আবরার নাঈম
পৃথিবীর ইতিহাসে শাসকশ্রেণির ভূমিকা সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পষ্ট। শাসকের সুশাসন যেমন একটি জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে, তেমনি অন্যায়ের শাসন জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে শাসক ও শাসিত উভয়ের জন্যই পথনির্দেশনা প্রদান করেছে।
কোরআন ও হাদিসে একজন আদর্শ শাসকের যেসব গুণাবলির কথা বলা হয়েছে, তা শুধু ধর্মীয় নির্দেশনা নয়, বরং একটি আদর্শ রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল স্তম্ভও। নিচে কোরআন ও হাদিসভিত্তিক শাসকের কিছু গুণাবলি তুলে ধরা হলো।
১. আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন ও অনুরাগ: আল্লাহভীরু ও তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ। একজন শাসকের প্রতিটি কাজের নিয়ত হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি দাউদকে দান করলাম সুলাইমান (-এর মতো পুত্র)। সে ছিল উত্তম বান্দা। নিশ্চয়ই সে ছিল অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী।’ (সুরা ছাদ: ৩০)
২. ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা: ক্ষমতা পাওয়া মানেই নিজের ইচ্ছামতো শাসন নয়, বরং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা।
আল্লাহ বলেন, ‘হে দাউদ, আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, সুতরাং তুমি মানুষের মাঝে ইনসাফের সঙ্গে বিচার করো এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ (সুরা ছাদ: ২৬)
৩. নামাজের প্রতি যত্নশীলতা: নামাজের গুরুত্ব শুধু ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বেও প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। যে নামাজে অবহেলা করবে, সে শাসনেও অবহেলা করতে পারে।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে আবু জর, আমার পরে এমন কিছু আমির আসবে, যারা নামাজকে হত্যা করবে (অর্থাৎ সময়মতো আদায় করবে না)।’ (জামে তিরমিজি: ১৭৬)
৪. জনগণের কল্যাণে নিবেদিত হওয়া: একজন আদর্শ শাসক জনতার সেবক। তিনি জনগণের প্রয়োজন ও নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেবেন।
আল্লাহ তাআলা জুলকারনাইনের জনকল্যাণমূলক নেতৃত্বের বর্ণনায় বলেন, ‘সে বলল, আমার প্রতিপালক আমাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন, তাই উত্তম। সুতরাং তোমরা শ্রম দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করো, আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে এক শক্ত প্রাচীর নির্মাণ করে দেব।’ (সুরা কাহফ: ৯৫)
৫. রাষ্ট্রীয় দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা: শাসনব্যবস্থায় দক্ষতা অপরিহার্য। অযোগ্য ব্যক্তি দায়িত্ব চাইলেও তা গ্রহণ করা উচিত নয়। তবে নিজেকে উপযুক্ত মনে করলে তা গ্রহণ করা জায়েজ।
ইউসুফ (আ.) বলেছিলেন, ‘আপনি আমাকে দেশের সম্পদ সংরক্ষণের দায়িত্ব দিন, আমি রক্ষণাবেক্ষণে পারদর্শী ও জ্ঞানী।’ (সুরা ইউসুফ: ৫৫)
শাসনব্যবস্থার চাবিকাঠি শাসকের হাতে। তাই একজন শাসককে হতে হবে পরহেজগার, ন্যায়পরায়ণ, কর্মঠ ও আল্লাহভীরু। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে পরিচালিত শাসকই সমাজে শান্তি, সুবিচার ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম।
কিয়ামতের দিনে শাসকদের সম্পর্কে কঠিন হিসাব নেওয়া হবে—এ কথাও বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত আছে। সুতরাং শাসনভার গ্রহণ যেমন সম্মানের, তেমনি তা দায়িত্ব ও জবাবদিহির এক বড় পরীক্ষা। একমাত্র যোগ্য, সৎ ও আল্লাহভীরু শাসকরাই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন।
পৃথিবীর ইতিহাসে শাসকশ্রেণির ভূমিকা সর্বদাই গুরুত্বপূর্ণ ও স্পষ্ট। শাসকের সুশাসন যেমন একটি জাতিকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে পারে, তেমনি অন্যায়ের শাসন জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে শাসক ও শাসিত উভয়ের জন্যই পথনির্দেশনা প্রদান করেছে।
কোরআন ও হাদিসে একজন আদর্শ শাসকের যেসব গুণাবলির কথা বলা হয়েছে, তা শুধু ধর্মীয় নির্দেশনা নয়, বরং একটি আদর্শ রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল স্তম্ভও। নিচে কোরআন ও হাদিসভিত্তিক শাসকের কিছু গুণাবলি তুলে ধরা হলো।
১. আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তন ও অনুরাগ: আল্লাহভীরু ও তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন শাসকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুণ। একজন শাসকের প্রতিটি কাজের নিয়ত হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমি দাউদকে দান করলাম সুলাইমান (-এর মতো পুত্র)। সে ছিল উত্তম বান্দা। নিশ্চয়ই সে ছিল অতিশয় আল্লাহ অভিমুখী।’ (সুরা ছাদ: ৩০)
২. ইনসাফ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা: ক্ষমতা পাওয়া মানেই নিজের ইচ্ছামতো শাসন নয়, বরং দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা।
আল্লাহ বলেন, ‘হে দাউদ, আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি, সুতরাং তুমি মানুষের মাঝে ইনসাফের সঙ্গে বিচার করো এবং প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না।’ (সুরা ছাদ: ২৬)
৩. নামাজের প্রতি যত্নশীলতা: নামাজের গুরুত্ব শুধু ব্যক্তি নয়, রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বেও প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। যে নামাজে অবহেলা করবে, সে শাসনেও অবহেলা করতে পারে।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে আবু জর, আমার পরে এমন কিছু আমির আসবে, যারা নামাজকে হত্যা করবে (অর্থাৎ সময়মতো আদায় করবে না)।’ (জামে তিরমিজি: ১৭৬)
৪. জনগণের কল্যাণে নিবেদিত হওয়া: একজন আদর্শ শাসক জনতার সেবক। তিনি জনগণের প্রয়োজন ও নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দেবেন।
আল্লাহ তাআলা জুলকারনাইনের জনকল্যাণমূলক নেতৃত্বের বর্ণনায় বলেন, ‘সে বলল, আমার প্রতিপালক আমাকে যে ক্ষমতা দিয়েছেন, তাই উত্তম। সুতরাং তোমরা শ্রম দিয়ে আমাকে সহযোগিতা করো, আমি তোমাদের ও তাদের মধ্যে এক শক্ত প্রাচীর নির্মাণ করে দেব।’ (সুরা কাহফ: ৯৫)
৫. রাষ্ট্রীয় দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকা: শাসনব্যবস্থায় দক্ষতা অপরিহার্য। অযোগ্য ব্যক্তি দায়িত্ব চাইলেও তা গ্রহণ করা উচিত নয়। তবে নিজেকে উপযুক্ত মনে করলে তা গ্রহণ করা জায়েজ।
ইউসুফ (আ.) বলেছিলেন, ‘আপনি আমাকে দেশের সম্পদ সংরক্ষণের দায়িত্ব দিন, আমি রক্ষণাবেক্ষণে পারদর্শী ও জ্ঞানী।’ (সুরা ইউসুফ: ৫৫)
শাসনব্যবস্থার চাবিকাঠি শাসকের হাতে। তাই একজন শাসককে হতে হবে পরহেজগার, ন্যায়পরায়ণ, কর্মঠ ও আল্লাহভীরু। কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে পরিচালিত শাসকই সমাজে শান্তি, সুবিচার ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম।
কিয়ামতের দিনে শাসকদের সম্পর্কে কঠিন হিসাব নেওয়া হবে—এ কথাও বিভিন্ন হাদিসে বর্ণিত আছে। সুতরাং শাসনভার গ্রহণ যেমন সম্মানের, তেমনি তা দায়িত্ব ও জবাবদিহির এক বড় পরীক্ষা। একমাত্র যোগ্য, সৎ ও আল্লাহভীরু শাসকরাই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন।
মানুষের মুখের ভাষা তার অন্তরের প্রতিচ্ছবি। একজন মুমিনের মুখের ভাষা শুধু তার ব্যক্তিগত আচরণ নয়; বরং তার ইমান, চরিত্র এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যের পরিচায়ক। ইসলাম এমন একটি জীবনব্যবস্থা, যা মানুষের প্রতিটি দিককে শুদ্ধ ও সুন্দর করার শিক্ষা দেয়। মুখের ভাষা তার অন্যতম।
৪ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের শহরগুলোর নামকরণের পেছনে রয়েছে ইতিহাস, ভূগোল, এবং আধ্যাত্মিকতার গভীর সম্পর্ক। মক্কা ও মদিনা থেকে শুরু করে জেদ্দা এবং নিওম পর্যন্ত, এই শহরগুলোর নাম তাদের উৎপত্তি ও তাৎপর্যকে নির্দেশ করে।
১১ ঘণ্টা আগেনামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগেইসলামের দৃষ্টিতে পরিচ্ছন্নতা ও পবিত্রতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ইসলাম শুধু ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার ওপর জোর দেয় না, বরং সামাজিক, পরিবেশগত ও আধ্যাত্মিক পরিচ্ছন্নতাকেও সমান গুরুত্ব দেয়।
১৬ ঘণ্টা আগে