আবরার নাঈম
ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে ভয়ংকর ও জঘন্য পাপ হলো শিরক। অথচ মানুষ কী সহজভাবে শিরকে লিপ্ত হয়, যেন তা কোনো পাপই নয়। শিরক ছাড়া আমৃত্যু গুনাহে নিমজ্জিত থাকা পাপিষ্ঠকেও আল্লাহ চাইলেই মাফ করতে পারেন সামান্য শাস্তি দিয়ে কিংবা শাস্তি ছাড়াই। শিরকের কোনো ক্ষমা নেই—মৃত্যুর আগে তওবা না করলে।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরিক করা ক্ষমা করবেন না। এ ছাড়া অন্যান্য গুনাহ, যার জন্য ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। আর যে কেউ আল্লাহর সঙ্গে শরিক সাব্যস্ত করল, সে মারাত্মক গুনাহে লিপ্ত হলো।’ (সুরা নিসা: ৪৮)
দুনিয়ার জিন্দেগিতে যে বান্দা শিরকে লিপ্ত হওয়ার পর তওবা ছাড়াই মারা গেল, নিঃসন্দেহে সে নিজের জন্য জান্নাত হারাম করে নিল। অর্থাৎ সে চিরস্থায়ী জাহান্নামি। অন্য কোনো পাপ থেকে যেমন শাস্তি ভোগ করার পর পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব, শিরকের বেলায় এমন নয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘যে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করবে, নিশ্চয় আল্লাহ ওর জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন। তার বাসস্থান হবে জাহান্নামে। আর জালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা মায়িদা: ৭২)
আল্লাহ একক। তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো সমকক্ষ নেই। এ বিষয়গুলো সুরা ইখালসে উল্লেখ আছে; তথাপি কেউ যেন কোনো মাখলুককে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির না করে, এ নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতএব তোমরা আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করো না। অথচ তোমরা জানো (যে, তিনি অদ্বিতীয়)।’ (সুরা বাকারা: ২২)
হজরত লুকমান তাঁর পুত্রকে শিরকের ভয়াবহ ও মন্দ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে উপদেশ দিয়েছিলেন যেন শিরকে লিপ্ত না হয় পিতার অবর্তমানে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন লোকমান তাঁর পুত্রকে উপদেশ দান করে বলেছিলেন, ওহে আমার বৎস—আল্লাহর সঙ্গে শিরক করো না। নিশ্চয়ই শিরক ভয়াবহ জুলুম।’ (সুরা লুকমান: ১৩)
ওপরোক্ত আয়াতগুলো ছাড়াও একাধিক আয়াতে আল্লাহ শিরকের মতো জঘন্য অপরাধ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। বহু হাদিসে এ সম্পর্কে কঠোর হুঁশিয়ারিবার্তা রয়েছে। যার মাধ্যমে শিরক কতটা মারাত্মক গুনাহ, তা বুঝে আসে। এক হাদিসে বলা হয়েছে, শিরক সবচেয়ে বড় গুনাহ।
হজরত আবু বাকরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে কঠিন কবিরা গুনাহ হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৯১৯)
শিরক থেকে বাঁচতে যদি টুকরো টুকরো হতে হয় কিংবা পুড়ে মরতে হয়, তবে তা-ই করা উচিত। তবুও শিরকে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এমন উপদেশই নবী (সা.) তাঁর এক প্রিয় সাহাবীকে দিয়েছিলেন।
হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু রাসুল (সা.) আমাকে এই উপদেশ দিয়েছেন, তুমি আল্লাহর সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করো না, যদিও তোমাকে টুকরো টুকরো করে ছিন্নভিন্ন করা হয় অথবা আগুনে ভস্মীভূত করা হয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪০৩৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের ছোট-বড় যাবতীয় গুনাহ থেকে বিশেষত শিরকের মতো মারাত্মক গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন।
ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে ভয়ংকর ও জঘন্য পাপ হলো শিরক। অথচ মানুষ কী সহজভাবে শিরকে লিপ্ত হয়, যেন তা কোনো পাপই নয়। শিরক ছাড়া আমৃত্যু গুনাহে নিমজ্জিত থাকা পাপিষ্ঠকেও আল্লাহ চাইলেই মাফ করতে পারেন সামান্য শাস্তি দিয়ে কিংবা শাস্তি ছাড়াই। শিরকের কোনো ক্ষমা নেই—মৃত্যুর আগে তওবা না করলে।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সঙ্গে শরিক করা ক্ষমা করবেন না। এ ছাড়া অন্যান্য গুনাহ, যার জন্য ইচ্ছা ক্ষমা করবেন। আর যে কেউ আল্লাহর সঙ্গে শরিক সাব্যস্ত করল, সে মারাত্মক গুনাহে লিপ্ত হলো।’ (সুরা নিসা: ৪৮)
দুনিয়ার জিন্দেগিতে যে বান্দা শিরকে লিপ্ত হওয়ার পর তওবা ছাড়াই মারা গেল, নিঃসন্দেহে সে নিজের জন্য জান্নাত হারাম করে নিল। অর্থাৎ সে চিরস্থায়ী জাহান্নামি। অন্য কোনো পাপ থেকে যেমন শাস্তি ভোগ করার পর পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব, শিরকের বেলায় এমন নয়। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘যে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করবে, নিশ্চয় আল্লাহ ওর জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন। তার বাসস্থান হবে জাহান্নামে। আর জালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই।’ (সুরা মায়িদা: ৭২)
আল্লাহ একক। তিনি অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো সমকক্ষ নেই। এ বিষয়গুলো সুরা ইখালসে উল্লেখ আছে; তথাপি কেউ যেন কোনো মাখলুককে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির না করে, এ নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতএব তোমরা আল্লাহর সমকক্ষ সাব্যস্ত করো না। অথচ তোমরা জানো (যে, তিনি অদ্বিতীয়)।’ (সুরা বাকারা: ২২)
হজরত লুকমান তাঁর পুত্রকে শিরকের ভয়াবহ ও মন্দ পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে উপদেশ দিয়েছিলেন যেন শিরকে লিপ্ত না হয় পিতার অবর্তমানে। ইরশাদ হয়েছে, ‘স্মরণ করো, যখন লোকমান তাঁর পুত্রকে উপদেশ দান করে বলেছিলেন, ওহে আমার বৎস—আল্লাহর সঙ্গে শিরক করো না। নিশ্চয়ই শিরক ভয়াবহ জুলুম।’ (সুরা লুকমান: ১৩)
ওপরোক্ত আয়াতগুলো ছাড়াও একাধিক আয়াতে আল্লাহ শিরকের মতো জঘন্য অপরাধ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। বহু হাদিসে এ সম্পর্কে কঠোর হুঁশিয়ারিবার্তা রয়েছে। যার মাধ্যমে শিরক কতটা মারাত্মক গুনাহ, তা বুঝে আসে। এক হাদিসে বলা হয়েছে, শিরক সবচেয়ে বড় গুনাহ।
হজরত আবু বাকরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে কঠিন কবিরা গুনাহ হচ্ছে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করা।’ (সহিহ্ বুখারি: ৬৯১৯)
শিরক থেকে বাঁচতে যদি টুকরো টুকরো হতে হয় কিংবা পুড়ে মরতে হয়, তবে তা-ই করা উচিত। তবুও শিরকে লিপ্ত হওয়া যাবে না। এমন উপদেশই নবী (সা.) তাঁর এক প্রিয় সাহাবীকে দিয়েছিলেন।
হজরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু রাসুল (সা.) আমাকে এই উপদেশ দিয়েছেন, তুমি আল্লাহর সঙ্গে কোনো কিছু শরিক করো না, যদিও তোমাকে টুকরো টুকরো করে ছিন্নভিন্ন করা হয় অথবা আগুনে ভস্মীভূত করা হয়।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪০৩৪)
আল্লাহ তাআলা আমাদের ছোট-বড় যাবতীয় গুনাহ থেকে বিশেষত শিরকের মতো মারাত্মক গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন।
মানুষকে আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদতের জন্য। আর জিকির বা আল্লাহর স্মরণ মুমিনজীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ইসলামে জিকিরের গুরুত্ব অপরিসীম। জিকিরের নানা ফজিলত ও উপকারিতার কথা কোরআন-হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগেবর্তমান সমাজে অন্যায়, অপরাধ, অত্যাচার এবং জুলুম মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মানবিকতা, মায়া-মমতা এবং ভালোবাসা যেন আজ বিলুপ্তপ্রায়। মানুষে মানুষে হিংসা, বিদ্বেষ এবং একে অপরের ক্ষতি করার প্রবণতা এখন স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত। সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে যারা বিত্তশালী হচ্ছেন, তারাই সমাজকে..
১ দিন আগেব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে আদর্শের মানদণ্ডে পৌঁছাতে হলে এবং সুন্দর সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র গঠন করতে হলে, আমাদের দুটি গুণের প্রয়োজন: এক. সত্যবাদিতা, দুই. ন্যায়পরায়ণতা। এ দুটি মানুষের এমন মৌলিক গুণ, যা মানুষকে সততার সঙ্গে বসবাস করতে উদ্বুদ্ধ করে।
২ দিন আগে