কাউসার লাবীব

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা। বিয়ের হল থেকে শুরু করে খাবার, আসবাব, উপহার—সবই এখানে বিনা মূল্যে। ফ্রি ওয়েডিং হলে সুন্নত মেনে অপচয়বিহীন হয় বিয়ের আয়োজন। সমাজকল্যাণমূলক এই কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এই মসজিদ শুধু নামাজের আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর রয়েছে নানা জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ। যেমন মসজিদ দস্তরখান, মসজিদ ক্লিনিক, মসজিদ ল্যাব, ফার্মেসি, টিউশন সেন্টার, বায়তুল মাল এবং শিশুদের খেলাধুলা ও ব্যক্তিত্ব গঠনের কোর্স। তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রম উদ্যোগটি হলো মসজিদের দৃষ্টিনন্দন বিয়ের হল, যেখানে অসচ্ছল পরিবারগুলো সম্মানের সঙ্গে বিনা খরচে বিয়ের আয়োজন করতে পারে।
পাকিস্তানে সাধারণ একটি বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনে গড়ে ৫ থেকে ১০ লাখ রুপি ব্যয় হয়। রাওয়ালপিন্ডির এক অভিজাত বিয়ের হলের মালিক শেখ আসিম খলিলের তথ্য অনুযায়ী, ‘শুধু হল ভাড়া ও খাবারের খরচেই এখন ১০ লাখ রুপি লেগে যায়। মঞ্চ সাজানো, বাড়তি খাবার ও আলোকসজ্জা—এসব যোগ হলে খরচ আরও দ্বিগুণ হয়।’ এই প্রেক্ষাপটে মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এমন উদ্যোগ স্বস্তি ও সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
মসজিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুরাদ সাজিদের ভাষায়, ‘বিয়ের মতো পবিত্র কাজের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত এবং অসহায় অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা দূর করতেই এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখানে যারা আসে, তাদের জন্য বিয়ের হল, আধুনিক আসবাব, বিয়েসংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জাম, খাবারের ব্যবস্থা, ক্যাটারিং স্টাফ, বর-কনের আলাদা রুম—সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেসব কন্যা এতিম বা গরিব পরিবার থেকে আসেন, তাঁদের জন্য বিয়ের খরচের পাশাপাশি উপহারসামগ্রীও সরবরাহ করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।’
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের আর্থিক ব্যবস্থার বিষয়ে মুরাদ সাজিদ বলেন, ‘আমরা কখনোই কারও কাছে চাঁদা চাই না। মসজিদের ২২টি জনকল্যাণমূলক খাত রয়েছে, যা সমাজের দানশীল মানুষের দেওয়া অনুদানে পরিচালিত হয়। এ ছাড়া মসজিদের অনলাইন অ্যাকাউন্টেও অনেকেই নিয়মিত দান করে থাকেন।’
এই মসজিদের ফ্রি ওয়েডিং হলে কেউ চাইলে নিজ খরচের মাধ্যমেও বিয়ের আয়োজন করতে পারেন। সুন্নত মেনে বিয়ে করতে আগ্রহী অনেকেই এমনটি করেছেন ইতিমধ্যে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় এখানে বিয়ে করা এক দম্পতির সঙ্গে। বর মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেন, ‘আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই হই-হুল্লোড় আর অপ্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ি। কিন্তু এখানে আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণে বিয়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি—এটাই শান্তি।’
কনে আমিনা ইরশাদ বলেন, ‘আমার সব সময় ইচ্ছা ছিল সুন্নতের অনুসরণে মসজিদে বিয়ে হোক। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি চাই, তরুণ প্রজন্ম সাদাসিধে বিয়েতে উৎসাহিত হোক, যৌতুক প্রথা ও অবৈধ রীতিনীতিকে “না” বলুক।’
কনের বাবা ইরশাদ বেগ বলেন, ‘ইসলাম আমাদের সাদামাটা জীবনযাপন এবং সহজভাবে বিয়ে সম্পন্ন করতে বলে। আমরা এমন একটি জায়গার খোঁজ করছিলাম, যেখানে ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী মেয়েকে বিদায় জানাতে পারি। এই মসজিদ আমাদের সেই সুযোগ দিয়েছে।’
মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ও চিরাচরিত সংকটগুলোর সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অনাড়ম্বর, সুন্নতি বিয়ের এই আয়োজন একদিকে যেমন আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলোর জন্য স্বস্তির কারণ, অন্যদিকে সমাজে একটি নতুন দৃষ্টান্তও স্থাপন করছে।
ইনডিপেনডেন্ট উর্দু

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা। বিয়ের হল থেকে শুরু করে খাবার, আসবাব, উপহার—সবই এখানে বিনা মূল্যে। ফ্রি ওয়েডিং হলে সুন্নত মেনে অপচয়বিহীন হয় বিয়ের আয়োজন। সমাজকল্যাণমূলক এই কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এই মসজিদ শুধু নামাজের আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর রয়েছে নানা জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ। যেমন মসজিদ দস্তরখান, মসজিদ ক্লিনিক, মসজিদ ল্যাব, ফার্মেসি, টিউশন সেন্টার, বায়তুল মাল এবং শিশুদের খেলাধুলা ও ব্যক্তিত্ব গঠনের কোর্স। তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রম উদ্যোগটি হলো মসজিদের দৃষ্টিনন্দন বিয়ের হল, যেখানে অসচ্ছল পরিবারগুলো সম্মানের সঙ্গে বিনা খরচে বিয়ের আয়োজন করতে পারে।
পাকিস্তানে সাধারণ একটি বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনে গড়ে ৫ থেকে ১০ লাখ রুপি ব্যয় হয়। রাওয়ালপিন্ডির এক অভিজাত বিয়ের হলের মালিক শেখ আসিম খলিলের তথ্য অনুযায়ী, ‘শুধু হল ভাড়া ও খাবারের খরচেই এখন ১০ লাখ রুপি লেগে যায়। মঞ্চ সাজানো, বাড়তি খাবার ও আলোকসজ্জা—এসব যোগ হলে খরচ আরও দ্বিগুণ হয়।’ এই প্রেক্ষাপটে মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এমন উদ্যোগ স্বস্তি ও সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
মসজিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুরাদ সাজিদের ভাষায়, ‘বিয়ের মতো পবিত্র কাজের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত এবং অসহায় অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা দূর করতেই এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখানে যারা আসে, তাদের জন্য বিয়ের হল, আধুনিক আসবাব, বিয়েসংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জাম, খাবারের ব্যবস্থা, ক্যাটারিং স্টাফ, বর-কনের আলাদা রুম—সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেসব কন্যা এতিম বা গরিব পরিবার থেকে আসেন, তাঁদের জন্য বিয়ের খরচের পাশাপাশি উপহারসামগ্রীও সরবরাহ করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।’
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের আর্থিক ব্যবস্থার বিষয়ে মুরাদ সাজিদ বলেন, ‘আমরা কখনোই কারও কাছে চাঁদা চাই না। মসজিদের ২২টি জনকল্যাণমূলক খাত রয়েছে, যা সমাজের দানশীল মানুষের দেওয়া অনুদানে পরিচালিত হয়। এ ছাড়া মসজিদের অনলাইন অ্যাকাউন্টেও অনেকেই নিয়মিত দান করে থাকেন।’
এই মসজিদের ফ্রি ওয়েডিং হলে কেউ চাইলে নিজ খরচের মাধ্যমেও বিয়ের আয়োজন করতে পারেন। সুন্নত মেনে বিয়ে করতে আগ্রহী অনেকেই এমনটি করেছেন ইতিমধ্যে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় এখানে বিয়ে করা এক দম্পতির সঙ্গে। বর মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেন, ‘আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই হই-হুল্লোড় আর অপ্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ি। কিন্তু এখানে আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণে বিয়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি—এটাই শান্তি।’
কনে আমিনা ইরশাদ বলেন, ‘আমার সব সময় ইচ্ছা ছিল সুন্নতের অনুসরণে মসজিদে বিয়ে হোক। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি চাই, তরুণ প্রজন্ম সাদাসিধে বিয়েতে উৎসাহিত হোক, যৌতুক প্রথা ও অবৈধ রীতিনীতিকে “না” বলুক।’
কনের বাবা ইরশাদ বেগ বলেন, ‘ইসলাম আমাদের সাদামাটা জীবনযাপন এবং সহজভাবে বিয়ে সম্পন্ন করতে বলে। আমরা এমন একটি জায়গার খোঁজ করছিলাম, যেখানে ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী মেয়েকে বিদায় জানাতে পারি। এই মসজিদ আমাদের সেই সুযোগ দিয়েছে।’
মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ও চিরাচরিত সংকটগুলোর সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অনাড়ম্বর, সুন্নতি বিয়ের এই আয়োজন একদিকে যেমন আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলোর জন্য স্বস্তির কারণ, অন্যদিকে সমাজে একটি নতুন দৃষ্টান্তও স্থাপন করছে।
ইনডিপেনডেন্ট উর্দু
কাউসার লাবীব

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা। বিয়ের হল থেকে শুরু করে খাবার, আসবাব, উপহার—সবই এখানে বিনা মূল্যে। ফ্রি ওয়েডিং হলে সুন্নত মেনে অপচয়বিহীন হয় বিয়ের আয়োজন। সমাজকল্যাণমূলক এই কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এই মসজিদ শুধু নামাজের আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর রয়েছে নানা জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ। যেমন মসজিদ দস্তরখান, মসজিদ ক্লিনিক, মসজিদ ল্যাব, ফার্মেসি, টিউশন সেন্টার, বায়তুল মাল এবং শিশুদের খেলাধুলা ও ব্যক্তিত্ব গঠনের কোর্স। তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রম উদ্যোগটি হলো মসজিদের দৃষ্টিনন্দন বিয়ের হল, যেখানে অসচ্ছল পরিবারগুলো সম্মানের সঙ্গে বিনা খরচে বিয়ের আয়োজন করতে পারে।
পাকিস্তানে সাধারণ একটি বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনে গড়ে ৫ থেকে ১০ লাখ রুপি ব্যয় হয়। রাওয়ালপিন্ডির এক অভিজাত বিয়ের হলের মালিক শেখ আসিম খলিলের তথ্য অনুযায়ী, ‘শুধু হল ভাড়া ও খাবারের খরচেই এখন ১০ লাখ রুপি লেগে যায়। মঞ্চ সাজানো, বাড়তি খাবার ও আলোকসজ্জা—এসব যোগ হলে খরচ আরও দ্বিগুণ হয়।’ এই প্রেক্ষাপটে মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এমন উদ্যোগ স্বস্তি ও সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
মসজিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুরাদ সাজিদের ভাষায়, ‘বিয়ের মতো পবিত্র কাজের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত এবং অসহায় অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা দূর করতেই এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখানে যারা আসে, তাদের জন্য বিয়ের হল, আধুনিক আসবাব, বিয়েসংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জাম, খাবারের ব্যবস্থা, ক্যাটারিং স্টাফ, বর-কনের আলাদা রুম—সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেসব কন্যা এতিম বা গরিব পরিবার থেকে আসেন, তাঁদের জন্য বিয়ের খরচের পাশাপাশি উপহারসামগ্রীও সরবরাহ করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।’
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের আর্থিক ব্যবস্থার বিষয়ে মুরাদ সাজিদ বলেন, ‘আমরা কখনোই কারও কাছে চাঁদা চাই না। মসজিদের ২২টি জনকল্যাণমূলক খাত রয়েছে, যা সমাজের দানশীল মানুষের দেওয়া অনুদানে পরিচালিত হয়। এ ছাড়া মসজিদের অনলাইন অ্যাকাউন্টেও অনেকেই নিয়মিত দান করে থাকেন।’
এই মসজিদের ফ্রি ওয়েডিং হলে কেউ চাইলে নিজ খরচের মাধ্যমেও বিয়ের আয়োজন করতে পারেন। সুন্নত মেনে বিয়ে করতে আগ্রহী অনেকেই এমনটি করেছেন ইতিমধ্যে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় এখানে বিয়ে করা এক দম্পতির সঙ্গে। বর মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেন, ‘আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই হই-হুল্লোড় আর অপ্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ি। কিন্তু এখানে আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণে বিয়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি—এটাই শান্তি।’
কনে আমিনা ইরশাদ বলেন, ‘আমার সব সময় ইচ্ছা ছিল সুন্নতের অনুসরণে মসজিদে বিয়ে হোক। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি চাই, তরুণ প্রজন্ম সাদাসিধে বিয়েতে উৎসাহিত হোক, যৌতুক প্রথা ও অবৈধ রীতিনীতিকে “না” বলুক।’
কনের বাবা ইরশাদ বেগ বলেন, ‘ইসলাম আমাদের সাদামাটা জীবনযাপন এবং সহজভাবে বিয়ে সম্পন্ন করতে বলে। আমরা এমন একটি জায়গার খোঁজ করছিলাম, যেখানে ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী মেয়েকে বিদায় জানাতে পারি। এই মসজিদ আমাদের সেই সুযোগ দিয়েছে।’
মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ও চিরাচরিত সংকটগুলোর সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অনাড়ম্বর, সুন্নতি বিয়ের এই আয়োজন একদিকে যেমন আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলোর জন্য স্বস্তির কারণ, অন্যদিকে সমাজে একটি নতুন দৃষ্টান্তও স্থাপন করছে।
ইনডিপেনডেন্ট উর্দু

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা। বিয়ের হল থেকে শুরু করে খাবার, আসবাব, উপহার—সবই এখানে বিনা মূল্যে। ফ্রি ওয়েডিং হলে সুন্নত মেনে অপচয়বিহীন হয় বিয়ের আয়োজন। সমাজকল্যাণমূলক এই কর্মকাণ্ড ইতিমধ্যেই ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এই মসজিদ শুধু নামাজের আয়োজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর রয়েছে নানা জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ। যেমন মসজিদ দস্তরখান, মসজিদ ক্লিনিক, মসজিদ ল্যাব, ফার্মেসি, টিউশন সেন্টার, বায়তুল মাল এবং শিশুদের খেলাধুলা ও ব্যক্তিত্ব গঠনের কোর্স। তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রম উদ্যোগটি হলো মসজিদের দৃষ্টিনন্দন বিয়ের হল, যেখানে অসচ্ছল পরিবারগুলো সম্মানের সঙ্গে বিনা খরচে বিয়ের আয়োজন করতে পারে।
পাকিস্তানে সাধারণ একটি বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনে গড়ে ৫ থেকে ১০ লাখ রুপি ব্যয় হয়। রাওয়ালপিন্ডির এক অভিজাত বিয়ের হলের মালিক শেখ আসিম খলিলের তথ্য অনুযায়ী, ‘শুধু হল ভাড়া ও খাবারের খরচেই এখন ১০ লাখ রুপি লেগে যায়। মঞ্চ সাজানো, বাড়তি খাবার ও আলোকসজ্জা—এসব যোগ হলে খরচ আরও দ্বিগুণ হয়।’ এই প্রেক্ষাপটে মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এমন উদ্যোগ স্বস্তি ও সহানুভূতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
মসজিদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুরাদ সাজিদের ভাষায়, ‘বিয়ের মতো পবিত্র কাজের প্রতি মানুষকে উৎসাহিত এবং অসহায় অভিভাবকদের দুশ্চিন্তা দূর করতেই এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এখানে যারা আসে, তাদের জন্য বিয়ের হল, আধুনিক আসবাব, বিয়েসংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জাম, খাবারের ব্যবস্থা, ক্যাটারিং স্টাফ, বর-কনের আলাদা রুম—সবই বিনা মূল্যে দেওয়া হয়। এ ছাড়া যেসব কন্যা এতিম বা গরিব পরিবার থেকে আসেন, তাঁদের জন্য বিয়ের খরচের পাশাপাশি উপহারসামগ্রীও সরবরাহ করে মসজিদ কর্তৃপক্ষ।’
ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের আর্থিক ব্যবস্থার বিষয়ে মুরাদ সাজিদ বলেন, ‘আমরা কখনোই কারও কাছে চাঁদা চাই না। মসজিদের ২২টি জনকল্যাণমূলক খাত রয়েছে, যা সমাজের দানশীল মানুষের দেওয়া অনুদানে পরিচালিত হয়। এ ছাড়া মসজিদের অনলাইন অ্যাকাউন্টেও অনেকেই নিয়মিত দান করে থাকেন।’
এই মসজিদের ফ্রি ওয়েডিং হলে কেউ চাইলে নিজ খরচের মাধ্যমেও বিয়ের আয়োজন করতে পারেন। সুন্নত মেনে বিয়ে করতে আগ্রহী অনেকেই এমনটি করেছেন ইতিমধ্যে। বিষয়টি নিয়ে কথা হয় এখানে বিয়ে করা এক দম্পতির সঙ্গে। বর মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেন, ‘আজকাল বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই হই-হুল্লোড় আর অপ্রয়োজনীয় বাড়াবাড়ি। কিন্তু এখানে আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইসলামের নির্দেশনা অনুসরণে বিয়ে সম্পন্ন করতে পেরেছি—এটাই শান্তি।’
কনে আমিনা ইরশাদ বলেন, ‘আমার সব সময় ইচ্ছা ছিল সুন্নতের অনুসরণে মসজিদে বিয়ে হোক। সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আমি চাই, তরুণ প্রজন্ম সাদাসিধে বিয়েতে উৎসাহিত হোক, যৌতুক প্রথা ও অবৈধ রীতিনীতিকে “না” বলুক।’
কনের বাবা ইরশাদ বেগ বলেন, ‘ইসলাম আমাদের সাদামাটা জীবনযাপন এবং সহজভাবে বিয়ে সম্পন্ন করতে বলে। আমরা এমন একটি জায়গার খোঁজ করছিলাম, যেখানে ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী মেয়েকে বিদায় জানাতে পারি। এই মসজিদ আমাদের সেই সুযোগ দিয়েছে।’
মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিনের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ও চিরাচরিত সংকটগুলোর সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। অনাড়ম্বর, সুন্নতি বিয়ের এই আয়োজন একদিকে যেমন আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারগুলোর জন্য স্বস্তির কারণ, অন্যদিকে সমাজে একটি নতুন দৃষ্টান্তও স্থাপন করছে।
ইনডিপেনডেন্ট উর্দু

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা।
০১ আগস্ট ২০২৫
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা।
০১ আগস্ট ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা।
০১ আগস্ট ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
২ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

আজ যখন সমাজে বিয়ের নামে বাড়াবাড়ি, অপচয়ের ছড়াছড়ি, যৌতুক প্রথার অভিশাপ—তখন এক মসজিদ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। পাকিস্তানের ইসলামাবাদের অভিজাত এলাকায় অবস্থিত ‘মসজিদে রাহমাতুল্লিল আলামিন’ এখন হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য সম্মানের সঙ্গে বিয়ের ঠিকানা।
০১ আগস্ট ২০২৫
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১২ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে