আবদুল আযীয কাসেমি
হিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাস মহিমান্বিত রমজানের ভূমিকাস্বরূপ। বুদ্ধিমানরা এ মাস থেকেই রমজানের মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। নবী (সা.) শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন।
উম্মুল মুমিনিন উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) প্রায় পুরো শাবান মাসই রোজা রাখতেন। বরং বলতে গেলে পুরোটাই রাখতেন। (নাসায়ি: ৪ / ১৯৯)
তবে বিশুদ্ধ মতামত হলো, তিনি পুরো শাবান মাস রোজা রাখতেন না। দু-একটি বাদ দিতেন। হজরত আয়েশা (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) রমজান মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসে পূর্ণ রোজা রেখেছেন বলে আমার জানা নেই।’ (মুসলিম: ১১৫৬)
অন্য কোনো মাসের তারিখ হিসাব করার ব্যাপারে নবী (সা.) কখনো জোরালো নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা যায় না। তবে বিশেষভাবে শাবান মাসের তারিখ হিসাব করতে তিনি সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের উদ্দেশে শাবান মাসের তারিখ গণনা করো।’ (তিরমিজি: ৬৮৭)
রাসুল (সা.) রমজানের বাইরে শাবান মাসে এতটা যত্নসহকারে ইবাদত পালনে মনোযোগী হতেন, যেমনটা অন্য কোনো মাসে পরিলক্ষিত হতো না। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) শাবান মাসের যেভাবে যত্ন নিতেন, অন্য কোনো মাসে সেভাবে যত্ন নিতেন না।
(এর অর্থ এটা নয় যে নবীজি অন্য মাসে অলসতা করতেন। বরং বলার উদ্দেশ্য, এ মাসের সক্রিয়তা আলাদা করে চোখে পড়ত।) এরপর রমজানের চাঁদ দেখলে রোজা রাখা শুরু করতেন। কোনো কারণে আকাশ মেঘযুক্ত হলে, তবে শাবান মাসের গণনা ৩০ দিন পূর্ণ করতেন। এরপর রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ: ২৩২৫)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
হিজরি সনের অষ্টম মাস শাবান। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস। এ মাস মহিমান্বিত রমজানের ভূমিকাস্বরূপ। বুদ্ধিমানরা এ মাস থেকেই রমজানের মানসিক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। নবী (সা.) শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন।
উম্মুল মুমিনিন উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) প্রায় পুরো শাবান মাসই রোজা রাখতেন। বরং বলতে গেলে পুরোটাই রাখতেন। (নাসায়ি: ৪ / ১৯৯)
তবে বিশুদ্ধ মতামত হলো, তিনি পুরো শাবান মাস রোজা রাখতেন না। দু-একটি বাদ দিতেন। হজরত আয়েশা (রা.)-এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, ‘নবী (সা.) রমজান মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসে পূর্ণ রোজা রেখেছেন বলে আমার জানা নেই।’ (মুসলিম: ১১৫৬)
অন্য কোনো মাসের তারিখ হিসাব করার ব্যাপারে নবী (সা.) কখনো জোরালো নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা যায় না। তবে বিশেষভাবে শাবান মাসের তারিখ হিসাব করতে তিনি সবাইকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
হজরত আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের উদ্দেশে শাবান মাসের তারিখ গণনা করো।’ (তিরমিজি: ৬৮৭)
রাসুল (সা.) রমজানের বাইরে শাবান মাসে এতটা যত্নসহকারে ইবাদত পালনে মনোযোগী হতেন, যেমনটা অন্য কোনো মাসে পরিলক্ষিত হতো না। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) শাবান মাসের যেভাবে যত্ন নিতেন, অন্য কোনো মাসে সেভাবে যত্ন নিতেন না।
(এর অর্থ এটা নয় যে নবীজি অন্য মাসে অলসতা করতেন। বরং বলার উদ্দেশ্য, এ মাসের সক্রিয়তা আলাদা করে চোখে পড়ত।) এরপর রমজানের চাঁদ দেখলে রোজা রাখা শুরু করতেন। কোনো কারণে আকাশ মেঘযুক্ত হলে, তবে শাবান মাসের গণনা ৩০ দিন পূর্ণ করতেন। এরপর রোজা রাখতেন। (আবু দাউদ: ২৩২৫)
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
১৬ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
২০ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
২ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
২ দিন আগে