আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

আল্লাহ বড়ই মেহেরবান, ক্ষমাশীল। তিনি চান না তাঁর একটি বান্দাও জাহান্নামের আগুনে জ্বলুক। কেনই বা চাইবেন? তিনি যে বান্দাকে বড় ভালোবাসেন। চাঁদের চেয়ে অধিক সৌন্দর্যে, ফুলের চেয়েও অধিক শোভাবর্ধনে যে মানুষকে তিনি শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরিয়েছেন, সেই মানুষকে তিনি কীভাবে জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করবেন!
কিন্তু শয়তান তো আর বসে নেই। সে মানুষের চোখে প্রবঞ্চনার চশমা পরিয়ে দেয়। মানুষের চোখে তখন পাপাচার রঙিন প্রজাপতি হয়ে ওঠে। সেই প্রজাপতির পেছনে ছুটতে ছুটতে মানুষ জাহান্নামের গর্তে ঢুকে পড়ে। করুণাময় রব সেই গর্তেও তাঁর ক্ষমার হাত প্রসারিত করে দেন। আসলে তিনি ক্ষমা করতেই ভালোবাসেন। সে জন্যই বিশেষ কিছু সময় ও মুহূর্ত বান্দার জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন, আর ওই সময় ও মুহূর্তে তাঁর করুণাধারায় বান্দার পাপসমূহ ধুয়ে মুছে সাফ করে দেন।
নবীজি বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতে তাঁর (ক্ষমার) হাত প্রসারিত করেন, যাতে দিনে যারা পাপ করেছে; তারা তওবা করতে পারে। আর দিনে তাঁর (ক্ষমার) হাত প্রসারিত করেন, যাতে রাতে যারা পাপ করেছে; তারা তাওবা করতে পারে। এভাবে চলতে থাকে সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়া পর্যন্ত।’ (মুসলিম: ২৭৫৯)
রমজানের দ্বিতীয় দশক, এমনই এক সুবর্ণ সুযোগ। গুনাহ মাফের উত্তম সময়। এই মাগফিরাত বা ক্ষমার নহরে ডুব দিয়ে বান্দা তার পাপ-পঙ্কিলতা সাফ করে নেবে; এমনটাই তো রব চান। মাগফিরাতের এই পবিত্র সময়ে আল্লাহ যাঁদের ক্ষমা করবেন, তাঁরা হলেন—
আল্লাহর প্রিয় বান্দা
আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের কখনোই জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করবেন না। তবে এই প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য নেকআমল করা শর্ত। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা তাদের প্রতিপালকের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।’ (সুরা ফুরকান: ৬৩-৬৪)
আমরা একটু চেষ্টা করলেই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারি। এই যেমন সাহরি খাওয়ার আগে বা পরে দুই-চার রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারি। আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে যদি এভাবে বলি—আল্লাহ, আমি অতিশয় দুর্বল। তুমি মহা শক্তিধর। তেমনি ক্ষমাশীল। আমার দুর্বলতাই আমার ভুলের কারণ। তোমার ইবাদতে উদাসীনতা, তোমার দেখানো পথ থেকে দূরে সরে যাওয়া, পদস্খলন ও ত্রুটি-বিচ্যুতি এই সবই আমায় জাহান্নামের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। রাব্বুল আলামিন। তুমি দয়ার সাগর। তোমার দয়া, তোমার অনুগ্রহই কেবল আমাকে এই জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পারে।’
নামাজি
যাঁরা নামাজি, নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাঁদের তো গুনাহ থাকারই কথা নয়। কেন না, যারা প্রকৃত নামাজি তারা যেমন নামাজ পড়ে, তেমনি পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে। আবার প্রতি নামাজেই গুনাহ থেকে ক্ষমা চায়। তবুও যদি কোনো কারণে গুনাহ হয়েই যায়, আল্লাহ তাআলা নামাজের মাধ্যমে বান্দার গুনাহগুলো মাফ করে দেন। নবীজি বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা, এক রমজান থেকে আরেক রমজান এর মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহকে মিটিয়ে দেয়; যদি ওই ব্যক্তি কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ (মুসলিম: ২৩৩)
তওবাকারী
মানুষ তো গুনাহগার। শয়তানের দীর্ঘ প্রচেষ্টা, প্রবঞ্চনায় প্রতারিত হয়ে মুমিন যখন গুনাহর কাজে জড়িয়ে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করতে হবে। তাওবা এমনই এক পরশপাথর, যার মাধ্যমে মহাপাপীও গুনাহমুক্ত হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে, ‘গুনাহ থেকে তওবাকারী, গুনাহমুক্ত ব্যক্তির মতো।’ (ইবনে মাজাহ: ৪২৫০)
এ জন্যই নবীজি তওবার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আমাদের প্রতিনিয়ত তওবা করা উচিত। আর এমন তওবাই করতে হবে, যাতে অনুতাপ আছে। যে আবেগে বুকে ঢেউ উঠবে, সেই ঢেউ চোখের কূলে আছড়ে পড়তেই আল্লাহ তাআলা বান্দার সকল পাপ ক্ষমা করে দেন।
এ ছাড়া যাদের ইমান প্রদীপ একেবারে নিভে যায়নি, সমস্ত অহং, গরিমা ঝেড়ে ফেলে নিজেকে তুচ্ছ করে রবের কাছে পেশ করেন। দান-সদকা ও ভালো কাজের বিনিময়ে আল্লাহ যাদের ক্ষমা করবেন, তাদের পরিচয় প্রদানে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আত্মসমর্পণকারী পুরুষ ও নারী, বিশ্বাসী পুরুষ ও নারী, অনুগত পুরুষ ও নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও নারী, রোজাদার পুরুষ ও নারী, লজ্জাস্থান হেফাজতকারী পুরুষ ও নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও নারীদের জন্য আল্লাহ ক্ষমা ও মহা প্রতিদান রেখেছেন।’ (সুরা আহযাব: ৩৫)
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আল্লাহ বড়ই মেহেরবান, ক্ষমাশীল। তিনি চান না তাঁর একটি বান্দাও জাহান্নামের আগুনে জ্বলুক। কেনই বা চাইবেন? তিনি যে বান্দাকে বড় ভালোবাসেন। চাঁদের চেয়ে অধিক সৌন্দর্যে, ফুলের চেয়েও অধিক শোভাবর্ধনে যে মানুষকে তিনি শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরিয়েছেন, সেই মানুষকে তিনি কীভাবে জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করবেন!
কিন্তু শয়তান তো আর বসে নেই। সে মানুষের চোখে প্রবঞ্চনার চশমা পরিয়ে দেয়। মানুষের চোখে তখন পাপাচার রঙিন প্রজাপতি হয়ে ওঠে। সেই প্রজাপতির পেছনে ছুটতে ছুটতে মানুষ জাহান্নামের গর্তে ঢুকে পড়ে। করুণাময় রব সেই গর্তেও তাঁর ক্ষমার হাত প্রসারিত করে দেন। আসলে তিনি ক্ষমা করতেই ভালোবাসেন। সে জন্যই বিশেষ কিছু সময় ও মুহূর্ত বান্দার জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন, আর ওই সময় ও মুহূর্তে তাঁর করুণাধারায় বান্দার পাপসমূহ ধুয়ে মুছে সাফ করে দেন।
নবীজি বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতে তাঁর (ক্ষমার) হাত প্রসারিত করেন, যাতে দিনে যারা পাপ করেছে; তারা তওবা করতে পারে। আর দিনে তাঁর (ক্ষমার) হাত প্রসারিত করেন, যাতে রাতে যারা পাপ করেছে; তারা তাওবা করতে পারে। এভাবে চলতে থাকে সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়া পর্যন্ত।’ (মুসলিম: ২৭৫৯)
রমজানের দ্বিতীয় দশক, এমনই এক সুবর্ণ সুযোগ। গুনাহ মাফের উত্তম সময়। এই মাগফিরাত বা ক্ষমার নহরে ডুব দিয়ে বান্দা তার পাপ-পঙ্কিলতা সাফ করে নেবে; এমনটাই তো রব চান। মাগফিরাতের এই পবিত্র সময়ে আল্লাহ যাঁদের ক্ষমা করবেন, তাঁরা হলেন—
আল্লাহর প্রিয় বান্দা
আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের কখনোই জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করবেন না। তবে এই প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য নেকআমল করা শর্ত। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা তাদের প্রতিপালকের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।’ (সুরা ফুরকান: ৬৩-৬৪)
আমরা একটু চেষ্টা করলেই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারি। এই যেমন সাহরি খাওয়ার আগে বা পরে দুই-চার রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারি। আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে যদি এভাবে বলি—আল্লাহ, আমি অতিশয় দুর্বল। তুমি মহা শক্তিধর। তেমনি ক্ষমাশীল। আমার দুর্বলতাই আমার ভুলের কারণ। তোমার ইবাদতে উদাসীনতা, তোমার দেখানো পথ থেকে দূরে সরে যাওয়া, পদস্খলন ও ত্রুটি-বিচ্যুতি এই সবই আমায় জাহান্নামের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। রাব্বুল আলামিন। তুমি দয়ার সাগর। তোমার দয়া, তোমার অনুগ্রহই কেবল আমাকে এই জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পারে।’
নামাজি
যাঁরা নামাজি, নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাঁদের তো গুনাহ থাকারই কথা নয়। কেন না, যারা প্রকৃত নামাজি তারা যেমন নামাজ পড়ে, তেমনি পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে। আবার প্রতি নামাজেই গুনাহ থেকে ক্ষমা চায়। তবুও যদি কোনো কারণে গুনাহ হয়েই যায়, আল্লাহ তাআলা নামাজের মাধ্যমে বান্দার গুনাহগুলো মাফ করে দেন। নবীজি বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা, এক রমজান থেকে আরেক রমজান এর মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহকে মিটিয়ে দেয়; যদি ওই ব্যক্তি কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ (মুসলিম: ২৩৩)
তওবাকারী
মানুষ তো গুনাহগার। শয়তানের দীর্ঘ প্রচেষ্টা, প্রবঞ্চনায় প্রতারিত হয়ে মুমিন যখন গুনাহর কাজে জড়িয়ে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করতে হবে। তাওবা এমনই এক পরশপাথর, যার মাধ্যমে মহাপাপীও গুনাহমুক্ত হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে, ‘গুনাহ থেকে তওবাকারী, গুনাহমুক্ত ব্যক্তির মতো।’ (ইবনে মাজাহ: ৪২৫০)
এ জন্যই নবীজি তওবার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আমাদের প্রতিনিয়ত তওবা করা উচিত। আর এমন তওবাই করতে হবে, যাতে অনুতাপ আছে। যে আবেগে বুকে ঢেউ উঠবে, সেই ঢেউ চোখের কূলে আছড়ে পড়তেই আল্লাহ তাআলা বান্দার সকল পাপ ক্ষমা করে দেন।
এ ছাড়া যাদের ইমান প্রদীপ একেবারে নিভে যায়নি, সমস্ত অহং, গরিমা ঝেড়ে ফেলে নিজেকে তুচ্ছ করে রবের কাছে পেশ করেন। দান-সদকা ও ভালো কাজের বিনিময়ে আল্লাহ যাদের ক্ষমা করবেন, তাদের পরিচয় প্রদানে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আত্মসমর্পণকারী পুরুষ ও নারী, বিশ্বাসী পুরুষ ও নারী, অনুগত পুরুষ ও নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও নারী, রোজাদার পুরুষ ও নারী, লজ্জাস্থান হেফাজতকারী পুরুষ ও নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও নারীদের জন্য আল্লাহ ক্ষমা ও মহা প্রতিদান রেখেছেন।’ (সুরা আহযাব: ৩৫)
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আমিনুল ইসলাম হুসাইনী

আল্লাহ বড়ই মেহেরবান, ক্ষমাশীল। তিনি চান না তাঁর একটি বান্দাও জাহান্নামের আগুনে জ্বলুক। কেনই বা চাইবেন? তিনি যে বান্দাকে বড় ভালোবাসেন। চাঁদের চেয়ে অধিক সৌন্দর্যে, ফুলের চেয়েও অধিক শোভাবর্ধনে যে মানুষকে তিনি শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরিয়েছেন, সেই মানুষকে তিনি কীভাবে জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করবেন!
কিন্তু শয়তান তো আর বসে নেই। সে মানুষের চোখে প্রবঞ্চনার চশমা পরিয়ে দেয়। মানুষের চোখে তখন পাপাচার রঙিন প্রজাপতি হয়ে ওঠে। সেই প্রজাপতির পেছনে ছুটতে ছুটতে মানুষ জাহান্নামের গর্তে ঢুকে পড়ে। করুণাময় রব সেই গর্তেও তাঁর ক্ষমার হাত প্রসারিত করে দেন। আসলে তিনি ক্ষমা করতেই ভালোবাসেন। সে জন্যই বিশেষ কিছু সময় ও মুহূর্ত বান্দার জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন, আর ওই সময় ও মুহূর্তে তাঁর করুণাধারায় বান্দার পাপসমূহ ধুয়ে মুছে সাফ করে দেন।
নবীজি বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতে তাঁর (ক্ষমার) হাত প্রসারিত করেন, যাতে দিনে যারা পাপ করেছে; তারা তওবা করতে পারে। আর দিনে তাঁর (ক্ষমার) হাত প্রসারিত করেন, যাতে রাতে যারা পাপ করেছে; তারা তাওবা করতে পারে। এভাবে চলতে থাকে সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়া পর্যন্ত।’ (মুসলিম: ২৭৫৯)
রমজানের দ্বিতীয় দশক, এমনই এক সুবর্ণ সুযোগ। গুনাহ মাফের উত্তম সময়। এই মাগফিরাত বা ক্ষমার নহরে ডুব দিয়ে বান্দা তার পাপ-পঙ্কিলতা সাফ করে নেবে; এমনটাই তো রব চান। মাগফিরাতের এই পবিত্র সময়ে আল্লাহ যাঁদের ক্ষমা করবেন, তাঁরা হলেন—
আল্লাহর প্রিয় বান্দা
আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের কখনোই জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করবেন না। তবে এই প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য নেকআমল করা শর্ত। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা তাদের প্রতিপালকের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।’ (সুরা ফুরকান: ৬৩-৬৪)
আমরা একটু চেষ্টা করলেই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারি। এই যেমন সাহরি খাওয়ার আগে বা পরে দুই-চার রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারি। আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে যদি এভাবে বলি—আল্লাহ, আমি অতিশয় দুর্বল। তুমি মহা শক্তিধর। তেমনি ক্ষমাশীল। আমার দুর্বলতাই আমার ভুলের কারণ। তোমার ইবাদতে উদাসীনতা, তোমার দেখানো পথ থেকে দূরে সরে যাওয়া, পদস্খলন ও ত্রুটি-বিচ্যুতি এই সবই আমায় জাহান্নামের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। রাব্বুল আলামিন। তুমি দয়ার সাগর। তোমার দয়া, তোমার অনুগ্রহই কেবল আমাকে এই জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পারে।’
নামাজি
যাঁরা নামাজি, নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাঁদের তো গুনাহ থাকারই কথা নয়। কেন না, যারা প্রকৃত নামাজি তারা যেমন নামাজ পড়ে, তেমনি পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে। আবার প্রতি নামাজেই গুনাহ থেকে ক্ষমা চায়। তবুও যদি কোনো কারণে গুনাহ হয়েই যায়, আল্লাহ তাআলা নামাজের মাধ্যমে বান্দার গুনাহগুলো মাফ করে দেন। নবীজি বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা, এক রমজান থেকে আরেক রমজান এর মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহকে মিটিয়ে দেয়; যদি ওই ব্যক্তি কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ (মুসলিম: ২৩৩)
তওবাকারী
মানুষ তো গুনাহগার। শয়তানের দীর্ঘ প্রচেষ্টা, প্রবঞ্চনায় প্রতারিত হয়ে মুমিন যখন গুনাহর কাজে জড়িয়ে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করতে হবে। তাওবা এমনই এক পরশপাথর, যার মাধ্যমে মহাপাপীও গুনাহমুক্ত হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে, ‘গুনাহ থেকে তওবাকারী, গুনাহমুক্ত ব্যক্তির মতো।’ (ইবনে মাজাহ: ৪২৫০)
এ জন্যই নবীজি তওবার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আমাদের প্রতিনিয়ত তওবা করা উচিত। আর এমন তওবাই করতে হবে, যাতে অনুতাপ আছে। যে আবেগে বুকে ঢেউ উঠবে, সেই ঢেউ চোখের কূলে আছড়ে পড়তেই আল্লাহ তাআলা বান্দার সকল পাপ ক্ষমা করে দেন।
এ ছাড়া যাদের ইমান প্রদীপ একেবারে নিভে যায়নি, সমস্ত অহং, গরিমা ঝেড়ে ফেলে নিজেকে তুচ্ছ করে রবের কাছে পেশ করেন। দান-সদকা ও ভালো কাজের বিনিময়ে আল্লাহ যাদের ক্ষমা করবেন, তাদের পরিচয় প্রদানে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আত্মসমর্পণকারী পুরুষ ও নারী, বিশ্বাসী পুরুষ ও নারী, অনুগত পুরুষ ও নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও নারী, রোজাদার পুরুষ ও নারী, লজ্জাস্থান হেফাজতকারী পুরুষ ও নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও নারীদের জন্য আল্লাহ ক্ষমা ও মহা প্রতিদান রেখেছেন।’ (সুরা আহযাব: ৩৫)
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আল্লাহ বড়ই মেহেরবান, ক্ষমাশীল। তিনি চান না তাঁর একটি বান্দাও জাহান্নামের আগুনে জ্বলুক। কেনই বা চাইবেন? তিনি যে বান্দাকে বড় ভালোবাসেন। চাঁদের চেয়ে অধিক সৌন্দর্যে, ফুলের চেয়েও অধিক শোভাবর্ধনে যে মানুষকে তিনি শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরিয়েছেন, সেই মানুষকে তিনি কীভাবে জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করবেন!
কিন্তু শয়তান তো আর বসে নেই। সে মানুষের চোখে প্রবঞ্চনার চশমা পরিয়ে দেয়। মানুষের চোখে তখন পাপাচার রঙিন প্রজাপতি হয়ে ওঠে। সেই প্রজাপতির পেছনে ছুটতে ছুটতে মানুষ জাহান্নামের গর্তে ঢুকে পড়ে। করুণাময় রব সেই গর্তেও তাঁর ক্ষমার হাত প্রসারিত করে দেন। আসলে তিনি ক্ষমা করতেই ভালোবাসেন। সে জন্যই বিশেষ কিছু সময় ও মুহূর্ত বান্দার জন্য সংরক্ষিত রেখেছেন, আর ওই সময় ও মুহূর্তে তাঁর করুণাধারায় বান্দার পাপসমূহ ধুয়ে মুছে সাফ করে দেন।
নবীজি বলেছেন, ‘আল্লাহ তাআলা রাতে তাঁর (ক্ষমার) হাত প্রসারিত করেন, যাতে দিনে যারা পাপ করেছে; তারা তওবা করতে পারে। আর দিনে তাঁর (ক্ষমার) হাত প্রসারিত করেন, যাতে রাতে যারা পাপ করেছে; তারা তাওবা করতে পারে। এভাবে চলতে থাকে সূর্য পশ্চিম দিক থেকে উদিত হওয়া পর্যন্ত।’ (মুসলিম: ২৭৫৯)
রমজানের দ্বিতীয় দশক, এমনই এক সুবর্ণ সুযোগ। গুনাহ মাফের উত্তম সময়। এই মাগফিরাত বা ক্ষমার নহরে ডুব দিয়ে বান্দা তার পাপ-পঙ্কিলতা সাফ করে নেবে; এমনটাই তো রব চান। মাগফিরাতের এই পবিত্র সময়ে আল্লাহ যাঁদের ক্ষমা করবেন, তাঁরা হলেন—
আল্লাহর প্রিয় বান্দা
আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের কখনোই জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ করবেন না। তবে এই প্রিয় বান্দা হওয়ার জন্য নেকআমল করা শর্ত। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর প্রিয় বান্দা তারা, যারা তাদের প্রতিপালকের দরবারে সিজদা করে এবং দাঁড়িয়ে থেকেই রাত কাটিয়ে দেয়।’ (সুরা ফুরকান: ৬৩-৬৪)
আমরা একটু চেষ্টা করলেই আল্লাহর প্রিয় বান্দা হতে পারি। এই যেমন সাহরি খাওয়ার আগে বা পরে দুই-চার রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারি। আল্লাহর কাছে দুই হাত তুলে যদি এভাবে বলি—আল্লাহ, আমি অতিশয় দুর্বল। তুমি মহা শক্তিধর। তেমনি ক্ষমাশীল। আমার দুর্বলতাই আমার ভুলের কারণ। তোমার ইবাদতে উদাসীনতা, তোমার দেখানো পথ থেকে দূরে সরে যাওয়া, পদস্খলন ও ত্রুটি-বিচ্যুতি এই সবই আমায় জাহান্নামের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। রাব্বুল আলামিন। তুমি দয়ার সাগর। তোমার দয়া, তোমার অনুগ্রহই কেবল আমাকে এই জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পারে।’
নামাজি
যাঁরা নামাজি, নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, তাঁদের তো গুনাহ থাকারই কথা নয়। কেন না, যারা প্রকৃত নামাজি তারা যেমন নামাজ পড়ে, তেমনি পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে। আবার প্রতি নামাজেই গুনাহ থেকে ক্ষমা চায়। তবুও যদি কোনো কারণে গুনাহ হয়েই যায়, আল্লাহ তাআলা নামাজের মাধ্যমে বান্দার গুনাহগুলো মাফ করে দেন। নবীজি বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে আরেক জুমা, এক রমজান থেকে আরেক রমজান এর মধ্যবর্তী সময়ের গুনাহকে মিটিয়ে দেয়; যদি ওই ব্যক্তি কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ (মুসলিম: ২৩৩)
তওবাকারী
মানুষ তো গুনাহগার। শয়তানের দীর্ঘ প্রচেষ্টা, প্রবঞ্চনায় প্রতারিত হয়ে মুমিন যখন গুনাহর কাজে জড়িয়ে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করতে হবে। তাওবা এমনই এক পরশপাথর, যার মাধ্যমে মহাপাপীও গুনাহমুক্ত হয়ে যায়। হাদিসে এসেছে, ‘গুনাহ থেকে তওবাকারী, গুনাহমুক্ত ব্যক্তির মতো।’ (ইবনে মাজাহ: ৪২৫০)
এ জন্যই নবীজি তওবার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। আমাদের প্রতিনিয়ত তওবা করা উচিত। আর এমন তওবাই করতে হবে, যাতে অনুতাপ আছে। যে আবেগে বুকে ঢেউ উঠবে, সেই ঢেউ চোখের কূলে আছড়ে পড়তেই আল্লাহ তাআলা বান্দার সকল পাপ ক্ষমা করে দেন।
এ ছাড়া যাদের ইমান প্রদীপ একেবারে নিভে যায়নি, সমস্ত অহং, গরিমা ঝেড়ে ফেলে নিজেকে তুচ্ছ করে রবের কাছে পেশ করেন। দান-সদকা ও ভালো কাজের বিনিময়ে আল্লাহ যাদের ক্ষমা করবেন, তাদের পরিচয় প্রদানে পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আত্মসমর্পণকারী পুরুষ ও নারী, বিশ্বাসী পুরুষ ও নারী, অনুগত পুরুষ ও নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও নারী, রোজাদার পুরুষ ও নারী, লজ্জাস্থান হেফাজতকারী পুরুষ ও নারী, আল্লাহকে অধিক স্মরণকারী পুরুষ ও নারীদের জন্য আল্লাহ ক্ষমা ও মহা প্রতিদান রেখেছেন।’ (সুরা আহযাব: ৩৫)
লেখক: খতিব, কসবা জামে মসজিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
৩ ঘণ্টা আগে
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’
১ দিন আগেকাউসার লাবীব

সপ্তাহজুড়ে কর্মব্যস্ততা, নানা চাহিদা আর ক্লান্তির পর মুসলিম জীবনের এক বিশেষ অবলম্বন হলো জুমার দিন। এটি শুধু একটি সপ্তাহান্ত নয়—বরং তা ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি অপূর্ব সুযোগ। হাদিসে এসেছে, জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
এ ছাড়া এই দিনের রয়েছে আলাদা মর্যাদা ও ফজিলত। তাই শুধু জুমার নামাজ আদায় করলেই নয়, বরং যথাযথ প্রস্তুতি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত পালনের মাধ্যমেই এ দিনের পূর্ণ কল্যাণ লাভ সম্ভব।
জুমার দিনের বেশ ফজিলতপূর্ণ কিছু আমল রয়েছে। যেমন—
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
তাই জুমাবার দিনের বেলায় কেউ ব্যস্ততা বা কোনো কারণে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের সুযোগ করতে না পারলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে তা জুমার দিনে পড়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
পাশাপাশি জুমার প্রস্তুতিও রাত থেকেই শুরু হতে পারে। রাতে আগে আগে ঘুমিয়ে যাওয়া, জুমায় যাওয়ার পোশাক প্রস্তুত করে রাখাসহ যেসব কাজ আগেই সেরে ফেলা যায়—তা সেরে ফেললেই ভালো। জুমার মূল প্রস্তুতি শুরু হবে জুমার দিন সকাল থেকে। নবী করিম (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস থেকে জুমার নামাজের প্রস্তুতি বিষয়ে যা জানা যায়, তা তুলে ধরা হলো—
১. জুমার নামাজের প্রস্তুতি মেসওয়াক করার মাধ্যমে শুরু হতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করতেন। নবীজি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের জন্য যদি কঠিন না মনে করতাম—তাহলে প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম।’ (সহিহ্ বুখারি)
২. জুমার নামাজে যাওয়ার জন্য এ দিন একটু আগে আগে মিসওয়াক করে অজু করে গোসল সেরে নেওয়া উচিত। জুমার দিন গোসল করা সুন্নত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ জুমার নামাজে এলে সে যেন গোসল করে আসে।’ (সহিহ্ বুখারি)
৩. গোসল শেষে জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তেল মাখা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। (সহিহ্ বুখারি)
৪. জুমার নামাজে যাওয়ার সময় সাধ্য অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ভালো পোশাক পরা উত্তম। (সহিহ্ বুখারি)
৫. প্রস্তুতি শেষে জুমার দিন আগেভাগেই মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত। কেননা, এতে রয়েছে বিশেষ নেকি পাওয়ার সম্ভাবনা।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা জুমার দিনে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লেখেন। সবার আগে যে আসে, তার নামে একটি উট সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। তারপর যে আসে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একটি গাভি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি মুরগি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে আসেন—তখন ফেরেশতারা আমল লেখার খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৮৮২)
৬. পায়ে হেঁটে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার মধ্যে রয়েছে বিশেষ সওয়াব। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন যে গোসল করে জুমার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যাবে, যাওয়ার সময় কোনো বাহনে চড়বে না—হেঁটে যাবে, ইমামের কাছাকাছি বসবে, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না—সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে এক বছর নফল রোজা রাখা ও এক বছর নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব পাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৫, জামে তিরমিজি: ৪৫৬)
৭. মসজিদে যাওয়ার পর মনোযোগ দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা উচিত। নবী করিম (সা.) এমনটিই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জুমার দিনে যে ব্যক্তি মাথা ও শরীর ধুয়ে ভালোভাবে গোসল করে জুমার সময়ের প্রথম সময়েই কোনো বাহনে আরোহণ না করে হেঁটে মসজিদে যায় এবং ইমামের কাছাকাছি বসে, নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনে, কোনো অনর্থক কাজ না করে—তার প্রত্যেক কদমে এক বছর আমল করার সওয়াব হবে।’ (সুনানে নাসায়ি: ১৩৮৪)
এককথায় জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়গুলো হলো—
এভাবে প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করলে এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত হওয়া সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করল, নিজের সাধ্যমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা করল, তারপর তেল ও সুগন্ধ ব্যবহার করল, অতঃপর দ্বিপ্রহরের পর মসজিদে গিয়ে এভাবে বসল—দুজন লোককে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করেনি অর্থাৎ দুজনের মাঝখানে জোর করে প্রবেশ করেনি। তারপর সে তার ওপর নির্ধারিত নামাজ আদায় করল, ইমাম যখন (মিম্বারের দিকে) বের হলো, তখন সে চুপচাপ (বসে খুতবা শুনতে) থাকল, তা হলে সে এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত যত পাপ করেছে, ওই সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)
জুমা মানেই শুধুমাত্র মসজিদে যাওয়া নয়, বরং এ দিনটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইবাদতের দিন। ছোট ছোট কিছু প্রস্তুতি ও আমলের মাধ্যমে এ দিনের ফজিলতকে অর্জন করা যায়। সঠিকভাবে গোসল, পরিচ্ছন্নতা, খুশবু, আগেভাগে যাওয়া, খুতবা শোনা এবং দরুদ-দোয়া—এসবই আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল।

সপ্তাহজুড়ে কর্মব্যস্ততা, নানা চাহিদা আর ক্লান্তির পর মুসলিম জীবনের এক বিশেষ অবলম্বন হলো জুমার দিন। এটি শুধু একটি সপ্তাহান্ত নয়—বরং তা ইবাদত, আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি অপূর্ব সুযোগ। হাদিসে এসেছে, জুমার দিন সপ্তাহের সেরা দিন। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)
এ ছাড়া এই দিনের রয়েছে আলাদা মর্যাদা ও ফজিলত। তাই শুধু জুমার নামাজ আদায় করলেই নয়, বরং যথাযথ প্রস্তুতি ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত পালনের মাধ্যমেই এ দিনের পূর্ণ কল্যাণ লাভ সম্ভব।
জুমার দিনের বেশ ফজিলতপূর্ণ কিছু আমল রয়েছে। যেমন—
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
তাই জুমাবার দিনের বেলায় কেউ ব্যস্ততা বা কোনো কারণে সুরা কাহাফ তিলাওয়াতের সুযোগ করতে না পারলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করলে তা জুমার দিনে পড়া হয়েছে বলে গণ্য হবে।
পাশাপাশি জুমার প্রস্তুতিও রাত থেকেই শুরু হতে পারে। রাতে আগে আগে ঘুমিয়ে যাওয়া, জুমায় যাওয়ার পোশাক প্রস্তুত করে রাখাসহ যেসব কাজ আগেই সেরে ফেলা যায়—তা সেরে ফেললেই ভালো। জুমার মূল প্রস্তুতি শুরু হবে জুমার দিন সকাল থেকে। নবী করিম (সা.)-এর বিভিন্ন হাদিস থেকে জুমার নামাজের প্রস্তুতি বিষয়ে যা জানা যায়, তা তুলে ধরা হলো—
১. জুমার নামাজের প্রস্তুতি মেসওয়াক করার মাধ্যমে শুরু হতে পারে। আল্লাহর রাসুল (সা.) প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করতেন। নবীজি বলেছেন, ‘আমার উম্মতের জন্য যদি কঠিন না মনে করতাম—তাহলে প্রত্যেক নামাজের সময় মেসওয়াক করার আদেশ দিতাম।’ (সহিহ্ বুখারি)
২. জুমার নামাজে যাওয়ার জন্য এ দিন একটু আগে আগে মিসওয়াক করে অজু করে গোসল সেরে নেওয়া উচিত। জুমার দিন গোসল করা সুন্নত। নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ জুমার নামাজে এলে সে যেন গোসল করে আসে।’ (সহিহ্ বুখারি)
৩. গোসল শেষে জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তেল মাখা এবং সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। (সহিহ্ বুখারি)
৪. জুমার নামাজে যাওয়ার সময় সাধ্য অনুযায়ী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ভালো পোশাক পরা উত্তম। (সহিহ্ বুখারি)
৫. প্রস্তুতি শেষে জুমার দিন আগেভাগেই মসজিদে উপস্থিত হওয়া উচিত। কেননা, এতে রয়েছে বিশেষ নেকি পাওয়ার সম্ভাবনা।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘ফেরেশতারা জুমার দিনে মসজিদের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা প্রথম থেকে পর্যায়ক্রমে আগন্তুকদের নাম লেখেন। সবার আগে যে আসে, তার নামে একটি উট সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। তারপর যে আসে ওই ব্যক্তির আমলনামায় একটি গাভি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি মুরগি, তারপর আগমনকারীর নামে একটি ডিম সদকা করার সওয়াব লেখা হয়। এরপর যখন ইমাম খুতবা দিতে আসেন—তখন ফেরেশতারা আমল লেখার খাতা বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ দিয়ে খুতবা শোনেন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৮৮২)
৬. পায়ে হেঁটে জুমার নামাজের জন্য মসজিদে যাওয়ার মধ্যে রয়েছে বিশেষ সওয়াব। প্রিয় নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন যে গোসল করে জুমার সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে যাবে, যাওয়ার সময় কোনো বাহনে চড়বে না—হেঁটে যাবে, ইমামের কাছাকাছি বসবে, খুতবা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং খুতবার সময় কোনো অনর্থক কাজকর্ম করবে না—সে মসজিদে আসার প্রতিটি কদমে এক বছর নফল রোজা রাখা ও এক বছর নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব পাবে।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৪৫, জামে তিরমিজি: ৪৫৬)
৭. মসজিদে যাওয়ার পর মনোযোগ দিয়ে নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনা উচিত। নবী করিম (সা.) এমনটিই নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জুমার দিনে যে ব্যক্তি মাথা ও শরীর ধুয়ে ভালোভাবে গোসল করে জুমার সময়ের প্রথম সময়েই কোনো বাহনে আরোহণ না করে হেঁটে মসজিদে যায় এবং ইমামের কাছাকাছি বসে, নিশ্চুপ হয়ে খুতবা শোনে, কোনো অনর্থক কাজ না করে—তার প্রত্যেক কদমে এক বছর আমল করার সওয়াব হবে।’ (সুনানে নাসায়ি: ১৩৮৪)
এককথায় জুমার প্রস্তুতি নেওয়ার বিষয়গুলো হলো—
এভাবে প্রস্তুতি নিয়ে জুমার নামাজ আদায় করলে এক জুমা থেকে আরেক জুমা পর্যন্ত হওয়া সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। নবী করিম (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন গোসল করল, কাপড়-চোপড় পরিষ্কার করল, নিজের সাধ্যমতো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা করল, তারপর তেল ও সুগন্ধ ব্যবহার করল, অতঃপর দ্বিপ্রহরের পর মসজিদে গিয়ে এভাবে বসল—দুজন লোককে পরস্পর বিচ্ছিন্ন করেনি অর্থাৎ দুজনের মাঝখানে জোর করে প্রবেশ করেনি। তারপর সে তার ওপর নির্ধারিত নামাজ আদায় করল, ইমাম যখন (মিম্বারের দিকে) বের হলো, তখন সে চুপচাপ (বসে খুতবা শুনতে) থাকল, তা হলে সে এক জুমা থেকে অন্য জুমা পর্যন্ত যত পাপ করেছে, ওই সব পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (সহিহ্ বুখারি)
জুমা মানেই শুধুমাত্র মসজিদে যাওয়া নয়, বরং এ দিনটি একটি পূর্ণাঙ্গ ইবাদতের দিন। ছোট ছোট কিছু প্রস্তুতি ও আমলের মাধ্যমে এ দিনের ফজিলতকে অর্জন করা যায়। সঠিকভাবে গোসল, পরিচ্ছন্নতা, খুশবু, আগেভাগে যাওয়া, খুতবা শোনা এবং দরুদ-দোয়া—এসবই আল্লাহর কাছে প্রিয় আমল।

আল্লাহ বড়ই মেহেরবান, ক্ষমাশীল। তিনি চান না তাঁর একটি বান্দাও জাহান্নামের আগুনে জ্বলুক। কেনই বা চাইবেন? তিনি যে বান্দাকে বড় ভালোবাসেন। চাঁদের চেয়ে অধিক...
০৭ এপ্রিল ২০২৩
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
পারিবারিক জীবনে সুখের অন্যতম মাধ্যম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। দুই মনের দুজন এক ছাদের নিচে বসবাস শুরু করার পর কখনো অযাচিত মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে। সংসারজীবনে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এই স্বাভাবিক বিষয় যেন জটিলতার দিকে এগোতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পরিবারে কোনোভাবেই সন্দেহ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যাবে না। সন্দেহ সম্পর্ককে তিলে তিলে ক্ষয় করে। কখনো একজন রেগে গেলে অন্যজনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। নিজেদের মাঝে অভিমান জমা হলে আগের ভালোবাসার মুহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব রাগ-অভিমান পেছনে ফেলে একে অপরকে আপন করে নিতে হবে।
আবু বকর (রা.) একবার আয়েশা (রা.)-এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন, তিনি নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে জোরগলায় কথা বলছেন। তখন তিনি আয়েশা (রা.)-কে বলেন, ‘তুমি আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে এভাবে উঁচু গলায় কথা বলছ!’ ঠিক ওই সময় নবী করিম (সা.) আবু বকরকে (রা.) থামিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর হজরত আবু বকর বের হয়ে যান। তখন নবীজি (সা.) প্রিয়তমা স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বলেন, ‘দেখলে, কীভাবে তোমাকে ওই লোকের হাত থেকে বাঁচালাম!’ কিছুক্ষণ পর আবার আবু বকর (রা.) এসে তাঁদের দুজনকেই হাসতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), যুদ্ধের সময় আপনারা যেভাবে আমাকে দলে নিয়েছিলেন, সন্ধির সময়ও সেভাবে দলে নিন।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৭৯২৭)
পারিবারিক, সাংসারিক ও দাম্পত্যজীবনে সুখ বজায় রাখতে পারস্পরিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা অপরিহার্য। স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকেরই আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। সেসব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকলে পরিবারে নেমে আসে অনাবিল সুখ।

সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
পারিবারিক জীবনে সুখের অন্যতম মাধ্যম ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা। দুই মনের দুজন এক ছাদের নিচে বসবাস শুরু করার পর কখনো অযাচিত মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে। সংসারজীবনে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এই স্বাভাবিক বিষয় যেন জটিলতার দিকে এগোতে না পারে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। পরিবারে কোনোভাবেই সন্দেহ প্রবেশের সুযোগ দেওয়া যাবে না। সন্দেহ সম্পর্ককে তিলে তিলে ক্ষয় করে। কখনো একজন রেগে গেলে অন্যজনকে ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। নিজেদের মাঝে অভিমান জমা হলে আগের ভালোবাসার মুহূর্তগুলোর কথা স্মরণ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব রাগ-অভিমান পেছনে ফেলে একে অপরকে আপন করে নিতে হবে।
আবু বকর (রা.) একবার আয়েশা (রা.)-এর ঘরে প্রবেশ করে দেখলেন, তিনি নবীজি (সা.)-এর সঙ্গে জোরগলায় কথা বলছেন। তখন তিনি আয়েশা (রা.)-কে বলেন, ‘তুমি আল্লাহর রাসুলের (সা.) সঙ্গে এভাবে উঁচু গলায় কথা বলছ!’ ঠিক ওই সময় নবী করিম (সা.) আবু বকরকে (রা.) থামিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর হজরত আবু বকর বের হয়ে যান। তখন নবীজি (সা.) প্রিয়তমা স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করার জন্য বলেন, ‘দেখলে, কীভাবে তোমাকে ওই লোকের হাত থেকে বাঁচালাম!’ কিছুক্ষণ পর আবার আবু বকর (রা.) এসে তাঁদের দুজনকেই হাসতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), যুদ্ধের সময় আপনারা যেভাবে আমাকে দলে নিয়েছিলেন, সন্ধির সময়ও সেভাবে দলে নিন।’ (মুসনাদে আহমদ: ১৭৯২৭)
পারিবারিক, সাংসারিক ও দাম্পত্যজীবনে সুখ বজায় রাখতে পারস্পরিক দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা অপরিহার্য। স্বামী-স্ত্রী প্রত্যেকেরই আলাদা দায়িত্ব রয়েছে। সেসব দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকলে পরিবারে নেমে আসে অনাবিল সুখ।

আল্লাহ বড়ই মেহেরবান, ক্ষমাশীল। তিনি চান না তাঁর একটি বান্দাও জাহান্নামের আগুনে জ্বলুক। কেনই বা চাইবেন? তিনি যে বান্দাকে বড় ভালোবাসেন। চাঁদের চেয়ে অধিক...
০৭ এপ্রিল ২০২৩
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫৩ মিনিট | ০৬: ১০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৪: ৫২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত। প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৪: ৫২ মিনিট |
| ফজর | ০৪: ৫৩ মিনিট | ০৬: ১০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৪৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩১ মিনিট | ০৪: ৫২ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আল্লাহ বড়ই মেহেরবান, ক্ষমাশীল। তিনি চান না তাঁর একটি বান্দাও জাহান্নামের আগুনে জ্বলুক। কেনই বা চাইবেন? তিনি যে বান্দাকে বড় ভালোবাসেন। চাঁদের চেয়ে অধিক...
০৭ এপ্রিল ২০২৩
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
৩ ঘণ্টা আগে
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
১৩ ঘণ্টা আগে
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

কোরআন নুর, আলো এবং এক চিরন্তন মুজিজা। এটি কেবল একটি কিতাব নয়, বরং মুমিন হৃদয়ের জন্য পরম শান্তি ও প্রশান্তির উৎস। কোরআন পাঠ করা মুমিনদের জন্য এক অফুরন্ত কল্যাণের পথ।
আল্লাহর কিতাব পাঠ ও সে অনুযায়ী আমল করা দুনিয়ার সব ব্যবসার চেয়ে বহুগুণে উত্তম ও নিরাপদ। এই ব্যবসায় কোনো ক্ষতি নেই, আছে শুধু লাভ আর লাভ, যা আমাদের আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির: ২৯-৩০)
আল্লাহর প্রিয় বান্দারা সব সময় এই লাভজনক ব্যবসার সন্ধানে রত ছিলেন। এই ব্যবসার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান দেব—যা তোমাদের রক্ষা করবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হতে?’ (সুরা সাফ: ১০)
যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়নে রত থাকে, ইমানের সঙ্গে তা পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে এবং নেক আমল করে, আল্লাহ পরকালে তাদের কর্মের প্রতিদান তাদের কল্পনার চেয়েও বহুগুণ বেশি দেবেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও দয়াময়।
কোরআন পাঠকারী মুমিনদের জন্য মহান আল্লাহ বহু মর্যাদা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন:
উহুদের শহীদদের দাফনের ক্ষেত্রেও নবীজি (সা.) তাদের মধ্য থেকে কোরআন সম্পর্কে অধিক জ্ঞান রাখতেন এমন ব্যক্তিকে কবরে আগে রাখতেন। এটি কোরআন পাঠকারীর মর্যাদারই প্রমাণ।
কোরআন পাঠ করা, এর অর্থ বোঝা এবং তদনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা আমাদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবসা এবং মুক্তি লাভের একমাত্র পথ। আসুন, আমরা বেশি বেশি করে কোরআন পাঠ করি এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার পথে অগ্রসর হই।
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক

কোরআন নুর, আলো এবং এক চিরন্তন মুজিজা। এটি কেবল একটি কিতাব নয়, বরং মুমিন হৃদয়ের জন্য পরম শান্তি ও প্রশান্তির উৎস। কোরআন পাঠ করা মুমিনদের জন্য এক অফুরন্ত কল্যাণের পথ।
আল্লাহর কিতাব পাঠ ও সে অনুযায়ী আমল করা দুনিয়ার সব ব্যবসার চেয়ে বহুগুণে উত্তম ও নিরাপদ। এই ব্যবসায় কোনো ক্ষতি নেই, আছে শুধু লাভ আর লাভ, যা আমাদের আল্লাহর শাস্তি থেকে রক্ষা করে।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে, আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারাই আশা করতে পারে, তাদের এমন ব্যবসায়ের, যার ক্ষয় নেই। এ জন্য যে আল্লাহ তাদের কর্মের পূর্ণ প্রতিফল দেবেন এবং নিজ অনুগ্রহে তাদের আরও বেশি দেবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী।’ (সুরা ফাতির: ২৯-৩০)
আল্লাহর প্রিয় বান্দারা সব সময় এই লাভজনক ব্যবসার সন্ধানে রত ছিলেন। এই ব্যবসার প্রতি আহ্বান জানিয়ে আল্লাহ বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আমি কি তোমাদের এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান দেব—যা তোমাদের রক্ষা করবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি হতে?’ (সুরা সাফ: ১০)
যারা আল্লাহর কিতাব অধ্যয়নে রত থাকে, ইমানের সঙ্গে তা পাঠ করে, নামাজ কায়েম করে এবং নেক আমল করে, আল্লাহ পরকালে তাদের কর্মের প্রতিদান তাদের কল্পনার চেয়েও বহুগুণ বেশি দেবেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল ও দয়াময়।
কোরআন পাঠকারী মুমিনদের জন্য মহান আল্লাহ বহু মর্যাদা ও পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন:
উহুদের শহীদদের দাফনের ক্ষেত্রেও নবীজি (সা.) তাদের মধ্য থেকে কোরআন সম্পর্কে অধিক জ্ঞান রাখতেন এমন ব্যক্তিকে কবরে আগে রাখতেন। এটি কোরআন পাঠকারীর মর্যাদারই প্রমাণ।
কোরআন পাঠ করা, এর অর্থ বোঝা এবং তদনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা আমাদের জন্য সর্বোত্তম ব্যবসা এবং মুক্তি লাভের একমাত্র পথ। আসুন, আমরা বেশি বেশি করে কোরআন পাঠ করি এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার পথে অগ্রসর হই।
লেখক: মাওলানা সাইফুল ইসলাম সালেহী, ইসলামবিষয়ক গবেষক

আল্লাহ বড়ই মেহেরবান, ক্ষমাশীল। তিনি চান না তাঁর একটি বান্দাও জাহান্নামের আগুনে জ্বলুক। কেনই বা চাইবেন? তিনি যে বান্দাকে বড় ভালোবাসেন। চাঁদের চেয়ে অধিক...
০৭ এপ্রিল ২০২৩
এই আমলগুলো বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকেই শুরু করা যায়। কারণ, বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত হলো ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী জুমার দিন। অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে জুমার দিন শুরু হয়ে যায়। কেননা, ইসলামি পঞ্জিকায় রাত আগে আসে। দিন আসে পরে।
৩ ঘণ্টা আগে
সুখময় পরিবার জীবনের অমূল্য সম্পদ। সুখী সংসারকে বলা হয় দুনিয়ার জান্নাত। পরিবার আমাদের আশ্রয়, ভালোবাসা ও সাহসের উৎস। পরিবারে একে অপরের পাশে থাকলে সব বাধা সহজে অতিক্রম করা যায়। ছোঁয়া যায় ভালোবাসার আকাশ। মাখা যায় সুখের আবেশ। এ ক্ষেত্রে মহানবী (সা.) হতে পারেন উত্তম আদর্শ।
১৩ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২০ ঘণ্টা আগে