ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান
প্রতিটি প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। যেসব মৃত্যু আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়, এর মধ্যে শহীদি মৃত্যু একটি। ‘শহীদ’ অর্থ সাক্ষী, প্রত্যক্ষকারী। শহীদগণ মৃত্যুবরণ করার সঙ্গে সঙ্গে জান্নাত প্রত্যক্ষ করে। ইসলামের পরিভাষায় যারা আল্লাহর কালিমাকে সমুন্নত রাখার জন্য কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াইরত অবস্থায় নিহত হয়, তারাই শহীদ। তাদের কখনো মৃত বলা যাবে না। এরশাদ হচ্ছে, ‘যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদের মৃত বোলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা অনুভব করতে পারো না। (সুরা বাকারা: ১৫৪)। তবে যারা দুনিয়ার স্বার্থে ও লোভে পড়ে নিহত হয়, তারা শহীদ বলে পরিগণিত হবে না।
শহীদদের মর্যাদা অপরিসীম। তারা আল্লাহর কাছে খুবই সম্মানিত ও রিজিকপ্রাপ্ত হয়। এ প্রসঙ্গে এরশাদ হচ্ছে, ‘আর যারা আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছে, তাদের তুমি মৃত মনে কোরো না, বরং তারা তাদের রবের কাছে জীবিত। তাদের রিজিক দেওয়া হয়।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৬৯)
মহানবী (সা.) বলেন, কোনো ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করার পর আর দুনিয়ায় ফিরতে চাইবে না। যদি সে দুনিয়ার সকল কিছু পায়, তবু না। কিন্তু শহীদদের কথা আলাদা। সে চাইবে তাকে দুনিয়ায় ফিরে আনা হোক এবং ১০ বার তাকে আল্লাহর রাস্তায় শহীদ করা হোক। কারণ সে তার মর্যাদা দেখতে পাবে। (বুখারি)
শহীদের মর্যাদা সম্পর্কে আরও বর্ণিত আছে, শহীদের প্রথম রক্ত বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ক্ষমা করা হয় এবং সে জান্নাত প্রত্যক্ষ করে, তার কবর আজাব মাফ করা হয়, কিয়ামতের ভয়াবহতা থেকে সে নিরাপদ থাকবে, তাকে ইমানের এক জোড়া অলংকার পরানো হবে, ৭০ জন নিকটাত্মীয়ের জন্য সুপারিশ করতে পারবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিটি প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে। যেসব মৃত্যু আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়, এর মধ্যে শহীদি মৃত্যু একটি। ‘শহীদ’ অর্থ সাক্ষী, প্রত্যক্ষকারী। শহীদগণ মৃত্যুবরণ করার সঙ্গে সঙ্গে জান্নাত প্রত্যক্ষ করে। ইসলামের পরিভাষায় যারা আল্লাহর কালিমাকে সমুন্নত রাখার জন্য কাফিরদের বিরুদ্ধে লড়াইরত অবস্থায় নিহত হয়, তারাই শহীদ। তাদের কখনো মৃত বলা যাবে না। এরশাদ হচ্ছে, ‘যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদের মৃত বোলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা অনুভব করতে পারো না। (সুরা বাকারা: ১৫৪)। তবে যারা দুনিয়ার স্বার্থে ও লোভে পড়ে নিহত হয়, তারা শহীদ বলে পরিগণিত হবে না।
শহীদদের মর্যাদা অপরিসীম। তারা আল্লাহর কাছে খুবই সম্মানিত ও রিজিকপ্রাপ্ত হয়। এ প্রসঙ্গে এরশাদ হচ্ছে, ‘আর যারা আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছে, তাদের তুমি মৃত মনে কোরো না, বরং তারা তাদের রবের কাছে জীবিত। তাদের রিজিক দেওয়া হয়।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৬৯)
মহানবী (সা.) বলেন, কোনো ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করার পর আর দুনিয়ায় ফিরতে চাইবে না। যদি সে দুনিয়ার সকল কিছু পায়, তবু না। কিন্তু শহীদদের কথা আলাদা। সে চাইবে তাকে দুনিয়ায় ফিরে আনা হোক এবং ১০ বার তাকে আল্লাহর রাস্তায় শহীদ করা হোক। কারণ সে তার মর্যাদা দেখতে পাবে। (বুখারি)
শহীদের মর্যাদা সম্পর্কে আরও বর্ণিত আছে, শহীদের প্রথম রক্ত বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ক্ষমা করা হয় এবং সে জান্নাত প্রত্যক্ষ করে, তার কবর আজাব মাফ করা হয়, কিয়ামতের ভয়াবহতা থেকে সে নিরাপদ থাকবে, তাকে ইমানের এক জোড়া অলংকার পরানো হবে, ৭০ জন নিকটাত্মীয়ের জন্য সুপারিশ করতে পারবে।
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
হালাল পেশাকে ইসলাম মর্যাদার চোখে দেখে। হালাল পেশায় নিযুক্ত শ্রমিকের মর্যাদাও কম নয়। তাঁদের অধিকার নিশ্চিতের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে ইসলাম। প্রিয় নবী (সা.) বলেন ‘শ্রমিকেরা তোমাদেরই ভাই, আল্লাহ তাদের তোমাদের দায়িত্বে অর্পণ করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেইনসাফ ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে ইসলাম অনন্য। ইসলাম সমাজের সব স্তরের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা সুনিশ্চিত করেছে। মালিক-শ্রমিক একজনকে অপরজনের ভাইয়ের মর্যাদা দিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেকোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১ দিন আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
১ দিন আগে