মুফতি আবু দারদা

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সময়েও ফরজ ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে নিজের আমলনামা সমৃদ্ধ করা মুমিনের দায়িত্ব।
আমল শুরু করার পর এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আল্লাহ তাআলার অত্যন্ত প্রিয়। কারণ ধারাবাহিকতা রক্ষার অর্থ হলো, আল্লাহ তাআলা আগের আমলগুলো কবুল করেছেন বলেই পরেও একই আমল করার সুযোগ হচ্ছে। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আল্লাহর কাছে কোন আমল সর্বাধিক প্রিয়?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘যে আমল সর্বদা করা হয়—চাই তা পরিমাণে কম হোক।’ (বুখারি)
রমজানের পর আমলের ধারাবাহিকতা কীভাবে রক্ষা করতে পারি আমরা? আলিমগণ এর বেশ কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন।
এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
১. মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করা। আল্লাহ যেন রমজানের মতো পুরো বছর আমাদের আমলের ওপর রাখেন, সে জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁর সাহায্য। পবিত্র কোরআনে তিনি আমাদের দোয়া করতে বলেছেন এভাবে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের পথ প্রদর্শন করার পর আমাদের অন্তরকে বিপথগামী করবেন না। আর আপনার কাছ থেকে আমাদের প্রতি রহমত দান করুন। আপনিই একমাত্র দাতা। (আল ইমরান: ৩: ৮)
২. রমজানের পর নিয়মিত নফল রোজা আদায় করা। যেমন—শাওয়াল মাসের ছয় রোজা, ৯ জিলহজ আরাফাতের দিনের রোজা, ১০ মহররম আশুরার রোজা, সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা, আইয়ামে বিজের রোজা ইত্যাদি।
৩. তাহাজ্জুদ নামাজ অব্যাহত রাখা। তাহাজ্জুদ আল্লাহর প্রিয় নফল নামাজ। এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাহাজ্জুদের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে কাছের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো দোয়া করবে এবং আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছো আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে এবং আমি তাকে দান করব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই জান্নাতে রয়েছে এমন কিছু প্রাসাদ, যার বাইরে থেকে ভেতরাংশ দেখা যাবে, ভেতর থেকে বাইরের অংশ দেখা যাবে। এগুলো আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন, যারা মানুষকে খাবার খাওয়ায়, কোমল ভাষায় কথা বলে, ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখে, সালামের প্রসার ঘটায় এবং রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তারা নামাজে দাঁড়িয়ে যায়।’ (মুসনাদে আহমাদ)
৪. কোরআন তিলাওয়াত এবং সে অনুযায়ী আমল করা। রমজান কোরআন নাজিলের মাস বলে অন্য মাসে তা তিলাওয়াত করা, অর্থ অনুধাবন করা ও আমল করা যাবে না, তা কিন্তু সঠিক নয়। বরং রমজানের পরও কোরআনের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক অব্যাহত রাখা উচিত। মহানবী (সা.) কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে উম্মতের ব্যাপারে অভিযোগ করবেন, ‘হে আমার রব, আমার উম্মত তো এই কোরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করেছে।’ (সুরা ফুরকান: ৩০) আল্লাহ যেন আমাদের সেদিনের অভিযুক্তদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত না করেন।
৫. অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখা। রমজানে আমরা সদকাতুল ফিতর, জাকাত ও অন্যান্য দানের মাধ্যমে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজানের পরও যেন আমরা সেই কাজ অব্যাহত রাখতে পারি, সে জন্য চেষ্টা করতে হবে। এক দীর্ঘ হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাদ্য দাওনি।’ মানুষ বলবে, ‘হে আমার রব, কীভাবে আপনাকে খাদ্য দেব, আপনি তো সৃষ্টিকুলের রব?’ আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি কি জানতে না, আমার অমুক বান্দা খাবার চেয়েছিল? তুমি তো খাবার দাওনি। তুমি কি জানতে না, যদি তাকে খাবার দিতে, তাহলে তা (প্রতিদান) আমার কাছে পেতে?’ (মুসলিম)
৬. পছন্দের আমলগুলো অব্যাহত রাখা। আপনি যে আমলগুলো সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারেন, তা করতে থাকুন। সেই আমল যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে লোক সকল, কেবল সেই নেক কাজগুলো করতে থাকো, যা তুমি করতে পারো। কারণ তুমি বিরক্ত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ সওয়াব দিতে বিরক্ত হন না। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম আমল হলো, যা ধারাবাহিক—যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।’ (বুখারি)
৭. আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা। তাঁর পবিত্র নামসমূহ উচ্চারণ করে তাঁকে ডাকাকে জিকির বলা হয়। জিকির বড় ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। বান্দা যখন আল্লাহকে ডাকে, তখন তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন এবং তাদের ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
৮. গুনাহমুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করা। রমজানে যেমন আমরা আল্লাহ তাআলার বিধিনিষেধ মেনে চলতাম, দিনের বেলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা খাওয়াদাওয়া থেকে বিরত থাকতাম, তেমনি আমাদের আয়-উপার্জন, খাদ্য, চলাফেরা, কাজকর্মেও সব বিধিনিষেধ মেনে চলব। হালাল গ্রহণ করব এবং হারাম বর্জন করব। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান।’ (মুসনাদে আহমাদ)

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সময়েও ফরজ ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে নিজের আমলনামা সমৃদ্ধ করা মুমিনের দায়িত্ব।
আমল শুরু করার পর এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আল্লাহ তাআলার অত্যন্ত প্রিয়। কারণ ধারাবাহিকতা রক্ষার অর্থ হলো, আল্লাহ তাআলা আগের আমলগুলো কবুল করেছেন বলেই পরেও একই আমল করার সুযোগ হচ্ছে। হাদিসে এসেছে, আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.)কে জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘আল্লাহর কাছে কোন আমল সর্বাধিক প্রিয়?’ তিনি উত্তর দিলেন, ‘যে আমল সর্বদা করা হয়—চাই তা পরিমাণে কম হোক।’ (বুখারি)
রমজানের পর আমলের ধারাবাহিকতা কীভাবে রক্ষা করতে পারি আমরা? আলিমগণ এর বেশ কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন।
এখানে কয়েকটি তুলে ধরা হলো—
১. মহান আল্লাহর সাহায্য কামনা করা। আল্লাহ যেন রমজানের মতো পুরো বছর আমাদের আমলের ওপর রাখেন, সে জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তাঁর সাহায্য। পবিত্র কোরআনে তিনি আমাদের দোয়া করতে বলেছেন এভাবে, ‘হে আমাদের রব, আপনি আমাদের পথ প্রদর্শন করার পর আমাদের অন্তরকে বিপথগামী করবেন না। আর আপনার কাছ থেকে আমাদের প্রতি রহমত দান করুন। আপনিই একমাত্র দাতা। (আল ইমরান: ৩: ৮)
২. রমজানের পর নিয়মিত নফল রোজা আদায় করা। যেমন—শাওয়াল মাসের ছয় রোজা, ৯ জিলহজ আরাফাতের দিনের রোজা, ১০ মহররম আশুরার রোজা, সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজা, আইয়ামে বিজের রোজা ইত্যাদি।
৩. তাহাজ্জুদ নামাজ অব্যাহত রাখা। তাহাজ্জুদ আল্লাহর প্রিয় নফল নামাজ। এর গুরুত্ব অপরিসীম। তাহাজ্জুদের ফজিলত সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে কাছের আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, কে আছো দোয়া করবে এবং আমি তার দোয়া কবুল করব। কে আছো আমার কাছে (তার প্রয়োজন) চাইবে এবং আমি তাকে দান করব। কে আছো আমার কাছে ক্ষমা চাইবে এবং আমি তাকে ক্ষমা করব।’ (বুখারি) অন্য হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই জান্নাতে রয়েছে এমন কিছু প্রাসাদ, যার বাইরে থেকে ভেতরাংশ দেখা যাবে, ভেতর থেকে বাইরের অংশ দেখা যাবে। এগুলো আল্লাহ তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন, যারা মানুষকে খাবার খাওয়ায়, কোমল ভাষায় কথা বলে, ধারাবাহিকভাবে রোজা রাখে, সালামের প্রসার ঘটায় এবং রাতে সবাই যখন ঘুমিয়ে পড়ে, তখন তারা নামাজে দাঁড়িয়ে যায়।’ (মুসনাদে আহমাদ)
৪. কোরআন তিলাওয়াত এবং সে অনুযায়ী আমল করা। রমজান কোরআন নাজিলের মাস বলে অন্য মাসে তা তিলাওয়াত করা, অর্থ অনুধাবন করা ও আমল করা যাবে না, তা কিন্তু সঠিক নয়। বরং রমজানের পরও কোরআনের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক অব্যাহত রাখা উচিত। মহানবী (সা.) কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে উম্মতের ব্যাপারে অভিযোগ করবেন, ‘হে আমার রব, আমার উম্মত তো এই কোরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করেছে।’ (সুরা ফুরকান: ৩০) আল্লাহ যেন আমাদের সেদিনের অভিযুক্তদের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত না করেন।
৫. অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখা। রমজানে আমরা সদকাতুল ফিতর, জাকাত ও অন্যান্য দানের মাধ্যমে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছি। রমজানের পরও যেন আমরা সেই কাজ অব্যাহত রাখতে পারি, সে জন্য চেষ্টা করতে হবে। এক দীর্ঘ হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি খাবার চেয়েছিলাম, তুমি আমাকে খাদ্য দাওনি।’ মানুষ বলবে, ‘হে আমার রব, কীভাবে আপনাকে খাদ্য দেব, আপনি তো সৃষ্টিকুলের রব?’ আল্লাহ বলবেন, ‘তুমি কি জানতে না, আমার অমুক বান্দা খাবার চেয়েছিল? তুমি তো খাবার দাওনি। তুমি কি জানতে না, যদি তাকে খাবার দিতে, তাহলে তা (প্রতিদান) আমার কাছে পেতে?’ (মুসলিম)
৬. পছন্দের আমলগুলো অব্যাহত রাখা। আপনি যে আমলগুলো সহজে ও স্বাচ্ছন্দ্যে করতে পারেন, তা করতে থাকুন। সেই আমল যত ক্ষুদ্রই হোক না কেন। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘হে লোক সকল, কেবল সেই নেক কাজগুলো করতে থাকো, যা তুমি করতে পারো। কারণ তুমি বিরক্ত না হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ সওয়াব দিতে বিরক্ত হন না। আর আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম আমল হলো, যা ধারাবাহিক—যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।’ (বুখারি)
৭. আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করা। তাঁর পবিত্র নামসমূহ উচ্চারণ করে তাঁকে ডাকাকে জিকির বলা হয়। জিকির বড় ফজিলতপূর্ণ ইবাদত। বান্দা যখন আল্লাহকে ডাকে, তখন তিনি তাদের ডাকে সাড়া দেন এবং তাদের ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন: ৬০)
৮. গুনাহমুক্ত জীবনযাপনের চেষ্টা করা। রমজানে যেমন আমরা আল্লাহ তাআলার বিধিনিষেধ মেনে চলতাম, দিনের বেলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় আমরা খাওয়াদাওয়া থেকে বিরত থাকতাম, তেমনি আমাদের আয়-উপার্জন, খাদ্য, চলাফেরা, কাজকর্মেও সব বিধিনিষেধ মেনে চলব। হালাল গ্রহণ করব এবং হারাম বর্জন করব। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত স্থান।’ (মুসনাদে আহমাদ)

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সম
১৯ এপ্রিল ২০২৪
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সম
১৯ এপ্রিল ২০২৪
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সম
১৯ এপ্রিল ২০২৪
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি বলেছিলেন, ‘রব্বানি হও, রমজানি নয়।’ অর্থাৎ, কেবল পবিত্র রমজান মাসে আল্লাহর ইবাদত করবেন এবং বাকি ১১ মাস গুনাহের মধ্যে ডুবে থাকবেন, তা হতে পারে না। রমজান অবশ্যই ইবাদতের মৌসুম এবং এ মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে হবে। তবে এর অর্থ কখনোই অন্য সময়ে ইবাদত ছেড়ে দেওয়া নয়। কারণ বছরের অন্য সম
১৯ এপ্রিল ২০২৪
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে