারে পবিত্র কাবাঘর নির্মাণ এবং পবিত্র হজের সূচনা করেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘এবং স্মরণ করো, যখন ইবরাহিমের জন্য এই ঘরের স্থান ঠিক করেছিলাম এ কথা বলে যে এখানে কোনো প্রকার শিরক কোরো না এবং আমার ঘরকে তাওয়াফকারী ও নামাজিদের জন্য পাকসাফ করে রাখো। আর মানুষকে হজ করার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানাও, তারা যেন তোমার কাছে আসে পায়ে হেঁটে কিংবা দূরবর্তী স্থান থেকে কৃশ উটের পিঠে চড়ে। এখানে এসে তারা যেন দেখতে পায় তাদের জন্য দ্বীন-দুনিয়ার কল্যাণের কত সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর দেওয়া জন্তুগুলো আল্লাহর নামে কোরবানি করবে, তা থেকে নিজেরাও খাবে এবং দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত লোকজনেরও খেতে দেবে।’ (সুরা হজ: ২৬-২৮)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কাবাঘরকে তাওহিদের কেন্দ্ররূপে গড়ে তোলার মহান দায়িত্ব ইবরাহিম (আ.)-এর ওপর ন্যস্ত করেছিলেন। এর জন্য প্রথমে তাঁকে নিজের স্ত্রী হাজেরা ও দুধের ছেলে ইসমাইলকে মক্কার নির্জন মরুভূমিতে রেখে যাওয়ার নির্দেশ দেন। দুধের শিশুকে নিয়ে মা হাজেরার সংগ্রামী জীবনের কিছু চিত্র হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বুখারির বর্ণনায় এসেছে, পানি ফুরিয়ে গেলে হাজেরা পানির খোঁজ করতে থাকেন। এর জন্য প্রথমে সাফা পাহাড়ে আরোহণ করেন। এরপর মারওয়া পাহাড়ে চলে যান। এভাবে এক পাহাড় থেকে অপর পাহাড়ে মোট সাতবার চক্কর দেন। এ সময় আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা পাঠিয়ে জমজম কূপ খনন করেন। দুই পাহাড়ের মাঝে মা হাজেরার এই দৌড়াদৌড়ির স্মৃতিকে অম্লান করার জন্য আল্লাহ তাআলা একে হজের অংশ করে দেন।
শিশু ইসমাইল বড় হওয়ার পর তাকে নিয়ে ইবরাহিম (আ.) পবিত্র কাবাঘর নির্মাণ ও তাওয়াফ করেন। তারপর আল্লাহর দেখানো স্বপ্নের বিবরণ অনুযায়ী আদরের ছেলে ইসমাইলকে কোরবানি করতে প্রস্তুত হন। ছেলেও আল্লাহর নির্দেশ পালনে একবাক্যে রাজি হয়ে যান। এই স্মৃতি জাগ্রত রাখতে হাজিদের জন্য কোরবানির বিশেষ আমল প্রবর্তন করা হয়। কোরবানির মাঠে যাওয়ার সময় শয়তানের উদ্দেশে ইবরাহিম (আ.) যে পাথর নিক্ষেপ করেছিলেন, সেটাও হাজার বছর ধরে জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করার বিধানের মাধ্যমে জাগরূক রয়েছে। এ ছাড়া কাবাঘর নির্মাণের সময় যে পাথরের ওপর ইবরাহিম (আ.) দাঁড়িয়েছিলেন, সেই মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করার বিশেষ বিধানও রাখা হয়েছে হজে। এভাবে দেখতে গেলে হজের বিধানের পরতে পরতে রয়েছে ইবরাহিম, হাজেরা ও ইসমাইল (আ.)-এর স্মৃতি। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)
পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, শিরকের মূলোৎপাটন, পৃথিবীর আনাচকানাচ থেকে তাওহিদবাদী মানুষকে এক স্থানে সমবেত করে তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করা, আল্লাহর অনুগ্রহ প্রদর্শন, তাঁর জিকির প্রতিষ্ঠা, তাঁর জন্য জন্তু কোরবানি করার মাধ্যমে গরিবদের জন্য আহারের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি হজের উদ্দেশ্য। এর আলোকে আলিমগণ কয়েকটি বিষয়কে হজের বিধানসমূহের আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এক. আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা: হজ প্রবর্তনের প্রথম ঘোষণা যে আয়াতে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট করে তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করতে নিষেধ করেছেন। এ ছাড়া হজের মধ্যে যে তালবিয়া পড়া হয়, তাতে স্পষ্ট বাক্যে আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেওয়া হয়।
দুই. বান্দার দাসত্ব প্রকাশ করা: হাজি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেলাইবিহীন সাদা ইহরামের পোশাক পরিধান করে এবং সাজসজ্জা, আতর-খুশবু ইত্যাদি থেকে বিরত থেকে আল্লাহর সামনে নিজের দাসত্ব ও তুচ্ছতা প্রকাশ করে।
তিন. আল্লাহর জিকির প্রতিষ্ঠা: হজের প্রায় পুরো সময়টাই আল্লাহর জিকিরে অতিবাহিত হয়। বিশেষ করে আরাফাহর ময়দানে অবস্থান সম্পন্ন করার পর মাশআরে হারামে এসে এবং এর পরেও বিশেষভাবে আল্লাহর জিকির করার নির্দেশ এসেছে কোরআনে। (সুরা বাকারা: ১৯৮-২০০)
চার. প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ: ইহরাম অবস্থায় সব ধরনের অশ্লীলতা, ঝগড়া-বিবাদ এমনকি স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়া থেকেও বিরত থাকতে হয়। এভাবে প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সহজ হয়ে যায়।
পাঁচ. হাশরের ময়দানে আল্লাহর দরবারে দাঁড়ানোর অনুভূতি সৃষ্টি হয়। আরাফাহর ময়দানে খোলা মাথায় জীর্ণ পোশাকে আল্লাহর নামে তালবিয়া পাঠ করতে করতে অবস্থান করা কিয়ামতের দিন দিগম্বর অবস্থায় আল্লাহর ভয়ে হাশরের মাঠে অবস্থানের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এভাবে হজ হাজির মনে হাশরের মাঠে দাঁড়ানোর অনুভূতি সৃষ্টি করে।
ছয়. জাতি-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সব মানুষ সমান তা দেখিয়ে দেয় হজ। এতে ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা, আরব-অনারব, কালো-সাদা সবাইকে একই বেশে একই জায়গায় থাকতে হয়। এটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, পার্থিব কোনো পরিচয় আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি নয়; একমাত্র তাকওয়াই শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড। এ জন্য হজের আয়াতে তিনি বলেন, ‘তোমরা পাথেয় সংগ্রহ করো। আর সর্বোত্তম পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া। আর হে বিবেকবানেরা, আমাকে ভয় করো (অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন করো)।
(সুরা বাকারা: ১৯৭)
মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ

হজ ইসলামের অন্যতম মৌলিক ফরজ বিধান। মানব জাতির ইবাদতের জন্য প্রথম নির্মিত ঘর পবিত্র কাবা শরিফকে কেন্দ্র করে এই বিধান পালিত হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানব জাতির (ইবাদতের) জন্য প্রথম যে ঘর স্থাপিত হয়েছিল, তা তো মক্কায়। এটা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারি। এতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, যেমন মাকামে ইবরাহিম। আর যে কেউ সেখানে প্রবেশ করে, সে নিরাপদ। মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ওই ঘরের হজ করা তার অবশ্যকর্তব্য। আর কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৬-৯৭)
কোরআন-হাদিসের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, হজরত ইবরাহিম (আ.) কুফর-শিরক দূর করে সর্বত্র আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠার যে মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন, তারই অংশ হিসেবে আল্লাহর নির্দেশনা অনুসারে পবিত্র কাবাঘর নির্মাণ এবং পবিত্র হজের সূচনা করেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘এবং স্মরণ করো, যখন ইবরাহিমের জন্য এই ঘরের স্থান ঠিক করেছিলাম এ কথা বলে যে এখানে কোনো প্রকার শিরক কোরো না এবং আমার ঘরকে তাওয়াফকারী ও নামাজিদের জন্য পাকসাফ করে রাখো। আর মানুষকে হজ করার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানাও, তারা যেন তোমার কাছে আসে পায়ে হেঁটে কিংবা দূরবর্তী স্থান থেকে কৃশ উটের পিঠে চড়ে। এখানে এসে তারা যেন দেখতে পায় তাদের জন্য দ্বীন-দুনিয়ার কল্যাণের কত সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর দেওয়া জন্তুগুলো আল্লাহর নামে কোরবানি করবে, তা থেকে নিজেরাও খাবে এবং দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত লোকজনেরও খেতে দেবে।’ (সুরা হজ: ২৬-২৮)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কাবাঘরকে তাওহিদের কেন্দ্ররূপে গড়ে তোলার মহান দায়িত্ব ইবরাহিম (আ.)-এর ওপর ন্যস্ত করেছিলেন। এর জন্য প্রথমে তাঁকে নিজের স্ত্রী হাজেরা ও দুধের ছেলে ইসমাইলকে মক্কার নির্জন মরুভূমিতে রেখে যাওয়ার নির্দেশ দেন। দুধের শিশুকে নিয়ে মা হাজেরার সংগ্রামী জীবনের কিছু চিত্র হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বুখারির বর্ণনায় এসেছে, পানি ফুরিয়ে গেলে হাজেরা পানির খোঁজ করতে থাকেন। এর জন্য প্রথমে সাফা পাহাড়ে আরোহণ করেন। এরপর মারওয়া পাহাড়ে চলে যান। এভাবে এক পাহাড় থেকে অপর পাহাড়ে মোট সাতবার চক্কর দেন। এ সময় আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা পাঠিয়ে জমজম কূপ খনন করেন। দুই পাহাড়ের মাঝে মা হাজেরার এই দৌড়াদৌড়ির স্মৃতিকে অম্লান করার জন্য আল্লাহ তাআলা একে হজের অংশ করে দেন।
শিশু ইসমাইল বড় হওয়ার পর তাকে নিয়ে ইবরাহিম (আ.) পবিত্র কাবাঘর নির্মাণ ও তাওয়াফ করেন। তারপর আল্লাহর দেখানো স্বপ্নের বিবরণ অনুযায়ী আদরের ছেলে ইসমাইলকে কোরবানি করতে প্রস্তুত হন। ছেলেও আল্লাহর নির্দেশ পালনে একবাক্যে রাজি হয়ে যান। এই স্মৃতি জাগ্রত রাখতে হাজিদের জন্য কোরবানির বিশেষ আমল প্রবর্তন করা হয়। কোরবানির মাঠে যাওয়ার সময় শয়তানের উদ্দেশে ইবরাহিম (আ.) যে পাথর নিক্ষেপ করেছিলেন, সেটাও হাজার বছর ধরে জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করার বিধানের মাধ্যমে জাগরূক রয়েছে। এ ছাড়া কাবাঘর নির্মাণের সময় যে পাথরের ওপর ইবরাহিম (আ.) দাঁড়িয়েছিলেন, সেই মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করার বিশেষ বিধানও রাখা হয়েছে হজে। এভাবে দেখতে গেলে হজের বিধানের পরতে পরতে রয়েছে ইবরাহিম, হাজেরা ও ইসমাইল (আ.)-এর স্মৃতি। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)
পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, শিরকের মূলোৎপাটন, পৃথিবীর আনাচকানাচ থেকে তাওহিদবাদী মানুষকে এক স্থানে সমবেত করে তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করা, আল্লাহর অনুগ্রহ প্রদর্শন, তাঁর জিকির প্রতিষ্ঠা, তাঁর জন্য জন্তু কোরবানি করার মাধ্যমে গরিবদের জন্য আহারের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি হজের উদ্দেশ্য। এর আলোকে আলিমগণ কয়েকটি বিষয়কে হজের বিধানসমূহের আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এক. আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা: হজ প্রবর্তনের প্রথম ঘোষণা যে আয়াতে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট করে তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করতে নিষেধ করেছেন। এ ছাড়া হজের মধ্যে যে তালবিয়া পড়া হয়, তাতে স্পষ্ট বাক্যে আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেওয়া হয়।
দুই. বান্দার দাসত্ব প্রকাশ করা: হাজি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেলাইবিহীন সাদা ইহরামের পোশাক পরিধান করে এবং সাজসজ্জা, আতর-খুশবু ইত্যাদি থেকে বিরত থেকে আল্লাহর সামনে নিজের দাসত্ব ও তুচ্ছতা প্রকাশ করে।
তিন. আল্লাহর জিকির প্রতিষ্ঠা: হজের প্রায় পুরো সময়টাই আল্লাহর জিকিরে অতিবাহিত হয়। বিশেষ করে আরাফাহর ময়দানে অবস্থান সম্পন্ন করার পর মাশআরে হারামে এসে এবং এর পরেও বিশেষভাবে আল্লাহর জিকির করার নির্দেশ এসেছে কোরআনে। (সুরা বাকারা: ১৯৮-২০০)
চার. প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ: ইহরাম অবস্থায় সব ধরনের অশ্লীলতা, ঝগড়া-বিবাদ এমনকি স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়া থেকেও বিরত থাকতে হয়। এভাবে প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সহজ হয়ে যায়।
পাঁচ. হাশরের ময়দানে আল্লাহর দরবারে দাঁড়ানোর অনুভূতি সৃষ্টি হয়। আরাফাহর ময়দানে খোলা মাথায় জীর্ণ পোশাকে আল্লাহর নামে তালবিয়া পাঠ করতে করতে অবস্থান করা কিয়ামতের দিন দিগম্বর অবস্থায় আল্লাহর ভয়ে হাশরের মাঠে অবস্থানের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এভাবে হজ হাজির মনে হাশরের মাঠে দাঁড়ানোর অনুভূতি সৃষ্টি করে।
ছয়. জাতি-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সব মানুষ সমান তা দেখিয়ে দেয় হজ। এতে ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা, আরব-অনারব, কালো-সাদা সবাইকে একই বেশে একই জায়গায় থাকতে হয়। এটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, পার্থিব কোনো পরিচয় আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি নয়; একমাত্র তাকওয়াই শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড। এ জন্য হজের আয়াতে তিনি বলেন, ‘তোমরা পাথেয় সংগ্রহ করো। আর সর্বোত্তম পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া। আর হে বিবেকবানেরা, আমাকে ভয় করো (অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন করো)।
(সুরা বাকারা: ১৯৭)

হজ ইসলামের অন্যতম মৌলিক ফরজ বিধান। মানব জাতির ইবাদতের জন্য প্রথম নির্মিত ঘর পবিত্র কাবা শরিফকে কেন্দ্র করে এই বিধান পালিত হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানব জাতির (ইবাদতের) জন্য প্রথম যে ঘর স্থাপিত হয়েছিল, তা তো মক্কায়। এটা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারি। এতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, যেমন মাকামে ইবরাহিম। আর যে কেউ সেখানে প্রবেশ করে, সে নিরাপদ। মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ওই ঘরের হজ করা তার অবশ্যকর্তব্য। আর কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখাপেক্ষী নন।’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৬-৯৭)
কোরআন-হাদিসের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, হজরত ইবরাহিম (আ.) কুফর-শিরক দূর করে সর্বত্র আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠার যে মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন, তারই অংশ হিসেবে আল্লাহর নির্দেশনা অনুসারে পবিত্র কাবাঘর নির্মাণ এবং পবিত্র হজের সূচনা করেন। এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘এবং স্মরণ করো, যখন ইবরাহিমের জন্য এই ঘরের স্থান ঠিক করেছিলাম এ কথা বলে যে এখানে কোনো প্রকার শিরক কোরো না এবং আমার ঘরকে তাওয়াফকারী ও নামাজিদের জন্য পাকসাফ করে রাখো। আর মানুষকে হজ করার জন্য প্রকাশ্যে আহ্বান জানাও, তারা যেন তোমার কাছে আসে পায়ে হেঁটে কিংবা দূরবর্তী স্থান থেকে কৃশ উটের পিঠে চড়ে। এখানে এসে তারা যেন দেখতে পায় তাদের জন্য দ্বীন-দুনিয়ার কল্যাণের কত সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে এবং নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহর দেওয়া জন্তুগুলো আল্লাহর নামে কোরবানি করবে, তা থেকে নিজেরাও খাবে এবং দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত লোকজনেরও খেতে দেবে।’ (সুরা হজ: ২৬-২৮)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কাবাঘরকে তাওহিদের কেন্দ্ররূপে গড়ে তোলার মহান দায়িত্ব ইবরাহিম (আ.)-এর ওপর ন্যস্ত করেছিলেন। এর জন্য প্রথমে তাঁকে নিজের স্ত্রী হাজেরা ও দুধের ছেলে ইসমাইলকে মক্কার নির্জন মরুভূমিতে রেখে যাওয়ার নির্দেশ দেন। দুধের শিশুকে নিয়ে মা হাজেরার সংগ্রামী জীবনের কিছু চিত্র হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। বুখারির বর্ণনায় এসেছে, পানি ফুরিয়ে গেলে হাজেরা পানির খোঁজ করতে থাকেন। এর জন্য প্রথমে সাফা পাহাড়ে আরোহণ করেন। এরপর মারওয়া পাহাড়ে চলে যান। এভাবে এক পাহাড় থেকে অপর পাহাড়ে মোট সাতবার চক্কর দেন। এ সময় আল্লাহ তাআলা ফেরেশতা পাঠিয়ে জমজম কূপ খনন করেন। দুই পাহাড়ের মাঝে মা হাজেরার এই দৌড়াদৌড়ির স্মৃতিকে অম্লান করার জন্য আল্লাহ তাআলা একে হজের অংশ করে দেন।
শিশু ইসমাইল বড় হওয়ার পর তাকে নিয়ে ইবরাহিম (আ.) পবিত্র কাবাঘর নির্মাণ ও তাওয়াফ করেন। তারপর আল্লাহর দেখানো স্বপ্নের বিবরণ অনুযায়ী আদরের ছেলে ইসমাইলকে কোরবানি করতে প্রস্তুত হন। ছেলেও আল্লাহর নির্দেশ পালনে একবাক্যে রাজি হয়ে যান। এই স্মৃতি জাগ্রত রাখতে হাজিদের জন্য কোরবানির বিশেষ আমল প্রবর্তন করা হয়। কোরবানির মাঠে যাওয়ার সময় শয়তানের উদ্দেশে ইবরাহিম (আ.) যে পাথর নিক্ষেপ করেছিলেন, সেটাও হাজার বছর ধরে জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করার বিধানের মাধ্যমে জাগরূক রয়েছে। এ ছাড়া কাবাঘর নির্মাণের সময় যে পাথরের ওপর ইবরাহিম (আ.) দাঁড়িয়েছিলেন, সেই মাকামে ইবরাহিমে নামাজ আদায় করার বিশেষ বিধানও রাখা হয়েছে হজে। এভাবে দেখতে গেলে হজের বিধানের পরতে পরতে রয়েছে ইবরাহিম, হাজেরা ও ইসমাইল (আ.)-এর স্মৃতি। (তাফসিরে মাআরিফুল কোরআন)
পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকে বোঝা যায়, শিরকের মূলোৎপাটন, পৃথিবীর আনাচকানাচ থেকে তাওহিদবাদী মানুষকে এক স্থানে সমবেত করে তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত করা, আল্লাহর অনুগ্রহ প্রদর্শন, তাঁর জিকির প্রতিষ্ঠা, তাঁর জন্য জন্তু কোরবানি করার মাধ্যমে গরিবদের জন্য আহারের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি হজের উদ্দেশ্য। এর আলোকে আলিমগণ কয়েকটি বিষয়কে হজের বিধানসমূহের আধ্যাত্মিক উদ্দেশ্য হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
এক. আল্লাহর একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা: হজ প্রবর্তনের প্রথম ঘোষণা যে আয়াতে দেওয়া হয়েছে, সেখানে আল্লাহ তাআলা স্পষ্ট করে তাঁর সঙ্গে কাউকে শরিক করতে নিষেধ করেছেন। এ ছাড়া হজের মধ্যে যে তালবিয়া পড়া হয়, তাতে স্পষ্ট বাক্যে আল্লাহর একত্ববাদের সাক্ষ্য দেওয়া হয়।
দুই. বান্দার দাসত্ব প্রকাশ করা: হাজি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সেলাইবিহীন সাদা ইহরামের পোশাক পরিধান করে এবং সাজসজ্জা, আতর-খুশবু ইত্যাদি থেকে বিরত থেকে আল্লাহর সামনে নিজের দাসত্ব ও তুচ্ছতা প্রকাশ করে।
তিন. আল্লাহর জিকির প্রতিষ্ঠা: হজের প্রায় পুরো সময়টাই আল্লাহর জিকিরে অতিবাহিত হয়। বিশেষ করে আরাফাহর ময়দানে অবস্থান সম্পন্ন করার পর মাশআরে হারামে এসে এবং এর পরেও বিশেষভাবে আল্লাহর জিকির করার নির্দেশ এসেছে কোরআনে। (সুরা বাকারা: ১৯৮-২০০)
চার. প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ: ইহরাম অবস্থায় সব ধরনের অশ্লীলতা, ঝগড়া-বিবাদ এমনকি স্ত্রীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ হওয়া থেকেও বিরত থাকতে হয়। এভাবে প্রবৃত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সহজ হয়ে যায়।
পাঁচ. হাশরের ময়দানে আল্লাহর দরবারে দাঁড়ানোর অনুভূতি সৃষ্টি হয়। আরাফাহর ময়দানে খোলা মাথায় জীর্ণ পোশাকে আল্লাহর নামে তালবিয়া পাঠ করতে করতে অবস্থান করা কিয়ামতের দিন দিগম্বর অবস্থায় আল্লাহর ভয়ে হাশরের মাঠে অবস্থানের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এভাবে হজ হাজির মনে হাশরের মাঠে দাঁড়ানোর অনুভূতি সৃষ্টি করে।
ছয়. জাতি-বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সব মানুষ সমান তা দেখিয়ে দেয় হজ। এতে ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা, আরব-অনারব, কালো-সাদা সবাইকে একই বেশে একই জায়গায় থাকতে হয়। এটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, পার্থিব কোনো পরিচয় আল্লাহর কাছে শ্রেষ্ঠত্বের মাপকাঠি নয়; একমাত্র তাকওয়াই শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড। এ জন্য হজের আয়াতে তিনি বলেন, ‘তোমরা পাথেয় সংগ্রহ করো। আর সর্বোত্তম পাথেয় হচ্ছে তাকওয়া। আর হে বিবেকবানেরা, আমাকে ভয় করো (অর্থাৎ তাকওয়া অবলম্বন করো)।
(সুরা বাকারা: ১৯৭)

ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১ দিন আগেমুহাম্মদ হেদায়ত উল্লাহ

ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
কোরআনুল কারিমে মুমিনদের গুণাবলি এমনভাবে বর্ণিত হয়েছে, যা মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও আত্মশুদ্ধির দিশা দেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে সুরা মুমিনুনে, যেখানে সফল মুমিনদের সাতটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সুরা মুমিনুনে সফল মুমিনের ছয়টি বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ তাআলা সুরা মুমিনুনে বলেন‚ ‘নিশ্চয়ই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ...’ (সুরা মুমিনুন: ১)। এরপর তিনি তাদের ছয়টি বিশেষ গুণের কথা উল্লেখ করেছেন—
এই ছয়টি বৈশিষ্ট্য অর্জনকারী মুমিনদের সম্পর্কে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘তারাই উত্তরাধিকারী, যারা উত্তরাধিকারী হবে জান্নাতুল ফিরদাউসের; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ১০ ও ১১)
এগুলোই হলো সেই পথ, যা মুমিনকে আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান করে এবং জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানায়।
মুমিনের আরও কিছু মৌলিক গুণাবলি কোরআনের আলোকে
কোরআনে আরও বহু স্থানে মুমিনদের গুণাবলি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে, যেমন—
কোরআনের আলোকে মুমিনের গুণাবলি কেবল আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা নয়; এটি এক সম্পূর্ণ জীবনপথের নির্দেশিকা। মুমিনের ইমান, নামাজ, তাকওয়া, দানশীলতা ও নৈতিকতা একত্রে গড়ে তোলে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ।
যারা কোরআনের বর্ণিত এই গুণাবলি অর্জনে সচেষ্ট হয়, তারাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা, সমাজের শান্তির দূত এবং আখিরাতে জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী।
‘নিশ্চয়ই সফল হয়েছে সেই মুমিনরা...।’ এই আয়াত শুধু ঘোষণা নয়—এটি প্রতিটি বিশ্বাসীর জন্য প্রেরণার উৎস, যা আমাদের আহ্বান জানায় এক উত্তম, ন্যায়নিষ্ঠ ও আলোকিত জীবনের পথে।
লেখক: প্রভাষক, ইসলামিক স্টাডিজ, দশমিনা ইসলামিয়া কামিল এম এ মাদ্রাসা, পটুয়াখালী

ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
কোরআনুল কারিমে মুমিনদের গুণাবলি এমনভাবে বর্ণিত হয়েছে, যা মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও আত্মশুদ্ধির দিশা দেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে সুরা মুমিনুনে, যেখানে সফল মুমিনদের সাতটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছে।
সুরা মুমিনুনে সফল মুমিনের ছয়টি বৈশিষ্ট্য
আল্লাহ তাআলা সুরা মুমিনুনে বলেন‚ ‘নিশ্চয়ই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ...’ (সুরা মুমিনুন: ১)। এরপর তিনি তাদের ছয়টি বিশেষ গুণের কথা উল্লেখ করেছেন—
এই ছয়টি বৈশিষ্ট্য অর্জনকারী মুমিনদের সম্পর্কে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন, ‘তারাই উত্তরাধিকারী, যারা উত্তরাধিকারী হবে জান্নাতুল ফিরদাউসের; তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।’ (সুরা মুমিনুন: ১০ ও ১১)
এগুলোই হলো সেই পথ, যা মুমিনকে আল্লাহর কাছে মর্যাদাবান করে এবং জান্নাতের উত্তরাধিকারী বানায়।
মুমিনের আরও কিছু মৌলিক গুণাবলি কোরআনের আলোকে
কোরআনে আরও বহু স্থানে মুমিনদের গুণাবলি বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে, যেমন—
কোরআনের আলোকে মুমিনের গুণাবলি কেবল আধ্যাত্মিক দিকনির্দেশনা নয়; এটি এক সম্পূর্ণ জীবনপথের নির্দেশিকা। মুমিনের ইমান, নামাজ, তাকওয়া, দানশীলতা ও নৈতিকতা একত্রে গড়ে তোলে একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ।
যারা কোরআনের বর্ণিত এই গুণাবলি অর্জনে সচেষ্ট হয়, তারাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা, সমাজের শান্তির দূত এবং আখিরাতে জান্নাতুল ফিরদাউসের উত্তরাধিকারী।
‘নিশ্চয়ই সফল হয়েছে সেই মুমিনরা...।’ এই আয়াত শুধু ঘোষণা নয়—এটি প্রতিটি বিশ্বাসীর জন্য প্রেরণার উৎস, যা আমাদের আহ্বান জানায় এক উত্তম, ন্যায়নিষ্ঠ ও আলোকিত জীবনের পথে।
লেখক: প্রভাষক, ইসলামিক স্টাডিজ, দশমিনা ইসলামিয়া কামিল এম এ মাদ্রাসা, পটুয়াখালী

হজ ইসলামের অন্যতম মৌলিক ফরজ বিধান। মানব জাতির ইবাদতের জন্য প্রথম নির্মিত ঘর পবিত্র কাবা শরিফকে কেন্দ্র করে এই বিধান পালিত হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানব জাতির (ইবাদতের) জন্য প্রথম যে ঘর স্থাপিত হয়েছিল, তা তো মক্কায়। এটা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারি। এতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, য
২৪ মে ২০২৪
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

হজ ইসলামের অন্যতম মৌলিক ফরজ বিধান। মানব জাতির ইবাদতের জন্য প্রথম নির্মিত ঘর পবিত্র কাবা শরিফকে কেন্দ্র করে এই বিধান পালিত হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানব জাতির (ইবাদতের) জন্য প্রথম যে ঘর স্থাপিত হয়েছিল, তা তো মক্কায়। এটা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারি। এতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, য
২৪ মে ২০২৪
ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

হজ ইসলামের অন্যতম মৌলিক ফরজ বিধান। মানব জাতির ইবাদতের জন্য প্রথম নির্মিত ঘর পবিত্র কাবা শরিফকে কেন্দ্র করে এই বিধান পালিত হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানব জাতির (ইবাদতের) জন্য প্রথম যে ঘর স্থাপিত হয়েছিল, তা তো মক্কায়। এটা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারি। এতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, য
২৪ মে ২০২৪
ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

হজ ইসলামের অন্যতম মৌলিক ফরজ বিধান। মানব জাতির ইবাদতের জন্য প্রথম নির্মিত ঘর পবিত্র কাবা শরিফকে কেন্দ্র করে এই বিধান পালিত হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মানব জাতির (ইবাদতের) জন্য প্রথম যে ঘর স্থাপিত হয়েছিল, তা তো মক্কায়। এটা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারি। এতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, য
২৪ মে ২০২৪
ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে ন্যায়, সত্য, শান্তি ও কল্যাণের পথে পরিচালিত করে। এই ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে ইমান—আল্লাহ, তাঁর রাসুল (সা.), কোরআন ও পরকাল সম্পর্কে দৃঢ় বিশ্বাস। যে ব্যক্তি ইমানকে অন্তরে ধারণ করে, মুখে প্রকাশ করে এবং কর্মে প্রতিফলিত করে, তিনিই প্রকৃত মুমিন।
২ ঘণ্টা আগে
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে