সাইফুদ্দীন বিন মোজাফফর

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন স্বভাবতই দর্শনার্থীদের এই অঞ্চলের তৎকালীন মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, আগ্রহ ও জীবনাচরণ বুঝতে সহায়তা করে। পাঠককে আমের রাজধানীখ্যাত এই জেলাকে ভিন্ন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দিতে আলোচ্য নিবন্ধে ওই অঞ্চলে এখনো অবশিষ্ট ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শনাবলির বিবরণ তুলে ধরা হলো।
ছোট সোনামসজিদ
বড় সোনামসজিদ ভারতের গৌড়ে আর ছোট সোনামসজিদ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা যায়, মসজিদটি সুলতান আলাউদ্দীন শাহের রাজত্বকালে (১৪৯৪-১৫১৯) অলি মুহাম্মদ বিন আলী কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। পুরো মসজিদটি অলংকরণে যে টেরাকোটা ও টাইলসগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে সুলতানি আমলের নির্মাণশৈলীর পরিচয় ফুটে ওঠে। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৮২ ফুট ও প্রস্থ ৫২.৫ ফুট। মসজিদটিতে ১৫টি গম্বুজ রয়েছে, যা সুলতানি আমলে নির্মিত স্থাপত্যের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। এটি ভারতে অবস্থিত সোনামসজিদের চেয়ে আকারে ছোট এবং মসজিদের বাইরে অথবা শুধু গম্বুজগুলোতে একসময় সোনালি আস্তরণ ছিল; আর সে কারণেই স্থানীয় লোকজন কর্তৃক মসজিদটি ছোট সোনামসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের সমাধি এই মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।

দারাসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা
১৯৭০-এর দশকে কোনো এক কৃষকের লাঙলের নিচে প্রাচীন ইটের দেখা মেলে। তৈরি হয় রহস্য। রহস্যময় সেখান থেকে পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আবিষ্কৃত হয় এক প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়—দারাসবাড়ি মাদ্রাসার ধ্বংসাবশেষ। ‘দারাস’ আরবি শব্দ, যার অর্থ ‘পাঠ’। বাংলায় সুলতানি আমলে বর্তমান শিবগঞ্জের শাহবাজপুর ইউনিয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। দারাসবাড়ি মাদ্রাসাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় মনে করা হয়। মাদ্রাসাটির সুনাম তৎকালীন পুরো ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পাঠ নিতে আসতেন।
মাদ্রাসার পশ্চিমে রয়েছে এক বিশাল দিঘি। আর দিঘির পশ্চিম পাড়ে রয়েছে আরেক প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন, যা দারাসবাড়ি মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। মসজিদটির ছাদ এখন ভেঙে পড়ে আছে। সুলতানি আমলের এই মসজিদে মুসলিম মহিলাদের জন্যও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা ছিল।

খঞ্জন দিঘির মসজিদ
প্রাচীন খনিয়া দিঘির পূর্ব পাশের তীর ঘেঁষে অবস্থিত পনেরো শতকের এই মসজিদটি দীর্ঘকাল জঙ্গলের ভেতর চাপা পড়ে ছিল। পরে জঙ্গল কমে গেলে মসজিদের ধ্বংসাবশেষ মানুষের চোখে পড়ে। একটি বড় গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি ‘রাজ বিবির মসজিদ’ নামেও পরিচিত। বর্তমানে মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। এখানে এখন স্থানীয় মুসল্লিগণ নিয়মিত নামাজ আদায় করেন।

তহখানা কমপ্লেক্স, তিন গম্বুজ মসজিদ ও শাহ নিয়ামতউল্লাহর মাজার
‘তহ’ ও ‘খানা’ ফারসি শব্দ। ‘তহ’ অর্থ ঠান্ডা। আর ‘খানা’ অর্থ ঘর। ‘তহখানা’ অর্থ ঠান্ডাঘর। মোগল সম্রাট শাহ সুজা (১৬১৬-৬১) তাঁর মুর্শিদ শাহ নিয়ামতউল্লাহকে ধর্ম প্রচারের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে স্থায়ী আস্তানা হিসেবে একটি ভবন নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। ভবনটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল—গ্রীষ্মকালেও ভবনের ভেতরে মোটামুটি শীতল থাকত। সেখানে থেকে তিনি দীর্ঘকাল ধর্ম প্রচার করেছেন। মুরিদদের জন্য সেখানে খাবারদাবার রান্না করা হতো। এখনো সেখানে বড় বড় উনুনের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। সম্রাট শাহ সুজা মাঝে মাঝে তাঁর মুর্শিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে তহখানায় থেকে যেতেন। শাহ নিয়ামতউল্লাহর অনেক কেরামতির জনশ্রুতি আজও লোকমুখে শোনা যায়।
শাহ নিয়ামতউল্লাহ ১০৮০ হিজরি সনে মৃত্যুবরণ করলে ঐতিহ্যবাহী তহখানা কমপ্লেক্স আঙিনায় তিন গম্বুজ মসজিদের উত্তর পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

ধনিয়াচক মসজিদ
বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যকীর্তির আরেক চমৎকার নিদর্শন ধনিয়াচক মসজিদ। মসজিদটি সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদের সামনে তিনটি, উত্তর ও দক্ষিণে দুটি করে আরও চারটি প্রবেশ পথ রয়েছে। মসজিদের স্থাপত্যশৈলী ও অসাধারণ টেরাকোটা চোখে পড়ার মতো।
এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁপাই জামে মসজিদ, হজরত বুলন শাহ মাজার, মহারাজপুর জামে মসজিদ, মাঝপাড়া জামে মসজিদসহ আরও অনেক স্থাপত্য নিদর্শন মুসলিম ঐতিহ্য বহন করে। এসব স্থাপত্য নিদর্শন থেকে আমরা বুঝতে পারি, ঐতিহাসিক কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সুলতানি আমল থেকে ইসলামি শিক্ষা-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ছিল।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন স্বভাবতই দর্শনার্থীদের এই অঞ্চলের তৎকালীন মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, আগ্রহ ও জীবনাচরণ বুঝতে সহায়তা করে। পাঠককে আমের রাজধানীখ্যাত এই জেলাকে ভিন্ন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দিতে আলোচ্য নিবন্ধে ওই অঞ্চলে এখনো অবশিষ্ট ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শনাবলির বিবরণ তুলে ধরা হলো।
ছোট সোনামসজিদ
বড় সোনামসজিদ ভারতের গৌড়ে আর ছোট সোনামসজিদ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা যায়, মসজিদটি সুলতান আলাউদ্দীন শাহের রাজত্বকালে (১৪৯৪-১৫১৯) অলি মুহাম্মদ বিন আলী কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। পুরো মসজিদটি অলংকরণে যে টেরাকোটা ও টাইলসগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে সুলতানি আমলের নির্মাণশৈলীর পরিচয় ফুটে ওঠে। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৮২ ফুট ও প্রস্থ ৫২.৫ ফুট। মসজিদটিতে ১৫টি গম্বুজ রয়েছে, যা সুলতানি আমলে নির্মিত স্থাপত্যের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। এটি ভারতে অবস্থিত সোনামসজিদের চেয়ে আকারে ছোট এবং মসজিদের বাইরে অথবা শুধু গম্বুজগুলোতে একসময় সোনালি আস্তরণ ছিল; আর সে কারণেই স্থানীয় লোকজন কর্তৃক মসজিদটি ছোট সোনামসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের সমাধি এই মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।

দারাসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা
১৯৭০-এর দশকে কোনো এক কৃষকের লাঙলের নিচে প্রাচীন ইটের দেখা মেলে। তৈরি হয় রহস্য। রহস্যময় সেখান থেকে পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আবিষ্কৃত হয় এক প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়—দারাসবাড়ি মাদ্রাসার ধ্বংসাবশেষ। ‘দারাস’ আরবি শব্দ, যার অর্থ ‘পাঠ’। বাংলায় সুলতানি আমলে বর্তমান শিবগঞ্জের শাহবাজপুর ইউনিয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। দারাসবাড়ি মাদ্রাসাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় মনে করা হয়। মাদ্রাসাটির সুনাম তৎকালীন পুরো ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পাঠ নিতে আসতেন।
মাদ্রাসার পশ্চিমে রয়েছে এক বিশাল দিঘি। আর দিঘির পশ্চিম পাড়ে রয়েছে আরেক প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন, যা দারাসবাড়ি মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। মসজিদটির ছাদ এখন ভেঙে পড়ে আছে। সুলতানি আমলের এই মসজিদে মুসলিম মহিলাদের জন্যও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা ছিল।

খঞ্জন দিঘির মসজিদ
প্রাচীন খনিয়া দিঘির পূর্ব পাশের তীর ঘেঁষে অবস্থিত পনেরো শতকের এই মসজিদটি দীর্ঘকাল জঙ্গলের ভেতর চাপা পড়ে ছিল। পরে জঙ্গল কমে গেলে মসজিদের ধ্বংসাবশেষ মানুষের চোখে পড়ে। একটি বড় গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি ‘রাজ বিবির মসজিদ’ নামেও পরিচিত। বর্তমানে মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। এখানে এখন স্থানীয় মুসল্লিগণ নিয়মিত নামাজ আদায় করেন।

তহখানা কমপ্লেক্স, তিন গম্বুজ মসজিদ ও শাহ নিয়ামতউল্লাহর মাজার
‘তহ’ ও ‘খানা’ ফারসি শব্দ। ‘তহ’ অর্থ ঠান্ডা। আর ‘খানা’ অর্থ ঘর। ‘তহখানা’ অর্থ ঠান্ডাঘর। মোগল সম্রাট শাহ সুজা (১৬১৬-৬১) তাঁর মুর্শিদ শাহ নিয়ামতউল্লাহকে ধর্ম প্রচারের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে স্থায়ী আস্তানা হিসেবে একটি ভবন নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। ভবনটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল—গ্রীষ্মকালেও ভবনের ভেতরে মোটামুটি শীতল থাকত। সেখানে থেকে তিনি দীর্ঘকাল ধর্ম প্রচার করেছেন। মুরিদদের জন্য সেখানে খাবারদাবার রান্না করা হতো। এখনো সেখানে বড় বড় উনুনের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। সম্রাট শাহ সুজা মাঝে মাঝে তাঁর মুর্শিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে তহখানায় থেকে যেতেন। শাহ নিয়ামতউল্লাহর অনেক কেরামতির জনশ্রুতি আজও লোকমুখে শোনা যায়।
শাহ নিয়ামতউল্লাহ ১০৮০ হিজরি সনে মৃত্যুবরণ করলে ঐতিহ্যবাহী তহখানা কমপ্লেক্স আঙিনায় তিন গম্বুজ মসজিদের উত্তর পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

ধনিয়াচক মসজিদ
বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যকীর্তির আরেক চমৎকার নিদর্শন ধনিয়াচক মসজিদ। মসজিদটি সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদের সামনে তিনটি, উত্তর ও দক্ষিণে দুটি করে আরও চারটি প্রবেশ পথ রয়েছে। মসজিদের স্থাপত্যশৈলী ও অসাধারণ টেরাকোটা চোখে পড়ার মতো।
এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁপাই জামে মসজিদ, হজরত বুলন শাহ মাজার, মহারাজপুর জামে মসজিদ, মাঝপাড়া জামে মসজিদসহ আরও অনেক স্থাপত্য নিদর্শন মুসলিম ঐতিহ্য বহন করে। এসব স্থাপত্য নিদর্শন থেকে আমরা বুঝতে পারি, ঐতিহাসিক কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সুলতানি আমল থেকে ইসলামি শিক্ষা-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ছিল।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সাইফুদ্দীন বিন মোজাফফর

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন স্বভাবতই দর্শনার্থীদের এই অঞ্চলের তৎকালীন মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, আগ্রহ ও জীবনাচরণ বুঝতে সহায়তা করে। পাঠককে আমের রাজধানীখ্যাত এই জেলাকে ভিন্ন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দিতে আলোচ্য নিবন্ধে ওই অঞ্চলে এখনো অবশিষ্ট ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শনাবলির বিবরণ তুলে ধরা হলো।
ছোট সোনামসজিদ
বড় সোনামসজিদ ভারতের গৌড়ে আর ছোট সোনামসজিদ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা যায়, মসজিদটি সুলতান আলাউদ্দীন শাহের রাজত্বকালে (১৪৯৪-১৫১৯) অলি মুহাম্মদ বিন আলী কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। পুরো মসজিদটি অলংকরণে যে টেরাকোটা ও টাইলসগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে সুলতানি আমলের নির্মাণশৈলীর পরিচয় ফুটে ওঠে। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৮২ ফুট ও প্রস্থ ৫২.৫ ফুট। মসজিদটিতে ১৫টি গম্বুজ রয়েছে, যা সুলতানি আমলে নির্মিত স্থাপত্যের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। এটি ভারতে অবস্থিত সোনামসজিদের চেয়ে আকারে ছোট এবং মসজিদের বাইরে অথবা শুধু গম্বুজগুলোতে একসময় সোনালি আস্তরণ ছিল; আর সে কারণেই স্থানীয় লোকজন কর্তৃক মসজিদটি ছোট সোনামসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের সমাধি এই মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।

দারাসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা
১৯৭০-এর দশকে কোনো এক কৃষকের লাঙলের নিচে প্রাচীন ইটের দেখা মেলে। তৈরি হয় রহস্য। রহস্যময় সেখান থেকে পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আবিষ্কৃত হয় এক প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়—দারাসবাড়ি মাদ্রাসার ধ্বংসাবশেষ। ‘দারাস’ আরবি শব্দ, যার অর্থ ‘পাঠ’। বাংলায় সুলতানি আমলে বর্তমান শিবগঞ্জের শাহবাজপুর ইউনিয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। দারাসবাড়ি মাদ্রাসাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় মনে করা হয়। মাদ্রাসাটির সুনাম তৎকালীন পুরো ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পাঠ নিতে আসতেন।
মাদ্রাসার পশ্চিমে রয়েছে এক বিশাল দিঘি। আর দিঘির পশ্চিম পাড়ে রয়েছে আরেক প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন, যা দারাসবাড়ি মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। মসজিদটির ছাদ এখন ভেঙে পড়ে আছে। সুলতানি আমলের এই মসজিদে মুসলিম মহিলাদের জন্যও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা ছিল।

খঞ্জন দিঘির মসজিদ
প্রাচীন খনিয়া দিঘির পূর্ব পাশের তীর ঘেঁষে অবস্থিত পনেরো শতকের এই মসজিদটি দীর্ঘকাল জঙ্গলের ভেতর চাপা পড়ে ছিল। পরে জঙ্গল কমে গেলে মসজিদের ধ্বংসাবশেষ মানুষের চোখে পড়ে। একটি বড় গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি ‘রাজ বিবির মসজিদ’ নামেও পরিচিত। বর্তমানে মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। এখানে এখন স্থানীয় মুসল্লিগণ নিয়মিত নামাজ আদায় করেন।

তহখানা কমপ্লেক্স, তিন গম্বুজ মসজিদ ও শাহ নিয়ামতউল্লাহর মাজার
‘তহ’ ও ‘খানা’ ফারসি শব্দ। ‘তহ’ অর্থ ঠান্ডা। আর ‘খানা’ অর্থ ঘর। ‘তহখানা’ অর্থ ঠান্ডাঘর। মোগল সম্রাট শাহ সুজা (১৬১৬-৬১) তাঁর মুর্শিদ শাহ নিয়ামতউল্লাহকে ধর্ম প্রচারের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে স্থায়ী আস্তানা হিসেবে একটি ভবন নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। ভবনটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল—গ্রীষ্মকালেও ভবনের ভেতরে মোটামুটি শীতল থাকত। সেখানে থেকে তিনি দীর্ঘকাল ধর্ম প্রচার করেছেন। মুরিদদের জন্য সেখানে খাবারদাবার রান্না করা হতো। এখনো সেখানে বড় বড় উনুনের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। সম্রাট শাহ সুজা মাঝে মাঝে তাঁর মুর্শিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে তহখানায় থেকে যেতেন। শাহ নিয়ামতউল্লাহর অনেক কেরামতির জনশ্রুতি আজও লোকমুখে শোনা যায়।
শাহ নিয়ামতউল্লাহ ১০৮০ হিজরি সনে মৃত্যুবরণ করলে ঐতিহ্যবাহী তহখানা কমপ্লেক্স আঙিনায় তিন গম্বুজ মসজিদের উত্তর পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

ধনিয়াচক মসজিদ
বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যকীর্তির আরেক চমৎকার নিদর্শন ধনিয়াচক মসজিদ। মসজিদটি সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদের সামনে তিনটি, উত্তর ও দক্ষিণে দুটি করে আরও চারটি প্রবেশ পথ রয়েছে। মসজিদের স্থাপত্যশৈলী ও অসাধারণ টেরাকোটা চোখে পড়ার মতো।
এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁপাই জামে মসজিদ, হজরত বুলন শাহ মাজার, মহারাজপুর জামে মসজিদ, মাঝপাড়া জামে মসজিদসহ আরও অনেক স্থাপত্য নিদর্শন মুসলিম ঐতিহ্য বহন করে। এসব স্থাপত্য নিদর্শন থেকে আমরা বুঝতে পারি, ঐতিহাসিক কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সুলতানি আমল থেকে ইসলামি শিক্ষা-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ছিল।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়। বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জের ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন স্বভাবতই দর্শনার্থীদের এই অঞ্চলের তৎকালীন মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি, আগ্রহ ও জীবনাচরণ বুঝতে সহায়তা করে। পাঠককে আমের রাজধানীখ্যাত এই জেলাকে ভিন্ন আঙ্গিকে পরিচয় করিয়ে দিতে আলোচ্য নিবন্ধে ওই অঞ্চলে এখনো অবশিষ্ট ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শনাবলির বিবরণ তুলে ধরা হলো।
ছোট সোনামসজিদ
বড় সোনামসজিদ ভারতের গৌড়ে আর ছোট সোনামসজিদ বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রাপ্ত শিলালিপি থেকে জানা যায়, মসজিদটি সুলতান আলাউদ্দীন শাহের রাজত্বকালে (১৪৯৪-১৫১৯) অলি মুহাম্মদ বিন আলী কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। পুরো মসজিদটি অলংকরণে যে টেরাকোটা ও টাইলসগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তাতে সুলতানি আমলের নির্মাণশৈলীর পরিচয় ফুটে ওঠে। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ৮২ ফুট ও প্রস্থ ৫২.৫ ফুট। মসজিদটিতে ১৫টি গম্বুজ রয়েছে, যা সুলতানি আমলে নির্মিত স্থাপত্যের এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। এটি ভারতে অবস্থিত সোনামসজিদের চেয়ে আকারে ছোট এবং মসজিদের বাইরে অথবা শুধু গম্বুজগুলোতে একসময় সোনালি আস্তরণ ছিল; আর সে কারণেই স্থানীয় লোকজন কর্তৃক মসজিদটি ছোট সোনামসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের সমাধি এই মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত।

দারাসবাড়ি মসজিদ ও মাদ্রাসা
১৯৭০-এর দশকে কোনো এক কৃষকের লাঙলের নিচে প্রাচীন ইটের দেখা মেলে। তৈরি হয় রহস্য। রহস্যময় সেখান থেকে পরে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় আবিষ্কৃত হয় এক প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়—দারাসবাড়ি মাদ্রাসার ধ্বংসাবশেষ। ‘দারাস’ আরবি শব্দ, যার অর্থ ‘পাঠ’। বাংলায় সুলতানি আমলে বর্তমান শিবগঞ্জের শাহবাজপুর ইউনিয়নে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছিল। দারাসবাড়ি মাদ্রাসাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় মনে করা হয়। মাদ্রাসাটির সুনাম তৎকালীন পুরো ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে পাঠ নিতে আসতেন।
মাদ্রাসার পশ্চিমে রয়েছে এক বিশাল দিঘি। আর দিঘির পশ্চিম পাড়ে রয়েছে আরেক প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন, যা দারাসবাড়ি মসজিদ নামে পরিচিতি লাভ করে। মসজিদটির ছাদ এখন ভেঙে পড়ে আছে। সুলতানি আমলের এই মসজিদে মুসলিম মহিলাদের জন্যও নামাজ আদায়ের সুব্যবস্থা ছিল।

খঞ্জন দিঘির মসজিদ
প্রাচীন খনিয়া দিঘির পূর্ব পাশের তীর ঘেঁষে অবস্থিত পনেরো শতকের এই মসজিদটি দীর্ঘকাল জঙ্গলের ভেতর চাপা পড়ে ছিল। পরে জঙ্গল কমে গেলে মসজিদের ধ্বংসাবশেষ মানুষের চোখে পড়ে। একটি বড় গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি ‘রাজ বিবির মসজিদ’ নামেও পরিচিত। বর্তমানে মসজিদটি সংস্কার করা হয়েছে। এখানে এখন স্থানীয় মুসল্লিগণ নিয়মিত নামাজ আদায় করেন।

তহখানা কমপ্লেক্স, তিন গম্বুজ মসজিদ ও শাহ নিয়ামতউল্লাহর মাজার
‘তহ’ ও ‘খানা’ ফারসি শব্দ। ‘তহ’ অর্থ ঠান্ডা। আর ‘খানা’ অর্থ ঘর। ‘তহখানা’ অর্থ ঠান্ডাঘর। মোগল সম্রাট শাহ সুজা (১৬১৬-৬১) তাঁর মুর্শিদ শাহ নিয়ামতউল্লাহকে ধর্ম প্রচারের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে স্থায়ী আস্তানা হিসেবে একটি ভবন নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। ভবনটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল—গ্রীষ্মকালেও ভবনের ভেতরে মোটামুটি শীতল থাকত। সেখানে থেকে তিনি দীর্ঘকাল ধর্ম প্রচার করেছেন। মুরিদদের জন্য সেখানে খাবারদাবার রান্না করা হতো। এখনো সেখানে বড় বড় উনুনের ধ্বংসাবশেষ দেখা যায়। সম্রাট শাহ সুজা মাঝে মাঝে তাঁর মুর্শিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসে তহখানায় থেকে যেতেন। শাহ নিয়ামতউল্লাহর অনেক কেরামতির জনশ্রুতি আজও লোকমুখে শোনা যায়।
শাহ নিয়ামতউল্লাহ ১০৮০ হিজরি সনে মৃত্যুবরণ করলে ঐতিহ্যবাহী তহখানা কমপ্লেক্স আঙিনায় তিন গম্বুজ মসজিদের উত্তর পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।

ধনিয়াচক মসজিদ
বাংলায় মুসলিম স্থাপত্যকীর্তির আরেক চমৎকার নিদর্শন ধনিয়াচক মসজিদ। মসজিদটি সোনামসজিদ স্থলবন্দর থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তিন গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদের সামনে তিনটি, উত্তর ও দক্ষিণে দুটি করে আরও চারটি প্রবেশ পথ রয়েছে। মসজিদের স্থাপত্যশৈলী ও অসাধারণ টেরাকোটা চোখে পড়ার মতো।
এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের চাঁপাই জামে মসজিদ, হজরত বুলন শাহ মাজার, মহারাজপুর জামে মসজিদ, মাঝপাড়া জামে মসজিদসহ আরও অনেক স্থাপত্য নিদর্শন মুসলিম ঐতিহ্য বহন করে। এসব স্থাপত্য নিদর্শন থেকে আমরা বুঝতে পারি, ঐতিহাসিক কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সুলতানি আমল থেকে ইসলামি শিক্ষা-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ ছিল।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়।
১৩ জুন ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়।
১৩ জুন ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়।
১৩ জুন ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

ইতিহাসের অন্যতম নির্ভরযোগ্য উপাদান হলো স্থাপত্য নিদর্শন। স্থাপত্য নিদর্শন তার নির্মাণকালের ইতিহাসকে চলমান যুগের বিশ্ববাসীর সমীপে অবিকল তুলে ধরে। এই ঐতিহাসিক সাক্ষ্য মানবমনে নানাভাবে অনুভূত হয়।
১৩ জুন ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে