মুফতি খালিদ কাসেমি
আরবি খুশু শব্দের অর্থ স্থিরতা, বিনয়, একাগ্রতা ইত্যাদি। অন্তরকে বিনয়ের সঙ্গে নামাজে নিমগ্ন রাখাকে ইসলামের পরিভাষায় খুশু বলা হয়। একাগ্রচিত্তে যে নামাজ আদায় করা হয়, সে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দার বন্ধন মজবুত হয়। একাগ্রতা নামাজের প্রাণ। এটি ছাড়া নামাজ নিষ্প্রাণ।
একাগ্রতার সঙ্গে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনেক। কোরআনে আল্লাহ তাআলা একাগ্রতার সঙ্গে নামাজ আদায়কারী মুমিনদের সফলকাম বলেছেন। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনগণ, যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
একাগ্রতা নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ নামাজ কবুল হওয়া এর ওপর নির্ভরশীল। আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘এই উম্মত থেকে সবার আগে নামাজের একাগ্রতা উঠিয়ে নেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত উম্মতের মধ্যে কোনো খুশুবিশিষ্ট লোক দেখতে পাবে না।’ (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব)
মহানবী (সা.) নামাজি ব্যক্তিকে ডানে-বামে তাকাতে এবং দেহের কোনো অঙ্গ নিয়ে খেলা করতে নিষেধ করেছেন। এক হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘নবী (সা.) হজরত আনাসকে নির্দেশ দেন, সিজদার জায়গায় দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখো এবং ডানে-বামে ভ্রুক্ষেপ করো না।’ (বায়হাকি)
অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘নামাজের সময় আল্লাহ তাআলা সর্বক্ষণ বান্দার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখেন, যতক্ষণ না নামাজি অন্য কোনো দিকে ভ্রুক্ষেপ করে। যখন সে অন্য কোনো দিকে ভ্রুক্ষেপ করে, তখন আল্লাহ তাআলা তার দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন।’ (আবু দাউদ)
আরেক হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে নামাজে দাড়ি নিয়ে খেলা করতে দেখে বললেন, এই ব্যক্তির অন্তরে খুশু থাকলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গেও স্থিরতা থাকত।’ (আল-জামেউস সগির)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আরবি খুশু শব্দের অর্থ স্থিরতা, বিনয়, একাগ্রতা ইত্যাদি। অন্তরকে বিনয়ের সঙ্গে নামাজে নিমগ্ন রাখাকে ইসলামের পরিভাষায় খুশু বলা হয়। একাগ্রচিত্তে যে নামাজ আদায় করা হয়, সে নামাজের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দার বন্ধন মজবুত হয়। একাগ্রতা নামাজের প্রাণ। এটি ছাড়া নামাজ নিষ্প্রাণ।
একাগ্রতার সঙ্গে নামাজ আদায়ের গুরুত্ব অনেক। কোরআনে আল্লাহ তাআলা একাগ্রতার সঙ্গে নামাজ আদায়কারী মুমিনদের সফলকাম বলেছেন। মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই সফলতা অর্জন করেছে মুমিনগণ, যারা তাদের নামাজে আন্তরিকভাবে বিনীত।’ (সুরা মুমিনুন: ১-২)
একাগ্রতা নামাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ নামাজ কবুল হওয়া এর ওপর নির্ভরশীল। আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত আছে, ‘এই উম্মত থেকে সবার আগে নামাজের একাগ্রতা উঠিয়ে নেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত উম্মতের মধ্যে কোনো খুশুবিশিষ্ট লোক দেখতে পাবে না।’ (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব)
মহানবী (সা.) নামাজি ব্যক্তিকে ডানে-বামে তাকাতে এবং দেহের কোনো অঙ্গ নিয়ে খেলা করতে নিষেধ করেছেন। এক হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘নবী (সা.) হজরত আনাসকে নির্দেশ দেন, সিজদার জায়গায় দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখো এবং ডানে-বামে ভ্রুক্ষেপ করো না।’ (বায়হাকি)
অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘নামাজের সময় আল্লাহ তাআলা সর্বক্ষণ বান্দার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখেন, যতক্ষণ না নামাজি অন্য কোনো দিকে ভ্রুক্ষেপ করে। যখন সে অন্য কোনো দিকে ভ্রুক্ষেপ করে, তখন আল্লাহ তাআলা তার দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন।’ (আবু দাউদ)
আরেক হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তিকে নামাজে দাড়ি নিয়ে খেলা করতে দেখে বললেন, এই ব্যক্তির অন্তরে খুশু থাকলে অঙ্গপ্রত্যঙ্গেও স্থিরতা থাকত।’ (আল-জামেউস সগির)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
১ দিন আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
১ দিন আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
২ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
২ দিন আগে