Ajker Patrika

জান্নাতের নেয়ামত অপেক্ষা করছে যাদের জন্য

শাব্বির আহমদ
মসজিদে নববীর। ছবি: সংগৃহীত
মসজিদে নববীর। ছবি: সংগৃহীত

জান্নাত কেবল এক কল্পনার জগৎ নয়, বরং পরকালীন জীবনে আল্লাহ তাআলার প্রতিশ্রুত এক বাস্তব পুরস্কার—যা তিনি প্রস্তুত রেখেছেন তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য।

এই জান্নাত কোনো সাধারণ বসতবাড়ি নয়, এটি এমন এক শান্তিময় আবাস—যেখানে নেই দুঃখ-কষ্ট, হিংসা কিংবা মৃত্যু। তবে এই জান্নাতের অধিকারী হবেন কারা? কোরআন ও হাদিসে রয়েছে তার স্পষ্ট বর্ণনা।

আল্লাহ তাআলা কোরআনে বলেন, ‘নিশ্চয়ই যারা ইমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে, আমি তাদের প্রবেশ করাব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। এটি আল্লাহর একটি প্রতিশ্রুতি, আর আল্লাহর চেয়ে অধিক সত্যবাদী আর কে হতে পারে?’ (সুরা নিসা: ১২২)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ না সে ইমান আনে। এবং তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তোমরা একে অপরকে ভালোবাস।’ (সহিহ্ মুসলিম: ৯৩)

এ থেকেই স্পষ্ট, জান্নাতে প্রবেশের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে সঠিক ইমান, নেক আমল ও আল্লাহভীতি। সেই সঙ্গে রয়েছে কিছু বিশেষ গুণাবলি ও আচরণ, যা জান্নাতের উচ্চ মর্যাদার কারণ হতে পারে। যেমন—

  • ১. গোপনে ও বিশুদ্ধ নিয়তে দান করা
  • ২. তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা
  • ৩. আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করা
  • ৪. মানুষের উপকারে আসা ও বিনয়ী আচরণ করা
  • ৫. হারাম থেকে নিজেকে রক্ষা করা
  • ৬. অন্তরে অহংকার না রাখা
  • ৭. আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দ্বীনের পথে চলা।

জান্নাতের সর্বোচ্চ নেয়ামত হবে আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ—যা জান্নাতবাসীদের জন্য সবচেয়ে বড় সম্মান।

অতএব, জান্নাতের বাসিন্দা হতে হলে আমাদের চাই শুদ্ধ ইমান, কল্যাণময় জীবন, এবং আল্লাহর আনুগত্য। দুনিয়ায় আমরা যে জীবনযাপন করছি, সেটাই ঠিক করে দিচ্ছে পরকালের অবস্থান। জান্নাত কোনো অলীক স্বপ্ন নয়—বরং সৎ, মুত্তাকি ও আল্লাহপ্রেমিক বান্দাদের জন্য চিরন্তন শান্তির ঘর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত