মুফতি আইয়ুব নাদীম
আল্লাহর দরবারে বান্দার আমল কবুল হওয়ার প্রধানতম শর্ত হচ্ছে ইখলাস বা নিষ্ঠা। আমল হবে কেবল আল্লাহর জন্য, আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে; মানুষের প্রশংসা বা পার্থিব সুবিধার চিন্তা এতে থাকবে না। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তাদের কেবল একনিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ (সুরা বাইয়িনা: ৫) আমলে যখন ইখলাস থাকে, তখন সেই আমলে নানাবিধ উপকার লাভ হয়। নিচে চারটি উপকারের কথা তুলে ধরা হলো—
এক. অল্প আমলই যথেষ্ট: ইখলাসের সঙ্গে অল্প আমল অনেক ফায়দা দেয়। এ ব্যাপারে হাদিস বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত করো, অল্প আমলই (নাজাতের জন্য) যথেষ্ট হবে।’ (শুআবুল ইমান: ৬৪৪৩)
দুই. সওয়াব বেশি: ইখলাসপূর্ণ আমলে সওয়াব বেশি হয়। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আমার সাহাবিগণকে গালমন্দ কোরো না, তোমাদের কেউ যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ (নিষ্ঠা ছাড়া) আল্লাহর রাস্তায় দান করে, তবু এক মুদ (৬০০ গ্রাম) বা অর্ধ মুদ সমপরিমাণ সওয়াব হবে না।’ (বুখারি: ৩৬৭৩)
তিন. আল্লাহর ভালোবাসা: মুখলিস বান্দাকে আল্লাহ নিজে সাহায্য করেন, তার যাবতীয় সমস্যার সমাধান আল্লাহ করে থাকেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের রক্ষা করেন, যারা ইমান এনেছে। জেনে রেখো, আল্লাহ কোনো বিশ্বাসঘাতক-অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা হজ: ৩৮)
চার. গুনাহ থেকে রক্ষা: আল্লাহ তাআলা তাঁর মুখলেস বান্দাকে ইখলাসের কারণে যাবতীয় ফেতনা ও গুনাহ থেকে হেফাজত করেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘স্ত্রীলোকটি তো স্পষ্টভাবেই ইউসুফের সঙ্গে (অসৎ কর্ম) কামনা করেছিল, আর ইউসুফের মনেও স্ত্রীলোকটির প্রতি ইচ্ছা জাগ্রত হয়েই যাচ্ছিল, যদি না সে নিজ প্রতিপালকের প্রমাণ দেখতে পেত। আমি তার থেকে অসৎ কর্ম ও অশ্লীলতাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এরূপ করেছিলাম। নিশ্চয়ই সে আমার মুখলিস বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা ইউসুফ: ২৪
আল্লাহর দরবারে বান্দার আমল কবুল হওয়ার প্রধানতম শর্ত হচ্ছে ইখলাস বা নিষ্ঠা। আমল হবে কেবল আল্লাহর জন্য, আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে; মানুষের প্রশংসা বা পার্থিব সুবিধার চিন্তা এতে থাকবে না। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘তাদের কেবল একনিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ (সুরা বাইয়িনা: ৫) আমলে যখন ইখলাস থাকে, তখন সেই আমলে নানাবিধ উপকার লাভ হয়। নিচে চারটি উপকারের কথা তুলে ধরা হলো—
এক. অল্প আমলই যথেষ্ট: ইখলাসের সঙ্গে অল্প আমল অনেক ফায়দা দেয়। এ ব্যাপারে হাদিস বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত করো, অল্প আমলই (নাজাতের জন্য) যথেষ্ট হবে।’ (শুআবুল ইমান: ৬৪৪৩)
দুই. সওয়াব বেশি: ইখলাসপূর্ণ আমলে সওয়াব বেশি হয়। হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা আমার সাহাবিগণকে গালমন্দ কোরো না, তোমাদের কেউ যদি উহুদ পাহাড় পরিমাণ স্বর্ণ (নিষ্ঠা ছাড়া) আল্লাহর রাস্তায় দান করে, তবু এক মুদ (৬০০ গ্রাম) বা অর্ধ মুদ সমপরিমাণ সওয়াব হবে না।’ (বুখারি: ৩৬৭৩)
তিন. আল্লাহর ভালোবাসা: মুখলিস বান্দাকে আল্লাহ নিজে সাহায্য করেন, তার যাবতীয় সমস্যার সমাধান আল্লাহ করে থাকেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের রক্ষা করেন, যারা ইমান এনেছে। জেনে রেখো, আল্লাহ কোনো বিশ্বাসঘাতক-অকৃতজ্ঞকে পছন্দ করেন না।’ (সুরা হজ: ৩৮)
চার. গুনাহ থেকে রক্ষা: আল্লাহ তাআলা তাঁর মুখলেস বান্দাকে ইখলাসের কারণে যাবতীয় ফেতনা ও গুনাহ থেকে হেফাজত করেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘স্ত্রীলোকটি তো স্পষ্টভাবেই ইউসুফের সঙ্গে (অসৎ কর্ম) কামনা করেছিল, আর ইউসুফের মনেও স্ত্রীলোকটির প্রতি ইচ্ছা জাগ্রত হয়েই যাচ্ছিল, যদি না সে নিজ প্রতিপালকের প্রমাণ দেখতে পেত। আমি তার থেকে অসৎ কর্ম ও অশ্লীলতাকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই এরূপ করেছিলাম। নিশ্চয়ই সে আমার মুখলিস বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা ইউসুফ: ২৪
সময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
১ ঘণ্টা আগেঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
৭ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
৮ ঘণ্টা আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
১৩ ঘণ্টা আগে