রায়হান রাশেদ

পবিত্র রমজান মাসে খতম তারাবি দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাতলে দেওয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে ২৬ রমজানের মধ্যে খতম তারাবি শেষ হয়ে যাবে।
সে হিসাবে প্রথম তারাবিতে পবিত্র কোরআনের প্রথম দেড় পারা তিলাওয়াত করা হয়। সুরা ফাতেহা ও সুরা বাকারার ১ থেকে ২০৩ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। এই অংশে ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধানের কথা বিবৃত হয়েছে। রোজা, হজ, খুন, বনি ইসরাইলের বাড়াবাড়িসহ অনেক কথা এখানে আলোচিত হয়েছে। আমরা সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা পেশ করছি।
সরল পথের প্রার্থনা সুরা ফাতেহা
সুরা ফাতেহা—কোরআনের প্রথম সুরা। এটিই মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর নাজিলকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সুরা। রাসুল (সা.) মক্কায় অবস্থানকালীন একবার ও মদিনায় হিজরতের পর একবার; মোট দুই বার এই সুরা নাজিল হয়। সব ধরনের নামাজেই এ সুরা পাঠ করা আবশ্যক। হাদিসে এ সুরাকে ‘কোরআনে মা’ ও ‘কোরআনের সার’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। (তাফসিরে কুরতুবি)
সুরা ফাতেহায় পরকালীন জীবনে মুক্তি ও সাফল্যের রাজপথের কথা বলা হয়েছে। এই সুরায় মূলত সরল পথের দিশা পেতে কীভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে—তা শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে পথে না চলার কারণে আগের জাতিসমূহ পথভ্রষ্ট হয়েছে, তা থেকে নিজেদের রেখে কীভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে জীবন পরিচালিত করার এক চিরন্তন প্রার্থনা সুরা ফাতেহা।
কোরআনের সবচেয়ে বড় সুরা—বাকারা
সুরা বাকারা মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ২৮৬টি, কোরআন কারিমের দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে বড় সুরা। বাকারা অর্থ গাভি। এ সুরায় একটি গাভির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, যে গাভিটি জবাই করার জন্য বনি ইসরাইলকে আদেশ করা হয়েছিল। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম সুরা বাকারা। ইসলামের মৌলিক নীতি, বিশ্বাস ও শরিয়তের বিধিবিধানের যতটুকু বিস্তারিত বর্ণনা এই সুরায় করা হয়েছে, ততটুকু অন্য কোনো সুরায় করা হয়নি।
শুরুতেই কোরআনের চ্যালেঞ্জ
সুরা বাকারার ২ নম্বর আয়াতে বিশ্ববাসীকে এই কথার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, এই কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। এটা সন্দেহাতীতভাবে নির্ভুল ও আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। তৎকালীন আরবি ভাষার পণ্ডিতেরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি ভুলও বের করতে পারেনি। কেউ কখনো পারবেও না। কোরআন আল্লাহভীরুদের জন্য পথনির্দেশক।
মুত্তাকির ৫ বৈশিষ্ট্য
মোত্তাকি অর্থ খোদাভীরু। যাঁরা আল্লাহর ভয়ে তাঁর আদেশ-নিষেধ যথাযথভাবে পালন করেন, তাঁরাই মোত্তাকি। ৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে মুত্তাকিদের ৫টি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যথা—
১. অদৃশ্যের বিষয়াবলি আল্লাহর কথার ভিত্তিতে বিশ্বাস করা।
২. নামাজ কায়েম করা।
৩. জাকাত দেওয়া এবং দান-সদকা করা।
৪. হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তার আগের নবীদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস করা।
৫. পরকালকে বিশ্বাস করে।
মুনাফেকের ৮ বৈশিষ্ট্য
৮-২০ নম্বর আয়াতে মুনাফেকের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা আলোচনা করা হয়েছে। যথা—
১. মুখে ইমান ও বিশ্বাসের কথা বললেও মনে মনে অবিশ্বাস লালন করে।
২. আল্লাহ ও মোমিনদের সঙ্গে প্রতারণা করে নিজেকে চালাক মনে করে।
৩. অন্তরে কপটতা ও বক্রতা রয়েছে।
৪. সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে, তবে নিজেকে শান্তিকামী দাবি করে।
৫. নিষ্ঠার সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করতে করলে বলে—আমরা অত বোকা নই।
৬. বিশ্বাসীদের বন্ধু দাবি করলেও অবিশ্বাসীদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে এবং ইমানদারদের নিয়ে উপহাস করে।
৭. তারা হেদায়তের মর্ম বুঝতে পারে না।
৮. তারা ঝোড়ো রাতের বিভ্রান্ত পথিকের মতো সরল পথের দিশা পায় না।
বনি ইসরাইলের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ
৪০-১০৩ নম্বর আয়াতে বনি ইসরায়েলদের পরিপূর্ণ ইমান আনার নির্দেশনা, তাদের ওপর আল্লাহ কী কী অনুগ্রহ করেছেন, আল্লাহ বিশেষ নেয়ামত পেয়েও তারা কী কী নাফরমানি করেছে, তাদের গো-পূজায় লিপ্ত হওয়া, জান্নাতি খাবার মান্না ও সালওয়া খেতে অনাগ্রহ প্রকাশ, সম্পদের লোভে একজন আরেকজনকে হত্যা ইত্যাদি অপকর্মের কথা আলোচিত হয়েছে। যে ঘটনার কারণে সুরা বাকারাকে বাকারা নামকরণ করা হয়েছে, সেটিও এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
একটি খুন ও গাভি নিয়ে বনি ইসরাইলের বাড়াবাড়ি
বনি ইসরাইলের এক ব্যক্তি খুন হলে মুসা (আ.)-এর কাছে বিচার আসে। আল্লাহর নির্দেশে মুসা (আ.) তাদের একটি গাভি জবাই করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের আদেশ দেন। তবে তারা গাভির বৈশিষ্ট্য নিয়ে অহেতুক ও অসাড় প্রশ্ন করতে থাকে এবং আল্লাহ গাভির বৈশিষ্ট্য বলতে থাকেন। ফলে এত নিখুঁত বৈশিষ্ট্যের গাভি পাওয়া তাদের জন্য মুশকিল হয়ে গেল।
এই ঘটনা সম্পর্কে তাফসির ইবনে কাসিরে বলা হয়েছে, ‘কোরবানি করার জন্য গাভি সম্পর্কে এত বিবরণ গ্রহণ করা সত্ত্বেও ইহুদিদের গাভি কোরবানি করার কোনো প্রকার ইচ্ছা ছিল না। কোরআনের এই অংশে ইহুদিদের তাদের আচরণের জন্য সমালোচনা করা হয়েছে। কেননা তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল তাদের অহেতুক একগুঁয়েমি ও অবাধ্যতাকে বজায় রাখা এবং এ কারণেই তারা গাভি কোরবানি করতে বিরত থাকার প্রয়াস চালিয়েছিল।’
পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি গাভি পাওয়া গেল। গাভিটি জবাই করে মাংসের একটি অংশ দিয়ে আল্লাহর নির্দেশ মতো খুন হওয়া মানুষটির দেহে স্পর্শ করলে মৃত মানুষটি জীবিত হয় এবং খুনির নাম বলে দেয়। দেখা গেল, যে মানুষটি বিচার নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনিই ছিলেন প্রকৃত খুনি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্মরণ করো, তোমরা যখন এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে এবং একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করছিলে, তোমরা যা গোপন করছিলে আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৭২)
এ ছাড়া পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আ.)-এর সৃষ্টি, ফেরেশতাদের সেজদা, ইবলিসের সেজদায় অস্বীকৃতি ও অহংকার, পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব, ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি, কাবাঘর নির্মাণ, মহানবী (সা.)-এর যুগে কিবলা পরিবর্তনের কারণ ও যৌক্তিকতা, রমজানের রোজার বিধান, হত্যার অপরাধে হত্যা ও ক্ষমার বিধান, হজ পালনের বিধিবিধান ইত্যাদি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

পবিত্র রমজান মাসে খতম তারাবি দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাতলে দেওয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে ২৬ রমজানের মধ্যে খতম তারাবি শেষ হয়ে যাবে।
সে হিসাবে প্রথম তারাবিতে পবিত্র কোরআনের প্রথম দেড় পারা তিলাওয়াত করা হয়। সুরা ফাতেহা ও সুরা বাকারার ১ থেকে ২০৩ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। এই অংশে ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধানের কথা বিবৃত হয়েছে। রোজা, হজ, খুন, বনি ইসরাইলের বাড়াবাড়িসহ অনেক কথা এখানে আলোচিত হয়েছে। আমরা সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা পেশ করছি।
সরল পথের প্রার্থনা সুরা ফাতেহা
সুরা ফাতেহা—কোরআনের প্রথম সুরা। এটিই মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর নাজিলকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সুরা। রাসুল (সা.) মক্কায় অবস্থানকালীন একবার ও মদিনায় হিজরতের পর একবার; মোট দুই বার এই সুরা নাজিল হয়। সব ধরনের নামাজেই এ সুরা পাঠ করা আবশ্যক। হাদিসে এ সুরাকে ‘কোরআনে মা’ ও ‘কোরআনের সার’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। (তাফসিরে কুরতুবি)
সুরা ফাতেহায় পরকালীন জীবনে মুক্তি ও সাফল্যের রাজপথের কথা বলা হয়েছে। এই সুরায় মূলত সরল পথের দিশা পেতে কীভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে—তা শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে পথে না চলার কারণে আগের জাতিসমূহ পথভ্রষ্ট হয়েছে, তা থেকে নিজেদের রেখে কীভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে জীবন পরিচালিত করার এক চিরন্তন প্রার্থনা সুরা ফাতেহা।
কোরআনের সবচেয়ে বড় সুরা—বাকারা
সুরা বাকারা মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ২৮৬টি, কোরআন কারিমের দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে বড় সুরা। বাকারা অর্থ গাভি। এ সুরায় একটি গাভির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, যে গাভিটি জবাই করার জন্য বনি ইসরাইলকে আদেশ করা হয়েছিল। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম সুরা বাকারা। ইসলামের মৌলিক নীতি, বিশ্বাস ও শরিয়তের বিধিবিধানের যতটুকু বিস্তারিত বর্ণনা এই সুরায় করা হয়েছে, ততটুকু অন্য কোনো সুরায় করা হয়নি।
শুরুতেই কোরআনের চ্যালেঞ্জ
সুরা বাকারার ২ নম্বর আয়াতে বিশ্ববাসীকে এই কথার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, এই কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। এটা সন্দেহাতীতভাবে নির্ভুল ও আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। তৎকালীন আরবি ভাষার পণ্ডিতেরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি ভুলও বের করতে পারেনি। কেউ কখনো পারবেও না। কোরআন আল্লাহভীরুদের জন্য পথনির্দেশক।
মুত্তাকির ৫ বৈশিষ্ট্য
মোত্তাকি অর্থ খোদাভীরু। যাঁরা আল্লাহর ভয়ে তাঁর আদেশ-নিষেধ যথাযথভাবে পালন করেন, তাঁরাই মোত্তাকি। ৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে মুত্তাকিদের ৫টি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যথা—
১. অদৃশ্যের বিষয়াবলি আল্লাহর কথার ভিত্তিতে বিশ্বাস করা।
২. নামাজ কায়েম করা।
৩. জাকাত দেওয়া এবং দান-সদকা করা।
৪. হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তার আগের নবীদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস করা।
৫. পরকালকে বিশ্বাস করে।
মুনাফেকের ৮ বৈশিষ্ট্য
৮-২০ নম্বর আয়াতে মুনাফেকের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা আলোচনা করা হয়েছে। যথা—
১. মুখে ইমান ও বিশ্বাসের কথা বললেও মনে মনে অবিশ্বাস লালন করে।
২. আল্লাহ ও মোমিনদের সঙ্গে প্রতারণা করে নিজেকে চালাক মনে করে।
৩. অন্তরে কপটতা ও বক্রতা রয়েছে।
৪. সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে, তবে নিজেকে শান্তিকামী দাবি করে।
৫. নিষ্ঠার সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করতে করলে বলে—আমরা অত বোকা নই।
৬. বিশ্বাসীদের বন্ধু দাবি করলেও অবিশ্বাসীদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে এবং ইমানদারদের নিয়ে উপহাস করে।
৭. তারা হেদায়তের মর্ম বুঝতে পারে না।
৮. তারা ঝোড়ো রাতের বিভ্রান্ত পথিকের মতো সরল পথের দিশা পায় না।
বনি ইসরাইলের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ
৪০-১০৩ নম্বর আয়াতে বনি ইসরায়েলদের পরিপূর্ণ ইমান আনার নির্দেশনা, তাদের ওপর আল্লাহ কী কী অনুগ্রহ করেছেন, আল্লাহ বিশেষ নেয়ামত পেয়েও তারা কী কী নাফরমানি করেছে, তাদের গো-পূজায় লিপ্ত হওয়া, জান্নাতি খাবার মান্না ও সালওয়া খেতে অনাগ্রহ প্রকাশ, সম্পদের লোভে একজন আরেকজনকে হত্যা ইত্যাদি অপকর্মের কথা আলোচিত হয়েছে। যে ঘটনার কারণে সুরা বাকারাকে বাকারা নামকরণ করা হয়েছে, সেটিও এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
একটি খুন ও গাভি নিয়ে বনি ইসরাইলের বাড়াবাড়ি
বনি ইসরাইলের এক ব্যক্তি খুন হলে মুসা (আ.)-এর কাছে বিচার আসে। আল্লাহর নির্দেশে মুসা (আ.) তাদের একটি গাভি জবাই করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের আদেশ দেন। তবে তারা গাভির বৈশিষ্ট্য নিয়ে অহেতুক ও অসাড় প্রশ্ন করতে থাকে এবং আল্লাহ গাভির বৈশিষ্ট্য বলতে থাকেন। ফলে এত নিখুঁত বৈশিষ্ট্যের গাভি পাওয়া তাদের জন্য মুশকিল হয়ে গেল।
এই ঘটনা সম্পর্কে তাফসির ইবনে কাসিরে বলা হয়েছে, ‘কোরবানি করার জন্য গাভি সম্পর্কে এত বিবরণ গ্রহণ করা সত্ত্বেও ইহুদিদের গাভি কোরবানি করার কোনো প্রকার ইচ্ছা ছিল না। কোরআনের এই অংশে ইহুদিদের তাদের আচরণের জন্য সমালোচনা করা হয়েছে। কেননা তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল তাদের অহেতুক একগুঁয়েমি ও অবাধ্যতাকে বজায় রাখা এবং এ কারণেই তারা গাভি কোরবানি করতে বিরত থাকার প্রয়াস চালিয়েছিল।’
পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি গাভি পাওয়া গেল। গাভিটি জবাই করে মাংসের একটি অংশ দিয়ে আল্লাহর নির্দেশ মতো খুন হওয়া মানুষটির দেহে স্পর্শ করলে মৃত মানুষটি জীবিত হয় এবং খুনির নাম বলে দেয়। দেখা গেল, যে মানুষটি বিচার নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনিই ছিলেন প্রকৃত খুনি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্মরণ করো, তোমরা যখন এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে এবং একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করছিলে, তোমরা যা গোপন করছিলে আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৭২)
এ ছাড়া পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আ.)-এর সৃষ্টি, ফেরেশতাদের সেজদা, ইবলিসের সেজদায় অস্বীকৃতি ও অহংকার, পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব, ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি, কাবাঘর নির্মাণ, মহানবী (সা.)-এর যুগে কিবলা পরিবর্তনের কারণ ও যৌক্তিকতা, রমজানের রোজার বিধান, হত্যার অপরাধে হত্যা ও ক্ষমার বিধান, হজ পালনের বিধিবিধান ইত্যাদি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক
রায়হান রাশেদ

পবিত্র রমজান মাসে খতম তারাবি দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাতলে দেওয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে ২৬ রমজানের মধ্যে খতম তারাবি শেষ হয়ে যাবে।
সে হিসাবে প্রথম তারাবিতে পবিত্র কোরআনের প্রথম দেড় পারা তিলাওয়াত করা হয়। সুরা ফাতেহা ও সুরা বাকারার ১ থেকে ২০৩ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। এই অংশে ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধানের কথা বিবৃত হয়েছে। রোজা, হজ, খুন, বনি ইসরাইলের বাড়াবাড়িসহ অনেক কথা এখানে আলোচিত হয়েছে। আমরা সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা পেশ করছি।
সরল পথের প্রার্থনা সুরা ফাতেহা
সুরা ফাতেহা—কোরআনের প্রথম সুরা। এটিই মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর নাজিলকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সুরা। রাসুল (সা.) মক্কায় অবস্থানকালীন একবার ও মদিনায় হিজরতের পর একবার; মোট দুই বার এই সুরা নাজিল হয়। সব ধরনের নামাজেই এ সুরা পাঠ করা আবশ্যক। হাদিসে এ সুরাকে ‘কোরআনে মা’ ও ‘কোরআনের সার’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। (তাফসিরে কুরতুবি)
সুরা ফাতেহায় পরকালীন জীবনে মুক্তি ও সাফল্যের রাজপথের কথা বলা হয়েছে। এই সুরায় মূলত সরল পথের দিশা পেতে কীভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে—তা শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে পথে না চলার কারণে আগের জাতিসমূহ পথভ্রষ্ট হয়েছে, তা থেকে নিজেদের রেখে কীভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে জীবন পরিচালিত করার এক চিরন্তন প্রার্থনা সুরা ফাতেহা।
কোরআনের সবচেয়ে বড় সুরা—বাকারা
সুরা বাকারা মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ২৮৬টি, কোরআন কারিমের দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে বড় সুরা। বাকারা অর্থ গাভি। এ সুরায় একটি গাভির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, যে গাভিটি জবাই করার জন্য বনি ইসরাইলকে আদেশ করা হয়েছিল। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম সুরা বাকারা। ইসলামের মৌলিক নীতি, বিশ্বাস ও শরিয়তের বিধিবিধানের যতটুকু বিস্তারিত বর্ণনা এই সুরায় করা হয়েছে, ততটুকু অন্য কোনো সুরায় করা হয়নি।
শুরুতেই কোরআনের চ্যালেঞ্জ
সুরা বাকারার ২ নম্বর আয়াতে বিশ্ববাসীকে এই কথার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, এই কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। এটা সন্দেহাতীতভাবে নির্ভুল ও আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। তৎকালীন আরবি ভাষার পণ্ডিতেরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি ভুলও বের করতে পারেনি। কেউ কখনো পারবেও না। কোরআন আল্লাহভীরুদের জন্য পথনির্দেশক।
মুত্তাকির ৫ বৈশিষ্ট্য
মোত্তাকি অর্থ খোদাভীরু। যাঁরা আল্লাহর ভয়ে তাঁর আদেশ-নিষেধ যথাযথভাবে পালন করেন, তাঁরাই মোত্তাকি। ৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে মুত্তাকিদের ৫টি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যথা—
১. অদৃশ্যের বিষয়াবলি আল্লাহর কথার ভিত্তিতে বিশ্বাস করা।
২. নামাজ কায়েম করা।
৩. জাকাত দেওয়া এবং দান-সদকা করা।
৪. হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তার আগের নবীদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস করা।
৫. পরকালকে বিশ্বাস করে।
মুনাফেকের ৮ বৈশিষ্ট্য
৮-২০ নম্বর আয়াতে মুনাফেকের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা আলোচনা করা হয়েছে। যথা—
১. মুখে ইমান ও বিশ্বাসের কথা বললেও মনে মনে অবিশ্বাস লালন করে।
২. আল্লাহ ও মোমিনদের সঙ্গে প্রতারণা করে নিজেকে চালাক মনে করে।
৩. অন্তরে কপটতা ও বক্রতা রয়েছে।
৪. সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে, তবে নিজেকে শান্তিকামী দাবি করে।
৫. নিষ্ঠার সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করতে করলে বলে—আমরা অত বোকা নই।
৬. বিশ্বাসীদের বন্ধু দাবি করলেও অবিশ্বাসীদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে এবং ইমানদারদের নিয়ে উপহাস করে।
৭. তারা হেদায়তের মর্ম বুঝতে পারে না।
৮. তারা ঝোড়ো রাতের বিভ্রান্ত পথিকের মতো সরল পথের দিশা পায় না।
বনি ইসরাইলের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ
৪০-১০৩ নম্বর আয়াতে বনি ইসরায়েলদের পরিপূর্ণ ইমান আনার নির্দেশনা, তাদের ওপর আল্লাহ কী কী অনুগ্রহ করেছেন, আল্লাহ বিশেষ নেয়ামত পেয়েও তারা কী কী নাফরমানি করেছে, তাদের গো-পূজায় লিপ্ত হওয়া, জান্নাতি খাবার মান্না ও সালওয়া খেতে অনাগ্রহ প্রকাশ, সম্পদের লোভে একজন আরেকজনকে হত্যা ইত্যাদি অপকর্মের কথা আলোচিত হয়েছে। যে ঘটনার কারণে সুরা বাকারাকে বাকারা নামকরণ করা হয়েছে, সেটিও এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
একটি খুন ও গাভি নিয়ে বনি ইসরাইলের বাড়াবাড়ি
বনি ইসরাইলের এক ব্যক্তি খুন হলে মুসা (আ.)-এর কাছে বিচার আসে। আল্লাহর নির্দেশে মুসা (আ.) তাদের একটি গাভি জবাই করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের আদেশ দেন। তবে তারা গাভির বৈশিষ্ট্য নিয়ে অহেতুক ও অসাড় প্রশ্ন করতে থাকে এবং আল্লাহ গাভির বৈশিষ্ট্য বলতে থাকেন। ফলে এত নিখুঁত বৈশিষ্ট্যের গাভি পাওয়া তাদের জন্য মুশকিল হয়ে গেল।
এই ঘটনা সম্পর্কে তাফসির ইবনে কাসিরে বলা হয়েছে, ‘কোরবানি করার জন্য গাভি সম্পর্কে এত বিবরণ গ্রহণ করা সত্ত্বেও ইহুদিদের গাভি কোরবানি করার কোনো প্রকার ইচ্ছা ছিল না। কোরআনের এই অংশে ইহুদিদের তাদের আচরণের জন্য সমালোচনা করা হয়েছে। কেননা তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল তাদের অহেতুক একগুঁয়েমি ও অবাধ্যতাকে বজায় রাখা এবং এ কারণেই তারা গাভি কোরবানি করতে বিরত থাকার প্রয়াস চালিয়েছিল।’
পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি গাভি পাওয়া গেল। গাভিটি জবাই করে মাংসের একটি অংশ দিয়ে আল্লাহর নির্দেশ মতো খুন হওয়া মানুষটির দেহে স্পর্শ করলে মৃত মানুষটি জীবিত হয় এবং খুনির নাম বলে দেয়। দেখা গেল, যে মানুষটি বিচার নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনিই ছিলেন প্রকৃত খুনি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্মরণ করো, তোমরা যখন এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে এবং একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করছিলে, তোমরা যা গোপন করছিলে আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৭২)
এ ছাড়া পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আ.)-এর সৃষ্টি, ফেরেশতাদের সেজদা, ইবলিসের সেজদায় অস্বীকৃতি ও অহংকার, পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব, ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি, কাবাঘর নির্মাণ, মহানবী (সা.)-এর যুগে কিবলা পরিবর্তনের কারণ ও যৌক্তিকতা, রমজানের রোজার বিধান, হত্যার অপরাধে হত্যা ও ক্ষমার বিধান, হজ পালনের বিধিবিধান ইত্যাদি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

পবিত্র রমজান মাসে খতম তারাবি দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাতলে দেওয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে ২৬ রমজানের মধ্যে খতম তারাবি শেষ হয়ে যাবে।
সে হিসাবে প্রথম তারাবিতে পবিত্র কোরআনের প্রথম দেড় পারা তিলাওয়াত করা হয়। সুরা ফাতেহা ও সুরা বাকারার ১ থেকে ২০৩ নম্বর আয়াত পর্যন্ত। এই অংশে ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিধানের কথা বিবৃত হয়েছে। রোজা, হজ, খুন, বনি ইসরাইলের বাড়াবাড়িসহ অনেক কথা এখানে আলোচিত হয়েছে। আমরা সংক্ষেপে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কথা পেশ করছি।
সরল পথের প্রার্থনা সুরা ফাতেহা
সুরা ফাতেহা—কোরআনের প্রথম সুরা। এটিই মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর নাজিলকৃত প্রথম পূর্ণাঙ্গ সুরা। রাসুল (সা.) মক্কায় অবস্থানকালীন একবার ও মদিনায় হিজরতের পর একবার; মোট দুই বার এই সুরা নাজিল হয়। সব ধরনের নামাজেই এ সুরা পাঠ করা আবশ্যক। হাদিসে এ সুরাকে ‘কোরআনে মা’ ও ‘কোরআনের সার’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। (তাফসিরে কুরতুবি)
সুরা ফাতেহায় পরকালীন জীবনে মুক্তি ও সাফল্যের রাজপথের কথা বলা হয়েছে। এই সুরায় মূলত সরল পথের দিশা পেতে কীভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করতে হবে—তা শিখিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে পথে না চলার কারণে আগের জাতিসমূহ পথভ্রষ্ট হয়েছে, তা থেকে নিজেদের রেখে কীভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে জীবন পরিচালিত করার এক চিরন্তন প্রার্থনা সুরা ফাতেহা।
কোরআনের সবচেয়ে বড় সুরা—বাকারা
সুরা বাকারা মদিনায় অবতীর্ণ। এ সুরার আয়াত সংখ্যা ২৮৬টি, কোরআন কারিমের দ্বিতীয় এবং সবচেয়ে বড় সুরা। বাকারা অর্থ গাভি। এ সুরায় একটি গাভির ঘটনা বর্ণিত হয়েছে, যে গাভিটি জবাই করার জন্য বনি ইসরাইলকে আদেশ করা হয়েছিল। সে দৃষ্টিকোণ থেকে এ সুরার নাম সুরা বাকারা। ইসলামের মৌলিক নীতি, বিশ্বাস ও শরিয়তের বিধিবিধানের যতটুকু বিস্তারিত বর্ণনা এই সুরায় করা হয়েছে, ততটুকু অন্য কোনো সুরায় করা হয়নি।
শুরুতেই কোরআনের চ্যালেঞ্জ
সুরা বাকারার ২ নম্বর আয়াতে বিশ্ববাসীকে এই কথার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, এই কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। এটা সন্দেহাতীতভাবে নির্ভুল ও আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে। তৎকালীন আরবি ভাষার পণ্ডিতেরা এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি ভুলও বের করতে পারেনি। কেউ কখনো পারবেও না। কোরআন আল্লাহভীরুদের জন্য পথনির্দেশক।
মুত্তাকির ৫ বৈশিষ্ট্য
মোত্তাকি অর্থ খোদাভীরু। যাঁরা আল্লাহর ভয়ে তাঁর আদেশ-নিষেধ যথাযথভাবে পালন করেন, তাঁরাই মোত্তাকি। ৩ ও ৪ নম্বর আয়াতে মুত্তাকিদের ৫টি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যথা—
১. অদৃশ্যের বিষয়াবলি আল্লাহর কথার ভিত্তিতে বিশ্বাস করা।
২. নামাজ কায়েম করা।
৩. জাকাত দেওয়া এবং দান-সদকা করা।
৪. হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং তার আগের নবীদের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাস করা।
৫. পরকালকে বিশ্বাস করে।
মুনাফেকের ৮ বৈশিষ্ট্য
৮-২০ নম্বর আয়াতে মুনাফেকের বেশ কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা আলোচনা করা হয়েছে। যথা—
১. মুখে ইমান ও বিশ্বাসের কথা বললেও মনে মনে অবিশ্বাস লালন করে।
২. আল্লাহ ও মোমিনদের সঙ্গে প্রতারণা করে নিজেকে চালাক মনে করে।
৩. অন্তরে কপটতা ও বক্রতা রয়েছে।
৪. সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে, তবে নিজেকে শান্তিকামী দাবি করে।
৫. নিষ্ঠার সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করতে করলে বলে—আমরা অত বোকা নই।
৬. বিশ্বাসীদের বন্ধু দাবি করলেও অবিশ্বাসীদের সঙ্গে গোপন আঁতাত করে এবং ইমানদারদের নিয়ে উপহাস করে।
৭. তারা হেদায়তের মর্ম বুঝতে পারে না।
৮. তারা ঝোড়ো রাতের বিভ্রান্ত পথিকের মতো সরল পথের দিশা পায় না।
বনি ইসরাইলের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ
৪০-১০৩ নম্বর আয়াতে বনি ইসরায়েলদের পরিপূর্ণ ইমান আনার নির্দেশনা, তাদের ওপর আল্লাহ কী কী অনুগ্রহ করেছেন, আল্লাহ বিশেষ নেয়ামত পেয়েও তারা কী কী নাফরমানি করেছে, তাদের গো-পূজায় লিপ্ত হওয়া, জান্নাতি খাবার মান্না ও সালওয়া খেতে অনাগ্রহ প্রকাশ, সম্পদের লোভে একজন আরেকজনকে হত্যা ইত্যাদি অপকর্মের কথা আলোচিত হয়েছে। যে ঘটনার কারণে সুরা বাকারাকে বাকারা নামকরণ করা হয়েছে, সেটিও এখানে আলোচনা করা হয়েছে।
একটি খুন ও গাভি নিয়ে বনি ইসরাইলের বাড়াবাড়ি
বনি ইসরাইলের এক ব্যক্তি খুন হলে মুসা (আ.)-এর কাছে বিচার আসে। আল্লাহর নির্দেশে মুসা (আ.) তাদের একটি গাভি জবাই করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের আদেশ দেন। তবে তারা গাভির বৈশিষ্ট্য নিয়ে অহেতুক ও অসাড় প্রশ্ন করতে থাকে এবং আল্লাহ গাভির বৈশিষ্ট্য বলতে থাকেন। ফলে এত নিখুঁত বৈশিষ্ট্যের গাভি পাওয়া তাদের জন্য মুশকিল হয়ে গেল।
এই ঘটনা সম্পর্কে তাফসির ইবনে কাসিরে বলা হয়েছে, ‘কোরবানি করার জন্য গাভি সম্পর্কে এত বিবরণ গ্রহণ করা সত্ত্বেও ইহুদিদের গাভি কোরবানি করার কোনো প্রকার ইচ্ছা ছিল না। কোরআনের এই অংশে ইহুদিদের তাদের আচরণের জন্য সমালোচনা করা হয়েছে। কেননা তাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল তাদের অহেতুক একগুঁয়েমি ও অবাধ্যতাকে বজায় রাখা এবং এ কারণেই তারা গাভি কোরবানি করতে বিরত থাকার প্রয়াস চালিয়েছিল।’
পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর একটি গাভি পাওয়া গেল। গাভিটি জবাই করে মাংসের একটি অংশ দিয়ে আল্লাহর নির্দেশ মতো খুন হওয়া মানুষটির দেহে স্পর্শ করলে মৃত মানুষটি জীবিত হয় এবং খুনির নাম বলে দেয়। দেখা গেল, যে মানুষটি বিচার নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনিই ছিলেন প্রকৃত খুনি। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘স্মরণ করো, তোমরা যখন এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছিলে এবং একে অন্যের প্রতি দোষারোপ করছিলে, তোমরা যা গোপন করছিলে আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিলেন।’ (সুরা বাকারা: ৭২)
এ ছাড়া পৃথিবীর প্রথম মানুষ আদম (আ.)-এর সৃষ্টি, ফেরেশতাদের সেজদা, ইবলিসের সেজদায় অস্বীকৃতি ও অহংকার, পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাব, ইবরাহিম (আ.)-এর কোরবানি, কাবাঘর নির্মাণ, মহানবী (সা.)-এর যুগে কিবলা পরিবর্তনের কারণ ও যৌক্তিকতা, রমজানের রোজার বিধান, হত্যার অপরাধে হত্যা ও ক্ষমার বিধান, হজ পালনের বিধিবিধান ইত্যাদি গুরুত্ব পূর্ণ বিষয় আলোচিত হয়েছে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক ও সাংবাদিক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। মহানবী (সা.) সদকার এমন কিছু অসামান্য ফজিলত বর্ণনা করেছেন, যা আমাদের জীবনে এর গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেয়।
সদকার এক অন্যতম ফজিলত হলো, এটি আল্লাহর ক্রোধ প্রশমিত করে। হাদিসে মহানবী (সা.) বলেন, ‘দান-সদকা আল্লাহর ক্রোধ কমায় এবং মানুষকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করে।’ (জামে তিরমিজি)
মানুষ জীবনে ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় নানা পাপ করে আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হয়, ফলে সে আল্লাহর বিরাগভাজন হয়। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাগ কমানোর জন্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি ফিরে পাওয়ার জন্য সদকা এক ফলপ্রসূ আমল। সদকার বরকতে আল্লাহ সেই রাগ দূর করে দেন। এ ছাড়া, এই হাদিসের মাধ্যমে জানা যায়, সদকার কারণে আল্লাহ তাআলা দানশীল ব্যক্তিকে অপমৃত্যু থেকে রক্ষা করেন এবং তাকে ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দান করেন।
দান-সদকা যে শুধু পরকালে সওয়াব বৃদ্ধি করে তা নয়; বরং এর বরকতে আল্লাহ দুনিয়ার সম্পদও বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। এক হাদিসে আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, আবু জর (রা.) রাসুল (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সদকা কী?’ জবাবে তিনি বললেন, ‘কয়েক গুণ। (অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যে পরিমাণ আল্লাহর জন্য দান করবে, তার কয়েক গুণ বেশি সওয়াব সে পাবে)। আর আল্লাহ তাআলা বিপুল ভান্ডারের অধিকারী।’ (মুসনাদে আহমাদ)
অনেক হাদিসবিশারদ এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সদকার বরকতে আল্লাহ দুনিয়ায়ও সম্পদ বহুগুণ বাড়িয়ে দেন। আর পরকালে যে প্রতিদান সে পাবে, তা হবে এর চেয়েও বহুগুণ বেশি। বাস্তবেও দেখা যায়, যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে নিষ্ঠার সঙ্গে দান করেন, তাঁর সম্পদ অদ্ভুতভাবে বেড়ে যায়।

পবিত্র রমজান মাসে খতম তারাবি দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাতলে দেওয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে ২৬ রমজানের মধ্যে খতম তারাবি শেষ হয়ে যাবে।
২৩ মার্চ ২০২৩
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১১ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১২ মিনিট | ০৬: ৩১ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৪ মিনিট | ০৩: ৩৭ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৮ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১১ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র রমজান মাসে খতম তারাবি দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাতলে দেওয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে ২৬ রমজানের মধ্যে খতম তারাবি শেষ হয়ে যাবে।
২৩ মার্চ ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মহানবী (সা.) কঠোরতা নয়, বরং ভদ্রতা, কোমলতা, সহানুভূতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষের ভুলত্রুটি শুধরেছেন।
ভুল সংশোধনে তাঁর প্রথম কৌশল ছিল কৌশলগত নীরবতা এবং ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ। তিনি সরাসরি সমালোচনা না করে এমনভাবে আচরণ করতেন, যেন ভুলকারী নিজেই নিজের ভুল বুঝতে পারে। একবার সাহাবিদের কোনো কাজে ভুল দেখতে পেলে তিনি তাঁদের ছেড়ে অন্য পথে হেঁটেছেন, যা দেখে তাঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছেন। আবার কখনো কখনো, বিশেষ করে যখন ভুলটি গুরুতর হতো, তখন তিনি কথার পুনরাবৃত্তি করে এর গুরুত্ব বোঝাতেন। তাঁর আরেকটি অসাধারণ পদ্ধতি ছিল দুর্বল ও অসহায়দের প্রতি কোমল আচরণ। একইভাবে, তিনি মানুষকে আল্লাহর ক্ষমতা ও করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ভুল থেকে ফিরিয়ে আনতেন।
মানুষের মর্যাদা রক্ষা ছিল তাঁর ভুল সংশোধনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। তিনি কখনো জনসমক্ষে কাউকে লজ্জা দিতেন না। তাই অনেক সময় তিনি বলতেন, ‘লোকদের কী হয়েছে যে তারা এমন এমন কাজ করছে!’ এভাবে তিনি ব্যক্তির পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ ভুলকারীদের সতর্ক করতেন। এমনকি যারা বারবার একই ভুল করত, তাদেরও তিনি তিরস্কারের পরিবর্তে ভালোবাসা ও দোয়া করতেন। তাঁর এই সহানুভূতিশীল পদ্ধতি প্রমাণ করে, ভুল শুধরানোর মূল উদ্দেশ্য হলো ব্যক্তিকে পরিশুদ্ধ করা, অপমান করা নয়।
রাসুল (সা.)-এর এ কৌশলগুলো আমাদের শেখায়, ভুল সংশোধন একটি শিল্প, যেখানে ভালোবাসা, সহমর্মিতা এবং সম্মানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি শুধু একটি ত্রুটি দূর করার বিষয় নয়; বরং ব্যক্তির অন্তরকে আলোকময় করে তোলার এক মহৎ প্রক্রিয়া।

পবিত্র রমজান মাসে খতম তারাবি দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাতলে দেওয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে ২৬ রমজানের মধ্যে খতম তারাবি শেষ হয়ে যাবে।
২৩ মার্চ ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১ দিন আগেইসলাম ডেস্ক

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

জীবনকে সুশৃঙ্খল করতে এবং আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে নামাজের কোনো বিকল্প নেই। একজন মুমিনের জন্য নামাজ হলো আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি কথোপকথনের মাধ্যম। এটি এমন এক ইবাদত—যা আমাদের মনে আধ্যাত্মিক প্রশান্তি আনে, জীবনের প্রতিটি কাজে আনে বরকত।
প্রতিদিন সময় মতো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর আবশ্যক। তাই জেনে নেওয়া যাক আজ কোন ওয়াক্তের নামাজ কখন আদায় করতে হবে।
আজ শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো—
| নামাজ | ওয়াক্ত শুরু | ওয়াক্ত শেষ |
|---|---|---|
| তাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময় | ০০: ০০ | ০৫: ১০ মিনিট |
| ফজর | ০৫: ১১ মিনিট | ০৬: ৩০ মিনিট |
| জোহর | ১১: ৫৩ মিনিট | ০৩: ৩৬ মিনিট |
| আসর | ০৩: ৩৭ মিনিট | ০৫: ১২ মিনিট |
| মাগরিব | ০৫: ১৪ মিনিট | ০৬: ৩৩ মিনিট |
| এশা | ০৬: ৩৪ মিনিট | ০৫: ১০ মিনিট |
উল্লিখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগের সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, সেগুলো হলো:
বিয়োগ করতে হবে—
চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট
সিলেট: ০৬ মিনিট
যোগ করতে হবে—
খুলনা: ০৩ মিনিট
রাজশাহী: ০৭ মিনিট
রংপুর: ০৮ মিনিট
বরিশাল: ০১ মিনিট
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
আসুন, নামাজের মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে তাঁর আরও কাছে নিয়ে যাই। জীবনে নিয়ে আসি ইমানের নুর।

পবিত্র রমজান মাসে খতম তারাবি দেশের সব মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বাতলে দেওয়া পদ্ধতি অনুসরণ করলে ২৬ রমজানের মধ্যে খতম তারাবি শেষ হয়ে যাবে।
২৩ মার্চ ২০২৩
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৫ ঘণ্টা আগে
নামাজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটি যেমন আমাদের দৈহিক পবিত্রতা নিশ্চিত করে, তেমনই আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে। আজকের এই নামাজের সময়সূচি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জীবনের ব্যস্ততা যতই থাকুক না কেন, আল্লাহর জন্য সময় বের করা আমাদের প্রধান দায়িত্ব।
১১ ঘণ্টা আগে
ভুল করা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। জীবন চলার পথে ছোট-বড় ভুল সবারই হয়। কিন্তু সে ভুলকে কীভাবে সংশোধন করতে হবে, তা মানবজাতির সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষাবিদ হজরত মুহাম্মদ (সা.) শিখিয়ে গেছেন। তিনি ভুলকে লজ্জা বা অপমানের কারণ হিসেবে দেখেননি; বরং এটিকে ইতিবাচক পরিবর্তনের একটি সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
১ দিন আগে