রায়হান রাশেদ

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অবস্থান, ইসলামি আকিদা-বিশ্বাসসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
দীন প্রচারে হাবিব নাজ্জারের আত্মত্যাগ
সুরা ইয়াসিনের ১৯ থেকে ২৭ নম্বর আয়াতে আন্তাকিয়াবাসীর কাছে তিনজন রাসুলের আগমন ও ধর্মপ্রচারক হাবিব নাজ্জারের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। ইসা (আ.) তখনো পৃথিবীতে আসেননি। তৎকালীন আন্তাকিয়া (বর্তমান তুরস্কে অবস্থিত) ছিল সেই যুগে সমৃদ্ধি ও স্থাপত্যে প্রসিদ্ধ এক নগরী। সেখানের অধিবাসীরা ছিল মূর্তিপূজা ও অন্যায়-অনাচারে লিপ্ত। আল্লাহ তাআলা তাদের হেদায়াতের জন্য তিনজন নবী পাঠিয়েছেন। তাফসিরবিদেরা বলেন, আন্তাকিয়া অঞ্চলে পাঠানো তিনজন রাসুল হলেন শামউন, ইউহান্না ও বাবুলস।
ওই শহরে বসবাস করতেন হাবিব ইবনে ইসমাইল নামে এক ব্যক্তি। ইতিহাস তাকে হাবিব নাজ্জার নামে চেনে। তিনি ছিলেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। তাঁর ছিল কুষ্ঠরোগ। এই রোগের বহু চিকিৎসা করে, দেব-দেবীর কাছে প্রার্থনা করে কোনো লাভ হয়নি তাঁর। খুব হতাশায় ভুগছিলেন হাবিব নাজ্জার। একদিন রাসুলদের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তাঁরা তাঁকে একত্ববাদের দাওয়াত দেন। তিনি বললেন, ‘এতে আমার লাভ কী?’ তাঁরা বললেন, ‘তোমার রোগমুক্তির জন্য আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব।’ তিনি ইমান আনেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তিনি নির্জনে নগরীর এক প্রান্তে আল্লাহর ইবাদত করতে থাকেন।
রাসুলগণ আন্তাকিয়বাসীকে দীনের দাওয়াত দিতে থাকেন। তারা দাওয়াত গ্রহণ করেনি; বরং তাঁদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে থাকল। তাঁরা দাওয়াত অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে কাফেররা রাসুলদের হত্যার নীলনকশা প্রস্তুত করে। এ খবর পেয়ে হাবিব নাজ্জার শহরে এসে তাদের সতর্ক করতে থাকেন। বোঝাতে লাগলেন। কাজ হয়নি। কাফেররা তাঁর ওপর উদ্যত হলো। তাঁকে হত্যা করল। আল্লাহ তাঁকে তাঁর ত্যাগের বিনিময়ে দিলেন জান্নাত। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাকে বলা হলো, তুমি জান্নাতে প্রবেশ কোরো।’ সে বলল, ‘হায়! আমার জাতি যদি জানতে পারত যে আমার রব আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন!’ (সুরা ইয়াসিন: ২৬-২৭)
কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গ সাক্ষ্য দেবে
হাত, পা, চোখ, কান, নাক, আত্মা, জিহ্বা ইত্যাদি দিয়ে মানবদেহ গঠিত। এসব অঙ্গকে যেমন রোগ থেকে সুস্থ রাখা আবশ্যক, তেমনি আবশ্যক পাপাচার ও অপকর্ম থেকে মুক্ত রাখা। কোনো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর প্রভাব গোটা দেহে পড়ে। ব্যক্তিকে অস্বস্তি দেয়। কোনো অঙ্গ দিয়ে পাপাচার করলে সেই অঙ্গ কিয়ামতের দিন কথা বলে উঠবে। দেহকে জাহান্নামে পাঠাবে। আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তাদের মুখে সিলমোহর এঁটে দেব, তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।’ (সুরা ইয়াসিন: ৬০)
অঙ্গগুলোকে কথা বলার ক্ষমতা দেওয়া হবে এ জন্য যে, পাপীরা সেদিন তাদের পাপের কথা অস্বীকার করবে। তাদের কেউ বলবে, আমাদের আমলনামায় ফেরেশতা যা কিছু লিখেছে, আমরা এসব করিনি। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের মুখে মোহর মেরে দেবেন। অর্থাৎ তারা আর মুখে কোনো কথা বলতে পারবে না। এরপর তাদেরই হাত, পা ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে রাজসাক্ষী করে কথা বলার যোগ্যতা দান করা হবে। তারা কাফেরদের যাবতীয় কার্যকলাপের সাক্ষ্য দেবে। পাপীরা তাদের কোন কোন কাজে লাগিয়েছিল, তাদের মাধ্যমে কী কী কুফরি করেছিল, কোন ধরনের মিথ্যা উচ্চারণ করেছিল এবং কত প্রকার ফেতনা সৃষ্টি করেছিল ইত্যাদি।
সুরা সাফফাতে জান্নাতিদের কথোপকথন
মক্কায় অবতীর্ণ ১৮২ আয়াতবিশিষ্ট সুরা সাফফাতে আল্লাহর ইবাদতকারী ফেরেশতা, জিনদের লুকিয়ে লুকিয়ে ঊর্ধ্বমহলের সংবাদ শোনার চেষ্টা, জ্বলন্ত উজ্জ্বল অঙ্গার দিয়ে তাদের ধাওয়া করা, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ ও প্রতিদান, জাহান্নামিদের একে অপরকে দোষারোপ, জান্নাতিদের কথোপকথন, নুহ, ইবরাহিম, মুসা, হারুন, ইলিয়াস, লুত ও ইউনুস (আ.)-এর বিভিন্ন ঘটনা, হঠকারীদের থেকে বিমুখ থাকার নির্দেশনার বর্ণনা রয়েছে।
পূর্ববর্তী নবীদের ঘটনার বয়ান সুরা সোয়াদ
৮৮ আয়াতবিশিষ্ট মক্কায় অবতীর্ণ সুরা সোয়াদে ইমানের মূল ভিত্তি, নবী-রাসুলদের দাওয়াতের পদ্ধতি, পরকাল, কাফেরদের অহংকার, সৎকাজের বিরোধিতা, নুহ (আ.)-এর সম্প্রদায়, আদ, ফেরাউন, সামুদ, লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়সহ অন্যান্য জাতির কথা, তাদের ধ্বংসের কারণ, সোলায়মান ও দাউদ (আ.)কে নেয়ামতদানের কথা আলোচিত হয়েছে।
নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত আল্লাহ গ্রহণ করেন
আল্লাহর জন্য নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত, সুদৃঢ় বিশ্বাস, সুধারণা পোষণ করা হলো মুমিনের বৈশিষ্ট্য। মুমিন আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে না। অন্য কারও ইবাদত করে না। ভিন্ন কারও কাছে প্রার্থনা করে না। এমন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মুমিনের ইবাদত-আমল আল্লাহ গ্রহণ করেন। মুসলমানদের জাতির পিতা ইবরাহিম (আ.)-কে তিনি এই নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদতের শিক্ষা দিয়েছিলেন। ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘আমার নামাজ, আমার ইবাদত সবকিছু আল্লাহর জন্য।’ নবীজিকেও এই আদেশ দিয়েছেন আল্লাহ। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি বিশুদ্ধ চিত্তে নিষ্ঠার সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত করুন। নিষ্ঠাপূর্ণ বিশুদ্ধ ইবাদত একমাত্র আল্লাহরই জন্য।’ (সুরা জুমার: ৩) তাই আমাদের ইবাদত করতে হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য। বিশুদ্ধ নিয়ত ছাড়া ইবাদত কবুল হবে না। নিয়ত ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (বুখারি: ১)
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে নবীদের প্রতি অবিশ্বাসীদের উপহাস, আল্লাহর অস্তিত্ব, শিঙায় ফুঁক, মৃত্যু-পরবর্তী জীবন, ফেরেশতাদের ইবাদত, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ, কোরআনের অলৌকিকতা, মুশরিকদের আপত্তির জবাব, আদম (আ.) ও শয়তানের কাহিনি ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অবস্থান, ইসলামি আকিদা-বিশ্বাসসহ নানা বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হলো—
দীন প্রচারে হাবিব নাজ্জারের আত্মত্যাগ
সুরা ইয়াসিনের ১৯ থেকে ২৭ নম্বর আয়াতে আন্তাকিয়াবাসীর কাছে তিনজন রাসুলের আগমন ও ধর্মপ্রচারক হাবিব নাজ্জারের ঘটনার বর্ণনা রয়েছে। ইসা (আ.) তখনো পৃথিবীতে আসেননি। তৎকালীন আন্তাকিয়া (বর্তমান তুরস্কে অবস্থিত) ছিল সেই যুগে সমৃদ্ধি ও স্থাপত্যে প্রসিদ্ধ এক নগরী। সেখানের অধিবাসীরা ছিল মূর্তিপূজা ও অন্যায়-অনাচারে লিপ্ত। আল্লাহ তাআলা তাদের হেদায়াতের জন্য তিনজন নবী পাঠিয়েছেন। তাফসিরবিদেরা বলেন, আন্তাকিয়া অঞ্চলে পাঠানো তিনজন রাসুল হলেন শামউন, ইউহান্না ও বাবুলস।
ওই শহরে বসবাস করতেন হাবিব ইবনে ইসমাইল নামে এক ব্যক্তি। ইতিহাস তাকে হাবিব নাজ্জার নামে চেনে। তিনি ছিলেন পেশায় কাঠমিস্ত্রি। তাঁর ছিল কুষ্ঠরোগ। এই রোগের বহু চিকিৎসা করে, দেব-দেবীর কাছে প্রার্থনা করে কোনো লাভ হয়নি তাঁর। খুব হতাশায় ভুগছিলেন হাবিব নাজ্জার। একদিন রাসুলদের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তাঁরা তাঁকে একত্ববাদের দাওয়াত দেন। তিনি বললেন, ‘এতে আমার লাভ কী?’ তাঁরা বললেন, ‘তোমার রোগমুক্তির জন্য আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করব।’ তিনি ইমান আনেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তিনি নির্জনে নগরীর এক প্রান্তে আল্লাহর ইবাদত করতে থাকেন।
রাসুলগণ আন্তাকিয়বাসীকে দীনের দাওয়াত দিতে থাকেন। তারা দাওয়াত গ্রহণ করেনি; বরং তাঁদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে থাকল। তাঁরা দাওয়াত অব্যাহত রাখেন। একপর্যায়ে কাফেররা রাসুলদের হত্যার নীলনকশা প্রস্তুত করে। এ খবর পেয়ে হাবিব নাজ্জার শহরে এসে তাদের সতর্ক করতে থাকেন। বোঝাতে লাগলেন। কাজ হয়নি। কাফেররা তাঁর ওপর উদ্যত হলো। তাঁকে হত্যা করল। আল্লাহ তাঁকে তাঁর ত্যাগের বিনিময়ে দিলেন জান্নাত। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাকে বলা হলো, তুমি জান্নাতে প্রবেশ কোরো।’ সে বলল, ‘হায়! আমার জাতি যদি জানতে পারত যে আমার রব আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন!’ (সুরা ইয়াসিন: ২৬-২৭)
কিয়ামতের দিন মানুষের অঙ্গ সাক্ষ্য দেবে
হাত, পা, চোখ, কান, নাক, আত্মা, জিহ্বা ইত্যাদি দিয়ে মানবদেহ গঠিত। এসব অঙ্গকে যেমন রোগ থেকে সুস্থ রাখা আবশ্যক, তেমনি আবশ্যক পাপাচার ও অপকর্ম থেকে মুক্ত রাখা। কোনো অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এর প্রভাব গোটা দেহে পড়ে। ব্যক্তিকে অস্বস্তি দেয়। কোনো অঙ্গ দিয়ে পাপাচার করলে সেই অঙ্গ কিয়ামতের দিন কথা বলে উঠবে। দেহকে জাহান্নামে পাঠাবে। আল্লাহ বলেন, ‘আজ আমি তাদের মুখে সিলমোহর এঁটে দেব, তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।’ (সুরা ইয়াসিন: ৬০)
অঙ্গগুলোকে কথা বলার ক্ষমতা দেওয়া হবে এ জন্য যে, পাপীরা সেদিন তাদের পাপের কথা অস্বীকার করবে। তাদের কেউ বলবে, আমাদের আমলনামায় ফেরেশতা যা কিছু লিখেছে, আমরা এসব করিনি। তখন আল্লাহ তাআলা তাদের মুখে মোহর মেরে দেবেন। অর্থাৎ তারা আর মুখে কোনো কথা বলতে পারবে না। এরপর তাদেরই হাত, পা ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে রাজসাক্ষী করে কথা বলার যোগ্যতা দান করা হবে। তারা কাফেরদের যাবতীয় কার্যকলাপের সাক্ষ্য দেবে। পাপীরা তাদের কোন কোন কাজে লাগিয়েছিল, তাদের মাধ্যমে কী কী কুফরি করেছিল, কোন ধরনের মিথ্যা উচ্চারণ করেছিল এবং কত প্রকার ফেতনা সৃষ্টি করেছিল ইত্যাদি।
সুরা সাফফাতে জান্নাতিদের কথোপকথন
মক্কায় অবতীর্ণ ১৮২ আয়াতবিশিষ্ট সুরা সাফফাতে আল্লাহর ইবাদতকারী ফেরেশতা, জিনদের লুকিয়ে লুকিয়ে ঊর্ধ্বমহলের সংবাদ শোনার চেষ্টা, জ্বলন্ত উজ্জ্বল অঙ্গার দিয়ে তাদের ধাওয়া করা, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ ও প্রতিদান, জাহান্নামিদের একে অপরকে দোষারোপ, জান্নাতিদের কথোপকথন, নুহ, ইবরাহিম, মুসা, হারুন, ইলিয়াস, লুত ও ইউনুস (আ.)-এর বিভিন্ন ঘটনা, হঠকারীদের থেকে বিমুখ থাকার নির্দেশনার বর্ণনা রয়েছে।
পূর্ববর্তী নবীদের ঘটনার বয়ান সুরা সোয়াদ
৮৮ আয়াতবিশিষ্ট মক্কায় অবতীর্ণ সুরা সোয়াদে ইমানের মূল ভিত্তি, নবী-রাসুলদের দাওয়াতের পদ্ধতি, পরকাল, কাফেরদের অহংকার, সৎকাজের বিরোধিতা, নুহ (আ.)-এর সম্প্রদায়, আদ, ফেরাউন, সামুদ, লুত (আ.)-এর সম্প্রদায়সহ অন্যান্য জাতির কথা, তাদের ধ্বংসের কারণ, সোলায়মান ও দাউদ (আ.)কে নেয়ামতদানের কথা আলোচিত হয়েছে।
নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত আল্লাহ গ্রহণ করেন
আল্লাহর জন্য নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদত, সুদৃঢ় বিশ্বাস, সুধারণা পোষণ করা হলো মুমিনের বৈশিষ্ট্য। মুমিন আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করে না। অন্য কারও ইবাদত করে না। ভিন্ন কারও কাছে প্রার্থনা করে না। এমন বৈশিষ্ট্যের অধিকারী মুমিনের ইবাদত-আমল আল্লাহ গ্রহণ করেন। মুসলমানদের জাতির পিতা ইবরাহিম (আ.)-কে তিনি এই নিষ্ঠাপূর্ণ ইবাদতের শিক্ষা দিয়েছিলেন। ইবরাহিম (আ.) বলেছিলেন, ‘আমার নামাজ, আমার ইবাদত সবকিছু আল্লাহর জন্য।’ নবীজিকেও এই আদেশ দিয়েছেন আল্লাহ। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি বিশুদ্ধ চিত্তে নিষ্ঠার সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত করুন। নিষ্ঠাপূর্ণ বিশুদ্ধ ইবাদত একমাত্র আল্লাহরই জন্য।’ (সুরা জুমার: ৩) তাই আমাদের ইবাদত করতে হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য। বিশুদ্ধ নিয়ত ছাড়া ইবাদত কবুল হবে না। নিয়ত ইবাদত কবুলের পূর্বশর্ত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক আমল নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ (বুখারি: ১)
এ ছাড়া তারাবির আজকের অংশে নবীদের প্রতি অবিশ্বাসীদের উপহাস, আল্লাহর অস্তিত্ব, শিঙায় ফুঁক, মৃত্যু-পরবর্তী জীবন, ফেরেশতাদের ইবাদত, পুনরুত্থান, হিসাব-নিকাশ, কোরআনের অলৌকিকতা, মুশরিকদের আপত্তির জবাব, আদম (আ.) ও শয়তানের কাহিনি ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘জান্নাতে রাইয়ান নামক একটি দরজা আছে। এ দরজা দিয়ে কিয়ামতের দিন রোজাদাররা প্রবেশ করবে। তারা ছাড়া আর কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ঘোষণা দেওয়া হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই সেই দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে, যেন এ দরজা দিয়ে আর কেউ প্রবেশ করতে না পারে।’ (সহিহ বুখারি: ১৮৯৬)। প্রিয় নবীজি (সা.) আরও বলেন, ‘যে রোজা অবস্থায় ইন্তেকাল করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে’। (সহিহ আল জামে: ৬২২৪)
নবী করিম (সা.) সাহাবায়ে কেরামকে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতে বলতেন। নিজেও বছরের নানা দিনে নফল রোজা রাখতেন। আল্লাহর রাসুল (সা.) যেসব দিন নফল রোজা রাখতেন, তার মধ্যে অন্যতম সোমবার। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) সোম ও বৃহস্পতিবারে রোজা রাখাকে প্রাধান্য দিতেন।’ (সুনানে তিরমিজি: ১০২৭)
আবু কাতাদাহ আনসারি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে একবার সোমবারে রোজা রাখার কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছিলাম এবং এই দিনেই আমাকে নবুওয়াত দেওয়া হয়েছিল। অথবা, এই দিনে আমার ওপর (কোরআন) নাজিল করা হয়েছে।’ (সহিহ মুসলিম: ১১৬২)
হাফসা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন। (মাসের প্রথম সপ্তাহের) সোম ও বৃহস্পতিবার এবং (দ্বিতীয় সপ্তাহের) সোমবার।’ (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৫১)
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, রোজা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যম। সোমবারের রোজা আমাদের জন্য হতে পারে তাকওয়া অর্জনের অপার সুযোগ।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অ
১১ এপ্রিল ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫১ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫২ মিনিট | ০৬: ০৯ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৩ মিনিট | ০৩: ৩৮ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৯ মিনিট | ০৫: ১৪ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৬ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩২ মিনিট | ০৪: ৫১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অ
১১ এপ্রিল ২০২৩
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেইসলাম ডেস্ক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

আদব ও আন্তরিকতার সঙ্গে সালাম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তার বার্তা বহন করে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক বন্ধনকে দৃঢ় করে। দুঃখজনকভাবে, সমাজে এই মহান সুন্নাহর চর্চা কমে আসছে।
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
নবীজি (সা.) সালামের মাধ্যমে জান্নাতের পথ সহজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিস অনুসারে, সালামের পূর্ণ বাক্য বিনিময়ে ৩০ নেকি লাভ হয়। (সুনানে আবু দাউদ: ৫১৯৫)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা ইমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না একে অন্যকে ভালোবাসবে। আর তা হলো পরস্পরের মধ্যে সালামের ব্যাপক প্রচলন করা।’ (সহিহ মুসলিম: ৫৪)
সালামের এত গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও অবহেলা, মনোযোগের অভাব, সালামকে স্রেফ সৌজন্য মনে করার কারণে এর চর্চা কমছে। অপরিচিত বা কম পরিচিত ব্যক্তিকে সালাম দিতে দ্বিধা করা হয়, অথচ হাদিস অনুযায়ী এতেই বেশি সওয়াব। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সালামের চর্চা উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।
সালাম কেবল একটি সুন্নাহ নয়, এটি সামাজিক নিরাপত্তা ও আত্মিক শান্তির প্রতীক। যিনি প্রথমে সালাম দেন, তিনি আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় এবং উত্তম। আমরা এই মহান সুন্নাহর ব্যাপক অনুশীলনের মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারি।
লেখক: মির্জা রিজওয়ান আলম, প্রাবন্ধিক

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অ
১১ এপ্রিল ২০২৩
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা।
২১ ঘণ্টা আগেসাকী মাহবুব

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

মানবসমাজে পারস্পরিক ভালোবাসা, সদ্ভাব ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করা ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা। এই লক্ষ্য অর্জনে হাদিয়া বা উপহার আদান-প্রদান একটি অত্যন্ত কার্যকরী ও পরীক্ষিত পদ্ধতি।
হাদিয়া শুধু একটি বস্তুগত বিনিময় নয়, এটি হৃদয়ের অনুভূতি, ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছার এক শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ। ইসলামে এই আমলটিকে অত্যন্ত উৎসাহিত করা হয়েছে। কারণ, এর মাধ্যমে পাষাণ হৃদয়ও নরম হয়ে যায় এবং তিক্ত সম্পর্কও মধুর হয়ে ওঠে। হাদিয়া আদান-প্রদানের মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের মাঝে আন্তরিকতা সৃষ্টি করা। এটি মানুষের মন থেকে রাগ, বিদ্বেষ ও শত্রুতার ভাব দূর করে ভালোবাসার বীজ বপন করে।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা পরস্পর উপহার আদান-প্রদান করো, তাহলে তোমাদের মাঝে ভালোবাসা বৃদ্ধি হবে।’ (জামে তিরমিজি)
অনেক সময় সম্পর্কের মধ্যে ভুল-বোঝাবুঝি বা তিক্ততা সৃষ্টি হয়, যা থেকে শত্রুতার জন্ম নেয়। হাদিয়া এ ক্ষেত্রে জাদুকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। আন্তরিকভাবে দেওয়া একটি উপহার কঠিন হৃদয়ের দেয়াল ভেঙে দিতে সক্ষম।
হাদিসে এসেছে, ‘তোমরা পরস্পর হাদিয়া আদান-প্রদান করো। কেননা, হাদিয়া অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করে দেয়।’ (জামে তিরমিজি)। আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, ‘তোমরা পরস্পরের সঙ্গে হাত মেলাও, তাহলে তোমাদের বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে; আর তোমরা পরস্পরকে উপহার দাও, তাহলে শত্রুতা দূর হয়ে যাবে।’ (মুআত্তা ইমাম মালেক, আল-আদাবুল মুফরাদ)
বাস্তব জীবনে দেখা যায়, একজন তিক্ততা পোষণকারী আত্মীয় বা প্রতিবেশীকে আন্তরিকতার সঙ্গে একটি উপহার দিলে তার পাষাণ হৃদয়ে পরিবর্তন আসে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এটি প্রমাণ করে যে হাদিয়া মানুষের ভেতরের নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক রূপে রূপান্তরিত করতে পারে।
হাদিয়া গ্রহণ ও প্রদান করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি প্রিয় অভ্যাস ছিল। তিনি উপহার গ্রহণ করতেন এবং বিনিময়ে কিছু উপহার দেওয়ার চেষ্টা করতেন। এটি ছিল তাঁর উচ্চ নৈতিকতার প্রমাণ।
আবদুল্লাহ ইবন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) হাদিয়া গ্রহণ করতেন এবং এর প্রতিদান দিতেন।’ (সহিহ্ বুখারি)
সামান্য ও নগণ্য হাদিয়াও তিনি ফিরিয়ে দিতেন না। এর মাধ্যমে তিনি উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে উপহারের মূল্য নয়, বরং আন্তরিকতাই আসল। হাদিয়া আদান-প্রদান শুধু একটি সামাজিক প্রথা নয়, এটি একটি ইবাদত এবং নবুওয়াতের শিক্ষা। এটি এমন এক মানবিক কৌশল, যা মানুষের হৃদয়ের গভীরে প্রবেশ করে বিদ্বেষ দূর করে ভালোবাসা ও সদ্ভাব প্রতিষ্ঠা করে।
আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সম্পর্কগুলোকে সুন্দর ও মজবুত করার জন্য হাদিয়ার এই ঐশী মাধ্যমটিকে গুরুত্ব দেওয়া অপরিহার্য। হাদিয়ার মূল্য নয়, বরং এর পেছনে থাকা আন্তরিকতাই পারে যেকোনো মানুষের অন্তর পরিবর্তন করে সম্পর্ককে স্থায়ী ও মধুর করতে।
লেখক: সহকারী শিক্ষক, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কশবামাজাইল, পাংশা, রাজবাড়ী।

আজ খতমে তারাবিতে পবিত্র কোরআনের ২৩তম পারা তিলাওয়াত করা হবে। সুরা ইয়াসিনের ২২ থেকে সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা জুমারের ১ থেকে ৩১ নম্বর আয়াত পর্যন্ত পড়া হবে। এই অংশে হাবিব নাজ্জারের উপদেশ, কিয়ামতের ভয়াবহতা, আল্লাহর জন্য ইবাদত, জাহান্নামিদের পরস্পরকে দোষারোপ, অবিশ্বাসীদের পরিণতি, মায়ের উদরে মানুষের অ
১১ এপ্রিল ২০২৩
ইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
৯ ঘণ্টা আগে
সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে হৃদয়ে ভালোবাসা সৃষ্টি হয় এবং পারস্পরিক বিদ্বেষ দূর হয়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে সালামের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘আর যখন তোমাদেরকে সালাম জানানো হয়, তখন তার চেয়েও উত্তমভাবে জবাব দাও অথবা অন্তত সেভাবে জবাব দাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
১৭ ঘণ্টা আগে