আরওয়া তাসনিম
প্রিয় নবী (সা.)–এর মাঝে আমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ। আমাদের জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তার দেখানো পথে সাজানো উচিত। আমরা প্রতিদিন খাবার খাই। বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাই। যদি এই খাবার গ্রহণ মহানবী (সা.)–এর দেখানো পথে হয়, তাহলে ক্ষুধা নিবারণের পাশাপাশি এর মাধ্যমে সওয়াব অর্জনেরও সুযোগ রয়েছে।
নবীজি (সা.) খাবার খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতেন। আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) পানাহারের আগে উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধুয়ে নিতেন। (মুসনাদে আহমাদ)
আল্লাহর রাসুল (সা.) ডান হাতে খাবার খেতেন। এ ছাড়া তিনি বাঁ হাত দিয়ে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা বাম হাতে পানাহার করো না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৩৭৬)
নবী করিম (সা.) সব সময় খাবার খাওয়া শুরু করতেন বিসমিল্লাহ বলে। সাহাবিদেরও বিসমিল্লাহ বলতে উৎসাহিত করতেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে ডান হাতে খাবার খাও এবং তোমার দিক হতে খাও।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫১৬৭, সুনানে তিরমিজি: ১৯১৩)
খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে করণীয় সম্পর্কে উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা খাবার খেতে শুরু করো তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করো। আর যদি আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যাও, তাহলে বলো, বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহ।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৭, সুনানে তিরমিজি: ১৮৫৮)
কোনো খাবার দস্তর বা পাত্র থেকে পড়ে গেলে নবী করিম (সা.) তা তুলে খেতেন। এমনকি খাবারের সামান্যতম অংশও যেন নষ্ট না হয়, সে জন্য তিনি আঙুল চেটে খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘খাবার খাওয়ার সময় যদি তা পড়ে যায়, তাহলে পরিষ্কার করে তা ভক্ষণ করো।’ (সুনানে তিরমিজি: ১৯১৫)
তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা যখন খাবার খাবে, তখন আঙুল চেটে খাও। কেননা বরকত কোথায় রয়েছে তা তোমরা জানো না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৯১৪)
খাবার আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নেয়ামত। যা ভাগ্যে জুটে, যেমন জুটে—তা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে খেয়ে নেওয়া উত্তম। অযথা খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরা উচিত নয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না। (সহিহ্ বুখারি: ৫১৯৮)
রাসুল (সা.)–এর খাবার খাওয়া শেষ হলে তিনি হাত ধুয়ে নিতেন এবং কুলি করতেন। (মুসনাদে আহমাদ)
খাবার শেষে মহানবী (সা.) দোয়া পড়তেন, আল্লাহর শুকরিয়া জানাতেন। আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) খাবার শেষ করে বলতেন—‘আলহামদুলিল্লাহি হামদান কাসিরান তয়্যিবান মুবারাকান ফিহি, গায়রা মাকফিইন, ওলা মুয়াদ্দায়িন ওলা মুসতাগনা আনহু রাব্বানা।’ তিনি কখনো এই দোয়া পড়তেন, ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আত–আমানা ওয়াছাকানা ওয়াজাআলানা মিনাল মুসলিমিন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৪৫৮)
প্রিয় নবী (সা.)–এর মাঝে আমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ। আমাদের জীবনের প্রতিটি অধ্যায় তার দেখানো পথে সাজানো উচিত। আমরা প্রতিদিন খাবার খাই। বেঁচে থাকার জন্য খাবার খাই। যদি এই খাবার গ্রহণ মহানবী (সা.)–এর দেখানো পথে হয়, তাহলে ক্ষুধা নিবারণের পাশাপাশি এর মাধ্যমে সওয়াব অর্জনেরও সুযোগ রয়েছে।
নবীজি (সা.) খাবার খাওয়ার আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতেন। আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) পানাহারের আগে উভয় হাত কবজি পর্যন্ত ধুয়ে নিতেন। (মুসনাদে আহমাদ)
আল্লাহর রাসুল (সা.) ডান হাতে খাবার খেতেন। এ ছাড়া তিনি বাঁ হাত দিয়ে খাবার খেতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা বাম হাতে পানাহার করো না।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৩৭৬)
নবী করিম (সা.) সব সময় খাবার খাওয়া শুরু করতেন বিসমিল্লাহ বলে। সাহাবিদেরও বিসমিল্লাহ বলতে উৎসাহিত করতেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে ডান হাতে খাবার খাও এবং তোমার দিক হতে খাও।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫১৬৭, সুনানে তিরমিজি: ১৯১৩)
খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে করণীয় সম্পর্কে উম্মুল মুমিনিন আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন তোমরা খাবার খেতে শুরু করো তখন আল্লাহর নাম স্মরণ করো। আর যদি আল্লাহর নাম স্মরণ করতে ভুলে যাও, তাহলে বলো, বিসমিল্লাহি আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহ।’ (সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৭, সুনানে তিরমিজি: ১৮৫৮)
কোনো খাবার দস্তর বা পাত্র থেকে পড়ে গেলে নবী করিম (সা.) তা তুলে খেতেন। এমনকি খাবারের সামান্যতম অংশও যেন নষ্ট না হয়, সে জন্য তিনি আঙুল চেটে খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘খাবার খাওয়ার সময় যদি তা পড়ে যায়, তাহলে পরিষ্কার করে তা ভক্ষণ করো।’ (সুনানে তিরমিজি: ১৯১৫)
তিনি আরও বলেন, ‘তোমরা যখন খাবার খাবে, তখন আঙুল চেটে খাও। কেননা বরকত কোথায় রয়েছে তা তোমরা জানো না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ১৯১৪)
খাবার আল্লাহ তাআলার অনেক বড় নেয়ামত। যা ভাগ্যে জুটে, যেমন জুটে—তা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে খেয়ে নেওয়া উত্তম। অযথা খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরা উচিত নয়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কখনো খাবারের দোষ-ত্রুটি ধরতেন না। তার পছন্দ হলে খেতেন, আর অপছন্দ হলে খেতেন না। (সহিহ্ বুখারি: ৫১৯৮)
রাসুল (সা.)–এর খাবার খাওয়া শেষ হলে তিনি হাত ধুয়ে নিতেন এবং কুলি করতেন। (মুসনাদে আহমাদ)
খাবার শেষে মহানবী (সা.) দোয়া পড়তেন, আল্লাহর শুকরিয়া জানাতেন। আবু উমামা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) খাবার শেষ করে বলতেন—‘আলহামদুলিল্লাহি হামদান কাসিরান তয়্যিবান মুবারাকান ফিহি, গায়রা মাকফিইন, ওলা মুয়াদ্দায়িন ওলা মুসতাগনা আনহু রাব্বানা।’ তিনি কখনো এই দোয়া পড়তেন, ‘আলহামদুলিল্লাহিল্লাজি আত–আমানা ওয়াছাকানা ওয়াজাআলানা মিনাল মুসলিমিন।’ (সহিহ্ বুখারি: ৫৪৫৮)
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৬ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
২১ ঘণ্টা আগেমা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের
১ দিন আগে