আবরার নাঈম
ধন-সম্পদের প্রাচুর্যে মানুষ অহংকারী হয়ে যায়। অসহায় গরিব-দুঃখীকে পাশ কাটিয়ে চলে। তাদের দিকে ঘৃণার চোখে তাকায়। কখনো সাহায্যের জন্য তাদের দ্বারস্থ হলে ধমকের সুরে কথা বলে; অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। অথচ কোনো ভিক্ষুক সাহায্য চাইলে তাকে উদারচিত্তে দান করা উচিত। কিছু দিতে না পারলে ভালোভাবে বিদায় করা চাই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং সাহায্যপ্রার্থীকে ধমকাবেন না।’ (সুরা দোহা: ১০)
অনেকে ঘরে দান করার মতো ধনসম্পদ রেখেও ভিক্ষুককে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়। এমনটা করা অনুচিত। নিজের সাধ্যানুযায়ী কিছু না কিছু দেওয়া উচিত। হোক সেটা অতি সামান্য। হজরত আবদুর রহমান ইবনে বুজাইদ (রহ.) থেকে তাঁর দাদি উন্মে বুজাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-এর কাছে যেসব নারী বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন, তিনিও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি রাসুল (সা.)-কে বললেন, ‘ভিক্ষুক এসে আমার দরজায় দাঁড়ায়, অথচ আমার হাতে তাকে দেওয়ার মতো কিছুই থাকে না।’ রাসুল (সা.) তাঁকে বললেন, ‘যদি তুমি (পশুর পায়ের) একটি ক্ষুর (খুবই সামান্য জিনিস) ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কিছু না পাও, তবে তাই তার হাতে তুলে দাও।’ (তিরমিজি: ৬৬৫)
দান-খয়রাতের দুনিয়াবি ও পরকালীন বহু উপকার রয়েছে। বিশেষ করে রমজান মাসে দান করার সওয়াব অনেক বেশি। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দান-খায়রাত আল্লাহ তাআলার অসন্তুষ্টি কমিয়ে দেয় এবং অপমানজনক মৃত্যু রোধ করে।’ (তিরমিজি: ৬৬৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ধন-সম্পদের প্রাচুর্যে মানুষ অহংকারী হয়ে যায়। অসহায় গরিব-দুঃখীকে পাশ কাটিয়ে চলে। তাদের দিকে ঘৃণার চোখে তাকায়। কখনো সাহায্যের জন্য তাদের দ্বারস্থ হলে ধমকের সুরে কথা বলে; অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। অথচ কোনো ভিক্ষুক সাহায্য চাইলে তাকে উদারচিত্তে দান করা উচিত। কিছু দিতে না পারলে ভালোভাবে বিদায় করা চাই। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং সাহায্যপ্রার্থীকে ধমকাবেন না।’ (সুরা দোহা: ১০)
অনেকে ঘরে দান করার মতো ধনসম্পদ রেখেও ভিক্ষুককে খালি হাতে ফিরিয়ে দেয়। এমনটা করা অনুচিত। নিজের সাধ্যানুযায়ী কিছু না কিছু দেওয়া উচিত। হোক সেটা অতি সামান্য। হজরত আবদুর রহমান ইবনে বুজাইদ (রহ.) থেকে তাঁর দাদি উন্মে বুজাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.)-এর কাছে যেসব নারী বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন, তিনিও তাঁদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি রাসুল (সা.)-কে বললেন, ‘ভিক্ষুক এসে আমার দরজায় দাঁড়ায়, অথচ আমার হাতে তাকে দেওয়ার মতো কিছুই থাকে না।’ রাসুল (সা.) তাঁকে বললেন, ‘যদি তুমি (পশুর পায়ের) একটি ক্ষুর (খুবই সামান্য জিনিস) ছাড়া তাকে দেওয়ার মতো আর কিছু না পাও, তবে তাই তার হাতে তুলে দাও।’ (তিরমিজি: ৬৬৫)
দান-খয়রাতের দুনিয়াবি ও পরকালীন বহু উপকার রয়েছে। বিশেষ করে রমজান মাসে দান করার সওয়াব অনেক বেশি। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দান-খায়রাত আল্লাহ তাআলার অসন্তুষ্টি কমিয়ে দেয় এবং অপমানজনক মৃত্যু রোধ করে।’ (তিরমিজি: ৬৬৪)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
৯ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগে