মুনীরুল ইসলাম
হজরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের জন্য রহমতস্বরূপ পৃথিবীতে এসেছেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আমি আপনাকে জগৎসমূহের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) পৃথিবীতে এসে বিশ্ব মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
কাবাঘর পুনর্নির্মাণকালে হাজরে আসওয়াদ নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা নিয়ে গোত্রগত বিরোধ দেখা দিলে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিরসন করে ঐক্য ও সংহতি স্থাপন করেন। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর মদিনার যুদ্ধবাজ আউস ও খাজরাজ গোত্রের দ্বন্দ্ব নিরসন করে মদিনায় চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।
রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, ধর্মনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদির ক্ষেত্রে উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। বিচ্ছিন্ন গোত্র শাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন একটি সুসংহত আদর্শ রাষ্ট্র। তিনি মদিনার আনসার, মুহাজির, ইহুদি, খ্রিষ্টান এবং বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি, ঐক্য ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রচনা করেন ‘মদিনা সনদ’, যা পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত শাসনতন্ত্র হিসেবে খ্যাত।
কোনো জাতিকে স্বকীয়তা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিশ্বভ্রাতৃত্বের বন্ধনের প্রতি ইঙ্গিত করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুসলিম জাতি একটি দেহের মতো। দেহের কোনো স্থানে আঘাত পেলে যেমন যন্ত্রণা সারা দেহে অনুভূত হয়, তেমনি কোনো মুসলমান বিপদগ্রস্ত হলে এর ব্যথা সব মুসলমানের অনুভূত হওয়া উচিত।’
এ ছাড়া হুদাইবিয়ার সন্ধি, রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে চিঠি পাঠানো, সালাম-মুসাফাহার বিধান, রাজা-প্রজা, স্বামী-স্ত্রী ও আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপন ইত্যাদির মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি স্থাপন করার তালিম দিয়েছেন মহানবী (সা.)।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
হজরত মুহাম্মদ (সা.) আমাদের জন্য রহমতস্বরূপ পৃথিবীতে এসেছেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আমি আপনাকে জগৎসমূহের জন্য রহমত হিসেবে পাঠিয়েছি।’ রাসুলুল্লাহ (সা.) পৃথিবীতে এসে বিশ্ব মানুষের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
কাবাঘর পুনর্নির্মাণকালে হাজরে আসওয়াদ নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করা নিয়ে গোত্রগত বিরোধ দেখা দিলে রাসুলুল্লাহ (সা.) বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতার সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিরসন করে ঐক্য ও সংহতি স্থাপন করেন। ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পর মদিনার যুদ্ধবাজ আউস ও খাজরাজ গোত্রের দ্বন্দ্ব নিরসন করে মদিনায় চিরস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন।
রাজনীতি, রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, ধর্মনীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদির ক্ষেত্রে উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। বিচ্ছিন্ন গোত্র শাসনের অবসান ঘটিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন একটি সুসংহত আদর্শ রাষ্ট্র। তিনি মদিনার আনসার, মুহাজির, ইহুদি, খ্রিষ্টান এবং বর্ণ-গোত্রনির্বিশেষে সবার মধ্যে সম্প্রীতি, ঐক্য ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রচনা করেন ‘মদিনা সনদ’, যা পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত শাসনতন্ত্র হিসেবে খ্যাত।
কোনো জাতিকে স্বকীয়তা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিশ্বভ্রাতৃত্বের বন্ধনের প্রতি ইঙ্গিত করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মুসলিম জাতি একটি দেহের মতো। দেহের কোনো স্থানে আঘাত পেলে যেমন যন্ত্রণা সারা দেহে অনুভূত হয়, তেমনি কোনো মুসলমান বিপদগ্রস্ত হলে এর ব্যথা সব মুসলমানের অনুভূত হওয়া উচিত।’
এ ছাড়া হুদাইবিয়ার সন্ধি, রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে চিঠি পাঠানো, সালাম-মুসাফাহার বিধান, রাজা-প্রজা, স্বামী-স্ত্রী ও আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থাপন ইত্যাদির মাধ্যমে ভ্রাতৃত্ব ও সংহতি স্থাপন করার তালিম দিয়েছেন মহানবী (সা.)।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
শান্তি, শৃঙ্খলা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মূলমন্ত্র হলো পরামর্শ। পরিবার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্র পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে পরামর্শভিত্তিক কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। পরামর্শ করে কাজ করলে যেমন মানসিক তৃপ্তি আসে, তেমনি তাতে আল্লাহর রহমতও বর্ষিত হয়। ইসলামে পরামর্শকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। মহানবী (সা.)
১২ ঘণ্টা আগেপবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
১ দিন আগেজনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
১ দিন আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১ দিন আগে