মুফতি ইশমাম আহমেদ
প্রশ্ন: নামাজ আদায়ের ছবি তুলে নিজেকে দ্বীনদার মুসল্লি হিসেবে প্রচার করার বিধান কী? এমন কাজ কি ইসলামে অনুমোদিত? কোরআন-হাদিসের আলোকে জানালে উপকৃত হব।
শামীম হোসাইন, ঢাকা
উত্তর: যেসব ইবাদত কেবল আল্লাহর জন্য করা উচিত, তা যদি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে করা হয়, সেটিকে ইসলামের পরিভাষায় ‘রিয়া’ বলা হয়। রিয়াযুক্ত ইবাদত হারাম। কারণ বান্দার ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র সত্তা মহান আল্লাহ। ইবাদতের ক্ষেত্রে তাঁর আর কোনো অংশীদার নেই। তাই ইবাদত হতে হবে সম্পূর্ণ তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এবং লোকদেখানো বা প্রদর্শনপ্রিয়তার মানসিকতা থেকে মুক্ত। সুতরাং বিভিন্নভাবে নামাজ আদায়ের ছবি তুলে তা প্রচার করে বেড়ানো নিঃসন্দেহে রিয়ার অন্তর্ভুক্ত এবং ইসলামের দৃষ্টিতে নিন্দনীয় কাজ।
হাদিসে এমন রিয়াযুক্ত নামাজকে গোপন শিরক বলা হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ে অবহিত করব না, যা আমার মতে তোমাদের জন্য দাজ্জালের চেয়েও ভয়ংকর?’ বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই বলুন।’ তিনি বললেন, ‘গোপন শিরক। মানুষ নামাজ আদায় করতে দাঁড়ায় এবং লোকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করে।’ (ইবনে মাজাহ)
নামাজের ছবি প্রচার করে মানুষের বাহবা কুড়ানোর মানসিকতা স্পষ্টতই মুনাফিকি ও কপটতা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়, আর তিনিও তাদের ধোঁকায় ফেলেন। ওরা যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন অলসভাবে দাঁড়ায়—লোক দেখানোর উদ্দেশে। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।’ (সুরা নিসা: ১৪২)
পরকালে এমন লোকদেখানো নামাজির পরিণাম হবে ভয়াবহ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাজির জন্য, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে বেখবর, যারা তা লোকদেখানোর জন্য করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
কিয়ামতের দিন এমন ইবাদতকারী কোনো সওয়াব ও প্রতিদান পাবে না। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা যখন কিয়ামতের দিন—যেদিনের আগমনে কোনো সন্দেহ নেই—পূর্বাপর সবাইকে একত্র করবেন, তখন একজন ঘোষক ঘোষণা করবেন—যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে গিয়ে এর মধ্যে কাউকে শরিক করেছে, সে যেন তাদের কাছে নিজের সওয়াব চেয়ে নেয়। কেননা মহান আল্লাহ শিরককারীর শিরক থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।’ (ইবনে মাজাহ)
আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) রিয়াযুক্ত ইবাদতকে ছোট শিরক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের ব্যাপারে ছোট শিরক নিয়ে যত ভয় পাচ্ছি, অন্য কোনো ব্যাপারে এত ভীত নই।’ সাহাবিরা বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, ছোট শিরক কী?’ তিনি বলেন, ‘ (ইবাদতে) রিয়া বা প্রদর্শনপ্রিয়তা। মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন বান্দার আমলের প্রতিদান দেওয়ার সময় বলবেন, তোমরা পৃথিবীতে যাদের দেখানোর জন্য আমল করতে, তাদের কাছে যাও। তাদের কাছে দেখো তোমাদের কোনো প্রতিদান আছে কি না?’ (মুসনাদে আহমদ)
উত্তর দিয়েছেন: ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: নামাজ আদায়ের ছবি তুলে নিজেকে দ্বীনদার মুসল্লি হিসেবে প্রচার করার বিধান কী? এমন কাজ কি ইসলামে অনুমোদিত? কোরআন-হাদিসের আলোকে জানালে উপকৃত হব।
শামীম হোসাইন, ঢাকা
উত্তর: যেসব ইবাদত কেবল আল্লাহর জন্য করা উচিত, তা যদি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে করা হয়, সেটিকে ইসলামের পরিভাষায় ‘রিয়া’ বলা হয়। রিয়াযুক্ত ইবাদত হারাম। কারণ বান্দার ইবাদতের উপযুক্ত একমাত্র সত্তা মহান আল্লাহ। ইবাদতের ক্ষেত্রে তাঁর আর কোনো অংশীদার নেই। তাই ইবাদত হতে হবে সম্পূর্ণ তাঁর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এবং লোকদেখানো বা প্রদর্শনপ্রিয়তার মানসিকতা থেকে মুক্ত। সুতরাং বিভিন্নভাবে নামাজ আদায়ের ছবি তুলে তা প্রচার করে বেড়ানো নিঃসন্দেহে রিয়ার অন্তর্ভুক্ত এবং ইসলামের দৃষ্টিতে নিন্দনীয় কাজ।
হাদিসে এমন রিয়াযুক্ত নামাজকে গোপন শিরক বলা হয়েছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ে অবহিত করব না, যা আমার মতে তোমাদের জন্য দাজ্জালের চেয়েও ভয়ংকর?’ বর্ণনাকারী বলেন, আমরা বললাম, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই বলুন।’ তিনি বললেন, ‘গোপন শিরক। মানুষ নামাজ আদায় করতে দাঁড়ায় এবং লোকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সুন্দরভাবে নামাজ আদায় করে।’ (ইবনে মাজাহ)
নামাজের ছবি প্রচার করে মানুষের বাহবা কুড়ানোর মানসিকতা স্পষ্টতই মুনাফিকি ও কপটতা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই মুনাফিকরা আল্লাহকে ধোঁকা দেয়, আর তিনিও তাদের ধোঁকায় ফেলেন। ওরা যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন অলসভাবে দাঁড়ায়—লোক দেখানোর উদ্দেশে। আর তারা আল্লাহকে অল্পই স্মরণ করে।’ (সুরা নিসা: ১৪২)
পরকালে এমন লোকদেখানো নামাজির পরিণাম হবে ভয়াবহ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাজির জন্য, যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে বেখবর, যারা তা লোকদেখানোর জন্য করে।’ (সুরা মাউন: ৪-৬)
কিয়ামতের দিন এমন ইবাদতকারী কোনো সওয়াব ও প্রতিদান পাবে না। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা যখন কিয়ামতের দিন—যেদিনের আগমনে কোনো সন্দেহ নেই—পূর্বাপর সবাইকে একত্র করবেন, তখন একজন ঘোষক ঘোষণা করবেন—যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করতে গিয়ে এর মধ্যে কাউকে শরিক করেছে, সে যেন তাদের কাছে নিজের সওয়াব চেয়ে নেয়। কেননা মহান আল্লাহ শিরককারীর শিরক থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।’ (ইবনে মাজাহ)
আরেক হাদিসে রাসুল (সা.) রিয়াযুক্ত ইবাদতকে ছোট শিরক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের ব্যাপারে ছোট শিরক নিয়ে যত ভয় পাচ্ছি, অন্য কোনো ব্যাপারে এত ভীত নই।’ সাহাবিরা বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, ছোট শিরক কী?’ তিনি বলেন, ‘ (ইবাদতে) রিয়া বা প্রদর্শনপ্রিয়তা। মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন বান্দার আমলের প্রতিদান দেওয়ার সময় বলবেন, তোমরা পৃথিবীতে যাদের দেখানোর জন্য আমল করতে, তাদের কাছে যাও। তাদের কাছে দেখো তোমাদের কোনো প্রতিদান আছে কি না?’ (মুসনাদে আহমদ)
উত্তর দিয়েছেন: ইসলামবিষয়ক গবেষক
বিশ্বাসভঙ্গের এক নির্মম রূপ বিশ্বাসঘাতকতা বা গাদ্দারি। এটি বিশ্বাসের বন্ধন ছিন্ন করে দেয়। বিশ্বাস মানুষের মনে-প্রাণে আস্থার দেয়াল গড়ে তোলে। আর বিশ্বাসঘাতকতা সেই দেয়ালে আঘাত করে ভেঙে ফেলে সবকিছু।
৩ ঘণ্টা আগেসময়ের এক গাঢ় দুপুরে, জ্ঞান ভুবনের দরজায় এক সন্ন্যাসী দাঁড়িয়ে ছিলেন—নীরব, দীপ্ত, অদ্ভুত নিরাসক্ত। তাঁর হাতে ছিল না কোনো তরবারি, ছিল কেবল এক কলম। তাঁর কণ্ঠে ছিল না কোনো উচ্চারণ, কিন্তু তাঁর লেখা যুগে যুগে উচ্চারিত হয়েছে পৃথিবীর সকল ভাষায়। তিনি ইবনে সিনা। মৃত্যু তাঁকে কেড়ে নেয় ১০৩৭ সালের ২২ জুন...
১৫ ঘণ্টা আগেঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
২১ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
২১ ঘণ্টা আগে