আপনার জিজ্ঞাসা
মুফতি হাসান আরিফ
প্রশ্ন: মাঝেমধ্যে অজুর সময় কুলি করতে ভুলে যাই। এতে কি অজুর কোনো সমস্যা হবে? কুলি না করলে কি অজু শুদ্ধ হয়? জানতে চাই।
মুসাব্বির আহমেদ, বগুড়া
উত্তর: অজু পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। নামাজের জন্য অজু আবশ্যক। হাদিসে অজুকে নামাজের চাবি আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অজু করার পদ্ধতি বর্ণনা করে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যখন নামাজের জন্য উঠবে, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল ও কনুই পর্যন্ত হস্তদ্বয় ধৌত করবে। আর তোমাদের মাথা মাসেহ করবে এবং পা গোড়ালি পর্যন্ত ধৌত করবে। তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাকো, তবে বিধিমতো পবিত্রতা অর্জন করবে।’ (সুরা মায়েদা: ৬)। এই আয়াত অনুযায়ী ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা বলেন, অজুর সময় চারটি অঙ্গ ধৌত করা আবশ্যক বা ফরজ। সেগুলো হলো, ১. মুখমণ্ডল। ২. দুই হাত কনুই পর্যন্ত। ৩. উভয় পা টাখনু পর্যন্ত। এসব অঙ্গ ধৌত করতে হবে। আর মাথা মাসেহ করতে হবে। এই চার থেকে কোনো একটি ইচ্ছায় বা ভুলে ছেড়ে দিলে অজু হবে না। এমন অজু দিয়ে নামাজ আদায় করলে নামাজও শুদ্ধ হবে না। শুদ্ধভাবে অজু করে আবার সেই নামাজ আদায় করতে হবে।
অজুতে কুলি করা সুন্নত। ভুলে অজু করার সময় কুলি না করলে অজু হয়ে যাবে, তবে সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার কারণে অজুর পরিপূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না। (কিতাবুল আছল: ১/৩২, ফাতহুল কাদির: ১/২৩, শরহুল মুনয়া: পৃ-৩২)
মনে রাখার বিষয় হলো, নামাজের বিষয়ে যেমন যত্নশীল হওয়া আবশ্যক, তেমনি অজুর প্রতিও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক। অজু করার সময় মনোযোগের সঙ্গে যত্ন নিয়ে অজু করতে হবে। প্রতিটি অঙ্গ ভালোভাবে ধৌত করতে হবে। অজুর ফরজ, সুন্নত ও মুস্তাহাব বিষয়গুলো যেন কোনোভাবেই ছুটে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অজুর আগে, মাঝে ও পরে যে দোয়া আছে, সেগুলো পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
নবীজি (সা.)-এর অজু যেমন ছিল
উসমান ইবনে আফফান (রা.) একবার পাত্র থেকে সামান্য পানি ডান হাতের ওপর ঢেলে তা ধুলেন। পরে তিনি সেই হাত পানির মধ্যে প্রবেশ করিয়ে তিনবার কুলি ও তিনবার নাক পরিষ্কার করলেন। এরপর মুখমণ্ডল তিনবার ধুলেন, তিনবার করে ডান ও বাঁ হাত ধুলেন। অতঃপর তিনি পাত্রের মধ্যে হাত দিয়ে পানি তুলে মাথা ও কান মাসেহ করলেন। এ সময় তিনি কানের ভেতর ও বহিরাংশ একবার করে মাসেহ করলেন। সবশেষে তিনি দুই পা ধুয়ে বললেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এভাবে অজু করতে দেখেছি।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৮)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি হাসান আরিফ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: মাঝেমধ্যে অজুর সময় কুলি করতে ভুলে যাই। এতে কি অজুর কোনো সমস্যা হবে? কুলি না করলে কি অজু শুদ্ধ হয়? জানতে চাই।
মুসাব্বির আহমেদ, বগুড়া
উত্তর: অজু পবিত্রতা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। নামাজের জন্য অজু আবশ্যক। হাদিসে অজুকে নামাজের চাবি আখ্যা দেওয়া হয়েছে। অজু করার পদ্ধতি বর্ণনা করে পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘হে মুমিনগণ, তোমরা যখন নামাজের জন্য উঠবে, তখন তোমাদের মুখমণ্ডল ও কনুই পর্যন্ত হস্তদ্বয় ধৌত করবে। আর তোমাদের মাথা মাসেহ করবে এবং পা গোড়ালি পর্যন্ত ধৌত করবে। তোমরা যদি অপবিত্র অবস্থায় থাকো, তবে বিধিমতো পবিত্রতা অর্জন করবে।’ (সুরা মায়েদা: ৬)। এই আয়াত অনুযায়ী ইসলামবিষয়ক গবেষকেরা বলেন, অজুর সময় চারটি অঙ্গ ধৌত করা আবশ্যক বা ফরজ। সেগুলো হলো, ১. মুখমণ্ডল। ২. দুই হাত কনুই পর্যন্ত। ৩. উভয় পা টাখনু পর্যন্ত। এসব অঙ্গ ধৌত করতে হবে। আর মাথা মাসেহ করতে হবে। এই চার থেকে কোনো একটি ইচ্ছায় বা ভুলে ছেড়ে দিলে অজু হবে না। এমন অজু দিয়ে নামাজ আদায় করলে নামাজও শুদ্ধ হবে না। শুদ্ধভাবে অজু করে আবার সেই নামাজ আদায় করতে হবে।
অজুতে কুলি করা সুন্নত। ভুলে অজু করার সময় কুলি না করলে অজু হয়ে যাবে, তবে সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার কারণে অজুর পরিপূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে না। (কিতাবুল আছল: ১/৩২, ফাতহুল কাদির: ১/২৩, শরহুল মুনয়া: পৃ-৩২)
মনে রাখার বিষয় হলো, নামাজের বিষয়ে যেমন যত্নশীল হওয়া আবশ্যক, তেমনি অজুর প্রতিও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া আবশ্যক। অজু করার সময় মনোযোগের সঙ্গে যত্ন নিয়ে অজু করতে হবে। প্রতিটি অঙ্গ ভালোভাবে ধৌত করতে হবে। অজুর ফরজ, সুন্নত ও মুস্তাহাব বিষয়গুলো যেন কোনোভাবেই ছুটে না যায়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। অজুর আগে, মাঝে ও পরে যে দোয়া আছে, সেগুলো পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।
নবীজি (সা.)-এর অজু যেমন ছিল
উসমান ইবনে আফফান (রা.) একবার পাত্র থেকে সামান্য পানি ডান হাতের ওপর ঢেলে তা ধুলেন। পরে তিনি সেই হাত পানির মধ্যে প্রবেশ করিয়ে তিনবার কুলি ও তিনবার নাক পরিষ্কার করলেন। এরপর মুখমণ্ডল তিনবার ধুলেন, তিনবার করে ডান ও বাঁ হাত ধুলেন। অতঃপর তিনি পাত্রের মধ্যে হাত দিয়ে পানি তুলে মাথা ও কান মাসেহ করলেন। এ সময় তিনি কানের ভেতর ও বহিরাংশ একবার করে মাসেহ করলেন। সবশেষে তিনি দুই পা ধুয়ে বললেন, ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এভাবে অজু করতে দেখেছি।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১০৮)
উত্তর দিয়েছেন: মুফতি হাসান আরিফ, ইসলামবিষয়ক গবেষক
জুমার খুতবা চলাকালে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে? যেমন ফেসবুক স্ক্রল করা, মেসেঞ্জার চেক করা ইত্যাদি। এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১১ ঘণ্টা আগেজুমার নামাজ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হয়। এটি মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রাপ্তবয়স্ক ও মানসিকভাবে সুস্থ সব পুরুষের জন্য জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। জুমার খুতবা শোনাও ওয়াজিব। তাই জুমার জন্য আগেভাগে প্রস্তুতি নিয়ে মসজিদে উপস্থিত হওয়া মুমিনের...
১১ ঘণ্টা আগেজুলুম এক অন্ধকার, যা মানবতাকে গ্রাস করার চেষ্টা করেছে প্রতিটি যুগে। কিন্তু চিরন্তন সত্য হলো, জুলুম ক্ষণস্থায়ী, আর মজলুমের বিজয় সুনিশ্চিত। মজলুমের কান্না আল্লাহর আরশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তার দোয়ার মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না। নবীজি (সা.) সতর্ক করে বলেছেন, ‘মজলুমের দোয়াকে ভয় করো। কারণ, তার (দোয়া) এবং আল্লা
১৪ ঘণ্টা আগেনবীজি (সা.) সমগ্র সৃষ্টিজগতের জন্য রহমতস্বরূপ। তাঁর দয়া ও ভালোবাসা শুধু মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না, তা পশুপাখিসহ সব প্রাণীর প্রতি প্রসারিত হয়েছিল। তবে বিড়ালের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিড়ালের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা ইসলামে প্রাণীর অধিকারের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে