আপনার জিজ্ঞাসা
ইসলাম ডেস্ক
প্রশ্ন: কয়েক দিন আগে আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়। দুই পরিবার মিলে আমরা তারিখও নির্ধারণ করি। ইংরেজি মাস হিসেবে তারিখ নির্ধারণ করায় আরবি কোন তারিখ পড়ছে তা কেউ তেমন ভেবে দেখিনি। কয়েক দিন পর পাত্রীপক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘তাদের এক মুরব্বি বলেছেন, তারিখটি মহররম মাসে পড়ছে, তাই ওই মাসে বিয়ের আয়োজন করা যাবে না। মহররম মাসে বিয়ে করা অশুভ। বিয়ে পরের মাসে বা মহররম আসার আগে হতে হবে।’ মহররম মাসে কি সত্যিই বিয়ে-শাদি করা যাবে না? এ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
মোছা. কোহিনুর বেগম, লালবাগ, ঢাকা
উত্তর: শুভ-অশুভ দিন দেখে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা ইসলামি বিশ্বাসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এই রীতি সম্পূর্ণ অজ্ঞতাপূর্ণ বিশ্বাস। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের ঘোষণায় সম্মানিত ও মর্যাদার মাস মহররম। এ মাসের ইবাদত আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয়। বিয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও কল্যাণকর কাজ। বিয়ে মানবজীবনে পারস্পরিক ভালোবাসা, সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধের মাধ্যমে একটি নতুন জীবনের সূচনা করে। ইসলাম বিয়েকে সুন্নত হিসেবে গণ্য করেছে এবং অবৈধ সম্পর্ক থেকে রক্ষা পাওয়ার পবিত্র উপায় হিসেবে দেখেছে। বিয়ে শুধু দৈহিক নয়, আত্মিক বন্ধনও। এর মাধ্যমে গড়ে ওঠে পরিবার, সমাজ এবং প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। বিয়ে হলো দায়িত্ব, সম্মান ও আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত। তাই এ মাসে বিয়ে করা অশুভ নয়।
মহররম মাসে বিয়ে করা যাবে না বলে আমাদের সমাজে যে ভুল প্রচলন আছে, তা কোনোভাবেই বিশ্বাস করা যাবে না। ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই। এটি প্রচলিত একটি ভুল বিশ্বাস ও কুসংস্কার। পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে, তার সবই মহান আল্লাহর ইচ্ছায়। এর সঙ্গে বিশেষ কোনো দিন, রাত, সপ্তাহ বা মাসের সম্পর্ক নেই। তাই কোনো সময়, বস্তু, স্থান বা ব্যক্তিকে অশুভ কিংবা কুলক্ষণে মনে করা শিরক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন নবী করিম (সা.)। (সুনানে আবু দাউদ)
জাহিলি যুগে শাওয়াল মাসে বিয়ে-শাদি করা অশুভ মনে করা হতো। এই ভ্রান্তি নিরসনের জন্য প্রিয় নবী (সা.) শাওয়াল মাসে উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-কে বিয়ে করে সেই কুসংস্কার ভেঙেছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) আমাকে শাওয়াল মাসেই বিয়ে করেছেন, শাওয়াল মাসেই বাসর করেছেন। তাঁর অনুগ্রহ লাভে আমার চেয়ে ভাগ্যবান স্ত্রী আর কে আছেন?’ (সহিহ্ মুসলিম: ৩৩৫২)
উত্তর দিয়েছেন মুফতি হাসান আরিফ ইসলামবিষয়ক গবেষক
প্রশ্ন: কয়েক দিন আগে আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়। দুই পরিবার মিলে আমরা তারিখও নির্ধারণ করি। ইংরেজি মাস হিসেবে তারিখ নির্ধারণ করায় আরবি কোন তারিখ পড়ছে তা কেউ তেমন ভেবে দেখিনি। কয়েক দিন পর পাত্রীপক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘তাদের এক মুরব্বি বলেছেন, তারিখটি মহররম মাসে পড়ছে, তাই ওই মাসে বিয়ের আয়োজন করা যাবে না। মহররম মাসে বিয়ে করা অশুভ। বিয়ে পরের মাসে বা মহররম আসার আগে হতে হবে।’ মহররম মাসে কি সত্যিই বিয়ে-শাদি করা যাবে না? এ সম্পর্কে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
মোছা. কোহিনুর বেগম, লালবাগ, ঢাকা
উত্তর: শুভ-অশুভ দিন দেখে বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা ইসলামি বিশ্বাসের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। এই রীতি সম্পূর্ণ অজ্ঞতাপূর্ণ বিশ্বাস। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের ঘোষণায় সম্মানিত ও মর্যাদার মাস মহররম। এ মাসের ইবাদত আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয়। বিয়ে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও কল্যাণকর কাজ। বিয়ে মানবজীবনে পারস্পরিক ভালোবাসা, সহানুভূতি ও দায়িত্ববোধের মাধ্যমে একটি নতুন জীবনের সূচনা করে। ইসলাম বিয়েকে সুন্নত হিসেবে গণ্য করেছে এবং অবৈধ সম্পর্ক থেকে রক্ষা পাওয়ার পবিত্র উপায় হিসেবে দেখেছে। বিয়ে শুধু দৈহিক নয়, আত্মিক বন্ধনও। এর মাধ্যমে গড়ে ওঠে পরিবার, সমাজ এবং প্রজন্মের ভবিষ্যৎ। বিয়ে হলো দায়িত্ব, সম্মান ও আল্লাহর এক বিশেষ নিয়ামত। তাই এ মাসে বিয়ে করা অশুভ নয়।
মহররম মাসে বিয়ে করা যাবে না বলে আমাদের সমাজে যে ভুল প্রচলন আছে, তা কোনোভাবেই বিশ্বাস করা যাবে না। ইসলামে এর কোনো ভিত্তি নেই। এটি প্রচলিত একটি ভুল বিশ্বাস ও কুসংস্কার। পৃথিবীতে যা কিছু ঘটে, তার সবই মহান আল্লাহর ইচ্ছায়। এর সঙ্গে বিশেষ কোনো দিন, রাত, সপ্তাহ বা মাসের সম্পর্ক নেই। তাই কোনো সময়, বস্তু, স্থান বা ব্যক্তিকে অশুভ কিংবা কুলক্ষণে মনে করা শিরক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন নবী করিম (সা.)। (সুনানে আবু দাউদ)
জাহিলি যুগে শাওয়াল মাসে বিয়ে-শাদি করা অশুভ মনে করা হতো। এই ভ্রান্তি নিরসনের জন্য প্রিয় নবী (সা.) শাওয়াল মাসে উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা (রা.)-কে বিয়ে করে সেই কুসংস্কার ভেঙেছিলেন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুল (সা.) আমাকে শাওয়াল মাসেই বিয়ে করেছেন, শাওয়াল মাসেই বাসর করেছেন। তাঁর অনুগ্রহ লাভে আমার চেয়ে ভাগ্যবান স্ত্রী আর কে আছেন?’ (সহিহ্ মুসলিম: ৩৩৫২)
উত্তর দিয়েছেন মুফতি হাসান আরিফ ইসলামবিষয়ক গবেষক
জনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
১ ঘণ্টা আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১ ঘণ্টা আগেজীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলামে ব্যবসা এক মর্যাদাপূর্ণ পেশা। তবে এই পেশার মর্যাদা নির্ভর করে সততা ও নিষ্ঠার ওপর। আজকের দুনিয়ায় যখন লাভ ও প্রতিযোগিতার মোহে সততাকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, তখন ইসলামে একজন সৎ ব্যবসায়ীর জন্য রয়েছে এক অনন্য সুসংবাদ। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন সূর্যের
১ ঘণ্টা আগেমানবজীবনে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না এক চিরন্তন সত্য। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনও এর ব্যতিক্রম ছিল না। তাঁর পবিত্র ঠোঁটে যেমন ফুটেছিল হাসি, তেমনই তাঁর চোখ থেকে ঝরেছে অশ্রু। হিজরতের দশম বছর, মহানবী (সা.)-এর জীবনে এমন এক কঠিন
১ ঘণ্টা আগে