ড. আলি আস-সাল্লাবি

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যোগাযোগের দক্ষতা ও গতি বিবেচনায় হুদহুদ কবুতরের চেয়ে সেরা। এটি অন্যতম দ্রুতগতির পাখি এবং উড়াল দেওয়ার ক্ষেত্রে তার দলবদ্ধতার প্রয়োজন পড়ে না। আত্মরক্ষার কৌশল ভালোই রপ্ত আছে; ক্ষুধা-তৃষ্ণায় দমে যায় না। বুদ্ধিমত্তা ও ধূর্ততায় তার জুড়ি মেলা ভার। এ কারণেই হয়তো সব প্রাণীর ভাষা জানা সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে নিজের সংবাদদাতা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
সুরা নামলের ২০ থেকে ২৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা হুদহুদ পাখির এ ঘটনা তুলে ধরেন। তাতে হুদহুদের সংবাদ সংগ্রহ, উপস্থাপনা ও পরিবেশনশৈলী দেখে মনে হয়, পাখিটি সাধারণ কোনো হুদহুদ ছিল না। বরং বিশেষ গুণ ও ক্ষমতাসম্পন্ন হুদহুদ পাখি ছিল। তার কর্মকাণ্ডে সংবাদকর্মীদের জন্য রয়েছে চমৎকার সব শিক্ষা। এখানে কয়েকটি শিক্ষা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
কৌতূহলোদ্দীপক শিরোনাম
গল্পে আমরা দেখি, কৌতূহলোদ্দীপক ও আকর্ষণীয় শিরোনামে সে কথা শুরু করেছে, যা সাংবাদিকতার জন্য অনন্য শিক্ষা। সে বলেছে, ‘আপনি যে খবর মোটেও জানেন না তা আমি অনুপুঙ্খ জেনে এসেছি এবং সাবা জাতি থেকে সুনিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি।’ সে দ্রুতই চমৎকার এক ভূমিকা দিয়ে কথা শুরু করেছে। ফলে সোলায়মান (আ.) তা শুনতে কৌতূহলী হয়ে পড়েন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন।
সাজানো বিষয়কাঠামো
বিষয়কাঠামো গোছালো হওয়ার ব্যাপারে বোদ্ধা সাংবাদিকেরা বেশ জোর দেন। হুদহুদ তা তো করেছেই, সঙ্গে পঞ্চেন্দ্রিয় ও বুদ্ধিমত্তারও প্রয়োগ করেছে। যেমন—সাবার শাসক বিলকিস একজন নারী, তাঁর ও তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্যে শাসক-শাসিতের সম্পর্ক বিদ্যমান, তিনি সাবা অঞ্চলের একচ্ছত্র অধিপতি এবং তাঁর রাজ্যে প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে ইত্যাদি সে দেখেশুনে বুঝতে পেরেছে। আর শয়তান তাদের সৎপথ থেকে বিরত রেখেছে এবং এ কারণেই তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হচ্ছে না ইত্যাদি কথা তাকে বুদ্ধি খাটিয়েই বের করতে হয়েছে।
গল্পের চরিত্রে বৈচিত্র্য
গল্পের চরিত্রে বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই গল্পেও বেশ কিছু বৈচিত্র্য আমরা দেখতে পাই। প্রথমে সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে সন্ধান করে পান না। আবার হুদহুদ তাঁর সামনে এসে বড় খবরটি দেয়। এরপর সাবার রানির কথার অবতারণা করে। তার সম্প্রদায়ের সূর্যের উপাসনার কথা আলোচনা করে। এভাবে গল্পে বৈচিত্র্য আসে।
অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সংযম
গল্পে গভীর দৃষ্টি দিলে দেখি, সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করেছেন। প্রথমে তিনি বললেন, ‘কী ব্যাপার, হুদহুদকে তো দেখছি না।’ এরপর অভিযোগের সুরে বললেন, ‘সে কি অনুপস্থিত?’ এরপর পর্যায়ক্রমে কঠোর শাস্তি থেকে লঘু শাস্তির দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন। কঠিন শাস্তি, এরপর জবাই, এরপর কারণ দর্শিয়ে ক্ষমাপ্রাপ্তির কথা বলেছেন। সুতরাং প্রতিশোধ নয়, সংশোধন ও ক্ষমাই সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।
সংবাদকর্মীর আত্মরক্ষার কৌশল
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো বিপদের মুখোমুখি হলে তা থেকে নিজেকে রক্ষা করার কৌশলও সংবাদকর্মীর জানা থাকা চাই। হুদহুদ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তা করেছে। শুরুতেই সে সোলায়মান (আ.)কে
চমকে দিয়ে বলেছে, ‘আপনি যে খবর মোটেও জানেন না, তা আমি অনুপুঙ্খ জেনে এসেছি’। এর মাধ্যমে সে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তার অনুপস্থিতির যথাযথ কারণ শুনতে বাধ্য করেছে।
মার্জিত শব্দচয়ন
গল্পে হুদহুদ চমৎকার শব্দচয়ন করে কথা বলেছে। আয়াতের ‘আহাততু’ ও ‘নাবা’ শব্দদ্বয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ‘ইহাতা’ ধাতুর অর্থ অনুপুঙ্খ জানা, যেখানে কোনো ফাঁকফোকর নেই। আর ‘নাবা’ শব্দটি আরবিতে অধিক নির্ভরযোগ্য খবরকে বলা হয়। খবর নির্ভরযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে এ রকম শব্দের ভূমিকা ব্যাপক।
ঘটনার চিত্রায়ণ
সংবাদে ঘটনার যথাযথ চিত্রায়ণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সংলাপ, চারপাশের অবস্থার বিবরণ এবং বিভিন্ন সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা গল্পটিকে জীবন্ত করে তুলেছে। হুদহুদ সাবা রাজ্যের জীবন্ত বিবরণ হাজির করল। সোলায়মান (আ.) তাদের জন্য চিন্তিত হলেন এবং তাদের আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য চিঠি দিলেন।
সংক্ষেপে উপস্থাপন
কম শব্দে বেশি কথা বুঝিয়ে দেওয়া এবং বাহুল্য বর্জন করাও একটি দক্ষতা। হুদহুদ তা ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে। খুব অল্প শব্দে সে বেশ বড় ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে। যেমন সে বলেছে, ‘তাকে সবকিছু দেওয়া হয়েছে’।
লেখক: লিবিয়ান ইতিহাসবিদ ও ইসলামি চিন্তক
আল জাজিরা আরবি থেকে সংক্ষিপ্ত অনুবাদ: ইজাজুল হক

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যোগাযোগের দক্ষতা ও গতি বিবেচনায় হুদহুদ কবুতরের চেয়ে সেরা। এটি অন্যতম দ্রুতগতির পাখি এবং উড়াল দেওয়ার ক্ষেত্রে তার দলবদ্ধতার প্রয়োজন পড়ে না। আত্মরক্ষার কৌশল ভালোই রপ্ত আছে; ক্ষুধা-তৃষ্ণায় দমে যায় না। বুদ্ধিমত্তা ও ধূর্ততায় তার জুড়ি মেলা ভার। এ কারণেই হয়তো সব প্রাণীর ভাষা জানা সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে নিজের সংবাদদাতা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
সুরা নামলের ২০ থেকে ২৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা হুদহুদ পাখির এ ঘটনা তুলে ধরেন। তাতে হুদহুদের সংবাদ সংগ্রহ, উপস্থাপনা ও পরিবেশনশৈলী দেখে মনে হয়, পাখিটি সাধারণ কোনো হুদহুদ ছিল না। বরং বিশেষ গুণ ও ক্ষমতাসম্পন্ন হুদহুদ পাখি ছিল। তার কর্মকাণ্ডে সংবাদকর্মীদের জন্য রয়েছে চমৎকার সব শিক্ষা। এখানে কয়েকটি শিক্ষা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
কৌতূহলোদ্দীপক শিরোনাম
গল্পে আমরা দেখি, কৌতূহলোদ্দীপক ও আকর্ষণীয় শিরোনামে সে কথা শুরু করেছে, যা সাংবাদিকতার জন্য অনন্য শিক্ষা। সে বলেছে, ‘আপনি যে খবর মোটেও জানেন না তা আমি অনুপুঙ্খ জেনে এসেছি এবং সাবা জাতি থেকে সুনিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি।’ সে দ্রুতই চমৎকার এক ভূমিকা দিয়ে কথা শুরু করেছে। ফলে সোলায়মান (আ.) তা শুনতে কৌতূহলী হয়ে পড়েন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন।
সাজানো বিষয়কাঠামো
বিষয়কাঠামো গোছালো হওয়ার ব্যাপারে বোদ্ধা সাংবাদিকেরা বেশ জোর দেন। হুদহুদ তা তো করেছেই, সঙ্গে পঞ্চেন্দ্রিয় ও বুদ্ধিমত্তারও প্রয়োগ করেছে। যেমন—সাবার শাসক বিলকিস একজন নারী, তাঁর ও তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্যে শাসক-শাসিতের সম্পর্ক বিদ্যমান, তিনি সাবা অঞ্চলের একচ্ছত্র অধিপতি এবং তাঁর রাজ্যে প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে ইত্যাদি সে দেখেশুনে বুঝতে পেরেছে। আর শয়তান তাদের সৎপথ থেকে বিরত রেখেছে এবং এ কারণেই তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হচ্ছে না ইত্যাদি কথা তাকে বুদ্ধি খাটিয়েই বের করতে হয়েছে।
গল্পের চরিত্রে বৈচিত্র্য
গল্পের চরিত্রে বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই গল্পেও বেশ কিছু বৈচিত্র্য আমরা দেখতে পাই। প্রথমে সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে সন্ধান করে পান না। আবার হুদহুদ তাঁর সামনে এসে বড় খবরটি দেয়। এরপর সাবার রানির কথার অবতারণা করে। তার সম্প্রদায়ের সূর্যের উপাসনার কথা আলোচনা করে। এভাবে গল্পে বৈচিত্র্য আসে।
অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সংযম
গল্পে গভীর দৃষ্টি দিলে দেখি, সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করেছেন। প্রথমে তিনি বললেন, ‘কী ব্যাপার, হুদহুদকে তো দেখছি না।’ এরপর অভিযোগের সুরে বললেন, ‘সে কি অনুপস্থিত?’ এরপর পর্যায়ক্রমে কঠোর শাস্তি থেকে লঘু শাস্তির দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন। কঠিন শাস্তি, এরপর জবাই, এরপর কারণ দর্শিয়ে ক্ষমাপ্রাপ্তির কথা বলেছেন। সুতরাং প্রতিশোধ নয়, সংশোধন ও ক্ষমাই সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।
সংবাদকর্মীর আত্মরক্ষার কৌশল
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো বিপদের মুখোমুখি হলে তা থেকে নিজেকে রক্ষা করার কৌশলও সংবাদকর্মীর জানা থাকা চাই। হুদহুদ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তা করেছে। শুরুতেই সে সোলায়মান (আ.)কে
চমকে দিয়ে বলেছে, ‘আপনি যে খবর মোটেও জানেন না, তা আমি অনুপুঙ্খ জেনে এসেছি’। এর মাধ্যমে সে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তার অনুপস্থিতির যথাযথ কারণ শুনতে বাধ্য করেছে।
মার্জিত শব্দচয়ন
গল্পে হুদহুদ চমৎকার শব্দচয়ন করে কথা বলেছে। আয়াতের ‘আহাততু’ ও ‘নাবা’ শব্দদ্বয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ‘ইহাতা’ ধাতুর অর্থ অনুপুঙ্খ জানা, যেখানে কোনো ফাঁকফোকর নেই। আর ‘নাবা’ শব্দটি আরবিতে অধিক নির্ভরযোগ্য খবরকে বলা হয়। খবর নির্ভরযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে এ রকম শব্দের ভূমিকা ব্যাপক।
ঘটনার চিত্রায়ণ
সংবাদে ঘটনার যথাযথ চিত্রায়ণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সংলাপ, চারপাশের অবস্থার বিবরণ এবং বিভিন্ন সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা গল্পটিকে জীবন্ত করে তুলেছে। হুদহুদ সাবা রাজ্যের জীবন্ত বিবরণ হাজির করল। সোলায়মান (আ.) তাদের জন্য চিন্তিত হলেন এবং তাদের আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য চিঠি দিলেন।
সংক্ষেপে উপস্থাপন
কম শব্দে বেশি কথা বুঝিয়ে দেওয়া এবং বাহুল্য বর্জন করাও একটি দক্ষতা। হুদহুদ তা ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে। খুব অল্প শব্দে সে বেশ বড় ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে। যেমন সে বলেছে, ‘তাকে সবকিছু দেওয়া হয়েছে’।
লেখক: লিবিয়ান ইতিহাসবিদ ও ইসলামি চিন্তক
আল জাজিরা আরবি থেকে সংক্ষিপ্ত অনুবাদ: ইজাজুল হক
ড. আলি আস-সাল্লাবি

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যোগাযোগের দক্ষতা ও গতি বিবেচনায় হুদহুদ কবুতরের চেয়ে সেরা। এটি অন্যতম দ্রুতগতির পাখি এবং উড়াল দেওয়ার ক্ষেত্রে তার দলবদ্ধতার প্রয়োজন পড়ে না। আত্মরক্ষার কৌশল ভালোই রপ্ত আছে; ক্ষুধা-তৃষ্ণায় দমে যায় না। বুদ্ধিমত্তা ও ধূর্ততায় তার জুড়ি মেলা ভার। এ কারণেই হয়তো সব প্রাণীর ভাষা জানা সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে নিজের সংবাদদাতা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
সুরা নামলের ২০ থেকে ২৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা হুদহুদ পাখির এ ঘটনা তুলে ধরেন। তাতে হুদহুদের সংবাদ সংগ্রহ, উপস্থাপনা ও পরিবেশনশৈলী দেখে মনে হয়, পাখিটি সাধারণ কোনো হুদহুদ ছিল না। বরং বিশেষ গুণ ও ক্ষমতাসম্পন্ন হুদহুদ পাখি ছিল। তার কর্মকাণ্ডে সংবাদকর্মীদের জন্য রয়েছে চমৎকার সব শিক্ষা। এখানে কয়েকটি শিক্ষা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
কৌতূহলোদ্দীপক শিরোনাম
গল্পে আমরা দেখি, কৌতূহলোদ্দীপক ও আকর্ষণীয় শিরোনামে সে কথা শুরু করেছে, যা সাংবাদিকতার জন্য অনন্য শিক্ষা। সে বলেছে, ‘আপনি যে খবর মোটেও জানেন না তা আমি অনুপুঙ্খ জেনে এসেছি এবং সাবা জাতি থেকে সুনিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি।’ সে দ্রুতই চমৎকার এক ভূমিকা দিয়ে কথা শুরু করেছে। ফলে সোলায়মান (আ.) তা শুনতে কৌতূহলী হয়ে পড়েন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন।
সাজানো বিষয়কাঠামো
বিষয়কাঠামো গোছালো হওয়ার ব্যাপারে বোদ্ধা সাংবাদিকেরা বেশ জোর দেন। হুদহুদ তা তো করেছেই, সঙ্গে পঞ্চেন্দ্রিয় ও বুদ্ধিমত্তারও প্রয়োগ করেছে। যেমন—সাবার শাসক বিলকিস একজন নারী, তাঁর ও তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্যে শাসক-শাসিতের সম্পর্ক বিদ্যমান, তিনি সাবা অঞ্চলের একচ্ছত্র অধিপতি এবং তাঁর রাজ্যে প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে ইত্যাদি সে দেখেশুনে বুঝতে পেরেছে। আর শয়তান তাদের সৎপথ থেকে বিরত রেখেছে এবং এ কারণেই তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হচ্ছে না ইত্যাদি কথা তাকে বুদ্ধি খাটিয়েই বের করতে হয়েছে।
গল্পের চরিত্রে বৈচিত্র্য
গল্পের চরিত্রে বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই গল্পেও বেশ কিছু বৈচিত্র্য আমরা দেখতে পাই। প্রথমে সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে সন্ধান করে পান না। আবার হুদহুদ তাঁর সামনে এসে বড় খবরটি দেয়। এরপর সাবার রানির কথার অবতারণা করে। তার সম্প্রদায়ের সূর্যের উপাসনার কথা আলোচনা করে। এভাবে গল্পে বৈচিত্র্য আসে।
অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সংযম
গল্পে গভীর দৃষ্টি দিলে দেখি, সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করেছেন। প্রথমে তিনি বললেন, ‘কী ব্যাপার, হুদহুদকে তো দেখছি না।’ এরপর অভিযোগের সুরে বললেন, ‘সে কি অনুপস্থিত?’ এরপর পর্যায়ক্রমে কঠোর শাস্তি থেকে লঘু শাস্তির দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন। কঠিন শাস্তি, এরপর জবাই, এরপর কারণ দর্শিয়ে ক্ষমাপ্রাপ্তির কথা বলেছেন। সুতরাং প্রতিশোধ নয়, সংশোধন ও ক্ষমাই সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।
সংবাদকর্মীর আত্মরক্ষার কৌশল
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো বিপদের মুখোমুখি হলে তা থেকে নিজেকে রক্ষা করার কৌশলও সংবাদকর্মীর জানা থাকা চাই। হুদহুদ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তা করেছে। শুরুতেই সে সোলায়মান (আ.)কে
চমকে দিয়ে বলেছে, ‘আপনি যে খবর মোটেও জানেন না, তা আমি অনুপুঙ্খ জেনে এসেছি’। এর মাধ্যমে সে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তার অনুপস্থিতির যথাযথ কারণ শুনতে বাধ্য করেছে।
মার্জিত শব্দচয়ন
গল্পে হুদহুদ চমৎকার শব্দচয়ন করে কথা বলেছে। আয়াতের ‘আহাততু’ ও ‘নাবা’ শব্দদ্বয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ‘ইহাতা’ ধাতুর অর্থ অনুপুঙ্খ জানা, যেখানে কোনো ফাঁকফোকর নেই। আর ‘নাবা’ শব্দটি আরবিতে অধিক নির্ভরযোগ্য খবরকে বলা হয়। খবর নির্ভরযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে এ রকম শব্দের ভূমিকা ব্যাপক।
ঘটনার চিত্রায়ণ
সংবাদে ঘটনার যথাযথ চিত্রায়ণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সংলাপ, চারপাশের অবস্থার বিবরণ এবং বিভিন্ন সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা গল্পটিকে জীবন্ত করে তুলেছে। হুদহুদ সাবা রাজ্যের জীবন্ত বিবরণ হাজির করল। সোলায়মান (আ.) তাদের জন্য চিন্তিত হলেন এবং তাদের আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য চিঠি দিলেন।
সংক্ষেপে উপস্থাপন
কম শব্দে বেশি কথা বুঝিয়ে দেওয়া এবং বাহুল্য বর্জন করাও একটি দক্ষতা। হুদহুদ তা ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে। খুব অল্প শব্দে সে বেশ বড় ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে। যেমন সে বলেছে, ‘তাকে সবকিছু দেওয়া হয়েছে’।
লেখক: লিবিয়ান ইতিহাসবিদ ও ইসলামি চিন্তক
আল জাজিরা আরবি থেকে সংক্ষিপ্ত অনুবাদ: ইজাজুল হক

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, যোগাযোগের দক্ষতা ও গতি বিবেচনায় হুদহুদ কবুতরের চেয়ে সেরা। এটি অন্যতম দ্রুতগতির পাখি এবং উড়াল দেওয়ার ক্ষেত্রে তার দলবদ্ধতার প্রয়োজন পড়ে না। আত্মরক্ষার কৌশল ভালোই রপ্ত আছে; ক্ষুধা-তৃষ্ণায় দমে যায় না। বুদ্ধিমত্তা ও ধূর্ততায় তার জুড়ি মেলা ভার। এ কারণেই হয়তো সব প্রাণীর ভাষা জানা সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে নিজের সংবাদদাতা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।
সুরা নামলের ২০ থেকে ২৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা হুদহুদ পাখির এ ঘটনা তুলে ধরেন। তাতে হুদহুদের সংবাদ সংগ্রহ, উপস্থাপনা ও পরিবেশনশৈলী দেখে মনে হয়, পাখিটি সাধারণ কোনো হুদহুদ ছিল না। বরং বিশেষ গুণ ও ক্ষমতাসম্পন্ন হুদহুদ পাখি ছিল। তার কর্মকাণ্ডে সংবাদকর্মীদের জন্য রয়েছে চমৎকার সব শিক্ষা। এখানে কয়েকটি শিক্ষা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো—
কৌতূহলোদ্দীপক শিরোনাম
গল্পে আমরা দেখি, কৌতূহলোদ্দীপক ও আকর্ষণীয় শিরোনামে সে কথা শুরু করেছে, যা সাংবাদিকতার জন্য অনন্য শিক্ষা। সে বলেছে, ‘আপনি যে খবর মোটেও জানেন না তা আমি অনুপুঙ্খ জেনে এসেছি এবং সাবা জাতি থেকে সুনিশ্চিত খবর নিয়ে এসেছি।’ সে দ্রুতই চমৎকার এক ভূমিকা দিয়ে কথা শুরু করেছে। ফলে সোলায়মান (আ.) তা শুনতে কৌতূহলী হয়ে পড়েন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন।
সাজানো বিষয়কাঠামো
বিষয়কাঠামো গোছালো হওয়ার ব্যাপারে বোদ্ধা সাংবাদিকেরা বেশ জোর দেন। হুদহুদ তা তো করেছেই, সঙ্গে পঞ্চেন্দ্রিয় ও বুদ্ধিমত্তারও প্রয়োগ করেছে। যেমন—সাবার শাসক বিলকিস একজন নারী, তাঁর ও তাঁর সম্প্রদায়ের মধ্যে শাসক-শাসিতের সম্পর্ক বিদ্যমান, তিনি সাবা অঞ্চলের একচ্ছত্র অধিপতি এবং তাঁর রাজ্যে প্রয়োজনীয় সবকিছুই আছে ইত্যাদি সে দেখেশুনে বুঝতে পেরেছে। আর শয়তান তাদের সৎপথ থেকে বিরত রেখেছে এবং এ কারণেই তারা হিদায়াতপ্রাপ্ত হচ্ছে না ইত্যাদি কথা তাকে বুদ্ধি খাটিয়েই বের করতে হয়েছে।
গল্পের চরিত্রে বৈচিত্র্য
গল্পের চরিত্রে বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই গল্পেও বেশ কিছু বৈচিত্র্য আমরা দেখতে পাই। প্রথমে সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে সন্ধান করে পান না। আবার হুদহুদ তাঁর সামনে এসে বড় খবরটি দেয়। এরপর সাবার রানির কথার অবতারণা করে। তার সম্প্রদায়ের সূর্যের উপাসনার কথা আলোচনা করে। এভাবে গল্পে বৈচিত্র্য আসে।
অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সংযম
গল্পে গভীর দৃষ্টি দিলে দেখি, সোলায়মান (আ.) হুদহুদকে অভিযুক্ত করার ক্ষেত্রে সংযম প্রদর্শন করেছেন। প্রথমে তিনি বললেন, ‘কী ব্যাপার, হুদহুদকে তো দেখছি না।’ এরপর অভিযোগের সুরে বললেন, ‘সে কি অনুপস্থিত?’ এরপর পর্যায়ক্রমে কঠোর শাস্তি থেকে লঘু শাস্তির দিকে প্রত্যাবর্তন করেছেন। কঠিন শাস্তি, এরপর জবাই, এরপর কারণ দর্শিয়ে ক্ষমাপ্রাপ্তির কথা বলেছেন। সুতরাং প্রতিশোধ নয়, সংশোধন ও ক্ষমাই সাংবাদিকতার বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত।
সংবাদকর্মীর আত্মরক্ষার কৌশল
সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কোনো বিপদের মুখোমুখি হলে তা থেকে নিজেকে রক্ষা করার কৌশলও সংবাদকর্মীর জানা থাকা চাই। হুদহুদ বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে তা করেছে। শুরুতেই সে সোলায়মান (আ.)কে
চমকে দিয়ে বলেছে, ‘আপনি যে খবর মোটেও জানেন না, তা আমি অনুপুঙ্খ জেনে এসেছি’। এর মাধ্যমে সে হজরত সোলায়মান (আ.)-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং তার অনুপস্থিতির যথাযথ কারণ শুনতে বাধ্য করেছে।
মার্জিত শব্দচয়ন
গল্পে হুদহুদ চমৎকার শব্দচয়ন করে কথা বলেছে। আয়াতের ‘আহাততু’ ও ‘নাবা’ শব্দদ্বয় তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। ‘ইহাতা’ ধাতুর অর্থ অনুপুঙ্খ জানা, যেখানে কোনো ফাঁকফোকর নেই। আর ‘নাবা’ শব্দটি আরবিতে অধিক নির্ভরযোগ্য খবরকে বলা হয়। খবর নির্ভরযোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে এ রকম শব্দের ভূমিকা ব্যাপক।
ঘটনার চিত্রায়ণ
সংবাদে ঘটনার যথাযথ চিত্রায়ণ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সংলাপ, চারপাশের অবস্থার বিবরণ এবং বিভিন্ন সুন্দর দৃশ্যের অবতারণা গল্পটিকে জীবন্ত করে তুলেছে। হুদহুদ সাবা রাজ্যের জীবন্ত বিবরণ হাজির করল। সোলায়মান (আ.) তাদের জন্য চিন্তিত হলেন এবং তাদের আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য চিঠি দিলেন।
সংক্ষেপে উপস্থাপন
কম শব্দে বেশি কথা বুঝিয়ে দেওয়া এবং বাহুল্য বর্জন করাও একটি দক্ষতা। হুদহুদ তা ভালোভাবেই সম্পন্ন করেছে। খুব অল্প শব্দে সে বেশ বড় ঘটনা বুঝিয়ে দিয়েছে। যেমন সে বলেছে, ‘তাকে সবকিছু দেওয়া হয়েছে’।
লেখক: লিবিয়ান ইতিহাসবিদ ও ইসলামি চিন্তক
আল জাজিরা আরবি থেকে সংক্ষিপ্ত অনুবাদ: ইজাজুল হক

শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৪১ মিনিট আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

প্রখ্যাত সুফি সাধক, নকশবন্দি তরিকার প্রভাবশালী পীর ও ইসলামিক স্কলার শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ইন্তেকাল করেছেন।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের লাহোরে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁরই খলিফা মাওলানা মাসুমুল হক। একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাকিস্তানের গণমাধ্যম ম্যাসেজ টিভির পরিচালক আবদুল মতিন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ ঝং জেলায় মাহদুল ফাকির আল ইসলামি নামে একটি ইসলামি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠানটি তাজকিয়া, ইসলাহে নফস ও সুফি শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। দেশ-বিদেশে তাঁর অসংখ্য মুরিদ ও অনুসারী রয়েছেন।
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁর বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।
শায়খ জুলফিকার আহমদ একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তাঁর বহু গ্রন্থ মুসলিম সমাজে বিশেষভাবে সমাদৃত।

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
২৬ জুলাই ২০২৪
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
২৬ জুলাই ২০২৪
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৪১ মিনিট আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
২৬ জুলাই ২০২৪
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৪১ মিনিট আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৯ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

পবিত্র কোরআনে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিভিন্ন পাখির আলোচনা এসেছে। আল্লাহর নবী সোলায়মান (আ.)-এর রাজত্বকালের হুদহুদ পাখির গল্প সেসবের একটি। গল্পটিতে রয়েছে সংবাদ সংগ্রাহক ও পরিবেশকদের জন্য বিরাট শিক্ষা। হুদহুদের গতি, বুদ্ধিমত্তা, সুষ্ঠু-নির্মোহ সংবাদ সংগ্রহ এবং নিখুঁত উপস্থাপন বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
২৬ জুলাই ২০২৪
শায়খ জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন খ্যাতিমান সুফি সাধক ছিলেন এবং দেওবন্দি আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, তাজকিয়া ও আত্মশুদ্ধির ক্ষেত্রে তিনি বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত ছিলেন।
৪১ মিনিট আগে
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৯ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১৫ ঘণ্টা আগে