আবদুল আযীয কাসেমি
ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামাজ। নামাজের শ্রেষ্ঠ অংশ হলো সিজদা। এর মূল আরবি উচ্চারণ সাজদাহ। কিন্তু আমাদের সমাজে ‘সিজদা’ শব্দটিই অধিকতর প্রচলিত হয়ে পড়েছে। সিজদার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হতে পারে। সিজদা হলো বিনয় প্রকাশের সর্বোচ্চ রূপ। মহান রাজাধিরাজ আল্লাহ তাআলার সামনে সিজদার মাধ্যমে মূলত আমরা সর্বোচ্চ বিনয় প্রকাশের চেষ্টা করি। কোরআন-হাদিসে এর সর্বোচ্চ গুরুত্বের কথা আলোচিত হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা রুকু করো, সিজদা করো, তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত করো এবং কল্যাণকাজে জড়িত থাকো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা হজ: ৭৭) আরেক আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমরা চন্দ্র-সূর্যের সামনে মাথা নত কোরো না। সেই মহান সত্তার সম্মুখে সিজদায় লুটিয়ে পড়ো, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদত করে থাকো।’ (সুরা ফুসসিলাত: ৩৭)
হজরত সওবান (রা.) বলেন, আমি নবীজিকে বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেবে।’ নবীজি বললেন, ‘আল্লাহর জন্য বেশি বেশি সিজদা করবে। কেননা তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যে সিজদাই করবে, এর মাধ্যমে তিনি তোমার একটি মর্যাদা উঁচু করবেন এবং তোমার একটি পাপ মোচন করবেন।’ হজরত আবু দারদা (রা.) থেকেও একই রকমের বর্ণনা এসেছে। (মুসলিম)
রবিআ ইবনে কাআব (রা.) বলেন, আমি নবীজির সঙ্গে (মাঝে মাঝে) রাত যাপন করতাম। নবীজির জন্য অজুর পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বস্তু এনে দিতাম। একদিন নবীজি আমাকে বললেন, ‘তুমি আমার কাছে কিছু চাইলে চাইতে পারো।’ আমি বললাম, ‘আমি জান্নাতে আপনার সঙ্গে থাকতে চাই।’ নবীজি বললেন, ‘তাহলে বেশি বেশি সিজদা করার মাধ্যমে তুমি নিজেকে সহযোগিতা করো।’ (মুসলিম)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
ইসলামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো নামাজ। নামাজের শ্রেষ্ঠ অংশ হলো সিজদা। এর মূল আরবি উচ্চারণ সাজদাহ। কিন্তু আমাদের সমাজে ‘সিজদা’ শব্দটিই অধিকতর প্রচলিত হয়ে পড়েছে। সিজদার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহ তাআলার সবচেয়ে বেশি নিকটবর্তী হতে পারে। সিজদা হলো বিনয় প্রকাশের সর্বোচ্চ রূপ। মহান রাজাধিরাজ আল্লাহ তাআলার সামনে সিজদার মাধ্যমে মূলত আমরা সর্বোচ্চ বিনয় প্রকাশের চেষ্টা করি। কোরআন-হাদিসে এর সর্বোচ্চ গুরুত্বের কথা আলোচিত হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা রুকু করো, সিজদা করো, তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত করো এবং কল্যাণকাজে জড়িত থাকো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।’ (সুরা হজ: ৭৭) আরেক আয়াতে বলা হয়েছে, ‘তোমরা চন্দ্র-সূর্যের সামনে মাথা নত কোরো না। সেই মহান সত্তার সম্মুখে সিজদায় লুটিয়ে পড়ো, যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদত করে থাকো।’ (সুরা ফুসসিলাত: ৩৭)
হজরত সওবান (রা.) বলেন, আমি নবীজিকে বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন একটি আমলের কথা বলে দিন, যা আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে দেবে।’ নবীজি বললেন, ‘আল্লাহর জন্য বেশি বেশি সিজদা করবে। কেননা তুমি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যে সিজদাই করবে, এর মাধ্যমে তিনি তোমার একটি মর্যাদা উঁচু করবেন এবং তোমার একটি পাপ মোচন করবেন।’ হজরত আবু দারদা (রা.) থেকেও একই রকমের বর্ণনা এসেছে। (মুসলিম)
রবিআ ইবনে কাআব (রা.) বলেন, আমি নবীজির সঙ্গে (মাঝে মাঝে) রাত যাপন করতাম। নবীজির জন্য অজুর পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বস্তু এনে দিতাম। একদিন নবীজি আমাকে বললেন, ‘তুমি আমার কাছে কিছু চাইলে চাইতে পারো।’ আমি বললাম, ‘আমি জান্নাতে আপনার সঙ্গে থাকতে চাই।’ নবীজি বললেন, ‘তাহলে বেশি বেশি সিজদা করার মাধ্যমে তুমি নিজেকে সহযোগিতা করো।’ (মুসলিম)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
মানুষ হিসেবে আমাদের একটি স্বভাবজাত চাহিদা হলো, আমরা নিজেদের প্রশংসা শুনতে খুব পছন্দ করি। প্রশংসা মিথ্যা হলেও বলতে বারণ করি না, শুনতেই থাকি। বরং আরও বেশি কামনা করি। এর বিপরীতে নিন্দা বা সমালোচনা একদমই সহ্য করতে পারি না। চরম বাস্তব ও সত্য হলেও সমালোচককে থামিয়ে দিই। ক্ষমতা থাকলে নিন্দুককে দমিয়ে দিই...
১ ঘণ্টা আগেসুখী সংসার গঠনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হয়। বিশেষ করে স্বামীকে হতে হয় খুব সচেতন, দায়িত্ববান এবং চিন্তাশীল। ঘরে ফিরে স্ত্রীর সঙ্গে তাকে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করা সচেতন পুরুষের পরিচয়। এটি নবী করিম (সা.)-এর সুন্নত। এতে অত্যন্ত সওয়াবও পাওয়া যায়।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্বাসভঙ্গের এক নির্মম রূপ বিশ্বাসঘাতকতা বা গাদ্দারি। এটি বিশ্বাসের বন্ধন ছিন্ন করে দেয়। বিশ্বাস মানুষের মনে-প্রাণে আস্থার দেয়াল গড়ে তোলে। আর বিশ্বাসঘাতকতা সেই দেয়ালে আঘাত করে ভেঙে ফেলে সবকিছু।
১০ ঘণ্টা আগেসময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
২১ ঘণ্টা আগে