আবরার নাঈম
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে জীবিকা নির্বাহের অন্যতম বৈধ উপায় হলো ব্যবসা। মানুষের নানাবিধ প্রয়োজন মেটাতে ইসলামে ব্যবসার বৈধতা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম।’ (সুরা বাকারা: ২৭৫)। তবে অনেক সময় অসদুপায় অবলম্বনের কারণে হালাল ব্যবসা ত্রুটিপূর্ণ ও অবৈধ হয়ে যায়। যথা—
১. দামের ওপর দাম করা: হাটবাজার কিংবা মার্কেটে গেলে প্রায়ই একটা বিষয় লক্ষ করি, কোনো পণ্য নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে দরদাম চলছে। দুজনের সম্মতিতে একটা দাম নির্ধারণ করবে এমন সময় অন্য একজন এসে আরও বেশি দামে ক্রয় করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে একে অপরের দামের ওপর দাম বাড়িয়ে যেন কোনো বস্তু ক্রয় না করে।’ (সহিহ মুসলিম: ৩৭০৩)
২. দালালি করা: আরবিতে বলা হয় নাজাশ। নিজে ক্রয়ের ইচ্ছা ছাড়া ক্রেতাকে ঠকানোর উদ্দেশ্যে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে বলা। ইসলামে দালালি নিষেধ। নবী (সা.) ক্রয়-বিক্রয়ে দালালি করতে নিষেধ করেছেন। হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ক্রয় করার ইচ্ছা ছাড়া মূল্য বাড়ানোর উদ্দেশ্যে মূল্য বলতে রাসুল (সা.) বারণ করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম: ৩৭১০)
৩. মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রি করা: হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ্ তাআলা কিয়ামতের দিনে তিন শ্রেণির লোকের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন না, উপরন্তু তাদের জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি।’ আমরা প্রশ্ন করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এরা কারা? এরা তো ব্যর্থ ও ধ্বংস হলো।’ তিনি বললেন, ‘(তারা হলো) উপকার করার পর খোঁটা দানকারী, পায়ের গোড়ালির নিচে কাপড় পরিধানকারী এবং নিজের পণ্যদ্রব্য মিথ্যা শপথ করে বিক্রয়কারী।’ (সুনানে তিরমিজি: ১২১১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে জীবিকা নির্বাহের অন্যতম বৈধ উপায় হলো ব্যবসা। মানুষের নানাবিধ প্রয়োজন মেটাতে ইসলামে ব্যবসার বৈধতা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন এবং সুদকে করেছেন হারাম।’ (সুরা বাকারা: ২৭৫)। তবে অনেক সময় অসদুপায় অবলম্বনের কারণে হালাল ব্যবসা ত্রুটিপূর্ণ ও অবৈধ হয়ে যায়। যথা—
১. দামের ওপর দাম করা: হাটবাজার কিংবা মার্কেটে গেলে প্রায়ই একটা বিষয় লক্ষ করি, কোনো পণ্য নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে দরদাম চলছে। দুজনের সম্মতিতে একটা দাম নির্ধারণ করবে এমন সময় অন্য একজন এসে আরও বেশি দামে ক্রয় করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে হাদিসে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে একে অপরের দামের ওপর দাম বাড়িয়ে যেন কোনো বস্তু ক্রয় না করে।’ (সহিহ মুসলিম: ৩৭০৩)
২. দালালি করা: আরবিতে বলা হয় নাজাশ। নিজে ক্রয়ের ইচ্ছা ছাড়া ক্রেতাকে ঠকানোর উদ্দেশ্যে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে বলা। ইসলামে দালালি নিষেধ। নবী (সা.) ক্রয়-বিক্রয়ে দালালি করতে নিষেধ করেছেন। হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, ক্রয় করার ইচ্ছা ছাড়া মূল্য বাড়ানোর উদ্দেশ্যে মূল্য বলতে রাসুল (সা.) বারণ করেছেন।’ (সহিহ মুসলিম: ৩৭১০)
৩. মিথ্যা শপথ করে পণ্য বিক্রি করা: হজরত আবু জর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ্ তাআলা কিয়ামতের দিনে তিন শ্রেণির লোকের প্রতি ভ্রুক্ষেপ করবেন না, তাদেরকে পবিত্র করবেন না, উপরন্তু তাদের জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি।’ আমরা প্রশ্ন করলাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল, এরা কারা? এরা তো ব্যর্থ ও ধ্বংস হলো।’ তিনি বললেন, ‘(তারা হলো) উপকার করার পর খোঁটা দানকারী, পায়ের গোড়ালির নিচে কাপড় পরিধানকারী এবং নিজের পণ্যদ্রব্য মিথ্যা শপথ করে বিক্রয়কারী।’ (সুনানে তিরমিজি: ১২১১)
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
হজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
৪ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
২০ ঘণ্টা আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগেপ্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখার মধ্যে বেশ ফজিলত রয়েছে। হাদিসের ভাষায় এই তিনটি রোজাকে বলায় হয় আইয়ামে বিজের রোজা। এই রোজা প্রতি আরবি মাসের তেরো, চৌদ্দ ও পনেরো তারিখে রাখতে হয়।
২ দিন আগে