ইজাজুল হক
ইসলামে ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহর কুদরত দেখতে মহান আল্লাহ মানুষকে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের আদেশ দিয়েছেন। যুগে যুগে নবী-রাসুলরা বিভিন্ন জনপদে ঘুরে ঘুরে মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান করেছেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ব্যবসায়-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে তৎকালীন শামে সফর করেছেন। তাঁর সাহাবিরা ইসলামের দাওয়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিক্ষা-দীক্ষার উদ্দেশ্যে পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছেন। শিক্ষা, ব্যবসা, চিকিৎসা কিংবা বিনোদন—ভ্রমণ যে উদ্দেশ্যেই হোক না কেন, ইসলামের শিষ্টাচার ও বিধিবিধান মেনে চলা হলে তা ইবাদতে পরিণত হয় এবং বিপুল পুণ্য অর্জিত হয়।
পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে ভ্রমণ করার আদেশ দিয়েছেন। ভ্রমণের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ না করার কারণে কোনো কোনো আয়াতে তিরস্কারের বাক্যও এসেছে। এসব আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করার দাওয়াত দিয়েছেন। এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর অবাধ্য জাতিগুলোর পরিণাম প্রত্যক্ষ করা, আল্লাহকে চেনা, পরকালের অনন্ত জীবনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আনুগত্য করার আদেশ দিয়েছেন। ভ্রমণকারীদের জন্য ইসলাম কিছু আদব ও শিষ্টাচার নির্ধারণ করেছে; যা পালন করা সফরে বরকত ও কল্যাণ লাভের মাধ্যম। হাদিসের আলোকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ১০টি ইসলামি শিষ্টাচার তুলে ধরা হলো—
» ভ্রমণের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য শুদ্ধ করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দেওয়া।
» পরিকল্পনা করে দলবদ্ধ হয়ে ভ্রমণ করা এবং একজন দলনেতা নির্ধারণ করা।
» উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে এবং সম্ভব হলে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া।
» অভিভাবকের অনুমতি, বড়দের দোয়া এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ করা।
» নিরাপদ সফরের জন্য দোয়া করতে করতে পথ চলা এবং গুনাহের কাজ পরিহার করা।
» সফরসঙ্গীদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকা এবং তাঁদের কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা।
» মানুষের চলার পথ বন্ধ করে বিশ্রাম-আনন্দ ইত্যাদি করা থেকে বিরত থাকা।
» ঘরে ফেরার আগপর্যন্ত পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়া এবং দলনেতার আনুগত্য করা।
» আল্লাহর আজাবপ্রাপ্ত অভিশপ্ত জাতিদের ধ্বংসস্থলে বেশিক্ষণ অবস্থান না করা।
» ফিরে আসার পর বাড়িতে প্রবেশের আগে মসজিদে গিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা।
ইসলামে ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম। আল্লাহর কুদরত দেখতে মহান আল্লাহ মানুষকে বিশ্বজুড়ে ভ্রমণের আদেশ দিয়েছেন। যুগে যুগে নবী-রাসুলরা বিভিন্ন জনপদে ঘুরে ঘুরে মানুষকে ইসলামের পথে আহ্বান করেছেন। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ব্যবসায়-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে তৎকালীন শামে সফর করেছেন। তাঁর সাহাবিরা ইসলামের দাওয়াত, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিক্ষা-দীক্ষার উদ্দেশ্যে পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছেন। শিক্ষা, ব্যবসা, চিকিৎসা কিংবা বিনোদন—ভ্রমণ যে উদ্দেশ্যেই হোক না কেন, ইসলামের শিষ্টাচার ও বিধিবিধান মেনে চলা হলে তা ইবাদতে পরিণত হয় এবং বিপুল পুণ্য অর্জিত হয়।
পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানবজাতিকে ভ্রমণ করার আদেশ দিয়েছেন। ভ্রমণের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ না করার কারণে কোনো কোনো আয়াতে তিরস্কারের বাক্যও এসেছে। এসব আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা মানুষকে আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করার দাওয়াত দিয়েছেন। এবং এর মাধ্যমে আল্লাহর অবাধ্য জাতিগুলোর পরিণাম প্রত্যক্ষ করা, আল্লাহকে চেনা, পরকালের অনন্ত জীবনের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আনুগত্য করার আদেশ দিয়েছেন। ভ্রমণকারীদের জন্য ইসলাম কিছু আদব ও শিষ্টাচার নির্ধারণ করেছে; যা পালন করা সফরে বরকত ও কল্যাণ লাভের মাধ্যম। হাদিসের আলোকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ১০টি ইসলামি শিষ্টাচার তুলে ধরা হলো—
» ভ্রমণের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য শুদ্ধ করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টিকে প্রাধান্য দেওয়া।
» পরিকল্পনা করে দলবদ্ধ হয়ে ভ্রমণ করা এবং একজন দলনেতা নির্ধারণ করা।
» উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা গেলে এবং সম্ভব হলে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া।
» অভিভাবকের অনুমতি, বড়দের দোয়া এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ করা।
» নিরাপদ সফরের জন্য দোয়া করতে করতে পথ চলা এবং গুনাহের কাজ পরিহার করা।
» সফরসঙ্গীদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকা এবং তাঁদের কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকা।
» মানুষের চলার পথ বন্ধ করে বিশ্রাম-আনন্দ ইত্যাদি করা থেকে বিরত থাকা।
» ঘরে ফেরার আগপর্যন্ত পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়া এবং দলনেতার আনুগত্য করা।
» আল্লাহর আজাবপ্রাপ্ত অভিশপ্ত জাতিদের ধ্বংসস্থলে বেশিক্ষণ অবস্থান না করা।
» ফিরে আসার পর বাড়িতে প্রবেশের আগে মসজিদে গিয়ে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করা।
ইসলামের ইতিহাসের এক গভীর শোকের মাস হলো মহররম। এই মাসের দশম দিন ‘আশুরা’ মুসলিম জাতির হৃদয়ে বহন করে এক গাঢ় স্মৃতি, করুণ ইতিহাস ও চেতনার মশাল। আর এই দিনের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে কারবালার প্রান্তরে হুসাইন ইবনে আলী (রা.)-এর শাহাদাত। মহররম, আশুরা ও কারবালা—এই তিনটি শব্দ যেন ত্যাগ, সত্য এবং
১৪ ঘণ্টা আগেপ্রত্যেক সভ্য জাতির মধ্যে পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাতের সময় ভালোবাসা ও সম্প্রীতি প্রকাশার্থে কোনো কোনো বাক্য আদান-প্রদান করার প্রথা প্রচলিত আছে। কিন্তু তুলনা করলে দেখা যাবে যে ইসলামের সালাম যতটুকু ব্যাপক অর্থবোধক, অন্য কোনো জাতির অভিবাদন ততটুকু নয়। কেননা, এতে শুধু ভালোবাসাই প্রকাশ করা হয় না...
১৪ ঘণ্টা আগেমহানবী (সা.) ৪০ বছর বয়সে আল্লাহর পক্ষ থেকে নবুওয়াতপ্রাপ্ত হোন। এরপর আল্লাহর নির্দেশে তিনি ইসলামের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছাতে থাকেন। তাঁর দাওয়াতে বিবেক সম্পন্ন মানুষজন সত্যপথ চিনতে পারে। ইসলামের ছায়াতলে আশ্রয় নিতে শুরু করে। নবী করিম (সা.)-এর আহ্বানে মানুষের সঠিক পথে আসার বিষয়টি মক্কার কাফেররা...
১৫ ঘণ্টা আগেজান্নাত কেবল এক কল্পনার জগৎ নয়, বরং পরকালীন জীবনে আল্লাহ তাআলার প্রতিশ্রুত এক বাস্তব পুরস্কার—যা তিনি প্রস্তুত রেখেছেন তাঁর প্রিয় বান্দাদের জন্য। এই জান্নাত কোনো সাধারণ বসতবাড়ি নয়, এটি এমন এক শান্তিময় আবাস—যেখানে নেই দুঃখ-কষ্ট, হিংসা কিংবা মৃত্যু। তবে এই জান্নাতের অধিকারী হবেন কারা?
১৬ ঘণ্টা আগে