মাওলানা ইমরান হোসাইন
জীবনে চলার পথে একজন মানুষকে অবশ্যই অন্যদের সঙ্গে নিয়ে চলতে হয়। বন্ধু, সহপাঠী, সহকর্মী, প্রতিবেশীসহ আরও বিভিন্ন পরিচয়ে মানুষ মানুষের সঙ্গী হয়ে থাকে। সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনায় নানা পরিচয়ের সঙ্গী ও বন্ধুরা মানুষের পাশে থাকে। তাদের সঙ্গে জীবনের ভালো-মন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়। তাই সঙ্গী নির্বাচন জরুরি বিষয়। এ ক্ষেত্রে উদাসীনতার পরিচয় দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।
আল্লাহভীরু ও পরহেজগার লোকদের বন্ধু বানালে সেই বন্ধুত্ব পরকালেও কাজে আসবে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘বন্ধুরা সেদিন (কেয়ামতের দিন) একে অপরের শত্রুতে পরিণত হবে, একমাত্র আল্লাহভীরু লোকজন ছাড়া।’ (সুরা জুখরুফ: ৬৭)
সৎ ও আল্লাহভীরু লোকদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে তাদের সঙ্গ থেকে উপকৃত হওয়া যায়। তাদের ভালো গুণ, স্বভাব ও চরিত্র ধীরে ধীরে নিজের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়। তাই আল্লাহ তাআলা অপর আয়াতে ইরশাদ করেন: ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো।’ (সুরা তওবা: ১১৯)
অসৎ লোকদের বন্ধু বানালে কেয়ামত দিবসে আক্ষেপের অন্ত থাকবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হায় আমার দুর্ভোগ! আমি যদি অমুক ব্যক্তিকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম! আমার কাছে উপদেশ এসেছিল। কিন্তু সে আমাকে তা থেকে বিভ্রান্ত করেছে।’ (সুরা ফুরকান: ২৮-২৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর বিষয়টি চমৎকার উপমা দিয়ে বুঝিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেন, ‘সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উপমা আতর বিক্রেতা ও কামারের হাঁপরের মতো। আতর বিক্রেতার কাছ থেকে হয় তুমি নিজে আতর খরিদ করবে, না হয় এমনিতে এর ঘ্রাণ পাবে। আর কামারের হাঁপর হয় তোমার শরীর অথবা কাপড় পুড়িয়ে দেবে, আর না হয় তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে।’ (বুখারি: ১৯৭১)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
জীবনে চলার পথে একজন মানুষকে অবশ্যই অন্যদের সঙ্গে নিয়ে চলতে হয়। বন্ধু, সহপাঠী, সহকর্মী, প্রতিবেশীসহ আরও বিভিন্ন পরিচয়ে মানুষ মানুষের সঙ্গী হয়ে থাকে। সুখ-দুঃখ ও আনন্দ-বেদনায় নানা পরিচয়ের সঙ্গী ও বন্ধুরা মানুষের পাশে থাকে। তাদের সঙ্গে জীবনের ভালো-মন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া যায়। তাই সঙ্গী নির্বাচন জরুরি বিষয়। এ ক্ষেত্রে উদাসীনতার পরিচয় দিলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়।
আল্লাহভীরু ও পরহেজগার লোকদের বন্ধু বানালে সেই বন্ধুত্ব পরকালেও কাজে আসবে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘বন্ধুরা সেদিন (কেয়ামতের দিন) একে অপরের শত্রুতে পরিণত হবে, একমাত্র আল্লাহভীরু লোকজন ছাড়া।’ (সুরা জুখরুফ: ৬৭)
সৎ ও আল্লাহভীরু লোকদের বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে তাদের সঙ্গ থেকে উপকৃত হওয়া যায়। তাদের ভালো গুণ, স্বভাব ও চরিত্র ধীরে ধীরে নিজের মধ্যেও প্রতিফলিত হয়। তাই আল্লাহ তাআলা অপর আয়াতে ইরশাদ করেন: ‘হে ইমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ তাআলাকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গে থাকো।’ (সুরা তওবা: ১১৯)
অসৎ লোকদের বন্ধু বানালে কেয়ামত দিবসে আক্ষেপের অন্ত থাকবে না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হায় আমার দুর্ভোগ! আমি যদি অমুক ব্যক্তিকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম! আমার কাছে উপদেশ এসেছিল। কিন্তু সে আমাকে তা থেকে বিভ্রান্ত করেছে।’ (সুরা ফুরকান: ২৮-২৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর বিষয়টি চমৎকার উপমা দিয়ে বুঝিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেন, ‘সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উপমা আতর বিক্রেতা ও কামারের হাঁপরের মতো। আতর বিক্রেতার কাছ থেকে হয় তুমি নিজে আতর খরিদ করবে, না হয় এমনিতে এর ঘ্রাণ পাবে। আর কামারের হাঁপর হয় তোমার শরীর অথবা কাপড় পুড়িয়ে দেবে, আর না হয় তুমি তার দুর্গন্ধ পাবে।’ (বুখারি: ১৯৭১)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশংসা এমন এক গুরুত্বপূর্ণ ও ও সর্বজনীন বিষয় যা পৃথিবীর সব মাখলুক করে থাকে। এমনকি পরকালীন জীবনে জান্নাতিরা যখন জান্নাতে প্রবেশ করবে, তখন সেখানেও ৫ অবস্থায় আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করবেন।
১৫ ঘণ্টা আগেহালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
২ দিন আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
২ দিন আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
৩ দিন আগে