মুফতি শাব্বির আহমদ
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) নতুন পোশাক পরিধান করার সময় এই দোয়া পড়তেন, ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি কাসানি মা-ওয়ারি বিহি আওরাতি ওয়া আতাজাম্মালু বিহি ফি হায়াতি।’ অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে কাপড় পরিয়েছেন, যা দিয়ে আমি লজ্জাস্থান ঢেকে রাখি এবং জীবনে সৌন্দর্য লাভ করি।’ (জামে তিরমিজি: ৩৫৬০)
নতুন পোশাক ছাড়া অন্যান্য পোশাক পরিধানেরও দোয়া বর্ণিত আছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে কাপড় পরিধানের পর এই দোয়া পড়বে, তার অতীতের সব গুনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেবেন। দোয়াটি হলো, ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি কাসানি হাজা, ওয়া রাজাকানি-হি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নি ওয়ালা কুওয়াহ।’ অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, যিনি আমাকে এই কাপড় পরিয়েছেন এবং আমাকে এটি আমার কোনো প্রচেষ্টা ও শক্তি ছাড়া দিয়েছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪০২৩)
নতুন পোশাক বাজার থেকে এনে অনেক সময় আমরা সেই কাপড় না ধুয়েই পরে ফেলি—এমনকি নামাজও আদায় করি সেই কাপড় পরে। নতুন কাপড় না ধুয়ে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে? ইসলাম কী বলে এ বিষয়ে—তা জানা জরুরি।
নতুন কাপড়টি নাপাক হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত না হলে তা পাক ধরা হবে। নিছক সন্দেহ বা মনের ধারণার ভিত্তিতে তা নাপাক বলা যাবে না। তবে কোনো নতুন কাপড়ে নাপাকি লাগা নিশ্চিত হলে কিংবা প্রবল ধারণা হলে সেটি অপবিত্র বলে গণ্য হবে। তাই বাহ্যিক কোনো নাপাক চোখে না পড়লে নতুন কাপড় না ধুয়ে পরিধান করা এবং তা গায়ে দিয়ে নামাজ আদায় করা জায়েজ। তবে উত্তম হলো ধুয়ে পরিধান করা।
তথ্যসূত্র: মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৪/৩৬২, রদ্দুল মুহতার: ১/২৮৩, আল-আশবাহ ওয়ান-নাজায়ের: ১৮৫
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নতুন কাপড় কেনা ও তা পরিধান করা একটি সাধারণ ঘটনা। কেউ ঈদের জন্য কেনে, কেউ বিয়ে-সাদির জন্য, কেউ বা নিজের প্রয়োজনে। নতুন কাপড় কিনে পরিধান করার সময় দোয়া পড়লে আল্লাহর বিশেষ রহমত পাওয়া যায়।
হজরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) নতুন পোশাক পরিধান করার সময় এই দোয়া পড়তেন, ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি কাসানি মা-ওয়ারি বিহি আওরাতি ওয়া আতাজাম্মালু বিহি ফি হায়াতি।’ অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে কাপড় পরিয়েছেন, যা দিয়ে আমি লজ্জাস্থান ঢেকে রাখি এবং জীবনে সৌন্দর্য লাভ করি।’ (জামে তিরমিজি: ৩৫৬০)
নতুন পোশাক ছাড়া অন্যান্য পোশাক পরিধানেরও দোয়া বর্ণিত আছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে কাপড় পরিধানের পর এই দোয়া পড়বে, তার অতীতের সব গুনাহ আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেবেন। দোয়াটি হলো, ‘আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি কাসানি হাজা, ওয়া রাজাকানি-হি মিন গাইরি হাওলিম মিন্নি ওয়ালা কুওয়াহ।’ অর্থ: ‘সব প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, যিনি আমাকে এই কাপড় পরিয়েছেন এবং আমাকে এটি আমার কোনো প্রচেষ্টা ও শক্তি ছাড়া দিয়েছেন। (সুনানে আবু দাউদ: ৪০২৩)
নতুন পোশাক বাজার থেকে এনে অনেক সময় আমরা সেই কাপড় না ধুয়েই পরে ফেলি—এমনকি নামাজও আদায় করি সেই কাপড় পরে। নতুন কাপড় না ধুয়ে নামাজ আদায় করলে কি তা শুদ্ধ হবে? ইসলাম কী বলে এ বিষয়ে—তা জানা জরুরি।
নতুন কাপড়টি নাপাক হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত না হলে তা পাক ধরা হবে। নিছক সন্দেহ বা মনের ধারণার ভিত্তিতে তা নাপাক বলা যাবে না। তবে কোনো নতুন কাপড়ে নাপাকি লাগা নিশ্চিত হলে কিংবা প্রবল ধারণা হলে সেটি অপবিত্র বলে গণ্য হবে। তাই বাহ্যিক কোনো নাপাক চোখে না পড়লে নতুন কাপড় না ধুয়ে পরিধান করা এবং তা গায়ে দিয়ে নামাজ আদায় করা জায়েজ। তবে উত্তম হলো ধুয়ে পরিধান করা।
তথ্যসূত্র: মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৪/৩৬২, রদ্দুল মুহতার: ১/২৮৩, আল-আশবাহ ওয়ান-নাজায়ের: ১৮৫
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১৭ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১৭ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
২০ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
২০ ঘণ্টা আগে