মাওলানা ইশমাম আহমেদ
ইসলামে মিথ্যা বলা কঠিন গুনাহের কাজ। তা স্বাভাবিক অবস্থায় যেমন জায়েজ নেই, তেমনি রসিকতা বা ঠাট্টা-মশকরার সময়ও জায়েজ নেই। তবে সত্য কথা বলে রসিকতা করতে ইসলামের পক্ষ থেকে নিষেধ নেই।
হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি তো আমাদের সঙ্গে রসিকতা করেন।’ তিনি বললেন, ‘আমি সত্য ছাড়া ভিন্ন কিছু বলি না।’ (তিরমিজি: ১৯৯০)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি রসিকতা করি ঠিক, তবে সত্য ছাড়া কখনো মিথ্যা বলি না।’ (তাবরানি: ১২ / ৩৯১)
এক হাদিসে আবদুর রহমান ইবনে আবি লায়লা (রহ.) বলেন, সাহাবিরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে কোনো সফরে ছিলেন। তখন তাঁদের একজন ঘুমিয়ে পড়লে অন্য কেউ তাঁর তির নিয়ে নেন। পরে লোকটি ঘুম থেকে জাগলে ভয় পান। এ দৃশ্য দেখে সবাই হেসে ওঠেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমরা হাসলে কেন?’ তাঁরা বললেন, ‘কিছু হয়নি। তবে আমি তার তিরটি নিয়েছিলাম আর এতেই সে ঘাবড়ে গেছে।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘কোনো মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমকে ভয় দেখানো বৈধ নয়।’ (আবু দাউদ: ৫০০৪)
অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা অন্য কারও আসবাবপত্র ইচ্ছায় বা রসিকতা করে ব্যবহার করবে না। কেউ কারও কিছু ব্যবহার করে থাকলে, তার উচিত তাকে তা ফেরত দেওয়া।’ (আবু দাউদ: ৫০০৩, তিরমিজি: ২১৬০)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামে মিথ্যা বলা কঠিন গুনাহের কাজ। তা স্বাভাবিক অবস্থায় যেমন জায়েজ নেই, তেমনি রসিকতা বা ঠাট্টা-মশকরার সময়ও জায়েজ নেই। তবে সত্য কথা বলে রসিকতা করতে ইসলামের পক্ষ থেকে নিষেধ নেই।
হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, একবার সাহাবায়ে কেরাম বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আপনি তো আমাদের সঙ্গে রসিকতা করেন।’ তিনি বললেন, ‘আমি সত্য ছাড়া ভিন্ন কিছু বলি না।’ (তিরমিজি: ১৯৯০)
অন্য হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘আমি রসিকতা করি ঠিক, তবে সত্য ছাড়া কখনো মিথ্যা বলি না।’ (তাবরানি: ১২ / ৩৯১)
এক হাদিসে আবদুর রহমান ইবনে আবি লায়লা (রহ.) বলেন, সাহাবিরা রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে কোনো সফরে ছিলেন। তখন তাঁদের একজন ঘুমিয়ে পড়লে অন্য কেউ তাঁর তির নিয়ে নেন। পরে লোকটি ঘুম থেকে জাগলে ভয় পান। এ দৃশ্য দেখে সবাই হেসে ওঠেন। তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তোমরা হাসলে কেন?’ তাঁরা বললেন, ‘কিছু হয়নি। তবে আমি তার তিরটি নিয়েছিলাম আর এতেই সে ঘাবড়ে গেছে।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘কোনো মুসলিমের জন্য অন্য মুসলিমকে ভয় দেখানো বৈধ নয়।’ (আবু দাউদ: ৫০০৪)
অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা অন্য কারও আসবাবপত্র ইচ্ছায় বা রসিকতা করে ব্যবহার করবে না। কেউ কারও কিছু ব্যবহার করে থাকলে, তার উচিত তাকে তা ফেরত দেওয়া।’ (আবু দাউদ: ৫০০৩, তিরমিজি: ২১৬০)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
পবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
১৮ ঘণ্টা আগেজনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
২০ ঘণ্টা আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
২০ ঘণ্টা আগেজীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলামে ব্যবসা এক মর্যাদাপূর্ণ পেশা। তবে এই পেশার মর্যাদা নির্ভর করে সততা ও নিষ্ঠার ওপর। আজকের দুনিয়ায় যখন লাভ ও প্রতিযোগিতার মোহে সততাকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, তখন ইসলামে একজন সৎ ব্যবসায়ীর জন্য রয়েছে এক অনন্য সুসংবাদ। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন সূর্যের
২০ ঘণ্টা আগে