রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিহে পবিত্র কোরআনের ১১তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা তওবার ৯৪ থেকে সুরা হুদের ৫ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। এই অংশে সত্য সাক্ষ্যদানকারীদের পুরস্কার, মসজিদ নির্মাণ, তাকওয়া অর্জন, জ্ঞান ও গবেষণার গুরুত্ব, নবীজির অনুসরণ, কিয়ামতের ঘটনা ও মুমিনের গুণাবলিসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিবরণ রয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো—
যে মসজিদ পুড়িয়ে দিয়েছিলেন মহানবী (সা.)
মসজিদ আল্লাহ ঘর। আল্লাহর পছন্দনীয় জায়গা। মুমিনজীবনের আনুষ্ঠানিক সেজদা করার পবিত্র স্থান। মুসলমানদের বিশ্বাস, চেতনা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক মসজিদ। মুসলিম সমাজের মূল কেন্দ্র হলো মসজিদ। মুসলমান যেখানে বসতি গড়বে, সেখানে গড়ে উঠবে মসজিদ—এটা নবীজির শিক্ষা। রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরতের সময় যাত্রাবিরতিকালে কুবা নামক স্থানে ইসলামের প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন। পরে মদিনায় পৌঁছে তিনি মসজিদে নববি স্থাপন করেন।
মসজিদ নির্মাণ সওয়াবের কাজ। আল্লাহকে খুশি করার মাধ্যম। আল্লাহ মানুষকে মসজিদ নির্মাণে উৎসাহিত করেছেন। নবীজি তাগিদ করেছেন। জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তবে মসজিদ নির্মাণ হতে হবে তাকওয়ার ওপর ভিত্তি করে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। মুসলমানদের কল্যাণের জন্য। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য।
ইসলামের ক্ষতিসাধন হয়—এমন মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। মহানবী (সা.)-এর আমলেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। মদিনার অদূরে, কুবা এলাকায়। মসজিদটি ইসলামের ইতিহাসে ‘মসজিদে জিরার’ নামে পরিচিত। পরে নবী (সা.) মসজিদটি ধ্বংস করার নির্দেশ দেন।
রাসুল (সা.) তখন তাবুক যুদ্ধে যাচ্ছিলেন। এক ঘণ্টা পথ চলে জুআওয়ান নামক স্থানে থামলেন। মসজিদে জিরার নির্মাণকারীরা নবীজির কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, দুর্বলদের জন্য এবং বৃষ্টির রাতে নামাজ পড়ার জন্য আমরা একটি মসজিদ নির্মাণ করেছি। আমরা চাই যে, আপনি তাতে আসবেন এবং নামাজ পড়ে মসজিদটি উদ্বোধন করে দেবেন।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘আমি সফরে যাচ্ছি। ফেরার পথে তোমাদের এখানে যাব, ইনশাআল্লাহ।’
মূলত মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য খ্রিষ্টান পাদরি আবু আমিরের উসকানিতে কিছু অমুসলিম ইসলাম গ্রহণের ভান করে ওই মসজিদ বানায়। সেখানে তারা লোক দেখানো নামাজ পড়ত আর ফেতনা-অশান্তি সৃষ্টি এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে বহিঃশত্রুর আক্রমণের সুযোগ তৈরিসহ নানা রকম ষড়যন্ত্র করত। তাবুক থেকে ফেরার পথে নবীজিকে সতর্ক করে আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা মসজিদ তৈরি করেছে ক্ষতিসাধন, কুফুরি আর মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে, আর যে ব্যক্তি আগে থেকেই আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের নিমিত্তে, তারা অবশ্যই শপথ করবে যে, আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ব্যতীত নয়। আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন, তারা নিশ্চিত মিথ্যাবাদী।’ (সুরা তওবা: ১০৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তখনই দুই সাহাবিকে এই মসজিদ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য পাঠালেন। নবীজি মদিনায় পৌঁছার আগেই তাঁরা মসজিদটি একেবারে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেন।
মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি, সামাজিক অবক্ষয় ও বিশৃঙ্খলার জন্য মসজিদ বানানো ভয়াবহ পাপ। লোক দেখানো, আধিপত্য বিস্তার, কালো টাকা সাদা বা মানুষের প্রশংসা কিংবা পাপ লুকানোর জন্য মসজিদ নির্মাণ করা গুনাহ।
সুরা তওবায় বর্ণিত মুমিনের ৯ গুণ
সুরা তওবার ১১২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের কিছু গুণের কথা বলে সুসংবাদ দিয়েছেন। যথা—
১. তারা তওবাকারী
২. ইবাদতকারী
৩. আল্লাহর প্রশংসাকারী
৪. রোজাদার
৫. রুকুকারী
৬. সিজদাকারী
৭. ভালো কাজের আদেশদাতা
৮. মন্দ কাজে বাধাদানকারী
৯. আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা হেফাজতকারী
জ্ঞানর্চচা ও গবেষণার গুরুত্ব
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব অপরিসীম। দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষের জন্য আবশ্যক। মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনে সুখ, শান্তি, সফলতা ও উন্নতির জন্য যতগুলো শাস্ত্রের জ্ঞানচর্চা দরকার, ইসলাম সেই সমুদয় শাস্ত্রের জ্ঞান চর্চাকে উৎসাহিত করে। নবীজি (সা.)-এর নির্দেশে সাহাবিরা বিদেশি ভাষা শিখেছেন। অনেক সাহাবি সাহিত্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, হস্তশিল্প, কৃষি ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেছেন। নবীজির যুগে মসজিদে নববির বারান্দায় দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের জন্য নিবেদিত একদল মানুষ পড়ে থাকতেন। সেখানে তাঁরা দিন-রাত কাটাতেন। ইসলামের ইতিহাসে যাঁরা ‘আসহাবে সুফফা’ নামে পরিচিত।
চিকিৎসা, গণিত, কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞান শেখা ও এসব নিয়ে গবেষণা করা অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে। তবে যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম।
আল্লাহ তাআলা চান না যে সবাই একই কাজ করুক। একই বিষয়ে পারদর্শী হোক। তিনি চান, একেকজন একেক বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠুক। কিছু লোক জ্ঞান অর্জনে লেগে থাকুক। তাবুক যুদ্ধে যখন মুসলমানেরা সবচেয়ে বড় যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছেন, সবাইকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য নবীজি আদেশ দিয়েছেন, তখন আল্লাহ বলেন, ‘আর সমস্ত মুমিনের অভিযানে (একসঙ্গে যুদ্ধে) বের হওয়া সংগত নয়। তাই তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ (জ্ঞান) দান করে স্বজাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা (গুনাহ থেকে) বাঁচতে পারে।’ (সুরা তওবা: ১২২)
মুসলমানদের জীবন-মরণের খেলা, রোমান সম্রাট হিরাক্লিয়াসের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে যেখানে যুদ্ধ করতে হচ্ছে, তা-ও মদিনার বাইরে গিয়ে, কড়া রোদের উত্তপ্ত মরুভূমির পথ পাড়ি দিয়ে, যে যুদ্ধ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে, সে যুদ্ধে পর্যন্ত আল্লাহ কিছু লোককে জ্ঞানার্জনের জন্য মদিনায় রেখে যেতে বলছেন; গবেষণায় থাকতে বলছেন।
সুরা ইউনুসের বিষয়বস্তু
সুরা ইউনুস মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১০৯। কোরআনুল কারিমের ১০ নম্বর সুরা এটি। এ সুরায় ইমানের মৌলিক আকিদা-বিশ্বাস, পবিত্র কোরআনের মাহাত্ম্য ও মানুষের প্রতি চ্যালেঞ্জ, কিছু উপদেশ ও ঐতিহাসিক ঘটনাবলি সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। সুরার একটি অংশে ইউনুস (আ.)-এর ঘটনার বর্ণনা রয়েছে, সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম রাখা হয়—সুরা ইউনুস।
এ ছাড়া আজকের তারাবিহে মুনাফিকদের থেকে দূরত্ব বজায়, সত্যবাদীদের সংস্পর্শে থাকার নির্দেশ, নবীজির বিশেষ গুণ, মুনাফিকদের নিন্দা, কোরআন আল্লাহর কালাম, বিপদ কেটে গেলে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া, দ্বীনের ব্যাপারে ছলচাতুরীর পরিণাম ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।

আজ খতমে তারাবিহে পবিত্র কোরআনের ১১তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা তওবার ৯৪ থেকে সুরা হুদের ৫ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। এই অংশে সত্য সাক্ষ্যদানকারীদের পুরস্কার, মসজিদ নির্মাণ, তাকওয়া অর্জন, জ্ঞান ও গবেষণার গুরুত্ব, নবীজির অনুসরণ, কিয়ামতের ঘটনা ও মুমিনের গুণাবলিসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিবরণ রয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো—
যে মসজিদ পুড়িয়ে দিয়েছিলেন মহানবী (সা.)
মসজিদ আল্লাহ ঘর। আল্লাহর পছন্দনীয় জায়গা। মুমিনজীবনের আনুষ্ঠানিক সেজদা করার পবিত্র স্থান। মুসলমানদের বিশ্বাস, চেতনা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক মসজিদ। মুসলিম সমাজের মূল কেন্দ্র হলো মসজিদ। মুসলমান যেখানে বসতি গড়বে, সেখানে গড়ে উঠবে মসজিদ—এটা নবীজির শিক্ষা। রাসুল (সা.) মদিনায় হিজরতের সময় যাত্রাবিরতিকালে কুবা নামক স্থানে ইসলামের প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন। পরে মদিনায় পৌঁছে তিনি মসজিদে নববি স্থাপন করেন।
মসজিদ নির্মাণ সওয়াবের কাজ। আল্লাহকে খুশি করার মাধ্যম। আল্লাহ মানুষকে মসজিদ নির্মাণে উৎসাহিত করেছেন। নবীজি তাগিদ করেছেন। জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। তবে মসজিদ নির্মাণ হতে হবে তাকওয়ার ওপর ভিত্তি করে। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। মুসলমানদের কল্যাণের জন্য। আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য।
ইসলামের ক্ষতিসাধন হয়—এমন মসজিদ নির্মাণ করা যাবে না। মহানবী (সা.)-এর আমলেই মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার জন্য একটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল। মদিনার অদূরে, কুবা এলাকায়। মসজিদটি ইসলামের ইতিহাসে ‘মসজিদে জিরার’ নামে পরিচিত। পরে নবী (সা.) মসজিদটি ধ্বংস করার নির্দেশ দেন।
রাসুল (সা.) তখন তাবুক যুদ্ধে যাচ্ছিলেন। এক ঘণ্টা পথ চলে জুআওয়ান নামক স্থানে থামলেন। মসজিদে জিরার নির্মাণকারীরা নবীজির কাছে এসে বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, দুর্বলদের জন্য এবং বৃষ্টির রাতে নামাজ পড়ার জন্য আমরা একটি মসজিদ নির্মাণ করেছি। আমরা চাই যে, আপনি তাতে আসবেন এবং নামাজ পড়ে মসজিদটি উদ্বোধন করে দেবেন।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘আমি সফরে যাচ্ছি। ফেরার পথে তোমাদের এখানে যাব, ইনশাআল্লাহ।’
মূলত মুসলমানদের ক্ষতি করার জন্য খ্রিষ্টান পাদরি আবু আমিরের উসকানিতে কিছু অমুসলিম ইসলাম গ্রহণের ভান করে ওই মসজিদ বানায়। সেখানে তারা লোক দেখানো নামাজ পড়ত আর ফেতনা-অশান্তি সৃষ্টি এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে বহিঃশত্রুর আক্রমণের সুযোগ তৈরিসহ নানা রকম ষড়যন্ত্র করত। তাবুক থেকে ফেরার পথে নবীজিকে সতর্ক করে আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা মসজিদ তৈরি করেছে ক্ষতিসাধন, কুফুরি আর মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে, আর যে ব্যক্তি আগে থেকেই আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের নিমিত্তে, তারা অবশ্যই শপথ করবে যে, আমাদের উদ্দেশ্য সৎ ব্যতীত নয়। আল্লাহ সাক্ষ্য দিচ্ছেন, তারা নিশ্চিত মিথ্যাবাদী।’ (সুরা তওবা: ১০৭)
রাসুলুল্লাহ (সা.) তখনই দুই সাহাবিকে এই মসজিদ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য পাঠালেন। নবীজি মদিনায় পৌঁছার আগেই তাঁরা মসজিদটি একেবারে জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেন।
মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি, সামাজিক অবক্ষয় ও বিশৃঙ্খলার জন্য মসজিদ বানানো ভয়াবহ পাপ। লোক দেখানো, আধিপত্য বিস্তার, কালো টাকা সাদা বা মানুষের প্রশংসা কিংবা পাপ লুকানোর জন্য মসজিদ নির্মাণ করা গুনাহ।
সুরা তওবায় বর্ণিত মুমিনের ৯ গুণ
সুরা তওবার ১১২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুমিনদের কিছু গুণের কথা বলে সুসংবাদ দিয়েছেন। যথা—
১. তারা তওবাকারী
২. ইবাদতকারী
৩. আল্লাহর প্রশংসাকারী
৪. রোজাদার
৫. রুকুকারী
৬. সিজদাকারী
৭. ভালো কাজের আদেশদাতা
৮. মন্দ কাজে বাধাদানকারী
৯. আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা হেফাজতকারী
জ্ঞানর্চচা ও গবেষণার গুরুত্ব
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব অপরিসীম। দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষের জন্য আবশ্যক। মানুষের দুনিয়া ও আখেরাতের জীবনে সুখ, শান্তি, সফলতা ও উন্নতির জন্য যতগুলো শাস্ত্রের জ্ঞানচর্চা দরকার, ইসলাম সেই সমুদয় শাস্ত্রের জ্ঞান চর্চাকে উৎসাহিত করে। নবীজি (সা.)-এর নির্দেশে সাহাবিরা বিদেশি ভাষা শিখেছেন। অনেক সাহাবি সাহিত্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, হস্তশিল্প, কৃষি ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞানার্জন করেছেন। নবীজির যুগে মসজিদে নববির বারান্দায় দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের জন্য নিবেদিত একদল মানুষ পড়ে থাকতেন। সেখানে তাঁরা দিন-রাত কাটাতেন। ইসলামের ইতিহাসে যাঁরা ‘আসহাবে সুফফা’ নামে পরিচিত।
চিকিৎসা, গণিত, কৃষি, রাষ্ট্রনীতি, প্রয়োজনীয় বিজ্ঞান, দর্শন ইত্যাদির মৌলিক পর্যায়ের জ্ঞান শেখা ও এসব নিয়ে গবেষণা করা অপরিহার্য। গোটা জনপদে যদি এই জ্ঞানের পারদর্শী কেউ না থাকে, তাহলে সবাই কষ্টে পতিত হবে। তবে যা মানুষকে অকল্যাণের দিকে নিয়ে যায়, তা চর্চা করা হারাম।
আল্লাহ তাআলা চান না যে সবাই একই কাজ করুক। একই বিষয়ে পারদর্শী হোক। তিনি চান, একেকজন একেক বিষয়ে পারদর্শী হয়ে উঠুক। কিছু লোক জ্ঞান অর্জনে লেগে থাকুক। তাবুক যুদ্ধে যখন মুসলমানেরা সবচেয়ে বড় যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছেন, সবাইকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য নবীজি আদেশ দিয়েছেন, তখন আল্লাহ বলেন, ‘আর সমস্ত মুমিনের অভিযানে (একসঙ্গে যুদ্ধে) বের হওয়া সংগত নয়। তাই তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ (জ্ঞান) দান করে স্বজাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা (গুনাহ থেকে) বাঁচতে পারে।’ (সুরা তওবা: ১২২)
মুসলমানদের জীবন-মরণের খেলা, রোমান সম্রাট হিরাক্লিয়াসের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে যেখানে যুদ্ধ করতে হচ্ছে, তা-ও মদিনার বাইরে গিয়ে, কড়া রোদের উত্তপ্ত মরুভূমির পথ পাড়ি দিয়ে, যে যুদ্ধ নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে শঙ্কা বিরাজ করছে, সে যুদ্ধে পর্যন্ত আল্লাহ কিছু লোককে জ্ঞানার্জনের জন্য মদিনায় রেখে যেতে বলছেন; গবেষণায় থাকতে বলছেন।
সুরা ইউনুসের বিষয়বস্তু
সুরা ইউনুস মক্কায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ১০৯। কোরআনুল কারিমের ১০ নম্বর সুরা এটি। এ সুরায় ইমানের মৌলিক আকিদা-বিশ্বাস, পবিত্র কোরআনের মাহাত্ম্য ও মানুষের প্রতি চ্যালেঞ্জ, কিছু উপদেশ ও ঐতিহাসিক ঘটনাবলি সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। সুরার একটি অংশে ইউনুস (আ.)-এর ঘটনার বর্ণনা রয়েছে, সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম রাখা হয়—সুরা ইউনুস।
এ ছাড়া আজকের তারাবিহে মুনাফিকদের থেকে দূরত্ব বজায়, সত্যবাদীদের সংস্পর্শে থাকার নির্দেশ, নবীজির বিশেষ গুণ, মুনাফিকদের নিন্দা, কোরআন আল্লাহর কালাম, বিপদ কেটে গেলে আল্লাহকে ভুলে যাওয়া, দ্বীনের ব্যাপারে ছলচাতুরীর পরিণাম ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

আজ খতমে তারাবিহে পবিত্র কোরআনের ১১তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা তওবার ৯৪ থেকে সুরা হুদের ৫ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। এই অংশে সত্য সাক্ষ্যদানকারীদের পুরস্কার, মসজিদ নির্মাণ, তাকওয়া অর্জন, জ্ঞান ও গবেষণার গুরুত্ব, নবীজির অনুসরণ, কিয়ামতের ঘটনা ও মুমিনের গুণাবলিসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিবরণ রয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর
৩০ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিহে পবিত্র কোরআনের ১১তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা তওবার ৯৪ থেকে সুরা হুদের ৫ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। এই অংশে সত্য সাক্ষ্যদানকারীদের পুরস্কার, মসজিদ নির্মাণ, তাকওয়া অর্জন, জ্ঞান ও গবেষণার গুরুত্ব, নবীজির অনুসরণ, কিয়ামতের ঘটনা ও মুমিনের গুণাবলিসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিবরণ রয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর
৩০ মার্চ ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

আজ খতমে তারাবিহে পবিত্র কোরআনের ১১তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা তওবার ৯৪ থেকে সুরা হুদের ৫ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। এই অংশে সত্য সাক্ষ্যদানকারীদের পুরস্কার, মসজিদ নির্মাণ, তাকওয়া অর্জন, জ্ঞান ও গবেষণার গুরুত্ব, নবীজির অনুসরণ, কিয়ামতের ঘটনা ও মুমিনের গুণাবলিসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিবরণ রয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর
৩০ মার্চ ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিহে পবিত্র কোরআনের ১১তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা তওবার ৯৪ থেকে সুরা হুদের ৫ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। এই অংশে সত্য সাক্ষ্যদানকারীদের পুরস্কার, মসজিদ নির্মাণ, তাকওয়া অর্জন, জ্ঞান ও গবেষণার গুরুত্ব, নবীজির অনুসরণ, কিয়ামতের ঘটনা ও মুমিনের গুণাবলিসহ বিভিন্ন বিষয়ের বিবরণ রয়েছে। এখানে গুরুত্বপূর
৩০ মার্চ ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১০ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে